Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Hooghly

Hooghly: স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে, বিহিত চেয়ে পোস্টার হাতে থানায় ধর্না গৃহবধূর

প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে স্বামীর! স্বামীর গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে ধর্নায় আমিনা বেগম নামে বধূ। হাতে পোষ্টার নিয়ে ধর্নায় ওই গৃহবধূ-সহ তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার গোঘাটে। পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তোলেন ওই গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম শেখ সাইফুল। আমিনা এবং সাইফুল দুজনেই গোঘাট থানার সানবাঁদি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়, এক সন্তানও আছে। 

কর্মসূত্রে শেখ সাইফুল মুম্বইয়ে থাকেন। নানা অনুষ্ঠানে বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্রে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সাইফুলের। ওই গৃহবধূরও এক সন্তান আছে, যার হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে। তাই সাইফুল ওই মহিলা-সহ তাঁর সন্তানকে মুম্বইয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। 

সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ প্রতিবাদী বধূর। তিনি আরও জানান, 'সাইফুল মুম্বই থেকে সানবাঁদিতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসত। তবে সেই যাতায়াতের বিষয়ে কিছুই জানতেন না আমিনা।' 

শুক্রবার সাইফুল এবং তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে থানায় এসেছিল পুলিস। কিন্তু পুলিস তাঁদের কোন শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছে। সাইফুল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি, এমনটাই অভিযোগ আমিনার। তাহলে এখন আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে? তাই ভরণপোষণের দায়িত্ব ও স্বামীর শাস্তির দাবিতে এই ধর্না, জানান অসহায় গৃহবধু আমিনা।

গৃহবধুর এক আত্মীয় আবেদা বিবি বলেন, 'জামাইকে ফিরে পেতে চেয়ে ধর্নায় বসেছি। এখন পর্যন্ত কোনও শাস্তি হয়নি। জামাই ও ওই অভিযুক্ত গৃহবধূকে থানায় আটক করে নিয়ে আসার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাইছি আমিনার ছেলে ও আমিনার ভরণপোষনের দায়িত্ব জামাই নিক।'

one year ago
Story: প্রথম দূরবীন তৈরির কারখানা

সৌমেন সুর: বোলপুর শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্য আশ্রমের অধ্যাপক জগদানন্দ রায় আকাশ পর্যবেক্ষক রাধাগোবিন্দ চন্দ্রের কাছে একটি চিঠি লিখেন। সেই চিঠি থেকে হুগলির একটি দূরবীন তৈরীর প্রতিষ্ঠানের হদিশ মেলে। হুগলি প্রতিষ্ঠানের ধর এন্ড ব্রাদার্সের পুরো নাম ছিল এস কে ধর এন্ড ব্রাদার্স। বস্তুত এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতের প্রথম দূরবীন প্রস্তুতকারক।

ধর অ্যান্ড ব্রাদার্স সম্পর্কে বলা যায়, এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হুগলির ঘুটিয়া বাজারের নগেন্দ্রনাথ ধর। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স-সহ উদ্ভিদবিজ্ঞানে এমএ। এরপর আইন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হন এবং পরবর্তী সময়ে জজ সাহেব হিসেবে বিভিন্ন শহরে উচ্চপদে চাকরি করেন। সুযোগ্য রাজ কর্মচারী ছিলেন বলেই তখনকার ইংরেজ সরকার তাকে রায়বাহাদুর সম্মান প্রদান করেছিলেন। ১৯২৬ সালে হাভার্ড মানমন্দির রাধা গোবিন্দকে একটি দূরবীন উপহার দিলে, এর স্ট্যান্ড তৈরির জন্য রাধাগোবিন্দ দূরবীনটি হুগলির ধর অ্যান্ড ব্রাদার্সে পাঠালেন।

দূরবীনটি দেখে নগেন্দ্রনাথ যে কী পরিমান আনন্দ পেয়েছিলেন, তা জানা যায় তাঁর লেখা একটা চিঠি থেকে। চিঠিতে মহানন্দে প্রাপ্তি স্বীকার করেছিলেন। বলাবাহুল্য যত্নের সঙ্গে দূরবীনটির জন্য একটি ইক্যুইটোরিয়াল স্ট্যান্ড তৈরি করে নগেন্দ্রনাথ, রাধাগোবিন্দকে পাঠিয়েছিলেন। ধর অ্যান্ড ব্রাদার্সের তৈরি দূরবীন সেকালে সেন্ট জেভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সি, হুগলি কলেজের মতো এদেশের বহু কলেজ ও দেশীয় রাজাদের লাইব্রেরীতে স্থান পেয়েছিল। এবং শত শত শিক্ষার্থীর প্রয়োজনে মিটিয়ে ছিল। এছাড়া কুচবিহার মহারাজ, গায়কোয়াড় মহারাজ এবং রবীন্দ্রনাথের মতো গুণগ্রাহীরা হুগলির কারখানায় তৈরি দূরবীন সংগ্রহ করেছিলেন।

১৯০৬ সালে অনুষ্ঠিত কলকাতা প্রদর্শনীতে ধর অ্যান্ড ব্রাদার্স, দূরবীন তৈরিতে স্বর্ণপদক লাভ করেছিল। দুঃখের কথা বহু বাঙালি প্রতিষ্ঠানের মতই ধর অ্যান্ড ব্রাদার্স দূরবীন তৈরি সংস্থার কোন অস্তিত্ব আজকের দিনে নেই। ১৯২৯ সালে নগেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরেই এ দেশে তৈরি প্রথম দূরবীন কারখানাও অস্তমিত হয়। তথ্যঋণ: রণতোষ চক্রবর্তী

one year ago
Kuntal: নিয়োগ-কাণ্ডে টাকার বিনিময়ে চাকরি! তাপসের কাছে কুন্তলের গ্যারান্টার যুব টিএমসি নেতা শান্তনু

শুক্রবার মেডিক্যাল টেস্টের পর সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক যুব তৃণমূল (TMC Leader) নেতা শান্তনু ঘোষ। তাঁর দাবি, 'নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল দলপতি সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছেন। তিনি এই দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Scam) সবটা জানেন। তাপস কুমার মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষও কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।' ইডি (ED) সূত্রে খবর, এই তিন জন নিয়োগ-কাণ্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

এদিকে, শুক্রবার হুগলি বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এই যুব তৃণমূল নেতাকে একদফায় জেরার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। এমনকি, শান্তনুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা অভিযান চালালে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাপস কুমার মণ্ডল কেন কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিল, প্রশ্ন করেন ইডি কর্তারা। তখন তাপসবাবু জানান, 'আমি দিতে চাইনি। কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্যারান্টার হিসেবে নিয়ে এসে বলেন একে বিশ্বাস করে টাকা দিন। এই ব্যক্তি তৃণমূলের যুবনেতা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন আপনি টাকা দিন আমি চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।'

জানা গিয়েছে, তারপরেই নামের তালিকা-সহ টাকা চলে যায় কুন্তল ঘোষের কাছে। সেই নামের তালিকা ইতিমধ্যে ইডির হাতে এসে পৌঁছেছে। এমনকি কুন্তল ঘোষের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে ইডি। শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি-সহ ইডি দফতরের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


one year ago


Airport: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হুগলির মহিলা! হন্যে হয়ে খুঁজছেন স্বামী

অবাক কাণ্ড! বিমানবন্দর (Airport) থেকেই নিখোঁজ (missing) হলেন এক মহিলা যাত্রী। কিন্তু বিমানবন্দরে এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিখোঁজ হলেন ওই যাত্রী? কেন নজরে পড়লেন না কারও? ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তবে মহিলার স্বামীর তির বিমানবন্দরের নিরাপত্তার উপরেই। জানা যায়, শুক্রবার স্ত্রী ও পরিবারকে নিয়ে পুনের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন হুগলি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা কাঞ্চন বাগচি।

বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। এমনকি লাগেজও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বেসরকারি বিমানসংস্থার বিমান বিলম্ব হতে থাকায় বিরক্ত হতে থাকেন কাঞ্চনবাবুর স্ত্রী। এরপরেই কাঞ্চনবাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিমানের টিকিট বাতিল করবেন। সেই মোতাবেক টিকিট বাতিল করে লাগেজ নিতে গেলে, তাঁর স্ত্রী শুক্লা বাগচি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিমানবন্দরের প্রস্থান গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাঞ্চন বাগচী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে।

তিনি ইতিমধ্যেই এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছেন। শনিবার তিনি প্রশ্ন তুলে জানান, কী করে একজন প্রস্থান গেট দিয়ে বাইরে যেতে পারে? গোটা ঘটনার তদন্তে এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানার পুলিস।

one year ago
Accident: হরিপালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পিকনিক ফেরত গাড়ি! নয়ানজুলিতে উলটে মৃত এক, আহত ৩৫

মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা (road accident)! বুধবার ভোরবেলা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল পিকনিক (picnic) ফেরত এক পর্যটকবাহী বাস। ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) হরিপালের ইলিপুরে অহল্যা বাই রোডের। দুর্ঘটনায় মৃত (death) ১, আহত (injured) ৩৫ জন যাত্রী। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহতদের দেখতে বুধবার সকালে হরিপাল হাসপাতালে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না।

স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দিঘির একটি ৬৭ জনের পিকনিক দল বাসে করে অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে হরিপালের ইলিপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। ঘটনার পরেই বাস যাত্রীদের চেঁচামেচিতে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী অন্য গাড়ির লোকেরা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস। তড়িঘড়ি আহতদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে তাপসী হালদার নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জনকে কলকাতার পিজি ও মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়েই হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না।

one year ago


Hooghly: আলমারি খুলতেই বেরল মায়ের দেহ! তিন দিন নিখোঁজ প্রৌঢ়ার মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া এবার বাংলায়। এবারের ঘটনাস্থল হুগলি (Hooghly) জেলা সদর চুঁচুড়া (Chinsurah)। বন্ধ আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হল মহিলার মৃতদেহ, তাও আবার দিন তিনেক পুরনো। আর এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাট এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতা বছর ৬২-র ভারতী ধারা শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে স্বামী কাশীনাথ ধারাকে নিয়ে থাকতেন। ছোট্ট টিনের ঘরেই ছিল তাঁর সংসার। স্থানীয়দের বাড়িতে দৈনন্দিনের কাজ করে কোনওরকমে দিন চালাতেন ভারতী ধারা (Bharati Dhara)।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ তাঁর স্বামী কাশীনাথ সেই অর্থে কিছুই কাজ করেন না। কিন্তু নিত্যদিনই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরতেন কাশীনাথ। এমনকি স্ত্রীর কাছ থেকে মদ কেনার টাকা চাওয়া নিয়েও প্রায়দিন চলত দুজনের বচসা। আর তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে আলমারিতে ঢুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্ত্রীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করতেন কাশীনাথ বলেও অভিযোগ পরিজনদের। গত বুধবার সকালে শেষবার ভারতীদেবীকে দেখতে পান বলেও জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে শনিবার ভারতী দেবীর ছেলে বিশ্বনাথ ধারা পাশেই থাকেন। এদিন বেলার দিকে তিনি  ক্যাটারিং ব্যবসার জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য মা-বাবার ঘরে ঢোকেন। সেখানেই আলমারি খুলতেই গড়িয়ে পড়ে তাঁর মায়ের দেহ। এদিকে বিশ্বনাথের স্ত্রী জানান, দিন তিনেক ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ভারতীদেবীকে। কাশীনাথ বলেছিলেন তিনি এক পরিজনের বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানেও নেই তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে থানাতে নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। কিন্তু এদিনের এই ঘটনার পর শ্বশুরের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন এর আগেও শিশু হেনস্থার অভিযোগে পুলিসের হেফাজতে গিয়েছিলেন কাশীনাথ।


one year ago
HGL: স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার! জাতীয় ক্রীড়া মঞ্চে পাঁচ পদক হুগলির মেয়ে বুলটির

ধীরে ধীরে আবার দেশে ফিরে আসছ সেই খেলার আবহ, এমনটাই মত ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের। আর সেখানেই ফের সোনার সময় শুরু হবে বলেও আশাবাদী ক্রীড়া মহল। আর এবার সেই স্বপ্ন খানিক সত্যি করেই আশার আলো দেখাচ্ছে হুগলির (Hooghly) বুলটি রায়। সম্প্রতি ২৩ নভেম্বর থেকে মহারাষ্ট্রের নাসিকে (Nasik) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। দ্বিতীয় জাতীয় ফেডারেশন ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা (2nd National Federetion Meet) আর সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন বাংলার প্রতিযোগিরাও। আর সেখানেই যথাক্রমে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৮০০ মিটার ও রিলে দৌড়ে (Relay Race) বাংলার হয়ে অংশগ্রহণ করেন বুলটি। শুধু তাই নয়, এই প্রতিটি বিভাগেই সোনা জিতেছেন এই কৃতি খেলোয়াড়। বাংলা ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আরও ১২টি রাজ্য এবং পাশপাশি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপালের প্রতিযোগিতারা।

উল্লেখ্য, তারকেশ্বর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণ বাজার এলাকায় একটি ছোট্ট টালির চালের ভাড়া বাড়িতে স্বামী এবং দুই সন্তান কে নিয়ে বসবাস করেন বুলটি। স্বামী সন্তোষ দাস ট্রেনে হকারি করে সংসার চালান। অভাবের সংসারে থেকেও একের পর এক সফলতা অর্জন করে চলেছেন বুলটি। জাতীয় স্তরে পাঁচ পাঁচটি স্বর্ণ পদক জয়ের পর কোথাও যেন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অলিম্পিকের স্বপ্ন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ২৭ শে এপ্রিল থেকে ১লা মে পর্যন্ত তামিলনাড়ুর জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ৪২ তম জাতীয় মাস্টার্স অথ্যালেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার হয়ে পাঁচটি মিটে অংশ গ্রহণ করেন বুলটি। সেখানেও ২০০ মিটার দৌড়,৪০০ মিটার দৌড় এবং ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ পদক লাভ করেন তিনি।

অন্যদিকে ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে পান রুপো। তবে এত খুশির মধ্যেই রয়েছে বিষাদও। এতদিন যিনি বুলটিকে শিক্ষা দিয়ে এসেছেন, তিনি অর্থাৎ বুলটির ট্রেনার প্রয়াত হয়েছেন একদিন আগেই। তাই এদিন যথেষ্ট শোকে রয়েছেন বলে জানালেন বুলটি।

অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়েই চলছে দিনের পর দিন অনুশীলন। গত ২৫ বছরে অনুশীললের ফল হিসাবে বাড়িতে থাকা টিনের ট্যাঙ্কে ভর্তি হয়ে আছে বেঙ্গল এবং জাতীয় স্তরের হাজার হাজার শংসাপত্র এবং সোনা,রুপা, ব্রোঞ্জের মেডেল। হয়তো ভবিষ্যতে সেখানেই যুক্ত হবে কমনওয়েলথ বা অলিম্পিকের পদকও, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন সকলে।

one year ago
Aranya Das: মস্তিষ্ক যেন জীবন্ত ম্যাপ! বয়স প্রায় দুই, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম হরিপালের খুদের

তাজ মহল (Taj Mahal) কোথায়? কোথায় বা কুতুব মিনার (Qutab Minar)? ঐতিহ্য আর ইতিহাসের খনি ভারতের (India) একাধিক ঐতিহাসিক নিদর্শন কোথায় কোনটা রয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বলতে গিয়ে আচ্ছা জ্ঞানী মানুষদেরও অনেক সময় হোঁচট খেতে হয়। কিন্তু যদি খুদে (প্রায় দু'বছর) বয়সেই কেউ তার সঠিক উত্তর দেয় তখন সেটি অবাক করা বিষয়ই বটে। তবে এটা গল্প নয়, একেবারে সত্যি। কারণ এরকম অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে অরণ্য দাস (Aranya Das)।

হুগলির হরিপালের বাসিন্দা এই আশ্চর্য খুদে সম্প্রতি বাঘা বাঘা ভূগোলবিদদের ঘোল খাইয়েছে। কারণ মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে ২০টা ঐতিহাসিক স্থানকে একদম সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে সে নিজের নাম তুলেছে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ। এখন অরণ্যর বয়স মাত্র ১ বছর ১১ মাস ৩০ দিন। আর এরই মধ্যে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে এই একরত্তি। 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'এর মানপত্র এবং উপহার বাড়িতে পৌঁছনোর পরেই এদিন রীতিমত উৎসবের আমেজ বাড়িতে। খুদের মা, বাবা, পরিবার, পরিজন সকলেই অত্যন্ত খুশি বাড়ির প্রিয় ছোট্ট এই সদস্যর এই অসামান্য কীর্তিতে। 

ছেলের সাফল্যে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত অরণ্যর বাবা ভাস্কর দাস। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন যে শুধুমাত্র তিনিই নয়, বরং অরণ্যর এই কীর্তিতে প্রচণ্ড খুশি গোটা পরিবার। সেই সঙ্গে তিনি তো বটেই এবং সকলেই গর্বিত এত ছোট্ট বয়সে অরণ্য এত বড় একটা কীর্তি করেছে বলে। অপরদিকে খুদে অরণ্যর মা জানান, 'এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।' উল্লেখ্য, মোট ৩০টি বিষয়ের উপর একটি ভিডিও পাঠানো হয়েছিল 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'এর কর্মকর্তাদের কাছে। আর এরই মধ্যে অরণ্য রেকর্ড গড়েছে সবথেকে কম বয়সী হিসেবে এক মিনিটে ২০টি ঐতিহাসিক জায়গার নাম চিহ্নিত করে।

one year ago


Bandel: প্রাইমারি স্কুলের মাঠে তাজা বোমা উদ্ধার! বিহিত চান স্থানীয়রা, শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে

ব্যান্ডেলের (Bandel Primary School) প্রাইমারি স্কুলের মাঠে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক। এই ঘটনায় বিরোধীদের (BJP) কাঠগড়ায় শাসক (TMC) দল। জানান গিয়েছে, ব্যান্ডেলের নলডাঙা প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন মাঠে তিনটি তাজা বোমা (Bomb Recover) উদ্ধার পুলিসের। যে মাঠে বোমা উদ্ধার হয়েছে, সেটা স্থানীয়দের চলার পথ। ফলে বোমাগুলো ফাটলে কী হতো, সেটাই ভেবে শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি পঠনপাঠনের জায়গায় এভাবে কেন বোমা আসবে? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। সম্প্রতি টিটাগড়ে স্কুল ছাদে বোমা ফাটায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। এবার হুগলির ব্যান্ডেলের স্কুলমাঠে তাজা বোমা উদ্ধারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপির অভিযোগ, 'স্কুলমাঠে বোমা পড়ে, দেখেও আশ্চর্য লাগে! গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ফের ভোট আসছে, ফের একই কাণ্ড। এই সংস্কৃতি নলডাঙায় ছিল না। একটা বিষয় পরিষ্কার সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ এসেছে ভোটের আগে সব সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে। যারা এসব করছে তাঁরা স্থানীয়। এটা একটা স্কুল, বাচ্চাদের খেলাধুলোর জায়গা। কিন্তু এসব মাথায় নেই শুধু দখলদারির রাজত্ব।'

স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি,'এটা পূর্ব পরিকল্পিত। কয়েকদিন আগে পার্টি অফিসের সিসি ক্যামেরা ভাঙা হয়েছিল। যাতে কেউ না দেখতে পায়। তৃণমূল শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে মানুষের কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙেছে। কর্মীদের ধমকানো-চমকানো চলছে। বিজেপি চাইছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে ক্ষমতা দখল করবে।'

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, 'ভোট আসলেই বোমাবাজি। কয়েক বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছে। স্কুলের সমানে বোমা উদ্ধার নিন্দনীয়। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। এগুলো মোটেও কাঙ্খিত নয়, এর একটা বিহিত হওয়া উচিৎ।'

one year ago
Murder: খানাকুলে বধূকে খুন করে দেহ পোড়ানোর চেষ্টা, অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার ৩

এক গৃহবধুকে খুন (murder) করে মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের (Khanakul) পাঁচুইখানা এলাকার। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী আগে খুন করে, তারপর মৃতদেহ (deadbody) পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবিতে এলাকা ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে খানাকুল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস অভিযুক্ত স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস ওই গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মানসী মণ্ডল(৪২), দম্পতির দুই সন্তান। তড়িঘড়ি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষজন দেহটি আটকে রাখে। পুলিস এলে অভিযুক্তদের পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁরা। অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত। পাশাপাশি হরেকৃষ্ণের ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।  পাঁচুইখানার বাড়িতে মৃতার ছোট জা থাকেন।

পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ জানার গ্রামের বাড়ি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায়। কর্মসূত্রে তাঁরা এখানেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে হরেকৃষ্ণ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যান। আর সেই ঘটনা জানতে পারায় স্ত্রী মানসীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে আগে খুন করেন স্বামী হরেকৃষ্ণ। পরে তাঁর দেহ বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসে খানাকুল থানার পুলিস।

one year ago


Shootout: দুই স্ত্রী থাকা নিয়ে অশান্তি! জামাইয়ের চালানো গুলিতে গুরুতর জখম শ্যালক

পারিবারিক অশান্তির জেরে চলল গুলি (shoot)। জামাইয়ের চালানো গুলিতে জখম (injured) শ্যালক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর থানার তাজপুর গ্রামের। ইতিমধ্যেই গুরুতর জখম শ্যালক দিলীপ দলুই-কে হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, হুগলীর (Hooghly) আরামবাগ থানার কালিপুরের বাসিন্দার চিন্ময় মালিকের শ্বশুরবাড়ি বাঁকুড়ার তাজপুর গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে কোতুলপুর থানার তাজপুরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বচসা বাঁধে চিন্ময়ের। এরপর এক-দু কথায় দু'পক্ষের অশান্তি চরম পর্যায়ের পৌঁছয়। অভিযোগ ওঠে, মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ আচমকাই চিন্ময় মালিক বন্দুক বের করে গুলি করে। সেই গুলি লাগে দিলীপ দলুইয়ের পেটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় কোতুলপুর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতুলপুর থানা পুলিস। এরপর আহত দিলীপ দলুইকে নিয়ে যাওয়া হয় আরামবাগ হাসপাতালে। তবে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে তাঁকে রেফার করা হয় কলকাতায়। হাসপাতাল চত্বরে প্রচুর পুলিস মোতায়েন রয়েছে। গুলিবিদ্ধের ঘটনা কীভাবে ঘটল সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিস।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাই চিন্ময়ের দুই স্ত্রী রয়েছে। প্রথমের পক্ষের স্ত্রী কোতুলপুর থানার তাজপুরের বাসিন্দা। মূলত, এই দুই স্ত্রী থাকা নিয়েই পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত।

one year ago
Hooghly: 'দলে নেওয়া যাবে না অহংকারী টিএমসি বিধায়ককে', পোস্টার বিতর্কে নিশানা অসিত মজুমদার

কখনও এলাকা থেকে নিরুদ্দেশ, আবার কখনও 'জবাব চাই জবাব দাও', এই মুহূর্তে গোটা বাংলাজুড়ে এভাবেই চলছে পোস্টারের রাজনীতি। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার পর হুগলিতেও পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ। এবার হুগলি জেলা সদর চুঁচুড়ার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অসিত মজুমদারের (Asit Majumdar) নামে পোস্টার পড়লো বিজেপির (BJP) হুগলি জেলা (Hooghly) কার্যালয়ে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্য প্রেক্ষিত বেশ কিছুটা আলাদা। কারণ এবার অন্য কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ নয়, বরং দলে নেওয়া বা না নেওয়া নিয়ে পড়েছে পোস্টার। 'অহংকারী তৃণমূল বিধায়ককে কোনও মতেই বিজেপিতে নেওয়া যাবে না', এই মর্মে শহরের প্রধান বিজেপি কার্যালয়ের দেওয়ালে লাগানো হয়েছে এই পোস্টার।

শনিবার সকালে প্রথম স্থানীয়দের চোখে এই লেখা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চুঁচুড়াজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। আর এখানেই দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। কারণ হঠাত তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে সরাসরি বিরোধী দলে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে কেন পোস্টার পড়বে! তবে কি কোথাও না কোথাও দল বদলের কথা চলছে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের? এরকমই হাজার প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে হুগলীর রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে অবশ্য গোটা ঘটনাকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন অসিত মজুমদার। "এখানে কোনও ভদ্রলোক আছে নাকি! আমি বিজেপিতে যাব এই খবর কোথা থেকে এল? আমাকে পাগল কুকুরে কামড়েছে নাকি! ভারতের আগামী দিনের নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি তো শুনছি লকেট পা বাড়িয়ে রয়েছেন! তাঁর আসা ধামাচাপা দিতে আমার নামে এই অপপ্রচার" এমনই মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। এতে দলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও বিশ্বাস তাঁর।

অপরদিকে এ বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'পার্টির গাইড লাইন আছে, সবাই সেভাবেই চলেন। অসিত মজুমদারকে দলে নেওয়া হবে কিনা তা পরের বিষয়।' অবশ্য এ নিয়ে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক অবশ্যই 'অত্যাচারী ও অহংকারী।' এখন এই ঘটনা হুগলীর রাজনীতিতে কোন মোড় আনে সেটাই এখন দেখার।

2 years ago
Suicide: বাড়ির আপত্তি, পালিয়ে যাওয়া! পরিণতি নির্মম, যুগলের দেহ উদ্ধার বাঁশ বাগানে

প্রথমে বাড়িতে আপত্তি ছিল। এরপর একটাই পথ পালিয়ে যাওয়া। তবে পালিয়ে গিয়ে জেলও খাটতে হয়েছিল। কিন্তু এবার আর শেষ রক্ষা হল না। হরিপালে এক যুগলের করুণ পরিণতি। সাত সকালেই উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য হুগলির (Hooghly) হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়ায়।

জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়ার এক বাঁশ বাগানে যুগলকে একই দড়িতে ঝুলতে দেখা যায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় হরিপাল (haripal) থানায়। উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ (deadbody) দুটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজনের দীর্ঘ দিনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তবে বাড়িতে আপত্তি থাকাতেই আত্মহত্যা (Suicide) বলে অনুমান তাঁদের।

পুলিস (police) সূত্রে খবর, নালিকূলের নাবালিকা আর হামিরাগাছির যুবকের মধ্যে দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক। ২০২০-তে দু'জনে পালিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু এরপর অপহরণের অভিযোগ করেছিল নাবালিকার পরিবার। পুলিস দুজনকেই উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে জেল খাটেন ওই যুবক। তবে এত কিছুর পরেও দুজনের সম্পর্ক ছিল, যোগাযোগ ছিল। এমনকি, মাঝেমধ্যে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে কয়েকদিন করে থাকত ওই নাবালিকা। তখনই দেখা হত তাঁদের। গত ৪ দিন আগে তেমনই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। এরপরই মর্মান্তিক খবর।

শনিবার সকালে হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়ায় বাঁশ বাগানে একই দড়িতে দুজনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। শোকের ছায়া পরিবারে। 

2 years ago


Jangipara: জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকা দেহ উদ্ধারে অবশেষে গ্রেফতার ৪, সাইকেল খুঁজতে ড্রোনের ব্যবহার

জাঙ্গিপাড়ায় (Jangipara) নিখোঁজ নাবালিকার দেহ (body) উদ্ধারের পর সোমবার আশেপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। নাবালিকার সঙ্গে থাকা সাইকেলের সন্ধান পেতেই এই তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্য এলাকার বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালায় পুলিস (police)। পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার পূর্ব পরিচিত ছিল অভিযুক্তরা। যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করত সেই ফোনের টাওয়ার লোকেশন সঙ্গে একই জায়গায় ছিল অভিযুক্তদের ফোন। তার থেকে সন্দেহ হয় হুগলি জেলা পুলিসের। এরপরই গভীর রাতে টাওয়ার লোকেশন দেখে বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান (search operation) শুরু করে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিস এবং হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার লাল্টু হালদার। এরপরই ৪ অভিযুক্তকে খেজুরিয়া থেকে আটক করা হয়। জেরার পর রবিবার সকালে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। 

এই খুনের ঘটনায় হতবাক নাবালিকার পরিবার থেকে শুরু করে গোটা এলাকাবাসী। এদিকে, গ্রামবাসীদের দাবী মেনে শনিবার সন্ধ্যার পর স্নিফার ডগ নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়, পুকুরে জালও ফেলা হয়। পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, নাবালিকা যেদিন নিখোঁজ হয় তার সঙ্গে একটি সাইকেলও ছিল। সেই সাইকেলটি খুঁজে বার করার জন্যই পুলিসের পক্ষ থেকে তল্লাশি চলে। পাশাপাশি তদন্তে সূত্র খুঁজতেও চেষ্টা চালানো হয়। তবে নাবালিকার সাইকেলটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিসের অনুমান, অভিযুক্তরা নাবালিকার পূর্ব পরিচিত। 

2 years ago
Murder: পুরশুড়ায় তৃণমূল কর্মীর মাথা কাটা দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য হুগলিতে

নৃশংস খুন (murder)! এক তৃণমূল কর্মীর মাথা কাটা দেহ (body) উদ্ধারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার তোকিপুর এলাকায়। স্থানীয়দের অনুমান, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটেছে এই নির্মম ঘটনা।

পুলিস সূত্রে খবর, মৃত এই তৃণমূল কর্মী বছর ৩০-এর শেখ রফিক। তাঁর বাড়ি পুরশুড়ার সোদপুরের রাউতারা গ্রামে। তাঁর স্ত্রী ও তিন বছরের একটি শিশু আছে। ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের নিশানায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তবে সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে রফিক তোকিপুর এলাকায় প্রতিদিনের মত স্থানীয় একটি ক্লাবে যান।  তারপর থেকে আর তাঁর দেখা মেলেনি। বুধবার সকালে তাঁর মাথা কাটা দেহ দেখতে পান এলাকার মানুষজন। পরে দেখা যায়, দেহ থেকে প্রায় সাতশো মিটার দূরে তাঁর ক্ষত বিক্ষত মাথা পড়ে আছে একটি ঝোপের পাশে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে দাবি করেছে স্থানীয় তৃমমূল নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দেখুক পুলিস। যারা দোষী তাদের খুঁজে বের করুক পুলিস। এতে বিজেপির কেউ জড়িত নয়।

2 years ago