Breaking News
CBI: সোমে জাস্টিস সিনহার তাবড়ে মঙ্গলের সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে সিবিআই      Dumdum: দমদম নাগেরবাজারে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় উদ্ধার অস্ত্র, জেরায় খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্তের      Court: অভিষেকের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই! ইডি-সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা জাস্টিস সিনহার      Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে একাধিক নির্দেশিকা জারি মুখ্যসচিবের      Dengue: ডেঞ্জার 'ডেঙ্গি' রুখতে হটস্পট, বিশেষ ব্যবস্থা স্বাস্থ্য ভবনেরও      Raghav-Parineeti: বর-কনে সাজে রাঘব-পরিণীতি, প্রকাশ্যে 'রাঘনীতি'-র রূপকথার বিয়ের ছবি      Dengue: ডেঙ্গি কিন্তু ডেঞ্জারাস...      India: ৪০০ রানের টার্গেট, শ্রেয়স-গিলের জোড়া সেঞ্চুরিতে পাহাড় সমান রান ভারতের      Resignation: মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে টিএমসিপি! অভিযোগ তুলে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ অধ্যক্ষর      Mamata: 'অনেক কাজ করতে পেরেছি...' স্পেন থেকে কলকাতায় ফিরে জানালেন মমতা     

Death

East Burdwan: বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু ১ স্কুল ছাত্রের, গুরুতর আহত আরও ১ ছাত্রী

বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। গুরুতর ভাবে আহত আরও ১ ছাত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে খণ্ডঘোষ থানার মেটেডাঙ্গা এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম সেখ সামিম আক্তার (১৪) ও আহত ছাত্রীর নাম নাজিরা পারভীন। তারা খন্ডঘোষের মেটেডাঙ্গা জুনিয়ার হাইস্কুলের পড়ুয়া। দু'জন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই বোন বলে জানা গিয়েছে। সামিম আক্তার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও নাজিরা পারভিন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের বাড়ি খণ্ডঘোষের মেটেডাঙ্গা এলাকায়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হেঁটে স্কুল যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সামিম আক্তার ও নাজিরা পারভিন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মেটেডাঙ্গা এলাকায় একটি বেপরোয়া চারচাকা গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরে পালানোর সময় কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। আহত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। হাসপাতালে নিয়ে এলে সামিম আক্তারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন নাজিরা পারভিন।

দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত এলাকাবাসীরা স্পিড ব্রেকার ও সিভিক ভলান্টিয়ার পোস্টিং-এর দাবিতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বর্ধমান-বাঁকুড়া রোড অবরোধ করে। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা।

8 hours ago
Nadia: চিকিৎসায় গাফিলিতির অভিযোগ, প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হাসপাতাল চত্বর

ফের সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল চত্বরে। জানা গিয়েছে, রবিবার কোতয়ালি কুলগাছির বাসিন্দা বছর ২৩-এর পাপিয়া পারভিন সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর রবিবারই সন্তানের জন্ম দেন। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু হয় তাঁর। অভিযোগ, মৃত্যুর ঠিক ১০ মিনিট আগে পরিবারের কাছে রক্ত জোগাড় করার আবেদন জানায় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। অকালেই মৃত্যু হয় পাপিয়ার। পরিবারের দাবি, সময় মত রক্ত কেন দেওয়া হয়িনি পাপিয়াকে? গাফিলতি না করলে হয়তো বাঁচানো যেত সদ্যোজাতের মাকে।

যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি। বেশ কিছু জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পারভিন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ছিল না পাপিয়ার। যার জেরে হঠাৎই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

খবর পেয়ে পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালি থানার পুলিস। পরিবারের তরফে গাফিলতির অভিযোগ আনে হাসপাতাল সুপার ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করা কথাও জানানো হয়। প্রশ্ন উঠছে, রোগীর শারীরিক অবস্থার হাল জেনেও কেন দ্রুততার সঙ্গে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? একের পর এক হাসপাতালের বেহাল অবস্থার ছবি ধরা পড়ছে এরাজ্যে।

10 hours ago
Dengue: চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, এ অবস্থায় কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন পরিবারকে!

যত দিন যাচ্ছে ততই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। শুধু কলকাতা নয়, জেলায় জেলায় ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই।

নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ থাকবে। তারপর ঠান্ডা পড়তে শুরু হলে ধীরে ধীরে কমবে ডেঙ্গির চোখরাঙানি। ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, শিশু হোক বা বৃদ্ধ অথবা মাঝবয়সী, সবসময় ফুলহাতা জামা ও ফুল প্যান্ট পরে থাকতে হবে। রাতে অবশ্যই মশারি খাটিয়ে শোয়া উচিত, পাশাপাশি মশা মারার ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে।

অন্যদিকে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই যেন জল না জমে সেদিকে নজর রাখা উচিত। প্রয়োজনে ঘরের জানলায় নেট লাগিয়ে রাখা দরকার। মশা তাড়ানোর জন্য রয়েছে একাধিক ভেসজ ধূপ। সেগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারের দিকেও যথেষ্ট নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত জল, শাকসবজি খেতে হবে বেশি করে।

11 hours ago


Jadavpur: ফের শিরোনামে যাদবপুর, নার্সিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ফের শিরোনামে যাদবপুর। পূর্ব যাদবপুরের গ্রিনপার্ক এলাকায় নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সূত্রের খবর, গ্রিনপার্ক এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বছর ২২-এর মল্লিকা দাস। সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই নার্সিং-এর চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল মল্লিকা।

কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি মানিসিক অবসাদ নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিস। তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাণোচ্ছল মেয়ে ছিল মল্লিকা। বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে থাকত। কোনও ঝামেলা ছিলনা। ঠিক কী কারণে এই মৃ্ত্যু তা স্পষ্ট নয় তাদের কাছেও।

একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বাঁকুড়ার হাড়মাসড়া গ্রাম থেকে শহরে পড়তে এসেছিল মল্লিকা।ছিল জীবনে কিছু করার তাগিদ। এক লহমায় বদলে গেল বাস্তব ছবি। পরিবারের মায়া কাটিয়ে না ফেরা দেশে হারিয়ে গেল মল্লিকা। মল্লিকার অকাল প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা হাড়মাসড়া গ্রাম।

yesterday
Dengue death: ডেঙ্গিতে মৃত্য়ু দেগঙ্গার এক যুবকের, আতঙ্কিত গোটা রাজ্য়ের মানুষ

রাজ্য়ে আবারও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হল এক যুবকের। হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সরিফুল ইসলাম (২৪)। দেগঙ্গার কুমরুলী গ্ৰামের বাসিন্দা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে মৃত্য়ুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির বদলে সেফটিসেমিয়া উল্লেখ করা আছে। পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান সরিফুলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। 

পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে সরিফুলের মা ও বোন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়। তারপর সুস্থ হওয়ার আগেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয় সরিফুল নিজেই। শনিবার তাঁর জ্বর আসলে প্রথমে তাঁকে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্তের রিপোর্ট করালে এনএসওয়ান পজিটিভ আসে বলে পরিবারের দাবি। 

রবিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় বারাসত হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় সরিফুল ইসলামের। ‌হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গির সমস্ত রিপোর্ট আটকে রেখে দিয়ে মৃত দেহ দেওয়ার সময় ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে মৃতুর কারণ হিসেবে সেফটিসেমিয়া উল্লেখ করায় ক্ষোভ মৃত যুবকের পরিবার পরিজনদের। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে যুবকের মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার।

yesterday


Dengue: ডেঙ্গি কিন্তু ডেঞ্জারাস...

রাজ্যে ডেঙ্গির অপর নাম এখন আতঙ্ক। বর্ষার শুরু থেকেই যেভাবে দিনদিন মাথা চাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গি তাতে আর কয়েকদিন পর কোন ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করবে তা ভাবাচ্ছে সবাইকেই। রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে এখন শিরোনামে রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। যেমন দিনদিন স্পষ্ট হচ্ছে পুরসভার গাফিলতির ছবি তেমনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফের দক্ষিণ দমদম পুরসভাতে ডেঙ্গির বলি ১। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর অঞ্চলে মৃত্যু হল  বছর ৫৩ এর  রুনা বসাকের। জানা যায় ১৪ তারিখ নাগেরবাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি কার হয় তাকে। বেশ কয়েকদিন ধরে রুনা দেবী জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। এরপরে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করালে এনএসওয়ান পজিটিভ আসে। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিন তিনি চিকিৎসার গাফিলতিরও অভিযোগ তোলেন। গত বুধবারই ২৭ নং ওয়ার্ডের এই এলাকায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় বছর ১৪-এর মতিঝিল গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সংযুক্তা পালের। তারপর ফের একটি মৃত্যু, এলাকার পরিস্থিতি কেমন ঘুরে দেখল সিএন এর ক্যামেরা। চারিদিকে জমে রয়েছে জল, ময়লার স্তুপ। তার মধ্যে বাসা বেঁধেছে মশার লার্ভা। যে ছবিতে বলাই বাহুল্য ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে ওই এলাকা। এই কথায় সহমত প্রকাশ রুনা বসাকের পরিবারের সদস্যরাও। তবে বারবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার যে পরিস্থিতি সামনে আসছে, তাতে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। ৬ টি মৃত্যুর পরও যদি হুঁশ না ফেরে আর কবে সতর্ক হবে প্রশাসন, প্রশ্ন দক্ষিণ দমদমবাসীর।

ওদিকে ডেঙ্গি রুখতে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের, সহ পুরকর্মীদের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। এ অবস্থায় এখনও অবধি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। ডেঙ্গি দমনে আরও কড়া হয়েছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা কতৃক সমস্ত পুর কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জোর বাড়ানো হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও। মোটের উপর ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে যেমন ঘুম উড়েছে সাধারণ মানুষের, তেমনই আশঙ্কায় ভুগছেন স্বাস্থ্য ভবনও।

2 days ago
Electrocuted: মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলে, মৃত্যু মা ও ছেলের

মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ছেলের। এ ঘটনায় মহিলা এবং তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটনাটি জলপাইগুড়িতে। শর্ট সার্কিটের জেরেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত দুজনের নাম ননীবালা রায় এবং টিঙ্কু রায়।

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হঠাৎই ননীবালাদেবীর চিৎকার শুনতে পান টিঙ্কু। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান ছেলে। সেসময় দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ননীবালাদেবীর বাড়িতে। সেসময় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা দ্রুত মেরামত করে দেন। অভিযোগ, সেসময় গোটা বাড়ি শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। সেকারণেই রবিবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ির ওয়ারিংয়ে সমস্যা ছিল। সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।

2 days ago
Dengue: ফের কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক পড়ুয়ার, চিন্তায় পুর-প্রশাসন

ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ১২ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর। শনিবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ রয়েছে। মৃত ছাত্রী যাদবপুরের বিজয়গড়ের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গত প্রায় ৭ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল ডোনা দাস নামে ওই ছাত্রী। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তার। শনিবার শারীরিক পরিস্থিতি হঠাৎ খারাপ হতে শুরু করে। দ্রুত তাকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ডোনার।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডোনাকে আগেই হাসপাতালে ভর্তি করলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। কিন্তু এবারই প্রথম নয়, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। কলকাতা এবং দুই ২২৪ পরগনায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে কলকাতায় বিগত দু -দন ধরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যার ফলে ডেঙ্গি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এখনও পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে জানুয়া থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের।

3 days ago


Dengue: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু রাজ্যে, জোড়া মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরে

ক্রমশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। জোড়া মৃত্যুর খাঁড়া পশ্চিম মেদিনীপুরে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল খড়গপুরের এক মহিলার। জানা গিয়েছে, ৪ দিন আগে জ্বর নিয়ে খড়গপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন বাঙালিপাড়ার বাসিন্দা রুনিতা মল্লিক। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ১টা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। 

অপরদিকে ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যু হয় ঘাটালের গড়বেতার বাসিন্দা সাবিনা বিবির। জানা যায়, সাবিনা বিবি জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একটু সুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা বন্ডে স্বাক্ষর করে নিয়ে চলে যান বাড়িতে। ফের ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় সাবিনা বিবির। 

ইতিমধ্য়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বৈঠক। বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানানো হয়েছে ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাকে।

ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারঙ্গী বলেন, ওই মহিলা আগেই জ্বর নিয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপরে ওই পরিবারের সদস্যরা বন্ডে সই করিয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে যায় ওই মহিলাকে। এরপর বাড়ি ফেরার পর আবারও ওই মহিলা অসুস্থ হলে ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তারপরেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। ডেঙ্গিতে মৃত্যু ঘটনা ঘটতেই ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ঘাটাল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাসপাতালে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।

4 days ago
Sonarpur: সামাজিক মাধ্যমে প্রেম থেকে বিয়ে, তারপর যা চরম পরিণতি হল দ্বাদশ শ্রেণির...

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় টানা পোড়েন। যার ফলে অকালে ঝরে গেল একটি জলজ্যান্ত প্রাণ। এই ঘটনায় ওই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম পিঙ্কি মাইতি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। 

জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পিঙ্কি মাইতির সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয়েছিল সোনারপুরের যুবক ঈশান দাসের। তারপরেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয় তাঁরা। তিনমাস আগে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঈশানকে বিয়ে করেছিল পিঙ্কি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর শুরু হয় অত্যাচার। এরপর হঠাৎই পিঙ্কির দিদির কাছে ফোন আসে যে, তাঁর বোন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে পিঙ্কি। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গিয়েছে তাঁর। 

এই ঘটনায় ঈশান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সোনারপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঈশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।

5 days ago


Shoot: দিন-দুপুরে শুট-আউট, মৃত্যু পঞ্চায়েত প্রধানের, ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা

দিন-দুপুরে চলল গুলি। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জীপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহম্মদ রাহি। বুধবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রধানকে লক্ষ করে ২-৩ রাউন্ড গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কিষাণগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে উত্তরবঙ্গে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে পথেই মৃত্যু হয় পঞ্চায়েত প্রধানের খবর প্রশাসন সূত্রে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি বাইকে কালো কাপড় পড়ে আসে চারজন দুষ্কৃতী। গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে যেতেই উধাও দুষ্কৃতীদল। ঘটনার বেশ কিছু সময় পরেও রাস্তায় রক্তের দাগ স্পষ্ট। দিনে-দুপুরে গুলি চলল কীভাবে? এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী? প্রশ্ন তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ক্ষুব্ধ মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। 

খুনের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র না কি পুরোটাই পরিকল্পিত ঘটনা ? তা জানতে ইতিমধ্য়ে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন। তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, দিন-দুপুরে গুলি চলার ঘটনায় জন প্রতিনিধিরাও সুরক্ষিত নয়? ফলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তৃণমূলের দ্বারাই সুরক্ষিত নয় তৃণমূল, সুর চড়িয়েছে বিজেপি। 

6 days ago
Maldah: আবারও ভিনরাজ্য়ে কাজে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক যুবক, শোকের ছায়া নেমেছে ইংলিশবাজারে

রাজ্যে কাজের অভাব। পাশাপাশি বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। যার ফলে সংসারের হাল ধরতে ভিন রাজ্য়ে পাড়ি দিচ্ছেন এই রাজ্য়ের বেকার যুবকরা। সেই রকমই কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে প্রাণ হারালেন মালদহের (Maldah) ইতেকাপ শেখ। বুধবার তাঁর কফিনবন্দী দেহ ফিরলো গ্রামে। ওই যুবকের মৃত্য়ুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।  

পুলিস সূত্রে খবর, মালদহের ইংলিশবাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া অঞ্চলের নতুন নঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ইতেকাপ শেখ। এক মাস আগে গুজরাটের সুরাটে টাওয়ারের কাজে পাড়ি দিয়েছিল ওই যুবক। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরা হলো না তাঁর। গত শনিবার টাওয়ার থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে ১০০ দিনের কাজ থাকার কারণে বাড়ির কাছাকাছি কাজ করা যেত। কিন্তু ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই অসুবিধার মধ্য়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। ফলে কাজের উদ্দেশ্য়ে একপ্রকার বাধ্য় হয়ে বাড়ির পুরুষদের ভিন রাজ্য়ে পাড়ি দিতে হয়। এইকারণে ভিন রাজ্য়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। সেইকারণে সরকারের কাছে স্থানীয়দের অনুরোধ আবার যেন ১০০ দিনের কাজ শুরু করা হয়। 

এই বিষয়ে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহিদুল শেখ জানান, বিষয়টি খুব দুঃখজনক। আমরা মৃত যুবকের পাশে রয়েছি। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মারা গেলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সেই টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

6 days ago
Kasba: কসবার ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিতে হবে মেডিক্যাল বোর্ডকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে দশম শ্রেণীর ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মঙ্গলবার শুনানির পর আদালতের নির্দেশ, পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারি করতে হবে। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে। ওই রিপোর্ট ও ভিডিওগ্রাফি দেখিয়ে তাঁদের থেকে মতামত নিতে হবে। সিসিটিভি ডিভাইস ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পোস্টমর্টেম কপি দ্রুত পরিবারকে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দিতে হবে। ৬ অক্টোবর ফের এই মামলার শুনানি।

মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, ঘটনার পরে গুরুতম জখম অবস্থায় ওই ছাত্রকে দীর্ঘক্ষণ কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ইনকোয়েস্ট বা সুরতহাল ঘটনার পরেই হওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টা পরে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শুধু কান থেকে রক্ত বেরোতে দেখা গেছে। এটা অবিশ্বাস্য। আইনজীবী নিয়ে মৃতের পরিবার কসবা থানায় গেলেও সিসিটিভি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কখন সে পড়ে গেছে, তার কোনও ছবি নেই। সিসিটিভি ফুটেজ বিকৃত করা হয়েছে। বাড়ির লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি। সিট গঠন করে তদন্তের দাবি।

বিচারপতি জানান, এমন একটা গুরুতর ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক গাফিলতি করবেন বলে মনে হয়? স্কুলের তরফে জানানো হয়, প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা নিয়ে ক্লাস টিচারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই ছাত্রের। সেই সময় শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করে সে। সিসিটিভি ফুটেজে সবটাই ধরা আছে। এরপর পাঁচতলার উপর থেকে সে ঝাঁপ দেয়। তখনই মুকুন্দপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিচারপতি বলেন, তার মানে খারাপ ব্যবহার করে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে, এটা বলতে চাইছেন? এরপরেই পুলিস কমিশনারকে তদন্তে নজরদারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

7 days ago


Pragyadipa: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট

ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, সোমবার এ ঘটনায় বিচারপতি আরও নির্দেশ দেয় পরবর্তী শুনানির মধ্যে সিআইডি-কে নিম্ন আদালতে বাড়তি চার্জশিট জমা দিতে হবে। সূত্রের খবর, প্রজ্ঞাদীপা হালদার পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৯ সালে তাঁর সাথে কৌশিক সর্বাধিকারি নামে এই আর্মি হাসপাতালের ডাক্তারের বিবাহ হয়। তারপর চলতি বছরের ২০ জুন প্রজ্ঞাদিপাকে তার স্বামীর ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর মৃতার পরিবার ব্যারাকপুর পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। জুন মাসের ২৩ তারিখে তার স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয়।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন ওই মৃতা। আত্মঘাতী হওয়ার একটি পত্রও পাওয়া গেছে। তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তিনি বিষন্নতায় ভুগছিলেন। কিছু প্রমাণ আছে। এর পরিপেক্ষিতে, মামলাকারির আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, মৃতা প্রজ্ঞাদিপা হালদারকে খুন করা হয়েছে, অথচ পুলিস খুনের ব্যাপারকে চেপে গিয়ে পুরো ঘটনা টিকে একটি দুর্ঘটনা বলে চালাতে চাইছেন। ঘটনার দিনের ভিডিওগ্রাফী পুলিশের কাছে আছে, কিন্তু তিনি তা আদালতের সামনে আনতে চাইছেন না। তিনি এও জানান যে অভিযুক্ত হলেন তার স্বামী যিনি একজন আর্মি হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি ময়নাতদন্তকারি চিকিৎসককে ফোন করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রভাবিত করার জন্য বলেছিলেন। সেই তথ্য প্রমাণ রয়েছে মামলাকরীদের কাছে।

অভিযোগ, এসবের পরেও এত সময় পেলেও এ ঘটনায় এখনও চার্জশিট দেয়নি সিআইডি। হাইকোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার কথা বলে সময় নেওয়া হয়েছে। অথচ নিম্ন আদালতে নতুন চার্জ সিট দেওয়ার কোনো আবেদন করা হয়নি। এটা খুব অদ্ভুত নতুন করে তদন্ত হচ্ছে, অথচ নতুন চার্জশিট দেওয়ার ব্যাপারে আদালতে কোনও আবেদন করে নি। আরও চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা, নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ জানানো হল না। এরপরেই মামলাকারীর অভিযোগে ব্যারাকপুরের চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যু ঘটনায় নিম্ন আদালতের বিচার স্থগিত করলো হাইকোর্ট। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানির মধ্যে সিআইডি কে নিম্ন আদালতে বাড়তি চার্জশিট জমা দিতে হবে এমনই নিদেশ দেয় আদালত। সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

a week ago
Kasba: কসবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুনঃরায় ময়নাতদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ছাত্রের পরিবার

কসবা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের পাঁচ তলা থেকে ‘পড়ে’ মৃত্যু হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ শানের। গত ৪ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল মৃত ছাত্রের পরিবার। এবার ওই ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মৃত ছাত্রের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, কসবা থানা ৪ সেপ্টেম্বরে ঘটনার সময়ের সঠিক সিসিটিভি ফুটেজ পরিবারকে দিচ্ছে না। পুলিস মিনিট দশেকের একটা ফুটেজ দিয়েছে, যার মধ্যে যে ঘরে শেষবার ওই ছাত্রকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে, সেই ঘরের ফুটেজ নেই।

সূত্রের খবর, মৃত পড়ুয়ার বাবা শেখ পাপ্পু স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি বলে ওই ছাত্রকে বকাবকি করা হয়েছিল। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। এমনি অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।' সেসময় কেবল স্কুল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও এখন পুলিশের গাফিলতিকেও দুষছেন ওই মৃত ছাত্রের পরিবার।

এ ঘটনায় মৃতের বাবা স্কুলের প্রধানশিক্ষক, সহকারী প্রধানশিক্ষক এবং আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ এবং ধারা ১২০বি অনুযায়ী খুনের মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু অভিযোগ এখনও অবধি ওই ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে বারবার বলেও লাভ হচ্ছে না। অথচ ওই রিপোর্ট পাওয়ার অধিকার পরিবারের রয়েছে। এঘটনায় এবার ওই মৃত ছাত্রের পরিবার পুনঃরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই মামলা শুনবেন বলে সূত্রের খবর।

a week ago