
গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের জানালা ভেঙে চুরির (stolen) ঘটনা। হরিপালের (Hooghly) নালিকুল পশ্চিম গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে হরিপাল থানার (Haripal Police) পুলিস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের উন্নয়নকে বদনাম করতে বিরোধীরা এই ধরনের চক্রান্ত করেছে, অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। পঞ্চায়েতের একাধিক দুর্নীতি লোপাট করতেই নিজেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পাল্টা দাবি বামেদের।
জানা গিয়েছে, গত ৬ বছরে দু'বার চুরির ঘটনা ঘটল হরিপালের নালিকুল পশ্চিম গ্ৰাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সাফাই কর্মী এসে দেখেন এক তলার জানলা ভাঙা। তিনি তৎক্ষণাৎ পঞ্চায়েতের সদস্যদের খবর দেন। এরপর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান সহ সমস্ত সদস্যরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে দেখেন দোতলার তিনটে ঘরেরই তালা ভাঙা। একটি ঘরের পাঁচটি আলমারির লক ভেঙে নথিপত্র তছনছ করা হয়েছ। এমনকি চুরি করা হয়েছে প্রধানের ঘরের টিভিও।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মেহেনাজ হালদার বলেন, 'ছয় বছর আগেও চুরি হয়েছিল। কী উদ্দ্যেশে এই ঘটনা ঘটছে তা স্পষ্ট নয়। তবে অনুমান, সামনে পঞ্চায়েত ভোট তাই বিরোধীরা পঞ্চায়েতকে বদনাম করার জন্যই এটা করতে চাইছে। বিরোধীরা চুরি করে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে। নালিকুল পশ্চিম আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্ৰেসের সভাপতি সুশীল আমানি বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন চলছে সেটা সহ্য করতে না পেরে বিরোধীরা সরকারি অফিসেও একটা চক্রান্ত করতে চাইছে। পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে বিরোধীরা, বলেলেন তৃণমূল কংগ্ৰেসের সভাপতি সুশীল আমানি।'
তবে এই বিষয়ে সিপিআইএম হরিপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মিন্টু বেরা বলেন, নালিকুল পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের যে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেটা শাসকদলের পরিকল্পিত চক্রান্ত। নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পঞ্চায়েত প্রধান নিজে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু নথি চুরি করিয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করা যাবে না। আর ভোটের সময় এর যোগ্য জবাব দেবন গ্রামবাসীরা।
কল আছে জল নেই (Water Problem)। জলের আশায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ। তাই বাঁকুড়ার জগদীশপুরার গ্রামবাসীরা সেই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। এমনকি মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসীরা সব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। খাদ্য প্রতিমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে এই সজল ধারা প্রকল্পে জলের কলগুলি বসানো হয়েছিল। তবে আজও বন্ধ জলের পরিষেবা। গ্রামের মহিলারা প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে পাশের গ্রাম থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন। তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেন বলেন, 'পুরো জঙ্গল মহলেই এই জলের সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যা মেটানোর জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেই কাজ এত ঢিলে গতিতে চলছে, এত দেরি হচ্ছে, যার ফলে মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে এই জলের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগাভাগির কারণে কাজে এত দেরি হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যিনি আছেন তিনি ঠিক মতো কাজটা করছেন না।'
অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য গণেশ ডাঙা। তিনি বলেন, 'মাসে একবার করে গ্রামের জলের কলগুলি সারানো হয়। জলের স্তর একটু নীচু হওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা আবার সারানো হবে।'
ঠিক একই সমস্যার ছবি উঠে আসছে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা কলেজপাড়া এলাকা থেকে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবারের বসবাস। তারপরেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। কল থাকলেও জল পাচ্ছে না তাঁরা। বারবার প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
সৌমেন সুর: ফিঙ্গারপ্রিন্টের প্রথম সূ্ত্রপাত ১৮৫৮ সালে একটু ভিন্ন আকারে দেখা গিয়েছিল। উইলিয়াম হার্শেল তখন হুগলির কালেকটর ডাকাবুকো আইসিএস। মাত্র ২০ টাকার চুক্তিপত্র করে ঘুটিং সরবরাহ করার জন্য রাজ্যধর কোনাইকে অর্ডার দিলেন। কিন্তু অনেক সময় সরবরাহকারীরা চুক্তিপত্র ও সই অস্বীকার করে বিপদে ফেলেন। তাই সতর্ক হার্শেল সাহেব ঠিক করলেন, রাজ্যধরকে একটা প্রস্তাব দেওয়া যাক যে, তাঁকে চুক্তিপত্রর উপর হাতের ছাপ দিতে হবে। অফিসে স্ট্যাম্প দেওয়ার জন্য ভুসো কালির ব্যবহার করা হতো। তাই হাতে কালি মাখিয়ে রাজ্যধরের হাতের ছাপটা চুক্তিপত্রের উপর নেওয়া হল। রাজ্যধরও মজা পেলো সাহেবের এই অদ্ভুত প্রস্তাবে। কিন্তু এই হাতের ছাপটা আজকের বিশ্ব শনাক্তকরনের চূড়ান্ত পন্থা হিসেবে আঙুলের ছাপ ব্যবহারের গোড়াপত্তন করলো। হার্শেল সাহেব আরও অনেকের হাত ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতেন। তবে সবাই এটাকে হার্শেল সাহেবের পাগলামি বলে ধরে নিয়েই হাতের ছাপ দিতেন।
বিষয়টি যে পাগলামি ছিল না, তার প্রমাণ হাতে হাতে পেয়ে গেলেন হার্শেল সাহেব। দু'বছর পর নদীয়া জেলার ডিস্ট্রিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি সবে বদলি হয়েছেন। দেখলেন, মাসের প্রথম দিকে সিপাহি বিদ্রোহ যারা সরকারকে সাহায্য করেছিল, সেসব পেনশন প্রাপকের সংখ্যা বেশ ভালই। যদিও তারা সকলেই বেশ বয়স্ক, তবুও সংখ্যাটা কিছুতেই কমছে না। কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, মারা যাওয়া পেনশন প্রাপকের বদলি লোক প্রক্সি দিয়ে পেনশন তুলছে হাসিমুখে।
তথ্যঋণ: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধায়
কেন্দ্রীয় বাহিনীর (ED RAID) ঘেরাটোপে বলাগড়ে শান্তনুর গেস্ট হাউসের তালা ভেঙে ঢুকলো ইডি, শান্তনুর বিপুল পরিমানে সম্পত্তির হদিশ। শান্তনুর বিরুদ্ধে বহু মানুষের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল পূর্বেই, এরপর দল থেকে বহিস্কার হওয়ার পর সামনে আসে কাটমানি না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বালির মোড় সংলগ্ন এলাকায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায়ের নামে কয়েক বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকায় কেনা হয় দোতলা একটি বাড়ি।
ইতিমধ্যেই শান্তনুর উপর থেকে হাত সরিয়েছে তৃণমূল (TMC), গ্রেফতারির দিন কয়েকের মাথায় দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন তিনি। দল থেকে বহিস্কৃত হয়ে যাওয়ার পর সামনে এলো আরও ভয়ানক তথ্য, সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দুকের নল দেখিয়ে বহু জমি ও বাড়ি দখল করে নিজের নামে করেও নিয়েছিলেন তিনি। চলতি মাসের ১১ তারিখই তাঁর বিলাসবহুল গেস্ট হাউসের খোঁজ মিলেছে বলাগড়ে। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ শান্তনুর গ্রেফতারির তিনদিন পর তিন জন দুষ্কৃতী বাইক করে শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে আসে, এবং তাঁরা ওখানে আধ ঘন্টা কাটায় , স্থানীয়দের আরও অভিযোগ যে দুষ্কৃতীরা ওই বাড়ি থেকে শান্তনুর অনেক তথ্য ও নথি পাচার করেছে ,এছাড়া ব্যান্ডেলে সন্ধান মেলে শান্তনুর স্ত্রীয়ের নামে পেল্লায় বাড়ির। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই একের পর এক তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলছে। নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্টুরেন্ট, হোম স্টে, বাগান বাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলছে। ধীরে ধীরে সব সম্পত্তিতে অভিযান চালাবে ইডি, এমনটাই নাকি সূত্রের খবর।
শনিবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে ইডি, বলাগড়-সহ ব্যান্ডেলে তার স্ত্রীর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে ইডি, সকাল থেকেই একযোগে অভিযান চলছে ইডির। ইতিমধ্যে শান্তনুর চুঁচুড়ার ফ্ল্যাটে হানা ইডির। এছাড়া একইসঙ্গে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী (Suicide) এক আলু ব্যবসায়ী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি। গোঘাট থানার অন্তর্গত লালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোঘাট থানার(Police) পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত(Death) আলু ব্যবসায়ীর নাম শ্যামল ঘোষ। তিনি গোঘাটের মান্দারণ গ্রাম পঞ্চায়েতের লালুকা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ওই আলু ব্যবসায়ী নিজের দোকানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার শ্যামল ঘোষ দোকানে যাওয়ার আগে এক ব্যাক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে দোকানে গিয়েছিলেন শ্যামল। তারপরই এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, আলু ব্যবসায় লাভ হয়নি শ্যমলের, যার জেরে বাজারের দেনাও শোধ করতে পারছিলেন তিনি। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। গত বছর কৃষকদের থেকে আলু নিয়েছিলেন শ্যামল। তবে টাকা দিতে পারেননি তিনি। সেই কারণে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল। এই বছর আর কৃষকরা আলু দিতে চায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, মহাজনদের থেকে মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছে শ্যামলকে যার জেরেই এমন ঘটনা।
প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে স্বামীর! স্বামীর গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে ধর্নায় আমিনা বেগম নামে বধূ। হাতে পোষ্টার নিয়ে ধর্নায় ওই গৃহবধূ-সহ তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার গোঘাটে। পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তোলেন ওই গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম শেখ সাইফুল। আমিনা এবং সাইফুল দুজনেই গোঘাট থানার সানবাঁদি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় দশ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়, এক সন্তানও আছে।
কর্মসূত্রে শেখ সাইফুল মুম্বইয়ে থাকেন। নানা অনুষ্ঠানে বাড়িতে আসা যাওয়ার সূত্রে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় সাইফুলের। ওই গৃহবধূরও এক সন্তান আছে, যার হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে। তাই সাইফুল ওই মহিলা-সহ তাঁর সন্তানকে মুম্বইয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ প্রতিবাদী বধূর। তিনি আরও জানান, 'সাইফুল মুম্বই থেকে সানবাঁদিতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসত। তবে সেই যাতায়াতের বিষয়ে কিছুই জানতেন না আমিনা।'
শুক্রবার সাইফুল এবং তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে থানায় এসেছিল পুলিস। কিন্তু পুলিস তাঁদের কোন শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দিয়েছে। সাইফুল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি, এমনটাই অভিযোগ আমিনার। তাহলে এখন আমাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব কে নেবে? তাই ভরণপোষণের দায়িত্ব ও স্বামীর শাস্তির দাবিতে এই ধর্না, জানান অসহায় গৃহবধু আমিনা।
গৃহবধুর এক আত্মীয় আবেদা বিবি বলেন, 'জামাইকে ফিরে পেতে চেয়ে ধর্নায় বসেছি। এখন পর্যন্ত কোনও শাস্তি হয়নি। জামাই ও ওই অভিযুক্ত গৃহবধূকে থানায় আটক করে নিয়ে আসার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাইছি আমিনার ছেলে ও আমিনার ভরণপোষনের দায়িত্ব জামাই নিক।'
সৌমেন সুর: বোলপুর শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্য আশ্রমের অধ্যাপক জগদানন্দ রায় আকাশ পর্যবেক্ষক রাধাগোবিন্দ চন্দ্রের কাছে একটি চিঠি লিখেন। সেই চিঠি থেকে হুগলির একটি দূরবীন তৈরীর প্রতিষ্ঠানের হদিশ মেলে। হুগলি প্রতিষ্ঠানের ধর এন্ড ব্রাদার্সের পুরো নাম ছিল এস কে ধর এন্ড ব্রাদার্স। বস্তুত এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতের প্রথম দূরবীন প্রস্তুতকারক।
ধর অ্যান্ড ব্রাদার্স সম্পর্কে বলা যায়, এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হুগলির ঘুটিয়া বাজারের নগেন্দ্রনাথ ধর। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স-সহ উদ্ভিদবিজ্ঞানে এমএ। এরপর আইন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হন এবং পরবর্তী সময়ে জজ সাহেব হিসেবে বিভিন্ন শহরে উচ্চপদে চাকরি করেন। সুযোগ্য রাজ কর্মচারী ছিলেন বলেই তখনকার ইংরেজ সরকার তাকে রায়বাহাদুর সম্মান প্রদান করেছিলেন। ১৯২৬ সালে হাভার্ড মানমন্দির রাধা গোবিন্দকে একটি দূরবীন উপহার দিলে, এর স্ট্যান্ড তৈরির জন্য রাধাগোবিন্দ দূরবীনটি হুগলির ধর অ্যান্ড ব্রাদার্সে পাঠালেন।
দূরবীনটি দেখে নগেন্দ্রনাথ যে কী পরিমান আনন্দ পেয়েছিলেন, তা জানা যায় তাঁর লেখা একটা চিঠি থেকে। চিঠিতে মহানন্দে প্রাপ্তি স্বীকার করেছিলেন। বলাবাহুল্য যত্নের সঙ্গে দূরবীনটির জন্য একটি ইক্যুইটোরিয়াল স্ট্যান্ড তৈরি করে নগেন্দ্রনাথ, রাধাগোবিন্দকে পাঠিয়েছিলেন। ধর অ্যান্ড ব্রাদার্সের তৈরি দূরবীন সেকালে সেন্ট জেভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সি, হুগলি কলেজের মতো এদেশের বহু কলেজ ও দেশীয় রাজাদের লাইব্রেরীতে স্থান পেয়েছিল। এবং শত শত শিক্ষার্থীর প্রয়োজনে মিটিয়ে ছিল। এছাড়া কুচবিহার মহারাজ, গায়কোয়াড় মহারাজ এবং রবীন্দ্রনাথের মতো গুণগ্রাহীরা হুগলির কারখানায় তৈরি দূরবীন সংগ্রহ করেছিলেন।
১৯০৬ সালে অনুষ্ঠিত কলকাতা প্রদর্শনীতে ধর অ্যান্ড ব্রাদার্স, দূরবীন তৈরিতে স্বর্ণপদক লাভ করেছিল। দুঃখের কথা বহু বাঙালি প্রতিষ্ঠানের মতই ধর অ্যান্ড ব্রাদার্স দূরবীন তৈরি সংস্থার কোন অস্তিত্ব আজকের দিনে নেই। ১৯২৯ সালে নগেন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরেই এ দেশে তৈরি প্রথম দূরবীন কারখানাও অস্তমিত হয়। তথ্যঋণ: রণতোষ চক্রবর্তী
শুক্রবার মেডিক্যাল টেস্টের পর সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক যুব তৃণমূল (TMC Leader) নেতা শান্তনু ঘোষ। তাঁর দাবি, 'নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল দলপতি সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়েছেন। তিনি এই দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Scam) সবটা জানেন। তাপস কুমার মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষও কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন।' ইডি (ED) সূত্রে খবর, এই তিন জন নিয়োগ-কাণ্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে, শুক্রবার হুগলি বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এই যুব তৃণমূল নেতাকে একদফায় জেরার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। এমনকি, শান্তনুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা অভিযান চালালে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাপস কুমার মণ্ডল কেন কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিল, প্রশ্ন করেন ইডি কর্তারা। তখন তাপসবাবু জানান, 'আমি দিতে চাইনি। কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্যারান্টার হিসেবে নিয়ে এসে বলেন একে বিশ্বাস করে টাকা দিন। এই ব্যক্তি তৃণমূলের যুবনেতা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন আপনি টাকা দিন আমি চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।'
জানা গিয়েছে, তারপরেই নামের তালিকা-সহ টাকা চলে যায় কুন্তল ঘোষের কাছে। সেই নামের তালিকা ইতিমধ্যে ইডির হাতে এসে পৌঁছেছে। এমনকি কুন্তল ঘোষের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে ইডি। শান্তনুর একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি-সহ ইডি দফতরের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অবাক কাণ্ড! বিমানবন্দর (Airport) থেকেই নিখোঁজ (missing) হলেন এক মহিলা যাত্রী। কিন্তু বিমানবন্দরে এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিখোঁজ হলেন ওই যাত্রী? কেন নজরে পড়লেন না কারও? ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তবে মহিলার স্বামীর তির বিমানবন্দরের নিরাপত্তার উপরেই। জানা যায়, শুক্রবার স্ত্রী ও পরিবারকে নিয়ে পুনের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন হুগলি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা কাঞ্চন বাগচি।
বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। এমনকি লাগেজও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বেসরকারি বিমানসংস্থার বিমান বিলম্ব হতে থাকায় বিরক্ত হতে থাকেন কাঞ্চনবাবুর স্ত্রী। এরপরেই কাঞ্চনবাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিমানের টিকিট বাতিল করবেন। সেই মোতাবেক টিকিট বাতিল করে লাগেজ নিতে গেলে, তাঁর স্ত্রী শুক্লা বাগচি সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বিমানবন্দরের প্রস্থান গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ তিনি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কাঞ্চন বাগচী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে।
তিনি ইতিমধ্যেই এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছেন। শনিবার তিনি প্রশ্ন তুলে জানান, কী করে একজন প্রস্থান গেট দিয়ে বাইরে যেতে পারে? গোটা ঘটনার তদন্তে এনএস সিবিআই এয়ারপোর্ট থানার পুলিস।
মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা (road accident)! বুধবার ভোরবেলা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল পিকনিক (picnic) ফেরত এক পর্যটকবাহী বাস। ঘটনাটি হুগলির (Hooghly) হরিপালের ইলিপুরে অহল্যা বাই রোডের। দুর্ঘটনায় মৃত (death) ১, আহত (injured) ৩৫ জন যাত্রী। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আহতদের দেখতে বুধবার সকালে হরিপাল হাসপাতালে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দিঘির একটি ৬৭ জনের পিকনিক দল বাসে করে অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে হরিপালের ইলিপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। ঘটনার পরেই বাস যাত্রীদের চেঁচামেচিতে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী অন্য গাড়ির লোকেরা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস। তড়িঘড়ি আহতদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে তাপসী হালদার নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জনকে কলকাতার পিজি ও মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত হন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না।
দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া এবার বাংলায়। এবারের ঘটনাস্থল হুগলি (Hooghly) জেলা সদর চুঁচুড়া (Chinsurah)। বন্ধ আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হল মহিলার মৃতদেহ, তাও আবার দিন তিনেক পুরনো। আর এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাট এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতা বছর ৬২-র ভারতী ধারা শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে স্বামী কাশীনাথ ধারাকে নিয়ে থাকতেন। ছোট্ট টিনের ঘরেই ছিল তাঁর সংসার। স্থানীয়দের বাড়িতে দৈনন্দিনের কাজ করে কোনওরকমে দিন চালাতেন ভারতী ধারা (Bharati Dhara)।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ তাঁর স্বামী কাশীনাথ সেই অর্থে কিছুই কাজ করেন না। কিন্তু নিত্যদিনই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরতেন কাশীনাথ। এমনকি স্ত্রীর কাছ থেকে মদ কেনার টাকা চাওয়া নিয়েও প্রায়দিন চলত দুজনের বচসা। আর তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে আলমারিতে ঢুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্ত্রীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করতেন কাশীনাথ বলেও অভিযোগ পরিজনদের। গত বুধবার সকালে শেষবার ভারতীদেবীকে দেখতে পান বলেও জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে শনিবার ভারতী দেবীর ছেলে বিশ্বনাথ ধারা পাশেই থাকেন। এদিন বেলার দিকে তিনি ক্যাটারিং ব্যবসার জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য মা-বাবার ঘরে ঢোকেন। সেখানেই আলমারি খুলতেই গড়িয়ে পড়ে তাঁর মায়ের দেহ। এদিকে বিশ্বনাথের স্ত্রী জানান, দিন তিনেক ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ভারতীদেবীকে। কাশীনাথ বলেছিলেন তিনি এক পরিজনের বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেখানেও নেই তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে থানাতে নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। কিন্তু এদিনের এই ঘটনার পর শ্বশুরের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন এর আগেও শিশু হেনস্থার অভিযোগে পুলিসের হেফাজতে গিয়েছিলেন কাশীনাথ।
ধীরে ধীরে আবার দেশে ফিরে আসছ সেই খেলার আবহ, এমনটাই মত ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের। আর সেখানেই ফের সোনার সময় শুরু হবে বলেও আশাবাদী ক্রীড়া মহল। আর এবার সেই স্বপ্ন খানিক সত্যি করেই আশার আলো দেখাচ্ছে হুগলির (Hooghly) বুলটি রায়। সম্প্রতি ২৩ নভেম্বর থেকে মহারাষ্ট্রের নাসিকে (Nasik) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। দ্বিতীয় জাতীয় ফেডারেশন ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা (2nd National Federetion Meet) আর সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন বাংলার প্রতিযোগিরাও। আর সেখানেই যথাক্রমে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৮০০ মিটার ও রিলে দৌড়ে (Relay Race) বাংলার হয়ে অংশগ্রহণ করেন বুলটি। শুধু তাই নয়, এই প্রতিটি বিভাগেই সোনা জিতেছেন এই কৃতি খেলোয়াড়। বাংলা ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আরও ১২টি রাজ্য এবং পাশপাশি প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপালের প্রতিযোগিতারা।
উল্লেখ্য, তারকেশ্বর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণ বাজার এলাকায় একটি ছোট্ট টালির চালের ভাড়া বাড়িতে স্বামী এবং দুই সন্তান কে নিয়ে বসবাস করেন বুলটি। স্বামী সন্তোষ দাস ট্রেনে হকারি করে সংসার চালান। অভাবের সংসারে থেকেও একের পর এক সফলতা অর্জন করে চলেছেন বুলটি। জাতীয় স্তরে পাঁচ পাঁচটি স্বর্ণ পদক জয়ের পর কোথাও যেন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অলিম্পিকের স্বপ্ন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ২৭ শে এপ্রিল থেকে ১লা মে পর্যন্ত তামিলনাড়ুর জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ৪২ তম জাতীয় মাস্টার্স অথ্যালেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার হয়ে পাঁচটি মিটে অংশ গ্রহণ করেন বুলটি। সেখানেও ২০০ মিটার দৌড়,৪০০ মিটার দৌড় এবং ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ পদক লাভ করেন তিনি।
অন্যদিকে ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে পান রুপো। তবে এত খুশির মধ্যেই রয়েছে বিষাদও। এতদিন যিনি বুলটিকে শিক্ষা দিয়ে এসেছেন, তিনি অর্থাৎ বুলটির ট্রেনার প্রয়াত হয়েছেন একদিন আগেই। তাই এদিন যথেষ্ট শোকে রয়েছেন বলে জানালেন বুলটি।
অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়েই চলছে দিনের পর দিন অনুশীলন। গত ২৫ বছরে অনুশীললের ফল হিসাবে বাড়িতে থাকা টিনের ট্যাঙ্কে ভর্তি হয়ে আছে বেঙ্গল এবং জাতীয় স্তরের হাজার হাজার শংসাপত্র এবং সোনা,রুপা, ব্রোঞ্জের মেডেল। হয়তো ভবিষ্যতে সেখানেই যুক্ত হবে কমনওয়েলথ বা অলিম্পিকের পদকও, এই আশাতেই বুক বাঁধছেন সকলে।
তাজ মহল (Taj Mahal) কোথায়? কোথায় বা কুতুব মিনার (Qutab Minar)? ঐতিহ্য আর ইতিহাসের খনি ভারতের (India) একাধিক ঐতিহাসিক নিদর্শন কোথায় কোনটা রয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বলতে গিয়ে আচ্ছা জ্ঞানী মানুষদেরও অনেক সময় হোঁচট খেতে হয়। কিন্তু যদি খুদে (প্রায় দু'বছর) বয়সেই কেউ তার সঠিক উত্তর দেয় তখন সেটি অবাক করা বিষয়ই বটে। তবে এটা গল্প নয়, একেবারে সত্যি। কারণ এরকম অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে অরণ্য দাস (Aranya Das)।
হুগলির হরিপালের বাসিন্দা এই আশ্চর্য খুদে সম্প্রতি বাঘা বাঘা ভূগোলবিদদের ঘোল খাইয়েছে। কারণ মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে ২০টা ঐতিহাসিক স্থানকে একদম সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে সে নিজের নাম তুলেছে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ। এখন অরণ্যর বয়স মাত্র ১ বছর ১১ মাস ৩০ দিন। আর এরই মধ্যে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে এই একরত্তি। 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'এর মানপত্র এবং উপহার বাড়িতে পৌঁছনোর পরেই এদিন রীতিমত উৎসবের আমেজ বাড়িতে। খুদের মা, বাবা, পরিবার, পরিজন সকলেই অত্যন্ত খুশি বাড়ির প্রিয় ছোট্ট এই সদস্যর এই অসামান্য কীর্তিতে।
ছেলের সাফল্যে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত অরণ্যর বাবা ভাস্কর দাস। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন যে শুধুমাত্র তিনিই নয়, বরং অরণ্যর এই কীর্তিতে প্রচণ্ড খুশি গোটা পরিবার। সেই সঙ্গে তিনি তো বটেই এবং সকলেই গর্বিত এত ছোট্ট বয়সে অরণ্য এত বড় একটা কীর্তি করেছে বলে। অপরদিকে খুদে অরণ্যর মা জানান, 'এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।' উল্লেখ্য, মোট ৩০টি বিষয়ের উপর একটি ভিডিও পাঠানো হয়েছিল 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'এর কর্মকর্তাদের কাছে। আর এরই মধ্যে অরণ্য রেকর্ড গড়েছে সবথেকে কম বয়সী হিসেবে এক মিনিটে ২০টি ঐতিহাসিক জায়গার নাম চিহ্নিত করে।
ব্যান্ডেলের (Bandel Primary School) প্রাইমারি স্কুলের মাঠে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক। এই ঘটনায় বিরোধীদের (BJP) কাঠগড়ায় শাসক (TMC) দল। জানান গিয়েছে, ব্যান্ডেলের নলডাঙা প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন মাঠে তিনটি তাজা বোমা (Bomb Recover) উদ্ধার পুলিসের। যে মাঠে বোমা উদ্ধার হয়েছে, সেটা স্থানীয়দের চলার পথ। ফলে বোমাগুলো ফাটলে কী হতো, সেটাই ভেবে শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি পঠনপাঠনের জায়গায় এভাবে কেন বোমা আসবে? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। সম্প্রতি টিটাগড়ে স্কুল ছাদে বোমা ফাটায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। এবার হুগলির ব্যান্ডেলের স্কুলমাঠে তাজা বোমা উদ্ধারে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির অভিযোগ, 'স্কুলমাঠে বোমা পড়ে, দেখেও আশ্চর্য লাগে! গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে এভাবে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ফের ভোট আসছে, ফের একই কাণ্ড। এই সংস্কৃতি নলডাঙায় ছিল না। একটা বিষয় পরিষ্কার সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ এসেছে ভোটের আগে সব সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে। যারা এসব করছে তাঁরা স্থানীয়। এটা একটা স্কুল, বাচ্চাদের খেলাধুলোর জায়গা। কিন্তু এসব মাথায় নেই শুধু দখলদারির রাজত্ব।'
স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি,'এটা পূর্ব পরিকল্পিত। কয়েকদিন আগে পার্টি অফিসের সিসি ক্যামেরা ভাঙা হয়েছিল। যাতে কেউ না দেখতে পায়। তৃণমূল শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে মানুষের কাজ করেছে। গত কয়েক বছরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙেছে। কর্মীদের ধমকানো-চমকানো চলছে। বিজেপি চাইছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে ক্ষমতা দখল করবে।'
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, 'ভোট আসলেই বোমাবাজি। কয়েক বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছে। স্কুলের সমানে বোমা উদ্ধার নিন্দনীয়। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। এগুলো মোটেও কাঙ্খিত নয়, এর একটা বিহিত হওয়া উচিৎ।'
এক গৃহবধুকে খুন (murder) করে মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের (Khanakul) পাঁচুইখানা এলাকার। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী আগে খুন করে, তারপর মৃতদেহ (deadbody) পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবিতে এলাকা ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে খানাকুল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস অভিযুক্ত স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস ওই গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মানসী মণ্ডল(৪২), দম্পতির দুই সন্তান। তড়িঘড়ি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষজন দেহটি আটকে রাখে। পুলিস এলে অভিযুক্তদের পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁরা। অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত। পাশাপাশি হরেকৃষ্ণের ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। পাঁচুইখানার বাড়িতে মৃতার ছোট জা থাকেন।
পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ জানার গ্রামের বাড়ি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায়। কর্মসূত্রে তাঁরা এখানেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে হরেকৃষ্ণ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যান। আর সেই ঘটনা জানতে পারায় স্ত্রী মানসীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে আগে খুন করেন স্বামী হরেকৃষ্ণ। পরে তাঁর দেহ বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসে খানাকুল থানার পুলিস।