অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) ছবির জগতে অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। বাংলা ছবিতে যেমন অভিনয় করেছেন, হিন্দি সিনেমা জগতের দরজাও তাঁর জন্য খুলেছে। সিনেমা হিট হোক কিংবা ফ্লপ, পরমব্রতর অভিনয় দেখার জন্য দর্শকেরা ভিড় করেন সিনেমাহলে। এতগুলো বছরে পরমব্রত নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছেন। তবে কেবল অভিনয় জানলেই অভিনেতা হওয়া যায় না। নিজের জন্য তেমন চরিত্র নির্বাচন করা জরুরি। অভিনেতা দুই মাপকাঠিতে এই চরিত্র বেছে থাকেন।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, 'কোনও প্রজেক্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি দুটি বিষয় মাথায় রাখি। প্রথমত, সেই প্রোজেক্টটি যেন আমার সঙ্গে এবং দর্শকদের সঙ্গে অনুরণিত হয়। দর্শকদের পছন্দ হলে আমি একইরকম চরিত্র করতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। আমি আগেও একইরকম চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর দ্বিতীয়ত যদি সিনেমার বিষয় যদি দর্শকদের বর্তমান পছন্দের না হয়, তাহলে চরিত্রটি যেন কৌতূহলের হয়, চ্যালেঞ্জিং হয়। চরিত্রটি যদি সাধারণ হয়, তাহলে যেন খুব সাধারণ হয়। আর চরিত্রটি যদি অসাধারণ হয়, তাহলে যেন তেমন চিত্রায়ন হয়।'
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে তৈরী হচ্ছেন 'হাওয়া বদল ২'-এর জন্য। এই সিনেমা দিয়েই পরিচালনায় ফিরতে চলেছেন তিনি। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে, রাইমা সেন, রুদ্রনীল ঘোষ এবং পরব্রতকেও। ২০১৩ সালে এই সিনেমার প্রথম পর্ব বেরিয়েছিল। দর্শক বেশ পছন্দ করেছিল সিনেমাটি। এবার তারই সিক্যুয়েল আসতে চলেছে।
বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৮ জনের। শনিবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরি জেলার। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। কৃষ্ণগিরির পাজায়াপেট্টাইতে ওই বাজি কারখানায় আচমকাই এদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কাছে থাকা একটি হোটেলও ভেঙে পড়ে। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
Deeply saddened by the tragic mishap at a cracker factory in Krishnagiri, Tamil Nadu, resulting in the loss of precious lives. My thoughts and prayers are with the families of the victims during this extremely difficult time. May the injured recover soon. An ex-gratia of Rs. 2…
— PMO India (@PMOIndia) July 29, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে ওই বিস্ফোরণ ঘটে কৃষ্ণগিরি এলাকার একটি বাজি কারখানায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশপাশের বাড়ির বিভিন্ন অংশে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের একাধিক হোটেল এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেগুলোর নীচে অনেকেই আটকে পড়েন। তাঁদেরকে ভেতর থেকে কোনওক্রমে বের করেন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ জন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রাই প্রথমে মৃতদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। তারপর আসে পুলিস ও দমকল।
মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পাশাপাশি এই বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনও।
শুভশ্রী মুহুরী: প্রাচীন ভারতে বেদব্যাস রচিত মহাকাব্য 'মহাভারত' (Mahabharat)। যারা পড়েছেন তাঁরা জানেন, এর অন্তর্নিহিত অর্থ। মহাভারতের প্রত্যেকটি চরিত্র জীবন বোধ। ধর্ম-অধর্ম, সত্য-অসত্যের আখ্যান। তাই একবার মহাভারত পড়লে এই প্রত্যেকটি চরিত্রের অতলে যেতে ইচ্ছে করে।বিনোদনের পর্দাতেও এই মহাকাব্য নিয়ে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। এমনকি খোদ পরিচালক সত্যজিৎ রায় মহাকাব্যের পাশা খেলার অংশটুকু নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। যদিও তাঁর সেই আকাঙ্খা অপূর্ণ থেকে গিয়েছে। কিন্তু যদি সেসময় এই সিনেমা তৈরী হত, তাহলে কারা অভিনয় করতেন এই বর্ণময় চরিত্রগুলিতে?
বলিউডের ভিস্যুয়াল আর্টিস্ট অনিকেত মিত্র। বলিউডের বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমার স্টোরিবোর্ড আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমেও তাঁর কাজের জনপ্রিয়তা অনেক। অনিকেত নিজের কল্পনা দিয়ে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ এআই-এর সাহায্য নিয়ে অঙ্কিত করেছেন মহাভারতের চরিত্রে কিংবদন্তি অভিনেতাদের। দেখা যাক অনিকেতের চোখে মহাভারতের চরিত্র নির্বাচন।
মহানায়ক উত্তম কুমারকে অনিকেত বেছে নিয়েছেন অর্জুনের চরিত্রে। ভীষ্মের চরিত্রে তাঁর পছন্দ ছবি বিশ্বাসকে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে তিনি দিতে চেয়েছেন দুর্যোধনের চরিত্র। শ্রী কৃষ্ণর চরিত্রে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে কল্পনা করেছেন। অভিনেতা সমিত ভঞ্জকে অনিকেতের পছন্দ কর্ণ হিসেবে। অভিমন্যুর চরিত্রে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা উৎপল দত্তকে ধৃতরাষ্ট্রর চরিত্রে এঁকেছেন অনিকেত। মামা শকুনির চরিত্রে অনিকেতের নির্বাচন সন্তোষ দত্তকে। যুধিষ্ঠিরের চরিত্রে অনিকেত কল্পনা করেছেন বিকাশ রায়কে।
এখানেই শেষ নয়। জনপ্রিয় অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনিকেত একলব্য হিসেবে চিত্রায়ন করেছেন। গায়ক এবং অভিনেতা কিশোর কুমার উঠেছেন অশ্বত্থামা। মহাভারতের নারী চরিত্রগুলি অনিকেতের কল্পনায় অন্য মাত্রা পেয়েছে। দ্রৌপদীর চরিত্রে মাধবী মুখোপাধ্যায়কে করেছেন শিল্পী। শর্মিলা ঠাকুর তাঁর কলমের ছোঁয়ায় হয়ে উঠেছেন গঙ্গা। চিত্রাঙ্গদার চরিত্রে অনিকেত ভেবেছেন সুচিত্রা সেনকে। সত্যবতীর চরিত্র পেয়েছেন সুপ্রিয়া দেবী। সব শেষে ছায়া দেবীকে শিল্পীর পছন্দ কুন্তীর চরিত্রে।
অনিকেত এই সিরিজের নাম দিয়েছেন, 'ডাইস অব ডেস্টিনি'। ছবিগুলি আপাতত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে হঠাৎ কেন মহাভারতের চরিত্র নিয়ে এত কল্পনাপ্রবণ হয়ে উঠলেন অনিকেত? এই ছবিগুলি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'সত্যজিৎ রায়ের একটি সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম উনি ভীষণভাবে চাইতেন মহাভারতের কেবলমাত্র পাশা খেলার অংশটি নিয়ে একটি সিনেমা করতে। ওনার সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। কিছুদিন হলো আবার নতুন করে মহাভারত পড়া শুরু করেছি। কল্পনায় বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের চরিত্ররা একে একে এসে আমার মনের প্রেক্ষাগৃহে মহাকাব্যের চরিত্ররূপে দেখা দিতে শুরু করে আবার। মহাভারতের সম্পূর্ণরূপে চরিত্রায়ন করা এক কথায় অসম্ভব কঠিন একটি কাজ। তবুও সেখান থেকেই আমার প্রিয় কিছু চরিত্রকে সাজিয়ে নিলাম নিজের মতো করে।'
সত্যম ভট্টাচার্য (Satyam Bhattacharya) একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন সহ পরিচালক হিসেবে। বহু ছবিতে জনপ্রিয় পরিচালকের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছিলেন। থিয়েটারও করতেন মন দিয়ে। পরবর্তীকালে পরিচালনার পাট চুকিয়ে চলে আসেন অভিনয় জগতে। বহু সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে তাঁর অভিনয় মনে রেখে দেওয়ার মতো. যদিও পর্দায় তাঁর সবচেয়ে বড় ব্রেক ছিল 'বল্লভপুরের রূপকথা'। এই সিনেমা যে তাঁর জীবনেরও মোর ঘুরিয়ে দেবে তা বুঝতে পারেননি। এরপর থেকেই বেশ কিছু কাজের অফার এসেছিল অভিনেতার কাছে। জিৎ এবং রুক্মিনীর আসন্ন ছবি বুমেরাং-এ (Boomerang) তাঁকে দেখতে পাওয়ার কথা ছিল. তবে শোনা যাচ্ছে, অভিনেতা না কি এই সিনেমা করছেন না।
অভিনেতা নাকি 'কোনজাঙ্কটিভাইটিস'-এ কাবু হয়েছেন। গত দু সপ্তাহ ধরে তাঁর চোখের এই চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে ছবিতে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করার কথা। জিতের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। পুরো সিনেমা জুড়ে বহু সিনেই তাঁর অভিনয় করার কথা ছিল। তবে এই চোখের ইনফেকশন নিয়ে শ্যুটিংয়ে আসতে পারছেন না। তাই সিনেমার পরিচালকের সঙ্গে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি 'বুমেরাং' থেকে সরে দাঁড়ালেন। সত্যমের পরিবর্ত অভিনেতা সৌরভ দাস।
সত্যম সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, 'আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি সময়সাপেক্ষ অসুস্থতা ভাইরাল কোনজাঙ্কটিভাইটিসের জন্য, পরিচালক এবং প্রযোজকের সঙ্গে মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে 'বুমেরাং' থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হৃদয়ভরা কৃতজ্ঞতা।'
টলিউড সিনেমা জগতের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। 'জুবিলী' সিরিজ দিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ডেবিউ করেছেন। হিন্দি ছবির জগতের জনপ্রিয় তারকাদের মাঝেও নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন সফলভাবে। রয় টকিজের কর্ণধার শ্রীকান্ত রয়ের দৃঢ় অভিনয় এখনও দর্শকদের চোখের সামনে ভাসছে। এরপর স্কুপ ওয়েব সিরিজেও জয়দেব সেনের চরিত্রে, অল্প জায়গায় নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
তবে অনেকে মনে করেন বড় পর্দায় সিনেমার ক্ষেত্রে যে বেড়াজালগুলো থাকে, ওটিটির ক্ষেত্রে তা থাকে না। ফলে সেখানে অবাধ যৌনতা এবং হিংসার প্রচার করা হয়। সত্যিই কী তাই? এই বিষয়ে কী মত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ? জানালেন তিনি।অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, 'ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা-সিরিজ দেখার এটিই সঠিক সময়। এই মাধ্যমটিকে যৌনতা এবং হিংসা নির্ভর কন্টেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেক আগেই। বর্তমানে এই মাধ্যম অনেক ভালো গল্প বলে।'
অভিনেতা আরও বলেছেন, 'রকেট বয়েস, জুবিলী, স্ক্যাম-১৯৯২ এর মতো কন্টেন্টগুলি প্রমান দিচ্ছে, যৌনতা এবং হিংসার বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে ওটিটি। নির্মাতাদের ওপরেই নির্ভর করবে ছবির মান। টেলিভিশনের তুলনায় ওটিটি মাধ্যমের দর্শক আরও বেশি।' সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দর্শক আরও বাড়বে বলে মনে করেন অভিনেতা। ওটিটিতে প্রথম দুটো কাজ করে যে তিনি তৃপ্ত সেকথাও বলেছেন।
কাঁধে ঝোলা, চলল ভোলা। সম্প্রতি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে (Pankaj Tripathi) দেখে একই কথা বলছেন নেটিজেনরা। বলিউডের (Bollywood) জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্ব দেখার মতো। সাধারণত কোনও অভিনেতাকে যখন সাফল্যের খ্যাতি মুড়ে ফেলতে শুরু করে তখন অভিনেতারাও নিজেদের ভোল বদল করেন। দামি জামা-জুতো ছাড়া দেখাই যায় না তাঁদের। সেখানেই সকলের থেকে আলাদা করা যায় অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে।
সম্প্রতি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি গিয়েছিলেন মুম্বই বিমানবন্দরে। সেখানে সবসময় পাপারাৎজিরা উপস্থিত থাকেন। যথারীতি সকলে ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতার দিকে। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, অভিনেতা খুব সাধারণ পাজামা-পাঞ্জাবি পরেছিলেন। হাতে একটি ট্রলি এবং কাঁধে ঝুলছে ব্যাগ।
এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, 'আরেহ ভাই পঙ্কজের কাঁধে ওই ব্যাগ এমনভাবে ঝুলছে, যেন চাপড়া এক্সপ্রেস ধরতে যাচ্ছেন।'আরও এক নেটিজেন বলেছেন, 'এমন সাধারণ দেখতে অভিনেতাকে দেখেও ভালো লাগে। কোনও জাঁকজমক নেই।'
প্রসঙ্গত সেই দিন অভিনেতার আরও সরলতা দেখে অবাক হয়ে যান সকলে। সাধারণত তারকারা বিমানবন্দরে পরিবার নিয়ে গেলে পাপারাৎজিদের সামনে সকলে নিয়ে ছবি তোলেন। এদিন ক্যামেরা নিয়ে সকলে অভিনেতার পরিবারের দিকে এগিয়ে গেলে তিনি বলেন, 'আরেহ আমার ছবি তুলে নিন। আমিই তো অভিনেতা। পরিবারের ছবি নিয়ে কী করবেন।'
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। সম্প্রতি তিনি গিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্যারিসে। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরণ নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে ফ্রান্সের বিখ্যাত মিউজিয়াম লুভরাতে নৈশভোজের আয়োজন করেন। কেবল প্রধানমন্ত্রী নন, ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা আর মাধবনও (R. Madhavan) আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সেই নৈশভোজে। ১৪ জুলাই অভিনেতা (Actor) সেই নৈশভোজে উপস্থিত থেকেছিলেন। ছোট ছোট রিলস আগেই পোস্ট করেছিলেন তিনি। এবার ভারত এবং ফ্রান্সের দেশ প্রধানের উদ্দেশে হৃদয় বিদারক লেখা লিখলেন তিনি।
মাধবন তাঁর লেখায় দুই দেশ প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এতটা সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাটিয়ে যে তিনি আপ্লুত, সেই মনের কথা জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রামের পোস্টে। অভিনেতা লিখেছেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্মানে লুভরাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরণের আয়োজিত নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়ে আমি সম্মানিত। দুই বিশ্ব নেতাই আবেগের সঙ্গে দুই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন। পজেটিভিটি এবং পারস্পরিক সম্মান পরিবেশকে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করেছিল। আমি প্রার্থনা করি তাঁদের মনোবাঞ্ছা এবং পরিকল্পনা যেন আমাদের সঠিক সময়ে ফসল দেয়।'
তবে ফ্রান্সের মাটিতে দাঁড়িয়ে অভিনেতা ভুলে যাননি ভারতকে। ১৪ জুলাই ভারতের জন্যও একটি বিশেষ দিন ছিল। সেই দিনই চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে চন্দ্রযান থ্রি। অভিনেতা ভারতের এই বিশেষ পদক্ষেপেও সম্মান জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন, '১৪ জুলাই চন্দ্রযান থ্রিয়ের উৎক্ষেপণের জন্য আরও সুন্দর দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ এবং অসাধারণ মিশনের সাফল্যের প্রার্থনা করি।'
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতা আদৃত রায়কে (Adrit Roy) নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। গুঞ্জন ছড়িয়েছিল মিঠাই ধারাবাহিকের শেষে তিনি নাকি আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন। তাঁর বিপরীতে নাকি দেখা যাবে অভিনেত্রী সৃজলা গুহকে। এবার এই গুঞ্জন নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্য মন্তব্য করলেন তিনি। বেশ কিছু পোর্টালের বিরুদ্ধেও উগরে দিলেন ক্ষোভ। নিজের আসন্ন কাজ নিয়েও বললেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে আদৃত লিখেছেন, 'অনেক মানুষ আমাকে ফোন করে টেক্সট করে জিজ্ঞেস করছেন আমি অন্য একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি কি না। দু একটি নিউজ পোর্টাল এমন খবর ছড়াচ্ছেন। যারা আমাকে নিয়ে চিন্তিত তাঁরা এই ধরণের খবর এড়িয়ে চলুন। তাঁরা আমাকে এই বছর দুবার মেরে ফেলেছেন। তাঁরা বলেছিল আমার নাকি দুর্ঘটনা হয়েছে। এই খবর ভুয়ো ছিল। ঠিক যেভাবে এই ধারাবাহিকে অভিনয় করার ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে।'
নতুন কাজ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছেন, আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি, নতুন কিছুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি খুব তাড়াতাড়ি সেই খবর জানাবো।' আদৃত সকলের কাছে আবেদন করেছেন ভুয়ো খবরে কান না দিতে। তিনি এও জানিয়েছেন, তাঁর কাজ সম্পর্কে সমস্ত আপডেট তিনিই দেবেন।
বলিউডের (Bollywood) পরিচিত মুখ অভিনেতা রাজপাল যাদব (Rajpal Yadav)। মূলত পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ক্যামেরায় তাঁর উপস্থিতি মনে রাখার মতো। হাস্য কৌতুক চরিত্রেই বেশি অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর মনে যে চাপা দুঃখ, সেই খবর কেউ পাননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়ে ফিরে দেখেছেন অভিনেতা। তাঁর জীবন কাহিনী শুনে বিষণ্ণ হয়েছেন নেটিজেনরাও।
অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আগেকার দিনে ২০ বছর বয়স হলেই পরিচিতরা বিয়ে দিতে বলতেন। আমার বাবাও আমাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। আমার প্রথম স্ত্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েই মারা যান। আমার তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু সেই জায়গায় আমি আমার কাঁধে তাঁর মৃতদেহ বহন করেছি। কিন্তু আমার পরিবারকে ধন্যবাদ। তাঁদের জন্যই আমার মেয়ে মায়ের অভাব বুঝতে পারেননি।'
১৯৯১ সালে প্রথম স্ত্রীয়ের প্রয়াণের পর অভিনেতার ১৩ বছর লেগেছিল নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে। ২০০০ সালে রাজপাল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করেন। তাঁর বয়স যখন ৩১, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয় রাধার। ২০০৩ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে করে চুটিয়ে সংসার করছেন অভিনেতা।
২০২০ সালে ভক্তদের কাঁদিয়ে পরলোক গমন করেছিলেন অভিনেতা ইরফান খান (Irrfan Khan)। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতার শূন্যস্থান আজও পূরণ হয়নি। ২০২২ সালে বলিউডে ডেবিউ করেন ইরফান পুত্র বাবিল খান (Babil Khan)। চরিত্রটি ছোট হলেও প্রথম কাজেই সকলের নজর কেড়েছেন বাবিল। বিরাট মাপের অভিনেতা বাবা তাঁর প্রথম কাজ দেখে যেতে পারলেন না, এই দুঃখ চাপা রয়েছে বাবিলের মনে। তাই মাঝেমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে বাবা ইরফান খানকে নিয়ে নানা পোস্ট করে থাকেন বাবিল।
সম্প্রতি বাবিল আবারও বাবার স্মৃতিতে কলম ধরেছেন সামাজিক মাধ্যমে।ইরফান যে অভিনেতা হওয়ার থেকেও বেশি বাবা হওয়ার গৌরব উপভোগ করতেন, সেকথা বাবিল লিখেছেন সামাজিক মাধ্যমে। বাবার একটি ছবিও দিয়েছেন সেই পোস্টে। অভিনেতা পুত্র লিখছেন, 'তুমি যখন আয়ানের চোখের দিকে তাকাতে সেই সময়গুলো খুব মনে পড়ে। সেই চোখে যেন আর কিছুই দেখা যেত না। একজন মানুষ হিসেবে যা কিছু অর্জন করা যায়, তার থেকে বেশি অর্জন করেছিলে তুমি। তারপরও আমার মনে হত অভিনেতা হওয়ার থেকেও বেশি যেন তুমি বাবা হতে ভালোবাসতে।'
বাবিলের লেখা এই পোস্ট পড়ে আবারও চোখে জল এসেছে ইরফান-অনুরাগীদের। এক নেটিজেন কমেন্ট করেছেন, 'তোমার দুঃখ আমাকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে। আমিও ওঁকে খুব মিস করি।' আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'এই পৃথিবীতে তুমিই ইরফানের প্রতিচ্ছবি। তোমার মধ্যেই তোমার বাবা বেঁচে থাকবেন।'
অভিনয় জগতে সুখবর। বাবা (Father) হলেন 'আরআরআর' খ্যাত অভিনেতা রামচরণ তেজা (Ramcharan Teja)। স্ত্রী উপাসনার (Upasana) সঙ্গে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের আসার আনন্দ উদযাপন করছেন অভিনেতা। অভিনেতার স্ত্রী উপাসনা যে সন্তানসম্ভবা তা সকলেই জানতেন। অস্কারের মঞ্চেও রামচরণের সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল তাঁর স্ফীতোদর। ২০ জুন হায়দরাবাদের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের কন্যাসন্তান হল। অভিনেতার বাবা চিরঞ্জীবী নাতনী জন্মানোর কিছু ঘন্টা আগেই গিয়েছিলেন তাকে স্বাগত জানাতে।
কিছুদিন আগেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে একটি ছবি আপলোড করে উপাসনা লিখেছিলেন, 'খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা আসছে।' উপাসনার বাড়ি থেকে কিছুদিন আগেই তাঁকে 'সাধ' দেওয়া হয়েছিল। উপাসনা সেই ছবি আপলোড করে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, 'এত ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য।' অন্যদিকে সন্তান আসার আগেই বাড়িতে এসে গিয়েছে কাঠের তৈরী বিছানা। সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছিলেন উপাসনা।
পাঁচ দিন আগে ১১ রামচরণ ও উপাসনার বিয়ের ১১ বছর পূর্ন হয়েছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন কেন এত বছর পরে তাঁরা মা বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন তাঁরা? এক সাক্ষাৎকারে উপাসনাকে একই প্রশ্ন করে হলে তিনি উত্তর দেন, 'আমি আনন্দিত, খুশি এবং একই সময়ে গর্বিত যে আমি এমন সময়ে মা হয়েছি, যখন আমি হতে চেয়েছি। এমন সময় মা হইনি যখন সমাজ চেয়েছিল।'
বলিউডে (Bollywood) দশকের পর দশক সিনেমা করে আজ বহু অভিনেতারা (Actors) প্রতিষ্ঠিত। তাঁদের এখন নাম-ডাক, যশ-প্রতিপত্তি সবই হয়েছে। মাঝে মধ্যেই নানা প্রতিবেদনে তাঁদের আর্থিক উপার্জন, সম্পত্তির হিসেব নিয়ে আলোচনা করা হয়। অভিনেতারা হয়তো তাঁদের সম্পত্তির হিসেবে খতিয়ে দেখেন না। আজ যারা এই ক্ষমতার শীর্ষে, একসময় তাঁদের দিন কেটেছে দারিদ্রতায়। বলিউডে আসার পর অবশ্য ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়েছিল।
অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ ২০০৩ সালে প্রবল অর্থ কষ্টে ভুগেছিলেন। তাঁর অভিনীত সিনেমা 'বুম' মুক্তি পাওয়ার পরই এমন সমস্যায় পড়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, গুলশন গ্রোভার, জিনাত আমান, ক্যাটরিনা কাইফ সহ প্রমুখ অভিনেতারা। অর্থ সঙ্কট এতটাই বেড়েছিল যে জ্যাকিকে নিজের বাড়ি বিক্রি করতে হয়েছিল।
অভিনেতা অনুপম খেরও আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তাঁর প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল 'ম্যায়নে গান্ধীকো নেহি মারা' সিনেমাটি। এই সিনেমার জন্য নাকি ২০০৪ সালে নিজের ব্যাঙ্ক প্রায় খালি করে দিয়েছিলেন অনুপম।
অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, '২০০০ সালে সকলে নতুন দশক উদযাপন করছিলেন আর আমি আমার খারাপ সময়। আমার কাছে কোনও সিনেমা ছিল না, অর্থ ছিল না।' বাবার আর্থিক অনটন দেখে নাকি অভিষেক বিদেশে লেখাপড়া মাঝপথে ফেলে বাবাকে সাহায্য করতে দেশে ফিরে এসেছিলেন।'
অভিনেতা আমির খানও বহু সাক্ষাৎকারে নিজের খারাপ সময়ের কথা স্বীকার করেছিলেন। অভিনেতার বাবা তাহির হুসেন একজন পরিচালক ছিলেন। তিনি সিনেমা তৈরির জন্য বহু অর্থ ধার করেছিলেন। সেই অর্থ চোকাতে প্রায় ৯ বছর অর্থ কষ্টে ভুগতে হয়েছিল আমিরকে।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ধুমপানে আসক্তির বিষয়ে কম-বেশি জানেন না, এমন ভক্ত বোধহয় হাতে গুনে পাওয়া যাবে। যারা তাঁর অনুরাগী, বা তাঁকে অনুসরণ করেন, সকলেই কখনও না কখনও শাহরুখকে সিগারেটে টান দিতে দেখেছেন। কখনও আইপিএল দেখতে এসে স্টেডিয়ামে বসে, কখনও বা শুটিং সেটে। শাহরুখ আর সিগারেট (Smoking) যেন, এক অবিচ্ছেদ্য জুটি। আর সেই জুটি ভাঙল কিনা, সেই প্রশ্নের মুখে এবার মুখ খুললেন তিনি। আর যা উত্তর দিলেন, তাতে না হেসে উপায় নেই।
ইদানীং টুইটারে মাঝে মধ্যেই '#AskSRK' ক্যাম্পেন করেন শাহরুখ। সেখানে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাঁকে বহু প্রশ্ন করেন অনুরাগীরা। বেছে বেছে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন শাহরুখ। সোমবারও আচমকা না বলে কয়ে সেই ক্যাম্পেন শুরু করেন তিনি। আর তখনই এক নেটিজেন তাঁকে প্রশ্ন করে বসেন, 'সিগারেট খাওয়া ছাড়লেন?'
শাহরুখও কম যান না। এর উত্তরে তাঁর জবাবও ছিল রসাত্মক। পরোক্ষভাবে নিজেকেই উদ্দেশ্য করে তিনি জানালেন, 'ছেলেটা' (শাহরুখ) মিথ্যে বলেছিল। শাহরুখ লেখেন, 'হ্যাঁ ও মিথ্যে বলেছিল। ক্যানসারের কাঠি (সিগারেট) দ্বারা তৈরি ধোঁয়ার আস্তরণ ওঁকে ঘিরে রেখেছে।'
২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, তিনি দিনে কমপক্ষে ১০০টি সিগারেট ও ৩০ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করেন। ঠিকমতো খাবারও খান না। নিজের যত্ন নেন না। তার কয়েকবছর পর অবশ্য ধুমপান ছাড়ার চেষ্টার কথাও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল। বলাই বাহুল্য, এখনও পর্যন্ত সেই চেষ্টা তাঁর সফল হয়নি।
অসুস্থ (Ill) হয়ে পড়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Bandyopadhyay)। অসুস্থতা এতটাই যে কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন। অভিনেতার ভক্ত সংখ্যা অনেক। তাই তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। নেট দুনিয়ায় রীতিমতো অনেকেই অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে কিছু ভুয়ো খবর। আসলে অভিনেতা ঠিক কতটা অসুস্থ?
জানা গিয়েছে, অভিনেতার সর্দি গরমি লেগেছে। ঠান্ডা বসে গিয়েছে গলায়। ফলে কথা বলতে বেশ খানিকটা অসুবিধা হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে, তিনি কিছুদিন অভিনেতাকে গলায় বিশ্রাম দিতে বলেন। তাই কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন পরাণ। শরীর সুষ্ঠ হয়ে গেলে তিনি আবারও ফিরে যাবেন কাজে। অর্থাৎ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুস্থতা তেমন গুরুতর নয়। ফলে উদ্বেগেরও কোনও কারণ নেই।
অভিনেতার বয়স এখন ৮২। তবে কার্যকলাপের দিক থেকে তাঁর বয়স যেন ২৮। কাজ থেকে বিরতি নেন না সচরাচর। সিনেমায় ওয়েব সিরিজে কাজ করে চলেছেন চুটিয়ে। তাঁর পরবর্তী ছবি 'প্রধান'। বিপরীতে থাকবেন দেব। এই সিনেমা দিয়েই বড় পর্দায় অভিনেত্রী হিসেবে ডেবিউ করবেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। চলতি বছরের অগস্ট মাসেই হবে সিনেমার শ্যুটিংয়ের কাজ। এর আগে পরাণ ও দেব অভিনীত 'টনিক' বক্স অফিসে সফল হয়েছিল। ফলে প্রধান নিয়েও আশাবাদী সকলে।
চলতি বছরে দর্শকদের অন্যতম প্রতীক্ষিত ছবি 'পুষ্পা ২' (Pushpa 2)। পুষ্পা দা রাইজ দর্শকমহলে যেভাবে সাড়া ফেলেছিল, তাতে সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ 'পুষ্পা দা রুল' নিয়েই আশাবাদী দর্শকেরা। কিন্তু শ্যুটিংয়ের মাঝেই দুঃখের খবর। সিনেমার অভিনেতারা এবার বিপদে (Accident) পড়লেন। বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেঙ্গানা থেকে ফিরছিল পুষ্পা ২-এর পুরো দল। এমন সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি আরেকটিকে ধাক্কা মারে।
হায়দরাবাদের বিজয়ভারার কাছেই নাকি দুর্ঘটনা ঘটে। খুব বড় ক্ষতি না হলেও নাকি সিনেমার দুই শিল্পী আহত হন। তাঁদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলায় পুষ্পা ২ এর শ্যুটিং চলছে। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বের শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। সিনেমার ট্রেইলারও মুক্তি পেয়েছে। প্রথম পর্বের পর সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব যে জমজমাট হতে চলেছে, তা ট্রেলার দেখলেই বোঝা যায়।'
দ্বিতীয় পর্বে অভিনেতা আল্লু অর্জুন, ফাহাদ ফাসিল, রশ্মিকা মন্দনাকে তো দেখা যাবেই। বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে সাই পল্লবীকে। আগের পর্বে দেখা গিয়েছিল লাল চন্দনকাঠ পাচার করা পুষ্পা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দ্বিতীয় পর্বে স্পষ্ট হবে তিনি কেন এই কাজ করেছেন। চলতি বছরেই ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। তবে চূড়ান্ত তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি।