
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মারপিঠ, খুন, মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া, ভোট লুঠ সহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকার অর্থাৎ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে অল্প বিস্তর হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনী সংক্রান্ত মামলায় ফের রাজ্য সরকারের উপর অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মামলায় রাজ্যের ক্ষতিপূরণে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, রাজ্যের পেশ করা তথ্যের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে আরও তথ্য জানতে চায় আদালত।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের পেশ করা তথ্যের পরেও আদালত জানতে চায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা কত! এছাড়া হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া সকল ব্যক্তির নাম, যাদেরকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল তাদের নাম, নির্বাচনী হিংসায় আহতদের সংখ্যা কত? তাদের কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে?
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনী সংক্রান্ত মামলায় বিরোধীদের তরফে আদালত প্রমাণ পেয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র ৭ জনকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ছে কয়েক জনকে। বাকিদের কেন কিছু পায় নি। কেন বাকিদের কিছু দেওয়া হয়নি? আহত কতজন? কি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে?জানতে চায় আদালত।২৬ নির্বাচন কমিশন কে জানাতে হবে সব তথ্য।
পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant worker) মৃত্যু, এ যেন বর্তমান দিনের পরিচিত এক কাহিনী। ফের ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ানের (Dhulian) লালপুর তিরঙ্গা মোড় এলাকার বাসিন্দা তহিবুল মমিন। প্রায় ৩ মাস কাজ করার পরে হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়েন তহিবুল। শনিবার বিকেলে মৃত্যু (Death) হয় তাঁর। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদার সংস্থার তরফে কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা লালপুর গ্রামে।
পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ১৫ দিনে মুর্শিদাবাদে পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪। মালদহে সেই সংখ্যা ১। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পরিযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা ২। জেলায় জেলায় একের পর এক পরিযায়ীর মৃত্যুতে কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। কেন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে বারবার? তবে কি রাজ্যে সত্যিই কাজের অভাব? ভিনরাজ্যে গিয়ে কেন এইভাবে অকালে হারিয়ে যেতে হচ্ছে? পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ গুপ্ত।
অসহায় পরিবারের একমাত্র ভরসা ছিলেন তহিবুল মমিন। তাই একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে শুধুমাত্র পেটের তাগিদে একটু ভালোভাবে বাঁচার জন্য ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা বিজেপি সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা।
অকালে চলে গেল আরও ১ টি প্রাণ। রয়েছে শুধু নিথর দেহ। তবু আপনজনকে শেষবারের মতো দেখতে যে মন চায়। তাই তহিবুলের দেহটা যাতে ঠিকমতো বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় সরকারের কাছে সেই কাতর আর্তি জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে অস্বীকার করে সমুদ্র স্নানে নেমে তলিয়ে গেল পাঁচ যুবক। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি সমুদ্র সৈকতে। পাঁচ যুবকের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তিন জনকে উদ্ধার করেছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দুই যুবক এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ওই পাঁচ পর্যটক কলকাতা থেকে মন্দারমণি ঘুরতে এসেছিলেন।
সমুদ্রের পরিস্থিতি উত্তাল থাকায় শুক্রবার সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছিল। কিন্তু দুপুরের দিতে নজরদারি কমতেই ওই যুবকরা স্নান করতে সমুদ্রে নামেন বলে অভিযোগ। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপান করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় স্নান করতে নেমে উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তিন জনের মধ্যে ২ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত যুবকের নাম নাভেদ আখতার (৩০)। এই যুবকদের সকলেরই বাড়ি কলকাতার ধর্মতলার আশপাশের এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে মন্দারমণিতে এসেছিলেন এই যুবকরা। শুক্রবার ঘটেছে বিপত্তি। তবে এই যুবকদের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। নিখোঁজ দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthyasathi Card) অ্যাপ্রুভাল নিয়ে টানাপোড়েন। দড়ি টানাটানির মাঝেই বাঁকুড়ায় (Bankura) মৃত্যু হল রোগীর। মা হারা হলেন সন্তান, এর দায় নেবে কে? নিয়ম-নীতির বেড়াজালে ওষ্ঠাগত প্রাণ।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর কাছে চিকিৎসার জন্য টাকা চাওয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথীর অ্যাপ্রুভাল না মেলায় রোগীকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হল বাঁকুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোম। শনিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিজনেরা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোলের বাসিন্দা বছর ৬২-র পার্শ্বলা মণ্ডল পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রোগীর পরিবারের দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিলেও ভর্তির পর থেকেই রোগীর পরিজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইতে থাকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রোগীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে রোগীর পরিজনেরা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, দিন প্রতি আইসিইউ চার্জ বরাদ্দ হয় ৪ হাজার টাকা। দরিদ্র পরিবার সেই বোঝা টানতে অপারগ। রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অ্যাপ্রুভাল না মেলা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় রোগীকে।
মা হারালেন এক সন্তান। কার গাফিলতি? নিয়ম-নীতি কি মানুষের জীবনের থেকেও বড়? ভরসার স্বাস্থ্যসাথী হয়ে উঠছে আতঙ্ক!
নিপা ভাইরাস (Nipah virus) নিয়ে বড়সড় সতর্কবার্তা দিল কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারের তুলনায় নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি।
এবিষয়ে আইসিএমআর এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহল শুক্রবার জানিয়েছেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে কোভিডের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেরল সরকারের তরফে। কোঝিকোড়ে হাই অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেরলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
গাছে বেঁধে এক পঞ্চায়েত সদস্যের (Panchayat member) ভাইপোকে পিটিয়ে খুনের (Death) অভিযোগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার গোয়ালপোখর থানার ইলোয়াবাড়ি এলাকায়। মৃত ওই যুবকের নাম পল্টু ওরাও (২৫)। বাড়ি গোয়ালপোখর থানার ধরমপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক পাঞ্জিপাড়ার শান্তি নগর এলাকায় একটি মিলে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হন ওই যুবক। রাতে গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির পুলিস ইলোয়াবাড়ি এলাকা থেকে ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। গভীর রাতে চিকিৎসা চলাকালীন ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যুবককে কেউ বা কারা বেধড়ক মারধর করেছে। ইসলামপুর মহকুমা ভর্তি রয়েছে। সকালে পরিবারের লোকজন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে গেলে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পল্টুকে কী কারণে মারধর করা হয়েছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না।
রাজ্য জুড়ে দুষ্কৃতীরাজ! ফের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) টিটাগড়ে (Titagarh) খুন। মঙ্গলবার রাতে দুধ ব্যবসায়ী বিনোদ সাউ নামের বছর ৩০-এর এক যুবককে বাড়ির সামনে থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন (Death) করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, এলাকাবাসীর গর্ব ছিল বিনোদ। তাঁর উপস্থিতিতে মেয়েরা ছিল সুরক্ষিত। বিনোদের মৃত্যুতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন আগে মহ. মুরতাজা নামের এলাকার এক যুবকের সঙ্গে মারামারি হয় বিনোদ সাউয়ের। তারই বদলা নিতে খুন করা হয় বিনোদকে? তবে কী পুরনো শত্রুতার জের? ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহ.মুরতাজা সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সুরাজ প্রসাদ। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কটাক্ষ বিজেপি নেতা কুন্দন সিং-এর।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইকে এসে আনোয়ার আলি নামের এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে চম্পট দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তার কয়েকমাসের মধ্যেই এই ঘটনা। প্রশ্ন ওঠে, যেখানে ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের আওতায় টিটাগড় থানা, সেখানে একের পর এক খুন হয় কীভাব? আর কত প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের?
তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের। বুধবার সকালে বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আনোয়ারা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কর্মী সাদেক আলির রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) ১। মালদহের (Malda) পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতর গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্কে মৃতের পরিবার সহ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, দলের লোকেরাই খুন (Death) করেছে সাদেক আলিকে। দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল প্রাক্তন প্রধান সেরিনা বিবির স্বামী মহাব্বত আলি। যেমন বলা তেমন কাজ? এখন মূল অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। আর তখন থেকেই শুরু হয় কোন্দল। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে হুমকি দিতে থাকে। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। তৃণমূলের জেলা স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।
সকলের একটাই প্রশ্ন, শাসকের রাজত্বে শাসকদলই সুরক্ষিত নয়? তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে দাপিয়ে বেড়ায় মূল অভিযুক্ত? তবে কী সবটাই আই ওয়াশ? ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। প্রতিক্রিয়া বিজেপির।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। অভিযোগ উঠেছে ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব়্যাগিং বিরোধী কমিটি পুনর্গঠন করা হল। পুলিশ আধিকারিকরা ছাড়াও ৩৩ জন সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন কলেজের উপাচার্য, অধ্যাপক এবং ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে নতুন এই কমিটির বিষয়ে জানানো হয়েছে। রয়েছে ৩৩ জন সদস্যের নাম এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল বা ক্যাম্পাসে কোনও পড়ুয়া ব়্যাগিংয়ের শিকার হলে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নয়া ওই কমিটিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের চারজন ডিন, যাদবপুর এবং দক্ষিণ বিধাননগর থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জ, ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের এক পড়ুয়ার। অভিযোগ ওঠে ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফের ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু কলকাতায় (Kolkata)। এবার মৃত্যু খোদ চিকিৎসকের। জানা গিয়েছে, মৃত (Death) চিকিৎসকের নাম দেবদ্যুতি চ্যাটার্জি। তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১২ সেপ্টেম্বর মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ, শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকের। সদ্য প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুসারে, সব মিলিয়ে গোটা রাজ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার। ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবের নিরিখে ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। দ্বিতীয় স্থানে নদিয়া আর পঞ্চমে কলকাতা।
তবে তাতেও কী সর্তক হচ্ছে প্রশাসন? শহরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে প্রশাসনের গাফিলতির ছবি। এলাকার বিভিন্ন জায়গা ডেঙ্গির মশার প্রজননের মোক্ষম স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ, আবার কোথাও রাস্তার ওপর জমা জলে বাসা বেঁধেছে মশার লার্ভা।
স্কুলে ফুটবল (Football) খেলার পরে পুকুরে স্নান করতে নেমে বিপত্তি। জলে ডুবে (Drowning) মৃত্যু (Student Death) হল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের। বুধবার রাতে পুকুর থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। এই খবর পাওয়ার পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন পড়ুয়ার পরিবারের লোকজন। স্কুলের ভিতর শিক্ষকদের আটকে রেখে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সৌভিক বেরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুল ছুটির পর স্কুলের তরফ থেকে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর ফুটবল খেলার শেষে ছাত্ররা স্কুল লাগোয়া পুকুরে স্নান করতে নামে। আর তাতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। জলে ডুবে মৃত্যু হয় সৌভিকের। মৃত সৌভিকের বাবা সন্দীপ বেরা সহ এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, সন্ধ্যে হয়ে যাওয়ার পরও ছেলে বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করতে থাকেন বাবা-মা। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্কুলের সামনে এসে দেখেন শিক্ষকরা সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছেন, স্কুলের গেটের বাইরে রয়েছে সৌভিকের বইয়ের ব্যাগ। স্কুলে লাগানো তালা।
তারপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে স্কুল লাগোয়া পুকুর থেকে সৌভিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনা ঘিরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন শিক্ষকেরা। উত্তেজিত জনতার দাবি, শিক্ষকদের চরম গাফিলতির জেরেই তরতাজা প্রাণটি চলে গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যাফ পৌঁছয়।
দাম্পত্য বিবাদের জের। স্ত্রী ও আট বছরের কন্যাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ায়। আদৌ দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মৌসুমী পাল। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জীব পাল। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীকে পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন সঞ্জীব। যার জেরে অশান্তি লেগেই থাকতো। মৌসুমীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে সন্তান জন্মানোর পর থেকে আরও অত্যাচার শুরু করে মৌসুমীর উপর। যদিও পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত স্বামী জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হতো। সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমী ও বছর আটের কন্যাকে ঘুমের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর হাবড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জীব। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Road Accident) সাক্ষী পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানার অন্তর্গত ফ্রি স্কুল স্ট্রিট। ঘটনায় মৃত্যু ১ ব্যক্তির। দমকলের গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ফায়ার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে রিফিলিং-এর জন্য গাড়িটি বেরিয়েছিল। সেইসময় ফ্রি স্কুল স্ট্রিট থেকে মারকুইস স্ট্রিটের টার্নিং পয়েন্টে গাড়ির পিছনের চাকার নিচে চলে আসেন ওই ব্যক্তি। মাথার একাংশ পুরো থেঁতলে যায়। ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ওই এলাকায় চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে এলাকা। এলাকার স্থানীয় বিজোপি নেতা বলেন, এই দুর্ঘটনার জবাব দিতে হবে সরকারকে অবৈধ পার্কিং নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে এই ঘটনায় দমকলের গাড়ির কোনও দোষ নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার পরেই ওই গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। কথা বলা হয় দমকলের আধিকারিকদের সঙ্গে। তবে শহর কলকাতার বুকে অবৈধ পার্কিং-এর জেরে এই দুর্ঘটনায়, ফের একবার প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
রাজ্যে উর্ধ্বমূখী ডেঙ্গির গ্রাফ (Dengue)। তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। একই দিনে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার পরপর দু'জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর (Dengue Death) প্রকাশ্যে আসে। কার্যত ডেঙ্গির দৌরাত্ম্যে তটস্থ বাংলা। তারই মধ্যে সোমবার আবার কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত পড়ুয়ার মৃত্যু। সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম ওহিদুর রহমান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমটেক-এর ছাত্র। ছাত্রের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ রয়েছে।
ওই মৃত ছাত্রের সহপাঠীরা জানান, ওহিদুর রহমান নামে ওই ছাত্র এনএস ওয়ান ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। গত ৩১ অগাস্ট তাঁকে ভর্তি করা হয় কেপিসি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি যাদবপুরের ছাত্ররা অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে মশার উৎপাতে টেকা দায়। হস্টেলে কয়েকজনের ডেঙ্গিও হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা।
স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে একাধিক গাইডলাইন জারির পরও রাজ্যে বেলাগাম ডেঙ্গি সংক্রমণ। একের পর এক মৃত্যু সংবাদের মাঝে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া হানা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেঁও। হাসপাতালের কর্মী আবাসনের ৩ টি ব্লক কার্যত পরিণত হয়েছে রোগের আঁতুড়ঘরে। অন্ততপক্ষে ২০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। কয়েকজন আবার ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপশি মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল-এর ৪ জন পড়ুয়া ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।
ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)। দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocuted) হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ানের এক শ্রমিক। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মোকলেসুর রহমান, বয়স ৩৩ বছর। মৃত্যুর খবর পরিবারে পৌঁছতেই কার্যত শোকের ছায়া নেমেছে ধূলিয়ান পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কৃষ্ণপুরে।
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগেই ধূলিয়ান থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে দিল্লির সরোজিনী নগরে যান মোকলেসুর রহমান। দিন কয়েক পরেই বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। রবিবার অন্যান্য দিনের মতো কাজ করছিলেন মোকলেসুর। সেসময় পানীয় জলের প্রয়োজন পড়লে মোটর চালু করেন। কিন্তু তখনই মোটরে শর্টসার্কিট হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবু তড়িঘড়ি মোকলেসুরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খবর জানাজানি হতেই সোমবার সকাল থেকে মৃত শ্রমিকের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই দেহ বাড়ি নিয়ে আসতে তৎপরতা শুরু হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে, দিন কয়েকের মধ্যেই ফের একবার ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকা জুড়ে।