
গ্রুপ ডি OMR শিট বিকৃত মামলায় আড়াই হাজারের বেশি চাকরি বাতিলের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। গ্রুপ-ডি মামলায় (Group D Case) শুক্রবারের মধ্যে চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। ২৮২০ জন যারা কারচুপি করেছে, তাঁদের প্রত্যেকের চাকরি বাতিল করতে হবে। এদের তালিকা আবার নতুন করে আপলোড করতে হবে, নোটিশ দিতে হবে। ৬৯৮৮ যারা মেরিট লিস্টে তাঁদের তালিকা থেকে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। এদের মধ্যে কারও OMR শিট বিকৃত পাওয়া গেলে পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেখা যাক কার অদৃশ্য হাত আছে এসবের পিছনে। বৃহস্পতিবার শুনানিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কমিশন সব OMR পরীক্ষা করেছে, যেগুলি সিবিআই দিয়েছে। OMR শিটগুলি গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হয়। এসএসসিকে বিচারপতি বলেন, ' পরীক্ষা করে কারচুপি হয়েছে, যদি আপনি জেনেছেন তাহলে পদক্ষেপ নিতেই হবে। অনেক সময় দিয়েছি। এবার তাঁরা আসতে বাধ্য এই কোর্টে। কিছুদিন জেলে থাকার ব্যবস্থা করব।'
এদিন আরও একধাপ এগিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মত আমি উদার নই।'
OMR Sheet বিকৃতির ফলে প্যানেলভুক্ত ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছেন না? তদন্তে গতি আনুন। বুধবার এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment) দুর্নীতি মামলায় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। তাঁর মন্তব্য,'স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র উচিৎ নিজে থেকে পদক্ষেপ করা।' এদিন এজলাসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্কুল সার্ভিস কমিশন আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী এসএসসি-র উদ্দেশে বলেন, 'সিবিআই হাতে হাড়িভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে এটা হয় না।' পাল্টা এসএসসি আইনজীবীর সওয়াল, 'সেই রসগোল্লার হাড়ি আরশোলায় ভর্তি।'
এই বিতণ্ডার মধ্যেই বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'আমাদের চিন্তা শুধু শিশুদের নিয়ে আর যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রতীক্ষায় বসে রয়েছে তাঁদের নিয়ে। ইতিমধ্যে ছয় বছর হয়ে গিয়েছে।' স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ শুরু করুক। অযোগ্যদের সরিয়ে দেওয়া হোক, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের নিযুক্ত করা হোক। তালিকা তৈরি হলেই আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সব কাজ একদিনের মধ্যেই করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কত তাড়াতাড়ি শূন্যপদগুলি পূরণ করা যায়। কারণ ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, স্ক্রুটিনি শুরু করুন। যারা অপেক্ষায়, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত রাখুন। ভুয়ো চাকুরিজীবীদের বরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নতুনদের নিয়োগ করুন।
গ্রুপ ডি মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এহেন মন্তব্য করেছেন বুধবার। তাঁর প্রশ্ন, 'যারা OMR Sheet বিকৃত করেছেন এবং যারা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দুজনেই কি সমানভাবে দায়ী নয়?' এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, 'যারা তদন্তে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের সঙ্গে কী করতে হয় আমরা জানি।'
সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। এঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবে। এই মন্তব্যও এদিন করেন বিচারপতি বসু।
এদিকে এই OMR শিট বিকৃতি প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'যাদের OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬৯৮ জনকে সুপারিশ পত্র দিয়েছিল এসএসসি। ১৬৯৪ জন নিয়োগপত্র পেয়েছে।' এই তথ্য শুনেই বিচারপতি জানান, 'এই ১৬৯৮ জনকে নোটিশ জারি করা দরকার। এঁদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে। যারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি, তাঁরাও এই দুর্নীতিতে সমানভাবে দায়ী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিযুক্ত সবাইকে চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছিলেন।' জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি।
নবম দশমে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআইয়ের উপর তীব্র অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। এবার এই তদন্তকারী সংস্থার (CBI) কাজের ধরনে বিরক্ত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। মঙ্গলবার সকালে একটি রিপোর্ট, সিল বন্ধ খামে জমা দেয় সিবিআই। সেটার সঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবীর রিপোর্টের কোন মিল নেই। বিরক্ত হাইকোর্টের (Calcutta high Court) বিচারপতি বলেন, "দেশের একটা প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এমন ভুল কাম্য নয়। সিবিআইয়ের ফাইল করা রিপোর্টে যা আছে তার চাইতে আইনজীবীর ফাইলে আরও বেশি তথ্য আছে। এটা কীভাবে হয়? এটা কি আপনার রেপুটেশনের সঙ্গে মিল খায়? আপনার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। সব পেপার তিনবার চেক করে পাঠানো উচিৎ। এত দেরি হচ্ছে কেন। সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।'
একইভাবে এদিন শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় সরব বিচারপতি বসু। "সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনাকে কেউ ঠকিয়ে চলে গেল। চুপ করে বসে থাকবেন? এত ভয় কেন? যা হয়েছে মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? আপনার চেয়ারম্যানকে বলুন। এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করুন।' বৃহস্পতিবার সিবিআইকে ফের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সিবিআই গোপন রিপোর্ট দিতে গিয়ে ভুল রিপোর্ট দিয়ছে। যা নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছে কোর্ট। সিবিআইকে বিচারপতির কটাক্ষ, 'কেন তদন্তে এত দেরি করছে সিবিআই। জানি না সিবিআই কেন এতো ধীর গতিতে চলছে!'
বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জেরা করুক সিবিআই (CBI Investigation)। কাকে টাকা দিয়ে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন, জানুক কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিত বসুর (Justice Basu)। তিনি বলেন, 'এটা ইয়ার্কি হচ্ছে! পড়ুয়াদের কথা না ভেবে এভাবে চাকরি পাচ্ছে, আবার এসব কথা বলছে। টাকা কাদের দিয়ে চাকরি পেয়েছে, এটা জানতেই হবে সিবিআইকে।'
এদিকে এসএসসিকে হাইকোর্টের প্রশ্ন, 'যদি এই কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি। কারণ কর্মী না থাকলে স্কুল চালানো সমস্যা হবে। কেন এসএসসি এদের সরাতে নিজে পদক্ষেপ করছে না?'
এমনকি ৪৪৮৭ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ও ওয়েটিং লিষ্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। ওই ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। যেগুলি সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছে, সেই ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও ওমআর শিটগুলো আপলোডের নির্দেশ দিলেও সেটা এখনও কার্যকর করেনি এসএসসি। সেই নিয়ে এবার দ্বিতীয় নির্দেশ।
নিয়োগের দাবিতে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের (Upper Primary) বিক্ষোভে ধুন্ধুমার সল্টলেক করুণাময়ী (Karunamoyee) এলাকা। ২০১৪ সালের আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা উত্তীর্ন হয়েও ইন্টারভিউয়ে ডাক পায়নি। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত, কোনও নিয়োগ নেই। এই অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এসএসসি ভবন (SSC Bhawan) অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন প্রায় ৫০০ চাকরিপ্রার্থী। ঘোষিত এই কর্মসূচি নিরস্ত্র করতে করুণাময়ী (Saltlake) চত্বরে পুলিসি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতোন। সেক্টর ফাইভ থেকে তাঁরা মিছিল করে আচার্য ভবনের সামনে আসতেই তাঁদের আটকায় পুলিসের ব্যারিকেড।
সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিস কার্যত বলপূর্বক তোলার চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার কাণ্ড করুণাময়ী এলাকায়। যদিও পুলিসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, যে এলাকায় তাঁরা অবস্থান করছেন, সেটা ১৪৪ ধারা কার্যকর। কিন্তু সেই ঘোষণায় কর্ণপাত করেননি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। এতেই শুরু হয় ধরপাকড়। আন্দোলনকারীদের টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিস। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হয় এলাকা।
এমনকি অবস্থানে থাকা অনেক চাকরিপ্রার্থীকে পুলিসের তরফে মাইকিং করে সহযোগিতার আবেদন করা হয়। এদিকে, মেট্রো স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় কিছু চাকরিপ্রার্থীকে আটক করে পুলিস। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না পেয়ে তাঁরা এই অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের কাতর আর্তি, 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও পুলিস টেনে-হিঁচরে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে। আমরা উচ্চশিক্ষিত, বিএড করা। সাদা খাতাও জমা দিইনি। আমরা কী চোর, দেখুন পুলিস কী ব্যবহার করছে।'
ফের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody) নিয়োগ-কাণ্ডে (SSC Case) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। পার্থ-সহ ৬ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করেন। সওয়ালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তরফে আইনজীবীর প্রশ্ন, 'আমার মক্কেল এক টাকাও নেয়নি। কোনও টাকা আমার মক্কেলের থেকে উদ্ধার হয়নি। কোথায় অর্থ তছরুপ, কে আমার মক্কেলকে টাকা দিয়েছে?'
তিনি জানান, 'অযোগ্য প্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে। আমার মক্কেলের কী ভূমিকা এখানে? কেস ডায়রিতে সিক্রেট তথ্য আছে উল্লেখ করে সিবিআই জেলবন্দি করে রাখছে। আইনের কথা বলছে না। এবার তো জামিন পেতে জলি LLB সিনেমার মতো ধর্নায় বসা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।' পার্থর আইনজীবীর যুক্তি, 'আমার মক্কেল তো জেল থেকে বেড়িয়ে শিক্ষা দফতরে চলে যেতে পারবে না।' এই সওয়ালের পরেই বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রুপ সি মামলায় মিডলম্যান হিসেবে ধৃত প্রদীপ সিং এবং প্রসন্ন রায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে আবেদন করেছে সিবিআই। সেই আবেদনের শুনানি আগামি ২৪ জানুয়ারি ধার্য হয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) ইডির হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (APA) ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody)। শনিবার রাজ্য রাজনীতির চর্চিত চরিত্র এই 'অপা'কে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়েছিল। দু'জনের কেউই জামিনের আবেদন করেননি। তবে বিচারকের কাছে পার্থর (Partha Chatterjee) আবেদন, 'আমার স্বাস্থ্যর অবস্থা ঠিক নেই। জেলে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত মেডিসিন ব্যবস্থা দরকার। শরীর ঠিক নেই, আপনি যদি বিষয়টা দেখেন।
একইভাবে অর্পিতা ভার্চুয়াল জানালেন, 'আমার শরীরে খুব খারাপ। চেকআপের দরকার। পর্যাপ্ত ওষুধ চেকের ব্যবস্থা নেই। যেখানে আছি সেখানে ব্যবস্থা নেই। কষ্ট হচ্ছে, যদি একটু ব্যবস্থা করেন।' শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের করলেন না জামিনের আবেদন। দু'জনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও সচেতন হতে নির্দেশ বিচারকের।
হাইকোর্টে পত্রপাঠ খারিজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিন (Bail Plea)। বুধবার জামিন মামলার শুনানিতে আদালত সাফ জানিয়েছে, যেহেতু আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kalyanmay Ganguly) জামিন আবেদনের মামলা আপাতত চালানো সম্ভব নয়। আবেদনকারী চাইলে মামলা প্রত্যাহার করতে পারেন। একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বক্তব্য জানাবেন।
ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ড প্রায় ৪ মাস জেলবন্দি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। এই মামলার তদন্তে চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এদিন জামিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের বক্তব্য, 'গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্যানেল বাতিলের পর শান্তিপ্রসাদ সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র তৈরি করেন। সেগুলো দেওয়া হয় কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে। তিনি রাজেশ লায়েককে দিয়ে বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি করান।'
এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিরক্ত আদালত। বিচারপতি বলেন,'আমরা স্পষ্ট জানতে চাই কি ভাবে অপরাধ হয়েছে আর সেখানে ধৃতের ভূমিকা কি? এটা শুধু প্যানেল বাতিলের পর সেখান থেকে নিয়োগ নয়। এখানে টাকার খেলা আছে? না কি ভালোবাসার সম্পর্কে নিয়োগ?' জবাবে সিবিআই জানায়, 'পিছনে টাকার যোগ আছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।'
এই শুনানিতে আদালতের মন্তব্য, 'আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। সেই তদন্ত এত না এগোনো পর্যন্ত জামিনের আবেদন সাড়া দেওয়া যাবে না।' যদিও বুধবার কোনও লিখিত নির্দেশ হয়নি। আবেদনকারী মামলা আপাতত প্রত্যাহার করবে কিনা, সেই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানাবেন কল্যাণময়বাবুর আইনজীবী। তাই ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যন্ত মুলতুবি মামলা।
আইনি লড়াই (SSC case) শেষে পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikary) হটিয়ে সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। শুরুতে সব ঠিকঠাক থাকলেও ফের একবার সংবাদ শিরোনামে ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। প্রশ্ন উঠছে ববিতা সরকারের আবেদনের বৈধতা নিয়ে। অভিযোগ, তাঁর নাকি দুই নম্বর নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যদিও ববিতার সাফাই, 'আমাদের নম্বর এসএসসি প্রকাশ করেনি। আমি র্যাঙ্ক জানতাম। ওয়েটিং লিস্টের র্যাঙ্ক জানতাম। সেই র্যাঙ্ক বদল নিয়ে আমি আইনি লড়াই চালিয়েছি। কোনও সদুত্তর না পেয়ে আইনি পথে লড়াই চালাই।'
তাঁর দাবি, 'তিনি আবেদনের সময় সঠিক তথ্যই পেশ করেছিলেন। তাঁর তরফে কোনও ভুল নেই। সেক্ষেত্রে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি। আদালতের যা নির্দেশ হবে তা শিরোধার্য। কিন্তু অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।' চাকরি চলে গেলেও তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন। এমনটাই জানিয়েছেন ববিতা সরকার।
এদিকে ববিতা সরকারের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই আরও এক চাকরিপ্রার্থী নিজেকে ওই পদের দাবিদার হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছেন। তাঁর নাম অনামিকা রায়। শহর শিলিগুড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুধমোড় এলাকার বাসিন্দা অনামিকা। তাঁর কথায়, 'দু'নম্বর কমে যাওয়া মানে মেরিট লিস্টের অনেক পিছনে চলে যাওয়া। তাতে এই পদের পরবর্তী দাবিদার আমি। কীভাবে এই ভুল হয়েছে বা ভুল এড়িয়ে গিয়েছে জানি না। যখন বিষয়টি সামনে এসেছে, তখন আমার প্রাপ্য চাকরিটা আমাকে দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আইনি পথে যাবো।' জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ কলেজ অফ এডুকেশন থেকে বিএড করেন অনামিকা। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
অপরদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, চাকরি দেওয়ার সময় এলিজিবিলিটি মিলিয়ে নেওয়া হয়। ইন্টারভিউ ও তার আগে ভেরিফিকেশন হয় ২ বার। এখন আমরা নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ করবো না। আদালতে মামলা হলে দেখা হবে। যখন উনি চাকরি পান তখন সার্ভার রুম বন্ধ ছিল। তখন মেলানোর উপায় ছিল না। এখন আদালত নির্দেশ দিলে দেখবে এসএসসি। ববিতা তথ্য আপলোড ঠিক করে থাকলে যদি এসএসসির তরফ থেকে ভুল হয় সেটাও দেখতে হবে। তথ্য আদালত তলব করলে এসএসসি দেবে তখন।
গ্রুপ সি মামলায় (Group C Case) তদন্তের স্বার্থে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ২২ তারিখ ফের তাঁকে তুলতে হবে আলিপুর আদালতে। শনিবার এই মর্মে নির্দেশ দেন আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন শুনানিতে আদালতকে সিবিআই জানায়, 'এই মামলায় চার্জশিট পেশ হয়েছে। কিন্তু তদন্ত যে গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে এসেছে, তার থেকে এই মামলায় সুবীরেশের (Subiresh Bhattacharya) যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সব নথি সামনে রেখে তাঁকে জেরার প্রয়োজন রয়েছে।'
যদিও সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আইনজীবী। তিনি জানান, 'আমার মক্কেলকে আবার জেরার কথা বলছে সিবিআই। আমার মক্কেল কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর শুনানি। তার মধ্যে আবার সিবিআই হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে হাইকোর্টে। আমার মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করছে, তারপরেও কেন আবার হেফাজতে চায় সিবিআই?'
এদিকে, সুবীরেশের হাজিরা নিয়ে সম্প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজিরার জন্য ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক। সেই বিচারকের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সিবিআই অবশ্য উচ্চ আদালতকে জানিয়েছে, শনিবার এসএসসি-র প্রাক্তন কর্তাকে আদালতে হাজির করানো হবে। সেই মোতাবেক এদিন প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাকে আলিপুর বিশেষ আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সুবীরেশের হেফাজত পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya) জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন (Bail Plea)। এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামি ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তলব হাইকোর্টের। এদিন জামিন মামলার শুনানিতে এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, '৮৮ দিন হয়ে গিয়েছে আমার মক্কেল জেলে। এখন তদন্তও শেষ। তদন্ত চলাকালীন জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে আমার মক্কেল, তাঁর অবগতির মধ্যে থাকা সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। অর্থাৎ তদন্তে সাহায্য করছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য।'
এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যানের তরফে তাঁর আইনজীবীর দাবি, 'শারীরিকভাবে অসুস্থ তাঁর মক্কেল এবং দীর্ঘদিন জেলে থাকায় তাঁর সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষয় হচ্ছে। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্য আদালতের কাছে জামিন চেয়ে আবেদন করছেন। যেহেতু চার্জশিট দাখিল হয়েছে আর তদন্তের প্রয়োজন নেই। আর তদন্তের প্রয়োজন হলেও, জামিনের পর কোনও অসুবিধার হওয়ার কথা নয়। তাই আমার মক্কেলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করুক মহামান্য আদালত।'
তবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা জানায়, 'কোনওভাবেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জামিন দেওয়া যাবে না। কারণ এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। তাঁর কাছে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, সেই তথ্য সূত্র ধরে এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডের মূল কাঠামোর কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।' সিবিআইয়ের যুক্তি, 'এই মুহূর্তে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জামিন দিলে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা আছে।' এরপরেই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২০ ডিসেম্বর অবধি এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি কী, ২১ ডিসেম্বর রিপোর্ট দাখিল করে জানাবে সিবিআই। এরপরেই সুবীরেশ ভট্টাচার্যর জামিন ভাগ্য স্থির হবে আদালতে, এমনটাই সূত্রের খবর।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী? সোমবার কোর্টে সিবিআইয়ের (CBI) উদ্দেশে প্রশ্ন করেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC SCam) জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী জানান, 'সিবিআই শুধু দুটি কথা জানে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আর প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই দুটো তথ্যের বাইরে নতুন কিছু কোর্টকে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা কী, কীভাবে কার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন আমার মক্কেল, সেটা জানাক সিবিআই।' দাবি করা আর কেস ডায়রিতে দুটো কথা লিখে একজনকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই (Jail Custody) থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন জামিন মামলার শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর সওয়াল, 'দিনের পর দিন একই কথা সিবিআই বলে চলেছে। শুধু হেফাজতে রাখতে হবে, তাই ওরা হেফাজত চাইছে। পার্থবাবুও প্রশ্ন করেন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে আমার অবস্থান কোথায়? প্রতিদিন একই কথা শুনছি। আমি তো জেলে আছি।' এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
মন্ত্রীর আইনজীবীর দাবি, 'এদিন সিবিআইয়ের কাছে মাননীয় বিচারক প্রশ্ন করেছেন, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার কেন করছেন না? বৃত্তটা কীভাবে সম্পূর্ণ করবেন? যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা।' জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
পাঁচ বছর পর, ১১ ডিসেম্বর রবিবার টেট (TET 2022) পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। বহু প্রতীক্ষিত এই পরীক্ষার জন্য সাজোসাজো রব ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Board) কন্ট্রোল রুমে। ব্যাপক কড়াকড়ির আশ্রয় নিয়েছিল পর্ষদ। এমনকি, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের কাজে খুশি শিক্ষা দফতর। এবার তাই প্রাথমিকের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC)। এসএসসি-র নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে খালি ওএমআর শিট দিয়ে চাকরি পাওয়ার তথ্যও জমা পড়েছে। সেই অভিযোগ যাতে আর না উঠে আসে, তাই প্রাথমিকের পথেই হাঁটবে এসএসসি। আগামী এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় দেওয়া হবে ডুপ্লিকেট ওএমআর শিট।
এদিকে, রবিবার আয়োজিত পরীক্ষায় প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী বসেছিলেন। প্রশাসনিক তরফে ছিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং আয়োজন। ছুটির দিনেও রাস্তায় ছিল প্রচুর বাস, চলেছে অতিরিক্ত ট্রেন এবং খোলা ছিল ফেরি ঘাট। তবুও অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে তো পরীক্ষা শেষে চলেছে বিক্ষোভ। নেপথ্যে বায়োমেট্রিক বিকল থাকা।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, 'তাঁদের বায়মেট্রিক না হওয়ায়, পরীক্ষা দিয়েও হয়তো অনুপস্থিত হয়ে যাবেন।' এই ধরনের অভিযোগকে সঙ্গী করেই ১১ ডিসেম্বর 'সুষ্ঠুভাবে' সম্পন্ন রাজ্যের টেট। এমনটাই ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিন পুলিসের গাড়ি থেকে নেমে কোর্টে (Court) ঢোকার মুখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর হুমকি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, তৃণমূলের (TMC) কেউ কোনওদিন ক্ষতি করতে পারবে না।' সপাট এই মন্তব্য করেই আদালতে ঢুকে যান রাজ্যের শাসক দলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ড। জানা গিয়েছে, সোমবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ পার্থ-সহ মোট সাতজনকে নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Case) গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যানও।
এদিকে, সপ্তাহ দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি আদালতে দাবি করেছে 'বিভিন্ন প্রাইভেট ল’ কলেজ ও বি-ফার্ম কলেজ খোলার ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থের বিনিময়ে প্রদান করা হয়েছে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।'
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতার চায়না টাউনের বেজিং রেস্তোরাঁর চিনে খাবারের খ্যাতি সারা ভারতব্যাপী। বেজিং ভারতবর্ষের বিখ্যাত চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলির অন্যতম। বেজিংয়ের কর্ণধার কাম শেফ মণিকা লিউয়ের হাতের তৈরি চাইনিজ খাবারগুলি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। মণিকা লিউ পাঠকদের জন্য বেজিংয়ের বিখ্যাত দুটি পদের রেসিপি জানিয়েছেন।
চিলি গারলিক চিকেন তৈরির পদ্ধতি--- পাঁচশো গ্রাম বোনলেস চিকেন (লেগ ও ব্রেস্ট মিলিয়ে) খণ্ড-খণ্ড করে কেটে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। একটি পাত্রে চিকেনের খণ্ডগুলো রেখে ওর মধ্যে এক চা চামচ সোয়া সস, এক টেবিল চামচ অ্যারারুট, হাফ চা চামচ চিনি, আন্দাজমতো নুন, এক চা চামচ ময়দা ও একটা ডিমের গোলা দিয়ে হাতের সাহায্যে নেড়ে খুব ভাল করে মেশান। সব উপকরণের মিশ্রণটা চিকেনের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে মাখুন। মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো পনেরো মিনিট আলাদা করে রাখুন।
পনেরো মিনিট বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজুন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিয়ে আলাদা করুন। অন্য একটি কড়াতে দুই টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে দেড় টেবিল চামচ রসুন কিমা দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে ভাজুন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ কাচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাজুন।
এক চা চামচ সোয়া সস ও হাফ কাপ জল দিয়ে নেড়ে মেশান। হাফ চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে ভাল করে মেশান। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মিক্সড চাউমিন তৈরির পদ্ধতি--- দেড়শো গ্রাম চাউমিন সিদ্ধ করে জল ঝরিয়ে আলাদা করে রেখে ঠাণ্ডা করুন। কড়া আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে একটা ডিম ফাটিয়ে ওর মধ্যে দিয়ে ভেজে তুলে আলাদা করে রাখুন। ডিম ভেজে তুলে নেওয়ার পরে খোসা ও শিরা বাদ দেওয়া একশো গ্রাম চিংড়ি মাছ কড়াতে দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
ভাজা হয়ে গেলে একশো গ্রাম বোনলেস চিকেন কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে ওর মধ্যে এক মুঠো পিঁয়াজের স্লাইস দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এবার সরু লম্বা লম্বা করে কাটা এক মুঠো গাজর দিয়ে নেড়ে ভাজুন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার বড় বড় করে কাটা এক মুঠো রসুন গাছের পাতা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাজুন। এবার দেড়শো গ্রাম সিদ্ধ করা নুডলস দিয়ে ও এক চা চামচ সোয়া সস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হাফ চা চামচ চিনি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
সব শেষে ভেজে রাখা ডিমটা দিয়ে খুন্তির সাহায্যে কেটে খণ্ড-খণ্ড কাটেন। এবার নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামান। প্লেটে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।