
শাহরুখের গুনগানে পঞ্চমুখ এবার ব্রাজিলের লেখক পাওলো কোয়েলহো (Paulo Coelho)। পাঠান ছবিটি (Pathaan) দেখে 'রিভিউ' দিলেন 'বাদশাহ'-র বন্ধু কোয়েলহো। বিশ্ববাসীর কাছে ফের জাহির করেছেন দু'জনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। দেখা না হলেও বন্ধুত্বের মাঝে কোনও বাঁধা নেই দু'জনের দিক থেকেই। বরাবর বিশ্ববিখ্যাত লেখক পাওলো কোয়েলহো বন্ধুত্বের দরজা দিয়ে এসেছেন বলিউড বাদশাহকে। যদিও কাজের ব্যস্ততায় এখনও পর্যন্ত দেখা হয়নি একে অপরের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার 'পাঠান' দেখেছেন লেখক। সেই দেখে রীতিমতো আপ্লুত কোয়েলহো। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লেখক সত্ত্বা ফুটিয়ে তুলে লেখকের সংযোজন 'বাদশা', কিংবদন্তি বন্ধু। কিন্তু সব কিছুর উপরে তিনি অসাধারণ একজন অভিনেতা।' শাহরুখ যাঁদের কাছে অচেনা তাঁদের উদ্দেশে লেখকের দাবি, 'পশ্চিমের দেশগুলিতে যদি কেউ ওঁকে না চেনেন, বলে রাখি, ‘মাই নেম ইজ খান অ্যান্ড আই অ্যাম নট আ টেররিস্ট’ দেখে নিন। শাহরুখ কে তা বুঝে যাবেন।'
King. Legend . Friend. But above all
— Paulo Coelho (@paulocoelho) February 2, 2023
GREAT ACTOR
( for those who don’t know him in the West, I strongly suggest “My name is Khan- and I am not a terrorist”) https://t.co/fka54F1ycc
অন্যদিকে নিজের অনুরাগীদের ঝুলিতে ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’-এর লেখককে শুক্রবার জবাব দিয়েছেন শাহরুখ নিজেই। বাদশাহ লিখলেন,'বন্ধু পাওলো, তুমি সবসময় এমনই উদার এবং অকুণ্ঠ। এবার দেখা করো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তার চেয়েও বেশি তাড়াতাড়ি। ঈশ্বরের আশীর্বাদ সঙ্গে থাকুক।'
বিদেশে নাটক করতে গিয়ে দেখা, সেখান থেকে প্রেম আর তার পরেই বাগদান সারেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ দোলন রায় এবং দীপঙ্কর দে। বিয়ের আগে ১৬ বছর একত্রবাস করেছেন তাঁরা। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি মতে বিয়ে সারেন তাঁরা। দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্কে নেই কোনও দাগ, নেই কোনও মনোমালিন্য। যদিও দোলনের মনে রয়ে গিয়েছে একটি আক্ষেপ, যা তিনি শেষমেষ প্রকাশ করেছেন।
'অপুর সংসার' নামক রিয়্যালিটি শো এখন বাংলা টিভির চর্চিত বিষয়। চেনাপরিচিত টলি তারকাদের নিয়ে সেখানে একপ্রকার চাঁদের হাট বসে। এদিন এই শোয়ে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর দে ও তাঁর স্ত্রী দোলন রায়। পুরোনোa স্মৃতিচারণ-সহ বিভিন্ন প্রশ্নে মজেছিলেন দম্পতি। সেই প্রশ্নপালা পর্বের মধ্যেই হঠাৎ অভিনেত্রী দোলন রায় একপ্রকার সুপ্ত বাসনা প্রকাশ করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ছোড়া প্রশ্নে। নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করে অভিনেত্রী বললেন, 'আমার খুব ইচ্ছে হয় মেয়ের মা হতে। আমি নিজে মায়ের খুব কাছের। এখন আমার মায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। সব কিছু তো আর ভাগ করা যায় না। মেয়ে থাকলে বেশ বন্ধুর মতো মিশতাম। মনের সব কথা ভাগ করে নিতাম। আমি মা হলে বেশ বন্ধুর মতো হতাম।'
প্রসূন গুপ্ত: ভারতে সিনেমা জগৎ থেকে আধুনিক হয়ে রাগ সংগীত যুগে যুগে চিরস্মরণীয় হয়েছে। কিন্তু মুখে মুখে সেই গান ঘুরছে কি? সংগীতপ্রেমীরা দুঃখ পেতে পারেন কিন্তু এই প্রশ্ন থাকতেই পারে। এ রাজ্যে আজকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা মঞ্চে আজকের সংগীতশিল্পীরা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অথবা মান্না দে কিংবা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান গেয়ে থাকেন। নিজেদের তেমন গান কোথায়? বিক্ষিপ্ত ভাবে নচিকেতা বা অনুপমরা গেয়েছেন বটে, কিন্তু মনে রেখেছে বা গুনগুন করে গাইছেন ক'জন? নব্য যুগে সিনেমার ধরণ পাল্টিয়ে গিয়েছে, সেখানে গানের প্রয়োজন বোধহয় খুব একটা জরুরি নয়। একই ঘটনা হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রেও।
রাজেশ খান্না অমিতাভ বচ্চনের ছবিতে যেমন গানের প্রয়োজন ছিল, তেমন কিন্তু শাহরুখের বা আমিরের ছবিতে প্রয়োজন হয় না। একেবারেই যে হয় না, তা নয় কিন্তু গানের ছবি হয় কোথায়? সম্প্রতি মুম্বইয়ের খ্যাতনামা গায়ক অভিজিৎ প্রায় চ্যালেঞ্জের সুরে এই বিষয়েই আক্ষেপ করেন। অথচ কুমার শানু, কিশোরকুমারের থেকে অনেক শত গান বেশি গেয়েছেন, প্রশ্ন হচ্ছে সেগুলি কি চিরস্মরণীয়?
লতা,আশা, কিশোর রফি একটি যুগ, একটি মাইলস্টোন। সঙ্গে ছিলেন মান্না দে প্রভৃতি। তাঁদের স্বর্ণযুগের গান আজকেও কেউ ভাঙতে পারেনি। ভাঙা সম্ভব নয়। এটা বাস্তব লতা মঙ্গেশকরের মতো সংগীতশিল্পী ভারত কেন বিশ্বে আসেনি। ৪o-এর শেষ ভাগ থেকে ২০১৫ অবধি এক নাগাড়ে বহু গান সিনেমার জন্য নানা ভাষায় গেয়েছেন এবং তা আজকেও অমর হয়েছে। লতা মূলত নায়িকার লিপে গান করেছেন এবং সেগুলি যুগের সঙ্গে চলেছে। কিন্তু আশা ভোঁসলে সব ধরণের গান যেকোনও শিল্পীর লিপে গেয়েছেন। যার মধ্যে পশ্চিমী সুরের প্রভাব ছিল বেশি।
৫০/৬০ বছর পিছিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে তিনটি আশার গান আজও নিয়মিত মঞ্চে মঞ্চে গাওয়া হয়ে থাকে। পুরাতন হয়নি বিন্দুমাত্র। একটি 'দম মারো দম' একটি 'পিয়া তু অব তো আজা' এবং অবশ্যই রফির সঙ্গে 'চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে যো দিলকো'। শেষের গানটি সুপার হিট ছবি ইয়াদো কি বারাত ছবির। এই ছবির এবছর ৫০ পূর্ণ হলো, গানটিরও।
বিয়ের আগে থেকেই চর্চিত কাপল ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফ (Vicky Kaushal)। যদিও বিয়ের পরেই নিজেদের ভালোবাসার কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। বহু অনুষ্ঠানে একসঙ্গে চিত্রসাংবাদিকদের সামনে হাসি মুখে ধরা দিয়েছেন দু'জনেই। তবে এর মধ্যেই ভিকির এক মন্তব্যে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ভি-ক্যাট (Katrina Kaif) জুটির জনপ্রিয়তা নিয়ে নেটদুনিয়ায় জল্পনার শেষ নেই। সেলিব্রিটি কাপলের বিষয়ে খুঁটিনাটি জানতে উন্মুখ থাকেন অনুরাগীরা।
সেই বিষযগুলি জানতেই চলে সাক্ষাৎকারের পর্ব। তেমনই এক সাক্ষাৎকারে ভিকিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তাঁর মতে একজন আদর্শ পুরুষের সংজ্ঞা কী রকম হওয়া উচিত? উত্তরে ভিকি বলেন, ‘আমি কোনও দিক থেকেই আদর্শ নই। স্বামী, বন্ধু, সন্তান এমনকি, অভিনেতা হিসেবেও নয়। আদর্শ হয়ে ওঠা একটা অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
'উরি' ছবির মুখ্য নায়ক আরও জানান ‘এই আদর্শ ভাবনাটার কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করি মাত্র। তাই আমি কোনওভাবেই একজন আদর্শ স্বামী নই।’ আর এই মন্তব্য নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ভি-ক্যাটের সম্পর্কের জল্পনা। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ‘শ্যাম বাহাদুর’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন অভিনেতা। সারা আলি খানের বিপরীতেও ভিকিকে দেখা যাবে একটি কমেডি ছবিতে। এছাড়াও শাহরুখ খানের ‘ডুনকি’ ছবিতে বিশেষ চরিত্রে থাকতে পারেন ভিকি কৌশল।
টলিপাড়ার (Tollywood) জুটিরা চিরকালই নেটিজেনদের চর্চিত বিষয়। সেই জুটিদের (Couple) মধ্যে একটি হল নীল-তৃণার জুটি। গত বছর যাদের বিয়ে নিয়ে মেতেছিল নেটপাড়া। তবে কিছুদিন যাবৎ টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে তাঁদের। উপরন্তু জুড়ে বসল বিবাহবার্ষিকীতেও নাকি একসঙ্গে থাকছেন না তৃণা-নীল।
গুঞ্জনটা অনেকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে টলিদুনিয়া থেকে নেট দুনিয়ায়। যদিও এর পিছনে বহু কারণও উঠে এসেছে। ২১ জানুয়ারি তৃণা সাহার জন্মদিন ছিল। অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’-এর সেটে উদযাপিত হয়েছিল জন্মদিন। সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি নীল ভট্টাচার্যকে। এদিন আবার শাহরুখ অনুরাগী স্ত্রীকে ছাড়াই পাঠান ছবি দেখতে চলে যান নীল। অভিনেতাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান তৃণা অসুস্থ। এরপর বিবাহবার্ষিকীর প্রসঙ্গে তৃণা সাহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন বিবাহবার্ষিকীতেও আলাদা থাকছেন তাঁরা।
গত বছর তৃণা-নীল জুটি তাঁদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে। সেখানে এবছর একসঙ্গেই থাকছেন না তাঁরা। পরপর এই ঘটনাগুলির বিষয়ে তৃণাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,‘আমার দু’জনেই কাজের বিষয়ে কোনও ঢিলেমি পছন্দ করি না। তাই এবার বিবাহবার্ষিকী আলাদা আলাদাই কাটবে, কিন্তু ভিডিও কলে আছে।’
নতুন সিরিয়াল ও কাজের কারণে বাইরে ব্যস্ত দুজনেই। নেটপাড়ায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এই জল্পনা নিয়ে তৃণার আরও সংযোগ, ‘না থাক না, লোকের যা বলছে বলুক। একটু রহস্য থাকা ভাল।’
প্রেক্ষাগৃহে 'পাঠান' (Pathaan) ঝড় বজায় রাখতে দাম কমছে টিকিটের। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ, দীপিকা ও জন অভিনীত 'পাঠান'। ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই ছবি নিয়ে জনতার উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। আমজনতার সেই আশায় জল ঢালেনি পাঠান, উল্টে মাত্র একসপ্তাহে সমস্ত রেকর্ড ভাঙতেও সক্ষম শাহরুখের (Shah Rukh Khan) ছবি। সেই রেকর্ড ভাঙার পর্যায় বজায় রাখতেই প্রায় ২৫ শতাংশ কমতে পারে এই ছবির টিকিটের দাম। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছবির প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মস (Yash Raj Flims)।
৪ বছর পর শাহরুখের এই প্রত্যাবর্তন ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। ৫৫০ কোটি টাকার গন্ডি ছাড়িয়েছে 'পাঠান'-এর বক্স অফিস কালেকশন। কোভিড আতঙ্ক শেষে ব্যাতিক্রমী কিছু বাংলা ছবি ও দক্ষিণী ছবি বাদ দিয়ে বলিউডের সমস্ত ছবিই মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে 'পাঠান' ঝড় তুলে বাদশা মুখ বজায় রেখেছেন বলিউডের। 'পাঠান'-এর এই ধারা বজায় রাখতেই টিকিট কমানোর সিদ্ধান্ত যশরাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার।
যদিও সপ্তাহের মাঝে 'পাঠান'-এর রাশে টান ধরেছিল। টিকিট কিনতে হলের সামনে ভিড় বাড়াতে এবং বাদশার ছবিকে মধ্যবিত্তদের নাগালে আনতে ছবির প্রজোযনা সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেই অনেকের দাবি। তবে সব জায়গায় কমবে না টিকিটের দাম।
দিন ও জায়গা বিশেষে ১০% থেকে ৩০% পর্যন্ত কমানো হবে ‘পাঠান’-এর টিকিটের দাম। যদিও কবে থেকে কমছে টিকিটের দাম তা এখনও ঠিক করা হয়নি। প্রধানত প্রেক্ষাগৃহে দর্শক কোলাহল বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত বলে একাধিক মহলের দাবি।
বলিউডের অন্যতম চর্চিত দম্পতি বিরুষ্কা। বর্তমানে মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন উত্তরাখণ্ডে। সম্প্রতি ঋষিকেশের দয়ানন্দ গিরি আশ্রমে গিয়েছিলেন অনুষ্কা (Anushka Sharma) ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এমনকি তাঁদের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ঋষিকেশের (Rishikesh) পাহাড়ে ট্রেকিং করতেও দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে।
বিরাট ও অনুষ্কা দু'জনেই নিজেদের ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, লাঠি হাতে পাহাড়ে উঠছেন বিরাট। আর বাবার পিঠে করে পাহাড় চড়ছে ছোট ভামিকা। এমনকি ভামিকাকে বাবার কোলে থেকেই নদীর জল ছুঁতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের প্রকৃতির ছবিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন তাঁরা। দেখে বোঝা যাচ্ছে, দৈনন্দিন জীবনের বাইরে বেরিয়ে বেশ আনন্দে রয়েছেন তাঁরা। অনুষ্কা ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, "পাহাড়ের মধ্যে একটি পর্বত আছে এবং শীর্ষে কেউ নেই।" আর বিরাট কোহলিও হার্ট ইমোজি সহ একটি ছবি শেয়ার করেছেন।
যদিও এদিন আশ্রম সফরে দেখা গেল না কন্যা ভামিকাকে। আশ্রমের সভাঘরে বসে আছেন অনুষ্কা এবং বিরাট। অনুষ্কার পরনে বাদামি রঙের আনারকলি। বিরাট পরেছেন কালো প্যান্ট এবং ঘিয়ে রঙের সোয়েটার। গলার কাছে জড়ানো শাল। চোখে চশমা। মাথায় সবুজ রং-এর টুপি।এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে অনুষ্কা শর্মা(Anushka Sharma) এবং বিরাট কোহলির(Virat Kohli) ছবি। বেটার হাফ বিরাটকে নিয়ে সোজা হিমালয়ের কোলে হৃষীকেশ পৌঁছলেন বলিউড তারকা অনুষ্কা শর্মা। সেখানে উত্তরাখণ্ডে স্বামী দয়ানন্দ গিরির আশ্রমে দেখা যায়‘বিরুষ্কা’(Virushka)কে। কিণ্তু এবারের আশ্রম সফরে দেখা গেল না কন্যা ভামিকাকে। আশ্রমের সভাঘরে বসে আছেন অনুষ্কা এবং বিরাট। অনুষ্কার পরনে বাদামি রঙের আনারকলি। বিরাট পরেছেন কালো প্যান্ট এবং ঘিয়ে রঙের সোয়েটার। গলার কাছে জড়ানো শাল। চোখে চশমা। মাথায় সবুজ রং-এর টুপি।এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
যদিও এই ছবির সত্যতা বিচার করেনি সিএন পোর্টাল। সূত্রের খবর, তাঁরা আশ্রমের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। দম্পতি একটি ভান্ডারারও আয়োজন করবেন বলে জানা গিয়েছে। আশ্রমে ঢুকতেই সকলের নজর কেড়েছেন অনুষ্কা ও বিরাট। অনেকের আবদার মেনে নিয়ে বিরাট এবং অনুষ্কা আশ্রমিকদের সঙ্গে নিজস্বীও তুলেছেন।
২০১৫-য় স্বামী দয়ানন্দের হৃষীকেশের আশ্রমে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে আসে স্বামী দয়ানন্দের নাম। বাড়তে থাকে ভক্ত সংখ্যাও। তবে প্রচারবিমুখ দয়ানন্দ কখনওই সংবাদমাধ্যমে দেখা দেননি।কিছু দিন আগেই বৃন্দাবনের বাবা নিম কারোলির আশ্রমে গিয়েছিলেন তাঁরা। ধ্যান করার পাশাপাশি দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতেও দেখা গিয়েছিল এই তারকা দম্পতিকে। কিণ্তু সেবার সঙ্গে ছিল কন্যা ভামিকা। জানা গিয়েছে, অনুষ্কা এবং বিরাট, দুজনেই বাবা নিম কারোলির ভক্ত।সামনেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন সিরিজ। তার আগে মানসিক ভাবে তৈরি থাকতেই হয়ত এই আশ্রম সফর।
শরীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ছবি দিয়ে "মজা শুরুর" ইঙ্গিত শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের(Srabanti Chatterjee)। সেই ছবিকে ঘিরেই চর্চা শুরু নেটপাড়ায়। মেঝেতে পাতা যোগাসনের ম্যাট, যোগাসনের বিভিন্ন ভঙ্গিতে বসে দেখা গেল তাঁকে।এই মুহূর্তে সিনেমার প্রচারে ও জিমের(Gym) অন্দরেই বেশির ভাগ সময়টা কাটাচ্ছেন শ্রাবন্তী। এর আগেও বহুবার সোশ্যাল মিডিয়াতে বডি শেমিংয়ের মুখোমুখি হতে হয় শ্রাবন্তীকে। ওজন বেড়ে যাওয়ায় হাসির পাত্রীও হয়েছেন তিনি। তবে এসবে তিনি কান দেন না। গ্ল্যামার দুনিয়ার বাসিন্দা তিনি, রোগা তো তাঁকে হতেই হবে। তাই আপাতত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করেছেন শ্রাবন্তী। বিভিন্ন পোজের ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন,"মজা শুরু করা যাক"।
কিণ্তু ছবি দেখে অনেকেরই প্রশ্ন,'পরিপাটি চুল, ঠোঁট গোলাপি! এত সেজে কি জিমে আসা যায়?' বসার ভঙ্গির কারণেও কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। অনেকেই ছবির নিচে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন, এ কেমন মজার কথা বলেছেন তিনি। তবে প্রতিবারের মতো এবারও ট্রোলিং-এর(Trolling) মুখে মৌনতাকেই হাতিয়ার করলেন শ্রাবন্তী। নিত্যদিন শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন বাড়ুক বা কমুক তিনি কিন্তু দিব্যি ফিট। ভোলবদলের অপেক্ষায় তাঁর অনুগামীরা।
৪ বছর পর রাজার মতো কামব্যাক! শাহরুখ খানের সাম্প্রতিক ছবি পাঠান দেখে এই মন্তব্য করছেন সিনে সমালোচকরা। ইতিমধ্যে ৫০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবির বক্স অফিস। আর জিরোর ব্যর্থতার পর তাঁকে আবার রাজার আসনে বসানোর জন্য দর্শক তথা অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞ শাহরুখ খান। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন বলিউডের কিং খান।
এই সাক্ষাৎকারে সম্পূর্ণ অকপট ছিলেন শাহরুখ খান। তিনি জানান, 'মান্নতে একটি বাথরুম আছে, যেটায় তিনি ঢুকেছেন মানেই সকলে জানেন, তিনি কাঁদছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটেছে সেখানেই। বাড়ির বড়রা বলেন, যখন তুমি ব্যর্থ হবে, সবসময় তাঁদের কাছে যাবে যাঁরা তোমাকে নিঃশর্তে ভালবাসে। আমি বড়দের সে কথাই মেনে চলি, আমি বারবার আমার দর্শকের কাছে ফিরে আসি।'
So much love between THIS duo!🫠#Pathaan @iamsrk @TheJohnAbraham pic.twitter.com/2sT0Uqnmdm
— Yash Raj Films (@yrf) January 30, 2023
তাঁর দাবি, 'আমিও ভেঙে পড়ি, আমারও মন খারাপ হয়। কিন্তু ভগবান আমাকে একটা বারান্দা দিয়েছেন, আমি আমার দুঃখের সময়েও সেখানে আসি, আনন্দের সময়েও। এই ৪ দিন গত ৪ বছরকে ভুলিয়েছে।'
তিনি নাকি পেশা বদল করতে চেয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে শাহরুখ খান বলেন, 'আমি তো পেশা বদল করব বলে রান্নাবান্নাও শিখে নিয়েছিলাম! অতিমারি ও লকডাউনের ছুটিতে চুটিয়ে সময় কাটিয়েছেন ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। রান্না করেছেন। এমনকি, পাঠান ছবির সেটেও কলাকুশলীদের খাইয়েছেন নিজের হাতের রান্না।'
বিরল ও কঠিন রোগে ভুগছেন বলি টাউনের (Bollywood) অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ (Ileana D'Cruz)। কিছুদিন আগে এমনই গুঞ্জন উঠেছিল বলিপাড়ায়। বর্তমানে রুপোলি পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও নিজের অভিনয় দক্ষতায় সকলের মন জয় করেছেন। তবে এই মুহূর্তে নায়িকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শেয়ার করা ছবি থেকে তা আরও স্পষ্ট।
অভিনেত্রী নিজে ইনস্টাগ্রামে দুটি ছবির একটি কোলাজ তৈরি করেছেন এবং লিখেছেন, "একটি দিনে কী পার্থক্য হয়েছে।" প্রথম ছবিতে অভিনেত্রীকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তী ফ্রেমে ইলিয়ানাকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসতে দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে তিনি বাড়িতে ফিরে আসার পরে ছবিটি ক্লিক করা হয়েছিল৷ এর সঙ্গে সংযুক্ত টেক্সটে লেখা, "এছাড়া কিছু সুন্দর ডাক্তার এবং ৩ ব্যাগ IV তরল।"
‘বরফি’ অভিনেত্রীর শেয়ার করা ছবিতে আরও দেখা গিয়েছে, তাঁর হাতে IV তরল ইনজেকশন দেওয়া, সেই অবস্থাতেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, তাঁকে তিন ব্যাগ আরও IV তরল গ্রহণ করতে হবে, যা ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে তৈরি তরল পদার্থ। অভিনেত্রী চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, "আমার জন্য আপনাদের উদ্বেগ দেখে আমি সত্যই আপ্লুত। সবার ভালবাসার প্রশংসা করি। তবে আমি আশ্বস্ত করছি যে, আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ। সঠিক সময়ে কিছু ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমার চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।"
উল্লেখ্য, 'রুস্তম' নায়িকা এর আগেই জানিয়েছিলেন বডি ডিসর্মিক ডিসঅর্ডার (BDD)-এ আক্রান্ত তিনি। এই রোগের জেরে তিনি প্রায় আত্মহত্যা করার মুখে পৌঁছেছিলেন!
সমস্ত বিতর্ককে পিছনে ফেলে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে 'পাঠান'(Pathan Movie)। চার দিনে ৪০০ কোটির গন্ডি পেরিয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবি। মন্নতের(Mannat) বাইরে শাহরুখ অনুরাগীদের উৎসবের মেজাজ। অপেক্ষা ছিল একজনেরই, তিনি বলিউড বাদশা শাহরুখ খান(Shahrukh Khan)। রবিবার একে ছুটির দিন, তার উপর ছবি মাত্র চার দিনেই ৪০০ কোটি ছুঁইছুঁই। ছুটির দিন সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে মন্নাতের সামনে। শুধু তার অনুগামীরাই নন,'পাঠান'এর এই সাফল্য়ে খুশি গোটা বলিউডও। যত সময় গড়িয়েছে বাদশাকে একঝলক দেখার উচ্ছ্বাস যেন বেড়েছে। অবশেষে 'দেবদর্শন'। মন্নতের ব্য়লকনিতে এলেন শাহরুখ খান। করজোড়ে ধন্য়বাদ জানালেন তার অনুগামীদের, আবার দু হাত ছড়িয়ে সেই বিখ্য়াত ভঙ্গিতেও দেখা গেল তাঁকে। পিছিয়ে নেই এই ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনও। মুম্বাইয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেল তাঁকে। তবে দেখে চেনার উপায় ছিল না। আপাদমস্তক কালো পোশাকে ঢেকে এসেছিলেন তিনি।
একই দিনই অনুরাগীদের মাঝে 'পাঠান' ছবির দুই তারকা। ‘শাহরুখ শাহরুখ’ ধ্বনিতে গমগম করছে গোটা মন্নত চত্বর। শহরুখের পরনে ছিল কালো শার্ট, কালো ডেনিম, মাথায় ফেট্টি।‘ঝুমে জো পাঠান’-এর হুক স্টেপে পা মেলাতেও দেখা গেল তাঁকে। অন্য দিকে, মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চলের বিখ্যাত প্রেক্ষাগৃহ গ্যালাক্সিতে দীপিকা পাড়ুকোন। নিজের পরিচয় গোপন রেখেই প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের প্রতিক্রিয়া চাক্ষুষ করলেন দীপিকা। ‘পাঠান’ ছবির জন্য প্রথম বার নিয়ম ভাঙল মুম্বইয়ের জনপ্রিয় এই সিনেমা হল। শো শুরু হয় ১২টা থেকে। সময় পাল্টে সকাল ৯ টা থেকে শুরু হল শো। ছবির শেষে ওই হলেই অনুগামীদের সাথে দেখা করলেন অভিনেত্রী।
প্রসূন গুপ্ত: সম্প্রতি একটি বাংলা সিনেমা (Bengali Film) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ছিল। অবশ্য ছবির বিষয়ে আপত্তি নয় বরং বিজেপির মিঠুন ও তৃণমূলের দেবকে নিয়ে। জনমত বলে ওই ছবি প্রজাপতি (Prajapati) দেখে বেশ ভালোই লাগলো। একেবারেই পিতা-পুত্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মায়ের বিয়োগের পর পুত্র ব্যস্ত বাবার এক বান্ধবী জোগাড় করতে ইত্যাদি।
ইদানিং বাংলা ছবি এই সমস্ত বিষয় নিয়েই হচ্ছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ছিল বাংলা ছবি স্বর্নযুগ। সত্যজিৎ রায় থেকে উত্তমকুমার (Satyajit Ray to Uttam Kumar)। ছবি হতো মূলত কোনও সাহিত্যিকের উপন্যাস থেকে যে কারণে ওই যুগে সিনেমাকে মানুষ 'বই' বলতো।
এরপর ৯০-এর দশকে ছবি পাল্টিয়ে গেলো। একেবারে ৯০ বললে ভুল হবে, উত্তমের মৃত্যুর পর থেকে বাংলা ছবি ধীরে ধীরে হিন্দির মতো নাচগান-সহ মারধর ইত্যাদিতে তৈরি হয়েছে। মধ্যে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এই ছবি যার নায়ক ছিলেন চিরঞ্জিত, প্রসেনজিৎ বা তাপস পালরা। উপন্যাস বিদায় নিলো।
গ্রামগঞ্জের মানুষ এই ছবিতেই অভ্যস্থ হয়ে পড়লো। এরপর এলো ফেলুদা বা ব্যোমকেশ নিয়ে ছবি। এই ছবিতে সাসপেন্স বা কিছু গুলিগোলার দৃশ্যও থাকতো। দর্শক এও গ্রহণ করেছিল শহর এবং গ্রামে। কিন্তু ধীরে ধীরে ছবি মার্ খেতে শুরু করলে কলকাতা-সহ দেশের সিনেমা হাউসগুলি উঠেই গেলো ধীরে ধীরে। হল না থাকার ফলে মফস্সল বা গ্রাম সিনেমা থেকে আলাদা হয়ে গেলো।
আজকের সিনেমা বাংলায় হলেও আমূল পরিবর্তিত হয়েছে। হিন্দি ছবিতে কে নায়ক কে ভিলেন সেসব পথ শেষ হয়েছে। এখন একেবারেই সেরা টেকনিক-সহ হলিউডধর্মী অভিনয় এবং ছবি তৈরী হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ছবি হচ্ছে এবং রিলিজ করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মাল্টিপ্লেক্সে। টিকিটের মূল্যের কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। বেসরকারি বিমানের মতো অবস্থা বুঝে মূল্য নির্ধারণ টাকাও উঠে আসছে দেদার।
বাংলা ছবি নিজের দিক পরিবর্তন করে কখনও প্রেম বা প্রেমের ভাঙন অথবা পরকীয়া প্রেম অনেকটা যেন রবি ঠাকুরের নষ্টনীড় বা শেষের কবিতার রিমেক। গ্রাম বা মফস্সলের কথা ভাবে না কেউই কারণ হল নেই। ফলে বাংলা ছবিকেও নির্ভর করতে হয় শহরের দর্শকের উপর এবং হল মালিকের মর্জির উপর। হল মালিক যদি দেখে পাঠান সারাদিন চালালে কোটি টাকা উঠবে তবে কেন তারা প্রজাপতি বা কাবেরী অন্তর্ধান দেখাবে?
পাঠানের সাফল্য বলিউডের বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। এরই মধ্যে ট্যুইটারে নির্বাসন উঠেছে কঙ্গনার। তারপর থেকেই ফের চেনা ছন্দে তিনি। একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন বলিউডের ক্যুইন। যদিও ‘পাঠান’কে গত দশ বছরে সেরা ছবি বলে মতপ্রকাশ করেছেন বলিউডের ‘ক্যুইন’। কিন্তু সেই সঙ্গে বলিউডকে ছেড়ে কথাও বলছেন না তিনি।
‘পাঠান’-এর সাফল্যে খুশি গোটা বলিউড। করণ জোহর থেকে আলিয়া ভাট— সকলের একটাই মত, 'পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালবাসার জয়।' তাঁদের বিরুদ্ধে নাম না নিয়েই সরব হয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, কার ঘৃণা আর কার ভালবাসা? যাঁরা দাবি করছেন ‘পাঠান’ ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তাঁরা যদি আরও এক বার এই কথা বলেন, তাঁদের রীতিমতো শিক্ষা দেবেন বলেই হঙ্কার কঙ্গনার।
প্রসূন গুপ্ত: তরুণ প্রেমের তো বটেই তার সঙ্গে ভিন্ন ধর্মে প্রেম ও সংকট নিয়েই প্রথম ছবি রাজ্ কাপুরের 'ববি' এবার ৫০ বছর পূর্ণ করলো। হিন্দি সিনেমায় ববি একেবারেই নতুন আঙ্গিকে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল রাজ্ কাপুরের। এই ছবি যদি না চলতো তবে তাঁদের পরিবারকে আরকে ষ্টুডিও বিক্রি করে দিতে হতো। সময়টা ১৯৭০, রমরমিয়ে চলছে ভারতীয় সিনেমা। হিন্দি কিংবা বাংলা যখন যে ছবি রিলিজ করেছে, একেবারে পাতে ফেলার মতো না হলেও হিট করে যেত। সে সময়ের প্রথম সুপারস্টার রাজেশ খান্নার আবির্ভাব হয়েছিল। কাজেই শুধু রাজেশ নয় ধর্মেন্দ্র, জীতেন্দ্র এমনকি প্রবীণ দেব আনন্দের ছবিও হিট।
তখন হিন্দি ছবি মানেই ফর্মুলা চিত্র অর্থাৎ প্রেম, গান, নাচ, অ্যাকশন ইত্যাদি। সিনেমা প্রেমীদের তাই পছন্দের ছিলও বটে। রাজ কাপুর বোম্বাই ফিল্মের চিরকালের ব্যতিক্রমী চরিত্র। তিনি ঘোরতর বামপন্থী ছিলেন তাই তাঁর ছবিতে একটা বার্তা থাকতো। যা কিনা পরে ডাব করে কমিউনিস্ট রাশিয়ায় দেখানো যায়। সঙ্গে অবশ্যই শঙ্কর জয়কিষানের সুর ও পিয়ানো একর্ডিয়ান। রাজ্ দেখলেন তাঁর বয়স হয়ে যাচ্ছে, কাজেই এমন একটি ছবি করা যাক যেখানে নানা বয়সে তাঁকে দেখবে জনতা। তৈরি হলো 'মেরা নাম জোকার'।
নিঃসন্দেহে আজকের দিনেও অসাধারণ ছবি। কিন্তু ৪ কোটি টাকার ছবি মুখ থুবড়ে পড়লো। প্রায় দেউলিয়া হয়ে গেলেন রাজ্ কাপুর। তিনি ধরেই নিলেন আর ছবি করবেন না। ১৯৭২-এ ফের একবার একেবারে স্বল্প বাজেটে ছবি করবেন ঠিক করলেন। ববিতে প্রথমেই সুরকার বদলে প্রথমবার নিলেন লক্ষীকান্ত প্যারেলালকে। অভিনয়ে নিলেন পুত্র ঋষি কাপুরকে, আর নতুন মুখ ডিম্পল কাপাডিয়া। সঙ্গে নিলেন শ্যালক প্রেমনাথ, ভায়রাভাই প্রেম চোপড়া, বান্ধবী সোনিয়া সাহানি এবং প্রাণের বন্ধু প্রাণকে। প্রত্যেককে আর্থিক অবস্থা জানানোয় কেউই পয়সা নিলেন না। সব মিলিয়ে খরচ হলো মেরেকেটে ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা।
ছবি রিলিজ করলো, মানুষ রাজেশ খান্নার সিনেমা দেখে চলচিত্রে প্রেমের নানান রূপ চাইছিলো কাজেই ছবি সুপার হিট। কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলে ৫০ সপ্তাহ চলেছিল ববি। আজকেও একই ভাবে সমাদৃত এই ছবি ববি।