সৌমেন সুর: বর্তমানে ইন্টারনেট যুগে মানুষের চেতনা অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বাড়লে কি হবে, কোন এক অদৃশ্য শক্তির যাঁতাকলের হাতছানিতে বিয়ের সম্বন্ধে এখনো দর কষাকষি করে কনেকে বিদায় দিতে হয়। হতভাগ্য পিতার চোখে অশ্রু নেমে আসে। কত কষ্ট করে ধার দেনা করে কিংবা জমি বিক্রি করে নতুবা পি.এফ ফাণ্ডের সব টাকা তুলে, একেবারে নিঃস্ব হয়ে কান্নামিশ্রিত হাসিতে কন্যাকে তুলে দিতে হয়- 'সো কলড' শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত পরিবারের হাতে।
কন্যাদায় একটি বড় দায়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা কন্যার বিবাহ দিতে বাধ্য হন। ফলে সেই তাড়নায় বরের দর অত্যন্ত বেড়ে যায়। এই হতভাগ্য দেশে রুপ নয়, গুন নয়, প্রেম ভালেবাসা নয়, উচ্চ অর্থমূল্যে বাজারের কাছে নিকৃষ্ট সওদার মতো অপদার্থ যুবকের দল বিক্রি হয় বিয়ের বাজারে। ফলে কন্যার স্বপ্নের পতিগৃহ হয়ে ওঠে জতুগৃহ। অবশেষে রবীন্দ্রনাথের 'দেনাপাওনা' গল্পের হতভাগ্য চরিত্র 'নিরুপমা'র দল জ্বলন্ত চিতায় খুঁজে পায় জীবনের নিস্কৃতি।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, 'কন্যা আমাদের মস্ত বড় দায়। কন্যাদায়ের মতো দায় নেই। একান্ন পরিবারে আমরা দূর ও নিকট, এমনকি নামমাত্র আত্মীয়কেও বাঁধিয়ে রাখিতে চাই- কেবল কন্যাকেই ফেলিয়া দিতে হয়।' ছোট থেকে বেড়ে উঠলো সংসারে, সবার ভালোবাসা অর্জন করলো, আবার কেউ বা মানুষ হলো অবহেলায়। সবাইকে অপেক্ষা করতে হয় আরেকজনের ওপর। সে যদি বিধান দেয় বা পছন্দ করে, তহলে তুমি তার। নইলে পচতে থাকো নিকৃষ্ট পশুর মতো। আসলে পুরুষশাসিত সমাজে নারীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় অবাধ স্বাধীনতা এখনো পুরুষের হাতে। সবকিছু বদলেছে-বদলে যাচ্ছেও। কিন্তু নারীর মূল্য কে বুঝছে, কজন বুঝেছেন? এখনো কাগজে, টিভিতে নারীজাতির দুর্ভাগ্যের রাহুমুক্তি আজও ঘটেনি। আসলে এই উপমহাদেশে মেয়েরা দুর্ভাগ্যের শিকার। শৈশবে তারা পিতার অধীনে, যৌবনে স্বামীর, বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে। ভারতে নারীর পরিচয় কন্যা, পত্নী ও জননী রূপে। তার স্বাধীন কোনো সত্তা নেই। তবে বর্তমানে নারীরা সাবলম্বী হতে পেরেছে। সর্বত্র নারীরা অর্বননীয় উত্থানে পৌছে চলেছে। সব ঠিক আছে। তবে এখনো কুসংস্কারে আচ্ছন্ন দেশে নারীদের প্রতি অত্যাচার অশোভনীয়।
আমার মতে, শিশুকন্যাদের যে সমস্যা তা হলো শিক্ষাগত, সমাজগত, অর্থনীতিগত। শিশুকন্যাদেরও পুত্রসন্তানদের মতো খাদ্য ও শিক্ষা দিতে হবে। এবং সঠিকভাবে মানুষ করতে হবে। যেখানে পিতা অক্ষম সেখানে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে এসেছে যারা এইসমস্ত কাজ দায়িত্ব সহকারে করছে। আসলে শিশুকন্যাদের ওপর মৌলিক দৃষ্টি দেওয়া একান্তই দরকার।
প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া, রাগ করে তাঁর ফোন নম্বরও ব্লক করে রেখে দিয়েছেন প্রেমিকা, ফলে কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা যুবকের। জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণি থেকে প্রেমের সম্পর্ক তাঁদের। আজ প্রেমিকা কলেজ পড়ুয়া। তবে যুবক তাঁর সঙ্গে পড়েন না। কিন্তু তাঁদের প্রেম চলছিল ঠিকই। তবে একদিন এক ঝগড়া থেকেই শুরু হল অশান্তি। যুবক তাঁর প্রেমিকার কলেজে এসে সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুরের।
সূত্রের খবর, যুবকের নাম যোগেশ। একসময় যোগেশ ও তাঁর প্রেমিকা একসঙ্গে কানপুরেই থাকতেন। কিন্তু যুবতী এখন বরেলির ফরিদপুরে একটি ফার্মেসি কলেজে পড়ার সুযোগ পান। সেখানেই পড়তে চলে যান তিনি। আর অন্যদিকে যোগেশ দশম শ্রেণির পর পড়া ছেড়ে পারিবারিক ডেয়ারি ব্যবসায় ঢুকে যান। তবে দূরত্বে থেকেও তাঁদের প্রেম চলছিল ভালোই।
কিন্তু গত মঙ্গলবার এক ঝগড়ার পরেই প্রেমিকা ফোন ব্লক করে দিলে তিনি যোগাযোগ করতে পারেন না। তাই তখনই যোগেশ প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ২৫০ কিমি পেরিয়ে ফরিদপুর কলেজে আসেন এবং আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। শুধু হুমকিতেই থেমে থাকেননি, কলেজে গিয়ে ৪ তলার ছাদে উঠে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কোনওমতে বাঁচানোর পর তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই সমস্ত বিষয় পুলিসের কাছে বলেছেন যোগেশ।
জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad)। বান্ধবী তথা ক্রিকেটার উৎকর্ষা পাওয়ারের সঙ্গে শনিবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) এই ব্যাটার।
শনিবার মহাবালেশ্বরে রুতুরাজ এবং উৎকর্ষার চার হাত এক হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিয়ের একাধিক ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এই ওপেনিং ব্যাটার। লিখেছেন, 'পিচ থেকে বিয়ের মণ্ডপ, পর্যন্ত আমাদের যাত্রা শুরু।'
সতীর্থর বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন শিবম দুবে, প্রশান্ত সোলাঙ্কির মতো একাধিক ক্রিকেটার। উপস্থিত না থাকলেও রুতুরাজকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়স আয়ার, রশিদ খান, উমরান মালিক, মাহিশ থিকসানা, বেঙ্কটেশ আয়ারেরা।
আম্বানি (Ambani) পরিবারে এল নতুন সদস্য। এবারে লক্ষ্মীর আগমন ঘটল আম্বানি পরিবারে। দ্বিতীয়বারের জন্য বাবা-মা হলেন শিল্পপতি আকাশ আম্বানি (Akash Ambani) ও শ্লোকা মেহেতা (Shloka Mehta)। শ্লোকার কোল আলো করে এল ফুটফুটে কন্যাসন্তান (Baby Girl)। বুধবার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানির বড় বউমা শ্লোকা আম্বানি। ফলে দ্বিতীয়বারের জন্য দাদু-ঠাকুমা হলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। কন্যা সন্তানের আগমনে তাঁদের খুশি যেন আর ধরছে না। এই খবর ৩১ মে প্রকাশ্যে আসতেই বন্যা বয়ে গিয়েছে শুভেচ্ছা বার্তায়।
আম্বানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও আকাশ আম্বানির বন্ধু ধনরাজ নাথওয়ানি টুইটারে প্রথম এই খবর দিয়েছেন যে, আম্বানি পরিবারে নতুন সদস্য অর্থাৎ আকাশ ও শ্লোকা আম্বানির জীবনে কন্যাসন্তান এসেছে। কিছুদিন আগেই শ্লোকা ও তাঁর পুত্র পৃথ্বীর সঙ্গে মুকেশ আম্বানিকে দেখা গিয়েছিল মুম্বইয়ের সিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে। আর তারপরেই এই খুশির খবর। উল্লেখ্য, শ্লোকার অন্তঃসত্ত্বার খবর নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এসেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্লোকার। এরপর ২০২০ সালে তাঁদের প্রথম পুত্র সন্তান পৃথ্বির জন্ম হয়। আর এবারে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন শ্লোকা। তবে তার নাম কী হতে চলেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
নিজের বাবাকে গ্রেফতার (Arrest) করার দাবিতে পুলিস স্টেশনে গিয়ে হাজির দুই নাবালিকা। একজনের বয়স প্রায় ৫ ও আরেকজনের ৭। কিন্তু কী এমন কারণ, যার জন্য এই দুই শিশু পুলিস স্টেশনে। তাদের দেখে রীতিমতো হতবাক স্টেশনের কর্মরত পুলিসরা। জানা গিয়েছে, নাবালিকাদের দাবি, তাদের বাবা তাদের মায়ের উপর অত্যাচার করেন ও মারধর করেন। ফলে তাদের মায়ের তরফে একটি চিঠি নিয়ে এসেছে স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করার জন্য। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) গোয়ালিওরের।
সূত্রের খবর, গোয়ালিওরের ভিতরওয়ার পুলিস স্টেশনে কর্মরত ছিলেন প্রতীপ শর্মা। তখন হঠাৎ দুই নাবালিকাকে স্টেশনে ঢুকতে দেখা যায়। তাদের হাতে একটি চিঠিও ছিল। তাদের দেখতে পেয়েই প্রতীপ শর্মা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও বলেন তারা যাতে ভয় না পায়। এরপরেই একে একে সব ঘটনা বলে দুই মেয়ে। তারা সেই চিঠি দিয়ে বলে, তাদের বাবা তাদের মাকে মারধর করেন। ফলে তাদের বাবাকে যেন গ্রেফতার করা হয়।
নাবালিকাদের অভিযোগ শোনার পরই প্রতীশ শর্মা তাদের বাড়ি যান ও তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেই দম্পতিকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন যে, তাঁরা যাতে পরবর্তীতে আর কোনও ঝগড়া না করেন। কারণ এতে সন্তানদের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
নিজের ভালোবাসার মানুষকে প্রপোজ (Propose) করতে বা কাউকে নিজের জীবন সঙ্গী হিসাবে পছন্দ হলে তাঁকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিতে কত কিছুই না করে থাকে বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা। এক একজনের এক একরকমের চিন্তা-ভাবনা-পরিকল্পনা থাকে প্রস্তাব দেওয়ার। তেমনি সম্প্রতি একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, এক যুবক তাঁর বান্ধবীকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিতে এক অভিনব উপায় বের করেছেন। এমনটা হয়তো এর আগে দেখা যায়নি। সেই যুবকের প্রস্তাব দেওয়ার উপায়টি নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। তবে কী এমন করেছেন তিনি?
i’ll never shut up about this, he proposed me to be his girlfriend with a keyboard. https://t.co/G8GDpsD62z pic.twitter.com/iPbCZ1zEdA
— 에이미 (@amymaymacc) April 29, 2023
দেখা গিয়েছে, তিনি তাঁর বান্ধবীকে তাঁর গার্লফ্রেন্ড বানানোর জন্য প্রস্তাব দেবেন, কিন্তু তার জন্য তো আলাদা কিছু করতে হবে। শুধুমাত্র মুখে বললে তো আর হয় না, তাই তিনি তা কিবোর্ডে লিখে ফেললেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। হ্যাঁ, তিনি কিবোর্ডে অক্ষরগুলো এমনভাবে সাজিয়েছেন, যেখানে লেখা, 'Be my girlfriend Sayang?' প্রস্তাব দেওয়ার এমন ইউনিক স্টাইল দেখে মেয়েটি তো স্বাভাবিকভাবে খুবই খুশি। এরপর তিনি এই ছবি টুইটারেও পোস্ট করেছেন। যা দেখে নেটিজেনদেরও মন কেড়েছে। অনেকে আবার তাঁর এই আইডিয়াও নিজেদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন নেট দুনিয়ায়। এই ভিডিওতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ মিলিয়নের মতো ভিউ এসেছে।
পিছিয়ে গেল আয়ুষ্মান খুরানার (Ayushmann Khurrana) আসন্ন ছবির মুক্তির দিন। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল আয়ুষ্মান অভিনীত 'ড্রিম গার্ল' সিনেমাটি। বেকারত্বের চক্করে এক কল সেন্টার গিয়ে পড়ে করমভীর (আয়ুষ্মান খুরানা)। কলসেন্টার থেকে হয়ে ওঠেন পূজা। এই মহিলা কণ্ঠের ফ্যান হয়ে ওঠেন কল সেন্টারের কলাররা। অনেকে বিয়ে করতেও চান পুজাকে। সিনেমার শেষে পূজার আসল পরিচয় সামনে আসে। চলতি বছরে সিনেমার সিক্যুয়েল 'ড্রিম গার্ল ২' (Dream Girl 2) মুক্তি পাবে অন্য মোড়কে।
আগে জানা গিয়েছিল, 'ড্রিম গার্ল ২' মুক্তি পাবে ৭ জুলাই। কিন্তু সেই তারিখ পিছিয়ে গেল। সম্প্রতি নাম ভূমিকার অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা জানিয়েছেন, ড্রিম গার্লের জন্য আরও খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে। এই সিনেমাতেও আয়ুষ্মানের চরিত্রের নাম পূজা। আগের ছবিতে সকলে কেবল মহিলা কন্ঠ শুনেছেন, এবার সেই পুজাকে চাক্ষুস করতে পারবেন দর্শক। সিনেমাটির প্রযোজক একতা কাপুর। পরিচালনা করছেন রাজ শান্ডিল্য।
আয়ুষ্মান খুরানা ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে একটি অডিও মেসেজ শেয়ার করেছেন। সেখানে পূজা-কন্ঠী আয়ুষ্মানকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমার প্রিয় প্রেমিকরা, চার বছর পরে আপনাদের মনের টেলিফোনে আবারও রিং বাজবে। এর জন্য সুন্দর, ধামাকাদার চুমুতে ভরা প্রস্তুতিও তো নিতে হবে, তাই না? তাহলে আরও একটু অপেক্ষা কর এবং ভালোবাসা পাঠাতে থাকো। পূজার চুমু আসবে আগস্টের ২৫-এ।'
শুভশ্রী মুহুরী:'যে পথে যেতে হবে, সে পথে তুমি একা। নয়নে আঁধার রবে, ধেয়ানে আলোকরেখা' লকডাউনে রবীন্দ্রনাথের এই শব্দগুলিই হয়তো ঘুরপাক খাচ্ছিল বছর ২২-এর নন্দিনী ওরফে নেহা চক্রবর্তীর মাথায়। কোভিডকালে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন তিনি। বাড়ি বেথুয়াডহরী হলেও পড়াশোনার সূত্রে কলকাতায় থাকতেন। সাংবাদিকতায় কৃতি ছাত্রী। কোনও সংবাদমাধ্যমে বহাল তবিয়তে চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু বইয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে ইন্দো-বাংলাদেশ বইয়ের স্টার্ট আপে কাজ করতে শুরু করেন। সেখান থেকেই স্টার্ট আপ ব্যবসা সংক্রান্ত প্রাথমিক ধারণা তৈরী হয়। বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন সেখানেই। তারপর হঠাতই বাবার অসুস্থতায় নন্দিনী ঠিক করেন বাড়িতে ফিরে যাবেন।
বেথুয়াডহরী ফিরে নন্দিনী নিজের স্টার্ট আপ ব্যবসা শুরু করবেন বলে ঠিক করেন। তবে কোমর বেঁধে নামতে চেয়েছিলেন। তাই আগে কোন ব্যবসা শুরু করবেন তা নিয়ে ভালো করে গবেষণা করতে শুরু করেন। মাথায় আসে মোমবাতির ব্যবসার কথা। প্রাথমিকভাবে ইউটিউবে দেখে, বাজার থেকে কাঁচা মাল এনে পরীক্ষামূলকভাবে মোমবাতি বানান তিনি। সফলভাবে সেই মোমবাতি তৈরির পর বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি নিয়ে কোর্স করতে শুরু করেন। প্রশিক্ষণ শেষে ঠিক করেন এই ব্যবসাই করবেন। তবে সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দিতে চেয়েছিলেন। তাই নন্দিনী বিভিন্নরকম সুগন্ধি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন।
২০২২ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর শুরু হয় নন্দিনীর মোমবাতির যাত্রা। সামাজিক মাধ্যমে লঞ্চ হয় 'দা হ্যান্ডমেড ওয়ার্মথ'। নানারকম মোমবাতির সমাহার আনেন নন্দিনী। প্রথমেই বাজারে বাজিমাত করে ছোট্ট প্যাঁচার আদলে 'বেবি আউল ক্যান্ডেল। এছাড়াও বাজারে আনেন 'বেবি বাবল ক্যান্ডেল', 'দা ওয়েমেন ক্যান্ডেল', 'পেস্ট্রি ক্যান্ডেল'। ছোট ছোট ক্যান্ডেলগুলির পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পায় জার ক্যান্ডেল। ল্যাভেন্ডার, বেলি, ওসান ব্রিজ, স্যান্ডেল টারমারিক ক্যান্ডেলের এখন বেশ চাহিদা। এর পাশাপাশি রয়েছে সুগন্ধি স্যাশে। বন্ধ জায়গায় এই স্যাশের সুগন্ধিতে মাতোয়ারা ক্রেতারা।
সামাজিক মাধ্যমেই মূলত 'দা হ্যান্ডমেড ওয়ার্মথ'এর সমস্ত অর্ডার নিয়ে থাকেন নন্দিনী। একবার প্রোডাক্ট কিনে, সেই কাস্টমাররা আবারও প্রোডাক্ট কেনেন। পশ্চিমবঙ্গে সারা দেশে এমনকি বিদেশেও পৌঁছে যাচ্ছে নন্দিনীর হাতের তৈরী সুগন্ধি মোমবাতি।মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু। ভাবতেই পারেননি মানুষ শৌখিনতার জন্য টাকা খরচ করবেন। বর্তমানে মাসে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মোমবাতি এবং আনুষঙ্গিক প্রোডাক্ট বিক্রি হয়।
নন্দিনী একা হাতেই এই সমস্ত অর্ডার প্রস্তুত করেন। তবে চাহিদা দিন দিন যত বাড়ছে, একা সামলে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন না। ইতিমধ্যেই তাঁর ব্যবসায় পুঁজি ঢালতে চেয়েছেন অনেকে। তবে আজও নিজের টাকাতেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনে রামকৃষ্ণ নাম, আর সততা এই নন্দিনীর মূলধন। তিনি চান মেয়েরা স্বাবলম্বী হোক। মারের সাগরে পাড়ি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করুক নিজেকে।
সারাদিনরাত মোবাইলে (Mobile) আসক্ত মেয়ে। রাগ করে মেয়ের থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন বাবা-মা। আর সেটাই কাল হল। মোবাইল ঘাঁটতে না পেরে আত্মঘাতী হল কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) মলাডের মালবণী এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাড়ির সাত তলা থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্য়া করে ১৫ বছরের ওই কিশোরী। অভিযোগ, পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে গিয়েছিল মেয়ে। সেকারণে তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়েছিলেন কিশোরীর বাবা,মা। আর তাতেই ঘটে যায় এই বিপত্তি।
কিশোরীর আত্মহত্য়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কিশোরীর সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে তার বাবা, মায়ের মধ্য়ে ঝামেলা হয়েছিল। দিনরাত নাকি মোবাইল ফোন নিয়েই ডুবে থাকত সে। মোবাইল ঘাঁটতে বারবার মানা করা হলেও কোনওরকম লাভ হয়নি। সেই কারণে কিশোরীর বাবা মা তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়েছিলেন। তার সঙ্গে পড়াশোনায় মন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। তারপরেই কিশোরী মোবাইল ফোন ঘাঁটতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে।
উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ কী? শুধুই কি মোবাইল ফোনের নেশা এবং তার জন্য় ঝামেলার কারণে আত্মহত্যা, নাকি এর মধ্য়ে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও রহস্য। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অবশেষে মেয়ের মুখ দেখালেন বাঙালি কন্যা বিপাশা বসু (Bipasha Basu)। গত বছর মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন বিপাশা। প্রথমবার মা ও বাবা হয়েছেন বিপাশা ও করণ (Karan Singh Grover)। মেয়ের নাম দিয়েছেন দেবী (Devi)। তাঁর জন্মের পর থেকেই মেয়ের একাধির ছবি, মেয়ের সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছেন বিপাশা ও করণ সিং গ্রোভার। কবে সেই একরত্তির মুখ দেখা যাবে তারই আশায় ছিলেন অনুরাগীরা। তবে এবারে প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে মেয়ে দেবীর ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন তারকা যুগল।
বুধবার ইনস্টাগ্রামে মেয়ের দুটি 'কিউট' ছবি শেয়ার করেছেন করণ ও বিপাশা। ক্যাপশনে লেখা 'আমি দেবী, পুরো বিশ্বকে হ্যালো।' পরনে গোলাপি ফ্রক, মাথায় ম্যাচিং ফিতে, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে ক্যামেরার দিকে। মুখে নিষ্পাপ হাসি। এই ছবি শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। লাইক এসেছে প্রচুর, কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। সেলেবরাও কমেন্টের পাশাপাশি আশীর্বাদ করেছেন। অনুরাগীদের কেউ বলেছেন, 'করণের কার্বন কপি', আবার কেউ বলেছেন, 'একদম বিপাশার মত দেখতে'। এককথায় বিপাশা করণের আদুরে একরত্তির ছবিতে মেতে নেটদুনিয়া।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর প্রেম করার পর ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল বাঙালি রীতি মেনে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন বিপাশা এবং করণ। বিয়ের পাঁচ বছর পরে ২০২২-এর অগাস্ট মাসে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খুশির খবর শেয়ার করেন দু’জনে। ১২ নভেম্বর জন্ম নেয় বিপাশা-করণ সন্তান দেবী বসু সিং গ্রোভার।
জীবিত হয়ে উঠলেন এককালীন প্রয়াত (Death) এক কিশোরী। খুনের অভিযোগে জেলে যেতে হয় তাঁর বাবা এবং দাদাকে। ন'বছর পর খোঁজ মিলল ওই কিশোরীর।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে কাঞ্চন উইকে নামে এক কিশোরী নিখোঁজ ছিল। কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাঞ্চনের বাবা। তদন্তে নেমে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছিলেন পুলিস। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরীর। খবর, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া-ঝামেলা হওয়ায় বাড়ি ছেড়েছিলেন ওই কিশোরী।
বুধবার খোঁজ মেলে ওই কিশোরীর। বাড়ি ছেড়ে গিয়ে পরে উজ্জয়িনী শহরে সংসার পেতেছেন কাঞ্চন। আজ সে দু’সন্তানের মা। পুলিসের দাবি, মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে কাঞ্চনকে খুন করে তাঁর দাদা এবং বাবা। এমনকি, দু’জনে মিলে কাঞ্চনকে খুন করে একটি আমবাগানে তাঁর দেহ পুঁতে দেন। খুনের অভিযোগে ২০২১ সালে কিশোরীর দাদা ও বাবাকে গ্রেফতার করেছিল মধ্যপ্রদেশ পুলিস।
পরিবারের দাবি, পারিবারিক কবরখানা থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছিল পুলিস। তাতেই ভুল করে তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, তা কাঞ্চনের কঙ্কাল। তবে কোন প্রমাণের উপর ভিত্তি করে কাঞ্চনের খুনি হিসাবে তাঁর দাদা এবং বাবাকে জেলে পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
চোখে কী কী অসুবিধা হচ্ছে, বা চোখের কী কী রোগ রয়েছে, তা জানিয়ে দেবে অ্যাপ (Apps)। তবে জানেন এই অ্যাপটি কে তৈরি করেছে? ১১ বছরের এক কিশোরী তৈরি করে ফেলেছে 'Ogler Eyescan' নামক অ্যাপটি। হ্যানা রাফিকের কথা নিশ্চয় মনে রয়েছে, এই আইওএস ডেভেলপার সবথেকে কম বয়সে অ্য়াপ বানিয়ে অ্যাপেলের সিইও টিম কুক থেকে প্রশংসা পেয়েছিল, তারই দিদি লীনা রাফিক (Leena Rafeeq) চোখের জন্য এই অ্যাপটি বানিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ১১ বছর বয়সী লীনা রাফিক ভারতীয় মেয়ে তবে সে দুবাইয়ে বসবাস করে। সে এই Ogler Eyescan নামক অ্যাপটি ১০ বছর বয়সে তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, এই খুদে নিজেই কোডিং করা শিখেছে ও অ্যাপটি বানিয়েছে। এই অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার সাহায্য়ে চোখের বিভিন্ন রোগ যেমন মেলানোমা, আর্কাস, ক্যাটারাক্ট ইত্যাদি রোগ ধরে যাবে খুব সহজেই।
ইতিমধ্যেই লীনা তার এই অ্যাপের খবর তার লিঙ্কডিনে পোস্ট করে বলেছে যে, সে খুবই খুশি যে, তার বানানো আইওএস অ্যাপটি এক ভিন্ন রকমের স্ক্যানারের ফলে বিভিন্ন ধরণের রোগ ধরে নিতে পারে। সে আরও জানিয়েছে, তার এই অ্য়াপটি বানাতে কারও সাহায্য লাগেনি ও মাত্র ৬ মাসেই এটা তৈরি করে ফেলেছে সে। তবে তাকে এটা বানানোর জন্য অনেক বিষয়ে যেমন চোখ, কম্পিউটার, মেশিন, সেন্সর ডেটা ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে। একবার এই অ্যাপের পরীক্ষা করা হয়ে গেলে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে জানিয়েছে লীনা।
এই অ্যাপ বর্তমানে আইফোন ১০ ও আইওএস ১৬ প্লাসে সাপোর্ট করে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এখন এটা অ্যাপ স্টোরে রিভিউয়ের জন্য রাখা হয়েছে। সে দৃঢ়বিশ্বাসী যে, এটা খুব শীঘ্রই লিস্টে যোগ করা হবে।
তৃতীয়বারের জন্য বাবা হলেন মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। জুকারবার্গ ও প্রিস্কিলা চ্যানের (Prischilla Chan) কোল আলো করে ফুটফুটে কন্যা সন্তান এসেছে। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও মেটার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মার্ক জুকারবার্গ শুক্রবার নিজেই এই সুখবর সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে সন্ধ্যার দিকে এই জানান যে, তাঁদের এই কন্যা সন্তানের নাম দেওয়া হয়েছে অরিলিয়া চ্যান জুকারবার্গ।
শুক্রবার দুটো ছবি শেয়ার করেছেন জুকারবার্গ, সঙ্গে লিখেছেন ক্যাপশনও। প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে রয়েছেন জুকারবার্গ নিজে, মুখে তাঁর চওড়া হাসি, পরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর স্ত্রী প্রিস্কিলা চ্যান সন্তানকে নিয়ে শুয়ে রয়েছেন। মার্ক ক্যাপশনে লিখেছেন, 'অরেলিয়া চ্যান জুকারবার্গকে এই পৃথিবীতে স্বাগত। তুমি আশীর্বাদ।' এই ছবিটি সমাজমাধ্যম শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ও বয়ে গিয়েছে শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা। এই ছবিতে ১০ লক্ষের উপরে লাইক এসেছে।
উল্লেখ্য, মার্ক জুকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রীর আরও দুই কন্যাসন্তান হল ম্যাক্স ও অগাস্ট। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁর স্ত্রী তৃতীয়বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সমাজমাধ্যমে দিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, ম্যাক্স ও অগাস্টের জীবনে আগামী বছর ছোট বোন আসতে চলেছে। তাঁদের এই খবরে বেজায় খুশি হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
ভক্তদের একপ্রকার অবাক করে কন্যাসন্তানের জন্মের খবর দিলেন গায়ক আতিফ আসলাম (Atif Aslam)। কন্যাকে (baby Girl) পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এই খুশির খবর ভাগ করে নিলেন সকল ভক্ত ও বন্ধুদের সঙ্গে। ইনস্টাগ্রামে সদ্যজাতর একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি, যদিও ঢেকে রেখেছিলেন মেয়ের ছোট্ট চোখগুলি। পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন একইসঙ্গে। কন্যাসন্তানের জন্মের পর কেমন আছেন তাঁর স্ত্রী 'সারা' (Sarah) সেকথাও জানিয়েছেন। তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্স শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা।
গায়ক এদিন ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'সব অপেক্ষা শেষ আমার হৃদয়ের নতুন রানী এসে গিয়েছে। বাচ্চা এবং সারা দুজনেই সুস্থ রয়েছে।' একইসঙ্গে গায়ক তাদের জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বলেছেন। গায়কের পোস্টে তাঁর বহু বন্ধু এবং ভক্তরা কমেন্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আতিফের স্ত্রী 'সারা' শিক্ষাবিদ। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ বিয়ে করেন দু'জনে। আব্দুল আহাদ ও আরিয়ান আসলাম তাঁদের দুই ছেলে। একসময় ভারতে একের পর এক প্লে ব্যাক গেয়েছেন আতিফ। এখনও সেই গানগুলি শ্রোতাদের প্লে লিস্টে প্রিয় হয়ে রয়েছে।
গানের জগতকে যেমন ভাবে সাজিয়েছেন, তেমনভাবে সেজে উঠছে পরিবারও। স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে এবার জমাটি সংসার করবেন গায়ক।
গর্ভপাত (Abortion) করাতে গিয়ে মৃত্যু (Death) হল এক ১৯ বছরের তরুণীর। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার (Haryana) হিসারে। মূলত গর্ভপাত করাতে গিয়ে ভুল চিকিত্সার শিকার হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় পুলিসে (Police) অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণীর পরিবার। পুলিস ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ১৪ই মার্চ এক আত্মীয় তরুণীকে প্রথমে এক বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করেন। মূলত সেখানেই গর্ভপাতের জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। তবে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে সোমবার রাতে হিসারের এক মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু ঘটে তরুণীর। চিকিৎসকরা জানান, ১৬ মার্চ সন্ধে ৬টা নাগাদ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। এমনকি জরুরি বিভাগে চিকিৎসাও শুরু হয় তাঁর।
হাসপাতালের অধিকর্তা জানান, গর্ভপাতের ভুল চিকিৎসার জেরে সেপটিক শকে চলে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। এমনকি তাঁর শরীর থেকে অন্ত্র বেরিয়ে আসছিল। জরায়ুটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হাসপাতালে ওই তরুণীর জরায়ু এবং অন্ত্রে অস্ত্রোপচার করানো হলেও শেষরক্ষা করা যায়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর কিডনি-সহ সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিতে শুরু করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল ১৯ বছরের ওই তরুণীকে। তবে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।