ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নয় মাসের শিশু কন্যার। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের খরবা স্ট্যান্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশু কন্যাটির নাম আনিসা পারভিন। বয়স মাত্র নয় মাস। এদিন সকালে শিশুটির মা সাগরি খাতুন চাঁচলে নিয়ে আসেন ডাক্তারের কাছে। তারপর ডাক্তার দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে অটোয় করে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় চাঁচল আশাপুর রাজ্য সড়কের খরবা স্ট্যান্ডে একটি স্কুল পড়ুয়াকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায় অটোটি। এরফলে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নয় মাসের শিশু কন্যাটির। শিশুর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা।
মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়। আর তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। তছনছ হয়ে গেল বহু মানুষের সাজানো ঘর-বাড়ি। প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। প্রিয়জনকে হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন জলাপাইগুড়ির এক অংশের মানুষ। ঝড়ে উড়েছে চাল, ভেঙেছে বহু ঘর। এখনও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
রবিবার রাতে খবর পেয়ে বিশেষ বিমানে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকালে ঝড়ে পরিস্থিতি দেখতে জলপাইগুড়ি যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
সূত্রের খবর, রবিবার ঝড়ের পর ১৬৬ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে দুজন শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন হল দাদা ও বৌদি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের অন্তর্গত ক্ষেত্র বাড়ি বালিয়াদিঘী এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুইজন হলেন দীনবন্ধু পোদ্দার ও কাজল পোদ্দার। মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই দীনবন্ধু পোদ্দার ও জগবন্ধু পোদ্দারের মধ্যে বচসা চলছিল। রবিবার সেই বিবাদ বিশাল আকার ধারণ করে। এরপর ছোট ভাই জগবন্ধু তাঁর দাদা দীনবন্ধুকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
অভিযোগ, দীনবন্ধু পোদ্দারের স্ত্রী কাজল পোদ্দার তিনি ঝামেলায় মীমাংসা করতে গেলে তাঁকেও শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর কাজল দেবীকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় করনদিঘী থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। অভিযুক্ত জগবন্ধু পোদ্দারকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযুক্ত ভাইকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কাজ নেই গ্রামে। এদিকে, জর্জরিত দেনায়। দু'পয়সা বেশি রোজগার, ঘর-গেরস্থালি মেরামতের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বনগাঁর পরিযায়ী শ্রমিক কৃষ্ণপদ হালদার। মালয়েশিয়া থেকে রবিবার কৃষ্ণপদ-র নিথর দেহ ফিরল ট্যাংরার গ্রামের বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কান্নায় ভাঙল গোটা গ্রাম।
পরিবার সূত্রে খবর, পাম বাগানে কাজ নিয়ে মাস দেড়েক আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ। চলতি মাসের ২২ তারিখ তাঁর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছয় বাড়িতে। জানতে পারেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
বাড়িতে স্ত্রী ও ২ ছেলে রয়েছে। একজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অন্যজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্বামীকে হারিয়ে আকুল পাথারে স্ত্রী। ভেবে পাচ্ছেন না এরপর কীভাবে কী হবে? কেঁদেই চলেছেন ক্রমাগত।
এই অবস্থায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত। বিদেশে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
এমন ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যে কবে কাজের সুযোগ তৈরি হবে? রোজগারের আশায় আর কতজনকে এই ভাবে বাইরে গিয়ে অকাল মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে, উঠছে প্রশ্ন।
মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার গেট সাফা রায়পুরে বৌমার হাতে শাশুড়ি খুন। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শাশুড়ি যমুনা নস্করও বৌমা ভারতী নস্করের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগেই থাকত। শনিবার রাতেও ঝামেলা হয় শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে। বাড়িতে ছেলে, বৌমার সঙ্গেই থাকতেন যমুনা নস্কর। মৃতের ছেলে জানান, বাড়ি এসে তিনি দেখেন মা মেঝেতে পড়ে আছে। দেখার পরই আত্মীয়দের ডেকে আনেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সকালবেলায় বৌমা ভারতী নস্কর মহেশতলা জিনজিরা ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিসকে সে জানায় সে তার শাশুড়িকে হত্যা করেছে। তারপরেই মহেশতলা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ৭৭ বছরের বৃদ্ধা যমুনা নস্করের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিএসপি কামরুদ জামাল মোল্লা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে বৌমা ভারতী নস্করকে।
গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর ফের শহর কলকাতায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার বিরাটির শরৎ কলোনীতে নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে মৃত্য়ু হল এক মহিলার। ঘটনায় আজ, রবিবার তিন প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার ও দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ আচমকা ভেঙে পড়ে। আর সেই সময় বাড়ির থেকে বেরিয়ে ছিলেন কেয়া শর্মা চৌধুরী। তখনই সেই ভেঙে যাওয়া ছাদের ইট মাথায় পড়ে মৃত্য়ু হয় ওই মহিলার।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই গার্ডেনরিচে বহুতল নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সর্বহারা হয়েছেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার পরই আবারও কলকাতার বুকে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা।
পরিত্যক্ত খাদান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা কাটার সময় ধস। মৃত্যু যুবকের। নাম কার্তিক বাউরি। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘটনা। শনিবার বাগুলি এলাকার পরিত্যক্ত নর্থ ব্লক খোলামুখ খনিতে কয়লা কাটতে নামেন বছর ৩৬-র যুবক কার্তিক বাউরি। সেই সময় আচমকাই ধস নামে।
সূত্রের খবর, এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অনেক বাসিন্দা বিকল্প উপার্জনের জন্য বেছে নেন পরিত্যক্ত খনিকে। বেআইনি ভাবে কয়লা তোলেন। নিয়ম , খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পর সেটি ঘিরে দিতে হয়। প্রবেশ রুখতে পরিত্যক্ত খনির মুখে বসাতে হয় গাছ। রাখতে হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। এর মধ্যে কোনওটাই কি ছিল বড়জোড়ার কয়লা খনিতে?
একটা মৃত্যু অসংখ্য প্রশ্ন তোলে। সেই সব প্রশ্ন নিয়ে চলে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কিন্তু যে প্রাণ ঝরে যায়, তা কি আর ফিরবে কোনওদিন? কোনওদিন কি হবে সমস্যার সমাধান।
কারখানার ভিতের লরি চাপা পড়ে মৃত্য়ু হল এক শ্রমিকের। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের বামুনাড়া শিল্পতালুকে। ঘটনাকে ঘিরে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ। দেহ আটকে রেখে মৃত শ্রমিকের পরিচিতরা ঘাতক লরিতে ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম সুজয় বিশ্বাস (২৭)। বাড়ি দুর্গাপুরের গোপালপুরের উত্তরপাড়ার সন্ন্যাসীতলায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বামুনাড়া শিল্পতালুকে এক বেসরকারি ইস্পাত কারখানার ভিতরে এক শ্রমিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় একটি পণ্যবাহী লরি চাপা দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কারখানায় ছুটে আসে স্থানীয়রা। অভিযোগ সেই সময় লাল রঙের একটি স্করপিও গাড়ি করে মৃত শ্রমিকের মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল কারখানার কর্তৃপক্ষ। সেটা দেখতে পাওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। এরপরই শুরু হয় ঘাতক লরিতে ভাঙচুর, এমনকি ভাঙচুর করা হয় লাল রঙের স্করপিও গাড়িটিও। এরপর উত্তেজিত জনতা শ্রমিকের মৃতদেহটি কারখানার ভিতর রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয়।
যদিও কারখানার কর্তৃপক্ষ তাঁর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পাওয়ায় শ্রমিকের মৃতদেহটি তোলা হয় কারখানার ভিতর থেকে। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়।
বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বীরভূমের মল্লারপুর কানাচি আদিবাসী পাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুমি হাঁসদা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মল্লারপুর থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমি হাঁসদার স্বামী বাইরে কাজ করেন। এক মেয়ে সেও বাইরে থাকে। তাই শিশু পুত্র নিয়ে সে বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায় বাড়িতে সুমি ও তাঁর শিশু পুত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় মল্লারপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুইজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।
যদিও পরিবারের দাবি, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মা ও ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে বা কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মাকে ফোন করেও মেলেনি উত্তর। বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ আর মায়ের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে তাজ্জব ছেলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায়। পুলিস সূত্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম নীলকন্ঠ বাউরী (৪২) এবং মৃত মহিলার নাম লিলি বাউরী (৩৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলে রোহিত বাউরীর দাবি, "পাশেই মামার বাড়ি। সেখানে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের ফোনে ফোন করলেও উত্তর না মেলায় বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সারা না মেলায় দরজা ভেঙে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় বাবার দেহ এবং মায়ের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে।" যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে প্রায়শই ঝামেলা অশান্তি হত।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। গত কয়েকদিনে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তখনই নীলকন্ঠ বাউরী দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব' লিখে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। তবে কি পারিবারিক বিবাদের জের নাকি অন্য় কোনও কারণ রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিস।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীকে বেধড়ক মারধর, পরিণাম মৃত্যু। এমনই অমানবিকতার ছবি উঠে এল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সুকান্ত নন্দীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মার্চ জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মানবাজার থানার কদমা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪৫ এর সবিতা সিং সর্দার। অভিযোগ, ২৫ মার্চ হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ঢুকে ওই রোগীকে মারতে শুরু করেন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সুকান্ত নন্দী। এর কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ।
ঘটনার কথা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবারও রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রুগ্নদশার ছবিটাই সামনে এল। সাধারণ মানুষের যেখানে ভরসা সরকারি হাসপাতাল সেখানে হাসপাতালের কর্মীরাই যদি এই ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটায় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? নিরপত্তা রক্ষী থেকে কী লাভ?
কেরলে কাজে গিয়ে আত্মঘাতী হল মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। জানা গিয়েছে মৃৃতের নাম আমিনুল শেখ (২২)। বাড়ি ইসলামপুর থানার সুপারিগুলা গ্রামে। অভিযোগ, প্রেম ঘটিত কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর, কাজের উদ্দেশ্যে কেরলে পাড়ি দিয়েছিলেন আমিনুল শেখ। সেখানে প্লাইবোর্ড কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওই প্লাইবোর্ড কোম্পানিতে কাজ চলাকালীন অসমের বছর উনিশের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আমিনুল। প্রায় দেড় বছরের সম্পর্কে থাকার পর দিন কুড়ি আগে কেরল থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় ওই কিশোরী।
অভিযোগ এরপর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন আমিনুল। শনিবার আত্মঘাতী হন। আমিনুলের সঙ্গীরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গ্রামের বাড়িতে মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা।
বাইসনের হামলায় মৃত্যু এক। গুরুতর আহত আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার নিশীগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খোকো বাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রমণী সরকার (৬৫)। বর্তমানে আহত ব্য়ক্তি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার সকালে থেকেই মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের নিশীগঞ্জ এলাকায় দুটি বাইসন দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের কর্মীরা। এরপরেই বাইসনের হামলায় ওই এলাকার দুইজন আহত হয়। তার মধ্যে রমণী সরকার বাড়ির পিছনে কাজ করছিল। সেই সময় পিছন দিক বাইসন এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে নিশীগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে কোচবিহারের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে ঘিরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ে আরও একজনের মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। শনিবার কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধার।
সরকারি নথি অনুযায়ী গার্ডেনরিচের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন জখম বাসিন্দা। তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মহম্মদ হায়দার (২৪), রিজওয়ানা খাতুন (৩৫), মহম্মদ জানু (৩৫), সবিয়া পারভিন (১৯), সারিকা বেগম (২৬) এবং নমিতা পাত্র (৪০)।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রেড জোনে রয়েছেন যে ৩ জন তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মুসরত জাহান (৩৫), মঈনুল হক (২৩) এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন(২১)।
তবে এই এই বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছিল পুরসভার ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে। শোকজ জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় পুরসভা। শোকজের এই জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে তিন ইঞ্জিনিয়ার, শুভম ভট্টাচার্য, দেবব্রত ঘোষ, এবং দেবাদিত্য পালের বিরুদ্ধে।
এখন দেখার বিষয় যে গার্ডেনরিচের ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের কমিটির ওই রিপোর্টে কী তথ্য উঠে আসে। শুধুই কি ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি নাকি নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত? এই উত্তর তো বলবে সময়। কিন্তু এই মৃত্যু মিছিল পুনরায় ঘটবে না তো? প্রশাসনের হুঁশ আদৌ ফিরবে তো? নাকি ভোট পেরোলেই আবার যেই কী সেই? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
প্রয়াত টলিউড বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে অভিনেতা বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। গত ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০০ টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। তাঁর এই মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল অভিনেতাকে। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দিনকয়েক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সঙ্গে বুকে সংক্রমণ আর নিউমোনিয়াও ধরা পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না।
২২ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে পরলোকে পাড়ি দেন বর্ষীয় অভিনেতা পার্থসারথি দেব। আর্টিস্টস ফোরামের প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২ টায় টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হবে।