Breaking News
Election: বড় চমক! বরানগর উপনির্বাচনে এবার সজল বনাম অভিমানী সায়ন্তিকা, ভগবানগোলায় কে ?      Garden Reach: গার্ডেনরিচকাণ্ডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে পুরসভা ও আবাসিকের মধ্যে টানাপোড়েন      Garden Reach: ফের গার্ডেনরিচেই বেআইনি বহুতলের সন্ধান, শুরু বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙার কাজ      Sandeshkhali: পোস্টার-বিরোধিতা অতীত, রেখাকে জড়িয়ে উচ্ছ্বাস সন্দেশখালিতে      Sandeshkhali: "শক্তি স্বরূপা" সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন মোদীর      Holi: বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে বিভিন্ন জেলা, জানুন কোথায় কিভাবে উদযাপিত হল রঙের দিবস      Garden Reach: গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১২, এখনও আশঙ্কাজনক বহু      CBI: আরও অস্বস্তিতে মহুয়া মৈত্র! কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা      Delhi: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ      Garden Reach: জেগে উঠছে পুর প্রশাসন! পুরসভায় জমা একাধিক অভিযোগ     

SSC

CBI: এসপি সিনহার ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত নগদ ৫০ লক্ষ-গয়না

স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র (SSC Scam) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জেলবন্দি। এবার তাঁর (SP Sinha) কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ-গয়না বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। এই কেন্দ্রীয় সংস্থাই (CBI) এসপি সিনহাকে নিয়োগ-কাণ্ডের অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করেছিল। তারাই বুধবার প্রাক্তন এসএসসি কর্তার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা নগদ। দেড় কেজির সোনা এবং অন্তত ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা।

অভিযোগ, এদিন সিবিআই যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়, সেই ফ্ল্যাটের পরোক্ষে মালিকানা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। যদিও অন্য ব্যক্তির নামে সেই ফ্ল্যাট রেজিস্টার্ড। শিক্ষা দুর্নীতি-কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই এফআইআর-এ নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা-সহ অন্যদের। মূলত একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে এই সিবিআই তদন্ত।

one year ago
Group D: 'গ্রুপ-ডি-র ওয়েটিং লিস্ট গঙ্গার মতো স্বচ্ছ নয়', কী প্রসঙ্গে কোর্টের এই মন্তব্য

নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পর এবার গ্রুপ-ডি-র ওয়েটিং লিস্ট নিয়ে মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, 'গ্রুপ-ডি-র ওয়েটিং লিস্ট কিন্তু গঙ্গার মত স্বচ্ছ নয়। এটা মনে রাখতে হবে।' গ্রুপ-ডি-র নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এমন নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছেন বিচারপতি। 

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি ১৯১১ জন কর্মরত গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই ১৯১১ জনের শূন্যপদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে দায়ের হওয়া মামলাও এই মুহূর্তে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় বিচারপতি বসুর মঙ্গলবারের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি বসু। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বিশ্বজিৎ বসু বলেন, 'রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।' 

one year ago
Court: 'মেয়েদের স্কুলে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক পুলিস', হাওড়ার এসপি-কে হাইকোর্টের নির্দেশ

হাওড়ার মেয়েদের স্কুলে (Howrah Girls School) নেই নিরাপত্তারক্ষী। সিভিক পুলিসকে (Civic Police) নিরাপত্তারক্ষীর কাজে লাগাতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। জেলা পুলিস সুপারকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High School)। বোর্ডের উদ্দেশে মন্তব্য, 'আপনারা স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবুন। তাঁদের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে। এই অচলায়তন ভাঙতে গেলে সময় লাগবে। কিন্তু বোর্ড, আপনারা শুরু করুন। আমি তিন সপ্তাহ পর ফল পেতে চাই।'

হাওড়া আমতা রসপুর বালিকা বিদ্যালয়ে অঙ্কের শিক্ষিকা ২০১৬ থেকে নেই। স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য জায়গা নেই। খেলার মাঠ থাকলেও, সেটা ব্যবহার হয় সাইকেল রাখতে। এই স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা আট জন, ৫৪৮ জন ছাত্রী। পড়ুয়া-শিক্ষিকা এই অনুপাত দেখেও উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের মন্তব্য,'শিক্ষকদের বদলি পছন্দ না হলে পরে মামলা করুন। না গেলে পরের মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেব।' বিচারপতি জানান, 'রাজনৈতিক চাপের কথা ভুলে যান, রাজ্যের যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা অত্যন্ত কম তার অনুমোদন প্রত্যাহার করুন।' রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।

হাওড়ার রসপুর স্কুলের মামলার প্রেক্ষিতে দেখা গিয়েছে, একটি বিদ্যালয়ে ১৩ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক। অন্যদিকে অপর একটি স্কুলে প্রায় ৫৫০ জন পড়ুয়া আছে, কিন্তু বাংলার শিক্ষক নেই। ২০১৬ থেকে গণিতের শিক্ষক নেই। তারপরেই বিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দেন বিচারপতি বসু। উত্তরে শিক্ষা দফতরের আইনজীবী জানান, 'এটা করতে গেলে একটু সমস্যা আছে। স্থানীয়স্তরে সমস্যা হতে পারে, রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে।'

one year ago


Justice: নিয়োগ-কাণ্ডে নিরপরাধ না হওয়া পর্যন্ত ডক্টরেট ব্যবহার নয়, সুবীরেশকে কোর্টের নির্দেশ

গ্রুপ-ডি নিয়োগ (Group D) দুর্নীতি মামলায় সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে পার্টি করতে নির্দেশ হাইকোর্টের। এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে অবিলম্বে জানাতে হবে কার বা কাদের নির্দেশে তিনি এই দুর্নীতি (Corruption) করেছেন। যদি না জানান, তাহলে তিনিই দোষী বলে ধরা হবে। তিনি তাঁর ডিগ্রি আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন না, যত দিন না সিবিআইয়ের আনা অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়। তিনি যদি আদালতের নির্দেশে এসে জানান কারা কারা যুক্ত ছিল, তাহলে প্রয়োজনে পরিবারকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। শুক্রবার পর্যবেক্ষণে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly)।

জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে কঠোর ‘সাজা’র কথা শোনালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। যত দিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ‘ডক্টরেট’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ।

শুক্রবার এসএসসি কোর্টকে জানিয়েছে, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এই দুর্নীতির আমলে কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। কমিশনের ডাটা রুম তিনি ব্যবহার করতে না দিলে এই কাজ সম্ভব ছিল না।

one year ago
Group D: ওএমআর শিট কারচুপি, কোর্ট নির্দেশে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল

সম্ভাবনাকে সত্যি করেই ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Group D) সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Ganguly) বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ধরেই এই পদক্ষেপ এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। জানা গিয়েছে, ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির জেরে ২৮২০ জন গ্রুপ ডি পদে চাকরির সুপারিশ পত্র পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে চাকরি হারানো এই ১৯১১ জন চাকরিতে যোগ দেন, বাকিরা যোগ দেননি।

এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এই ১৯১১ জন প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিলের কথা। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁদের চাকরি বাতিল হবে, সেই শূন্যপদে মেরিট লিস্টে ওয়েটিংয়ে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। তাঁদের বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করবে এসএসসি। জানা গিয়েছে, যে ১৯১১ জনের নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা হয়েছে, তাঁরা আজ থেকে কোনও বেতন পাবেন না। পাশাপাশি এযাবৎকাল পাওয়া বেতন কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে, এই নির্দেশ এদিন দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই ১৯১১ জনকে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, নিতে পারবে হেফাজতেও। কোর্ট অর্ডার ছাড়া দেশের কোনও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেবেন না এই 'অযোগ্য' চাকরিপ্রার্থীরা। এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামি ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি, স্কুল সার্ভিস কমিশন-মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানাবে তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।

one year ago


SSC: দুর্নীতির কথা কার্যত ‘কবুল’ কমিশনের, ৮০০-র বেশি স্কুল শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পথে

২০১৬ সালে এসএসসি-র (SSC Case) নবম-দশম শ্রেণির চাকুরিপ্রার্থীদের তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। সেই তালিকায় বহু চাকরিপ্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরে ব্যাপক ফারাক ধরা পড়েছে। এসএসসি সূত্রে খবর, কারও কারও নম্বরের ফারাক ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের (Caluctta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এসএসসিকে প্রশ্ন করেন, 'এঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন?' বৃহস্পতিবার সেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই জানানো হল এসএসসির তরফে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি (Corruption) যে হয়েছিল, ঠারেঠোরে তা-ও মেনে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৮০০-র বেশি স্কুলশিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পথে। দুর্নীতির কথা কার্যত ‘কবুল’ করে একথা জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬-র নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০০-রও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই জারি হবে এই সংক্রান্ত নোটিস।

one year ago
OMR:হাতে একদিন, গ্রুপ ডি পদে ২৫০০-র বেশি চাকরি বাতিলের নির্দেশ কোর্টের

গ্রুপ ডি OMR শিট বিকৃত মামলায় আড়াই হাজারের বেশি চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। গ্রুপ-ডি মামলায় (Group D Case) শুক্রবারের মধ্যে চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। ২৮২০ জন যারা কারচুপি  করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিল করতে হবে। এদের তালিকা আবার নতুন করে আপলোড করতে হবে, নোটিশ দিতে হবে। ৬৯৮৮ যারা মেরিট লিস্টে তাঁদের তালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। এদের মধ্যে কারও OMR শিট বিকৃত পাওয়া গেলে পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেখা যাক কার অদৃশ্য হাত আছে এসবের পিছনে। বৃহস্পতিবার শুনানিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কমিশন সব OMR পরীক্ষা করেছে, যেগুলি সিবিআই দিয়েছে। OMR শিটগুলি গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হয়। এসএসসিকে বিচারপতি বলেন, ' পরীক্ষা করে কারচুপি হয়েছে, যদি আপনি জেনেছেন তাহলে পদক্ষেপ নিতেই হবে। অনেক সময় দিয়েছি। এবার তাঁরা আসতে বাধ্য এই কোর্টে। কিছুদিন জেলে থাকার ব্যবস্থা করব।'

এদিন আরও একধাপ এগিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মত আমি উদার নই।'

one year ago
SSC: 'দোষী প্রমাণ হলে টাকা ফেরত এবং জেল', হাইকোর্টের বার্তা অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের

OMR Sheet বিকৃতির ফলে প্যানেলভুক্ত ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছেন না? তদন্তে গতি আনুন। বুধবার এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment) দুর্নীতি মামলায় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। তাঁর মন্তব্য,'স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র উচিৎ নিজে থেকে পদক্ষেপ করা।' এদিন এজলাসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্কুল সার্ভিস কমিশন আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী এসএসসি-র উদ্দেশে বলেন, 'সিবিআই হাতে হাড়িভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে এটা হয় না।' পাল্টা এসএসসি আইনজীবীর সওয়াল, 'সেই রসগোল্লার হাড়ি আরশোলায় ভর্তি।'

এই বিতণ্ডার মধ্যেই বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'আমাদের চিন্তা শুধু শিশুদের নিয়ে আর যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রতীক্ষায় বসে রয়েছে তাঁদের নিয়ে। ইতিমধ্যে ছয় বছর হয়ে গিয়েছে।' স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ শুরু করুক। অযোগ্যদের সরিয়ে দেওয়া হোক, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের নিযুক্ত করা হোক। তালিকা তৈরি হলেই আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সব কাজ একদিনের মধ্যেই করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কত তাড়াতাড়ি শূন্যপদগুলি পূরণ করা যায়। কারণ ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, স্ক্রুটিনি শুরু করুন। যারা অপেক্ষায়, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত রাখুন। ভুয়ো চাকুরিজীবীদের বরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নতুনদের নিয়োগ করুন।

গ্রুপ ডি মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এহেন মন্তব্য করেছেন বুধবার। তাঁর প্রশ্ন, 'যারা OMR Sheet বিকৃত করেছেন এবং যারা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দুজনেই কি সমানভাবে দায়ী নয়?' এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, 'যারা তদন্তে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের সঙ্গে কী করতে হয় আমরা জানি।'

সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। এঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবে। এই মন্তব্যও এদিন করেন বিচারপতি বসু।

এদিকে এই OMR শিট বিকৃতি প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'যাদের OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬৯৮ জনকে সুপারিশ পত্র দিয়েছিল এসএসসি। ১৬৯৪ জন নিয়োগপত্র পেয়েছে।' এই তথ্য শুনেই বিচারপতি জানান, 'এই ১৬৯৮ জনকে নোটিশ জারি করা দরকার। এঁদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে। যারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি, তাঁরাও এই দুর্নীতিতে সমানভাবে দায়ী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিযুক্ত সবাইকে চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছিলেন।' জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি।

one year ago


Court: 'সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা দিন', নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য হাইকোর্টের

নবম দশমে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআইয়ের উপর তীব্র অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। এবার এই তদন্তকারী সংস্থার (CBI) কাজের ধরনে বিরক্ত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। মঙ্গলবার সকালে একটি রিপোর্ট, সিল বন্ধ খামে জমা দেয় সিবিআই। সেটার সঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর রিপোর্টের কোন মিল নেই। বিরক্ত হাইকোর্টের (Calcutta high Court) বিচারপতি বলেন, "দেশের একটা প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এমন ভুল কাম্য নয়। সিবিআইয়ের ফাইল করা রিপোর্টে যা আছে তার চাইতে আইনজীবীর ফাইলে আরও বেশি তথ্য আছে। এটা কীভাবে হয়? এটা কি আপনার রেপুটেশনের সঙ্গে মিল খায়? আপনার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। সব পেপার তিনবার চেক করে পাঠানো উচিৎ। এত দেরি হচ্ছে কেন। সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।'

একইভাবে এদিন শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় সরব বিচারপতি বসু। "সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনাকে কেউ ঠকিয়ে চলে গেল। চুপ করে বসে থাকবেন? এত ভয় কেন? যা হয়েছে মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? আপনার চেয়ারম্যানকে বলুন। এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করুন।'  বৃহস্পতিবার সিবিআইকে ফের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সিবিআই গোপন রিপোর্ট দিতে গিয়ে ভুল রিপোর্ট দিয়ছে। যা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছে কোর্ট। সিবিআইকে বিচারপতির কটাক্ষ, 'কেন তদন্তে এত দেরি করছে সিবিআই। জানি না সিবিআই কেন এতো ধীর গতিতে চলছে!'

one year ago
CBI: কাকে ঘুষ দিয়ে চাকরি, বেআইনি নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের থেকে সিবিআই জানুক: কোর্ট

বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জেরা করুক সিবিআই (CBI Investigation)। কাকে টাকা দিয়ে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন, জানুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিত বসুর (Justice Basu)। তিনি বলেন, 'এটা ইয়ার্কি হচ্ছে! পড়ুয়াদের কথা না ভেবে এভাবে চাকরি পাচ্ছে, আবার এসব কথা বলছে। টাকা কাদের দিয়ে চাকরি পেয়েছে, এটা জানতেই হবে সিবিআইকে।'

এদিকে এসএসসিকে হাইকোর্টের প্রশ্ন, 'যদি এই কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি। কারণ কর্মী না থাকলে স্কুল চালানো সমস্যা হবে।  কেন এসএসসি এদের সরাতে নিজে পদক্ষেপ করছে না?'

এমনকি ৪৪৮৭ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ও ওয়েটিং লিষ্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। ওই ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। যেগুলি সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছে, সেই ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও ওমআর শিটগুলো আপলোডের নির্দেশ দিলেও সেটা এখনও কার্যকর করেনি এসএসসি। সেই নিয়ে এবার দ্বিতীয় নির্দেশ।

one year ago


SSC: 'আমরা উচ্চশিক্ষিত, চোর নয়', করুণাময়ীর বিক্ষোভে পুলিসি ধরপাকড়, সরব চাকরিপ্রার্থীরা

নিয়োগের দাবিতে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের (Upper Primary) বিক্ষোভে ধুন্ধুমার সল্টলেক করুণাময়ী (Karunamoyee) এলাকা। ২০১৪ সালের আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা উত্তীর্ন হয়েও ইন্টারভিউয়ে ডাক পায়নি। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত, কোনও নিয়োগ নেই। এই অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এসএসসি ভবন (SSC Bhawan) অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ চাকরিপ্রার্থী। ঘোষিত এই কর্মসূচি নিরস্ত্র করতে করুণাময়ী (Saltlake) চত্বরে পুলিসি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতোন। সেক্টর ফাইভ থেকে তাঁরা মিছিল করে আচার্য ভবনের সামনে আসতেই তাঁদের আটকায় পুলিসের ব্যারিকেড। 

সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিস কার্যত বলপূর্বক তোলার চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার কাণ্ড করুণাময়ী এলাকায়। যদিও পুলিসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, যে এলাকায় তাঁরা অবস্থান করছেন, সেটা ১৪৪ ধারা কার্যকর। কিন্তু সেই ঘোষণায় কর্ণপাত করেননি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এতেই শুরু হয় ধরপাকড়। আন্দোলনকারীদের টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হয় এলাকা।


এমনকি অবস্থানে থাকা অনেক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিসের তরফে মাইকিং করে সহযোগিতার আবেদন করা হয়। এদিকে, মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় কিছু চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে পুলিস। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না পেয়ে তাঁরা এই অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কাতর আর্তি, 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও পুলিস টেনে-হিঁচরে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে। আমরা উচ্চশিক্ষিত, বিএড করা। সাদা খাতাও জমা দিইনি। আমরা কী চোর, দেখুন পুলিস কী ব্যবহার করছে।'

one year ago
Partha: 'জামিন না পেলে এবার ধর্নায় বসতে হবে', পার্থর আইনজীবীর গলায় জলি এলএলবি-র প্রসঙ্গ

ফের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody) নিয়োগ-কাণ্ডে (SSC Case) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। পার্থ-সহ ৬ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেন। সওয়ালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তরফে আইনজীবীর প্রশ্ন, 'আমার মক্কেল এক টাকাও নেয়নি। কোনও টাকা আমার মক্কেলের থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় অর্থ তছরুপ, কে আমার মক্কেলকে টাকা দিয়েছে?'

তিনি জানান, 'অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে। আমার মক্কেলের কী ভূমিকা এখানে? কেস ডায়রিতে সিক্রেট তথ্য আছে উল্লেখ করে সিবিআই জেলবন্দি করে রাখছে। আইনের কথা বলছে না। এবার তো জামিন পেতে জলি LLB সিনেমার মতো ধর্নায় বসা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।' পার্থর আইনজীবীর যুক্তি, 'আমার মক্কেল তো জেল থেকে বেড়িয়ে শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবে না।' এই সওয়ালের পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন।

এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রুপ সি মামলায় মিডলম্যান হিসেবে ধৃত প্রদীপ সিং এবং প্রসন্ন রায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদনের শুনানি আগামি ২৪ জানুয়ারি ধার্য হয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন।

one year ago
APA: 'শরীর ঠিক নেই, জেলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই', বিচারককে নালিশ পার্থ-অর্পিতার

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) ইডির হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (APA) ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody)। শনিবার রাজ্য রাজনীতির চর্চিত চরিত্র এই 'অপা'কে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়েছিল। দু'জনের কেউই জামিনের আবেদন করেননি। তবে বিচারকের কাছে পার্থর (Partha Chatterjee) আবেদন, 'আমার স্বাস্থ্যর অবস্থা ঠিক নেই। জেলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত মেডিসিন ব্যবস্থা দরকার। শরীর ঠিক নেই, আপনি যদি বিষয়টা দেখেন।

একইভাবে অর্পিতা ভার্চুয়াল জানালেন, 'আমার শরীরে খুব খারাপ। চেকআপের দরকার। পর্যাপ্ত ওষুধ চেকের ব্যবস্থা নেই। যেখানে আছি সেখানে ব্যবস্থা নেই। কষ্ট হচ্ছে, যদি একটু ব্যবস্থা করেন।' শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের করলেন না জামিনের আবেদন। দু'জনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও সচেতন হতে নির্দেশ বিচারকের।

one year ago


SSC: 'বেআইনি নিয়োগে টাকা, না ভালবাসা?', কল্যাণময়ের জামিন মামলায় জানতে চায় হাইকোর্ট

হাইকোর্টে পত্রপাঠ খারিজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন (Bail Plea)। বুধবার জামিন মামলার শুনানিতে আদালত সাফ জানিয়েছে, যেহেতু আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kalyanmay Ganguly) জামিন আবেদনের মামলা আপাতত চালানো সম্ভব নয়। আবেদনকারী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বক্তব্য জানাবেন।

ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড প্রায় ৪ মাস জেলবন্দি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। এই মামলার তদন্তে চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিন জামিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের বক্তব্য, 'গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্যানেল বাতিলের পর শান্তিপ্রসাদ সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র তৈরি করেন। সেগুলো দেওয়া হয় কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে। তিনি রাজেশ লায়েককে দিয়ে বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি করান।'

এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত। বিচারপতি বলেন,'আমরা স্পষ্ট জানতে চাই কি ভাবে অপরাধ হয়েছে আর সেখানে ধৃতের ভূমিকা কি? এটা শুধু প্যানেল বাতিলের পর সেখান থেকে নিয়োগ নয়। এখানে টাকার খেলা আছে? না কি ভালোবাসার সম্পর্কে নিয়োগ?' জবাবে সিবিআই জানায়, 'পিছনে টাকার যোগ আছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।'

এই শুনানিতে আদালতের মন্তব্য, 'আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। সেই তদন্ত এত না এগোনো পর্যন্ত জামিনের আবেদন সাড়া দেওয়া যাবে না।' যদিও বুধবার কোনও লিখিত নির্দেশ হয়নি। আবেদনকারী মামলা আপাতত প্রত্যাহার করবে কিনা, সেই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাবেন কল্যাণময়বাবুর আইনজীবী। তাই ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যন্ত মুলতুবি মামলা।

one year ago
Babita: অঙ্কিতার চাকরি দাবিদার কে? এবার ববিতার বিরুদ্ধে নম্বর বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ

আইনি লড়াই (SSC case) শেষে পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikary) হটিয়ে সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও ফের একবার সংবাদ শিরোনামে ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। প্রশ্ন উঠছে ববিতা সরকারের আবেদনের বৈধতা নিয়ে। অভিযোগ, তাঁর নাকি দুই নম্বর নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যদিও ববিতার সাফাই, 'আমাদের নম্বর এসএসসি প্রকাশ করেনি। আমি র‍্যাঙ্ক জানতাম। ওয়েটিং লিস্টের র‍্যাঙ্ক জানতাম। সেই র‍্যাঙ্ক বদল নিয়ে আমি আইনি লড়াই চালিয়েছি। কোনও সদুত্তর না পেয়ে আইনি পথে লড়াই চালাই।'

তাঁর দাবি, 'তিনি আবেদনের সময় সঠিক তথ্যই পেশ করেছিলেন। তাঁর তরফে কোনও ভুল নেই। সেক্ষেত্রে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি। আদালতের যা নির্দেশ হবে তা শিরোধার্য। কিন্তু অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।' চাকরি চলে গেলেও তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। এমনটাই জানিয়েছেন ববিতা সরকার।

এদিকে ববিতা সরকারের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই আরও এক চাকরিপ্রার্থী নিজেকে ওই পদের দাবিদার হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছেন। তাঁর নাম অনামিকা রায়। শহর শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুধমোড় এলাকার বাসিন্দা অনামিকা। তাঁর কথায়, 'দু'নম্বর কমে যাওয়া মানে মেরিট লিস্টের অনেক পিছনে চলে যাওয়া। তাতে এই পদের পরবর্তী দাবিদার আমি। কীভাবে এই ভুল হয়েছে বা ভুল এড়িয়ে গিয়েছে জানি না। যখন বিষয়টি সামনে এসেছে, তখন আমার প্রাপ্য চাকরিটা আমাকে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আইনি পথে যাবো।' জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কলেজ অফ এডুকেশন থেকে বিএড করেন অনামিকা। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি।

অপরদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, চাকরি দেওয়ার সময় এলিজিবিলিটি মিলিয়ে নেওয়া হয়। ইন্টারভিউ ও তার আগে ভেরিফিকেশন হয় ২ বার। এখন আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ করবো না। আদালতে মামলা হলে দেখা হবে। যখন উনি চাকরি পান তখন সার্ভার রুম বন্ধ ছিল। তখন মেলানোর উপায় ছিল না। এখন আদালত নির্দেশ দিলে দেখবে এসএসসি। ববিতা তথ্য আপলোড ঠিক করে থাকলে যদি এসএসসির তরফ থেকে ভুল হয় সেটাও দেখতে হবে। তথ্য আদালত তলব করলে এসএসসি দেবে তখন।

one year ago