নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহে (Sexual Abuse) কাঠগড়ায় এক শিক্ষক (School Teacher)। হুগলির (Hooghly) জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। তাঁকে জেরা করে সত্যি জানতে চাইছে হুগলি গ্রামীণ পুলিস। জানা গিয়েছে, জিরাটের আশুতোষ নগর এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরুণ কুমার দত্তের দিকেই অভিযোগের আঙুল নাবালিকা ছাত্রীদের।
নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক টিফিনের পর ছোট ছোট মেয়েগুলোকে ভয় দেখিয়ে নিগ্রহ করতেন। কাউকে বলে দিলে ফল খারাপ হবে, সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হবে, নিল ডাউন করে রাখা হবে এমন হুমকিও তাদের দেওয়া হত। আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে একাধিক ছাত্রী হঠাৎ করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাড়ি থেকে কী হয়েছে জানতে চাওয়া হলে, প্রথমে চুপ থাকলেও, পরে মায়েদের সব খুলে বলে তারা।
এরপরেই নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার এবং আত্মীয়রা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। ঘটনা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। খবর যায় বলাগড় থানায়। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ওই শিক্ষককে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, এই ধরনের কুকর্মের সঙ্গে যে যুক্ত তাঁর চরম শাস্তি হোক। সমাজ গঠনের কারিগররাই যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাহলে কী ভরসায় তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। এই ঘটনা জানাজানি হতে স্কুলের মিডে ডে মিলের কর্মীরাও হতবাক। তাঁদের বক্তব্য, এই স্কুলে দীর্ঘদিন কাজ করলেও এই ধরনের অভিযোগ এই প্রথম।
সপ্তাহ দুই ধরে নিখোঁজ (missing) ছিল আট বছর বয়সী এক শিশুকন্যা (Girl)। রবিবার মেলে মেয়েটির খোঁজ। তবে উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ। রবিবার পুলিস জানিয়েছে, নয়াদিল্লির (New Delhi) যমুনা খাদার এলাকার (Yamuna Khadar) কাছে পাওয়া গিয়েছে মৃতদেহটি (Deadbody)।
সূত্রের খবর, মেয়েটি তার মধ্য দিল্লির বাড়ি থেকে ৫ই অগাস্ট নিখোঁজ হয়ে যায়। সর্বত্র খুঁজেও মেয়েকে না পেয়ে পুলিসের দারস্থ হয়েছিলেন বাবা-মা। সেদিনই থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ই অগাস্ট বনাঞ্চলে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তাদের খবর দেন এলাকাবাসীই। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করা হয়। এরপর গলা কেটেও দেওয়া হয়। একজন পরিচিত ব্যক্তি এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মেয়েটিকে অপহরণ করে জঙ্গল এলাকায় নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে তার লাশ নদীর ধারে ফেলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অপহরণ ও হত্যার একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
উল্লেখ্য, পুলিসের ডেপুটি কমিশন (সেন্ট্রাল) শ্বেতা চৌহান বলেছেন, একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
১৯ বছরের একটি জলজ্যান্ত মেয়ে জিম (gym) করতে গিয়েই মারা (death) যাবে, ভাবতেও পারছে না পরিবার (family)। মঙ্গলবারের এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও শোকাহত পরিবার। অভিযোগের তির জিম কর্তৃপক্ষের দিকে। প্রত্যেক দিনের মত মঙ্গলবারও বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) সোনালী পার্কের একটি জিম সেন্টারে জিম করতে গিয়েছিলেন ঋত্বিকা দাস। হঠাৎই জিম করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যান এবং সেখান থেকে হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। তবে এবার জিম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করছে পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার জিমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আগে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঋত্বিকাকে। তখন চিকিত্সরা জানান, অনেকক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন ঋত্বিকা। আর এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অজ্ঞান হওয়া অবস্থায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি জিম সেন্টারেই পড়েছিলেন তাঁদের মেয়ে। কিন্তু কেন এরকম গাফিলতি কর্তৃপক্ষের? কেন জিম কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল না ঋত্বিকাকে। কেন জিম সেন্টারে অক্সিজেন বা অ্যাম্বুলেন্সের কোনও ব্যবস্থা করেনি? এইরকম যদি আবার হয়, তার দায় কে নেবে?
তবে এই প্রশ্নের পর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জিম কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিবারের সদস্যরা ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন।