
প্রায় ছয় মাস ধরে পায়ে গভীর ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের (Hospital) বাইরে পড়ে রয়েছেন এক মানসিক ভারসাম্য়হীন (Mentally unbalanced) মহিলা। অভিযোগ, হাসাপাতালে বারংবার নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার, হুগলির চন্দননগর হাসপাতালের সামনে এই অমানবিক দৃশ্য়টি দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে হাসাপাতালের ব্য়বস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্য়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার মায়ের দাবি, বেশ অনেক দিন ধরেই আমার মেয়ে পায়ের আঘাতে ভুগছিল। তারপর তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হলে সেই আঘাত সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু সেই পায়ের আঘাত পরে গভীর ক্ষততে পরিণত হয়। অভিযোগ, গভীর ক্ষত নিয়ে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কোনও চিকিৎসা করে না। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি করতে বললে, হাসপাতাল থেকে বলা হয় এলাকার কাউন্সিলর অনুমতি দিলে কিংবা লিখিত দিলে তবেই ওই ভারসাম্য়হীন মহিলাকে ভর্তি অথবা চিকিৎসা করা হবে।
অন্য়দিকে, এই হাসপাতালের পাশেই রয়েছে ক্যানসার হাসপাতাল। তবু হাসপাতালের বাইরে রাস্তার পাশেই একটি ভ্য়ানের উপর ভারসাম্য়হীন ওই মহিলা দিনের পর দিনে পায়ের বিশাল ক্ষত নিয়ে পড়ে রয়েছেন। ধীরে ধীরে পায়ের ওই বিশাল ক্ষত ক্যানসারের আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিকে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় তাঁরা কী করবে ভেবে পাচ্ছে না।
শুক্রবার বেহালায় আট বছরের শিশুকে পিষে দিয়েছিল লরি। এই নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল বেহালা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে (Second Hooghly Bridge ) দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল এক তরুণীর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত রাতে। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখেই পিছন থেকে একটি লরি এসে যুবতীর স্কুটিতে ধাক্কা মারে। তারপরেই ছিটকে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। পুলিস (Police) কর্মীরা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিস ঘাতক লরিটিকে আটক করলেও এখনও পলাতক লরির চালক। যদিও এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে পুলিসি নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম সুনন্দা দাস (২৮)। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের ফুড ডিপার্টমেন্টে চাকরি করতেন সুনন্দা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সুনন্দা আলিপুরে তাঁর এক সহকর্মীকে নামিয়ে খিদিরপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাচ্ছিলেন। স্কুটিটি যখন দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে উঠে ঠিক সেই সময়ই একটি লরি স্কুটিটিকে ধাক্কা মারে। তারপরেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, সুনন্দার ফোন থেকে তাঁর বাড়িতে দাদাকে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। তারপরে খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে যান। মৃতার বাড়ির লোকজনের দাবি, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই তাঁরা চাইছেন রাস্তায় পুলিসের নজরদারি বাড়ানো হোক।
ভিন রাজ্যে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু (Unnatural death) হল এক ছাত্রের (Student)। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে (Bihar)। তবে ফোন মারফত শুক্রবার রাতে এ ঘটনার খবর পেয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। পুলিস সূত্রের খবর, ওই মৃত ছাত্রের নাম সুরম্য সাঁতরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিহারের রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। সুরম্য হুগলির (Hooghly) শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ইউনিভার্সিটি ও বিহার পুলিসের আচরণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে মৃতের পরিবার। তাই ঠিক কি ঘটেছিল তার তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ ওই এলাকায়।
এই ঘটনায় মৃতর বাবা সুশান্ত সাঁতরা জানান, ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০২২ সালে বিহারের মুজাফফরপুরের রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। যার ফলে ইউনিভার্সিটিরই হোস্টেলে থাকত সুরম্য। তবে কোনওদিন ইউনিভার্সিটি থেকে কেউ ফোন করে কোনও খারাপ অভিযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, তবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাতে ইউনিভার্সিটি থেকে একটি ফোন আসে। তখনই সুরম্য-র মৃত্যুর কথাটি জানানো হয় কলেজের পক্ষ থেকে।
মৃতর বাবার দাবি, এই খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা তড়িঘড়ি বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ২৮ তারিখ ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা বিহারে পৌঁছায়। তবে যেই হাসপাতালে সুরম্যকে রাখা হয়েছিল সেখানে পৌঁছনোর আগে ফোন করে তাঁদের পাটনা-কলকাতা রাজ্য সড়কের বক্তিয়ারপুরে আসতে বলে পুলিস। আর সেখানেই বাড়ির সদস্যদের হাতে দেহটি তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, সুরম্যর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিসের কাছে চাওয়া হলে পুলিস কোনওরকমেরই কাগজপত্র দিতে চায় না। শুধু একটি ছোটো কাগজে লেখা ছিল সুরম্যর ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
আর্থিক অভাবের জেরে বিনা চিকিৎসায় মানসিক ভারসাম্যহীন (Mental Patient ব্যক্তিকে পায়ে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই চিত্র দেখা গিয়েছে হুগলীর (Hooghly) ব্যান্ডেল চুঁচুড়া মগরা ব্লকের দেবান্দনপুর অঞ্চলের কাজি ডাঙ্গা হলুদ ফুল এলাকায়। সূত্রের খবর, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির নাম কাজল পাল (৫০)। আর্থিক অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও ওই ব্যক্তির আরও দুই ভাই আছে। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ফলে বাড়িতেই পড়ে রয়েছেন ওই অসুস্থ ব্যক্তি।
এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির মা জানান, তিন ছেলের মধ্যে কাজল তাঁর বড় ছেলে। কুড়ি বছর আগে কাজলের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের তিন বছর পর তাঁদের একটি ছেলেও হয়। তবে ছেলের যখন তিন বছর বয়স, তখন কাজলের স্ত্রী বাচ্চা নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকেই একটু একটু করে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে কাজল, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গত পনেরো বছর ধরেই এই অবস্থা ছেলের। বেশ কয়েক বছর আগে কাজল অন্যত্র চলে গিয়েছিল। তবে পাঁচ বছর আগে নিজে থেকেই বাড়িতে ফিরে আসে সে। এরপর থেকেই তাঁর মা ছেলের পায়ে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে রাখেন। যাতে আর কোথাও যেতে না পারে।
এবার পথ কুকুরদের জন্য (Dog) আতঙ্ক ছড়াল হুগলির (Hooghly) আরামবাগে। বুধবার, আরামবাগ থানার সামনে এক মহিলা পুলিস কর্মী সহ সাত জনকে একটি কুকুর কামড় (Bite) দেয়। কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হঠাৎ করেই একটি কুকুর আরামবাগ থানার সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সেই সময় রাস্তার পথ চলতি মানুষ ও থানার পুলিস কর্মীদের দেখে তেড়ে যায় কুকুরটি। বেশ কয়েকজনকে কামড়ও বসিয়ে দেয় ওই কুকুরটি। কুকুরের কামড়ে জখম হয় সাত জন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা পুলিস কর্মীও রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই পুলিসকর্মী থানা থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। তখনই ওই কুকুরটি দেখে ছুটে গিয়ে কামড় দেয় ওই মহিলা পুলিস কর্মীকে। পাশাপাশি রাস্তার পথ চলতি মানুষদের দেখে ছুটে যায় কুকুরটি। কামড় দেয় আরও ছয় জন পথ চলতি মানুষকেও।
কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এখন রাস্তায় লাঠি হাতে বেরোতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যদিও ওই কুকুরটিকে ধরতে পারেনি কেউ। বর্তমানে কুকুরের কামড়ে জখমরা আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত্যু (Death) হল তিনজনের। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গুড়াপ থানার অন্তর্গত গুড়াপ দুর্গাপুর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গুড়াপ থানার পুলিস (Police)। পুলিস গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়িটির একাধিক অংশ কেটে গাড়ি থেকে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে। তারপরেই পুলিস তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই ওই তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে কলকাতার দিক থেকে একটি চারচাকা গাড়ি বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে চালক সহ এক দম্পতি ছিলেন। বর্ধমানের দিকে যাওয়ার সময় আচমকাই গুড়াপ থানার মাঝিনান এলাকায় প্রাইভেট গাড়িটি একটি লরির পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। তারপরে ওই প্রাইভেট গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে আরও একটি লরি। দুটো লরির মধ্যে দুমড়ে মুচড়ে যায় প্রাইভেট গাড়িটি।
কৃষি জমি থেকে এক ব্যক্তির পচা গলা দেহ (Dead Body) উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের (Hooghly) গোপীনগর এলাকার একটি চাষের জমিতে। ঘটনাস্থলে হরিপাল থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সুশীল কুমার দাস (৬৩)। তিনি হরিপালের আমিনপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৮ শে এপ্রিল আমিনপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুশীল কুমার দাস নামের ওই ব্যক্তি। ২৯ শে এপ্রিল হরিপাল থানায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। আর তরপরেই মঙ্গলবার সকালে হরিপালের গোপীনগর এলাকায় এক চাষের জমিতে সুশীল কুমার দাসের পচা গলা দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। পরে এলাকাবাসীরাই হরিপাল থানায় খবর দেয়, এমনটাই জানা গিয়েছে।
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এবং ঠিক কি কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
পুকুরের জলে ডুবে (Death) মৃত্যু ১ বছরের শিশুর। হুগলির (Hooghly) হরিপাল থানার সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুবাটি গ্রামের কর্মকার পাড়ার ঘটনা। পুকুরে খোঁজ চালিয়ে উদ্ধার করা হয় শিশুর নিথর দেহ। শিশুটিকে তৎক্ষণাৎ পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপালের ডাক্তার বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অবশেষে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছে পরিবারের লোকেরা। প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে খোঁজার পর সন্ধান না পেয়ে বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে খোঁজ চালাতে নেমে উদ্ধার হয় শিশুটির নিথর দেহ। দীর্ঘ ২-৩ ঘন্টা নিখোঁজ ছিল ওই শিশু। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মৃত শিশুর বাবার নাম সুদর্শন কর্মকার। জল থেকে উদ্ধারের সময় শিশুটির সমস্ত শরীর সাদা হয়ে যায় এবং পুকুরের জল খাওয়ার কারণে শিশুটির পেট ফুলে যায়। তবে শত চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
অগ্নিগর্ভ শ্রীরামপুর। পথ দুর্ঘটনায় (Serampore Accident) এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শ্রীরামপুরের দিল্লি রোড অবরোধ এলাকাবাসীর। মৃতার নাম পুষ্পা সাঁতরা, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। অবরোধের (Road Block) জেরে দিল্লী রোডে সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজট।
বছর ৫৬-র পুষ্পা সাঁতরার বাড়ি শ্রীরামপুরের বড়বেলু মনসাতলায়। প্রতিদিনের মতোই সকালে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মৃত ওই মহিলা পিয়ারাপুর মোড়ে রাস্তার এক পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি বালি বোঝাই বেপরোয়া লরির ডাম্পার পিষে দেয় তাঁকে। তারপরই রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নামে এলাকাবাসী।
এর আগেও বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। শনিবার সকালে দুর্ঘটনার পর ট্রাফিক কিয়স্ক ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যাফ। প্রায় ঘন্টা চারেক পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে পুলিস। স্বাভাবিক হয় দিল্লী রোড। ট্রাফিক থাকা সত্ত্বেও কেন বারাবর দুর্ঘটনা ঘটছে প্রশ্ন তুলেছে সাধারন মানুষ।
বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৫০ জন। গ্রামীণ হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসা করাতে এসে ঠিক মতো পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের (Hooghly) লোকনাথ এলাকার। মূলত বমি, জ্বর এবং পেট খারাপ নিয়েই চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, সোমবার তারকেশ্বরের লোকনাথ থেকে পুরশুরা এলাকায় একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় দেড়শো জন। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আসার পর মঙ্গলবার থেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন অনেকেই। মঙ্গলবার রাতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতলে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রায় কুড়ি জন। বুধবার সকালে আরও ৫০ জন চিকিৎসা করাতে আসেন তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেলাইনও পাওয়া যাচ্ছে না হাসপাতাল থেকে, এমনটাই দাবি করেন রোগীর পরিবার।
এই বিষয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ সৌভিক দাস বলেন, 'মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে পেট খারাপ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। তার মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সব রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।' খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে, অনুমান চিকিসকদের।
তবে সঠিক পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে তিনি বলেন, হাসপাতালের বেড ক্যাপাসিটি যা আছে তার থেকে বেশি রোগী হলে যে সমস্যা হয় সেটা খুব তাড়াতাড়ি ওভারকাম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অতি গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের জন্য অনবরত ট্রাফিকের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। চড়া রোদের গরম হোক বা আকাশ ভাঙা বৃষ্টি, সবসময়ই রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে নিজের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। যাতে তাঁদের একটু অসাবধানতায় কোনও বিপদে না পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। রাস্তার উপর তাঁরা সাধারণের ছাতা হয়ে দাঁড়ালেও নিজেদের মাথার উপর ছাতা ধরার মতো সময় হয় না তাঁদের। তাই কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা ট্রাফিক পুলিসের (Traffic police) পাশে এসে দাঁড়াল হুগলি (Hooghly) গ্রামীণ জেলা পুলিস। সেই চিত্রই দেখা গেল আজ তারকেশ্বর জয়কৃষ্ণবাজার এলাকায়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার লালটু হালদার নিজে ট্রাফিক পুলিসদের হাতে একটি করে ছাতা, জলের বোতল, কিছু ওআরএস-এর প্যাকেট তুলে দিলেন। এছাড়াও এই মানবিক কাজে উপস্থিত ছিলেন তারকেশ্বর থানার অফিসার ইনচার্জ অনিল রাজ, পুড়শুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোমনাথ দে, তারকেশ্বর ট্রাফিক গার্ডের ওসি তপন হালদার-সহ জেলা পুলিসের অন্য আধিকারিকরা। তবে তাঁদের যৌথ উদ্যোগে এভাবে ট্রাফিক পুলিসের পাশে দাঁড়ানোর ছবি এক দৃষ্টান্ত রেখেছে জনমানসে।
নাকা তল্লাশির সময় গাঁজা (weed) ভর্তি একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল হুগলি (Hooghly) জেলা গ্রামীণ পুলিসের সিঙ্গুর থানা (Singur Police)। সূত্রের খবর, ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। গাঁজা পাচারের ঘটনায় গ্ৰেফতার (Arrest) করা হয়েছে এক মহিলা সহ তিনজনকে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিস বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিঙ্গুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে সিঙ্গুর বিডিও এলাকায় একটি গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে কর্তব্যরত পুলিস। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে অসংগতিতে পড়ে যায় গাড়িতে থাকা তিনজন। তখনই পুলিস গাড়িটির ভিতরে তল্লাশি করা শুরু করে। তল্লাশি চলাকালীনই গাড়ির সিটের তলা থেকে ৮৭ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস। প্রত্যেকটি প্যাকেটে প্রায় এক কিলো করে গাঁজা রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিসের ডিএসপি জানান, পাচারকারীরা উড়িষ্যার তাজপুর জেলা থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল। সেই গাঁজাটি চন্দননগরের কোনও এক ব্যক্তিকে সরবরাহ করার কথা ছিল। এমনকি যাতে পুলিসের নজর এড়ানো যায় তাই পাচারকারীরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা ধরে আসছিল। গাড়িটি চন্ডীতলার আঁইয়া, শিয়াখালা, বনমালীপুর, বাসুবাটি হয়ে যখন সিঙ্গুরে ঢোকে তখনই গাড়িটিকে আটক করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। তারপরেই গাঁজা পাচারের পর্দা ফাঁস হয়। তিনি আরও জানান, গ্ৰেফতার হওয়া ওই তিনজন এত পরিমান গাঁজা কাদের সরবরাহ করতো এবং এই চক্রের সাথে আর কারা কারা যুক্ত আছে তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিস আধিকারিকরা।
প্রচন্ড দাবদহে হুগলীর পুরশুড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল কল আছে জল নেই। হাসপাতালে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে এই জলাধার। কল থেকে জল পড়ছে না। ফলে জল সংকটে ভুগছেন হাসপাতালের রোগীরা। প্রয়োজন মতো জল না পেয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমনকি রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্য়ায় পড়ছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে।
অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জল সংকটের কথা জানানো হলেও কোনও লাভই হয়নি। এই তীব্র গরমের মধ্য়ে একপ্রকার বাধ্য় হয়ে সেখানে রোগীরা এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনরা রয়েছেন। স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। তার ঠিক তিন মাস পর থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কলটি। তাঁদের আবেদন, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই জলাধার সারাইয়ের ব্য়বস্থা গ্রহণ করে।
পরপর দু'দিন, শিবপুরের পর এবার রিষড়ায় (Rishra Violence) ঢুকতে বাধা বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। কোন্নগরে পুলিসি ব্যারিকেড গড়ে ঢুকতে বাধা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। ১৪৪ ধারা জারির কারণ দর্শিয়ে কোন্নগরেই সুকান্ত-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিস (Hooghly Police)। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ব্যারিকেড ভাঙতে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, তিনি সোমবার উত্তরপাড়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান।
সেখান থেকে রিষড়ায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড গড়ে পুলিস বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, 'মানুষদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের সাংসদরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও টিএমসি সাংসদ ঘুরছেন। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মী, যারা আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৪৪ যেখানে নেই সেখানেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। বোমাবাজি চলছে। আইনশৃঙ্খলা কোথায়?' পুলিস কথা না শুনলে ধর্নায় বসবো বলেও হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। তিনি ফিরে গিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কথা হয়েছে বলে সোমবার জানান সুকান্ত মজুমদার।
এদিন পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত মজুমদার। পুলিসি বাধার মুখে পড়ে বিজেপি সভাপতির আবেদন, 'আপনারা কিছু করুন। মার খেলে, বোমাবাজি হলেও কিছু করবেন না? ১৪৪-র বাইরে আপনারা কীভাবে আটকাচ্ছেন?' কোন কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা, সেই অর্ডার পুলিসকর্তাকে দেখাতে বলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। যদিও পুলিসের আবেদন, '১৪৪ জারি রয়েছে আপনারা সহযোগিতা করুন। আপনারা পরে অনুমতি নিয়ে নিশ্চয় যাবেন। ওই এলাকাতেই যাওয়া যাবে না।' যদিও রিষড়ায় যেতে অনড় সুকান্ত মজুমদার।
হুগলি নদীতে(Hooghly River) উদ্ধার এক ব্য়ক্তির পচাগলা দেহ। মহেশতলার হুগলি নদীর তীরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ ভেসে আসে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার অন্তর্গত উলুডাঙ্গা ভীম পার্কের ঘাটে হুগলি নদীতে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয়। পুলিস এসে জল পুলিসের আধিকারিকদের খবর দেন। স্থানীয়দের এই ঘটনার উপর ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। স্থানীয় এক ব্য়ক্তি জানান, নদীর পারে দেখতে পাই এক ব্য়ক্তিকে নদীতে ভাসতে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ওই মৃত (Death) ব্য়ক্তির নাম, ঠিকানা,পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম ও ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি। পুলিস ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের অপেক্ষায়।