বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর কানাচি আদিবাসী পাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমি হাঁসদা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মল্লারপুর থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমি হাঁসদার স্বামী বাইরে কাজ করেন। এক মেয়ে সেও বাইরে থাকে। তাই শিশু পুত্র নিয়ে সে বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায় বাড়িতে সুমি ও তাঁর শিশু পুত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মল্লারপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
যদিও পরিবারের দাবি, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে বা কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মাকে ফোন করেও মেলেনি উত্তর। বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর মায়ের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। পুলিস সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউরী (৪২) এবং মৃত মহিলার নাম লিলি বাউরী (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলে রোহিত বাউরীর দাবি, "পাশেই মামার বাড়ি। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সারা না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় বাবার দেহ এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।" যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি হত।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। গত কয়েকদিনে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই নীলকন্ঠ বাউরী দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব' লিখে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। তবে কি পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীকে বেধড়ক মারধর, পরিণাম মৃত্যু। এমনই অমানবিকতার ছবি উঠে এল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সুকান্ত নন্দীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মার্চ জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মানবাজার থানার কদমা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪৫ এর সবিতা সিং সর্দার। অভিযোগ, ২৫ মার্চ হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ঢুকে ওই রোগীকে মারতে শুরু করেন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সুকান্ত নন্দী। এর কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবারও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রুগ্নদশার ছবিটাই সামনে এল। সাধারণ মানুষের যেখানে ভরসা সরকারি হাসপাতাল সেখানে হাসপাতালের কর্মীরাই যদি এই ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটায় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? নিরপত্তা রক্ষী থেকে কী লাভ?
কেরলে কাজে গিয়ে আত্মঘাতী হল মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। জানা গিয়েছে মৃৃতের নাম আমিনুল শেখ (২২)। বাড়ি ইসলামপুর থানার সুপারিগুলা গ্রামে। অভিযোগ, প্রেম ঘটিত কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, কাজের উদ্দেশ্যে কেরলে পাড়ি দিয়েছিলেন আমিনুল শেখ। সেখানে প্লাইবোর্ড কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওই প্লাইবোর্ড কোম্পানিতে কাজ চলাকালীন অসমের বছর উনিশের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আমিনুল। প্রায় দেড় বছরের সম্পর্কে থাকার পর দিন কুড়ি আগে কেরল থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় ওই কিশোরী।
অভিযোগ এরপর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন আমিনুল। শনিবার আত্মঘাতী হন। আমিনুলের সঙ্গীরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামের বাড়িতে মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা।
বাইসনের হামলায় মৃত্যু এক। গুরুতর আহত আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার নিশীগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খোকো বাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমণী সরকার (৬৫)। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে থেকেই মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের নিশীগঞ্জ এলাকায় দুটি বাইসন দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মীরা। এরপরেই বাইসনের হামলায় ওই এলাকার দুইজন আহত হয়। তার মধ্যে রমণী সরকার বাড়ির পিছনে কাজ করছিল। সেই সময় পিছন দিক বাইসন এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে নিশীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে কোচবিহারের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ে আরও একজনের মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। শনিবার কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধার।
সরকারি নথি অনুযায়ী গার্ডেনরিচের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন জখম বাসিন্দা। তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মহম্মদ হায়দার (২৪), রিজওয়ানা খাতুন (৩৫), মহম্মদ জানু (৩৫), সবিয়া পারভিন (১৯), সারিকা বেগম (২৬) এবং নমিতা পাত্র (৪০)।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রেড জোনে রয়েছেন যে ৩ জন তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মুসরত জাহান (৩৫), মঈনুল হক (২৩) এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন(২১)।
তবে এই এই বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছিল পুরসভার ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে। শোকজ জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় পুরসভা। শোকজের এই জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে তিন ইঞ্জিনিয়ার, শুভম ভট্টাচার্য, দেবব্রত ঘোষ, এবং দেবাদিত্য পালের বিরুদ্ধে।
এখন দেখার বিষয় যে গার্ডেনরিচের ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের কমিটির ওই রিপোর্টে কী তথ্য উঠে আসে। শুধুই কি ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি নাকি নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত? এই উত্তর তো বলবে সময়। কিন্তু এই মৃত্যু মিছিল পুনরায় ঘটবে না তো? প্রশাসনের হুঁশ আদৌ ফিরবে তো? নাকি ভোট পেরোলেই আবার যেই কী সেই? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
প্রয়াত টলিউড বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে অভিনেতা বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০ টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তাঁর এই মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল অভিনেতাকে। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দিনকয়েক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সঙ্গে বুকে সংক্রমণ আর নিউমোনিয়াও ধরা পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।
২২ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে পরলোকে পাড়ি দেন বর্ষীয় অভিনেতা পার্থসারথি দেব। আর্টিস্টস ফোরামের প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২ টায় টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হবে।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। রবিবার রাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বহু মানুষ আটকে থাকে ধ্বংসস্তূপের নিচে। আজ, শুক্রবার সেখান থেকে উদ্ধার হয় আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরুর মৃতদেহ। ওই ব্যক্তি প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, ধ্বংসস্তূপের নিচে শেরুও আটকে যান। কংক্রিটের চাঙড়ের কোনও এক অংশের মধ্যে তিনি আটকেছিলেন। মোবাইল ফোনে সেই কথা জানিয়েছিলেন শেরু। অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বুধবার এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ শেষ করে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে টানা উদ্ধার কাজ হবে। এমন কথাই জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার গোটা দিন বিভিন্ন জায়গার চাঙর ভেঙে সরানো হয়। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজও চলে৷ আজ শুক্রবার সকালে আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরুকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১।
মধ্যরাতে শহর কলকাতার বুকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে বিপত্তি। ঝুপড়ির উপরে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান বহুতলটি। কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও অবধি জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। তাদের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন। ২ জন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। অনেকেই বহুতলের ভিতরে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা। রাত থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে ঘটনায় প্রমোটারদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
হঠাৎ করে মধ্যরাতে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে দুর্ঘটনা। গোটা শহর যখন ঘুমন্ত ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে একটি নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। ঝুপড়িতে সেসময় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সকলে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ২ জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন বহু।
ইতিমধ্যেই দমকল এবং পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ২ জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত ২ জনেই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পুরোটাই বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেকারণে তাঁরা সেটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। স্থানীয়রা চারতলার পরের কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাসিন্দাদের কথায় কর্ণপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন প্রমোটার এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। বহুতল লাগোয়া কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়রা মেয়রকে সামনে পেয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
স্কুলে যাওয়ার পথে টোটোর ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক স্কুল পড়ুয়ার। শনিবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে হাওড়া ডোমজুড় থানার অন্তর্গত ভান্ডারদহ শীতলাতলা এলাকায়। অভিযোগ, টোটোয় ওভারলোড থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ওই স্কুল ছাত্রীকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।
প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এদিন স্কুল যাওয়ার জন্য় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। সেই সময় দ্রুতগামী একটি টোটো এসে ধাক্কা মারে তাকে। টোটোর ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এরপর তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় হাসপাতালের সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন মৃতার পরিবার। তারপর হাসপাতালে ডোমজুড় থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
নেশা! যার মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে নিজের মায়ের কাছে টাকা নিয়ে নেশা করত ছেলে। নিজে উপার্জন না করায় বাধ্য় হয়ে মায়ের কাছে চাইতে হত টাকা। বুধবার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মদ্য়পান করে আত্মঘাতী হল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের নতুনহাট সংলগ্ন হরিজন সেট পল্লী এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুরেশ হরিজন (৩৮)। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃতের মা জানিয়েছেন, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে সুরেশ তাঁর কাছ থেকে মদ খাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাতে বাড়িতে ফিরে নিজের ঘরে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখেন ছেলে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে যুবকের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত হয়ে পড়েন মা লক্ষ্মী হরিজন। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
কদিন আগেই বাবাকে ফোন করে ছেলে বলেছিল টাকা পাঠাচ্ছি ফল কিনে খেও। দিন দুয়েকের ব্যবধান, কথাগুলো রয়ে গেল স্মৃতির পাতায়। আবারও মৃত্যু! আবারও হাহাকার, আর্তনাদ। সন্তানহারা এক বাবা-মায়ের বুক ফাটা কান্না। এটাই বাংলার যুব সমাজের ভবিতব্য? আবারও সেই প্রশ্নই তুলে দিল বনগাঁর তিন শ্রমিকের মৃত্যু। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বছর ৩৬ এর পীযূষ হালদার, বছর ২৬ এর শঙ্কর বৈদ্য ও বছর ৪৬ এর মনোরঞ্জন সমাদ্দারের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বনগাঁ সীতানাথপুর এলাকায় শোকের ছায়া।
একদিকে অভাবের সংসার অন্যদিকে রাজ্যে কাজ নেই। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পাড়ি দিয়ছিলেন মুম্বাইয়ের বরেলিতে। দোলের আগে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনা, বদলে দিল সবকিছু। ঘরের ছেলের আর ঘরে ফেরা হল না। অপেক্ষায় রয়ে গেল কারও ৫ বছরের ছেলে, তো কারও বৃদ্ধ বাবা-মা। এখন দিশেহারা পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, বাংলায় কাজ পেলে মুম্বইতে যেতে হতো না।
রাজ্যে কর্মসংস্থান থাকলে কাউকে বাইরে যেতে হতো না। বিজেপির নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক নিমেষে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। একটা মৃত্যু তুলে দেয় হাজার প্রশ্ন। শুরু হয় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। তবে কী বাংলায় জন্মানোই অপরাধ?
নিমতায় খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা শহর কলকাতা। ওষুধ ব্য়বসায়ীকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে যেভাবে, তা সিনামার থেকে কম কিছু নয়। এবার সেই খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীয় নাম ভব্য লাখানিয়া। গত ১০ তারিখ সোমবার তিনি তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা নিমতার প্রবোধ মিত্র লেনের বাড়িতে যান তাঁর প্রাপ্য় ৫০ লক্ষ টাকা বুঝে নিতে। এরপরেই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়। হঠাৎ তা বচসায় পরিণত হয়। বচসা চলকালীন আচমকা অনির্বাণ ভব্য লাখানিয়ার উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর।
এরপর অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা এবং তাঁর সাহায্যকারী সুমন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওই ওষুধ ব্য়বসায়ীর দেহ লুকোনো ব্য়বস্থা শুরু করেন। যদিও খুন করার অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তা ও সুমন দাস। এমনকি খুনের কথা স্বীকারও করে নেয় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপর তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্রেস করে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের গিয়ে জলের ট্যাঙ্কের নিচ থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, ব্য়বসায়ী খুনের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড হলেন এই অনির্বাণ। কিন্তু তিনি কোথায় রেখেছে ৫০ লক্ষ টাকা? আর সেই টাকার হদিশ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বালিগঞ্জ গোয়ান্দা বিভাগ। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীকে ভুয়ো মেল পাঠিয়ে টাকা নিজের অ্য়াকাউন্টে নিয়েছে অভিযুক্ত। তারমধ্য়ে ২০ লক্ষ টাকা গিয়েছে অনির্বাণ-এর এক বান্ধবীর অ্য়াকাউন্টে। আর ১০ লক্ষ টাকা গিয়েছে অনির্বাণ-এর নিজের অ্য়াকাউন্টে। কিন্তু আর বাকি ২০ লক্ষ টাকা কোথায়? তারই খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
প্রাপ্য লক্ষাধিক টাকা নিতে নিমতায় এসে ব্যবসায়িক সঙ্গীর হাতে খুন ভবানীপুরের বাসিন্দা ভব্য লাখানি। প্রাপ্য নিতে এসে এভাবে মৃত্যু, ভাবতেই পারছে না ব্যবসায়িক মহল। প্রশ্ন উঠছে, ঠাণ্ডা মাথায় এই খুন, তাহলে কি কোনওরকম ভয়ডর নেই অভিযুক্তের মনে। স্পষ্টতই ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক, আশঙ্কার ছাপ স্পষ্ট! ওয়াকিবহাল মহলে জোর চর্চা, ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন ঘিরে বিবাদে নৃশংস হত্যাকাণ্ড! কোথাও কি নিরাপত্তাহীনতা, সুরক্ষিত নয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা?
গত একবছরে রোমহর্ষক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই বাংলায়। একই দিনে পুরুলিয়া এবং নদিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতি। পালানোর সময় পুলিসের উদ্দেশে গুলি চালনার ঘটনাও নদিয়ার ডাকাতির ঘটনায় ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। মালদহে ফিল্মি কায়দায় সোনার দোকানে ডাকাতি, এসব দৃশ্য খুবই পরিচিত এ বাংলায়। গত ১৩ বছর শাসক দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজের ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। যার সাম্প্রতিক সংযোজনে সখেরবাজারে ৩ডি ও ৩ডি/১ বাসের স্টার্টার রুমে তালা লাগানোর ঘটনা। ব্রিগেডের জন্য বাস চেয়ে না পেয়ে বাসস্ট্যান্ডের স্টার্টার রুমের তালা লাগানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। ব্যাহত বাস পরিষেবা, বিপাকে পরিবহণ ব্যবসায়ী, বাস শ্রমিকরা। কোথাও কি একটা অদ্ভূত নৈরাজ্য, অরাজকতা, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম নিরাপত্তা, সুরক্ষা না থাকলে এত লক্ষ-কোটি খরচ করে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মলেন আয়োজনের মানে কি, প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। ক্ষুদ্র ব্যবাসীয়রা পড়ে পড়ে মার খাবেন আর বৃহত্ লগ্নিকারীরা কি নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন এ বাংলায়? এই প্রশ্ন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে নাগরিক সমাজে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সিন্ডিকেটরাজ, তোলাবাজি বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে ভব্য লাখানির মতো ঘটনা আরও ঘটবে। ক্রমেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন বাংলার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রমেই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি থেকে কয়েক যোজন দূরে সরবে বাংলা।