স্বাধীনতা দিবসের পর আবারও উদ্ধার (Rescue) ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত বলবলপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছে। ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বলবলপাড়া এলাকার একটি ইট ভাটা সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে হানা দেয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। তারপরেই সেখানে থাকা একটি সেগুন গাছের পাশে একটি ব্যাগের ভিতরে থাকা তাজা বোমা গুলো দেখতে পায় পুলিস। বোমা উদ্ধারের পরেই এলাকাটি ঘিরে রেখে পুলিস পিকেট বসানো হয়। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াড টিমকে। কে বা কারা ঠিক কি উদ্দেশে এবং ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা রেখেছে গিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।
গোটা রাজ্য যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ আর বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন থামছেই না। রবিবার সাত সকালেই ঘটে গেল ভয়াবহ বোমা (Bomb) বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের লক্ষীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকার ফলে এই ঘটনায় কোনও হতাহত হয়নি। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ওই এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ আচমকা ওই আইসিডিএস সেন্টারে বেমা বিস্ফোরণের ঘটে। তারপরেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পাশাপাশি বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে ভেঙে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একাধিক অংশ। স্থানীয়দের দাবি, যেই ব্য়ক্তির বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়িটি তৈরি হয়েছে এই বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই ওই বাড়ির সদস্য়রা পলাতক।
সূ্ত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ (Dead Body) উদ্ধার (Recovery) হল। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার নতুন মহেন্দ্রপুর সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে। রেল পুলিস ইতিমধ্যেই রেললাইনের পাশ থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রুস্তম শেখ (২০)। সুতি থানার মাহাতাবপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিসের দাবি, ওই যুবকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে স্থানীয়রা রেললাইনের ধারে ওই যুবকের দেহটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তারপরেই এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় সুতি থানায়। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি।
গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে (Drowning Death) গেলো এক শিশু (Child)। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের মহেশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মুস্কিনগর গঙ্গা ঘাটে। তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে। পুলিস স্থানীয় ডুবুরিদের গঙ্গায় নামিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে। যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অবধি ওই শিশুর দেহটি উদ্ধার করা যায়নি। পুলিস সূত্রে খবর, তলিয়ে যাওয়া শিশুটির নাম রোহান শেখ (৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চার বন্ধু মিলে গঙ্গায় স্নান করতে যায়। সেই সময় রোহান নামের ওই শিশুটি গঙ্গায় তলিয়ে যায়। তারপরেই বাকি তিনজন শিশু খবর দেয় এলাকাবাসীদের। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয়রা নদীতে নেমে তল্লাশি চালান।
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্য়ু (Death) ঘিরে চাঞ্চল্য় মুর্শিদাবাদে। সোমবার, বহরমপুরে মোহনা বাসস্ট্যান্ডের দোতলা থেকে উদ্ধার (Rescue) হয় ওই যুবকের দেহ। এখনও পর্যন্ত মৃত ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বহরমপুর থানার পুলিস এসে মৃত দেহ উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর সেখান থেকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় সন্ধ্যে সাড়ে আটটার পর থেকে কোনও নিরাপত্তা থাকে না। সেই সুযোগেই এরকম ঘটনা ঘটেছে। অস্বাভাবিক এই মৃত্য়ুর ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশাসনিক সুরক্ষার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন এলাকার দোকানদারেরা।
পাশাপাশি কে এই যুবক, কিভাবে ঘটল এই ঘটনা সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে গোটা ঘটনা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনেও রক্ত ঝড়েছিল। ভোট পরবর্তী বোর্ড গঠনের সময়েও রক্ত ঝড়ল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। বুধবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হল জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যর ছেলের। সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সময় এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় নিহতের নাম হুমায়ুন কবীর। মাত্র এক মাসে আগেই বিয়ে হয়েছিল হুমায়ুনের। থাকতেন সৌদি আরবে। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন বিয়ে করতে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমায়ুনের মা সানোয়ারা বিবি প্রথমে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন সকালে বোর্ড গঠনের পর তাঁর বাড়িতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। তখন খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন হুমায়ুন। পরিবারের দাবি, তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, পঞ্চায়েতের বোর্ড করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে ভাঙড়েও। তৃণমূল-আইএসএফ মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যাপাক বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছে।
পুলিসের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে (Drowning) গেল (Death) এক যুবক। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের ছয়দাবাদ এলাকায়। এই ঘটনার পরেই উত্তজিত এলাকাবাসীর সঙ্গে খরমপুর থানার আইসি রাজা সরকারের নেতৃত্বে পাঠানো বিশাল পুলিস বাহিনীর মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তারপরেই রবিবার মৃতদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এমনকি পুলিস মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য প্রথমে বহরমপুর মেডিকেল কলেজে এবং পরে সেখান থেকে মর্গে পাঠায়। তবে এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে পুলিসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃতের নাম অতনু ঘোষ (২২)। বহরমপুরের দিয়ারা পাড়া এলাকার বাসিন্দা। মৃতের বাবা জানান, দিন দশেক আগে একটি চায়ের দোকানে সামান্য ঝামেলা হয়। কিন্তু তাতে অতনু ছিল না। তারপরেও তাঁকে পুলিস গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি গাড়িতে তোলার পর পুলিসেরা তাঁকে মারধরও করে। তিনি দাবি করেন, এই মারধরের ভয়েই অতনু পুলিসের গাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পুলিস তাঁকে ধরার জন্য পিছু নিলে সে কোনও উপায় দেখতে না পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
যুবতীর মন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায়। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃল অভিযুক্তের নাম উজ্জ্বল কোনায়ক, বাড়ি মল্লিকপুর গ্ৰামে। শনিবার, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার কল্যানপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিছুর গ্ৰামে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর আঠারোর ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর মাথা কেটে খুন করা হয়েছে। তারপর দেহ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। কিন্তু, কোথায় কাটা মাথা ফেলা হয়েছে তাঁর খোঁজ মেলেনি। প্রেম ঘটিত কারণেই এই ঘটনা বলে পুলিস সূত্রে খবর। গোটা ঘটনার তদন্তে বড়ঞা থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বিছুর গ্রামের রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নজরে পড়ে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন নিথর দেহ। এরপর স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে বড়়ঞা থানার পুলিস এসে জলাশয় থেকে উদ্ধার করে ওই যুবতীর মৃতদেহটি। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিস। ইতিমধ্যে দেহ থেকে নিখোঁজ মাথাটি খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেছে পুলিস।
তবে এই নৃশংস ঘটনার পিছনে আর কেউ জড়িত ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারী নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
দেনার দায়ে মানসিক অবসাদ (Depression), আর তার জেরেই আত্মঘাতী এক ব্যক্তি। রবিবার, সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার ধুসরীপাড়া কলোনী এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম চন্ডী হালদার (৫০)। পেশায় তিনি একজন ফুচকা বিক্রেতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস চারেক আগেই বেশ ধূমধাম করে ছেলের বিয়ে দেন চন্ডী হালদার। আর তাতেই বেশ কয়েক হাজার টাকা দেনা হয়ে যায়। একদিকে শারীরিক অসুস্থতা, অন্যদিকে পাওনাদারদের চাপ। দেনার দায়ে মানসিক চাপ যেন ক্রমশ বাড়তেই থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা অশান্তি হয়। সেই কারণে ভোর রাতে রাগ করে ফরাক্কায় মায়ের বাড়ি চলে যান চন্ডী হালদারের স্ত্রী।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বাড়িতে লোকজন না থাকার সুবাধে সার্বিক চাপে এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি লিচু বাগানে গিয়ে গলায় ধুতি দিয়ে বেঁধে ফাঁস লাগিয়ে চন্ডী হালদার আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রা এদিন সকালে বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা মাত্রই খবর দেয় থানায়। তারপরে ঘটনাস্থল থেকে মৃত চন্ডী হালদারের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস। দেনার দায়ে আত্মঘাতী না কি এর পিছনে অন্য় কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
১৫ টি সোনার (Gold) বাট সহ এক পাচারকারীকে (Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করলো বিএসএফ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়। রবিবার বিএসএফ (BSF) আধিকারিকেরা সোনারবাট সহ ধৃত ব্যক্তিকে জঙ্গিপুর কাস্টমসের হাতে তুলে দেন।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই পাচারকারীর নাম জোহিরুল শেখ। শনিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানার চর পিরোজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত বিএসএফ-র নজর এড়াতে মোটর বাইকে করে সোনার বাটগুলি পাচার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ-র। তারপরেই তাঁরা ওই মোটর বাইকটিকে আটকে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার করা হয় ১৫ টি সোনার বাট। বিএসএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১৫ টি সোনার বাটের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। যা ওই ব্যক্তি রঘুনাথগঞ্জের সাইদাপুর এলাকায় হাতবদলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে।
ফের তিনটি গরু সহ বিএসএফের (BSF) হাতে গ্রেফতার (Bangladeshi Arrest) হল দুই বাংলাদেশী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প এলাকায়। এই ঘটনার পরেই বিএসএফ-র পক্ষ থেকে ধৃতদেরকে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিসের (Police) হাতে তুলে দেওয়া হয়। শনিবার ধৃত দুই বাংলাদেশীকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত ওই দুই বাংলাদেশীর নাম সরজুল শেখ (২৪) ও আনারুল শেখে (২৪)। তারা দুজনেই বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করার সময় ওই দুই বাংলাদেশীকে দেখতে পায় সীমান্তের জওয়ানরা। এই ঘটনায় ওই দুই জনকে দেখে জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে বিএসএফ। বিএসএফ-র দাবি, মালদহ থেকে গরু গুলো নিয়ে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা হয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
চাকরি (Job) দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি প্রশিক্ষণ (Training) সংস্থার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে রানিবাগান এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বহরমপুর থানার পুলিস। একশো শতাংশ চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে কোর্স করিয়ে চাকরি দিতে না পারার অভিযোগে দলবদ্ধভাবে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা ঘেরাও করল ওই বেসরকারি সংস্থার শিক্ষকদের।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চলছে এই একাডেমী। পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনে ছাত্র-ছাত্রীরা নার্সিং কোর্সে ভর্তি হয় এবং তাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছে, এই সংস্থানে যে কর্তৃপক্ষ রয়েছে তারা ভর্তির সময় একটা মোটা অঙ্কের টাকা জমা নেয় এবং বাদবাকি টাকা তারা মাসে মাসে পরিশোধ করতে বলে। ফেসবুকে এই প্রশিক্ষণের একটি সাইট আছে সেই সাইটে তারা ট্রেনিং সংক্রান্ত বিষয়গুলি দিয়ে বিজ্ঞাপন চালায়। আর সেই বিজ্ঞাপন মারফত দূর দূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণ নিতে আসে।
অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের কোনও জায়গায় কোনওরকম কাজে সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের একটাই দাবি অবিলম্বে এই সংস্থাকে বন্ধ করতে হবে এবং যেসব পরিবার টাকা দিয়েছে সেগুলি ফেরত দিতে হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (Border) গরু পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু (Death) হল এক পাচারকারীর (Smuggler)। রবিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানার অন্তর্গত সরকারপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মোমিন শেখ (৩৪)। বাড়ি রাণীনগর থানার খাস্তালুক জিন্নাতপাড়া এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে সরকারপাড়া এলাকায় বিএসএফদেরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে গরু পাচার করার চেষ্টা করছিল মোমিন শেখ নামের ওই ব্য়ক্তি। সেই সময় পাল্টা বিএসএফ গুলি ছোড়ে। তখনই বিএসএফের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোমিন শেখ নামে ওই পাচারকারীর।
সোমবার, এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিএসএফ আধিকারিক ও ডোমকল এসডিপিও সহ জলঙ্গি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছয়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ঘর থেকে এক গৃহবধূর নিথর দেহ (Dead Body) উদ্ধার। যদিও এই ঘটনায় মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানার রাণীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটুপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে রঘুনাথগঞ্জ এলাকায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম শেফালী বিবি। ৪ বছর আগে বিয়ে হয় তফিজুল রহমানের সঙ্গে। তাদের দুটি পুত্র সন্তানও আছে। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই সামান্য কারণে তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি অশান্তির জেরে প্রায়ই শেফালীর উপর শারীরিক নির্যাতনও করত তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শেফালী বারবার সেই অশান্তির কথা ফোন করে জানত। অনেকসময় ঝামেলা মেটাতে শেফালীর শ্বশুর বাড়িতে যেত হতো, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনায় মৃতার পরিবার অভিযোগ করেন, রবিবার রাতে খাওয়ারে নুন কম হওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয় পরিবারে। তারপরেই তফিজুল শেফালীকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। তাঁরা আরও দাবি করেন, সোমবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা তড়িঘড়ি শেফালীর শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছয়। তারপরেই ঘাটের উপর মৃত অবস্থায় দেখেন শেফালীকে। শেফালীর মুখের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেন মৃতার পরিবার।
ট্রাকে ধানের বস্তা লোড করার সময় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে মৃত্য়ু (Dead) হয় ওই যুবকের। রবিবার, মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার শঙ্করপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবকের নাম নবাব শেখ (১৮)। নগর এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শঙ্করপুর এলাকায় একটি ট্রাকে ধানের বস্তা লোড করছিল ওই যুবক। সেই সময় হাতে থাকা একটি লোহার হুক রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়া ৪৪০ ভোল্টের তারের সঙ্গে সংযোগ হয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।