
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে রাজ্যজুড়ে অশান্তি অব্যাহত। আবারও উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate) আনারুল হককে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অল্পের জন্য বেঁচে যান ওই প্রার্থী। কিন্তু গুলি লাগে অন্য এক কংগ্রেস কর্মীর। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এদিকে, বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হক। অভিযোগ সেইসময়, উল্টো দিক থেকে গাড়ি করে এসে তৃণমূল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান ওই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। কিন্তু, তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলি লাগে এক কংগ্রেস কর্মীর গায়ে। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুলিয়ানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে জঙ্গিপুর মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবিতে ইতিমধ্যে সামশেরগঞ্জ থানা ঘেরাও করেছেন তাঁরা।
রাজ্যপালের (Governor) সফরের মধ্যে ফের দিনহাটায় (Dinhata) অশান্তি। ওকরাবাড়িতে কংগ্রেস প্রার্থীর (Congress Candidate) বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা ছোড়ায় একটি ঘরে আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর পরিবারের। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
শনিবার সকালে সার্কিট হাউজে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও। এরপর বেসরকারি হাসপাতালে যান। রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মানুষের অভিযোগও শোনেন তিনি। এরপরই দিনহাটার অশান্ত এলাকা পরিদর্শনের কথা আছে রাজ্যপালের। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর কোচবিহারে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ৬ বার গুলি চলেছে। অশান্ত দিনহাটা, শীতলখুচি। শনিবার দিনহাটার উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন রাজ্যপাল।
শুক্রবার রাতে কোচবিহারে এসেই রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার কোচবিহার যাওয়ার পথে ফোনে সরাসরি অভিযোগ শোনেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পর্ষদ (Board) থেকে উধাও হয়ে গেল এসএসসি (SSC) নিয়োগ (Recruitment) সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। বেশ কয়েকমাস ধরেই ওই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা।
নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে একটি গুরুপূর্ণ ফাইল পর্ষদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের বলা হয়েছে ফাইলটি আর পর্ষদের কাছে নেই। বিগত কয়েক মাস ধরেই খোঁজ মিলছে না ওই ফাইলের। প্রশ্ন উঠছে, এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার ফাইল কীভাবে হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, পর্ষদ জানিয়েছে ওই ফাইলটি হারিয়ে যাওয়ার পর বিধাননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও সেই ঘটনার তদন্ত কতদূর তা এখনও জানা যায়নি। যে ফাইলটি উধাও হয়ে গেছে সেটি গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল। রাজ্যের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কর্মী পদে নিয়োগের তথ্য ছিল ওই ফাইলে। কিন্তু বর্তমানে ওই ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অবশেষে সাংবাদিক সম্মেলনের (Press Conference) সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফরে গিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২২ জুন, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের একেবারে মুখোমুখি হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন ও ভারতীয় দুই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আরও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনে এক মার্কিন সাংবাদিক এবং এক ভারতীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি প্রশ্ন থাকবে। সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি এই যৌথ সম্মেলনকে 'বড় বিষয়' বলে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'হোয়াইট হাউস কৃতজ্ঞ যে সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।'
তিনদিনের সফরে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এটাই তাঁর প্রথম অফিসিয়াল মার্কিন সফর। ফলে এই সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছনোর পরই তাঁকে বিশেষ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর আজ হোয়াইট হাউসে পৌঁছতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাঁকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান।
রাজপথে ধরণার পর এবার রাজভবনে (Raj Bhavan) অভিযান। দীর্ঘ ৭৬৮ দিন অবস্থান বিক্ষোভের (Demonstration) পর এবার রাজভবনে ডেপুটেশন কর্মসূচি গ্রহণ করলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। সূত্রের খবর, বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মহা ঐক্য মঞ্চের তরফ থেকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। অভিযোগ ভোটের আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি বলে দাবি চাকরী প্রার্থীদের। সূত্রের খবর, ১১ টি চাকরিপ্রার্থীর মঞ্চের দুজন করে চাকরি প্রার্থী যাবেন রাজভবনে, যদিও এখনও অবধি তাঁদের কাছে অনুমতি নেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার।।
সূত্রের খবর, বঞ্চিত ১১ টি মঞ্চের চাকরি প্রার্থী ও কর্মরত এনএসকিউএফ শিক্ষকদের সমস্যার সমাধানে হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁরা রাজভবনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন, তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের অভিভাবক রাজ্যপাল মহাশয়কে উদ্যোগ নিতে হবে এবং রাজভবন দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এ আলোচনায় বসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Education Scam) পর এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কোমর বাঁধছে ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন থেকে বাজেয়াপ্ত নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার (ED) তুরুপের তাস হতে চলেছে। বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে ইডি দক্ষিণবঙ্গের ২২টি পুরসভায় নিয়োগে গরমিল পেয়েছে বলে খবর। তাই এই নিয়োগ-কাণ্ডে (Municipality Recruitment scam) তদন্তের অনুমতি চেয়ে দিল্লির সদর দফতরের দ্বারস্থ হচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, মোট আড়াই হাজার কোটি টাকার পুর দুর্নীতি-কাণ্ডের প্রাথমিক খোঁজ মিলেছে।
এদিকে, প্রায় চার দিনের মাথায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলেছেন জীবন। আশাকর্মী নিয়োগের চাকরি বিক্রি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক বা এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে নয়, তদন্তে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি স্থায়ী বা অস্থায়ী পদে নিয়োগের নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা তুলেছেন জীবনকৃষ্ণ।
এসএসসি (SSC) নবম-দশম মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি সূত্রের খবর, একই দিনে রাজ্যের আরও ৫ টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের দল। তদন্তে ফের তৎপর সিবিআই। একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের তিন জায়গা, বীরভূম সহ বিভিন্ন জেলায় শুক্রবার তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের পাঁচটি টিম বের হয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে নিতাই সাহা নামে একজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি দল। অভিযোগ, এই নিতাই ছিলেন এসএসসি কাণ্ডের অন্যতম এজেন্ট। পাশাপাশি, এদিন মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেও যায় সিবিআইয়ের দ্বিতীয় দল। সিবিআই সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। জীবনকৃষ্ণের সুপারিশে নাকি দিয়ে চাকরি হয়েছিল একাধিক অযোগ্য প্রার্থীর। প্রসঙ্গত, এই জীবনকৃষ্ণ হলেন এজেন্ট নিতাইয়েই শ্বশুর।
অভিযোগ, এদিন জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি প্রার্থীতালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই৷ এছাড়া, কার কার কাছে কত টাকা পাঠানো হত সেই লিস্টও উদ্ধার হয়েছে৷ এমনকি, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ও নথিও পেয়েছ সিবিআই৷ সিবিআইয়ের তৃতীয় দল যায় মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বিধায়কের বাড়িতে। কিন্তু উনি চিকিৎসা কারণে কলকাতায় এসেছেন বলে সূত্রের খবর। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁর সঙ্গেও নাকি যোগাযোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের। এছাড়াও, বীরভূমে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। তদন্তে অগ্রগতি আনতে কিছু দিন আগেই সাত আধিকারিককে নিয়ে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল সিবিআই। তারপরেই এদিন একযোগে এতগুলো অভিযান৷
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) গঠিত হয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) সিট। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই গঠিত হয়েছিল সিট। এবার সেই সিটেরই সদস্য ধরমবীর সিং (Dharambir Singh) অবসর নিতে চেয়ে আবেদন জানালেন কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এ বিষয়ে শুক্রবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। তবে আবেদন নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়নি বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছাড়া এই সিটের কোনও সদস্য ছেড়ে যেতে পারেন না। যেহেতু সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ধরমবীরের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় সিবিআইয়ের। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিটে কয়েকজন বাংলাভাষী অফিসার নিয়োগের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
যেহেতু আদালত এই সিট গঠন করেছে, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ধরমবীর সিংহের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, আদালতে জানাল সিবিআই। এই বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ সিবিআইয়ের। তাই দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস বিচারপতির। তবে এই সিটে কিছু বাংলাভাষী আধিকারিক নিয়োগের ভাবনা বিচারপতির।
গ্রুপ ডি-র পর এবার গ্রুপ সি-তে (Group C) চাকরিরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। শনিবার বিকেল তিনটের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। এমনটাই এসএসসি-কে (SSC) নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই ৮৪২ জনের মধ্যে ৫৭ জনকে কোনও সুপারিশপত্র দেয়নি কমিশন। এমনটাই হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) অবগত করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এতে আরও বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, ৫৭ জন সুপারিশহীন এবং সুপারিশ পাওয়া ৭৮৫ জনের চাকরি বাতিল করতে হবে। শনিবার বিকেলের মধ্যে এই ৮৪২ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, আগামী দশ দিনের মধ্যে ওয়েটিংলিস্ট থেকে নতুন নিয়োগ করতে হবে।
আগামীকাল থেকেই এই ৮৪২ জন স্কুলে যেতে পারবে না। করতে পারবেন না স্কুলের কোনও কাজ। স্কুলের কাগজপত্র যা তাঁদের কাছে আছে, অবিলম্বে তা স্কুলকে জমা দিতে হবে শনিবারের মধ্যে। এই মর্মেই নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে, গ্রুপ সি নিয়োগে ৪০%-র বেশি চাকরি হারালেন হাইকোর্টের নির্দেশে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র (SSC Scam) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জেলবন্দি। এবার তাঁর (SP Sinha) কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ-গয়না বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। এই কেন্দ্রীয় সংস্থাই (CBI) এসপি সিনহাকে নিয়োগ-কাণ্ডের অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করেছিল। তারাই বুধবার প্রাক্তন এসএসসি কর্তার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা নগদ। দেড় কেজির সোনা এবং অন্তত ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা।
অভিযোগ, এদিন সিবিআই যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়, সেই ফ্ল্যাটের পরোক্ষে মালিকানা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। যদিও অন্য ব্যক্তির নামে সেই ফ্ল্যাট রেজিস্টার্ড। শিক্ষা দুর্নীতি-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই এফআইআর-এ নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা-সহ অন্যদের। মূলত একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে এই সিবিআই তদন্ত।
নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পর এবার গ্রুপ-ডি-র ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, 'গ্রুপ-ডি-র ওয়েটিং লিস্ট কিন্তু গঙ্গার মত স্বচ্ছ নয়। এটা মনে রাখতে হবে।' গ্রুপ-ডি-র নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এমন নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি ১৯১১ জন কর্মরত গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই ১৯১১ জনের শূন্যপদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে দায়ের হওয়া মামলাও এই মুহূর্তে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় বিচারপতি বসুর মঙ্গলবারের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি বসু। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বিশ্বজিৎ বসু বলেন, 'রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।'
হাওড়ার মেয়েদের স্কুলে (Howrah Girls School) নেই নিরাপত্তারক্ষী। সিভিক পুলিসকে (Civic Police) নিরাপত্তারক্ষীর কাজে লাগাতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। জেলা পুলিস সুপারকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High School)। বোর্ডের উদ্দেশে মন্তব্য, 'আপনারা স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবুন। তাঁদের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে। এই অচলায়তন ভাঙতে গেলে সময় লাগবে। কিন্তু বোর্ড, আপনারা শুরু করুন। আমি তিন সপ্তাহ পর ফল পেতে চাই।'
হাওড়া আমতা রসপুর বালিকা বিদ্যালয়ে অঙ্কের শিক্ষিকা ২০১৬ থেকে নেই। স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য জায়গা নেই। খেলার মাঠ থাকলেও, সেটা ব্যবহার হয় সাইকেল রাখতে। এই স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা আট জন, ৫৪৮ জন ছাত্রী। পড়ুয়া-শিক্ষিকা এই অনুপাত দেখেও উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের মন্তব্য,'শিক্ষকদের বদলি পছন্দ না হলে পরে মামলা করুন। না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেব।' বিচারপতি জানান, 'রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন।' রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
হাওড়ার রসপুর স্কুলের মামলার প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে, একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক। অন্যদিকে অপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ জন পড়ুয়া আছে, কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই। ২০১৬ থেকে গণিতের শিক্ষক নেই। তারপরেই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। উত্তরে শিক্ষা দফতরের আইনজীবী জানান, 'এটা করতে গেলে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয়স্তরে সমস্যা হতে পারে, রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে।'
গ্রুপ-ডি নিয়োগ (Group D) দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পার্টি করতে নির্দেশ হাইকোর্টের। এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে অবিলম্বে জানাতে হবে কার বা কাদের নির্দেশে তিনি এই দুর্নীতি (Corruption) করেছেন। যদি না জানান, তাহলে তিনিই দোষী বলে ধরা হবে। তিনি তাঁর ডিগ্রি আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন না, যত দিন না সিবিআইয়ের আনা অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়। তিনি যদি আদালতের নির্দেশে এসে জানান কারা কারা যুক্ত ছিল, তাহলে প্রয়োজনে পরিবারকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। শুক্রবার পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)।
জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে কঠোর ‘সাজা’র কথা শোনালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। যত দিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ‘ডক্টরেট’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ।
শুক্রবার এসএসসি কোর্টকে জানিয়েছে, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এই দুর্নীতির আমলে কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। কমিশনের ডাটা রুম তিনি ব্যবহার করতে না দিলে এই কাজ সম্ভব ছিল না।
সম্ভাবনাকে সত্যি করেই ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Group D) সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ধরেই এই পদক্ষেপ এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। জানা গিয়েছে, ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির জেরে ২৮২০ জন গ্রুপ ডি পদে চাকরির সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে চাকরি হারানো এই ১৯১১ জন চাকরিতে যোগ দেন, বাকিরা যোগ দেননি।
এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এই ১৯১১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিলের কথা। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁদের চাকরি বাতিল হবে, সেই শূন্যপদে মেরিট লিস্টে ওয়েটিংয়ে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। তাঁদের বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করবে এসএসসি। জানা গিয়েছে, যে ১৯১১ জনের নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা হয়েছে, তাঁরা আজ থেকে কোনও বেতন পাবেন না। পাশাপাশি এযাবৎকাল পাওয়া বেতন কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে, এই নির্দেশ এদিন দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ১৯১১ জনকে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, নিতে পারবে হেফাজতেও। কোর্ট অর্ডার ছাড়া দেশের কোনও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবেন না এই 'অযোগ্য' চাকরিপ্রার্থীরা। এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামি ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি, স্কুল সার্ভিস কমিশন-মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানাবে তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০১৬ সালে এসএসসি-র (SSC Case) নবম-দশম শ্রেণির চাকুরিপ্রার্থীদের তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। সেই তালিকায় বহু চাকরিপ্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরে ব্যাপক ফারাক ধরা পড়েছে। এসএসসি সূত্রে খবর, কারও কারও নম্বরের ফারাক ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের (Caluctta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এসএসসিকে প্রশ্ন করেন, 'এঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন?' বৃহস্পতিবার সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই জানানো হল এসএসসির তরফে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি (Corruption) যে হয়েছিল, ঠারেঠোরে তা-ও মেনে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৮০০-র বেশি স্কুলশিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পথে। দুর্নীতির কথা কার্যত ‘কবুল’ করে একথা জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬-র নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০০-রও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই জারি হবে এই সংক্রান্ত নোটিস।