Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

JEE

TMC: 'জনগর্জন' সভা থেকেই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা, ব্রিগেড মঞ্চে থাকছে বড় চমক

সুপার সানডে! লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল। আজ, 'জনগর্জন সভা' তৃণমূলের। আর সেই সভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। ক’দিন আগে বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছিল। সূত্রের খবর, আজকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে।

৪২ এ ৪২-এর লক্ষ্যে 'জনগর্জন সভা' থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সভা থেকেই প্রার্থী তালিকা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ব্রিগেডের ময়দানই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার করবেন সুপ্রিমো। ৪২ টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ঘরে তুলেছে তৃণমূল। ব্রিগেডের মঞ্চে আরও বড় কোনও চমক থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

2 months ago
TMC Brigade: হাই-ভোল্টেজ রবিবার! 'জনগর্জন' সভা মমতা-অভিষেকের, সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

একেবারেই হাইভোল্টেজ রবিবার। একদিকে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। আর অন্যদিকে তৃণমূলের ব্রিগেডের পালটা আজ সন্দেশখালিতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকবেন সন্দেশখালির মহিলারা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সভা হবে।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দিন ঘোষণা না হলেও একেবারে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে ডান-বাম রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে বাংলায় সন্দেশখালির ইস্যুকে কেন্দ্র করে লাগাতার বিক্ষোভ-মিছিল, আন্দোলনে নেমেছিল বঙ্গ বিজেপি। সন্দেশখালির বুকেই সভা করবেন আজ শুভেন্দু-সুকান্তরা।

এক ইঞ্চি ময়দান ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবিরও। ব্রিগেডের 'জনগর্জন' সভার মধ্যে দিয়ে একেবারে পুরোদমে লোকসভা নির্বাচনে নেমে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ব্রিগেডের ময়দান থেকেই সন্দেশখালি ইস্যুতেও বার্তা দিতে পারেন তাঁরা, এমনটাই সূত্রের খবর।

নতুন রূপে তৈরি করা হয়েছে 'জনগর্জন' সভা মঞ্চ। ৩৩০ ফুট লম্বা র‍্যাম্প মূল মঞ্চের সামনে তৈরি হয়েছে। মূলত বিদেশের বিভিন্ন মিউজিক কনসার্ট কিংবা ফ্যাশন শো'তে এমন র‍্যাম্প দেখা যায়। সেই মঞ্চ তৈরি হয়েছে ব্রিগেডের। আর এই র‍্যাম্প ধরেই জনতার মাঝে পৌঁছে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে মূল মঞ্চ লম্বায় ৭২ ফুট, মাটি থেকে ১২ ফুট উপরে তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের পিছনে থাকছে এলসিডি। যাতে ব্রিগেডের সমস্ত কোণা থেকে সবাই দেখতে পারেন। শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীরা আসতে শুরু করেছে।

যদিও সন্দেশখালিতে সভার আগে মহিলাদের ভয় দেখানোর অভিযোগ সামনে আসছে। বিজেপির দাবি, সন্দেশখালির মানুষ যাতে বিজেপির সভায় না যেতে পারে সেজন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও শাসকদলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বাস কিংবা অন্য কিছু তো তৃণমূলের ব্রিগেডের জন্য পাওয়া যাবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই মাঠ ভরাবেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। তাঁর সঙ্গে এদিন সন্দেশখালির সভায় থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

2 months ago
Kunal Ghosh: ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল, কুণালকে সমর্থন তাপসের

বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর  বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল। তিনি অভিযোগ করেছেন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বেশ কিছুটা সময় ছিলেন একটি ভুবনেশ্বরে বেসরকারি হাসপাতালে। কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন সেই সময় সুদীপের হাসপাতালের বিল কে দিয়েছে? তিনি দিয়েছেন না কেউ তার হয়ে দিয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা? এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কুণাল। 

অবাক হওয়ার মত ঘটনা, এতদিন ধরে যে কুণাল ঘোষ ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করেছেন। খড়্গহস্ত হয়েছেন, সেই কুণালই এবার সুদীপ প্রসঙ্গে ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কুণালের মতে সুদীপের হাসপাতালের বিল নিয়ে ইডি ও সিবিআই তদন্ত করে দেখে যদি কোনও গরমিল পায় তাহলে সুদীপের ফের গ্রেফতার হওয়া উচিত। যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিজে থেকে না এগোয়, তাহলে তিনি নিজে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং এই বিষয়ে তদন্তের আবেদন করবেন, এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন কুণাল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়লেও তিনি যে দলের জন্য পথে নেমে লড়াই জারি রাখবেন তার বার্তাও শনিবার দিয়েছেন কুণাল।

শুধু কুণালই নন, এবার কুণালের সমর্থনে তৃণমূলের আর এক বিধায়ক, তাপস রায়। ঠিক কি বললেন তিনি। তিনিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে এলেন জনসমক্ষে। কুণাল ঘোষ একজন সাংবাদিক তার যুক্তি তো ফেলে দেওয়া যায়না। কয়লার টাকা নিয়ে খুব ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন কুণাল।

কুণালের মতই তাপসের গলাতেও অভিমানের সুর। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই দুঁদে নেতার মন্তব্যেই হাওয়া গরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘাসফুলের অন্দরের কোন্দলের যে গুঞ্জন ছিল রাজনীতির বাতাসে তাই এই দুই নেতার মন্তব্যে প্রতিধ্বনিত হল।  লোকসভা নির্বাচনের আগে যা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে নিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

2 months ago


Derby: সুখের পায়রা

প্রসূন গুপ্তঃ সুখের দিনের বন্ধু এবং দুঃখে পলায়নের কথা তো চিরকালীন। রাজনীতিতে এর যোগ সবচাইতে বেশি। ৭৭-এ বামেরা মোটেই পূর্বতন কংগ্রেসীদের তাদের দলে নিয়ে নেয়নি, কারণ এটা তাদের ট্র্যাডিশন নয়। কিন্তু ২০১১-তে তৃণমূল আসার আগে থেকেই বাম দলগুলি থেকে গুন্ডা, বদমাস অথবা সমাজবিরোধীরা চেষ্টা করলো নতুন দলে আসার জন্য। শুধু তারাই নয়, নেতাদেরও জার্সি বদল শুরু হলো। ওই সময়ে তৃণমূলে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন মুকুল রায়। তিনি বাঁধন ছাড়া এই দলকে আশ্রয় দিয়েছিলেন দলে। প্রতিবাদ এসেছিলো ভীষণভাবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তাঁর এই প্রয়াসকে পাথেয় করে কমতি যাননি অন্য নেতারাও। যথা আপাতত জেলে থাকা বালু মল্লিক।

আজকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বুঝতে পারছেন কি সর্বনাশটি সংগঠিত হয়েছে। হাতে গরম প্রমাণ সন্দেশখালি। এরা সব সুখের পায়রা। এদেরই এক দল তৃণমূলে পাত্তা না পেয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলো। বলতে গেলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বেশিরভাগটাই প্রাক্তন সিপিএম। বাম থেকে রাম। এছাড়াও এমন বহু যুবক বা মধ্যবয়সী ২০১১-র পরে তৃণমূলে এসেছে। এরা জানেই না বা জানতে ইচ্ছুক নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি প্রচন্ড লড়াই লড়েছিলেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। অনেকেই নিজেদের আখের গোছাতে দল করছে। অবিশ্যি তৃণমূলের প্রবল শক্তির মধ্যে একটি দুর্বল স্থান সোশ্যাল নেটে তাদের ভূমিকা। যেখানে বিজেপি তুমুল শক্তিশালী বা শূন্যে থাকা সিপিএমও। দেখা গিয়েছে কয়েক মাস আগে তৃণমূল একটি আইটি সেল খুলেছে। চেষ্টা করছে তারা প্রচার করতে দলের, কিন্তু সুখের পায়রা এখানেও ঢুকে পড়েছে। তারা কমিটিতে না থাকলেও দাবি করছে তারা নাকি প্রচুর প্রচার করছে দলের হয়ে। আসলে কিছুই নয়। ওই জানান দিতে যে 'আমি দিদির লোক'।

গতকাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ জানালেন যে, আগামী ১০ মার্চ সকল ১১ টাতে ব্রিগেডে মহা সমাবেশ। এদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ। কাজেই একদল ওই যুবকরা বেজায় ক্ষুব্ধ। তারা পোস্ট করে দলেরই সমালোচনা করছে। এই নব্য তৃণমূলীদের কতটা ভরসা করা যায় তা নিশ্চিত ভাবনার।

2 months ago
Minakshi Mukherjee: 'পুলিসের এত বড় নখ!' কালো কাপড় বেঁধে ওরা কারা? মীনাক্ষীকে আটকাতে ছদ্মবেশী বাহিনী?

সন্দেশখালির তপ্ত ভূমে পা রাখেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যাত্রাপথে বাধা দেয় পুলিস। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বকে। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরই মাঝে উঠে আসে অন্য এক ছবি। পুলিস ফোর্সের পোশাকে মুখে কালো কাপড় বাধা বেশ কয়েকজন। পুলিস পিকেটিংয়ের মাঝে এরা কারা? পুলিসের হাতে এত বড় বড় নখ কেন? প্রশ্ন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের।

বাধা পেয়ে আচমকা মীনাক্ষী বলে ওঠেন, “এই তোমার নাম কী? তোমাদের নেমপ্লেট কোথায়?” পরক্ষণেই বলে ওঠেন, “ছবি তোল, পুলিসের পোশাকে তৃণমূল কর্মীরা এসেছেন। এরা পুলিস তো? মুখ ঢাকা কেন?” পাশ থেকে বাম কর্মীরা মহিলা পুলিস কর্মীদের নখ দেখে মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, “এদের নখ বড় কেন? নেলপলিশ পরে আছে পুলিস কর্মী? এরা কেউ পুলিসের লোক নাকি। এদের নখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা পুলিসের কর্মী নয়। সব তৃণমূল কর্মী।”

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে পুলিসের পোশাকে হামলা করেছিল সিপিএম ক্যাডাররা। পাল্টা ইতিহাস ঘেঁটে কটাক্ষ শাসক নেতা শান্তনু সেনের। অন্যদিকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন,  কালো কাপড়ে সন্দেহভাজন কারা? তদন্ত করবে না পুলিস। মানবাধিকার কমিশনে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

পুলিসের মধ্যে মিশছে আততায়ীরা? সত্যিই কি অন্য কেউ তপ্ত করছে সন্দেশখালি? মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ কি অন্য অধ্যায়ের সূচনা করবে সন্দেশখালিতে? অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে।

2 months ago


Sandeshkhali: একই যাত্রায় পৃথক ফল! ১৪৪ যুক্ত এলাকায় নির্বিঘ্নে ঘুরছেন পার্থ-সুজিত, বাধাপ্রাপ্ত মীনাক্ষী

শনিবার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। প্রথমে ছদ্মবেশে সন্দেশখালি ঢুকলেও পুলিসি বাধার মুখে পড়েন বাম নেত্রী মীনাক্ষী। ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে গ্রামে যেতে বাধা দেওয়া হয় মিনাক্ষী-সহ সিপিএমের যুব নেতানেত্রীরা। তবে শনিবার সকাল থেকেই গ্রামে ঘুরছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা কীভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন, প্রশ্ন মীনাক্ষীর।

শনিবার সকালে মুখ ঢাকা দিয়ে পুলিসের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। টোটো করে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতেও যান মীনাক্ষী। দুপুর দেড়টার পর মিনাক্ষীদের পুলিস আটকায়। তার আগেই বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ফেলেছেন মিনাক্ষীরা। মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম নেত্রী। পুলিসের তরফে সাফ জানানো হয়, যেহেতু সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গাতে ১৪৪ ধারা রয়েছে তাই সেখানে একসঙ্গে এত লোকজন নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। তারপরই পুলিসের কাছে লিখিত অর্ডার দেখতে চান মীনাক্ষীরা। যদিও পুলিস কোনওরকম অর্ডার দেখাতে পারেনি।

এদিকে, শনিবার গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে যান সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। পুলিসি বাধা পেয়ে মীনাক্ষী দুই মন্ত্রীকে ‘শাহজাহানের লোক’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘পার্থ, সুজিত শাহজাহানের দলের লোক। ওঁরা মানুষকে ভয় দেখাতে এসেছেন। যখন জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল, তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন? ‘দুয়ারে সরকার’ কোথায় ছিল?’’

মীনাক্ষী আরও বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমি একা যেতে পারি। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই। আমরা যেতে চাইছি। যেতে দিচ্ছে না। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আছে। পুলিসের সঙ্গে কথা বলতে চাই। মানুষ জমি ফেরত চায়। পুলিশের শাস্তি চাই। পুলিশ মানুষের কথা শোনে না। আমরা সে বিষয়ে কথা বলতে এসেছি। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিস তা বার করে দিক।’’ থানায় যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হয় মীনাক্ষীদের। সন্দেশখালি ঘাটের কাছে বসে পড়েন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিসি বাধার মুখে পড়েন মীনাক্ষীরা।

2 months ago
HC: জেলে ১ বছর ৭ মাস! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিচারপ্রক্রিয়া কবে শুরু হবে? ইডির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

প্রায় এক বছর সাত মাস ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল হাজতে রয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। এমন দাবি ইডি ও সিবিআই করে এসেছে বরাবর৷ এবার ইডির বিশেষ অধিকর্তার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় এই তলব বলে জানা গিয়েছে। কবে থেকে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করা সম্ভব? সেই বিষয়ে রিপোর্টে আদালতকে জানাতে হবে। বুধবার এমনই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

এদিনের আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে হেফাজতে রাখা যায় না। এক বছর সাত মাস জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সেই কথা ঠিক আছে। কিন্তু আর কতদিন? ইডির আইনজীবী ও আধিকারিকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিচারপতির।

প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ বিশেষ সেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বান্ধবী অর্পিতাও জেল হেফাজতে। একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে তদন্ত মাধ্যমে। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। তৃণমূলের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, দলের মহাসচিবের জায়গা হয়েছিল গারদের ওপাড়ে। দল তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার মতোই। মন্ত্রিসভা থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেভাবে এত দিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা খরচ করেনি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশ কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে জামিনের আবেদন করে এসেছেন। নিজে জামিনের সওয়াল করেছেন। তিনি কোথাও যাবেন না। বাড়িতেই থাকবেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ। এভাবে আর জেলবন্দি থাকতে পারছেন না। আদালতে বহু বার এমন কথা বলে কাতর আবেদন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোনওবারই জামিন মেলেনি৷ ইডি ও সিবিআই বরাবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রভাবশালী বলে আখ্যা দিয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মুখ। এই দাবিও করা হয়েছে। জামিন বরাবর না মঞ্জুর হয়েছে আদালতে।

এবার আদালত এই বিষয়ে নিজেই প্রশ্ন করেছে৷ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। ওই দিন ইডিকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে হবে। তাহলে কি এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া?

2 months ago
Aadhar card: আধার ইস্যুতে সপ্তমে তরজা, বিকল্প কার্ডের আশ্বাস মমতার, পাল্টা কটাক্ষ শুভেন্দু্র

বাংলার একাধিক জেলায় হঠাৎই নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড! এমন অভিযোগ উঠতেই মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-সহ কেন্দ্রীয় সরকার ডার্টি গেমস খেলছে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ইতিমধ্যে আধার সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপরেও আধারকে ইস্যু বানিয়ে হাওয়া গরম করছেন মুখ্যমন্ত্রী, অভিযোগ বিরোধী শিবিরের। সংখ্যালঘু, তফশিলি তাস খেলে কি ভোটের আগে হাওয়া ঘোরানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। মতুয়া সম্প্রদায়কেও পাশে টানার চেষ্টায় মমতা। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সন্দেশখালি-কাণ্ডে ভোটের আগে ব্যাকফুটে শাসক দল। তাই কি নন-ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে হাওয়া গরম করছেন মুখ্যমন্ত্রী, উঠছে প্রশ্ন।

আধার-কাণ্ডে বিহিত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে, নবান্ন থেকে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই দাবি খোদ সামাজিক মাধ্যমে করছেন বিরোধী দলনেতা। তারপরেও কেন এত চড়া সুর মুখ্যমন্ত্রীর, বিরোধী মহলে উঠছে প্রশ্ন। সন্দেশখালি-কাণ্ডে কি পায়ের তলায় মাটি সরেছে শাসক দলের? তাই কি আধার নিয়ে সোচ্চার হয়ে পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, এই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

তবে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই ইস্যুতে অভিযোগ আবার গুরুতর। তাঁর দাবি, ভোট পাগল মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের জন্য উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। নথি তুলে তাঁর দাবি, কোনও আধার কার্ড বাতিল হয়নি। টাকা দিয়ে এই কাজ রাঁচি থেকে করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গুরুতর অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। এই কাজে রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমারের ভূমিকাও দেখছেন শুভেন্দু। মমতার প্রতিশ্রুতি আধারের বিকল্প কার্ড দেবে তাঁর সরকার। এই ঘোষণাকেও তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।

এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় সন্দেশখালি ইস্যুতে। জাতীয় এসসি কমিশনের পর জাতীয় মহিলা কমিশনও বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে মুখ খুলেছেন। যদিও সন্দেশখালিকে গুরুত্বহীন বানাতে চক্রান্ত, বিরোধীদের উসকানি দাবি করে আসরে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শাসক দলের নেতারা। তাই কি ঘুরিয়ে আধার কার্ডকে ইস্যু বানিয়ে ভোটার থুরি মানুষের মন জয়ের চেষ্টা, উঠছে প্রশ্ন।

2 months ago


Rajya Sabha: রাজ্যসভার নতুন মুখ সাগরিকা ও শমীক

প্রসূন গুপ্তঃ রবিবারেই ধার্য হয়ে গেলো, এই রাজ্য থেকে আগামীতে রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করবেন কারা? তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যে ৪ জন যাচ্ছেন তাঁরা যথাক্রমে নাদিমুল হক, সুস্মিতা দেব, মমতা ঠাকুর এবং নতুন মুখ সাগরিকা ঘোষ। এর মধ্যে ফের আরও একবার সুযোগ পেলেন নাদিমুল, কারণ সংখ্যালঘু মুখ। সুস্মিতা আগেও তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন এবং কাজটিও ভালো করেছিলেন কাজেই ফের একবার ও মমতা ঠাকুর একবার লোকসভার সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে হেরে যান। তিনি মতুয়া প্রতিনিধি এবং ঠাকুর বাড়ির প্রতিনিধি কাজেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে এবারে রাজ্যসভায় পাঠালেন। বাকি সাগরিকা ঘোষ।

সাগরিকা সাংবাদিক। টেলিভিশনের নিয়মিত মুখ ছিলেন। অসাধারণ বাচনভঙ্গি। ইংরেজি ও হিন্দিতেই তিনি তাঁর কাজ করেছেন। দিল্লির প্রবাসী বাঙালি এবং সেখানেই বেড়ে ওঠা। সাগরিকা কোনও সাক্ষাৎকার নিতে গেলে অতিথির ঘাম ছুটিয়ে দিতেন। তাঁর পিতা ভাস্কর ঘোষ কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ বিভাগে ডিরেক্টর ছিলেন। ভাস্করবাবু দূরদর্শনের অন্যতম পরিচালকও ছিলেন দীর্ঘদিন। কংগ্রেসের পছন্দের মানুষ ছিলেন। সাগরিকার অন্য এক পরিচয়ও আছে। তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাজদীপ সারদেশাইয়ের পত্নী। তাঁকে মমতা পাঠালেন সুবক্তা এবং রাজনীতি সচেতক হিসাবেই।

অন্যদিকে অনেক জল্পনা কাটিয়ে বাংলা থেকে একমাত্র আসনে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে আগামীতে দেখা যাবে রাজ্যসভায়। রাজ্য বিজেপিতে অনেক জল্পনা ছিল অনেক নাম নিয়ে। মিঠুন চক্রবর্তী, অনির্বান গাঙ্গুলি, ভারতী ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ইত্যাদি নাম নিয়ে ছিল টেনশন। এ বিষয়ে নাকি সম্প্রতি অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের আলোচনাও হয়েছিল। জল্পনার নামগুলি উঠে এসেছিলো ওই ভাবেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের অতি পছন্দের শমীককেই রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। শমীক এক সময়ে বসিরহাট থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন, কিন্তু তারপর নানান নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেও হেরে গিয়েছেন। শমীক সুবক্তা, রাজনীতির পড়াশুনা অগাধ এবং বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরেই থাকে পছন্দ করেন। সাগরিকা বা শমীক কিন্তু বক্তা হিসাবে রাজ্যসভায় স্থান করে নেবেন বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলে।

2 months ago
Dev: দেব ফিরলেন ঘরে!

প্রসূন গুপ্তঃ রাজনৈতিক জটিলতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল নেতৃত্বের। কখনও ইডি বা সিবিআই, কখনও সন্দেশখালি অথবা দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান। এরই উপর অভিনেতা, সাংসদ দেবের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার আভাস। সম্প্রতি বাজেট অধিবেশনে দেব লোকসভায় বলেই ফেলেন যে, আগামীতে যেন তাঁর কেন্দ্র ঘাটালের উন্নয়নের দিকে নজর দেয় সরকার। কারণ নাকি তাঁকে আর পাওয়া যাবে না।

এখানে প্রশ্ন ১) ফের বর্তমান সরকারই যে ফেরত আসবেন, তা দেব কি পরোক্ষে জানিয়ে দিলেন? ২) তিনি কি আর রাজনীতিতে থাকতে চাইছেন না? এর পরেই দেব সংবাদ তুষের আগুনের মতো ছড়িয়ে পরে। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো ছিলেন তিনি। শোনা গিয়েছে, দেবের এই অনাগ্রহের পর নাকি উত্তর-পূর্বের কোনও এক অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী দেবকে ফোন করেন এবং বিজেপিতে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। উত্তরে দেব কি জানিয়েছিলেন তা অবিশ্যি জানা যায় নি।

শোনা গিয়েছিল, আরও দুটি ঘটনা ১) কয়েক মাস আগে দেবের প্রোডাকশনের ছবি প্রজাপতি নন্দনে রিলিজ করতে দেওয়া হয় নি, এতে ভয়ঙ্কর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। তারপরেই দলের অতি অপছন্দের কোনও এক প্রচার মাধ্যমে তিনি উপস্থিত থেকে নাকি এমন সব ছবি তুলে প্রকাশ করেন যাতে দল খুশি হতে পারেনি। ২) তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া মিঠুন চক্রবর্তীকে নিজের ছবিতে নেওয়া এবং তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, দলের একাংশের আপত্তি ছিল। এসব কারণ বাদেও তাঁর কেন্দ্র ঘটালে কোনও এক নেতা নাকি দেবকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কাজেই সব মিলিয়ে অভিমানী দেব নাকি আর রাজনীতিতে থাকবেন না শোনা যাচ্ছিলো।

শনিবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবের সঙ্গে নিজের অফিস ক্যামাক স্ট্রিটে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে দেব চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সবশেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। দেব ফের প্রার্থী হচ্ছেন ঘটালে।

তবে একটি কথা না বললেই নয়, তৃণমূল দল চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং তাঁর ছবি বহন করেই দলের এতো শক্তিবৃদ্ধি, তা সত্বেও দেব কে নিয়ে এতো ভাবনার কি আছে? উত্তর বোধহয় জানা থাকলেও কেউ মুখে আনবেন না তৃণমূলের।

3 months ago


Dev: অভিষেকের সঙ্গে ৫০ মিনিটের বৈঠকে কাটল জট! নির্বাচনে দাঁড়াতে রাজি দেব

সমস্ত জল্পনার অবসান। দলেই থাকছেন দেব। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনেতা সাংসদ দেব জানিয়েছেন দল যেখানে দাঁড়াতে বলবে সেখানেই দাঁড়াবেন তিনি।দীর্ঘ ৫o মিনিটের বৈঠকে মিলল সমাধান সূত্র। এমনটাই খবর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে।

শনিবার বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা কালীঘাটে গেলেন দলের তারকা সাংসদ দেব। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন বলে খবর। বেশ কয়েকমাস যাবৎ ঘাটাল লোকসভার একাধিক নেতার সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় সাংসদ দেবের। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বৈঠকে কড়া ভাষায় জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতাকে সতর্ক করেন।

সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'দেব ভালো ছেলে, ওকে কেন বিরক্ত করছেন।' গত ৩ রা ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত তিনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সমিতি থেকে ইস্তফা দেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। জল্পনা শুরু হয় এবার কি তাহলে রাজ্যসভা? লোকসভা অধিবেশনের শেষ দিনে দেবের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট একাধিক জল্পনা উসকে দেয়। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন এবার আর রাজনীতি নয়, একেবারে অভিনেতা দেবকেই দেখা যাবে।

যদিও সূত্রের খবর, ৫০ মিনিটের বৈঠকে দলের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে এদিন আলোচনা করেছেন দেব। সেই আলোচনা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেব জানিয়েছেন, নির্বাচনে লড়াই করতে রাজি তিনি। বৈঠক শেষে হাসি মুখেই বেরিয়ে যান দেব।

3 months ago
Camp: চলতি মাসে শুরু হতে চলেছে '১০০ দিনের কাজের' রেজিস্ট্রেশন ক্য়াম্প

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি পালনে তোড়জোড় শুরু প্রশাসনের। মুখ্য়মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শুরু হতে চলেছে ১০০ দিনের ক্য়াম্প। শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করতে ক্যাম্প করবে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। যাদের এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ করেও বকেয়া টাকা রয়েছে শ্রমিকদের। তাঁরা তাঁদের সঠিক প্রমাণ দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এই ক্যাম্পে। তাঁদের নাম রেজিস্ট্রেশন করানো হবে এই ক্যাম্পে। তারপরেই তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য় টাকা পাবে। 

আগামীকাল অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে সেই রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। জেলার সমস্ত লোক সভা কেন্দ্রে হবে এই রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। এই ক্য়াম্প শেষ হওয়ার পর জেলা প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কারা ১০০ দিনের বকেয়া টাকা পাবে। 

3 months ago
Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় কারা ?

প্রসূন গুপ্ত: নরেন্দ্র মোদী লোকসভা চলাকালীন আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে দাঁড়ায় এই যে, এপ্রিলের আগে ভোট হবে না, কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের ৫৬টি রাজ্যসভার আসন খালি হচ্ছে, কাজেই তা ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণ করতে হবে। আগামী ২৭ মার্চ দেশের এই কটি আসনে ভোট যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৫টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে।

রাজ্যসভার ভোট দেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র বিধায়কদের আছে। এই মুহূর্তে বাংলার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রবল শাক্তিশালী এবং তাদের দলে ২২৫ জন বিধায়ক রয়েছে (বিজেপি থেকে ভেঙে বেরিয়ে আসা ১২ জন তার মধ্যে আছে)। অন্যদিকে বিজেপির শক্তি ৬৬ জনের মোটামুটি। অতএব তৃণমূল ৪ জন এবং বিজেপি ১ জন সাংসদ বেছে নিতে পারবে। প্রশ্ন হচ্ছে কারা হতে পারেন আগামীর রাজ্যসভার সাংসদ।

গুঞ্জনে বহু নাম ঘোরাফেরা করছে। সম্প্রতি অমিত শাহ দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বাংলার দায়িত্বে থাকা অন্য নেতাদের সঙ্গেও। সেখানে নাম উঠে এসেছে মূলত দুই ব্যক্তির, মিঠুন চক্রবর্তী এবং অনির্বান গাঙ্গুলির। অবিশ্যি দুটি নাম ঘোরাফেরা করছে মানেই তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। তবু নাম তাদের রয়েছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী ঠিক করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজগৃহে অনেক্ষণ আলোচনা করেছেন মমতা। যাঁরা সাংসদ ছিলেন যথা শুভাশিস চক্রবর্তী, ড.শান্তনু সেন, নাদিমুল হক এবং আবির বিশ্বাস। এ ছাড়া তৃণমূলের একাংশের ভোটে জিতেছিলেন 

কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র তথা আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভী। মমতার অত্যন্ত কাছের কংগ্রেস নেতাকে ফের ফিরিয়ে আনতে পারেন এমন গুঞ্জন বাজারে আছে সে ক্ষেত্রে তৃণমূল তিন জন প্রার্থী দিতে পারবে। অথবা মমতা ৪ জন তৃণমূলকেই পাঠাবেন রাজ্যসভায়। বাদের তালিকা রয়েছে বলে খবর। বাদের খাতায় শান্তনু সেন এবং নাদিমুল রয়েছেন। যদি এমনটি হয় তবে নতুন মুখ কে হতে পারবেন ? উত্তরে জানা যাচ্ছে, এমন কাউকে মমতা পার্লামেন্টে পাঠাতে চাইছেন যিনি দলের ও দেশের হয়ে কথা বলতে পারবেন। আর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিত্র পরিষ্কার হবে।

3 months ago


Metro: মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর, সাময়িক বন্ধ মেট্রোর কাজ!

মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের জন্য সাময়িক বন্ধ ভিআইপি রোডে চলা অরেঞ্জ লাইনের মেট্রোর কাজ। মেট্রো সূত্রে খবর, দিল্লি সফরে যাওয়ার জন্য ভিআইপি রোড ব্যবহার করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেট্রো কাজ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করা হয় বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। সেই কারণের সোমবার বেলা ১২ টা থেকে বন্ধ থাকছে মেট্রোর কাজ।

প্রসঙ্গত, বর্ধমান সফর থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ড্যাশবোর্ডের ধাক্কার মাথায় সামান্য চোটও পান তিনি। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার নিরাপত্তার কোনও খামতি রাখতে নারাজ প্রশাসন। পুলিস সূত্রে খবর, সেই কারণেই মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রো কর্তৃপক্ষ অরেঞ্জ লাইনের কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নির্মাণ বন্ধের কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলেই জানান মেট্রো আধিকারিকেরা।

মুখ্যমন্ত্রীর সফরে মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্য প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, এই লাইনের কাজ বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। হাজার হাজার নয়, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাড়ি এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এর পরেই বিরোধী দলনেতা বিধাননগর পুলিসের উদ্দেশ্যে ২টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। লেখেন, নির্মাণ কাজ যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে ট্রাফিক বিভাগ জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য আগে কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কি চিন্তার বিষয় নয়?

মেট্রো রেলওয়ের নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা বলে আপনারা মুখ্যমন্ত্রীকে কী বার্তা দিতে চাইলেন? হীরক রানি যেখানেই যাবেন সেখানে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে?

আর এখানেই ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মেট্রোর মত এতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা যায়। যেখানে দেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে, সেখানে বিধাননগর পুলিসের এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তা বলাই বাহুল্য।

3 months ago
Maldah: মালদহে একই দিনে রাহুল ও মমতা, জোট সঙ্কটের মধ্যে দেখা হবে?

বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না তৃণমূল। তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে তাঁকে কিছু না জানানোয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অসৌজন্যের অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ এমতাবস্থায় একই দিনে মালদহ জেলায় মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী। আগামী ৩১ শে জানুয়ারি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে বিহার থেকে মালদহ জেলায় প্রবেশ করবেন রাহুল গান্ধী। আর সেদিনই মালদহ শহরের ডি এস এ ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর একই দিনে দুই দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের সভাঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

৩১ শে জানুয়ারি বিহারের কাঠিয়ার থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর রতুয়া হয়ে ইংরেজ বাজারে আসবেন রাহুল গান্ধী। রাত্রিবাস করবেন মালদহের সুজাপুরে। এরপর ১ তারিখ  মুর্শিদাবাদে পৌঁছবে ন্যায়যাত্রা।

জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালিসাধন রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণে তাদের কর্মসূচি লন্ডভন্ড করার জন্য ইচ্ছে করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। পুলিস প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলাই উদ্দেশ্য। পাল্টা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, এই রাজ্যে কংগ্রেস বিষময় রাজনীতি করছে। রাহুল গান্ধী কর্মসূচি করবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব প্রশাসনিক সভা করবে। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল থেকে সরে যাচ্ছে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল, আর সেই কারণেই কংগ্রেসের কর্মসূচির দিন ইচ্ছে করে প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। কটাক্ষ বিজেপি দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরির।

বরাবরই মালদহ জেলা ছিল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের কাছ থেকে মালদহ জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। ২০১৯ সালে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র জিতে যায় বিজেপির খগেন মুর্মু। দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে মাত্র ৮ হাজার ভোটে জয়ী হন কংগ্রেসের আবু হাশেম খান চৌধুরী।

২০২১ সালে জেলার বারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে আটটিতে জয়লাভ করে তৃণমূল, চারটি যায় বিজেপির দখলে। নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে শূণ্য হাতে ফিরতে হয় কংগ্রেসকে। আর সেই হারানো মাটি উদ্ধার করতে রাহুল গান্ধীর এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে এমনই কংগ্রেস সূত্রে খবর। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে তৎপর তৃণমল।

3 months ago