নারীদের যৌন নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা দেশ। এমনকি ওই প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ। একের পর এক এইরকম নৃশংস ঘটনায় বেশ আতঙ্কেও রয়েছেন সাধারণ মানুষ। মণিপুর, বিহার, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদার পাশাপাশি একইভাবে উত্তপ্ত কোচবিহারও।
চলতি মাসের ১৮ তারিখে এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ করে দুদিন ধরে ক্রমাগত যৌন নির্যাতন করার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে (Cooch Behar)। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ওই নাবালিকা (Minor Girl)) স্কুলে যায়। তবে স্কুলে যাওয়ার পর পরই তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। আর এরফলে ওই নাবালিকা পড়ুয়া (Dead) স্কুলে ছুটির আবেদন করে স্কুল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। আর ঠিক সেই সময়ই রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কিছু দুষ্কৃতী। তারপরেই দুদিন ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চলে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, নাবালিকার পেটে ব্যথা বা ছুটির আবেদন করে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার কথা আগে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ওই নাবালিকার পরিবারকে। ওই মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরলে স্কুলে গিয়ে খোঁজখবর করার পর জানা যায় নাবালিকা পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে সে আগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তারপর কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে থানার দারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। থানায় যাওয়ার একদিন পরেই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। চিকিত্সাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ওই নাবালিকা।
তবে এই ঘটনায় তখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিস। পরে গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্তদের ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিসের এই কাজে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিত ওই নাবালিকার পরিবার। পুলিসের কাজে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এমনকি এই ঘটানয় বেশ আতঙ্কেও রয়েছেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনকি এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা ও বেশকিছু সংগঠন দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। সূত্রের খবর, এক নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে নিগ্রহের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি কোচবিহারের কালজানী এলাকার। পুলিস জানিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শরীর অসুস্থ থাকায় স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল ওই নাবালিকা, সেই সময় পাঁচজন যুবক তাকে অপহরণ করে। দুদিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছে এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েটাকে ৪-৫ জন দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায়। এখন গুরুতর আহত অবস্থায় ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"
অর্ধেক নির্বাচন সম্পূর্ণ। আর এই নির্বাচনের মধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে মারধর, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, গুলি, বোমাবাজির মত ঘটনা। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের জেলায়গুলিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তারপরেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, মারধর শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত-নিহতও হয়েছেন বহু। ঠিক একইভাবে কোচবিহারের প্রত্যেক বুথেই শুরু হয়েছে অশান্তি। তবে কোচবিহারের দিনাহাটতে এই নির্বাচন নিয়ে একটু বেশিই উত্তাপ তৈরি হয়েছে। দিনহাটার ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীরপাট স্কুলে বিজেপি কর্মীকে গুলির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চিরঞ্জিত কাজী, রাধিকা বর্মন নামের দুই বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে ইতি মধ্যেই চিরঞ্জিত কাজীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি রাজ্যে ভোট ঘোষণা হবার পরে কোচবিহারে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ অর্থাৎ নির্বাচনের দিনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা ফলিমারি গ্রাম ৪/৩৮ নম্বর বুথ কেন্দ্রে বোমাবাজি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিজেপির এজেন্ট মাধব বিশ্বাস নামের ওই ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা নিউ গীতালদাহ এলাকায় চলল গুলি আহত ৩ জন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার পরেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ নজরুল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভোট কর্মীরা৷ কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা ১, ২ এবং ১৯৭ নম্বর বুথে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দী ছেচুড়া ৮/২১৭ বুথে ভোট বয়কট।
এমনকি গোটা কোচবিহার বিহার জুড়ে ব্যালট বক্স চুরি করার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মূলত ছাপ্পা ভোট দিয়ে শাসক দলকে জয়ী করতেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে শাসক দল, এমনটাই অভিযোগ। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দলের কর্মীরা। এত গুলি, বোমাবাজি, মারধরের পরেও বুথের বাইরে দেখা মিলছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সব মিলিয়ে বেশ এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচবিহার।
প্রচার পর্ব শেষ হতেই ফের অশান্ত কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা (Dinhata)। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় তিন বিজেপি (BJP) কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম আরও এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল।
দিনহাটা ২ নম্বর- ব্লকের বামনহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি এলাকার ঘটনা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস। হামলা চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক দুষ্কৃতীকে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। বিজেপির অভিযোগ, প্রচার শেষে প্রার্থী রাজু বর্মণের বাড়ির সামনে কর্মীরা বসে ছিলেন। বাইকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আসে। তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছুঁড়তে থাকে। আহত কর্মীদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ ঘোষ। তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলেন তিনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয়। যেভাবেই ঘটনাটি হোক, তা ঘৃণা করি। এই ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেওয়া উচিত।
ভাইয়ের হাতে খুন (Killed) হলো দাদা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট আঠারো কোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি এই ঘটনায় ওই অভিযুক্ত ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। তারপরেই অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জমশের আলী (৩৫) এবং আহত ওই ব্যক্তির নাম রহমত আলী। জমি নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। তারপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু'জন দুজনকে আঘাত করে। তারপরে দু'জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তবে জমশের আলীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে এসে রহমত আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে অশান্তি। কিন্তু রোজ কেন বাড়ছে এই খুনোখুনি? তাঁর কারণ আরও স্পষ্ট করে জানতে রবিবার নিজের কোচবিহার (Cooch Behar) সফরে বিএসএফ (BSF) কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল (Goverment) সিভি আনন্দ বোস। সিতাইয়ে গিয়ে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মূলত জানতে চান, সীমান্ত ঘেষা এই জেলায় ভোটের আগে অশান্তির বাড়বাড়ন্ত কেন?
পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণা থেকেই সীমান্তবর্তী উত্তরবঙ্গের এই জেলা অশান্ত। বিশেষ করে দিনহাটা থেকে রোজই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার গীতালদহে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি জেলা সফরে পঞ্চায়েতের প্রচার করতে এসে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকছে দুষ্কৃতীরা।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সিতাই বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। শনিবারই দিনহাটায় তিনি জানান, পঞ্চায়েতে হিংসা তিনি রুখবেনই। তার জন্য তাঁকে যেখানে যেতে হবে, সেখানেই যাবেন। তাঁর এই ঘোষণার পরেও রবিবার উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা।
উত্তপ্ত কোচবিহারে (Cooch Behar) আহত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অঞ্চল সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রবিবার সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি। পাশাপাশি গীতালদহে খুন হওয়া অপর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে শনিবার রাতেই ফোনে কথা বলেন।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির অভিযোগ এসেছে। সেই সব এলাকায় ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। রবিবার সকালে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছে আহত তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নিয়ে আগেই অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যপাল শুধু বিরোধীদের সঙ্গেই দেখা করছেন। শাসক দলের আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন না তিনি।
পাশাপাশি রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডারের মতো হয়ে কাজ করছে।দিন কয়েক আগে কোচবিহারের গীতালদহে খুন হন এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর নাম বাবু হক। শনিবার রাতে মৃতের পরিবারের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন তিনি।
রাজ্যপালের সফরের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে আহতদের দেখতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
রাস্তার পাশের জমি থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ (Body)। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Coochbehar) খট্টিমারী এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাজিরহাট ক্যাম্পের পুলিস (Police)। পুলিস দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ওই এলকায়। পুলিস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাস্তার পাশের একটি জমিতে এই দেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, ওই মৃত দেহটি মুখ উল্টো অবস্থায় জমিতে পড়ে ছিল। আর এই খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় নাজিরহাট পুলিস আউটপোস্টে। শনিবার দিনহাটাতে রাজ্যপালের আগমনের আগেই এভাবে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
কোচবিহারে (CoochBehar) তৃণমূল (TMC) কর্মী খুনে বাংলাদেশি সীমান্তবর্তী এলাকার দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, বাংলাদেশের বর্ডার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করেছেন কোচবিহারের তৃণমূল কর্মীকে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভামঞ্চ থেকে একথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী। ঘটনার তদন্ত হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে দিনহাটায় খুন এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর বক্তব্যেই এবার সিলমোহর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা আজ, মঙ্গলবার সভা মঞ্চে বলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে আগে অনেকেই মারা গেছে। আমি বিএসএফকে মনে করিনা সবাই খারাপ। শুধু বলব ইনডিপেন্ডেটলি কাজ করার জন্য।' এরসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আজকেও সকালে আমি শুনেছি কোচবিহারে বাংলাদেশের বর্ডার থেকে এসে গুলি চালিয়ে একজনকে মেরে দেওয়া হয়েছে। আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি।"
কোচবিহার (CoochBehar) থেকে শুরু হয়েছিল নবজোয়ার কর্মসূচি। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) এই জেলা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে জয়ের যাত্রা শুরু করল তৃণমূল (TMC)। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জেলার ১২৮টি গ্রামে পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে শাসকদল। ভোটের আগেই জয়ের খবর এসেছে উত্তরবঙ্গের আরেক জেলা উত্তর দিনাজপুর থেকেও। বৃহস্পতিবারই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল চোপড়া। সেই চোপড়াতেই ২১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূলের।
রাজনৈতিক মহলের মতে পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগে কোচবিহারের এই জয় কার্যত ধাক্কা বিজেপির কাছে। কোচবিহার থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। যিনি অমিত শাহের ডেপুটিও। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের এই জেলা তৃণমূলের কাছেও অস্বস্তির। সম্প্রতি এই কোচবিহারে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ২ জন। ৮ জুলাই নির্বাচনের আগে কোচবিহারই এখন স্বস্তি দিচ্ছে তৃণমূলকে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, অভিষেকের নবজোয়ার প্রাথমিকভাবে এগিয়ে রাখল তৃণমূলকে।
চলতি পথে এক ব্যাঙ্ক (Bank) কর্মীকে আটকে মারধর করে টাকা ছিনতাই (Robbery)-এর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেওয়ানহাট টোপামারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম দিবাকর সরকার। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা সহ তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল সমস্তটাই ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্মী দিবাকর সরকার দেওয়ানহাট স্টেট ব্যাঙ্ক শাখায় কর্মরত। ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রতিদিনই ব্যাঙ্কে যাওয়া আসা করেন। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সকালেও বলরামপুর তাঁর বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের উদ্দেশ্যে তিনি বের হন। সেই সময় টোপা মারি আমতলা এলাকায় একটি সাদা রঙের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তারপর একজন তাঁকে বাঁশ দিয়ে মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন সহ ব্যাগে থাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা এবং ল্যাপটপ সমস্তটা ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বুকে আঘাত করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। ইতিমধ্যেই পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবার।
আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে আদার (Ginger)। সপ্তাহখানেক আগে যে আদার দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বর্তমানে সেই আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাঁড়িয়েছে।
হঠাৎ করে রপ্তানি কম হওয়াতে দাম বেড়ে (Price Increase) গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।
কোচবিহার শহরে অবস্থিত সবথেকে বড় বাজার ভবানীগঞ্জ বাজার। শুক্রবার ভবানীগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেল কোথাও আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। কোথাও আবার ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। হঠাৎ আদার দাম বৃদ্ধি নিয়ে তাঁরা জানান আমদানি কমে গিয়েছে। তাই দাম বৃদ্ধি হয়েছে। কোচবিহারে মূলত অসম, মেঘালয়, মনিপুর থেকে আদা রপ্তানি হয়। সেই ক্ষেত্রে ভুটানে আগেই রপ্তানি কমেছে আদার। নতুন করে মেঘালয়, মনিপুর থেকেও আদার রপ্তানি কমে গিয়েছে।
বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা বিভিন্ন হাট থেকে ও হোলসেল থেকে আদা কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। সেখানেও দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় আগামী দিনে আদার দাম আরোও বেশি হবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে এই আদা দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। দাম বৃদ্ধি হলে বিক্রি অনেকটা কমে যাবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারাও জানান যে, সপ্তাহখানেক আগে তাঁরা যে আদা ৫০ টাকায় কিনেছেন, আজ তাঁরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে কিনছেন। এভাবে দাম বৃদ্ধি হলে পরে আগামী দিনে তাঁদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়বে। তবে কারণ বলতে মনিপুরে গন্ডগোলের জেরেই মনিপুর মেঘালয় আসামে সমস্ত জায়গা থেকে কিছুটা হলেও আদার রপ্তানি কমেছে তাই কোচবিহার জেলাতে গ্রামে বৃদ্ধি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার অবস্থা বেহাল (Roadproblem)। কোচবিহার (Cooch Behar) এক নম্বর ব্লকের চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত ঘাঘের কুঠি ও পান্তা বাড়ি এলাকায় রাস্তা নেই বললেই চলে। রয়েছে কাঁচা রাস্তা। বহুদিন ধরে পাকা রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ, বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনওরকম সমাধান হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, বহু দিন রাস্তার সমস্য়ায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। পাকা না হোক, তবে রাস্তা মেরামত করা হোক। পঞ্চায়েতে এই আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়ত স্থানীয় মানুষদের সমস্যার সমুখীন হতে হচ্ছে। চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত কালিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে রাস্তাটি দিয়ে পশারীহাট পর্যন্ত যাওয়া যায়। প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা এই অবস্থায় রয়েছে।
বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে কার্যত চলাফেরা করা যায় না। গাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারে না এই রাস্তা দিয়ে। তাই এই রাস্তা মেরামত না করা হলে ভোট বয়কট করবে বলে জানিয়েছে এলাকার মানুষ। তার কারণ দীর্ঘদিন প্রধান পঞ্চায়েতকে জানিয়েছেন তাঁরা। তারপরেও কেউ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। একদিকে পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরীর করার কথা বলছে রাজ্য সরকার, আর অন্যদিকে এই গ্রামের রাস্তা মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেই।
কোচবিহারের (CoochBehar) মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের রামঠেঙ্গা বাজার এলাকায় সোনার দোকানে (Gold Shop) প্রকাশ্যে চুরির (Theft) ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। প্রায় ২ লক্ষ টাকার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিসকে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, রামঠেঙ্গা বাজার এলাকার জনৈক বাসিন্দা রাজু দাস। তিনি শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে দোকানের যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে এসে দোকান খোলেন। এরপর ব্যাগটি দোকানে রেখে বাজারের মধ্যে থাকা একটি টিউবওয়েল কল থেকে জল আনতে যান। জল নিয়ে এসে দোকানে ঢুকে দেখতে পান, সোনা-রূপোর জিনিসপত্রের ব্যাগটি দোকানে নেই। ব্যাগটি না পেয়ে হতভম্ভ হয়ে পড়েন দোকানের মালিক। এই ঘটনার পরেই বাজারের শোরগোল পড়ে যায়। দোকানের মালিক রাজু দাস জানান, সমস্ত সোনার গয়না, রূপো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সব মিলিয়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকার জিনিস ছিল ওই ব্যাগটির মধ্যে।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক ধরেই ঘোকসাডাঙা থানার বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রপ বেড়েছে। তবে সকাল সকাল এই চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা বাজার চত্বরে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক জানান, তাঁরা বাজারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর চিন্তাভাবনা করছেন। পাশাপাশি পুলিস পিকেটিং-এর দাবিও জানিয়েন তিনি।
কলের রড দিয়ে শ্বশুরের উপর প্রাণঘাতী হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় শ্বশুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত জামাইকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন টাকাগাছ বাঁধের পাড় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস। পুলিস (Police) অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে, আহত শ্বশুরের নাম তাপস সরকার (৬০)। আর অভিযুক্ত জামাই-এর নাম ভীম সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটে এই ঘটনাটি। পরিবারিক অশান্তিকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত তাপস সরকারের মেয়ের সঙ্গে জামাই ভীম সরকারের চার বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই জামাই মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন, অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি, বহুবার এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করার পরেও জামাই বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালাতেন এবং হমকিও দিতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর তাপস সরকার বাজার করতে যান। বাজার নিয়ে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময়ই টাকাগাছ বাঁধের পাড় এলাকায় জামাই আগে থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই জামাই ভীম সরকার তাঁর শ্বশুর তাপস সরকারকে বিভিন্ন ভাবে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ। তাপস তাঁর প্রতিবাদ করলে সেই সময়ই ভীম কলের রড নিয়ে এসে তাঁকে বেধড়কভাবে মারেন। ফলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে পড়েন তাপস সরকার।
স্থানীয়দের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে তাপসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ভীম সরকার পালানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এলে তাঁকে পুলিসের হতে তুলে দেয়। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।