বেড়ে চলেছে দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যানে (Covid-19) সাময়িক স্বস্তি মিললেও ফের তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পাশপাশি মৃত্যু সংখ্যাও (Death) ভয় বজায় রাখছে। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)। বৃহস্পতিবার দেশের আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৯ জন। যা বুধবার ছিল ১৬ হাজার ০৪৭ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। বুধবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৫৪। মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে তেমন কোনও পরিবর্তন নেই, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৭৯ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৮ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৬। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ০৪১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ হাজার ৪৩১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.৫৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৫ লক্ষর বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
বুধবারের করোনা-চিত্রে তেমন বড় কোনও পরিবর্তন এল না। মঙ্গলবারের নিরিখে এদিন আক্রান্ত (Corona New Cases) ও মৃতের (Death) সংখ্যা মোটের উপর একই রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৫১৯ এবং ৫। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই দুটি সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫২৫ এবং ৫। দুটি পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণেই বোঝা যায়, আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় একই রয়েছে।
গত কদিনে করোনার পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, সুস্থতার (Recovery) সংখ্যায় উর্ধ্বমুখী প্রবণতা। গত দুদিন ধরে সেই পরিসংখ্যানেও তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হয়নি। যেমন, মঙ্গলবার সুস্থতার সংখ্যা যেখানে ছিল ৮৬৮, বুধবার তা ছিল ৮২২। অর্থাত্, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সুস্থতার সংখ্যা সামান্য হলেও কমেছে।
সুস্থতার সংখ্যায় সামান্য ওঠানামা থাকলেও সামগ্রিকভাবে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে। কারণ, বরাবরই আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি থাকছে। এদিন সক্রিয় আক্রান্তের (Active cases) সংখ্যা ছিল ৬৪১৯। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ২২৭ জন। বোঝাই যায়, করোনার এই দফার সংক্রমণে সিংহভাগ মানুষ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালে ভর্তির তেমন প্রয়োজন পড়ছে না।
করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা মঙ্গলবার ছিল ১১ হাজারের কাছাকাছি। এদিন তা সামান্য কমে হয়েছে ৯২১৪। পজিটিভিটি রেট ছিল ৫.৬৪ শতাংশ।
অন্যদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ০৪৭ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ১২ হাজার ৭৫১ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। মঙ্গলবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪২। মৃত্যুসংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২৬ জন।
১৯ বছরের একটি জলজ্যান্ত মেয়ে জিম (gym) করতে গিয়েই মারা (death) যাবে, ভাবতেও পারছে না পরিবার (family)। মঙ্গলবারের এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখনও শোকাহত পরিবার। অভিযোগের তির জিম কর্তৃপক্ষের দিকে। প্রত্যেক দিনের মত মঙ্গলবারও বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) সোনালী পার্কের একটি জিম সেন্টারে জিম করতে গিয়েছিলেন ঋত্বিকা দাস। হঠাৎই জিম করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যান এবং সেখান থেকে হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। তবে এবার জিম কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করছে পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার জিমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আগে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঋত্বিকাকে। তখন চিকিত্সরা জানান, অনেকক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন ঋত্বিকা। আর এরপরই ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অজ্ঞান হওয়া অবস্থায় প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি জিম সেন্টারেই পড়েছিলেন তাঁদের মেয়ে। কিন্তু কেন এরকম গাফিলতি কর্তৃপক্ষের? কেন জিম কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল না ঋত্বিকাকে। কেন জিম সেন্টারে অক্সিজেন বা অ্যাম্বুলেন্সের কোনও ব্যবস্থা করেনি? এইরকম যদি আবার হয়, তার দায় কে নেবে?
তবে এই প্রশ্নের পর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জিম কর্তৃপক্ষের তরফে। পরিবারের সদস্যরা ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ফের সংক্রমণ একলাফে অনেকটা ঊর্ধ্বমুখী (Coronavirus)। সপ্তাহের প্রথম দু'দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা (Covid-19) অনেকটা কমলেও ফের ভয় ধরাচ্ছে দেশের করোনা গ্রাফ। পাশপাশি বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যাও (Death)। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)। বুধবার দেশের আক্রান্তের সঙ্গে ১৬ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ০৪৭ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ১২ হাজার ৭৫১ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। মঙ্গলবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪২। মৃত্যুসংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২৬ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৯ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৬১। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬১০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ হাজার ৫৩৯ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫২ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.৯৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ০৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২০৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষর বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
মর্মান্তিক মৃত্যু (Death)। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় গত দুদিনে শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি (rain)। আর তাতেই ঘটে গেল অঘটন। হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর থানা এলাকার নরেন্দ্রপুর পশ্চিম পাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক নাবালিকার।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তৃষা ধক। বয়স ১৩ বছর। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের খুটি থেকে তড়িতাহত হয় ওই নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ায় আমতা হাসপাতালে (hospital)। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস (police)। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে যে আর্থিং এর তার রয়েছে, সেটি দীর্ঘদিন মাটিতেই পড়েছিল। গ্রামের মানুষের আরও অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের লোকেদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
পুলিস সূত্রে আরও জানা যায়, এই ঘটনার পর রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মীরা গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং বিদ্যুতের খুঁটিতে যে সমস্যা ছিল তা ঠিক করে দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে জগৎবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ জানিয়েছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা এবং দুঃখজনক ঘটনা। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মীরা প্রতিনিয়তই এলাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে নজরদারির সঙ্গে মেরামতের কাজ চালু রাখেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাঁরাও নজরদারি রাখেন।
তবে গ্রামেগঞ্জে গাছপালার সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সামান্য ঝড়, বৃষ্টিতে গাছের ডালপালা তারের ওপরে পরে অনেক সময়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। গাছের ডালপালা ছাঁটা হলেও একদিকের কাজ শেষ হয়তো অন্য দিকে বেড়ে যায়। এটা একটি সমস্যা।
জিমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু এক তরুণীর। জানা গিয়েছে, নিরঞ্জনপল্লির বাসিন্দা মৃত তরুণীর নাম ঋত্বিকা দাস। মৃত্যুর আগে তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁশদ্রোণীর এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার এক বান্ধবী বলেন, 'সাড়ে ৪টা নাগাদ আমার সঙ্গেই ছিল। তাহলে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। চিকিৎসকরা বলেছে ময়না তদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।' যদিও তাঁর সঙ্গে সেই সময় জিমে থাকা এক ব্যক্তি বলেছেন, 'জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করে ঋত্বিকা। তারপরেই অজ্ঞান হয়ে যান।'
স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, কী ঘটনা ঘটেছে পুলিস দেখবে। সেই জিমের লাইসেন্স রয়েছে কিনা সেটাও দেখা হবে। জানা গিয়েছে, ছ'মাস আগে ঋত্বিকা ওই জিমে ভর্তি হয়েছিল। সেই জিমে ট্রেনার থাকলেও, ছিল না সঠিক চিকিৎসা। যদি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ওই তরুণীকে চিকিৎসা করানো হত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। এমনটাই মনে করছেন মৃত তরুণীর পরিবার। এমনকি তাঁর ক্রনিক কোনও সমস্যা ছিল না। এমনটাও পুলিসকে জানিয়েছে পরিবার।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে আনার একঘণ্টা আগে অবধি জীবিত ছিল ঋত্বিকা।
রক্ষকই কি ভক্ষক? এখন এই প্রশ্ন শহর কলকাতার বাসিন্দাদের মনে। কারণ, ইতিমধ্যেই গল্ফগ্রিন থানার আজাদগড়ে (Golf Green) এক যুবকের রহস্যমৃত্যতে উঠে আসছে পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। পুলিসের মারেই মৃত্যু (death) হয়েছে যুবকের অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, গত রবিবার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিস (kolkata police)। তবে এবার এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, ১৭ নম্বর কলাবাগান লেনের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতেই মূলত নিয়ে আসা হয়েছিল মৃত দীপঙ্করকে। দীপঙ্করের দাদা রাজীবের অভিযোগ, গত ৩১ তারিখ তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে এই পরিত্যক্ত বাড়িতেই রাখা হয়েছিল এবং এই বাড়িতেই মারধর করা হয় ভাইকে।
অন্যদিকে এই পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায় একাধিক নেশার সরঞ্জাম। প্রতিবেশি ও স্থানীয়দের বক্তব্য, এই বাড়ি ভূতবাড়ি বলে এলাকায় পরিচিত। এখানে সন্ধ্যার পরই নামে নেশার আসর। শুধু তাই নয়, মাঝে মধ্যেই পুলিস কর্মীদেরও আনাগোনা হয় এই বাড়িতে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, পুলিসের মদতেই কি এই বাড়িতে মারা হয় দীপঙ্করকে? পুলিসের মদতেই কি এখানে সন্ধ্যার পর বসে নেশার আসর? এই ঘটনায় স্থানীয়দের এমন বক্তব্যে কিছুটা হলেও সন্দেহ বাড়াচ্ছে।
পাশাপাশি সোমবার এই বাড়িতে আসে ফরেন্সিক টিম। যারা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। এই গোটা ঘটনার তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দা অফিসাররা। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে।
এবার অনেকটা স্বস্তি। আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Corona Cases India)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোভিড গ্রাফ (Covid Graph In India) নেমেছে ১২ হাজারের ঘরে। কমে এল অ্যাকটিভ কেস (Active case), পজিটিভিটি রেটও (Positivity Rate)। সব ঠিকঠাক থাকলে মহামারী থেকে মুক্ত হতে চলেছে দেশ। এমনটাই মনে করছে স্বাস্থ্যমহলের একাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫১ জন। যা সোমবার ছিল ১৬ হাজার ১৬৭ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪০। মৃত্যুসংখ্যা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭২ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.৩০ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৩.৫০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ ১৬ হাজার ০৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ৪১২ জন। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩.৫০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।