লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিনই প্রাণ গেল এক সিপিআইএম কর্মীর। শুক্রবার নিজের দলের নির্বাচনী বুথ অফিসেই মৃত্য়ুর মুখে ঢলে পড়লেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের বিনয় শা মোড় এলাকায় ১৫/১২৪ নং বুথের বাইরে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই দলীয় কর্মীর নাম প্রদীপ দাস(৫৮)। এদিন ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্য়ে সিপিআইএমের অস্থায়ী ক্যাম্পে বসে ছিলেন তিনি। তখন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মধ্য়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কর্মীরা। তবে কীভাবে মৃত্যু ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিপিআইএম নেতারা জানিয়েছেন, দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মীর মৃত্যু ঘটেছে। যা অত্যন্ত শোকের।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের আসানসোলের কুলটিতে চলল গুলি। অফিসে ঢুকে গুলি করা হয় এক ব্য়বসায়ী। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্য়ু হয় তাঁর। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম উমাশঙ্কর চৌহান। সোমবার দুপুরে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে গুলি চালানো হয় ওই ব্য়বসায়ীর উপর। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্য়ু হয় তাঁর। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। অফিসের কর্মীরা বলেন, এক দুষ্কৃতী এসে উমাশঙ্কর চৌহানকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস আধিকারিকরা। পৌঁছয় গোয়েন্দা বিভাগ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে দুপুর বারোটা নাগাদ বাজার এলাকায় এমন ঘটনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নির্বাচনের আগে এইরকম অস্ত্রের ব্যবহার, গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙ্গুল তুলছে সাধারণ মানুষেরা।
গাজন উৎসব চলাকালীন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনায় আহত আরও ৪জন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্য়ায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হুড়া থানার জামবাদ গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শক্তিপদ মাহাতো (২৭)। বর্তমানে চারজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজন উৎসবকে কেন্দ্র করে ভক্তরা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে স্নান করে শোভা যাত্রার মাধ্যমে গ্রামের শিব মন্দিরে আসছিল। অন্ধকারের থাকার কারণে জেনেরেটরের লাইটের ব্য়বস্থা করা হয়। সেই জেনেরেটরের তারের দুর্ঘটনা বশত শর্টসার্কিট-এ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় পাঁচ জন। এরপর হুড়া থানার পুলিস আহতদের তড়িঘড়ি দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্য়ু হয় শক্তিপদ মাহাতোর। এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে জামবাদ এলাকায়। এমনকি আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্য়ে।
গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার কার্নিশ ভেঙে বিপত্তি রানাঘাটে। দোকানের কার্নিশে ভেঙে ইটে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক সবজি বিক্রেতার। জানা গিয়েছে, মৃত সবজি বিক্রেতার নাম সত্যেন কুন্ডু। শনিবার বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনার পর আবারও বিপদজনক বাড়ি ভাঙা নিয়ে রানাঘাট পুরসভার ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতন এদিন সকালেও সবজি বিক্রি করতে বাজারে আসেন। অভিযোগ, হঠাৎ ওই দোকানের সামনের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। আর তাতেই ইট চাপা পড়েন তিনি। এরপর বাজারের অন্যান্য দোকানদাররা তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই দোকানটি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। অভিযোগ, বারংবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগ, বিপদজ্জনক ওই দোকানের বর্তমান মালিক টাকার জোরে আটকে রেখেছে। পুরসভার সেই উদাসীনতায় প্রাণ গেল এক সবজি বিক্রেতাকে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে।
ভিনরাজ্য়ে চাকরি করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হল এক তরুণীর। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের নয়ডায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই তরুণীর নাম সায়নী দাস (২৫)। বাড়ি নদীয়ার চাকদহের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নরেন্দ্রপল্লীতে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের পুলিসের কাছে সাহায্য় চাইলেও তা না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই তরুণীর বাবা-মা।
পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে বিবিএ পাশ করে গত বছর জুলাই মাসে নয়ডায় একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজে যোগ দেন সায়নী। সেখানে গৌতম বুদ্ধনগরের একটি আবাসনের ১৮ তলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁদের ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে আসেন তিনি। সেখান থেকে চাকদহে বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও, অফিসের কাজ থাকায় পরের দিন ভোরে বিমানে তিনি নয়ডায় ফিরে যান। অভিযোগ, ওই দিন রাতেই অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের কাছে খবর আসা মাত্রই তাঁরা ২৩ তারিখ নয়ডায় পৌঁছে যান।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর ওই তরুণীর পরিচিত তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে দু'জন এলাকার প্রভাবশালী বলে পরিচিত। মৃতার বাবা শান্তনু দাস বলেন, মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। কিন্তু নয়ডা পুলিস কোনওভাবেই সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে নয়ডা পুলিস ওই পরিবারকে জানিয়েছে, তদন্ত করা হয়েছে। এক যুবককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
ভোটের বাংলায় ফের বেআইনি চোলাই কারবারে মৃত্যুর অভিযোগ। চোলাই তৈরির জন্য পচানো গুড় তুলতে গিয়ে মৃত এক। মৃতের নাম রঞ্জিত সোরেন (৪০)। অসুস্থ আরও ২। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটির পলাশি মাঝিপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। মদের ভাটি নিয়ে পুলিসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন মদের ঠেক চলে। তোলা নিয়ে পুলিস বেআইনি চোলাই কারবার চলতে দেয়। অবিলম্বে মদের ভাটি না উঠলে ভোট দেবে্ন না বলে হুঁশিয়ারি মহিলাদের।
এলাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিসের মদতেই এই মদের ভাটি চলছে। যদি এই মদের ভাটি না ওঠে তাহলে তাঁরা ভোট দেবেন না। এমনটাই দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। মদের ভাটির জন্যই এলাকার পরিবেশ ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
ফের পণের দাবিতে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ইতিমধ্য়েই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে জিয়াগঞ্জ থানার আমিনা বাজার এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রকসেনা খাতুন (১৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর তাঁর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানানভাবে অত্যাচার করত। প্রায়শই জিনিসপত্রের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি চলত। এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়ে থানায় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস মৃতার স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
ঠাকুর বিসর্জন দিতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন দুই বন্ধু। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের নাথেরবাগান ঘাটে। জানা গিয়েছে, মৃত দু'জন হলেন, সৌমজিৎ ব্যানার্জি (২৫) এবং বিশাল বিশ্বাস (২৬)। দুইজনের বাড়ি পুরুলিয়ায়। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন ওই দুই যুবক। রবিবার সকালে উদ্ধার তাঁদের মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার মাঝরাতে ঠাকুর বিসর্জন দিতে গঙ্গায় এসেছিলেন চার বন্ধু। বিসর্জনের পর গঙ্গার ঘাটে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় হঠাৎ জলে পড়ে যান সৌমজিৎ। আর তাঁকে বাঁচতে গিয়ে আরেক বন্ধু বিশালও পড়ে যান জলে। তাতেই মৃত্য়ু হয় ওই দুই বন্ধুর। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তারপর তড়িঘড়ি শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপর দুই বন্ধুকে জল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে মাঝরাতে কেন ঠাকুর বিসর্জন দিতে এসেছিল চারবন্ধু, কীভাবে জলে পড়ে গেল দু'জন? যা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। চার বন্ধুর মধ্য়ে জীবিত বাকি দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
শ্রমজীবী বাবার কাছে নতুন জুতো কেনার বায়না ছেলের। জুতো কিনে দিতে না পারায় বাবার উপর অভিমান করে আত্মঘাতী হল ১৭ বছরের এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ফুলিয়া চাঁপাতলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনও রকমভাবে সংসার চালাতেন রনজিত মণ্ডল। তার মাঝে হঠাৎ ছেলের জুতো কেনার বায়না। আর সেই বায়না রাখতে পারলেন না বাবা। তাই বাবার প্রতি অভিমান করে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায় ১৭ বছরের ওই কিশোর। এরপর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় কিশোরের মৃতদেহ। যদিও পরিবারের দাবি, গতকাল অর্থাৎ শনিবার ওই কিশোর তার বাবার কাছে বায়না করেছিল একজোড়া জুতো কিনে দেয়ার জন্য। সেই জুতো কিনে না দেওয়ায় আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর।
এরপর কিশোরের ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। শনিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিস মর্গে পাঠানো হয়। তবে কিশোরের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
ফাইভ জির যুগে ফের কুসংস্কারের বলি। তান্ত্রিক সন্দেহে 'খুন'। মৃত ব্যক্তির নাম জয়দেব বর্মন। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর গ্রামে। ইতিমধ্য়ে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম জয়দেব বর্মন (৬০)। অভিযোগ, গ্রামের কেউ অসুস্থ হলেই তাঁকে দায়ী করা হত।
অভিযোগ, ভগবানপুরের গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেন যে জয়দেব বর্মন তন্ত্র সাধনা করেন। সেই সন্দেহের বসে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে সালিশি সভা করে মল মূত্র খাইয়ে মারধর করাও হয়েছে। এরপর গতকাল, বৃহস্পতিবার গাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্য়ক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার। বর্তমান যুগে এই ধরণের মধ্যযুগের কু সংস্কার কীভাবে তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা।
ভরা বাজারে ব্য়বসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ তুফানগঞ্জ-১ নং ব্লকের মারুগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারুগঞ্জ বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সজল সাহা (৩৫)। যদিও পুলিস আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে খবর, মারুগঞ্জ বাজারের ওপরেই মুদিখানার দোকান ব্য়বসায়ী সজলের। প্রতিদিনের মতোই রাতে কাজ সেরে দোকানের শাটার বন্ধ করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় আচমকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর মাথায় ও বুকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের সামনেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তে খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
রেললাইনে বসে মদ ও গাঁজা খাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ফুলিয়া প্রফুল্ল নগরে। যদিও মৃত ওই দুই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রানাঘাট জিআরপি গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভোরে প্রফুল্ল নগর রেল গেটের কাছে রেল লাইনে বসে মদ ও গাঁজার নেশা করছিল ওই দুই যুবক। অভিযোগ, ৪ টে ৫৪ ডাউন শান্তিপুর লোকাল ট্রেনের ধাক্কা লাগে দুই যুবকের। চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল ও গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করেছে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয়দের অনুমান, রেল লাইনে বসে নেশা করার জন্যই নেশার ঘোরে ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল না করার জন্যই এই দুর্ঘটনা। মৃত যুবকদের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জিআরপি।
কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগে মহিলার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। তবে মৃতার স্বামীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন ধৃত নীলাঞ্জন সরখেলকে আলিপুর পুলিস আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় দুর্গার সঙ্গে ধনী সরখেলের। তাঁদের ১৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দুর্গার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে রিহ্যাবে থাকেন। গত রবিবার সকালবেলা ফিরে এসে বউকে মারধর করে। দুর্গার দেহ কাটাকাটি এবং প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ও ননদের। আপাতত ননদকে ওয়ার্ডগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুর্গা সরখেল। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর দেখে দুর্গার সরখেলের বাপের বাড়ির লোকজনেরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক এবং আর্থিক কিছু বিষয়ে প্রায়শই বিরোধ ছিল। দুর্গার পেটে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলের নমুনা। প্রশ্ন উঠছে অ্যালকোহল দিয়ে বেহুশ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল স্বামী? বৃহস্পতিবার দুর্গার মৃতদেহ শনাক্ত করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ইদের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্য়ু হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর। ঘটনায় আহত আরও একজন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম জাহিদুল শেখ (৩৮)। আর আহত ব্য়ক্তি হলেন পঞ্চায়েত মেম্বারের দেওর আব্দুর শেখ। বর্তমানে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন তিনি। ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধাবার রাতে ইদের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন হরনগর তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জাহিদুল শেখ এবং দেওর আব্দুর শেখ। সেই সময় বোমা ছুঁড়ে তাঁদের পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতীর দল। এরপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় জাহিদুল শেখের। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিস আটক করেছে দুই জনকে।
গার্ডেনরিচকাণ্ডে ঘা এখনও দগদগে রাজ্যবাসীর মনে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়া বেশ কিছু ব্যক্তি। গরিবদের মাথার ছাদের ওপর বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও আসছে মৃত্যুর খবর। মঙ্গলবার ফের মৃত্যুর খবর এল গার্ডেনরিচকাণ্ডে আহত এক যুবকের। এসএসকেএম হাসপাতালে জখম অবস্থায় ভর্তি ছিলেন তিনজন। যাঁদের মধ্যে একজন বছর ২৩-এর মইনুল সর্দার। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুসরাত জাহান এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন নামে আরও দুজন। অন্যদিকে গার্ডেনরিচ সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন আরও ৬ জন।