দোকানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী (Student)। অপহরণের পর উদ্ধার হলেও নাবালিকাকে ফেরত আনতে যেতে টাকা চাইছে পুলিস। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ নাবালিকার পরিবারের। তাহলে রক্ষকই ভক্ষক? উঠেছে এমনই প্রশ্ন। গাজিয়াবাদে নাবালিকাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা চাইছে স্থানীয় চাঁচল থানার (Chanchal Police Station) অন্তর্গত খরবা ফাঁড়ির পুলিস। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) চাঁচল থানার মল্লিক পাড়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত সাত দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মল্লিকপাড়া এলাকার এক নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার। অভিযোগের তীর এক প্রতিবেশী বান্ধবীর বিরুদ্ধে। তারপর বৃহস্পতিবার দিল্লির গাজিয়াবাদ থানা থেকে খবর আসে ওই থানায় রয়েছে নাবালিকা। অপহরণ করে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাচারের উদ্দেশে। রাস্তায় কোনও এক সহৃদয় ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় দিয়ে আসে।
এই মুহূর্তে ওই থানা থেকে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করে বলা হয়েছে, স্থানীয় থানা উপযুক্ত প্রমাণ সহ গেলে তবেই নাবালিকাকে ছাড়বে পুলিস। ওই নাবালিকার পরিবার খরবা ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন। কিন্তু নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিসের নাম করে ওই ফাঁড়ির এক সিভিক নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে গাজিয়াবাদ যাওয়ার জন্য চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না পেলে তারা কোনোভাবে নাবালিকাকে দিল্লি থেকে চাঁচলে আনতে পারবেনানা বলেও জানান। নাবালিকার পরিবারের এই অভিযোগ সামনে আসতে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
মহানন্দা নদীর তীরে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস ওই নাবালিকার পরিবার। হতদরিদ্র, দিনমজুর পরিবারের সামর্থ্য নেই সেই টাকা যোগানের। মেয়েকে ফেরানোর চিন্তায় ব্যাকুল মা। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। বহরমপুরে কলেজছাত্রী খুনে দোষী সাব্যস্থ হওয়া সুশান্তের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক। আদালতে এমনই জানালেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী। ফাঁসির আবেদন করা হল। সুশান্তের আইনজীবী আদালতে পাল্টা জানান, তাঁর মক্কেল আবেগের বশে এই কাজ করেছেন। আদালত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করা হবে।
বহরমপুরের কলেজছাত্রী খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। মঙ্গলবার তাঁকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ নম্বর ও ২৮এ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
বুধবার সাজা ঘোষণার শুনানি শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে। খুন করার ১৫ মাসের মাথায় সুতপা হত্যা কাণ্ডের শুনানিতে মঙ্গলবার বহরমপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
সৌমেন সুরঃ (দুর্গাপুজো সম্পর্কীয় ধারাবাহিক আলোচনার সমাপ্তি পর্বের শেষ খন্ড) দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। ষষ্ঠীর দিন মোটামুটি দর্শনার্থীদের ভিড়। বুনিদের দোকানটা ভালই চলছে। বুনি একমনে কাস্টমারদের খাবার দিয়েই চলেছে। আজ বুনিকে একটু অন্যরকম লাগছে। খুব ভাল করে সেজেছে ও। ওর রূপের টানে মানুষ বেশি করে ভিড় করছে। সন্ধে সাতটায় দোকান চালু হয়েছে। রাত দশটার মধ্যে সমস্ত মাল শেষ। দোকানের সমস্ত মালপত্র ভ্যানে ওঠায়। একবুক আনন্দ নিয়ে বাবা মেয়ে ও বাচ্চা ছেলেটা ভ্যানে উঠে পড়ে।
বাড়ি এসে একটু ফ্রেশ হয়ে বুনির বাবা দিনান্তের আয়ের টাকা পয়সা গুলো গুনতে থাকে। একমুখ হাসি নিয়ে বুনিকে বলে, 'হাজার তিনেক টাকা লাভ হয়েছে।' বুনি খুশি হয়ে বাবাকে বলে, 'বাবা, আমি তোমার হাসিমুখটা দেখতে চাই। গতবছর মুখ হাড়ি করে ছিলে, তখনই আমি চিন্তা করেছিলাম, সামনের পুজোয় আমি তোমাকে সাহায্য করবো।'
খাবারের জিনিস দ্বিগুন করে সপ্তমীতে চললো দুজনে দোকানে। মানুষের এত ভিড়, রাত নটার মধ্যে সমস্ত মাল শেষ। অষ্টমীর দিনও তাই। সারা বাড়িতে মাত্র তিনজন প্রাণী। বুনি ও তার মা বাবা। প্রত্যেকের মনে চরম আনন্দ। সকাল সকাল পুজো দিয়ে বুনি খাবার বানাতে বসে যায়। আজ নবমী, খাবার চারগুন বেশি। বিকেলের রান্না শেষ। বুনি স্নান সেরে জিন্স ও কুর্তি পরে মালপত্র নিয়ে ভ্যানে উঠে পড়ে। সঙ্গে বাবা ও বাচ্চা ছেলেটি। আজ তিনটে ভ্যান। বুনির বাবা একটু ইতস্তুত করেছিল, চারগুন খাবার! যদি বিক্রি না হয় তাহলে তো- বুনি বাধা দিয়ে বাবাকে বলে, 'বাবা, ব্যবসা হলো সাপ লুডো খেলার মতো, বিক্রি হলে বিশাল ব্যাপার, না হলে হতাশা। দেখো বাবা, আজ শেষ দিন। ব্যবসায় একটু ঝুঁকি নিতে হয়। তুমি অত ভেবো নাতো, যা থাকে কপালে। মা নিশ্চই গরীবকে মারবেনা।'
আজ মানুষের ঢল নেমেছে। বুনির দোকানে ভীষণ ভিড়। সব ধরনের খদ্দের জমায়েত হয়েছে দোকানে। রাত একটার মধ্যে সমস্ত মাল নিঃশেষ। সবকিছু গুছিয়ে মাঝরাতে বাড়ি ফেরে বুনিরা। আজ বাড়ির সমান মনে প্রচন্ড আনন্দ।" বাবা মা টাকাপয়সা গুনে বুনিকে বলে, 'মা আমি সারাজীবন এত টাকার লাভ চোখে দেখিনি। ২৮ হাজার টাকা। সব তোর করিশ্মা।' বুনু প্রতিবাদ করে, 'না বাবা, আমি কেউ না, সব ঐ ওপরওয়ালা। উনি যদি সহায় না হতেন তাহলে আজকের এই আনন্দের মুখ আমরা কেউ দেখতে পেতাম! যাক বাবা, কাল আমাদের ছুটি। আমরা গঙ্গার ঘাটে মায়ের বিসর্জন দেখবো। আর মনে মনে বলবো, মা আবার এসো তুমি। সমস্ত গরীব দিনমজুরদের ঘরে আলো দেখাও, সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে' বাবা মা ভক্তিভরে হাতজোড় করে। তিনবার শব্দ করে ওঠেন, 'জয় মা দুর্গা।' দূর থেকে প্রথম ভোরের ঢাকের আওয়াজ ভেসে ওঠে। ঢাকিরা ঢাকে বিসর্জনের বোল তোলে। (সমান্ত)।
সৌমেন সুর: (দুর্গাপুজো সম্পর্কীয় ধারাবাহিক আলোচনার সমাপ্তি পর্বের ১ম খন্ড) সকাল থেকে আকাশটা কেমন মুখ ভার করে আছে। বুনির বাবা একটু চিন্তিত। চিন্তাটা স্বাভাবিক। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ফেরিওয়ালার দিন শেষ। সারা বছর ফেরী করার পর পুজোর চারটে দিন একটু বেশি ইনকামের আশায় বুনির বাবার মত অনেকেই হা করে বসে থাকে।। প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বিক্রি করে বুনির বাবা। দিনান্তে তেমন লাভের মুখ হয়তো দেখতে পায় না, তবে যেটুকু হয় তাতে কোনোরকমে সংসার চলে যায়। সংসারের খরচ ছাড়া বুনির কলেজের পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অপেক্ষা করতে থাকে পুজোর জন্য। বুনির বাবা অনেক আশা নিয়ে পুজোয় খাবারের দোকান দিয়েছিল রাস্তায়। কিন্তু মাথায় হাত তার। বিক্রি তেমন ভালো হয়নি। অর্ধেকটাই লস। খুব মুষড়ে পড়েছিল বুনির বাবা। এবছর আর দোকানের নাম করে না। কিন্তু বুনি ছাড়বার পাত্র নয়। বাবাকে বলে দোকান দিতে। ও বসবে দোকানে। কথাটা শুনে বুনির বাবা অবাক হয়ে গিয়েছিল। কলেজের পড়ুয়া মেয়ে বাবার সঙ্গে রাস্তার দোকানে বসবে!
আসলে বুনি তার বাবাকে বুঝতে পেরেছিল। সেই পুরনো প্রাগৈতিহাসিক যুগে পড়ে আছে তার বাবা। বর্তমানে অনেক কিছুর বদল হয়েছে। সেই আধুনিকতার ছাপ বাবার ব্যবসায়ে নেই। বাবার ব্যবসার ধরন, গেট আপ, ব্যবহার, কথাবার্তা একেবারে ম্যার ম্যারে, সেকেলে। কোথায় চৌকস উজ্জ্বলতা থাকবে তা নয়- একদম বোগাস। এসব কিছু বুঝতে পেরে বাবার পাশে থাকার জন্য এগিয়ে এসেছিল সে। বুনি বাবাকে বলে, 'বাবা দোকানে থাকবে চা, ডিমটোস্ট, ঘুগনি আর চিলি চিকেন। তোমার ভয় নেই চিলি চিকেন আমি বানাবো। তুমি শুধু চা বানাবে। বাকি সব আমি সামলে নেব। সঙ্গে একটা বাচ্চা ছেলে থাকবে ব্যাস।'
বুনির কথা শুনে ওর বাবার মনে একটা চাপা আনন্দ ফুটে ওঠে। কোনো কথা বলেন না। মনে মনে ভাবেন, মেয়ের কি প্ল্যান আছে কে জানে। বুনির বাবা দিনমজুর, ফেরিওয়ালা। জীবন যে কত সুন্দর, এ ফিলিংস বুনি ছাড়া এ পরিবারের আর কারো হয়নি। সবাই একটা উদ্দেশ্য নিয়ে চলে, তবে সে উদ্দেশ্য কারো সফল হয়, কারো হয় না। দোচালের মধ্যে এই পরিবারের জীবন। পরিপূর্ণ সুখ কোনদিন কল্পনা করেনি। ( চলবে)
স্কুল ছাত্রীকে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগে সোমবার রাতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। যৌন নির্যাতনে বাধা পেতেই ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে শিলিগুড়িতে খুন নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আব্বাস। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের আর্জি জানিয়েছে পুলিস।
সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ মাটিগাড়া থানা অধীন মোটাজোত এলাকায় পরিত্যক্ত একটি জমি থেকে এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়ার রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ ঘণ্টার আগেই সাফল্য পেল পুলিস। মাটিগাড়ার লেলিন কলোনীর বাড়ি থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মাটিগাড়া থানা পুলিস। গ্রেফতারের পরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয়। তবে মৃতা ওই নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্তের কতদিনের এবং কী সম্পর্ক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত জারি রেখেছে পুলিস।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোমবার স্কুল ছুটির পর ওই পড়ুয়া হাঁটা পথেই মোটাজোত পৌঁছয়। অন্যদিকে, পেশায় খালাসি ধৃত মহম্মদ আব্বাস সাইকেলে ছিল। ঘটনার পরই ধৃত এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল। তবে সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজ অবশেষে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিল। একইসঙ্গে স্থানীয়দের বয়ান সহ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয় রাতেই।
ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, মৃতা ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বাধা পেতেই ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
সোমবার থেকে নিখোঁজ (missing) বছর দুয়ের এক শিশু কন্যা (Girl)। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি নিখোঁজ শিশুর খোঁজ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রীতে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। অভিযোগ করার পরে ওই এলাকায় পৌছয় পুলিস। পাশাপাশি নিয়ে আসা হয় সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিদের। বাড়ির পাশের পুকুরগুলিতে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই শিশুটির কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই শিশু কন্যাটির নাম আরমিনা খাতুন। আরমিনা খাতুনের মা সারবানু মণ্ডল ও বাবা আইফুল মণ্ডল। শিশুটির মা জানান, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি মায়ের বাড়িতে চলে যান। তারপর থেকে মায়ের বাড়িতেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। বাবা না থাকায় সকলের আদুরে ছিল আরমিনা। বাড়ির সামনেই রোজ খেলাধুলা করত। তবে সোমবার বিকেলেও খেলাধুলা করছিল সে। কিন্তু সন্ধ্যের দিক করে তাকে আর দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তারপর থেকেই চলছে খোঁজাখুঁজি। তিনি দাবি করেন, বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিস তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এলাকার পুকুর গুলোতেও ডুবুরি নামানো হয়েছে।
এক আদিবাসী তরুনীকে শারীরিক নির্যাতনের (Physical Abuse) ঘটনায়, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) খাতরা থানার অন্তর্গত সুপুর মোড়ে। রবিবার সকাল থেকে এই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ রয়েছে যান চলাচল। খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিস (Police) অবরোধস্থলে পৌঁছালেও অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরানো যায়নি। অবরোধকারীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অবরোধ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার খাতড়া থানা এলাকার এক আদিবাসী তরুনী মাঠে গরু চরাতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ই এক যুবক আচমকাই সেখানে হাজির হয়। তারপরেই তাঁকে জোরপূর্বকভাবে ওই আদিবাসী তরুনীকে শারিরীক ভাবে হেনস্থা ও নির্যাতন করে। তবে বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় ওই তরুণী কোনওরকমে পালিয়ে যান। তারপরেই তিনি থানায় গিয়ে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, অভিযোগ করার পরেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তাই অবিলম্বে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল রবিবার সকাল থেকে পথে নেমেছেন।
যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যাদবপুরের বয়েস হোস্টেলে মৃত্যু হল এক তরতাজা ছাত্রের। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এমনকি শুরু হয়েছে প্রতিবাদ মিছিলও। এমতাবস্থায় বালুরঘাট (Balurghat) গার্লস কলেজে (Girls Hostel) কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলছে হোস্টেলের আবাসিকরা। অভিযোগ, মহিলা হোস্টেলের দরজা জানালা ভেঙে (Bad Condition) রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। খবরের কাগজ, বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে জানালাগুলি। বারবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি। যার ফলে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হোস্টেলের আবাসিকরা। এমনকি এই গাফিলতির জন্যে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে নানান দুর্ঘটনা।
হোস্টেলের ছাত্রীদের অভিযোগ, হোস্টেলে আসার পর থেকেই দরজা জানালা ভাঙা, জলের আ্যকোয়ার্গাড ভাঙা অবস্থাতেই দেখেছে তাঁরা। যার ফলে পানীয় জল থেকে শুরু করে রান্নার যাবতীয় সামগ্রী কিনতে হচ্ছে হোস্টেলের ছাত্রীদেরই। এমনকি ভাঙা জানালা গুলির বাইরে ঝোপঝাড়, নোংরা থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তা পরিস্কার করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু কলেজের অধ্যাপককে এই সমস্যার কথা বললে তিনি ছাত্রীদেরই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কথা বলেন, এমনটাই অভিযোগ। তাঁদের দাবি, অতিশীঘ্রই কলেজের তরফ থেকে হোস্টেলে জানালা, দরজা বসানো হোক। পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ঝোপঝাড়, নোংরা সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হোক।
এই বিষয়ে বালুরঘাট কলেজের গার্লস হোস্টেলের সুপারিনটেনডেণ্ট জানান, হোস্টেলের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। খুব তাড়াতাড়িই এই সমস্যাগুলির সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রেম-ভালোবাসায় পড়লে মানুষ কি না করেন! যেমন সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, প্রেমিকের ভালোবাসার টানে সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে এসেছেন একাধিক মহিলা। তবে এবারে কেউ কোনও দেশ থেকে পালিয়ে আসেননি। প্রেমিকের উপর রাগ-অভিমান করে এমন এক কাণ্ড করে বসেছেন এক তরুণী, যা দেখে চোখ কপালে উঠল প্রত্যেকের। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে রাগ করে উঠে পড়েছেন ৮০ ফুট উঁচু বিদ্যুতের টাওয়ারে (Tower)। আর তাঁর রাগ ভাঙাতে পিছনে ছুটলেন প্রেমিকও। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) গোরেলা পেন্দ্রা মারওয়াহি জেলার ঘটনা।
পুলিস সূত্রে খবর, ছত্তিশগড়ের মারওয়াহি জেলার ওই তরুণী পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও কারণে ঝগড়া হয়। প্রায় ১-২ ঘণ্টা তাঁদের ফোনে ঝগড়া হয়। এরপরই নাকি তরুণী রাগ করে উঠে পড়েন ৮০ ফুট উঁচু বিদ্যুতের টাওয়ারে। এরপর তাঁর পিছন পিছন ছোটেন তাঁর প্রেমিকও।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, যুবক ও তরুণীর এমন কাণ্ড দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিস স্টেশনে। পুলিসও সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। এরপর তাঁদের দু'জনের সঙ্গে কথা বলে, ভালোভাবে বুঝিয়ে তাঁদের নীচে নামিয়ে আনা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হয়নি বলে খবর। তবে তাঁদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমনটা কখনও তাঁরা না করেন।
অগাস্ট মাসে ধামাকা করতে আসছে আয়ুষ্মান খুরানা অভিনীত সিনেমা 'ড্রিম গার্ল ২' (Dream Girl 2)। ইতিমধ্যেই সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমায় আয়ুষ্মানের প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে (Ananya Pandey)। ড্রিম গার্লে আয়ুষ্মানের চরিত্রটিকে দেখা গিয়েছিল চাকরির জন্য লড়তে। এই সিক্যুয়েলে আয়ুষ্মানকে দেখা যাবে প্রেমিকার জন্য লড়তে। তবে ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই আলোচ্য হয়ে উঠেছেন অনন্যা। আয়ুষ্মানের সঙ্গে অভিনেত্রীর বয়সের ফারাক ১৪ বছর। এই নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এই বিষয়ে কী মত অভিনেত্রীর?
এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানিয়েছেন, 'আমার মনে হয় না এই ইস্যু আজকের। বয়সের ফারাক বরাবরই ছিল। সিনেমা দেখার সময় দর্শকদের কোনও বয়স বেধে দেওয়া উচিত না। তাঁরা যদি আগে থেকেই বয়স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে। যতদূর দুই অভিনেতা নিজেদের চরিত্রে মানিয়ে যায়, বয়সও মেনে নেওয়া যায়।'
প্রসঙ্গত, ড্রিম গার্ল ২ মুক্তির সময় পিছিয়ে গিয়েছে। সিনেমাটি বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে, ২৫ অগাস্ট। কেন দেরি হচ্ছে সিনেমাটি মুক্তি পেতে? এই বিষয়ে ছবির প্রযোজক একতা কাপুর বলেন, 'আমরা চাই ড্রিম গার্ল ২-তে আয়ুষ্মানের চরিত্রটি সম্পূর্ণভাবে পূজার মতো দেখাক। এইজন্যই আমরা একটু বাড়তি সময় নিচ্ছি, চেহারার ভিএফএক্স যথার্থ করতে। আমরা চাই দর্শকেরা সিনেমাহলে সবচেয়ে ভালো মানে সিনেমা দেখুক।'
২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann Khurrana) অভিনীত সিনেমা ড্রিম গার্ল। ছাপোষা মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে করমবীর। তাঁর বেকারত্বে বিরক্ত বাবা। অবশেষে একটি কল সেন্টারে কাজ পায় করমবীর। মহিলাকণ্ঠে কথা বলতে শুরু করেন পুরুষদের সঙ্গে। নাম হয় 'পূজা'। শুধুমাত্র পুরুষদের বিনোদন করে মোবাইলের বিল বাড়ানো কাজ ছিল তাঁর। যদিও হয়েছিল উল্টো। সেই সব পুরুষেরা পূজার প্রেমে পড়েন, এমনকি তাঁকে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লাগেন। এই দলে ছিলেন, খোদ করমবীরের বাবা।
বেশ অন্যরকম গল্পে দর্শকদের টানটান বিনোদন দিয়েছিল সিনেমাটি। বক্স অফিসে এত সাফল্য পেয়েছিল সিনেমাটি, যে এর সিক্যুয়েল আসতে চলেছে এবার। ইতিমধ্যেই ড্রিম গার্ল ২ সিনেমার ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে আয়ুষ্মানের চরিত্র পূজার ঝলক। তবে ঝলকে কি আর মন ভরে! এবার দর্শকদের জন্য আসতে চলেছে এই সিনেমার ট্রেলার। ১ আগস্ট সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাবে এই ট্রেলার।
আয়ুষ্মানের বিপরীতে এই সিনেমায় দেখা যাবে অনন্যা পাণ্ডেকে। সিনেমার প্রযোজক একতা কাপুর এবং শোভা কাপুর। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ শান্ডিল্য। ট্রেলার মুক্তি পেলে যে দর্শকদের অপেক্ষা আরও বাড়বে তা হলফ করে বলা যায়।
সীমা, অঞ্জুর পর এবারে এক ভারতীয় কিশোরী (Minor Girl) ভালোবাসার টানে পাড়ি দিচ্ছিলেন পাকিস্তান (Pakistan)। প্রকাশ্যে এসেছে, সেও নাকি তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে দেশের সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানে (Pakistan) যাচ্ছিলেন, তবে শেষপর্যন্ত যেতে পারেনি সে। কিন্তু পরে তাকে জেরা করতে গিয়ে আরও এক তথ্য বেরিয়ে আসে, যা শুনে হতবাক পুলিস আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রাজস্থানের (Rajasthan) সিকর জেলার এক কিশোরী জয়পুরের বিমানবন্দরে যায় ও সেখানকার টিকিট কাউন্টারে গিয়ে পাকিস্তানের টিকিট কাটতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার কাছে ভিসা ও পাসপোর্ট না থাকায় তাকে পুলিসের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে যাচ্ছিল কিশোরী। কিন্তু তার কাছে পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকায় তাকে টিকিটই দেওয়া হয়নি। প্রথমে তাকে জয়পুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আটক করে ও পরে তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তার বাবা-মাকেও ডেকে পাঠানো হয়। তার বাবা-মা-এর সামনেই পাকিস্তান যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, সবার দৃষ্টি করতেই সে এমন করেছে। যদিও এই কথা মানতে রাজি নয় পুলিস। ফলে এই কিশোরীর পাকিস্তান যাওয়ার নেপথ্যে কী কারণ, তা তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রাজস্থানের সেই কিশোরী বিমানবন্দর থেকে টিকিট নেওয়ার জন্য মিথ্যা গল্পও বানিয়েছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জানায়, তিন বছর আগে ইসলামাবাদ থেকে ভারতে এসেছিল সে। কাকিমার সঙ্গে থাকে সে। কিন্তু কাকিমার সঙ্গে এখন আর থাকতে না পারায় সে এখন পাকিস্তানে ফিরে যেতে চায়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা কিশোরীর কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। কিন্তু তদন্তের পর পুলিস জানতে পারে, কিশোরী ইসলামাবাদের বাসিন্দা নয়, সে রাজস্থানের সিকর জেলার রত্নপুরা গ্রামের।
নারীদের যৌন নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা দেশ। এমনকি ওই প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ। একের পর এক এইরকম নৃশংস ঘটনায় বেশ আতঙ্কেও রয়েছেন সাধারণ মানুষ। মণিপুর, বিহার, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদার পাশাপাশি একইভাবে উত্তপ্ত কোচবিহারও।
চলতি মাসের ১৮ তারিখে এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ করে দুদিন ধরে ক্রমাগত যৌন নির্যাতন করার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে (Cooch Behar)। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ওই নাবালিকা (Minor Girl)) স্কুলে যায়। তবে স্কুলে যাওয়ার পর পরই তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। আর এরফলে ওই নাবালিকা পড়ুয়া (Dead) স্কুলে ছুটির আবেদন করে স্কুল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। আর ঠিক সেই সময়ই রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কিছু দুষ্কৃতী। তারপরেই দুদিন ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চলে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, নাবালিকার পেটে ব্যথা বা ছুটির আবেদন করে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার কথা আগে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ওই নাবালিকার পরিবারকে। ওই মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরলে স্কুলে গিয়ে খোঁজখবর করার পর জানা যায় নাবালিকা পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে সে আগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তারপর কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে থানার দারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। থানায় যাওয়ার একদিন পরেই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। চিকিত্সাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ওই নাবালিকা।
তবে এই ঘটনায় তখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিস। পরে গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্তদের ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিসের এই কাজে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিত ওই নাবালিকার পরিবার। পুলিসের কাজে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এমনকি এই ঘটানয় বেশ আতঙ্কেও রয়েছেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনকি এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা ও বেশকিছু সংগঠন দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann Khurrana) এতগুলো বছরে নিজের জন্য দর্শক তৈরী করেছেন। তাঁর হাসি কৌতুক রস, সাবলীল অভিনয় দর্শকদের বেশ পছন্দের। আয়ুষ্মান অভিনীত 'আর্টিক্যাল-১৫' একেবারেই গুরুগম্ভীর বিষয়ের সিনেমা ছিল। তা বাদে বাকি সব সিনেমাগুলিতে যেমন ফুরফুরে মেজাজের চিত্রনাট্য পাওয়া যায়। তেমনভাবেই সমাজের জন্য জমানো থাকে বিশেষ বার্তা। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত সিনেমা 'ড্রিম গার্ল'।
সেই সিনেমায় আয়ুষ্মানের চরিত্রের নাম ছিল করমবীর। বাবার গঞ্জনায় সে একেবারে অতিষ্ট হয়ে গিয়ে চাকরি নেয় এক কল সেন্টারে। এমন এক কল সেন্টার যেখানে কাজ করেন কেবল মহিলারা। যদিও করমবীর মহিলা নন, তবে সংযোগ একটি রয়েছে। যাত্রাপালায় সীতার চরিত্রে অভিনয় করতেন তিনি। তাই মহিলা কণ্ঠে তিনি একেবার সিদ্ধ'কণ্ঠ'। কয়েক দিনের মধ্যেই কল সেন্টারে লক্ষী বাড়তে শুরু করে। এত পুরুষ তাঁকে নিজের জীবনে চায়, যে জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়।
এবার সেই সিনেমার সিক্যুয়েল 'ড্রিম গার্ল-২' আসতে চলেছে। বেশ কয়েকদিন আগেই অভিনেতা এই সিনেমায় তাঁর চরিত্র 'পূজা'র একটি ঝলক দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। এবার দেখা গেল পূজাকে। তাঁর চেহারার ঝলক তিনি এবার প্রকাশ করলেন সামাজিক মাধ্যমে।তবে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এই তো শুধু প্রথম ঝলক। আয়নায় যা প্রতিফলিত হয়, বাস্তবে তা আরও বেশি সুন্দর হয়।' চলতি বছরে আগস্টের ২৫ তারিখ সিনেমাহলে দেখা যাবে পূজাকে।
মণিপুরে বিবস্ত্র মহিলাদের ছবি দেখে ক্ষোভে ফুসছে দেশ। এবার মণিপুর কাণ্ডে বিবস্ত্র এক তরুণীর মা একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, আর কোনও দিন গ্রামে ফেরা হবে না তাঁদের। পাশাপাশি , এই ঘটনায় তিনি কাঠগড়ায় তুললেন মণিপুরের শাসকদল বিজেপিকেই।
ঘটনায় বিবস্ত্র ওই যুবতীর মা সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানান, শুধু এই লজ্জাই নয় , এই ঘটনায় তাঁর স্বামী ও ছেলে প্রাণ হারিয়েছেন। কাতর কণ্ঠে তাঁর আর্তি, “ আমার স্বামীকেও হারালাম। বড় ছেলের হাতে কোনও কাজ নেই। তাই পরিবারের কথা যখন ভাবি, আমি কোনও আশার আলো দেখি না। আমার আর কিচ্ছু নেই।, আমরা আর গ্রামে যাব না। আমি নিজে আর ফিরতে চাই না।’’
এদিকে , বৃহস্পতিবারই মণিপুরে দুই যুবতীকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার, মূল অভিযুক্ত হুইরেম হেরোদাস মেতেইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। হামলাকারীরা অধিকাংশই মহিলা।
মে মাসের গোড়া থেকেই মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না সেনারাও। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুই মহিলাকে। অভিযোগ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তাঁরা। এই নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।