Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

AbhijitGanguly

Judgement: ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল? কারণ কি ? কোন মামলায় এমন রায় জাস্টিস গাঙ্গুলির

চাকরিপ্রার্থীদের একটি মামলায় বিভিন্ন জেলায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় প্রিয়াঙ্কা নস্কর সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কাঠগড়ায় তুলে সাক্ষ্যগ্রহণ (Withness) করেন বিচারপতি (Judge) গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। জাস্টিস গাঙ্গুলি জেরা করে জানতে পারে টেস্ট তো দূরের কথা কোথাও কোথাও ইন্টারভিউও ঠিক মত হয় নি। যা শুনে রীতিমত নড়েচড়ে বসে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।

এবার শিক্ষকদের ডেকে পাঠালেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। সে সময় যারা চাকরি পরীক্ষা দিয়েছিল। এবং ইন্টারভিউ দিয়েছিল। জাস্টিস গাঙ্গুলির নির্দেশে ওই শিক্ষকদের আদালতে আসার খরচ বহন করতে হয়েছিল পর্ষদকে। প্রথম পর্যায়েই, হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতির নির্দেশ মতো হাজিরও হয়েছিলেন শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের সার্ধশতবার্ষিকী ভবনের ৯ তলায় তাঁদের সবার মুখে শোনেন ইন্টারভিউয়ের গল্প। বিচারপতির গাঙ্গুলির অভয়ে অনেক শিক্ষক স্বীকার করে নেন, কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। কেউ কেউ নাকি জানতেনই না, কীভাবে নেওয়া হয় সেই পরীক্ষা। এরপরে তৎকালীন মানিক ভট্টাচার্যকে ডাকা হয়। তাঁকে এ বিষয়ে জিগ্যেস করা হয়। কিন্তু ওনার থেকে সন্তোষজনক কিছু পাওয়া না গেলেও বিচারপতি স্পষ্ট জানান দুর্নীতি হয়েছে। চাকরি সে পায়নি যে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে পাশ করেছে। চাকরি পেয়েছে যে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে পাশই করেনি।

সেই মামলাতেই শুক্রবার (১২ মে) ৩৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাঁদের চাকরি বহাল থাকছে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে মামলাকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

12 months ago
Board: ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার ভাবনা বোর্ডের

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) শুক্রবার এক নির্দেশে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের (Teacher) চাকরি বাতিল করেছেন। অভিযোগ ছিল ২০১৬ সালের ওই মামলায় নিয়োগের সময় অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা নেওয়া হয় নি। ফলত নিয়ম অনুযায়ী, ওই নিয়োগ অবৈধ। ২০১৬ সালের ৪২,৫০০ নিয়োগের মধ্যে ৩৬,০০০ চাকরি বাতিল করল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতির এই রায়ের পর এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার অনতিবিলম্বেই পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানালেন, তাঁরা ওই রায় হাতে পাননি। তবে এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। গৌতমের কথায়, '৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে বিরাট বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। বোর্ড আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। আমরা এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করতে যাচ্ছি।' তবে এ ব্যাপারে হাই কোর্টের অর্ডার হাতে পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদকেও একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, পর্ষদকে ওই ৩৬ হাজার পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে চার মাসের মধ্যে। ওই চার মাসেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষও করতে হবে তাঁদের।

12 months ago
CBI: মুখ পুড়ল রাজ্যের, পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইয়ের সঙ্গে জুড়ল ইডি

পুরসভায় (Municiplity) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশ বহাল রাখল বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর ওই মামলার পুনর্বিবেচনা দাবি করে অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন করে রাজ্য।  শুক্রবার রাজ্যের ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ওই মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও তদন্ত করবে

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর, অয়নের বাড়ি ও অফিসের নথি ঘেঁটে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল এই পুর নিয়োগ দুর্নীতির কথা। অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি অনুযায়ী পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১৮ টি পৌরসভার, কমপক্ষে ৭০ টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে, এবং কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে এখনও অবধি আদালতকে জানিয়েছে।

এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি হিসেবে বদল হবার পর, এই মামলায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে অমৃতা সেনের এজলাসে আবেদন জানায় রাজ্য। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি

12 months ago


Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি বদল হতেই, নতুন বিচারপতির কাছে কী আবেদন রাজ্যের

সিবিআই (CBI) তদন্ত বন্ধ হোক আদালতে (Court) দাবি জানালো রাজ্য। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা সমূহের দুটি মূল মামলা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাস থেকে সরে বিচারপতি অমৃতা এজলাসে গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে, বৃহস্পতিবার ওই মামলার নতুন বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে রাজ্যর তরফে আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআই তদন্ত বন্ধ হোক, এই সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে রাজ্যকে অনেক হয়রানী সহ্য করতে হয়েছে। তার দাবি ছিল সিবিআই তদন্তের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা  করে দেখা হোক। সূত্রের খবর, রাজ্যের এই আবেদনের পর এই মামলার শুনানি আগামী সোমবার হবে বলে জানা গিয়েছে।

পাশাপাশি আরও একটি পিটিশন দাখিলা করে রাজ্য সরকারের আইনজীবী। যেখানে আইনজীবী সুদীপ্ত দাস আবেদন করেন সৌমেন নন্দীর যে মামলাটি ছিল, উক্ত মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যে নির্দেশ ছিল, সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই মামলা ঠিক কতদূর এগোল তা জানতে চেয়ে সিবিআই এর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই মামলারও শুনানি পরের সপ্তাহে সোমবার।

12 months ago
Abhijit: নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মূল মামলার এজলাস বদল, দায়িত্ব পেলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা (Case) সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার মঙ্গলবার সুপ্রিম নির্দেশ মতো ওই মামলা দুটি সরিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে দেওয়া হল। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মূল মামলা ছিল এই দু'টি। প্রাথমিকের এই মামলাতেই প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মূল মামলাকারী সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিক।

সোমবার সকালেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে মামলার ফাইল ফেরত চায় কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কার্যালয় থেকে এসেছে এই নির্দেশ।

গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দেয়। টিভিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার সংক্রান্ত বিতর্কেই নিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি মামলা সরানোর নির্দেশ এবং তাঁর দেওয়া দু’টি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবার ওই মামলার ফাইল ফেরত চাওয়া হল বিচারপতির কাছ থেকে।

12 months ago


Abhisekh: নিয়োগ সংক্রান্ত প্রাথমিকের মামলার বিচার করবেন কে! দ্রুত নিস্পত্তি চান অভিষেক

প্রসূন গুপ্তঃ টানাপোড়েনের পরে এই মুহূর্তে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাগুলির (Education Scam) প্রাথমিকের একটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি (Judge) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly)। তাঁর হাত থেকে এই বিশেষ অংশটি নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওআই  চন্দ্রচূড়। মামলা হয়েছিল এই প্রকার যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর এজলাসে থাকা মামলার বিষয় মুখ খুলেছিলেন একটি বেসরকারি চ্যানেলে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে এবং কৌঁসুলি ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি।

সমস্ত তথ্য জানার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় আদেশ দিয়েছিলেন যে, শিক্ষা সংক্রান্ত প্রাথমিক একটি মামলার শুনানি আর করতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং বাকি দায়িত্ব ন্যস্ত করবেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই মোতাবেক গত ২৮ এপ্রিল রাতে কোর্ট থেকে বেরোনোর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিচারপতি। তিনি জানান, এই মামলা ৬ মাসে হবে নাকি ৬০ বছর লাগবে তা তাঁর জানা নেই। তিনি আরও বলেন, তাঁর লড়াই জারি থাকবে ইত্যাদি।

এবারে সম্পূর্ণ বিষয়ের বাকি অংশের কী হবে বা কার এজলাসে যাবে তা তো ঠিক করবেন বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। শনিবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন যে , যিনিই দায়িত্বে আসুন, তাঁরা চান দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক, দু তিন মাসের মধ্যে হোক। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে যে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হোক এবং অপরাধ করলে শাস্তি বিধান হোক।

অন্যদিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সরে যাওয়াতে কোথাও ব্যথিত হয়েছে বিরোধী নেতারা। অবশ্য এই বিচারালয়ের বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বক্তব্য রেখেছেন প্রায় সব দলই। এবারে দেখা বিষয় এই সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব কে পান।

12 months ago
Law:কোন আইনে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ মামলা থেকে সরালো জাস্টিস গাঙ্গুলিকে, জানুন

মণি ভট্টাচার্য: ঠিক কোন আইনের ভিত্তিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাস থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Scam) সমস্ত মামলা? সম্প্রতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের তরফে করা অভিযোগে, অভিষেক মনু সিংভি ও কপিল সিব্বালের সওয়ালের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে শুক্রবারের মধ্যে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে, সবদিক যাচাই করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

ঘটনাটি কী ঘটেছিল: ১৩ই এপ্রিল কুন্তল ঘোষের করা একটি অভিযোগ নিয়ে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ইডি-সিবিআই চাইলে কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ভিত্তিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলার শুনানিতে গত ১৭ এপ্রিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

তবে জাস্টিস গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ কী! ২৪শে এপ্রিল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পক্ষে মনু সিঙ্ঘভি ও কপিল সিব্বাল অভিযোগ করেন, 'নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অর্থাৎ বিচারাধীন মামলায় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোড অফ কন্টাক্ট ভেঙেছেন। যার পরেই এর সমস্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।'

সংবাদ মাধ্যমে ঠিক কী বলেছেন জাস্টিস গাঙ্গুলি

নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিচারাধীন মামলায় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এরকম দুর্নীতি তিনি আগে দেখেননি, সবদিক দেখে বুঝেছি এখানে দুর্নীতি আছে।' এছাড়া তিনি পুলিস ও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেন। এছাড়া গোটা মামলার গতি প্রকৃতি আলোচনা করেন।

কোন আইনে ওনার এজলাস থেকে মামলা সরল:


১৯৯৭ সালের ৭ই মে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিচারপতিদের জীবনযাপন ও ভ্যালু নিয়ে একটি খসড়া তৈরি করা হয়, যে খসড়ার ৮ এবং ৯ নম্বর নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিচারপতি পাবলিক ডিবেট বা কোনও জায়গায় বিচারাধীন কিছু নিয়ে তাঁর নিজস্ব মন্তব্য পেশ করতে পারবেন না। এমনকি কোনও রাজনৈতিক বক্তব্যও প্রকাশ্যে করতে পারবেন না। এ ছাড়া ওই খসড়ার ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও বিচারপতি কোনও সংবাদ মাধ্যমকে বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না। এছাড়া ব্যাঙ্গালোর প্রিন্সিপালস অফ জুডিসিয়াল কন্ডাক্ট, ২০০২ নামক একটি নিয়মাবলী তৈরি হয় বিচারক ও বিচারপতিদের জন্য। সেই নিয়মেও তিনি কোনও সংবাদমাধ্যমকে বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না। যদিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকারের সময় বলেছিলেন তিনি ব্যাঙ্গালোর প্রিন্সিপালস অফ জুডিশিয়াল কন্ডাক্ট মেনেই কথা বলছেন এবং সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, আইন নিয়ে কোন বিচারপতি কোন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে।

12 months ago
Kunal: 'আমিও ভদ্রলোক, উনিও ভদ্রলোক', জাস্টিস গাঙ্গুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে কী বললেন কুণাল

মনি ভট্টাচার্য: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ও কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), বর্তমানে দু'জনই এরাজ্যের বিস্তর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একজন কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি (Judge), অপরজন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র। জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বারবার পরোক্ষে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন। তেমনই শাসক দলের পক্ষে যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের তিন বিধায়ক। পাশাপাশি গারদের পিছনে রয়েছেন আরও বেশ কিছু তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা। শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তাও নিয়োগ-কাণ্ডে জেলে। নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের ভার দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যে কারণে শাসক দলের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তেমনই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষ করেছেন 'অরণ্যদেব গাঙ্গুলী' বলে। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নিজের এজলাসে কুণাল ঘোষের নাম না করে, তাঁকে সমঝে দিতে চেয়েছেন।

সম্প্রতি কলকাতার একটি প্রচার মাধ্যমের অনুষ্ঠানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দেখা গিয়েছে সৌজন্য বিনিময় করতে। সৌজন্যের এ ছবি তাঁর নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন কুণাল ঘোষ। যার পরে শুরু হয়েছে নেটিজেনদের কটাক্ষ। কুণাল ঘোষ ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই প্রথম সাক্ষাতে কী বার্তালাপ হলো! এই প্রসঙ্গে সিএন-ডিজিটালের তরফে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঠিক কী বলেছেন!


কুণাল ঘোষ বলেন, 'শুক্রবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে ওনার সঙ্গে দু'বার দেখা হয়। যা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর এটাই বাংলার আসল ছবি।' এর পরে তৃণমূল মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয় তবে কি কোথাও নিজের আক্রমণাত্মক জায়গা থেকে পিছিয়ে আসলেন? এর উত্তর তিনি বলেন,  'আমি একটা ভদ্র লোক, উনিও একজন ভদ্রলোক। উনি একজন বিচারপতি, ওনার কাজ উনি করছেন, আমার কাজ আমি করছি। উনি আইনের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু বললে আমি প্রতিবাদ করব, উনি আইনি কথা বললে তো আমি কিছু বলি না, আমার যদি মনে হয় আইনের বাইরে উনি আমার দলকে আক্রমণ করছেন, সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করব, সেটা উনিও স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন আমিও স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছি। সেখানে এগোনো বা পিছন বা মানিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না।'

এছাড়া ওদের মধ্যে কী কথা হলো! এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ, দুজনেই হাসিমুখে, করমর্দন ভঙ্গিতেই, আমাদের কথা শেষ হয়েছে। কী কথা হয়েছে এটা নিতান্ত ব্যক্তিগত।' একদিকে আক্রমণ, অপরদিকে ওনার সঙ্গে একফ্রেমে থাকা ছবি ফেসবুকে পোস্ট। এই বিষয়ে বিচারপতিকে নিয়ে ব্যক্তিগত ধারণা সমন্ধে প্রশ্ন করা হয়, তার উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, 'অভিজিৎ গাঙ্গুলি ফর্সা মানুষ, সুন্দর দেখতে, সুন্দর কোট পড়েন, একটা লোককে একমুখী ভাবে মূল্যায়ণ করা যায় না।' তিনি জানান, উনি একজন সন্মানীয় মানুষ উনিও সৌজন্য দেখিয়েছেন, আমিও সৌজন্য দেখিয়েছি। এর মধ্যে আর অন্য কিছু নেই।

12 months ago


Court: অভিষেক-কুন্তল মুখোমুখি জেরা, জাস্টিস গাঙ্গুলির নির্দেশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

এখনই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Avijit Ganguly)নির্দেশকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি ১৩ই এপ্রিল কুন্তল ঘোষের একটি অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিল, প্রয়োজনে ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে।

সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। বারবার অভিযোগ করেছে ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। কুন্তল ঘোষ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ইডি ও সিবিআই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। এরপরই প্রেসিডেন্সি জেলের সর্বোচ্চ কর্তার মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন কুন্তল ঘোষ। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, কোনভাবেই আদালতের নির্দেশ ছাড়া, পুলিস ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেনা। ওই একই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই ঘটনার তদন্তে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারবে।

এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মামলা শুনানিতে আজ অর্থাৎ সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরফলে কিছুটা স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ওই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ এপ্রিল অর্থাৎ ২৪ শে এপ্রিল অবধি স্বস্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

one year ago
Abhijit: নিয়োগ দুর্নীতির মাথা কে! জানতে মরিয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কটাক্ষ তৃণমূলের

পরপর বিস্ফোরক হাইকোর্টের বিচারপতি (Judge) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। যারপরেই তৃণমূলের নিশানায় বিচারপতি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা অবধি পৌঁছাতে না পারলে, আমি জানি কি করতে হয়। সিবিআই-ইডিকে উদ্দেশ্য করে এমনটাই বললেন বিচারপতি অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার সিবিআই-ইডির বিরুদ্ধে করা কুন্তলের অভিযোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন। নির্দেশ দেন সিবিআই-ইডিকে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস। এমনকি তিনি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে কুন্তলের সামনে বসিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি।

নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমবার বিচারপতির মুখে নাম এলো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। যারপরেই তৃণমূলের নিশানায় কুনাল ঘোষ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কুনাল ঘোষ একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কটাক্ষ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি লেখেন, 'যদি রাজনীতি করতে হয় চেয়ার ছেড়ে আসুন, চেয়ারে বসে রাজনীতি করবেন না।' এর পরেই নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, 'তৃণমূল কাউকে সন্মান করতে জানে না, সন্মানীয় বিচারপতিকে এভাবে হুমকি দিয়ে বিচার ব্যাবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূল।'

পাশাপাশি সোমবার ইডি-সিবিআইয়ের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি ইডির আধিকারিকদের বলেন, 'নিয়োগ দুর্নীতির '‘মাথা’' তো দূর অস্ত, তদন্তে নেমে দুর্নীতির ‘'কোমর'' পর্যন্ত ঠিকভাবে পৌঁছতে পারেননি। তবে এবার যদি নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি, তা হলে আমি জানি কী করতে হবে।' বৃহস্পতিবার কুন্তলের চিঠির মামলার শুনানি চলাকালীন কড়া বার্তা দিয়ে এমনটাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি শুনানি চলাকালীন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুললেন। বিচারপতির দাবি, নিয়োগ মামলায় যাঁদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা ‘দালাল’। অবৈধ ভাবে নিয়োগের টাকা আসলে কোথায় পৌঁছেছে, তা দ্রুত তদন্ত করে বার করার বার্তাও তিনি দিয়েছেন।

one year ago


Abhijit: কুন্তলের অভিযোগে ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির

কোনও চালাকিই যেন তাঁর কাছে টিকবে না! কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) করা ইডি-সিবিআইয়ের (Ed) বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে, বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে ঠিক এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলায় ইডির মুখে সমস্ত কিছু শোনার পর আদালতে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, 'কুন্তলের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করতে পারবে না পুলিস। নিম্ন আদালতও এই বিষয়ে কিছু করতে পারবে না।'

শিক্ষা নিয়োগকাণ্ডে ইডি-সিবিআইয়ের তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছেন ১৫ জনের বেশি আধিকারিক। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা। এই নিয়োগকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষও। বুধবার কুন্তল অভিযোগ করেন,  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিসের কাছে নালিশ করেছিলেন।

সূত্রের খবর, অন্তর্বর্তীকালীন মামলায় একই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বুধবারের মধ্যেই কুন্তলের অভিযোগপত্র হাই কোর্টে পেশ করতে হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বিচারককে। তাছাড়া প্রেসেডেন্সি জেল সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় যে কুন্তলের অভিযোগপত্র গিয়েছে সেটা আদালতে পেশ করতে হবে খোদ কলকাতার পুলিস কমিশনারকে। বুধবার দুপুর ৩টের মধ্যে তা পেশ করার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে কলকাতা পুলিসের দ্বারস্থ হন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল। সম্প্রতি নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও একই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ইডি এ নিয়ে আদালতে জানায়, প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এর ফলে তাদের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।

ইডির বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘এটা মারাত্মক প্রবণতা। তদন্তকারী আধিকারিকদের হুমকি দেওয়া এবং তদন্তের গতি স্তব্ধ করার জন্য এ সব করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ সব বন্ধ করতে হবে। এই অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না।’

one year ago
Manik: সত্য সুন্দর, সমানে আসুক, এজলাসে জাস্টিস গাঙ্গুলির জেরায় বলেন মানিক

দুর্নীতি (Scam) রুখতে তিনি যেন বদ্ধ পরিকর। দুর্নীতির কাছে তিনি যেন ত্রাস হয়ে উঠেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Abhijit Ganguly)। কখনও তিনি সরকার পক্ষকে, কখনও পুলিসকে বাধ্য করেছেন সঠিক টা বেছে নিতে। কখনও নিজেই জেরা করেছেন শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্তদের। কখনও ভৎসনা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।

বুধবার ২০১৬ সালের টেট নিয়োগ মামলায় আধ ঘন্টা ধরে জেরা করলেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। এর আগেও তিনি মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে ইডিকে মন্তব্য করেন, ' আরও মানিক পাবেন। ভালো করে খুজুন।' মানিক ভট্টাচার্যকে ২০১৬ টেট নিয়োগের মামলায় বুধবার তাঁকে পেশ করা হয়। বুধবার বিকেলেই এজলাসে ৩ টে ১৬ থেকে ৩ টে ৪৫ অবধি প্রায় ৩০ মিনিট জেরা করেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ এর টেট নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন শুরু করেন, তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এই নিয়োগে কে কে যুক্ত ছিল। নিয়োগকারী কে ছিল? এছাড়া অভিজিৎ বাবু মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞেস করেন, 'টেটের পরীক্ষা  কীভাবে হত,  কীভাবে ফলাফল বেরোত।' বিচারপতি তাকে রেজাল্টের একটি সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেন, বেসরকারি ওই সংস্থার নাম করে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি  কী ওই কোম্পানিটা চেনেন? তিনি বলেন নাম শুনেছি কিন্তু পুরোটা জানি না। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে শেষে মানিক বলেন, 'সত্য সুন্দর, সমানে আসুক।' এরপর মানিক ভট্টাচার্য এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে সময় চেয়ে নেয় বলে তাঁর আইনজীবী সূত্রে খবর।

প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে মানিককে ডেপুটি শেরিফের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে চা, কফি, ঠান্ডা পানীয় দেওয়ার জন্য বলেন বিচারপতি। এর পরই হঠাৎ বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়। এই মানিক ভট্টাচার্য আমাদের ডেপুটি শেরিফের শিক্ষক ছিলেন।’’ এর পর অবশ্য এজলাসের ভিতরে মানিকের সঙ্গে একান্তে প্রায় ১০ মিনিট কথাও বলেন বিচারপতি।

সূত্রের খবর এর পরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনুর কেস ডাইরি পেশ করা হয়। ইডি ওই কেস ডাইরি পেশ করার পর চাঞ্চল্যকর দাবি করে। ইডির আইনজীবী বলেন, ' এই নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক বড় বড় মাথা আছে। যাদের নাম প্রকাশ্য আদালতে বলা যাবে না। কেস ডাইরিতে দিয়েছি দেখে নিন।' এছাড়া বুধবার ইডির আইনজীবী বলেন, 'বাৎসরিক একজনের ৬ লক্ষ টাকা বেতন। তাঁর থেকে এখনও ২০ কোটি টাকার উপরে উদ্ধার হয়েছে।'

one year ago
CBI: 'সিবিআই কতদিনে তদন্ত শেষ করবে?', কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে উষ্মা প্রকাশ জাস্টিস গাঙ্গুলির

রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Case) মামলায় চলা সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়ে ফের উষ্মা প্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। একটি মামলায় এজলাসে উপস্থিত সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, 'আপনার সিবিআই কত দিনে তদন্ত শেষ করবে? লোক বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন। কাল (পড়ুন রবিবার) এক জায়গায় গিয়েছিলাম। সমাজের উপর তলার মানুষ সেখানে ছিলেন। তাঁরা আমাকে একের পর এক প্রশ্ন করেছেন, তদন্ত কবে শেষ হবে, জানতে চেয়েছেন।' 

তিনি জানান, লোক কোথায়, সিবিআইকে লোক বাড়াতে হবে। আমার চোখে যা আসছে তাতে আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত আছে। সেক্ষেত্রে সিটে লোক না বাড়ালে হবে না। প্রয়োজনে অর্ডার দেবো। কারণ সিবিআই আরও বহু মামলার তদন্ত করছে। যদিও এক সপ্তাহ আগেই বিচারপতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। সম্প্রতি সিবিআইয়ের আইও-কে ডেকে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছিলেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথম দিকেই আমি দুর্নীতি লক্ষ্য করেছিলাম। তাই আমি সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। আমি নির্দেশ দিতে পারি, কিন্তু প্রধান কাজ করতে হবে সিবিআইকে। আমি চাই সিবিআই এই কাজটা দায়িত্ব নিয়ে করবে। সিবিআইয়ের পতাকা মাথা উঁচু করে উড়ুক, আমি এটাই চাই। আমি কিছু মন্তব্য করি আমার উদ্বেগ থেকে।

সপ্তাহ ঘুরতেই ফের সিবিআই তদন্ত কতদিনে শেষ হবে, জানতে চেয়ে উষ্মা প্রকাশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

one year ago


Justice: 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাস্টিস গাঙ্গুলির সঙ্গে আমিও লড়াইয়ে', বিস্ফোরক জাস্টিস বসু

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) পর এবার দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Basu)। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এই পরিসংখ্যান হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বাকিটা জলের নিচে আছে। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোন পেশায় নেই!' তিনি জানান, ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙ্গুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এঁরা কেমন শিক্ষক? আমি জানিনা এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা নিয়োগ প্যানেল খারিজ করা উচিৎ। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধভাবে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে।'

সদর্পে তাঁর ঘোষণা, 'বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও তাতে সামিল হচ্ছি।' গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির এক মামলায় এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় ১৮-ই নভেম্বরের মধ্যে সিবিআইকে পরবর্তী রিপোর্ট দিতে হবে। সেদিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে বুধবার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি ভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা ইস্তফা দিন। নয়তো কোর্ট এমন ব্যবস্থা নেবে, যাতে তাঁরা আগামি দিনে কোনও সরকারি চাকরি না পায়। এভাবেই সমঝে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

2 years ago
Avijit: 'আপনি অনেক কিছু করছেন,চালিয়ে যান' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কেন বলেছিলেন মমতা?

যত দিন যাচ্ছে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় (abhijit ganguly) ও আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের (arunavo ghosh) পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সপ্তমে চড়ছে। সম্প্রতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বার কাউন্সিলের (bar council) পক্ষ থেকে। তার জেরে ফের বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন,' আড়াই বছরে ৯৫ টি রায় দিয়েছি। অনেকের ঘরে অর্ডার পড়ে থাকে।' তিনি আরও বলেন কোন মামলা (case) আগে শুনবেন অথবা কোন মামলা পরে শুনবেন সেই বাছাইয়ের এক্তিয়ার তাঁর আছে।

 কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে তাঁর মাতামাতি এই রকম অভিযোগের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন , 'আমি দুর্নীতি পেলে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করি'।

 এ পি ডব্লিউ ডি বিল্ডিং হস্তান্তরের দিন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথোপকথন এজলাসে বসে তিনি নিজেই জানালেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)বলেছিলেন ' আপনি অনেক কিছু করেছেন, আপনি আপনার মতো চালিয়ে যান'

সম্প্রতি একটি উড়ো ব্যানার নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল হাইকোর্ট (highcourt) পাড়ায়। সেই দিনই এজলাসে অরুণাভ ঘোষের সমালোচনায় সরব হন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন 'আমায় বলা হচ্ছে আমি আইন জানি না। ১৭ (সি) ও ১৬৫ আইনের ধারা দুটি আমি বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি। কেউ সেই বিচারে আঙুল তুলতে পারেননি।'

অরুণাভ ঘোষ সম্পর্কে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেন, ' আমার সঙ্গে অরুণাভ ঘোষের শত্রুতা নেই । এজলাসে মতানৈক্য মিটিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু অরুণাভ ঘোষ বাইরে আমার সম্পর্কে বলে বেড়াচ্ছেন।' যত দিন যাচ্ছে উভয়ের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকছে।রাজ্যের বিরুদ্ধে ওঠা অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগের বিচার করছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিচার পদ্ধতি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন অরুণাভ ঘোষ। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ভার্সেস আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ দ্বন্দ্ব ভবিষ্যতে কী রঙ নেয় সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

2 years ago