কথাতেই আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এই কথা যেন ফের আরও একবার সত্যি প্রমাণিত হল মুর্শিদাবাদে কান্দি মহকুমায়। সেখানে রীতিমতো সিনেমার কায়দায় খুনের ঘটনাতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি একেবারে কলকাতা হাইকোর্টের বেল অর্ডারকে জাল করে কান্দি আদালতে মুক্তি পেয়েছিল বিচারকের সম্মতিতে। যদিও ফের আড়াই বছর পর ফের খুনের ঘটনার মূল ওই অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে বহরমপুর আদালতে তুললো সিআইডি।
এ ঘটনা সত্যিই নজিরবিহীন। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে বালিঘাট দখলকে কেন্দ্র করে ঘটে খুনের ঘটনা। মূল সেই অভিযুক্ত আজ, রবিবার বহরমপুর আদালতে তুলেছে সিআইডি। যদিও আজ আদালতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে মূল অভিযুক্ত জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ জাল করার পিছনে হাত রয়েছে কান্দি মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের। শাস্তি যেন তাঁদেরও হয়।
পাশাপাশি সে তার বাবারও শাস্তি দাবি তুলেছে ক্যামেরার সামনে। যদিও পুরো ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কান্দি মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল ২০১৫ সাল। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বালির ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বোমাবাজি হয়। আর সেখানেই মৃত্যু হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা একটা ট্রাক্টর চালকের। পরে ১৫ এপ্রিল ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিস তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল এবং তাদের মধ্যেও ৩১ শে জানুয়ারি ২০১৮-তে অভিযুক্ত লালু শেখ যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে কান্দি মহকুমা আদালত। কিন্তু সেই সাজার বিরুদ্ধে গিয়ে ৬ ই মার্চ ২০২১-এ অভিযুক্ত লালু শেখকে হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে যাবজ্জীবন সেই সাজা প্রত্যাখ্যান করে নিয়েছিল কান্দি মহকুমা আদালতের তৎকালীন বিচারক। এবার কার্যত তার আড়াই বছর পর হাইকোর্টের করা সেই নির্দেশ ভুয়ো বলে দাবি তুলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কান্দি মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সিআইডির হাতে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে সেই ঘটনার তদন্তে কলকাতার হাওড়া থেকে মূল এই অভিযুক্তকে গ্ৰেফতার করে সিআইডি।
এই ঘটনায় প্রশ্ন হচ্ছে স্বয়ং হাইকোর্টের নির্দেশ যদি এভাবে জাল করে আদালতকে বোকা বানায় জনগণ, তাহলে আগামী প্রজন্ম কি সত্যিই আইনকে মান্যতা দেবে সেভাবে? এই প্রশ্ন রইল ওয়াকিবহুল মহলের কাছে।
ডেঙ্গি নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এরই মধ্যে ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ৩ জনের। সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদম, মুর্শিদাবাদ ও কলকাতার ঠাকুরপুকুরে, পৃথক জায়গা গুলিতে ১ জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, কলকাতার ঠাকুরপুকুরে ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাঁচারপাড়া এলাকার বাসিন্দা পরেশ সাউয়ের মৃত্যু হয়েছে। ওদিকে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় নামের মাঝ বয়স্কা মহিলা। উল্টোডাঙ্গার একরি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন, গতকাল সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ বড়ঞা থানার নিমা গ্রামের বাসিন্দা সিধাম ঘোষ, কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন তিনি। জ্বর নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করালে কান্দি হাসপাতালে তার ডেঙ্গু পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গতকাল বিকেলে মুর্শিদাবাদ মেডিকেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
ডেঙ্গি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে নবান্নের। সোমবারই নবান্নে একটি বিশেষ বৈঠক হয়েছে। ডেঙ্গি রোধে ৯ পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। মৃত্যু ঠেকাতে এমআর বাঙুরে চিকিৎসায় বিশেষ নজর দিয়েছে নবান্ন। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ভেক্টর কন্ট্রোল থেকে সরানোর নির্দেশ পুরসভাগুলিকে। ১২৭ পুরসভার মধ্যে ৫৫ পুরসভায় ডেঙ্গির বিপদসঙ্কেত। প্রয়োজনে এজেন্সি দিয়ে জঞ্জাল সাফাইয়ের সিদ্ধান্ত। পঞ্চায়েত, ব্লক স্তরে জঞ্জাল সাফাইয়ের পরিকাঠামো নির্মাণ। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে জোর।
লোনের টাকা মেটাতে পারছিলেন না। সেই কারণে প্রতিবেশীর ২ বছরের বাচ্চার গয়না চুরি করে তাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে অভিযোগ উঠল মায়ামান বিবি নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাপের মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার সিকদারপুর এলাকায়।
নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল ২বছরের ওই শিশুকন্যা। আচমকাই শিশুটির মা সুমা খাতুন দেখেন তাঁর মেয়ে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হলে এক প্রতিবেশী জানান, অভিযুক্তের কোলে দেখা গিয়েছে বাচ্চাটিকে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই মহিলা অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন।
জানা গিয়েছে, লোনের কিস্তির টাকা জোগাড় করতে শিশুটির গায়ের গয়না খুলে নেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতেই শিশুটিকে শমসেরগঞ্জের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির দেহ উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।
বাংলার মুকুটে নয়া পালক। আবারও সেরার তকমা পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তরফে আয়োজিত ২০২৩ সালের 'সেরা পর্যটন গ্রাম' প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরী। খেতাব জয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবাই থেকে ওই গ্রামের সকল বাসিন্দাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, পর্যটন গ্রামের প্রতিযোগিতার জন্য গোটা দেশ থেকে মোট ৭৯৫টি আবেদনের জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে সেরার সেরা হয়েছে মুর্শিদাবাদের এই গ্রাম। ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রের তরফে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
মুর্শিদাবাদের দহপাড়া রেল স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কিরীটেশ্বরী গ্রাম। দেশের শক্তিপীঠগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। লোকমতে, এখানেই দেবী পার্বতীর মুকুট পড়েছিল। বহু দূর থেকে এখানে পর্যটকরা আসেন। বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে। সেরার তকমা পাওয়ার পর এখানে পর্যটকের আনাগোনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কিরীটেশ্বরীর বাসিন্দারা।
পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant worker) মৃত্যু, এ যেন বর্তমান দিনের পরিচিত এক কাহিনী। ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ানের (Dhulian) লালপুর তিরঙ্গা মোড় এলাকার বাসিন্দা তহিবুল মমিন। প্রায় ৩ মাস কাজ করার পরে হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তহিবুল। শনিবার বিকেলে মৃত্যু (Death) হয় তাঁর। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদার সংস্থার তরফে কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা লালপুর গ্রামে।
পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ১৫ দিনে মুর্শিদাবাদে পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪। মালদহে সেই সংখ্যা ১। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা ২। জেলায় জেলায় একের পর এক পরিযায়ীর মৃত্যুতে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। কেন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে বারবার? তবে কি রাজ্যে সত্যিই কাজের অভাব? ভিনরাজ্যে গিয়ে কেন এইভাবে অকালে হারিয়ে যেতে হচ্ছে? পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ গুপ্ত।
অসহায় পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন তহিবুল মমিন। তাই একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে শুধুমাত্র পেটের তাগিদে একটু ভালোভাবে বাঁচার জন্য ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা বিজেপি সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা।
অকালে চলে গেল আরও ১ টি প্রাণ। রয়েছে শুধু নিথর দেহ। তবু আপনজনকে শেষবারের মতো দেখতে যে মন চায়। তাই তহিবুলের দেহটা যাতে ঠিকমতো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সরকারের কাছে সেই কাতর আর্তি জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
জামিনে মুক্তি পেয়েই ক্লাস করালেন ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক। এবার তা নিয়েই বিতর্কে জড়াল খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ওই বৃত্তের স্কুল পরিদর্শক। শনিবার মুর্শিদাবাদের সুতি সার্কেলের ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করান ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের নাম রমেন ঘোষ। অভিযোগ, গত মাসেই ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর শুক্রবারই স্কুলে যোগ দিয়ে ক্লাস করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষক গ্রেফতার, এবং দীর্ঘ ১ মাস জেলে থাকলেও এখনও অবধি তাঁকে শোকজ করেননি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন পেয়েই বিনা বাধায় স্কুলে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসে এক মহিলার অভিযোগে ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় ৬৩ নং খাঁপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন ঘোষ। প্রেম ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ আনেন ওই নির্যাতিতা, এরপরই তদন্তে নেমে ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখে গ্রেফতারির পর চলতি মাসে ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার জামিনে মুক্তি পায় ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপরই শনিবার বিদ্যালয়ে এসে পুনরায় যোগ দেয় ওই শিক্ষক। প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে একজন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুনরায় স্কুলে যোগ দেয়? এছাড়া আরও প্রশ্ন উঠছে, গ্রেফতারির পর কেন সুতি সার্কেল স্কুল পরিদর্শক কতৃক শোকজ করা হল না ওই শিক্ষককে?
এ বিষয়ে ওই সার্কেলের এসআই অর্থাৎ স্কুল পরিদর্শক পলাশ সিকদারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে, মঙ্গলবারই আমরা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সামান্য শোকজ করতে এক মাস সময় কেন? এ বিষয়ে অবশ্য ওই এসআই কোনও উত্তরই দেন নি। পাশাপাশি এ বিষয়ে মুশিদাবাদ জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যান আশীষ মার্জিতকে ফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলে তাঁকে ফোন পাওয়া যায় নি।
গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা মানেই ভাঙনের (River Erosion) অভিশাপে জর্জরিত। জনজীবনকে কার্যত বিপর্যস্ত ও অনিশ্চিত করে তোলে। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের খোঁজ করেন গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দারা। কিন্তু স্থায়ী সমাধান তো দূরের কথা, কোনও কিছুতেই যেন ভাঙন থেকে মুক্তি মিলছে না মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের (Samserganj) মানুষের। বর্ষা পড়তেই ফের সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙনে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আতঙ্কে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত মহেশটোল, প্রতাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি গঙ্গা ভাঙনে বিপর্যস্ত মালদহও (Malda)।
মালদহের মালিক গোপালপুর এলাকায় গঙ্গা ভাঙ্গনে গত কয়েকদিনে ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে গৃহহীন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে মালদহের মিল্কির ভবানীপুরে আম বাগানের মধ্যে। ত্রিপাল খাটিয়ে কোনওমতে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পানীয় জল। প্রশাসনের কোনও ব্যক্তি একবারের জন্য খোঁজ নিতেও আসেননি বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন গৃহহীন গ্রামবাসীরা। পুনর্বাসনের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
পুরনো বিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে ফের। জামিন পেয়েই এলাকায় বোমাবাজি চালাল অভিযুক্তের দল। অন্তত ৭টি বোমার বিস্ফোরণে (Bomb explosion) কেঁপে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়ার নোটিয়াল ঘোষপাড়া এলাকা। আইনের বাঁধনও ঢিলে? জামিন পেয়েই এলাকায় বোমা হাতে দাপাদাপি!
ঘটনার সূত্রপাত মাস সাতেক আগে। অভিযোগ, পুকুরে মাছ ধরার বিবাদে ধুন্ধুমার বাধে ঘোষপাড়া এলাকায়। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাইলট শেখ নামে এক ব্যক্তির, জখম ছিলেন আরও ৫ জন। ঘটনায় গ্রেফতার হয় বেশ কিছু অভিযুক্ত। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেতেই ফের তাণ্ডব শুরু। অভিযোগ, টাকায় মামলা রফা করতে রাজি না হলেই বোমাবাজি, ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তরা। এবার নিহত পাইলট শেখের কোলের শিশু এবং তাঁর স্ত্রীর প্রাণ সঙ্কটে।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েই মাত্রা ছাড়াচ্ছে বোমাবাজদের স্পর্ধা? কেন সজাগ ছিল না পুলিস? তদন্ত চলছে নিজের তালে, কিন্তু ন্যায্য বিচার কি মিলছে? লাগামহীন হয়ে পড়ছে বাংলার সন্ত্রাস। কেন রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন? বোমার সহজলভ্যতা বাড়ছে। হাতে হাতে ঘুরছে বিস্ফোরক! কোথায় দাঁড়িয়ে বোমা-বারুদের রাজ্য?
ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ানের এক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মোকলেসুর রহমান, বয়স ৩৩ বছর। মৃত্যুর খবর পরিবারে পৌঁছতেই কার্যত শোকের ছায়া নেমেছে ধূলিয়ান পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কৃষ্ণপুরে।
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগেই ধূলিয়ান থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে দিল্লির সরোজিনী নগরে যান মোকলেসুর রহমান। দিন কয়েক পরেই বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। রবিবার অন্যান্য দিনের মতো কাজ করছিলেন মোকলেসুর। সেসময় পানীয় জলের প্রয়োজন পড়লে মোটর চালু করেন। কিন্তু তখনই মোটরে শর্টসার্কিট হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবু তড়িঘড়ি মোকলেসুরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খবর জানাজানি হতেই সোমবার সকাল থেকে মৃত শ্রমিকের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই দেহ বাড়ি নিয়ে আসতে তৎপরতা শুরু হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে, দিন কয়েকের মধ্যেই ফের একবার ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকা জুড়ে।
সুষম আহার, তাইতো শিশু স্বাস্থ্যের জন্য মিডডে মিলে (Mid Day Meal) সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে ডিম। আর সেই ডিমই কিনা শিশু-পাতে পড়ছে না। কেন? নাকি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ডিমের জন্য বরাদ্দ টাকাই পাঠাচ্ছে না সরকার। রীতিমতো ধার দেনা করে চালাতে হচ্ছে আইসিডিএস সেন্টার। এমনটাই অভিযোগ উঠল মুর্শিদাদের (Murshidabad) বড়ঞার শিবরামবাটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। তবে কেন্দ্রের শিক্ষিকার এই যুক্তি কোনওভাবেই মানতে নারাজ গ্রামের মানুষ। বুধবার ডিম না পেয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, শুধু ডিম থেকে বঞ্চিত করাই না, ঠিক মতো খাবারও সরবরাহ করা হয়না এই সেন্টারে। প্রায়দিনই বন্ধ রাখা হয়।
প্রশ্ন উঠছে, যদি সবটা জেনেই থাকে প্রশাসন, তাহলে প্রশাসনিক আধিকারিকের ভূমিকা কোথায়? কেন ডিমের জট কাটছে না? এদিকে বড়ঞার সিডিপিও দেবজ্যোতি ঘোষ-এর সাফাই, কিছু কাগজপত্র নিয়ে ঝামেলা ছিল। সেগুলোর জন্যই টাকা আটকে ছিল। দু'একদিনের মধ্যে সেই টাকা স্কুলে পৌঁছে যাবে। তখন আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বড়ঞার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলির বেহালদশার জন্য একমাত্র প্রশাসনকেই দায়ি করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব অয়ন মণ্ডল।
পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। সেই জ্বালা মেটাতেই ভিন রাজ্যে পাড়ি। মনের মধ্যে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে রোজগারের আশায় আপনজনদের ছেড়ে যেতে হয় বাইরের রাজ্যে (West Bengal)। কিন্তু পরিণতিটা যে এতটা মর্মান্তিক হবে তা কেই বা জানত? ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হলো এক পরিযায়ী শ্রমিকের। শিরোনামে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা (Farakka)। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা পরিবারে।
জানা গিয়েছে, বেনিয়াগ্রামের সিংপাড়া এলাকার বাসিন্দা পুতুল মণ্ডল প্রায় ৩ মাস আগে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। বৃহস্পতিবার পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষটি চলে যাওয়ায় মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছে পুতুলের পরিবারে।
কিন্তু নিজের রাজ্য ছেড়ে বারবার ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছেই বা কেন? উত্তরে রাজ্যে কর্মসংস্থানের দুর্দশার চিত্রটা ফের স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ রাজ্যের সরকার বদল না হলে, রাজ্যের উন্নয়ন হবে না। একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) থাবা। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হলো এক গৃহবধূর। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরাও।
জানা গিয়েছে, জ্বর সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে আহিরন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল সীমা বিবিকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সীমা বিবির।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে সুতিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক গৃহবধূর। ফের একই ঘটনার পর স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৎপরতা চোখে পড়ে। এলাকায় ছড়ানো হচ্ছে ব্লিচিং পাউডার, মশার স্প্রে। কিন্তু এতে কতটা কাজ হচ্ছে? আদৌ ডেঙ্গি প্রতিরোধ করা যাচ্ছে? চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পর পর দুটি মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
কেন প্রশাসনিক তরফে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? একের পর এক মৃত্যুতেও কেন হুঁশ ফিরছে না? প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।
'গোঁফচুরি' সুকুমার রায়ের কবিতা হলেও, কবিতাকে যেন একপ্রকার বাস্তবতা দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের জবিরুল। পার্থক্য কেবল একটাই, জবিরুল বিখ্যাত তাঁর গোফ নয়, দাড়ির জন্য। তাতে তার কোনও আক্ষেপ নেই, বরং জবিরুল গোঁফ নয়, দাড়ি দিয়েই নিজেকে চেনাতে চান। তাই গত ২৩ বছর ধরে নিজের দাড়ি সাধনায় মগ্ন হয়ে রয়েছেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে, সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ির মালিক হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড-এ নাম উঠুক।
মুর্শিদাবাদের দিয়ার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ফকির মহম্মদ জবিরুল শেখকে এলাকার সকলেই লম্বা দাড়ির মানুষ হিসেবে চেনেন। ষাট ছুঁই ছুঁই জবিরুল গত ২৩ বছর ধরে দাড়ি পালন করে চলেছেন সযত্নে। বর্তমানে তার দাড়ির দৈর্ঘ্য নয় ফুট। তাঁর ইচ্ছা পূরণ হলেই তিনি দাড়ি কাটবেন, তার আগে নয়। জবিরুল জানান, বিশ্বের দরবারে আমি নিজেকে চেনাতে চাই। আমার দাড়িই সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ির মালিক হিসেবে আমাকে চিনবে লোকে।
কোন একদিন স্বপ্নাদেশ পেয়ে ২০০০ সাল থেকে দাড়ি কাটা বন্ধ করে দেন তিনি। বাড়তে থাকে দাড়ি। জবিরুল বলেন, দাড়ি শুধু রাখলেই হয়না। প্রতিদিন তার যত্ন করতে হয়। দাড়ি আঁচড়ানো, স্যাম্পু করা, পরে তেল দিয়ে চকচকে করে রাখতে বেশ সময় দিতে হয়। অযত্নে দাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে টোটো চালিয়ে জীবন ধারণ করেন জবিরুল। সংসারের অবস্থা খুব একটা ভালো না। সংসারে মা ও ভাই রয়েছেন। দাড়ি রাখার শখ পূরণ করতে গিয়ে তাঁর আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। তবে সেই নিয়ে তাঁর কোনও দুঃখ নেই। তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর আমি লরি চালাতাম। ভালো লাগলো না বলে সেই কাজ ছেড়ে দিই। পরে টোটো গাড়ি কিনে চালাই। সারাদিনে যা রোজগার হয়, কোনও মতে চলে যায়। ভাইও রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসারে সাহায্য করে।
আগেই লম্বা দাড়ির রেকর্ড করা রাজস্থানের বিকানীরের বাসিন্দা প্রবীণ গিরধর ভায়াস বা রাম সিং-এর কথা, জবিরুল জানেন। তিনি বলেন, রাম সিং তো ১৮ ফুট দাড়ির মালিক হিসেবে রেকর্ড করেন। আমাকে তারও বেশি করতে হবে। পুরনো রেকর্ড মালিকদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চান জবিরুল শেখ। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দিনরাত দাড়ির সাধনা করে চলেছেন তিনি।
ভোররাতে হুলুস্থুল কাণ্ড ফরাক্কা সেতুতে (Farakka Bridge)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালগাড়িতে ধাক্কা ১৪ চাকার লরির। এমারজেন্সি ব্রেক কষে বড়সর দুর্ঘটনা (Accident) থেকে বাঁচালেন মালগাড়ির চালক। রেলের তরফে ডাউন রেল লাইনে রেল চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ রাখে। পাশাপাশি ফরাক্কা ব্রিজের উপরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তারপর লরিটিকে রেললাইনের ধার থেকে ক্রেনের মাধ্যমে সরিয়ে আনা হয়। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআইএসএফ (CISF) ও পুলিসের কর্মকর্তারা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে মালদহ থেকে ফরাক্কার রেল লাইন দিয়ে যাওয়া একটি মালগাড়িকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চৌদ্দ চাকার একটি লরি সজোরে ধাক্কা মারে। এমারজেন্সি ব্রেক করে মালগাড়ি চালক ডাউন লাইনে উপর দাঁড়িয়ে যায়। মালদহ থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি। চৌদ্দ চাকা লরিটিও মালদহ থেকে ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। সেসময় ফরাক্কার দিক থেকে মালদহের দিকে একটি ট্রাক্টর আসছিল। ১৪ চাকার লরিটি ব্যারেজের ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ট্রাক্টরকে ধাক্কা মারে এবং তারপরেই গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে ব্রিজের রেলিং ভেঙে দিয়ে ডাউন মাল গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুমড়ে মুছরে যায় ট্রাক্টর ও লরিটি। যদিও কোন রকমে রক্ষা পেয়েছে মালগাড়িটি।
উল্লেখ্য, মালগাড়ি চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আর এটাই সবচেয়ে স্বস্তির খবর বলে মনে করছেন রেল কর্তারা।
স্বাধীনতা দিবসের পর আবারও উদ্ধার (Rescue) ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত বলবলপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছে। ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বলবলপাড়া এলাকার একটি ইট ভাটা সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে হানা দেয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। তারপরেই সেখানে থাকা একটি সেগুন গাছের পাশে একটি ব্যাগের ভিতরে থাকা তাজা বোমা গুলো দেখতে পায় পুলিস। বোমা উদ্ধারের পরেই এলাকাটি ঘিরে রেখে পুলিস পিকেট বসানো হয়। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াড টিমকে। কে বা কারা ঠিক কি উদ্দেশে এবং ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা রেখেছে গিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।