এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য এলাকায় (Dead Body)। শনিবার সকালে ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত সাইদাপুর এলাকায়। এই ঘটনায় শ্বশুর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা সময় পর্যন্ত রঘুনাথগঞ্জ থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তপ্ত এলাকা। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম পূর্ণিমা সরকার (২৬)।
যদিও এই ঘটনায় ওই মৃতার মেয়ের অভিযোগের তীর বাবার বিরুদ্ধেই। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই তা স্বীকার করল মৃতার মেয়ে। মৃতার মেয়ের অভিযোগ, 'মাকে যখন মারে আমি তখন ওখানেই ছিলাম। মাকে বাবা,দাদু আর ঠাকুমা তিন জন মিলে মেরেছে।' এই ঘটনায় প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকেই ক্রমাগত অত্যাচার করা হত ওই গৃহবধূর উপরে। প্রায়ই ওই গৃহবধূর চিত্কার শুনতে পাওয়া যেত। এমনকি মাঝে মাঝে তাঁকে খেতেও দেওয়া হতো না বলে জানায় প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা দাবি করেন, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এত অত্যাচার করা সত্ত্বেও মুখ বন্ধ করে সবকিছু সহ্য করে যেত ওই গৃহবধূ। তাই এই ঘটনায় জড়িত থাকা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রতিবেশীরা।
ভরা গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে (Drowning) গেল তিন স্কুল ছাত্র। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার ধূলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গার ঘাটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। খবর দেওয়া হয়েছে ডুবুরির টিমকে। এই ঘটনায় ওই তিন জনের মধ্যে একজন ছাত্রকে উদ্ধার করা হলেও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যয়নি বাকি দুই ছাত্রকে। এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ধূলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামামুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, তলিয়ে যাওয়া ওই দুই ছাত্রর নাম রোহান শেখ (১২) এবং মোজাহিদ শেখ (১৩)। তাদের বাড়ি সামশেরগঞ্জের হিজলতলা গ্রামে। তারা দুজনেই কাঞ্চনতলা জেডিজে ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল খুললেও কাঞ্চনতলা স্কুলে পঞ্চায়েত ভোটে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে স্কুলটি। তবে ওই স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়টি আগে থেকে বুঝতে না পেরে তারা স্কুলে চলে যায়। তবে স্কুল বন্ধ দেখে তারা গঙ্গার ধারে খেলতে যায়। স্থানীয়দের দাবি, গঙ্গার ধারে ব্যাগ রেখে তারা নদীতে স্নান করতে নামে। তখনই কার্যত নদীর জলের স্রোতে তলিয়ে যায় তারা। তবে এই ঘটনা ঘটার সময় নদীতে এক মাঝি উপস্থিত থাকায় তৎপরতার সঙ্গে নাজিম শেখ নামের এক ছাত্রকে জীবিত অবস্থায় নদী থেকে উদ্ধার করেন। তলিয়ে যাওয়া আর দুজন ছাত্রকে উদ্ধার করতে পারেননি তিনি।
ভাগীরথী নদীতে তলিয়ে (Drowning) গেল ২ যুবক। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর (Baharampur) থানার অন্তর্গত সৈদাবাদের ঘাটবন্দর নিয়াল্লিশ পারা ফেরিঘাটে। বহরমপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় ডুবুরীদের নদীতে নামানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই দুই যুবকের কোনও খোঁজ খবর মেলেনি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওই এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, তালিয়ে যাওয়া ওই দুই যুবকের নাম প্রীতম সিংহ ও অনিন্দ মণ্ডল।
সূত্রের খবর, সোমবার ভোর সাড়ে ৩ টা নাগাদ পাঁচ বন্ধু মিলে ব্যাসপুর মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালবে বলে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে যায়। তবে তাঁদের মধ্যে একজন সাঁতার না জানার জন্য হঠাৎ তলিয়ে যায়। তবে বাকি বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে। তার কিছুক্ষণ পরেই অন্য দুই যুবক নদীতে তলিয়ে যায়। তড়িঘড়ি বাকি বন্ধুরা তাঁদের খোঁজাখুঁজি শুরু করলেও তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না।
লরির ধাক্কায় মৃত্যু (Death) হল এক মহিলার। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক যুবক। শনিবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের বাগডাঙ্গা মজুমদার পাড়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম আনসুরা বিবি (৩২) এবং আহতের নাম পিন্টু শেখ (২৬)। দু'জনের বাড়ি বাগডাঙ্গা এলাকাতে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়। এই ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন দুুপুর বেলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠেছিল পিন্টু। সেই সময় হঠাৎ ডোমকল থেকে কুশাবাড়িয়াগামী একটি লরি দ্রুতগতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ওই লরিটি পিন্টু শেখকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা পারাপার করছিলেন আনসুরা বিবি। তাঁকেও ধাক্কা মারে লরিটি। আনসুরা বিবি রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে আনসুরা বিবিকে উদ্ধার করে ডোমকল সুপার ষ্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্য়ে পুলিস ঘাতক লরিটিকে আটক করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। টোটো ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু (Death) হয়েছে বাইক আরোহীর। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা থানার অন্তর্গত ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফারাক্কা থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃত দেহটি উদ্ধার করে জঙ্গিপুরে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাইক আরোহীর নাম ওমর ফারুক (৪২)। তিনি ফরাক্কার রামরামপুর এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, হঠাৎ বিকট শব্দ। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখে একটি টোটোর সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এর ফলে বাইক আরোহী বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায়। তারপর স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বাইক আরোহীকে উদ্ধার করে অর্জুনপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।
গৃহবধূকে খুনের (Death) অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। বুধবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের পেচেরপাড়া এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম মুর্শিনা বিবি (২৩)। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডোমকল থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার (Rescue) করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠায়। এই অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে ডোমকলের জোতকানাই এলাকার মুর্শিনার সঙ্গে বিবাহ হয় ডোমকলেরই পেচের পাড়ার সিনারুল শেখের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই মুর্শিনার উপর শারীরিক ও মানসিক নানাভাবে অত্যাচার করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এমনকি স্বামী নেশা করলে স্ত্রী তা নিয়ে প্রতিবাদ করলেই শুরু হয়ে যেত গন্ডগোল। এই নিয়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি লেগে থাকত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য়ে।
এরপর হঠাৎ বুধবার, রাতে মুর্শিনার পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁর মৃত্যুর খবর পৌছয়। ওই খবর পেয়েই হাসপাতালে এলে ততক্ষনে ডোমকল থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তবে কি দাম্পত্য় কলহ না কি এর পিছনে অন্য় কারণ তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের ভিনরাজ্যে (Migrant Death) রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। ১১ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে মৃত্যু হলো ওই শ্রমিকের। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম সুকুরুদ্দিন মহালদার। তিনি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার অন্তর্গত ইমামবাজার এলাকার বাসিন্দা। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তিনদিন পর দেহটি নিয়ে আসা হচ্ছে বাড়িতে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগে ইমামবাজার এলাকা থেকে রাজমিস্ত্রির কাজে রাজস্থান গিয়েছিলেন সুতির সুকুরুদ্দিন মহালদার। সেখানেই কাজ করার সময় ১১ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে সুকুরুদ্দিনের মৃত্যুতে অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাই পরিবারের তরফ থেকে সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ইউপিএ জোটের বদলে নতুন নাম হল—‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়ান্স)।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করে ইতিমধ্যে নবান্নে জমা করেছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী চেয়ার, টেবিলের পাশাপাশি একাধিক স্কুলের ওয়াশ বেসিনও উধাও হয়ে গেছে।
যে কোনও নির্বাচনের পর স্কুল ও কলেজের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তা দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয় নির্বাচন কমিশন। একই ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষতিক্ষতির বিষয়ে জানাতে জেলাগুলিকে এবিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরেই শিক্ষা দফতর একটি রিপোর্ট তৈরি করে নবান্নে পাঠিয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। একাধিক স্কুলের ফ্যান, লাইট, ইলেকট্রিক তারের কেসিং উধাও হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বাথরুমের প্যান, ওয়াশ বেসিন, মগ, হাইবেঞ্চ, লো বেঞ্চ নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের জেরে মোট ৩৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা দ্রুত মেটাতে নবান্নকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ভোটের পরেও জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blust)। আর সেই বিস্ফোরণের জেরে আহত (Injured) হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বোমা বিস্ফোরণের আঘাতে আহত হয়েছে দুই শিশু। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারের ভাষা দিবসে শহীদ আবুল বরকতের গ্রাম কাগ্রামে। আহত শিশুদের উদ্ধার করে সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাস্থলে সালার থানার বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সকালে ওই দুই শিশু পাড়ার একটি বাগানের মধ্যে খেলা করছিল। সেই সময় বল ভেবে বোমাটি হাতে নিলেই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। তারপরেই আহত ওই দুটি শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রেজিনগর সহ বেশ কিছু জায়গায় তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। কোথায় ব্যাগে আবার কোথাও জারের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভর্তি ভর্তি বোমা। রেজিনগর থানার অন্তর্গত একডালা মধুপুর, নাজিরপুর, জানপুর ও ছেতিয়ানিতে উদ্ধার করা হয়েছে বোমাগুলি। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে রেজিনগর থানার পুলিস। এমনকি বোম স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়েছে বোম গুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। এমনকি বিশাল পরিমাণে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকাগুলিতে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। তবে কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করে চলেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সাত সকালে মর্মান্তিক ঘটনা (Tragic Incident)। রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ (Dead body)। ঘটনাটি ঘটছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ,নবগ্রাম থানার, মাঝিগ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, মৃতের নাম গৌর ঘোষ, তিনি পেশায় একজন গোপালক ছিলেন। বুধবার দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে পাশের গ্রাম জারুলিয়া গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
এদিন সকালে গোপালকরা যখন মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন দেখেন রাস্তার পাশে পরে আছে গৌর ঘোষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে নবগ্রাম থানার পুলিস। স্থানীয়দের দাবি, গৌড় ঘোষকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রথমে পুলিসকে মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে অবশ্য পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মৃতের দাদা দয়ালচন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন "কোনো শত্রু ছিলনা গৌড় ঘোষের।গ্রামের কোনও লোক বা কোনও আত্মীয়দের সঙ্গেও বিবাদ ছিলনা তাঁর ভাইয়ের।কোনও রাজনৈতিক দল বা কোনো নেতার সঙ্গেও তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিলোনা। তাঁর দাবি, ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ী তাদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করুক পুলিস।"
স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ জানিয়েছেন , " বুধবার রাত ৮ টার সময় দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে পাশের গ্রাম জারুলিয়া গিয়েছিলেন। তারপর তাঁর বন্ধুরা নাকি তাঁকে ফোন করে ডাকেন ঢালাই বিষয়ক কোনো কথা বলার জন্য। তারপর তাঁর বন্ধুরা ১১ টার সময় চলে যায়। তারপর সকালে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় গৌড় দাসের দেহ। অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন গৌড় দাস। দ্রুততার সাথে যেন এই ঘটনার নিষ্পত্তি হোক দাবি সুবোধ বাবুর।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবগ্রাম থানার পুলিস।
মণি ভট্টাচার্য: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি পার। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে লাগামহীন সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, যার শিকার হয়েছে শাসক দল থেকে বিরোধী দলগুলি। ফলত রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনী হিংসা (Violence) নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা দাঁড়ালো ৫২ জন। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল,কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ সহ সব দলের কর্মীরই। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় এবারও প্রায় সমান। গোটা রাজ্যের মুশিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা গুলিতে মৃতের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। এছাড়া সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যায় মুর্শিদাবাদকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে আইএসএফ ও পুলিসের সংঘর্ষে ১ আইএসএসএফ ও এক সাধারণ যুবকের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদিঘি, ও রায়দিঘিতে ২ তৃণমূল কুমির মৃত্যু হয়। ফলে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জন। যদিও এখনও অবধি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকে এই প্রতিবেদন লেখা অবধি মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, নির্বাচন ঘোষণার পর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু দিয়ে শুরু হয়। এখনও অবধি সেই মৃত্যুর ধারা অব্যাহত।
পাশাপাশি বুধবার বেলা ২ টো অবধি অলিখিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনী হিংসায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩ জন, মুর্শিদাবাদে ১৩ জন, কোচবিহারে ৬ জন, মালদহে ৪ জন, উত্তর দিনাজপুরে ৪ জন, নদিয়ায় ৩ জন, পুরুলিয়ায়, উত্তর ২৪ পরগনায়, পূর্ব বর্ধমানে ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে, এছাড়া বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি অলিখিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩ দফার ভোটে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে ৩ দফার ভোটে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ দফা নির্বাচনে এখনও অবধি ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোটগণনা (Vote) ঘিরে জেলায় জেলায় বাড়ছে উত্তেজনা। তারই মধ্য়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুর। সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Army) বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, সামশেরগঞ্জের জয়কৃষ্ণপুরে ভোটগণনা ঘিরে এবিএস বিদ্যাপীঠে চরম অশান্তির চিত্র লক্ষ করা গিয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বারংবার এসে জমায়েত হচ্ছিলেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। যার কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠি উঁচিয়ে সেই ভিড় সরানোর চেষ্টা করলেও বারবারই ব্য়র্থ হচ্ছিল তারা। এই কারণে ভিড় এড়াতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত শুরু করে কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ানরা।
সম্প্রতি সেই ভিড়ের মধ্য়েই ছিলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকেও সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চায়। সেই সময় বিধায়কের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধায়ক আমিরুল ইসলামের দাবি, ইলেকশন এজেন্ট হিসাবে বৈধভাবেই আমি এসেছিলাম। তবে এই কথা কেন্দ্রীয় বাহিনী মানতে একেবারেই নারাজ। তাদের একটাই দাবি, ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে কোনওভাবেই ভিড় করা যাবে না।
নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগণনা কেন্দ্রে আগে কাউন্টিং অফিসার ঢুকবে পরে ইলেকশন এজেন্ট বা প্রার্থী প্রবেশ করবে। কিন্তু এই সব কোনও নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে না। ফলে সমস্য়ার মুখে পড়েছে ইলেকশন এজেন্টরা।
ওভারটেক করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনা (Accident)। একটি মালবাহী লরিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি তেল ট্যাঙ্কারবাহী লরি। ঘটনায় গুরুতর জখম (Injured) হয়েছেন লরির চালক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার ঘোষপাড়া ও ব্যালাসরান মোড় সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। পুলিস আহত ওই চালককে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি লরিই জঙ্গিপুরের দিক থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। তবে ট্যাঙ্কবাহী লরিটি অনেক দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। এমনকি সামনে থাকা একটি মালবাহী লরিকে ওভারটেক করতেও চাইছিল। যার ফলে গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে দেয় ঘাতক লরিটি। তবে রাস্তার উপর একটি ছাগল চলে আসায় ওই তেল ট্যাঙ্কবাহী লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং ওই ছাগলটিকে বাঁচাতে গিয়ে মালগাড়ির পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে।
গণতন্ত্রের উৎ'শব' পালনে মুর্শিদাবাদ যেন মডেল। যদিও গোটা রাজ্যেই মৃত্যু, হিংসা, ভোট বিভিন্ন জেলার তুলনায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রে যদিও মুর্শিদাবাদ অনেকটা এগিয়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আবহে উত্তপ্ত বাংলা (West Bengal)। শনিবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসের ছবি। ঝরল রক্ত, চলছে দেদার ছাপ্পা ভোট। সকাল থেকে প্রাণ গেল বহুজনের। ফলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ফলে মুর্শিদাবাদের চেনা ছবিই ফের প্রকাশ্যে। ভোট গ্রহণের সকাল থেকে এখনও অবধি মুর্শিদাবাদে প্রাণ গেল ৪ জনের। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০। তৃণমূলের মোট ৪ জন, কংগ্রেসের ৩ জন, সিপিএম-এর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও দিকে দিকে বুথ দখল, ব্যালট লুঠ, বোমা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে আসছে।
কোথাও পিটিয়ে খুন, কোথাও গুলিবিদ্ধ। ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে মুর্শিদাবাদে খুন দিয়ে রাজ্যের হিংসার শুরু হয়। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার রতনপুরে ভোট ঘোষণার পরেই ৯ই জুন খুন হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। এরপর থেকে মুর্শিদাবাদে হিংসার শুরু। শনিবার সকালে রেজিনগর থানার নাজিরপুরে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিন শেখ নামে এক শাসক দলের কর্মীর। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের। অভিযোগের তীর কংগ্রেসের দিকে। এছাড়াও সকালে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে তৃণমূল কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার রাতেই রাজনৈতিক হিংসার বলি হন তৃণমূলের কর্মী বাবর আলি। অভিযোগের তীর কংগ্রেসের দিকে। আবার লালগোলা থেকেও আর এক মৃত্যুর খবর এসেছে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রওশন আলী। এটা লালগোলার ময়া অঞ্চলের ১৫ নম্বর বুথের সামনের ঘটনা। অভিযোগ, লালগোলায় ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সিপিএম কর্মী রওশন আলীর মাথায় লাঠি দিয়ে মারে। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এছাড়াও রানীনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর ১৪৩ ও ১৪৪ নম্বর বুথ দখল করে ছাপ্পার পাশাপাশি বোমা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের এই অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাঁদের দাবি, 'ভারতের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে আমাদেরকে, আমরা ভোট চাই ভোট দিতে চাই। আমাদের নিজের ভোট নিজেরা দেব।' তাঁরা অভিযোগ করছেন, ইসলামপুর থানার পুলিস ও তৃণমূল বাহিনীরা সকাল থেকে ১৪৩ নম্বর এবং ১৪৪ নম্বর বুথে গ্রামবাসীদের প্রবেশ করতে দেয়নি। তৃণমূল বাহিনী নিজেরাই সবার ভোট দিচ্ছে।
আবার বহরমপুরে অন্য এক দৃশ্য দেখা গেল। বহরমপুরের গোয়ালজান গার্লস হাই স্কুলের ২১২ ও ২১৩ নম্বর ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ঘটায়, ব্যালট বাক্স ছুঁড়ে দেওয়া হয় ভাগীরথী নদীতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালের দিকে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। হঠাৎই তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করে, চলে ছাপ্পা ভোট। ঘন্টা খানেকের মধ্যে সব ছাপ্পা ভোট হয়ে যায়। পরে যখন তৃণমূলের লোকজন ওই বুথ ছেড়ে চলে যায়, এই অবস্থা দেখে বিজেপি সমর্থকেরা ব্যালট বাক্স ভাগীরথী নদীতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে উত্তপ্ত ইসলামপুরের ঘুঘুপাড়া। বিরোধীদের কাউকেই ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ। প্রচন্ড গোলাগুলি চলার কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কিছু মহিলা, ভয়ে তাঁদের বাড়িও ফিরতে পারছে না বলে সূত্রের খবর।
আবার বেলডাঙা থানা অন্তর্গত বিষণনগর টিটি প্রাইমারি স্কুলে ৪৮ নম্বর বুথেও ভোটের আগেই বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পুলিসের মদতে শাসকদলের পক্ষ থেকে বুথ দখল হয়ে যায়। ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের সৈয়দকূলুট গ্ৰামে ৯৬ ও ৯৭ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বিক্ষোভ। সাধারণ মানুষ পুলিসের সঙ্গে প্রথমে বাতবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে যা পরে রূপ নেয় রণক্ষেত্রে। পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টিও। ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের মনসুরপুর গ্রামের দুটি বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করা, হুমকি দেওয়া ও বুথ দখলের অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। চোয়াপাড়া অঞ্চলের কীর্তনিয়াপাড়া বুথে ছাপ্পা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ফলে ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের এই পরিস্থিতি, তাই এর পরে আর কী কী ঘটতে চলেছে, তাই এখন দেখার।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগের দিনও হিংসা! মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) রাজ্যপালের (Governor) সফরের দিনই এ আরও একটা মৃত্যুর খবর। রানিনগরের কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম অরবিন্দ মণ্ডল। এ ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে কংগ্রেস। অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যর শাসক দল।রানিনগরের কংগ্রেস প্রার্থীর ভাই অরবিন্দ মণ্ডল। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা পিটিয়ে খুন করেছে ওই কংগ্রেস কর্মীকে। এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পেশের পর থেকে ২১ জনের মৃত্যু হল।
শুক্রবার সকালেই রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরে অরবিন্দ মণ্ডল নামের এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই কংগ্রেস কর্মীকে ইসলামপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, রানিনগর ১ ও ২ ব্লকে মারধর করা হচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের। মৃতের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডলের অভিযোগ, রাতেও হামলা হয়েছিল বাড়িতে। এদিন সকালে ফের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের মারধরেই মৃত্যু স্বামীর।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি এই মৃত্যু নিয়ে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত হিংসার বলি বেড়ে দাঁড়ালো ৫। শুক্রবার নিহত ওই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পথে তাঁকে পুলিস বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে বচসা বাধে অধীরের। এরপর তিনি মৃত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্রবার বহরমপুর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দুষে বলেন, 'মমতা বিবেক হারিয়ে ফেলছেন।'