তোর্সা নদীতে (Torsa River) স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল দুই কিশোরী। ঘটনাটি সোমবার সকালে কোচবিহার (Cooch Behar) পুন্ডিবাড়ি থানা অন্তর্গত টাকাগাছ কারিশাল এলাকার। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস (police), সিভিল ডিফেন্স ও বিপর্যয়ের মোকাবিলার দল। তাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাসি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার চারজন তোর্সা নদীতে জল ভরতে ও স্নান করতে আসে। সেই সময় সোনালী দাস (১২) ও ঋত্বিকা রায় (১৩) দুজন আচমকা বেশি জলে চলে যায়। আর সেই সময়ই ঘটে বিপত্তি। নদীতে তলিয়ে যায় ওই দুই কিশোরী। এরপর প্রথমে স্থানীয়রাই নদীতে নেমে তাদের খোঁজাখুঁজি করেন। তবে খোঁজ না পাওয়া তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিস ও সিভিল ডিফেন্সকে। ইতিমধ্যে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা নদীতে নেমে তল্লাসি চালাচ্ছে। ঘটনায় চাপা চাঞ্চল্য এলাকায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ওই দু'জন জল ভরতে আসে। এদিনও একইভাবে জল ভরে স্নান করতে নামে তারা, তখনই এই দুর্ঘটনা। দুপুর পেরিয়ে বিকেল ৫টা হলেও সেই দু'জনের খোঁজ না পাওয়ায় স্পষ্টতই এলাকায় শোকের ছায়া। এই প্রসঙ্গে নিখোঁজ এক কিশোরীর বাবা জানান, পৌনে ১২টা নাগাদ ফোন পেয়ে কাজ থেকে তড়িঘড়ি চলে আসি। নদীপাড়ে এসে দেখি ভিড় জমে।
এলাকার উপপ্রধান জানান, খুব দুঃখজনক। প্রতি বছর তোর্সা নদীতে তলিয়ে যায়। এবার দুটো ছোট বাচ্চা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুব দুঃখজনক। ঘটনার খবর পেয়ে আমি এবং স্থানীয় থানার পুলিস তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসি।
বলিউডের অন্দরে ফের বড় সু-সংবাদ! রবিবারে ছোট্ট লক্ষীর আগমনের আনন্দে ভরে গেল কাপুর পরিবার। শনিবার থেকেই গুঞ্জন উঠেছিল তাহলে কি খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে সুখবর? আর সেই মতোই রবিবার সকালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। মুম্বইয়ের গিরগাঁওয়ের বিলাসবহুল এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে কাপুর খানদানের নতুন সদস্যকে পৃথিবীর আলো দেখালেন আলিয়া। জানা গিয়েছে এদিন রণবীরের (Ranbir Kapoor) সঙ্গেই বৌমার সঙ্গে ছিলেন ঋষি-পত্নী নিতু (Nitu Singh) সিং। সেই সঙ্গে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে উপস্থিত হন আলিয়ার মা সোনি রাজদান, দিদি শাহিন ভাট।
এদিন সকাল সকাল এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে এসে ঢোকে রণবীরের কালো সুপার সিডান গাড়ি। আর তারপর থেকেই জল্পনা আরও জোরদার হয়। অবশেষে রণলিয়ার কোল আলো করে 'ম্যাজিকাল গার্ল'এর আগমন হতেই শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে। একদিকে যেখানে তাবড় সেলেব্রিটিরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, অন্যদিকে সবকিছু শুভকামনা করেছেন ভক্তরাও।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, নর্মাল ডেলিভারি হয়েছে আলিয়ার। এবং মা এবং সন্তান দুজনেই ভালো আছে। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় রণবীর এবং আলিয়া মেয়ের নাম নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে।
নিম্নমানের মিড ডে মিলে (Mid day meal) খাবার পরিবেশন ও অপরিষ্কার স্কুল ক্যাম্পাস নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকার হাতে আক্রান্ত শিক্ষিকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দমদমের মতিঝিল গার্লস স্কুলে (Motijheel Girls School, Dumdum)। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার সরব ছাত্রীরা। উত্তাল স্কুল ক্যাম্পাস।
বৃহস্পতিবার স্কুলের নিম্নমানের মিড ডে মিল পরিবেশন ও স্কুল ক্যাম্পাস অপরিষ্কার নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন স্কুলেরই বাংলা শিক্ষিকা (teacher) গার্গী মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারে কখনও মেলে টিকটিকি তো কখনও আরশোলা। এমনকি, স্কুলের শৌচালয় ব্যবহারেও দ্বিধা বোধ করে ছাত্রীরা। তিনি প্রতিবাদ করতেই তাঁকে মারধর করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে। এরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা স্কুল ক্যাম্পাস।
ছাত্রীরা আহত শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়ে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে নিম্নমানের মিড ডে মিল পরিবেশন করা হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলের একমাত্র খেলার মাঠটি অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে আহত স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হলে থানায় অভিযোগ করতে যান তিনি। কিন্তু থানা কোনও অভিযোগ নেয়নি। পুরো বিষয়টি তিনি এখন বর্তমানে স্কুল বোর্ডের কাছে জানাবেন বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে পরিচালন কমিটির সভাপতি তিমিরবরণ পাল জানান, এটি একটা নিন্দনীয় ঘটনা। আগে কখনও দেখিনি। প্রধান শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হোক না হলে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক।
এই ঘটনা খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রতিনিধিরা স্কুলে এসে পৌঁছয়। তারা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করে। যদিও প্রধান শিক্ষিকা এই বিষয় নিয়ে সেভাবে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। তবে এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। কোনও শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়নি। উল্টো তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়।
এবার এক কিশোরীর বিয়ে (marriage) আটকালো চাইন্ড লাইন ও ব্লক প্রশাসন। তাঁদের এমন উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী। ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লকের মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের রাতেই নবম শ্রেনীর কিশোরীর বিয়ে আটকে দিয়ে স্থানীয়দের বাহবা কুড়িয়েছে চাইন্ড লাইন (child line) ও ব্লক প্রশাসন।
জানা যায়, মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বেউরঝাড়ি এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সেই সূত্রের খবরের ভিত্তিতে চাইল্ড লাইন ও পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বাড়িয়ে হাজির হয় চাইন্ড লাইনের সদস্যরা। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কেন নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছেন?
নাবালিকার বিয়ে দিলে কী ধরণের ক্ষতি হতে পারে, তা পরিবারের লোকদের বোঝানো হয়। কন্যা সন্তানদের সুবিধায় রাজ্য সরকারের রুপশ্রী, কন্যাশ্রী প্রকল্পগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয় কিশোরীর পরিবারকে। এরপর তাঁরা মুচলেকা দেন মেয়ের ১৮ বছর না হলে বিয়ে দিবেন না। এরপরেই ব্লক প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ করে পরিবার।
রেহাই পেল না চার বছর বয়সী কিন্ডারগার্ডেনের (KG School) ছাত্রীও। স্কুলের অধ্যক্ষের গাড়ির ড্রাইভারের যৌন লালসার (Sexually Harassment) শিকার হয় মেয়েটি বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ড্রাইভারকে। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী শিশু (Girl Child) মেয়েটি। মেয়েটির বাবা-মা তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের মেয়ে অস্বাভাবিকভাবে শান্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সময় বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যেত এবং অকারণে কাঁদত। এরপরই সন্দেহ হয় তাঁদের। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর অবশেষে লাঞ্ছনার কথা জানতে পারেন। সোমবার অধ্যক্ষের চেম্বারের কাছে একটি ল্যাবে তাকে নির্যাতন করে অধ্যক্ষের ড্রাইভার বলে জানায় মেয়েটি।
এই অমানবিক ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়েটির বাবা-মা এবং অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ দেখান। গাড়ির চালককে ধরে মারধরও শুরু করেন সকলে। তখন মেয়েটি জানায়, দু'মাস ধরে তার উপর এই অত্যাচার করছে। মঙ্গলবার বাবা-মা তার সঙ্গে স্কুলে গেলে, ড্রাইভারের দিকে ইঙ্গিত করে মেয়েটি। এরপরে অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেন। এবং সেই দিনই অভিযুক্ত ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে একটি কাউন্সেলিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সে আরও বিস্তারিত জানায় এবং পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
IPC-এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং পকসো আইনের অধীনে এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিস আধিকারিক বলেছেন, ড্রাইভারটি স্কুলের পরীক্ষাগারগুলি রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্টাফ সদস্যদের জন্য কাজ করতেন। এভাবে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসে। এটি আরও বলেছে যে তিনি অন্য ছাত্রদের হয়রানি বা লাঞ্ছিত করেছেন কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
ফের নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape)। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrested) পড়শি এক বৃদ্ধ। ধৃতের নাম নবকুমার বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শাসকদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ওই নাবালিকার পরিবারের আরও অভিযোগ, টাকার টোপ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন শাসকদলের কর্মীরা।
ঘটনাটি ৭ অক্টোবর রাতের। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ির কেউ একজন অভিযুক্তর বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় নাবালিকা তাঁকে ডাকতে যায়। নবকুমার অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ওই নাবালিকাকে বাড়ির পিছনে অন্ধকার গলিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এমনকি কাউকে এ কথা জানালে গলা টিপে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দেন। সে ভয়ে এতদিন চুপ ছিল নাবালিকা। কিন্তু নাবালিকার শারীরিক ব্যথা অনুভব হতেই জানাজানি হয় বিষয়টি।
এরপরই পাড়ার অন্যরা ও নাবালিকার মা, গোটা পরিবার থানার দ্বারস্থ হন। নাবালিকার পরিবারের তরফে প্রতিবেশী ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাঁসখালি থানার পুলিস নবকুমারকে গ্রেফতার করে। এদিকে এই ঘটনায় ফের একবার রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার বাড়িতে যান রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বিজেপির নাদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দলও এদিন নাবালিকার বাড়িতে যায়।
কিশোরীর পরিবার অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনড়। অর্থের প্রলোভনের কাছে মাথা নত করেননি। সূত্রের খবর, কিশোরীর পরিবার বিজেপি দলের সঙ্গে যুক্ত।
জাঙ্গিপাড়ায় (Jangipara) নিখোঁজ নাবালিকার দেহ (body) উদ্ধারের পর সোমবার আশেপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। নাবালিকার সঙ্গে থাকা সাইকেলের সন্ধান পেতেই এই তল্লাশি অভিযান। পাশাপাশি ড্রোনের সাহায্য এলাকার বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি চালায় পুলিস (police)। পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার পূর্ব পরিচিত ছিল অভিযুক্তরা। যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করত সেই ফোনের টাওয়ার লোকেশন সঙ্গে একই জায়গায় ছিল অভিযুক্তদের ফোন। তার থেকে সন্দেহ হয় হুগলি জেলা পুলিসের। এরপরই গভীর রাতে টাওয়ার লোকেশন দেখে বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান (search operation) শুরু করে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিস এবং হুগলি গ্রামীণ পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার লাল্টু হালদার। এরপরই ৪ অভিযুক্তকে খেজুরিয়া থেকে আটক করা হয়। জেরার পর রবিবার সকালে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক।
এই খুনের ঘটনায় হতবাক নাবালিকার পরিবার থেকে শুরু করে গোটা এলাকাবাসী। এদিকে, গ্রামবাসীদের দাবী মেনে শনিবার সন্ধ্যার পর স্নিফার ডগ নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়, পুকুরে জালও ফেলা হয়। পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, নাবালিকা যেদিন নিখোঁজ হয় তার সঙ্গে একটি সাইকেলও ছিল। সেই সাইকেলটি খুঁজে বার করার জন্যই পুলিসের পক্ষ থেকে তল্লাশি চলে। পাশাপাশি তদন্তে সূত্র খুঁজতেও চেষ্টা চালানো হয়। তবে নাবালিকার সাইকেলটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। ঘটনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিসের অনুমান, অভিযুক্তরা নাবালিকার পূর্ব পরিচিত।
সাত সকালেই এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু (death)। ঘটনায় চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর (Memari) রসুলপুর রেলগেট নতুনরাস্তা এলাকায়। জানা যায়, মৃতার নাম দীপিকা বৈদ্য, বয়স ১৭ বছর। মৃতা রসুলপুর বৈদ্যডাঙ্গা গালর্স স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী (student) ছিল। পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে খুন (murder) করা হয়েছে দীপিকা বৈদ্যকে। পুলিস (police) ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপিকা বৈদ্য-এর মা তাপসী বৈদ্য সবজির ব্যবসা করেন। প্রতিদিনই ভোরে সবজি আনতে বাজারে বেরিয়ে যান। বৃহস্পতিবার ভোরেও তিনি বাজারে যান।
এরপর সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। কিছু না বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি পুলিসকে খবর দেন তিনি। পুলিস খবর পেয়ে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীপিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। যদিও খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারী থানার পুলিস।
'সশক্ত বেটি, সমৃদ্ধ বিহার’ প্রকল্পের মঞ্চে এক স্কুলছাত্রীর (Student) উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তীব্র বিতর্কের মুখে বিহারের (Bihar) মহিলা ও শিশু উন্নয়ন নিগম (ডব্লিউসিডিসি)-র প্রধান হরজ্যোত কউর ভামরা। স্যানিটারি ন্যাপকিনের (Sanitary Napkin) বদলে ওঠে কন্ডোমের প্রসঙ্গে। এ নিয়ে শুরু হয় তরজা।
বিষয়টি হল, বুধবার পটনায় রাজ্য সরকারের আয়োজিত এই উদ্যোগের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ওই আইএএস আধিকারিক এবং রাজ্যের নবম-দশম শ্রেণির কয়েক জন স্কুলছাত্রী। সেখানে ওই আমলার কাছে এই স্কুলছাত্রী একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখেন। স্কুল ছাত্রী বলেন, ‘বিহার সরকার কি ২০-৩০ টাকায় স্যানিটারি প্যাডস দিতে পারে?’ হরজ্যোতের উত্তর শুনে একপ্রকার চমকে গেলেন সকলে। তিনি বলেন, এরপর তো সরকারের কাছে জিন্স চেয়ে বসবে। আবার সুন্দর জুতোও তো দিতে পারে বলে দাবিও করতে পারে। অবশেষে ওই ছাত্রী আশা করবে যে সরকার তাকে কন্ডোমও দেবে।
এদিনের এমন বিতর্কিত মন্তব্যে চুপ হয়ে গিয়েছিল গোটা মহল। এছাড়া এক ছাত্রী স্কুলের শৌচাগারের শোচনীয় অবস্থার কথা বলতেই, তাকেও পড়তে হয়েছিল আমলার রোষের মুখে। স্কুলের বাথরুমের দরজার ভগ্নদশা। ঠিক করে দেওয়ার কথা বলতেই বলে বসেন, সরকাররের কাছে পয়সা এবং সুবিধা পাওয়ার জন্য কেবল ভোট দেওয়া? তাহলে সেই ভোটের প্রয়োজন নেই।
স্কুলের (school) সামনে থেকে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (student) অপহরণের চেষ্টা। ছাত্রীর চিৎকারে অপহরণকারীকে (kidnapper) হাতে-নাতে পাকড়াও করে ব্যাপক গণধোলাই দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। শ্রী ঘরে ঠাই হল অভিযুক্ত যুবকের। পুজোর আগে এই ধরনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুশিদা হাইস্কুল এলাকায়।
জানা যায়, স্কুলে সেই সময় ফুটবল (football) খেলা চলছিল। নবম শ্রেণীর কিশোরী ওই ছাত্রী স্কুলের বাইরে বের হয় খাবার কিনতে। তখন অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক, তাকে প্রলোভন দেখিয়ে বাইকে করে নিয়ে যেতে চায়। ছাত্রী তাতে রাজি না হলে জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। ছাত্রী চিৎকার করতেই ছুটে আসে আশে-পাশে থাকা স্থানীয়রা। তারপর ওই অপহরণকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত যুবক বছর ২৮ এর মুস্তাক খান। তার বাড়ি চাঁচল থানার লয়দা বিস্টুপুর এলাকায়।
এদিকে পুজোর কয়েক দিন আগেই এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীরা। ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকের সন্দেহ তাকে অপহরণ করে হয়তো বিহারে পাচার করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। কারণ, ওই এলাকা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই বিহার। ইতিমধ্যেই ছাত্রীর বাড়ির পক্ষ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অপহরণকারীর কী উদ্দেশ্য ছিল? তার সঙ্গে আর কার কার যোগ রয়েছে সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ধৃত যুবককে সোমবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
ছাত্রীর বাবা জানান, স্কুলে খেলা দেখতে গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। বাইরে যখন বের হয় একজন বাইকে করে এসে প্রলোভন দেখিয়ে ওকে নিয়ে যেতে চায়। না যেতে চাইলে জোর করে। আমার মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ধরে ফেলে ওই যুবককে। থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। চাইবো এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে।
সাতদিন নিখোঁজ দুই যুবতী। পুলিসের (police) তৎপরতায় অবশেষে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ থানার টাকি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। বছর ১৮-এর দীপিকা দাস ও প্রতীক্ষা মণ্ডল এই দু'জন ছোটবেলা থেকে বন্ধু। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ হাসনাবাদ (Hasanabad) ব্যাঙ্কের বই আপডেট করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপরই দুই বান্ধবী নিখোঁজ হয়ে যান, তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোক খোঁজখবর নেওয়ার পর না মেলায় সোমবার সন্ধ্যায় থানায় পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অবশেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার কুলপি এলাকা থেকে ওই দুই নিখোঁজ ছাত্রীর সঙ্গে রমেশ দে নামে এক যুবকের খোঁজ মেলে। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিশ্চিন্তপুরে। ওই দুই ছাত্রীর সঙ্গে যুবককে পাওয়া গেল তাঁদেরকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা যায়, দুই যুবতীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দেবেন। পুলিসের অনুমান বছর ১৮ দীপিকার সঙ্গে রমেশের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। রমেশ ওদেরকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। ধৃত যুবক দীপিকাকে বিয়ে করেছে ইতিমধ্যেই। প্রশ্ন উঠছে আর এক ছাত্রী প্রতীক্ষা গেল কী করে? এরা ছোটবেলা থেকে দুই বান্ধবী। দীপিকাদের বাড়িতে প্রতীক্ষা ভাড়া থাকতো। সেখান থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। পাশাপাশি এর সঙ্গে কোনও নারী পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
অবশেষে ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল পুনমের মৃতদেহ (deadbody)। এনডিআরএফ (NDRF), রাজ্য পুলিস (police) এবং ইসিএল (ECL)-র তৎপরতায় উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। জানা যায়, চানোকের জলের নিচে গাছের ভাঁজে আটকে ছিল পুনমের দেহ। তাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল সকলেই। অবশেষে মৃতার মায়ের আর্তনাদ সার্থক হল। উদ্ধার হল মেয়ের দেহ।
প্রসঙ্গত, আসানসোলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাল্লা বজরঙ্গিতলা এলাকার ইসিএল-এর চানোকে শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ ঝাঁপ দিয়েছিল নাবালিকা পুনম। প্রথম অবস্থায় রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দড়ি ও কাঁটা দিয়ে পুনমকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সময় নষ্টের অভিযোগ ওঠে। এরপর ইসিএল-এর পক্ষ থেকে রবিবার ১১টা নাগাদ আনা হয় হাইড্রা এবং ডুলি। আসে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, মাইনিং রেসকিউ টিম। চেষ্টা চালানো হয়, কিন্তু খোঁজ মেলে না পুনমের। রবিবার সন্ধ্যায় আসে এনডিআরএফ-র ১২ জনের দল। সোমবার ভোর থেকে শুরু হয় চেষ্টা। এনডিআরএফ-এর ৩ সদস্য অক্সিজেন নিয়ে বারবার নামে। কিন্তু তাঁরাও ব্যর্থ হন।
এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চানোকে জলের নিচে কিছু দূর যাওয়ার পর রয়েছে সুড়ঙ্গ। যেখান থেকে তীব্র গতিতে জল প্রবাহিত হচ্ছে। জলের বেগ পা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের এই চানোকে রয়েছে কম করে দু'টি সুড়ঙ্গ। যেখান থেকে তীব্র বেগে জল বইছে। ফলে পুনমের দেহ সেই জলে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছিলেন তাঁরা। সম্পুর্ণ চানোক খুঁজে পাওয়া যায়নি পুনমের দেহ। এছাড়াও, ব্রিটিশ আমলে এই চানোকের মাটির নিচে রাস্তা কোথায় তার কোনও ম্যাপ নেই বলেও জানান তাঁরা। এরপর বিফল হয়ে এলাকা থেকে বিদায় নেয় এনডিআরএফ।
সোমবার সকাল থেকে শুধুই মায়ের চিৎকার আর বাবার আর্তনাদ ছাড়া কিছুই যেন শোনা যাচ্ছে না এলাকায়।
ভিন রাজ্য থেকে কাজের সূত্রে ভোপালে (Bhopal) গিয়েছিলেন কিশোরী। সেখানে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার (Event management company) কাজের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। আর ওই সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয় বছর ২২-এর অভিষেক কুরলির সঙ্গে। তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। তবে পুরোটাই যে একটা ফাঁদ ছিল তা বুঝতে পারেন তিনি। অভিষেক তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ করেন ওই কিশোরী। কেবল তা নয়, এর সঙ্গে প্রেমিকের মা-ও জড়িত রয়েছে বলে পুলিসকে জানান কিশোরী।
ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রেমিকের মা রজনী বাধ্য করেছেন অন্য পুরুষের সঙ্গে তাঁকে সহবাস করতে। অভিষেক তাঁকে সম্পর্কে নিয়ে এসে তাঁর উপর যৌন নিপীড়ন করতেন। এমনকি তাঁর ফোন চুরি করে আপত্তিকর অবস্থার বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলেন অভিষেক। এরপর সেগুলি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের নাগপুরের জারিপাটকার বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা কিশোরী। গত রবিবার স্থানীয় থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মা ও ছেলে। পুলিস দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
ফের অ্যাসিড হামলা (Acid attack)। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) চাতরা জেলার (Chatra district) ১৭ বছরের একটি মেয়ে অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিল। বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS) নয়াদিল্লিতে (New Delhi) রেফার করা হয়। আকাশপথে ওই আক্রান্ত কিশোরীকে রাঁচি থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
নাবালিকার উপর ৫-ই অগাস্ট অ্যাসিড আক্রমণ হয়েছিল। এরপর রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (RIMS) চিকিৎসাধীন ছিল মেয়েটি। রাজ্য সরকার-চালিত ওই হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড মেয়েটির বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এইমস হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মেয়ে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা হিসাবে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার একটি পোস্ট ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েটিকে নয়াদিল্লির AIIMS ট্রমা সেন্টারের বার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, "ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন সুস্থ হয়ে দ্রুত ফিরে আসেন।"
হামলায় আহত মেয়েটির মা বলেন, তাঁদের গ্রাম ঢেবো থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বসবাসকারী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। গত দুই-তিন মাস ধরে সে তাঁর মেয়েকে উক্ত্যক্ত করছিল। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চতরা জেলা প্রশাসক আবু ইমরান।
সাত সকালেই মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বাবার বকুনিতে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দা ছিল ওই পড়ুয়া। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার সহ এলাকায়।
জানা যায়, মেঘনাথ বর তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বকাবকি করেন। মেয়ে বাবার বকুনি খেয়ে বুধবার সকালে অভিমানে ঘরে গিয়ে মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার দেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি শাড়ি কেটে মেয়েকে নিচে নামায়। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে (hospital) পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে কালিতলা আশুতি থানার পুলিস (police)।
পরিবারের একমাত্র নাবালিকা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।