
ইতিহাস গড়তে সফল 'চন্দ্রযান-৩' (Chandrayan-3)। আজ, বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান। আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হন। তিনি ইসরোর সকল বিজ্ঞানীকে অভিনন্দন জানান। অবশেষে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করল ভারতের 'বিক্রম'।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান নামাতে সফল হয়েছে। পৃথিবীর আর কোনও দেশ সেখানে পৌঁছতে পারেনি। জানা গিয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায়ের এই অবতরণ প্রক্রিয়ায় ১৯ মিনিট সময় লেগেছে। চাঁদে মহাকাশযান নামানোর ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ।
চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এক টুইট বার্তায় বিক্রমের চন্দ্রে অবতরণের আগে তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রযানের সাফল্য গোটা দেশের কাছে গর্বের বিষয়। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করছেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা রোভার বিক্রমের। তার জন্য সব তোরজোর সারা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার লাইভ সম্প্রচার করবে ভারতের বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বসে ভার্চুয়ালি এই দৃশ্য দেখবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।
এদিন সকালে টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের বিজ্ঞানি থেকে অর্থনীতিবিদরা এই অভিযানের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছেন। যার সাফল্যের নাম চন্দ্রযান-৩। একসঙ্গে তাঁর দাবি, আজ দেশ ও দুনিয়া সবাই চন্দ্রমুখী। গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের দিকে রওনা দিয়েছিল এই চন্দ্রযান।
ভারতের জন্য বহু প্রতীক্ষিত দিন বুধবার, ২৩ অগাস্ট। সব ঠিক থাকলে আজই সন্ধ্যে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের বুকে নামতে চলেছে চন্দ্রযান থ্রি-এর (Chandrayan-3) ল্যান্ডার বিক্রম। আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা, ভারতের স্বপ্ন পূরণের। এই স্বপ্নে সামিল হয়েছেন বলিউড সিনেমা জগতের তারকারা। বহু তারকাই সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। করিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, আর মাধবন, সকলেই নিজেদের আনন্দ ব্যক্ত করেছেন।
অভিনেত্রী করিনা কাপুর বলেছেন, 'ভারত এবং সকল ভারতীয়দের জন্য গর্বের মুহূর্ত। হৃদয়ে সেই গর্ব অনুভূত হয়। সব ভারতীয়রা তাই অনুভব করছি এখন। সেই মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করার জন্য অনেক ভারতীয় অপেক্ষায় রয়েছেন। একেবারে স্নান সেরে, আমি আমার ছেলেদের সঙ্গে সেই মুহূর্ত দেখব।'
জুনিয়র বচ্চন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'আমি গর্ব অনুভব করছি। ২৩ তারিখ বিকেলে অবতরণ করবে এবং আমাদের বুক গর্বে চওড়া হবে কারণ আমাদের মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে।
বলিউড তথা দক্ষিণী অভিনেতা আর মাধবন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'চন্দ্রযান সফল হবেই। আমার কথা মিলিয়ে নেবেন ইসরো। আগাম এই দর্শনীয় সাফল্যে আমি খুব খুশি এবং গর্বিত।'
ট্রেনের (Train) কামরায় আগুন (Fire)। কামরা থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়াতে ঢেকে গিয়েছে গোটা স্টেশন চত্বর। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই-বেঙ্গালুরু উদয়ন এক্সপ্রেসের (Udayan Express) কামরায়। ট্রেনের কামরা থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে দমকল বাহিনী। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এক সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর সাঙ্গোলি রায়ান্না স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পর আগুন লাগে। আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটার প্রায় ২ ঘণ্টা আগে যাত্রীরা নেমে ট্রেন থেকে নেম গিয়েছিলেন। ফলে খালি ট্রেন থাকায় কোনও হতাহত হয়নি। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মণি ভট্টাচার্য: নারায়ণই বটে, সত্তরোর্ধ অসহায় এক মায়ের কাছে বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী এখন সাক্ষাৎ নারায়ণ। খবর পেয়ে স্টেশনে ফেলে যাওয়া এক মা কে কেবল আশ্রয়ই দিলেন না, নিলেন অসুস্থ ওই মহিলার সমস্ত দায়িত্ব। শুক্রবার সকালে নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে তিনি খবর পান, ধোপদুরস্ত দেখতে এক মহিলা, পরনে পরিষ্কার সাদা কাপড়, সঙ্গে ব্যাগে কিছু শাড়ি। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার অশোকনগর রেল স্টেশনে বসে কাঁদছেন আর লোককে ডেকে সাহায্যের কথা বলছেন। এ ঘটনা নজরে আসতেই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং অশোকনগরে নিজের তৈরী ভবঘুরে আবাসন অর্থাৎ রবীন্দ্রনিকেতনে আশ্রয় দেন ওই মহিলাকে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই মহিলাকে অশোকনগরে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মহিলাকে তাঁর ছেলে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে। এরপর স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে 'আস্থা' নামক একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এবং ওই মহিলার কাগজ ঘেটে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। এরপর এ সমস্ত ঘটনা সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনা নজরে আসতেই অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী ওই মহিলাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার নারায়ণ গোস্বামী সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও মা এভাবে রাস্তায় দিন কাটাক এটা কাম্য নয়, ওই মহিলার কিছুটা শারীরিক ব্যাধি আছে। আপাতত রবীন্দ্রনিকেতনেই থাকবেন তিনি, স্থানীয় মাতৃসদন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
সূত্রের খবর, সোশ্যাল মাধ্যমে বিষয়টা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি খোঁজ খবর শুরু করে হাবড়া রেল পুলিস কতৃপক্ষ। শুক্রবার হাবড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশীল সিং জানান, বিষয়টা আমাদেরও নজরে আসে। কিন্তু ততক্ষনে মাননীয় বিধায়ক ওনাকে উদ্ধার করে ফেলেন। অশোকনগর থানার পুলিস সূত্রের খবর, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বিধায়কের এমন কাণ্ডে মুগ্ধ হয়েছেন পুলিস সহ অশোকনগরের সাধারণ মানুষও।
বিধানসভায় শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। শুক্রবার সেখানে চলছিল প্রশ্নত্তর পর্ব। সেসময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে ডেবরার বিধায়ক প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নতেই বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান অধিবেশনে উপস্থিত শাসকদলের মন্ত্রী এবং বিধায়করা।
প্রশ্নত্তর পর্ব চলাকালীন হুমায়ুন কবীর প্রশ্ন করেন, মুসলমান মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে কি? যদিও প্রথমে অস্বস্তিতে পড়লেও শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জবাবে জানান, ধর্মীয় ভিত্তিতে ওই টাকা দেওয়া হয় না। সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জন্য ওই প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডেবরার বিধায়কের বক্তব্য, ভোট প্রচারে গিয়ে তাঁর কাছে অনেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১০০০ টাকা করে দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের তফসিলি জাতি ও তপসিলি উপজাতির সঙ্গে তুলনা টেনে এনেছিলেন বলে দাবি করেন বিধায়ক।
তবে শশী পাঁজার বক্তব্য শোনার পর, বিধায়ক জানিয়েছেন, অন্তত ওবিসি মুসলমানদের জন্য এই বিষয়টি ভেবে দেখা হোক।
১০০ দিনের টাকা আদায়ের দাবিতে গান্ধিজয়ন্তীর দিন দিল্লি চলোর ডাক। শুক্রবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে ঘোষণা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, তৃণমূলের কাছে মানুষ আছে। আগামী লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুক্রবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অভিষেকের দাবি, আগামী লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া ছাড়া আর কেউ জিতবে না। কারণ, বিজেপি ভোট যে কমেছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্যের সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোট। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ার জন্য জনগণকেই ধন্যবাদ জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তার আগে অবশ্য রাজ্যের সবস্তরের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করবেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আগামী পাঁচ অগস্ট এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোনও রকম হিংসা নয়। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থাকা বয়স্কদের এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বাজেয়াপ্ত হল কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের সম্পত্তি। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় আরও তিনজনের নাম যুক্ত হল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে কুন্তল, শান্তনু এবং অয়নের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকারও বেশি।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে থাকা টাকা, শেয়ারে বিনিয়োগ, জমি, ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই জেলে বন্দি রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই তিনজন। তদন্ত এগোলে এমন আরও অনেক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ইডি গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে নবম ও দমশ শ্রেণির নিয়োগে চার্জশিট জমা করল ইডি। ওই চার্জশিটে জীবন কৃষ্ণ সাহার নাম রয়েছে। ইতিমধ্যে আলিপুর আদালতে ওই বিশেষ চার্জশিট জমা পড়েছে বলে খবর। ফলে নিয়োগ দুনীতি নিয়ে ইতি মধ্যেই বিশেষ চাপে আছে শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল। এ অবস্থায় কুন্তল, শান্তনু, অয়ন শীলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এ ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটে ইতিবাচক সাফল্যের পরেও রীতিমত চিন্তায় আছে তৃণমূল।
সৌমেন সুর: ভারতের প্রাণস্পন্দনকে ধরে আছে দুই মহাকাব্য। রামায়ণ ও মহাভারত। ভারতের রাজনীতি, জাতীয় জীবনের ইতিহাস, ধর্মীয় চেতনা, সামাজিক ঐতিহ্য, নীতিবোধ, আধ্যাত্মিকতা-সবকিছুর ধারক ও বাহক এই দুই মহাকাব্য।
কেন্দ্র ও রাজ্য- দুজনেই উল্লেখিত বিষয়গুলির ধারক ও বাহক। যদি তাই হয় তাহলে এত হানাহানি, মারামারি কেন? একটু চিন্তা করলে দৃশ্যত ধরা পড়ে-কোনো জিনিসই Moveable নয়। দেহ যখন থাকবে না তখন কোনোকিছুই সাথে যাবে না-তাহলে? তাহলে পড়ে থাকবে শুধু সুকর্ম আর ব্যবহার। এখন যদি কেন্দ্র ও রাজ্য সখ্যতায় বাসা বাঁধে, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো মলিনতা থাকে না। তবে বাধা কিসের! কিসের এত ইগো!
রামের প্রজাবাত্সল্য, লক্ষণের স্বেচ্ছায় দুঃখবরণ, ভারতের অমায়িক ভাতৃপ্রেম, সীতার পরিভক্তি ও চারিত্রিক দৃঢ়তা-এসবই প্রাচীনকাল থেকে ভারতবাসীর কাছে পরম আদর্শ বলে বিবেচিত হয়েছে। রামায়ণের প্রভাব ভারতীয় সমাজকে বিশ্বের যে কোনো জনসমাজ থেকে পৃথক এক স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। তাহলে দেশে এখনো কেন জাতপাত নিয়ে নৃশংস ধাষ্টামী, কেন এত দাঙ্গা, কেন এত লোভ! যখন রামায়ণের সার জিনিসটা আমরা বুঝতে পারি, তাহলে এত বৈষম্য কেন? চারিদিকে এত শোকের ছায়া কেন! তাহলে সবটাই কি গিমিক?
এবার আসি মহাভারতে। মহাভারতে পরিবেশিত রাজনীতি, ধর্মনীতি, সমাজনীতি, ভারতীয় সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রতীক। মহাভারতের মূলকথা ধর্মের জয়, অধর্মের পরাজয়। ভোগ যে মানব জীবনের কাম্য নয়, বৈরাগ্যেই মুক্তি- এই মর্মকথা মহাবারতের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে। তাহলে বাজারে এত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি কেন? কাদের স্বার্থে? চাহিদার তো শেষ নেই। থামবে কখন? একটা মানুষের কত দরকার একসময় না থাকলে, পরিস্থিতির চেহারা তো রণভূমিতে পরিণত হবে। তাহলে আমাদের মূল্যবান এই দুই মহাকাব্যের দাম কোথায় রইল! সবটাই কি ক্তঁ গঙ্গায় নমঃ। দুটো মহাকাব্য শুধু আমাদের জাতীয় জীবনের গৌরবই নয়, ভারতের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনের মূর্ত প্রতীক। পথপ্রদর্শক। দুটি মহাকাব্যের সারবস্তু বুঝে শয়তানী না করে, যদি সত্ভাবে সবাইকে নিয়ে চলতে পারা যায়, তাহলে একদিন ভারতবর্ষ হবে সূর্যের আর এক নাম।
ইডির (ED) ডাকে হাজিরা দিলেন না সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। পৌঁছলেন নির্বাচনী প্রচারে। বুধবার ইডি অফিসে কি হাজিরা দেবেন সায়নী ঘোষ? এই নিয়ে গোটা বাংলায় প্রশ্ন উঠছিল। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষ দাবি করছেন, এদিন সায়নী সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন না। ভোটের প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর সেই বিষয়ে জানিয়ে ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিককে চিঠিও দিয়েছেন।
এদিকে, ইডির দাবি তাঁরা কোনও চিঠি পাননি। আবার শুক্রবার সায়নীর সঙ্গে যিনি সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, সায়নী হাজিরা দেবেন। সব মিলিয়ে সায়নীর হাজিরা দেওয়া নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে বুধবার বেলার দিকে, সমস্ত নথিপত্র নিয়ে সিজিও-তে ঢুকতে দেখা গেল সায়নীর আইনজীবীকে। সেক্ষেত্রে, স্পষ্ট হয়ে গেল যে এদিন আর ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সায়নী।
কুণালের দাবি, তিনি যেটুকু জানেন, আজ সায়নী পূর্ব বর্ধমানের গলসির দিকে প্রচারে যাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ভোটের পর যে দিন ইডি ডাকবে, সেদিনই তিনি হাজিরা দেবেন। সূত্রের খবর, বুধবার সকালেই গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু নথি দেখতে চেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বুধবার ওই নথি নিয়েই ইডির দফতরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিকে দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রচার তালিকায় নাম ছিল সায়নী ঘোষের। যদিও মায়ের অসুস্থতার জন্য প্রচারে যেতে দেখা যায়নি তাঁকে।
মায়ের অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে নির্বাচনী (Election) প্রচার এড়ালেন সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের প্রায় ৬ দিন পর ফের নির্বাচনী প্রচারে নামার কথা ছিল যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের করাজগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সিংহী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রচারে থাকার কথা ছিল তাঁর। এদিকে বুধবার তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
শুক্রবার ইডির জেরার পর সায়নীকে কোনও জেলার প্রচারকারীদের তালিকায় রাখা হয়নি। জানা গিয়েছে, দলের তরফে ফের তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি প্রচারে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, গত শুক্রবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেবেন তিনি।
শুক্রবার প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh)। বুধবার ফের তলব করা হয়েছে তৃণমূলের (Tmc) যুবনেত্রীকে। দলের পক্ষ থেকে শনিবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) প্রচারকারীদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। দলের অন্য প্রথম সারির নেতানেত্রীদের নাম আছ। নাম নেই যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের।
গত বুধবার পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের যে তালিকা ছিল, তাতে নাম ছিল অভিনেত্রী-রাজনীতিকের। বৃহস্পতিবার ইদের জন্য প্রচার বন্ধ রাখে তৃণমূল। শুক্রবার ইডির তলব করে সায়নী ঘোষকে। তলব করার পর থেকেই সায়নী ঘোষকে প্রচারে দেখা যায়নি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তৃণমূলের নেতাদেরও একাংশ। শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান সায়নী। ১১ ঘণ্টা পরে ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে জানান, তিনি ১০০ শতাংশ সাহায্য করেছেন তদন্তকারী সংস্থাকে।
ঘটনাচক্রে শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে সায়নী ঘোষ অভিনীত রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ 'আবার প্রলয়'-এর টিজার। ওই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন সায়নী
আগামী বুধবার সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজ সহ যুব তৃণমূল (TMC) নেত্রী সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh) তলব করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, শুক্রবার টানা ১১ ঘন্টা জেরার পর সায়নীকে ফের ডাকা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজ অর্থাৎ শনিবার ফের ইডি সায়নীকে বিভিন্ন নথি সহ তলব করেছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের আরও খবর, সায়নীর ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি দেখতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেছেন।
ইডি সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারের জেরায় সায়নীদের মোট দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একটি তাঁর নিজের নামে এবং একটি তাঁর মায়ের নামে। গল্ফগ্রিনে একই জায়গায় এই দু’টি ফ্ল্যাট তাঁদের। ফ্ল্যাটগুলির মধ্যে একটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। ওই ফ্ল্যাটটি কেনার সময় সায়নী ২০ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছিলেন। বাকি ৬০ লক্ষ টাকার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ওই ঋণ নেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে ইডি। ঋণের কাগজপত্র তাঁর কাছে দেখতে চাওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, সায়নী দু’টি ফ্ল্যাটই কিনেছিলেন ২০২০-২১ সাল নাগাদ। ঘটনাচক্রে, তিনি ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন।
ফ্ল্যাট ছাড়াও সায়নী একটি গাড়ি ব্যবহার করেন। যদিও যুবনেত্রী দাবি করেছেন, গাড়িটি তাঁর নিজের। তবে তার দিকেও নজর রেখেছে ইডি। সায়নী আর কোনও গাড়ি ব্যবহার করতেন কি না, নিয়োগ মামলায় ধৃত তৃণমূলের অপর বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সায়নী গাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য খরচ করেছেন কি না, তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
'আজ ১১ ঘন্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে ২৪ ঘন্টা থাকবো' ইডির (ED) জেরা শেষে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছন সায়নী। রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী বললেন, বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁকে এদিন ডাকা হয়েছিল। ১০০ শতাংশ সাহায্য করেছেন তদন্তে। আগামী দিনেও তিনি সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। সায়নী আরও জানান, তাঁকে আবারও একদিন ডাকা হবে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন তলব করা হয় তাঁকে। কুন্তল ঘোষের বয়ান-সহ একাধিক মামলায় সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সেই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিন, সায়নী ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বলেন, 'আজ কিছু বেসিক ডকুমেন্ট নিয়ে ডেকেছিলেন। এর মধ্যে আবার তলব করবেন। কিছু ডকুমেন্টের ডিটেইল আনতে হবে। আমি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আমি আশা করছি তাঁরা সন্তুষ্ট। আজ আমি এখানে ১১ ঘণ্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে যদি আমাকে ২৪ ঘণ্টা থাকতে হয়, আমি তাও থাকব।'
মঙ্গলবার ইডির নোটিস পাওয়ার পর থেকেই কার্যত 'বেপাত্তা' ছিলেন সায়নী। দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দলের অনেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগযোগ করতে পারছিলেন না। এদিকে, কুণাল ঘোষ দাবি করেন, উল্টোরথে উপোস করে দুর্বল হয়ে পড়েছে সায়নী। সেক্ষেত্রে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কি না, সেই বিষয়ে জোর চর্চা চলছিল । যদিও এদিন তলবে সাড়া দিয়ে সকাল ১১টা ২১ মিনিটে কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেন, 'আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।'
দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও ইডির (ED) তলবে হাজির তৃণমূল (TMC) যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। সেই মোতাবেক আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছলেন তিনি। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডিকে ১০০ শতাংশ সহায়তা করব।'
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চার পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছিল ইডি। সেই মোতাবেক সায়নীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আইটি রিটার্ন কপি সহ সায়নীকে হাজির হতে বলা হয়েছিল বলে খবর, সূত্রের আরও খবর, সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই জন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার ইডি কর্তা সহ আরও অনেকে থাকতে পারেন।
ওদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দিকে আঙ্গুল তোলেন সায়নী।ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি প্রচারে ছিলাম, ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা হয়েছে আমাকে, আমি সশরীরে হাজির হয়েছি। এবং আমি তদন্তে ইডিকে একশো শতাংশ সহযোগিতা করব।'