Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

JEE

Mamata Banerjee: বর্ধমানে দুর্ঘটনার কবলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি, মাথায় চোট পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

ফের আঘাত পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গাড়ির সামনে হঠাৎ অন্য এক গাড়ি চলে আসায় ব্রেক কষতেই মাথায় চোট পান তিনি। তবে এই চোট তেমন গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। আজ অর্থাৎ বুধবার গোদার জনসভা থেকে বেড়োনোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা সেরে কলকাতা ফিরেছেন।

২৪ জানুয়ারি, বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানে পৌঁছতে হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে এদিন হেলিকপ্টারে চেপে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কলকাতায় ফেরার সময় গাড়িতে চেপে রওনা দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনে হঠাৎ একটি গাড়ি চলে আসায় তাঁর গাড়ি জরুরী ভিত্তিতে ব্রেক কষতেই মাথায় আঘাত পান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কপাল উইন্ড স্ক্রিনে ঠুকে যায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁর কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। প্রায় দেড় মিনিট পর ফের কনভয় কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত গুরুতর নয়। সামান্য আঘাত পেয়েছেন তিনি। কনভয়ের সামনে কী করে গাড়ি চলে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে জানা যাচ্ছে, কুয়াশার কারণেই দুর্ঘটনার কবলে পরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি।

4 months ago
HC:পার্থ ও সুজয়ের হয়ে সওয়াল এজির! এমন কাণ্ডে বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতির

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি ছিল নিয়োগ মামলার দুই মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। সেই মামলায় পার্থ এবং সুজয় দু’জনের জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন রাজ্যের এজি। রাজ্যের এজির সওয়ালে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। রাজ্যের প্রতিনিধি কেন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল করছেন রাজ্যের এজি কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। প্রশ্ন করেন, আপনার কাছে অনুমতি আছে? তারপরেই বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের অনুমতি পত্র ছাড়া সওয়াল শোনা সম্ভব নয়। যার জেরে পিছিয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলার শুনানি।

উল্লেখ্য, রাজ্যের এজি পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগে থেকেই পার্থ এবং সুজয়ের জামিনের মামলা হাইকোর্টে লড়ছেন কিশোর দত্ত। সেই মামলা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই আবহেই রাজ্যের নতুন এজি পদে দায়িত্ব নেন কিশোর। তারপরে বুধবার পার্থ এবং সুজয়ের জামিনের শুনানি পড়ে। নিজের হাতে থাকা পুরোনো মামলা নিজেই লড়তে এসেছিলেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। কিন্তু সওয়াল করতে এসেই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। এর পরেই সময় চান রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত। রাজ্যের অনুমতি নিয়ে সওয়ালে অংশ নেওয়ার কথা জানান তিনি। বিচারপতি জানান, রাজ্য যদি অনুমতি দেয়, তবে আদালতের কোনও অসুবিধা নেই।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্থের জামিনের মামলার শুনানি হবে। সুজয়ের মামলাটির পরবর্তী শুনানি ৬ ফেব্রুয়ারি। 

4 months ago
Mamata: নেতাজির মৃত্যুরহস্য নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর, কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে নেতাজির নাম। মঙ্গলবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে তাঁর মৃত্যুরহস্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে উনি কোথায় হারিয়ে গেলেন, তা আমরা আজও জানতে পারলাম না।

নেতাজির মৃত্যুরহস্য নিয়ে তোলা মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নেতাজির মৃত্যুরহস্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই সুর মেলালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর দাবি, নেতাজির অন্তর্ধানের সমস্ত রহস্য প্রকাশ্যে আনতে হবে।

নেতাজির মৃত্যুরহস্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে গেরুয়া শিবির।  বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, দুর্নীতির ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই নেতাজির মৃত্যুরহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূলের জমানায় চাকরি চুরি, গরিব মানুষের রেশনের চাল চুরি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের সাক্ষী থেকেছে এই বাংলা। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে বাংলার শাসকদল। এই অবস্থায় দুর্নীতির ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্যই কি নেতাজির মৃত্যুরহস্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

4 months ago


Mamata: সংহতি মিছিলে মমতা ও অভিষেক, পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই সোমবার রাজপথে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা পর্ব শেষের পরই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কলকাতার রাজপথে সংহতি মিছিল শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।  সর্বধর্ম সমন্বয়ে এই মিছিলে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ৩টের আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে, আরতি করে যাত্রা শুরু করেন তিনি। 

মিছিলের পুরোভাগে কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, ছিলেন সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। পুরোহিত, মোয়াজ্জেম, শিখ গুরু, গির্জার ফাদার প্রত্যেকে সামনে থেকে এই মিছিলকে নেতৃত্ব দেন। মিছিল করে তাঁরা পৌঁছে যান গড়চায়। সেখানে স্কুটিতে ওঠেন মমতা। সেই স্কুটি তাঁকে পৌঁছে দেয় গুরুদ্বারের সামনে। সেখানে নেমে গুরুদ্বারে একাই ঢুকলেন তৃণমূল নেত্রী। গুরুদ্বারের ধর্মগুরুরা তাঁকে স্বাগত জানিয়ে ভিতরে নিয়ে যান।

গুরুদ্বার থেকে বেরিয়ে ফের মিছিলে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  নেতৃত্বে জমায়েত হয়ে একটা মিছিল শুরু করে। এখানে অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন সুজিত বসু, শান্তনু রায়, অনন্যা চট্টোপাধ্য়ায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা। ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাও।

মিছিল এসে পৌঁছয় পার্ক সার্কাসে। সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল মঞ্চ। বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি হিসাবে গর্বের যে বিভিন্ন ধর্মের লক্ষাধিক মানুষ পায়ে পা মিলিয়েছেন। আমরা মানুষের স্বার্থে লড়াই করব। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিন লড়াই করতে হবে।'

4 months ago
Mamata: সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা নিয়ে আজ রাজপথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সোমবার রাজপথে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সংহতি মিছিল শুরু করবেন তিনি। সর্বধর্ম সমন্বয়ে এই মিছিলে যোগ দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে এই সংহতি মিছিল শুরু করবেন তৃণমূলনেত্রী। যার পুরোভাগে কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, থাকবেন সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। পুরোহিত, মোয়াজ্জেম, শিখ গুরু, গির্জার ফাদার প্রত্যেকে সামনে থেকে এই মিছিলকে নেতৃত্ব দেবেন। মিছিল শেষ হবে পার্ক সার্কাসে।

পার্ক সার্কাসে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সেখান থেকেই বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও জানা গিয়েছে, ওই মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতা থাকবেন না। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়ে পোস্ট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক লিখেছেন, “মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার যা-ই হোক, ঘৃণা, হিংসা ও নিরীহ মানুষের মৃতদেহের উপর তৈরি কোনও উপাসনাস্থল মেনে নিতে আমার ধর্ম আমায় শেখায়নি।”

4 months ago


HC: শুভেন্দুর আর্জি খারিজ, মমতার সম্প্রীতি মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

একাধিক শর্তসাপেক্ষে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রীতি মিছিলের অনুমতি দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর আর্জি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ওই সম্প্রীতি মিছিলের অনুমতি দিল।

আগামী ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই বাংলায় সম্প্রীতি যাত্রার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা ছাড়াও সব জেলার ব্লকে ব্লকে ওই মিছিল করার কথা বলা হয়েছে। সেই মিছিল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই যাত্রায় এবার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তবে মিছিল করার আগে বে কিছু বিষয় মাথায় রাখার কথা বলা হয়েছে।

এদিন প্রধান বিচারতি টি এস শিবজ্ঞানম উল্লেখ করেছেন, সংহতি যাত্রা চলাকালীন কোনও বক্তব্যে ধর্মীয় আবেগে আঘাত করা চলবে না। তাছাড়া এই ধরনের মিছিলে যানবাহনের সমস্যা হয়, সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়, আটকে পড়তে পারে অ্যাম্বুল্যান্স, রাজ্য এবং শাসকদলকে সেদিকটাও নজর রাখতে বলেছে হাই কোর্ট।

প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, প্রতি ব্লকে যদি এই র‍্যালি হয় সেখানকার মানুষের সমস্যা হবে। এই র‍্যালির জন্য আগে থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই দিন আরও ৩৫ টি মিছিলের আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি অনুমতি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর সম্প্রীতি মিছিলের দিন বদলের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, শুভেন্দুর সেই আবেদন কার্যত খারিজ করে দিল।

4 months ago
Darjeeling Snowfall: বছরে প্রথম তুষারপাত দার্জিলিংয়ে, বরফের জেরে রাস্তা বন্ধ সিকিমের একাধিক এলকায়

নতুন বছরে প্রথম তুষারপাত দার্জিলিংয়ে। হাড় কাঁপুনি ঠাণ্ডা, তার উপর তুষারপাত। যদিও এই সময়ে ঘুরতে গিয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করছে পর্যটকেরা। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই তুষারপাতে ছেয়ে গিয়েছে দার্জিলিংয়ের একাধিক এলাকায়। উত্তর সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তনের কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এবার সেই মতই উত্তরবঙ্গের কুইন অফ হিলসের একাধিক এলাকা ঢাকল বরফে। 


জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের সিঙ্গলিলা ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্গত টুমলিং, টংলু, মেঘমা সহ বিভিন্ন এলাকায় তুষারপাত। যার ফলে ওই এলাকার রাস্তায় জমেছে পুরু বরফের স্তর। উত্তরবঙ্গের কনকনে ঠাণ্ডা  থাকলেও দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে হাড় কাঁপানি শীত। এ ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছসিত পর্যটকরা। এর আগে দার্জিলিংয়ে গত বছর ডিসেম্বরেই বরফ পড়েছিল সান্দাকফু-ফালুট এলাকায়।


আবাহওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবারের মতো বুধবারেও দার্জিলিংয়ে ও উঁচু পার্বত্য় এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বৃষ্টিরও হতে পারে। হিমাঙ্কের নিচে নামতে পারে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রার পারদ। শুধু দার্জিলিং নয় সিকিম শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও বিরাজ করবে হাড়হিম করা ঠাণ্ডা। 

4 months ago
Suvendu Adhikari: রামমন্দির উদ্বোধনের দিন 'সংহতি মিছিল' মমতার! পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দু

আর মাত্র ৫টা দিন। তারপরই ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই নিয়েই সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। আর এরই মাঝে ওই দিনই কলকাতায় 'সংহতি মিছিলে'র ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, হাজরা থেকে এই মিছিল হবে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। এরপরই বুধবার এই মিছিল বন্ধের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনই বাংলায় 'সংহতি মিছিলে'র ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ জানুয়ারি এই  মিছিলের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মিছিল পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে। শুধু তাই নয়, রামপুজোর দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও আর্জি জানালেন শুভেন্দু। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

4 months ago


Mamata Banerjee: 'রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না', মেট্রোর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী

মেট্রো সম্প্রসারণে প্রয়োজন দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক। আর তা নিয়েই রাজ্য-মেট্রো সংঘাত চরমে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল তীব্র কটাক্ষের সুর। একপ্রকার গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।”

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক হৃদয়ের মণিমুক্তো। শেষ রক্তবিন্দু থাকতে ভাঙতে দেব না। প্রয়োজনে আমি বিকল্প রুট করে দেব। বুদ্ধি খরচ করুন।” অন্যদিকে, মেট্রোর সম্প্রসারণের জন্য আলিপুরের বডিগার্ড লাইনও ভাঙতে চায় রেল। এ বিষয়েও অনড় অবস্থানে বাংলার সরকার। তিনি বলেন, “আলিপুর বডিগার্ড লাইন পুলিসের হৃদয়ের মণিমুক্তো। রাজ্যের ঐতিহ্য। এর কোনওটাই ভাঙতে দেব না।” প্রয়োজনে মেট্রোর রুট বদলাতে হবে মত মমতার।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,  রাজ্যের প্রতিটা মেট্রো প্রকল্পের কাজই তিনি করে দিয়েছিলেন। এদিন রেলের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কৃতিত্ব দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারতীয় রেলে আগে ২০টা জোন ছিল। মেট্রোকে নিয়ে ১টা জোন রাজ্য়ে তিনিই তৈরি করেছিলেন। এমনকি দিল্লি মেট্রোর জট ছাড়ানোর কৃতিত্বও দাবি করেন তিনি।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্র বিরোধিতার সুর আরও চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতেই কি রেলের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? নাকি রাজ্যে দলের ভিত মজবুত করতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূল সুপ্রিমোর?

4 months ago
INDIA: মমতার প্রস্তাবেই সিলমোহর! মল্লিকার্জুন খাড়গেই ইন্ডিয়া জোটের চেয়ারপার্সন

ইন্ডিয়া জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর প্রস্তাবেই সিলমোহর দেওয়া হল অবশেষে। বিজেপি-বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে চেয়ারপার্সন করা হল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। শনিবার জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে চেয়ারপার্সন হিসাবে খাড়গের নামই প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। এদিন এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। শনিবারের বৈঠকে মূলত জোটে এক জন আহ্বায়ক এবং চেয়ারপার্সন করা নিয়ে আলোচনা ছিল।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে ইন্ডিয়া জোটের আহ্বায়ক হিসাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নাম নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দল জানিয়েছে, তাঁদের নেতা কোনও পদ চান না। অন্যদিকে এর আগের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গের নামই। আর এদিনের বৈঠকে তাঁর প্রস্তাবেই সায় দিয়েছে জোট। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি খাড়গেকেই চেয়ারপার্সন করল 'ইন্ডিয়া'। তবে জানা গিয়েছে, খাড়গের নামে সকলের সায় মিললেও, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। সূত্রের খবর,  মমতা এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আলোচনা করেই নাম ঘোষণা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেয়নি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কংগ্রেসের ডাকা 'ইন্ডিয়া' শিবিরের বৈঠকে মমতার যোগ দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই ছিল ধোঁয়াশা। একেবারে শেষ মুহূর্তে বৈঠকের আমন্ত্রণ পাওয়ার কারণেই যোগ দিতে না পারার সম্ভবনা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অবশেষে তাই দেখা যায়। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জুম আ্যপ-এর মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এছাড়াও এম কে স্ট্যালিন, শরদ পাওয়ার, লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, সীতারাম ইয়েচুরি, প্রমূখ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।

4 months ago


Mamata Banerjee: 'দেশের সংবিধান কি এক দেশ, এক ভোটকে অনুসরণ করে?' কড়া প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

'এক দেশ, এক ভোট'-এর বিরোধিতায় কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মোদী সরকার গঠিত হাই লেভেল কমিটির সচিবকে চিঠি লিখে মূলত দুটি সমস্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পৃথক ভাবে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, 'তাহলে কি আমরা প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গর্ভমেন্টের দিকে যাচ্ছি?'

'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন'-এর মানে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ ইলেকশন, যেমনটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে। মোদী সরকারের প্রস্তাবিত ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট পদ্ধতিকে এভাবেই তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 'এক দেশ, এক ভোট' বাস্তবায়িত করতে হাইলেভেল কমিটি গড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটির সচিব নীতেন চন্দ্র মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি লিখে সুপারিশ চান। জবাবি চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'ওয়ান ভোট, ওয়ান নেশন ধারণা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আপনার ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনার ফারাক রয়েছে। ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোট শুনতে নাটুকে এবং উত্তেজনাপূর্ণ।' এভাবেই কড়া জবাব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। 'দেশের সংবিধান কি ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোটকে অনুসরণ করে? সংবিধানে বলা আমাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিশ্বাসী। সেখানে আপনারা কীভাবে এক দেশ, এক ভোট কার্যকর করতে পারেন?' চিঠিতে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

পৃথকভাবে সাংবাদিকদের সামনেও সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, 'ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলে যা খুশি করে দেবো। আমি নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখতে বলবো।' তাঁর দাবি, 'আমাদের দেশ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, ভাষার বহুত্ব, বহু ভাবনা সমৃদ্ধ। আমি ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোটের ভাষাকে কুর্নিশ করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিরিখে এই ভাষাকে কার্যক্ষেত্রে কার্যকর করা গ্রহণযোগ্য নয়', এভাবেই সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী।

4 months ago
Justice Ganguly: 'আমার কথায়-কাজে একশ্রেণী বিপদে পড়ছে', অভিষেকের মামলা প্রসঙ্গে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রকাশ্যে বিরূপ মন্তব্য করার থেকে বিরত থাকার দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন অভিষেক। এরপরই মুখ খুললেন বিচারপতি। বুধবার কারোর নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, 'আমার কথায়-কাজে একশ্রেণী বিপদে পড়ছে।' নাম না করে ফের কাদের খোঁচা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, উঠছে প্রশ্ন। শহরের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দুর্নীতি ইস্যুতেও সরব হয়েছিলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

উপযুক্ত সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি, কাকে ইঙ্গিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, উঠছে প্রশ্ন। তিনি বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে উপযুক্ত কারণ থাকলে নিশ্চয় পদক্ষেপ করবে আদালত।' তাঁর দাবি, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে মামলা না হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু বিচারপতিদের গায়ে সাংবিধানিক কবচ থাকে, তাই সেই ধরনের মামলা হতে পারে না। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রশ্নেও বুধবার সরব ছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগে এত চুরি-জোচ্চুরি দেখেছেন, প্রশ্নের সুরে খোঁচা হাইকোর্টের বিচারপতির।

শাহজাহান-কাণ্ডেও বুধবার মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সন্দেশখালি-কাণ্ডে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। বিচারপতির বিস্ফোরক মন্তব্য, ভালো কাজ যাঁরা করতে চেয়েছেন, তাঁদের টেনে নামানোর চেষ্টা হয়েছে। বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগরকে শারীরিক নিগ্রহও করা হয়েছিল, দাবি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

4 months ago
TMC Meet: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন! পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে বৈঠক মমতার

২০২৪-এর লোকসভাকে পাখির চোখ করেই একেবারে জেলা ধরে ধরে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর নেতৃত্বের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন নিজের বাড়ি কালীঘাট থেকেই। বৈঠকে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘাটালের সাংসদ দেব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতারা রয়েছেন এই বৈঠকে। এছাড়াও আছেন সুব্রত বক্সি, জুন মালিয়া, মানস ভুঁইয়্যা, শিউলি সাহারা। ভোটের আগে দলের রণকৌশল ও মানুষের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দিতে আজ, বুধবার জেলাস্তরের তৃণমূল নেতাদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক।

এদিন কালীঘাটের বৈঠকে কিছু বার্তা দেওয়া হয়েছে।

১) যুবদের প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াতে হবে।

২) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার বাড়াতে হবে।

৩) সুজয় হাজরাকে বলা হয়েছে জুন মালিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটাতে।

৪) পঞ্চায়েতের আগে যেভাবে আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন, সেটা কম মনে হচ্ছে, বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫) অনেক সাংগঠনিক নির্দেশ মানা হয়নি। চন্দ্রকোনা পঞ্চায়েত সমিতি উদাহরণ। নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

৬) কেশিয়ারি ব্লকের সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রমকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭) শ্রীকান্ত মাহাতোকে ঝাড়গ্রামে সময় দিতে বলা হয়েছে।

৮) পূর্ব আর পশ্চিম মেদিনীপুরে মানস ভুইয়াকে বেশি করে সময় দিতে বলা হয়েছে।

৯) ঘরে বসে রাজনীতি নয়। মাঠে নামুন। স্পষ্ট বার্তা মমতা-অভিষেকের।

১০) সব ইস্যু নিয়ে বই ছাপানো হবে। সেই বই যাবে কর্মীদের কাছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

১১) জুন মালিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব মেটাও। জেলা সভাপতি সুজর হাজরাকে নির্দেশ।

১২) সংবাদমাধ্যমে যে কেউ মুখ খুলবে না। কথা বলার জন্য দলের মুখপাত্ররা আছেন।

১৩) মেদিনীপুর পুরসভা দ্বন্দ্ব মেটাতে দায়িত্ব মানস ভুইয়া ও জেলা সভাপতিকে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ।

১৪) বিজেপি চোর বললে ওদের ডাকাত বলে প্রচার করো বৈঠকে বার্তা দলনেত্রীর। স্লোগান দিতে হবে " গলী গলি মে শোর হায় বিজেপি চোর হায়।"

এছাড়াও জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরের কয়েকজন মুখপাত্রর ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কয়েকজন মুখপাত্র বদল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কারও কোনও ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে, দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। সেখানে বলতে হবে। যদি কেউ এর পরেও নির্দেশ না মানে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নির্দেশ না মানলে কার্যত ছেটে ফেলা হবে। রাজ্য সভাপতিকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুরে কেন দলীয় কার্যালয় এখনও তৈরি হলো না।বিধায়ককে প্রশ্নও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তিনি এদিন বলেন,  'আমরা INDIA জোটে আছি থাকব। তবে বাংলায় আমরা একা লড়ার জন্য যথেষ্ট।'

এদিন বৈঠকে প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চুপচাপ থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কিছু বলতে বলেন। অভিষেক প্রথমে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু পরে মমতা বলেন, 'তুই যখন এসেছিস, তুই বল।' তারপর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নবজোয়ার যাত্রার অভিজ্ঞতা বলেন। এছাড়া বলেন, 'দল যা নির্দেশ দেবে তাই করব। সেই দায়িত্ব পালন করব।'

4 months ago


Abhishek: রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য! কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বাইরে কীভাবে মন্তব্য করছেন তিনি, সেই নিয়ে অবিলম্বে শীর্ষ আদালতকে হস্তক্ষেপ করার বুধবার আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহার থেকে মামলা সরিয়ে নেওয়ারও আবেদন শীর্ষ আদালতে করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করেছেন। কয়েকদিন আগেই অভিষেককে তাঁর বিপুল সম্পত্তির হিসেব প্রকাশ্যে আনার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। এরপরই আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নতুন মামলা করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে লাগাম টানার নির্দেশ দেওয়া হোক। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য থেকে বিচারপতিকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। বিচারাধীন বিষয়ে হাইকোর্টের কোনও বিচারপতি যেন একতরফা মন্তব্য না করেন, সেই বিষয়েও আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক। আবার তিনি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জন্য নতুন বিশেষ বেঞ্চ গঠনের আবেদনও জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক বলে দাবি অভিষেকের।

4 months ago
Justice Ganguly: 'এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে, হিসাব দিতে পারবেন?', অভিষেককে চ্যালেঞ্জ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি প্রসঙ্গে এবারে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়েচ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এদিন কুণালের সেই চিঠি প্রসঙ্গে কুণালকে নিজের এজলাস থেকে পাল্টা জবাব দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, এসব করে তো আর চুরি আটকানো যাবে না। আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে অভিষেকের সম্পত্তির প্রসঙ্গও। সম্পত্তির হিসেব নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'একের পর এক কোটি কোটি টাকা খরচ করে মামলা হয়, এই মামলার খরচ কে বহন করে তা জানাতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? যদি হলফনামা দিয়ে জানান তাহলে বাকি নেতা মিনাক্ষীর মতো তাদের বলব আপনারাও সম্পত্তির কথা জানান। উনি কি পারবেন? মনে হয় না পারবেন? রাজ্য দুর্নীতি ঢাকতে কত টাকা খরচ করছে। এরপর অফিসিয়ালি জানতে চাইব। বিভিন্ন স্তরের লোকেরা জেলে তাই আমার উপর রাগ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর কন্ঠস্বরের পরীক্ষা কেন? তিনি তো আসামী নন। একটা হাসপাতাল ব্যবহার করল। কী চলছে আমরা সবাই বুঝতে পারছি। দেখি কদিন হয়। দুর্নীতি করে টাকা রাখতে চাই এরপর এই ধরণের মামলা করবে।'

বিচারপতি আরও বলেন, 'সুদীপ রাহাকে আমি চিনি না সুতরাং তার বক্তব্যের কোনও মতামত আমি দেব না। সুদীপ রাহার নাম শুনিনি। আমায় সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। অনেক কাজ করতে পারে। আমার মনে হয় একদল চোর এবার হয়ত সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে আমাদের সম্পত্তি চুরি করে করা। বন্ধ হলে অসুবিধা হবে তাই অবাধে চুরি করার অনুমতি চেয়ে মামলা করবে। যার যেখানে অভিযোগ করার করুক, আমি ন্যায়ের পথেই চলবো।'

4 months ago