
বিপাশা বসু, করণ সিং গ্রোভার (Bipasha-Karan), একদা বলিউডের চর্চিত তারকা জুটি। ৬ বছর সুখী দাম্পত্যেই দিনযাপন এই তারকা দম্পতির। কিন্তু বিপাশা করণের তৃতীয় স্ত্রী, আর তৃতীয় বিয়ে (marriage Controversy) টিকবে না। বিয়ের পর এমন অনেক কটাক্ষ শুনতে হয়েছে বঙ্গ তনয়া বিপাশাকে। একাধিক সাক্ষাৎকারে এই বলিউড অভিনেত্রী আক্ষেপ করেছেন। তবে বিপাশার দাবি, 'করণের মতো কেউ কখনও তাঁকে ভালোবাসেনি। তিনি সৌভাগ্যবান।'
উল্লেখ্য,২০১৬ সালে করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বিপাশা বসু। করণ ২০০৮ সালে অভিনেত্রী শ্রদ্ধা নিগমকে বিয়ে করেছিলেন। ১০ মাস পর তাঁদের বিয়ে ভাঙে। তারপর জেনিফার উইনগেটের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। কিন্তু সে বিয়েও টিকিয়ে রাখতে পারেননি করণ। ২ বছর পর সেই দাম্পত্যে ভাঙন ধরে। এরপর 'অ্যালোন' ছবি করতে গিয়ে আলাপ হয় বিপাশার সঙ্গে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসা এবং বিয়ে।
তবে দু'জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও রাস্তাটা খুব একটা মসৃণ ছিল না বিপাশার কাছে। বিপাশা করণকে বিয়ের ব্যাপারে বাবা হিরক বসু এবং মা মমতা বসুকে জানিয়েছিলেন। মেয়ের সেই কথা শুনেই প্রথমে আপত্তি জানান বিপাশার মা-বাবা। কোনওভাবেই মেয়েকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছিলেন না বসু দম্পতি। কারণ, করণের আগের দু'টি বিয়ে টেকেনি। তাঁরা ভেবেছিলেন, যদি মেয়ের সঙ্গেও বিয়েও না টেকে!
পরে বিপাশা, মা-বাবাকে অনেক বোঝান। খানিকটা অভিনেত্রীর মুখের দিকে চেয়েই করণকে মেনে নিয়েছিলেন বসু দম্পতি। এখন জামাই-শ্বশুর, অর্থাৎ বিপাশার বাবা ও করণ খুব ভালো বন্ধু। বিপাশা সম্প্রতি বলেছেন, এখন তাঁরা খুবই সুখী। একটা সুখী পরিবার।
যা রটে, তা কিছু তো বটে। দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙার সময় প্রথমে তা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। পরে তা সত্যি হল। টিকল না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দ্বিতীয় বিয়েও। তৃতীয়বারের মতো জীবনসঙ্গী করেছিলেন তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু বুশরা মানেকাকে।
কিন্তু সে বিয়েও ভাঙতে চলেছে বলে খবর। যদিও ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠরা এই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সময় খারাপ যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক সমলোচনামূলক বিষয়ে জড়িয়ে পড়ছেন ইমরান। তা নিয়ে কটাক্ষের শিকারও হন তিনি। তারই মাঝে তাঁর তৃতীয় বিয়ে ভাঙার খবর আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। বুশরা নাকি প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে থাকছেন না। থাকছেন ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর বাড়িতে। এই নিয়ে নেটপাড়ায় শোরগোল পড়ে যায়।
বুশরা মানেকার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফারহা খান টুইট করে জানান, ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রয়েছেন বুশরা। ইমরান খান ও বুশরাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রাজনীতিতে কখনই এতটা নিচে নামা উচিত নয়, যেখানে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মিথ্যাচার করতে হয়।
প্রেম দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইনস ডে। এই দিনটা অভিনেত্রী তথা সঞ্চালিকা মন্দিরা বেদীর (Mandira Bedi) কাছে আরও একটি কারণে বিশেষ দিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর এবং প্রয়াত স্বামী রাজ কৌশল (Raj Kaushal) সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের বিধিতে মন্দিরার জীবনে আজ বিষাদ। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে'(Valentine's day)-র দিন স্বামীর স্মৃতিতে ভেসে শেয়ার করলেন বিয়ের দু'টি ছবি।
এই বিশেষ দিনে নিজের ইনস্টাগ্রামে নিজেদের বিয়ের মুহূর্ত শেয়ার করে মন্দিরা লিখেছেন, 'রাজ বেঁচে থাকলে তাঁদের ২৩ তম বিবাহবার্ষিকী আজ উদযাপন হতো। ছবিতে দেখা গিয়েছে টকটকে লাল সাজে মন্দিরা আর তাঁর স্বামী রাজ কৌশলের পরনে সাদা কুর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর ৩০শে জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন ৪৯ বছরের রাজ কৌশল। স্বামীর মরদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে সৎকারও করেছিলেন তিনি। সেই ছবি ভাইরালও হয়েছিল নেটমাধ্যমে।
বলিউডের অন্যতম কন্ট্রোভার্সি কুইন রাখি সওয়ান্ত ভ্যালেন্টাইনস ডে -এর আগের রাতে অনুগামীদের দিলেন বড়সড় সারপ্রাইজ। রীতেশ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর তিন বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী তথা 'মির্চি গার্ল' রাখি সওয়ান্ত।
রবিবার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে নিজের অনুগামীদের উদ্দেশ্যে রাখি সওয়ান্ত একটি পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, তিনি ও তাঁর স্বামী রীতেশ আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিস বস শোয়ের পর থেকে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে। এমন অনেক কিছু রয়েছে যা রাখি জানতেন না। আর জানার পর তা মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাঁর পক্ষে। রীতেশ এবং রাখি দুজনেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে আলাদা থাকাই সঠিক রাস্তা। দুজনে দুজনের মতোই থাকবেন।
রাখি আরও লেখেন, ভ্যালেন্টাইন'স ডে'র পূর্বেই এমনটা হওয়ায় ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। রীতেশকে আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছাও জানান। এখন তিনি কাজে মন দিতে চান। তাঁর জীবনকে সুন্দর করে গুছিয়ে নিতে চান। তাঁকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য তাঁর ভক্তদের ধন্যবাদও জানান।
রাখি সওয়ান্তকে কি আদৌ বিবাহিত? এই নিয়ে বারবার তাঁকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল। সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুরু করে বিগ বস ১৪-তে রাখি বারবার বলেছিলেন, তিনি রীতেশ সিংহকে বিয়ে করেছেন। যদিও কোনও ছবি তিনি সামনে আনতে পারছিলেন না। পরে বিগ বস-এর পনেরোতমতে রাখি রীতেশের সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দেন।
তবে, ৩০ জানুয়ারি বিগ বসের এই সিজন শেষ হয়ে যায়। আর ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রীতেশের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন রাখি।
দীপিকার 'গেহরাইয়াঁ' (Gehraiyaan) -কে 'জঞ্জাল'বলে কটাক্ষ কঙ্গনার (Kangana Ranaut)। দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে দীপিকা পাডুকোন (Deepika Padukone) এবং 'গেহরাইয়াঁ'র প্রসঙ্গে উঠতেই সাংবাদিকদের উপর রেগে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। তিনি বলেছিলেন, অন্যের ছবির প্রচারে আগ্রহী নয় তিনি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে শকুন বাত্রার পরিচালনায় ও প্রযোজক করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনে 'গেহরাইয়াঁ'। যার মুখ্য চরিত্রে দীপিকা পাডুকোন, অনন্যা পাণ্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, ধৈর্য্য কারওয়ারা-সহ আরও অনেকে। এবার 'গেহরাইয়াঁ'র প্রসঙ্গ টেনে শনিবার রাতে নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট করেন কঙ্গনা।
'হিমালয় কি গোদ মে'(১৯৬৫) সিনেমা থেকে মনোজ কুমার ও মালা সিনহার জনপ্রিয় গান 'চান্দ সি মেহবুবা মেরি' শেয়ার করেন তিনি। আর সেই গানের সঙ্গে লেখেন, তিনিও মিলেনিয়াল। কিন্তু তিনি এই ধরনের রোম্যান্সের সঙ্গে একাত্মবোধ করেন এবং সেগুলো উপলব্ধিও করেন। তিনি অনুরোধ করেন, মিলেনিয়াল এবং নিউ এজ অথবা আরবান মুভির নাম নিয়ে 'জঞ্জাল' বিক্রি না করতে। খারাপ সিনেমা সবর্দাই খারাপই। দেহ প্রদর্শন বা পর্নোগ্রাফি দেখালেও সেটাকে কেউ বাঁচাতে পারবেন না। এটা খুব নর্মাল একটি বিষয়, এর মধ্যে কোনও ' গেহরাইয়াঁ-ওয়ালি' বিষয় যুক্ত নেই।
দেখুন সেই ইনস্টা পোস্ট:
প্রসঙ্গত, এর পূর্বেও বহুবার দীপিকাকে তীব্র সুরে আক্রমণ করেছিলেন। দীপিকা 'ডিপ্রেশন বিজনেস' চালায় বলে কঙ্গনা বলেন। বলাই যায়, দীপিকা আর কঙ্গনার ঠান্ডা লড়াই বহু পুরোনো। অকপট বক্তা কঙ্গনার নিশানায় সবসময় থাকেন দীপিকা তা স্পষ্ট।
বিপত্তি যেন কাটতেই চাইছে না শিল্পা শেট্টির। ফের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল অভিনেত্রী (Shilpa Shetty), তাঁর মা এবং বোন শমিতার (Shamita Shetty) বিরুদ্ধে। এক গাড়ি ব্যবসায়ীয় অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের আন্ধেরি আদালত (Mumbai Court) তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পারহাদ ফিরোজ আমরা নামের এক গাড়ি ব্যবসায়ী জুহু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, '২০১৫ সালে শিল্পার বাবা সুরেন্দ্র শেট্টি ব্যবসার প্রয়োজনে তাঁর কাছ থেকে ২১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোধের কথা দিয়েছিলেন সুরেন্দ্র শেট্টি। কিন্তু শিল্পার বাবা প্রয়াত। তবে সেই ব্যবসার অংশীদার শিল্পা-সহ তাঁর মা এবং বোন।' সেই ব্যবসায়ী অভিযোগে আরও জানিয়েছে, এখন সেই টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছর পর্ণকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রার। এমনকী জেল পর্যন্ত হয়েছে রাজ কুন্দ্রার। বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন রাজ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে রাজ এবং শিল্পার দাম্পত্য। তার মধ্যে নতুন এই বিতর্কে ফের অভিনেত্রীর ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে। আর তা নিয়েই এখন শোরগোল শুরু টিনসেল টাউনে।
কর্ণাটকের হিজাব-কাণ্ড (Hijab Row) কন্নড়ভূম পেরিয়ে এখন আসমুদ্র হিমাচলের বিতর্কের বিষয়। যার প্রভাব পড়েছে বলিউডেও (Bollywood)। ইতিমধ্যে পক্ষে এবং বিপক্ষে সরব হয়েছে একাধিক পরিচিত মুখ। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সোনম কাপুর (Sonam Kapoor), কঙ্গনা রানাউত, জাভেদ আখতারের। সোনম যেখানে হিজাব পরার পক্ষেই সুর চড়িয়েছেন। সেখানে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে কঙ্গনা (Kangna Ranaut)। ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, 'যদি সাহস দেখাতে হয়, তাহলে আফগানিস্তানে বোরখা না পরে বেরিয়ে দেখান।' এবার মণিকর্ণিকার এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব প্রবীণ অভিনেত্রী শাবানা আজমি।
শাবানা ট্যুইটে লিখেছেন, 'ভুল হলে সংশোধন করে দেবেন। আফগানিস্তান একটি ধর্মরাষ্ট্র। কিন্তু শেষবার জেনেছিলাম ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল কি?' যদিও শাবানার অবস্থানের বিপরীত মেরুতে অভিনেত্রীর স্বামী জাভেদ আখতার। প্রখ্যাত এই গীতিকার ট্যুইটারে লেখেন, 'ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে আমি হিজাব বা বোরখা পরাকে সমর্থন করি না। তবে সেদিন কয়েকজন উন্মক্ত যুবক ছাত্রীদের যেভাবে হেনস্থা করেছেন, তা নিয়ে আমার আপত্তি আছে।'
দেখুন সেই ট্যুইট:
Correct me if Im wrong but Afghanistan is a theocratic state and when I last checked India was a secular democratic republic ?!! pic.twitter.com/0bVUxK9Uq7
— Azmi Shabana (@AzmiShabana) February 11, 2022
অপর এক প্রবীণ অভিনেত্রী তথা সাংসদ হেমা মালিনীর মন্তব্য, 'বিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য। সেখানে ধর্ম নিয়ে আসা উচিৎ নয়। প্রতি স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক রয়েছে। তাকে সম্মান জানানো উচিৎ। স্কুলের বাইরে যে কোনও পোশাক পরা যেতেই পারে।' এদিকে, বলিউডের নারীবাদী হিসেবে পরিচিত সোনম কাপুর নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পাগড়ি পরিহিত এক ব্যক্তি এবং হিজাব পরা এক মহিলার ছবি পোস্ট করেন। তাঁর প্রশ্ন, 'পাগড়ি পরার স্বাধীনতা থাকলে, হিজাবে নয় কেন?'
তসলিমা নাসরিন(Taslima Nasrin) আর বিতর্ক যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাঁর লেখা বইয়ের জন্য বারবার তাঁকে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় করা তাঁর বিভিন্ন পোস্টকে ঘিরেও জন্ম নেয় বিতর্ক। প্রেমের সপ্তাহে এবার তাঁর প্রেম জীবন নিয়ে ফেসবুকে (facebook post) আলোচনা করলেন এই লেখিকা।
ফেব্রুয়ারি মাস মানেই প্রেমের মাস। শহরজুড়ে আজ প্রেমের মরশুম। চলছে রোজ ডে, প্রপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, আর শুক্রবার প্রমিস ডে। আর তাঁর আগের রাতেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে উজাড় করলেন তসলিমা। বরাবরই ঠোঁট কাটা স্বভাবের এই লেখিকা। এবার সেটাই আরও একবার ধরা পড়ল তাঁর এই পোস্টের মাধ্যমে।
দেখুন সেই ফেসবুক পোস্ট:
পোস্টে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, 'তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে। ইউরোপের দেশগুলোয় হাটেমাঠে ঘাটে ইউরোপীয় প্রেমিককে তো চুমু খেয়েইছি। ঘোর পূর্ণিমা-রাতে যৌনতায় মেতেছি নির্জন সমুদ্রপাড়ে। চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড় অরণ্যে একসঙ্গে কাটিয়েছি দু'জনে। কারণ, আমার কাছে যৌনতা সবসময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার নির্বিশেষে।'
এরপর পশুদের প্রসঙ্গে টেনে আনেন তিনি। ক্ষোভের সুরেই তিনি বলেন, 'পশুদের থেকে শেখা উচিত কীভাবে যৌন জীবন উদযাপন করতে হয়। আক্ষেপের সুরে বলেন,'বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কী না চার দেওয়ালের ভিতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করবে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গিয়েছে, আর কতদূরে সরবে! মানুষগুলো দিনদিন, দু'পেয়ে রোবট হয়ে উঠছে। আসল সঙ্গমগুলোও আর সঙ্গম নেই। সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালোবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।'
এই পোস্টের পর লাইক, কমেন্টে ভরে যায় তাঁর পোস্ট। কেউ কেউ তীব্র আক্রমণ করে বসেন। আবার কেউ কেউ তাঁর এই বার্তাকে সমর্থন করেন।
রবিবার প্রয়াত হয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar Death)। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সঙ্গীতজগত থেকে শুরু করে শিল্পীমহল এবং তাঁর অনুগামীরা। এখনও অনেকে তাঁর না ফেরার দেশে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর মৃত্যুর পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। এদিকে, লতা দিদির চলে যাওয়ার কষ্ট সামলে সব নিয়মনীতি মেনেই চলছে তাঁর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া (Last Rites of lata)।
সব রীতিনীতি পালন করছেন তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে সেই উদ্দেশ্যে নাসিক পৌঁছে যান দিদির পরিবারের সদস্যরা। অস্থি বিসর্জন করেন গোদাবরী তীরে অবস্থিত রামকুণ্ডে। অস্থি বিসর্জনের সেই ছবি ধরা পড়েছে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে, আশা ভোঁসলে-সহ ভাইপো আদিনাথ মঙ্গেশকর এবং আরও অনেককে।
উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে 'সরস্বতীর বরকন্যা'র বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনা আর নিউমোনিয়ার জোড়াধাক্কা সামলে উঠলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন সকলের প্রিয় লতা দিদি। রয়ে গেল 'উসকি আওয়াজ।'
শুক্রবার অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি আমাজন প্রাইমে (Amazon Prime) মুক্তি পেতে চলেছে দীপিকা পাডুকনের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'গেহরাইয়াঁ' (Gehraiyaan)। ছবির পরিচালক শকুন বাত্রা ও প্রযোজক করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন। ইতিমধ্যে ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিনেমা রিলিজের অপেক্ষায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকা (Deepika Padukone) একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেই ছবির কমেন্ট বক্স ভরে গিয়েছে অনুগামীদের একাধিক প্রশ্নে। তার মধ্যে যে প্রশ্নটি বারবার উঠে আসছিল তা হল, গেহরাইয়াঁতে সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলি শুটিংয়ের সময় রণবীর সিংয়ের অনুমতি নিয়েছেন? এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন দীপিকা।
ওই সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাডুকোন বলেন, 'এ ধরনের বিষয় নিয়ে কথা বলা বোকামি। তিনি কখনও কমেন্ট পড়েন না। রণবীরও কমেন্ট পড়ে বলে তাঁর মনে হয় না। যাঁরা এ প্রশ্ন করছেন তাঁরা বোকা বোকা প্রশ্ন করছেন। এছাড়াও কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেছিলেন, 'রণবীর এবং তিনি দু'জনেই অভিনয়ের ব্যাপারে স্বাধীন। রণবীর এই ছবির ট্রেলার দেখে খুবই খুশি। দীপিকার কেরিয়ারের সেরা ছবি গেহরাইয়াঁ বলেও মন্তব্য করেছিলেন রণবীর।'
উল্লেখ্য, 'গেহরাইয়াঁ'-তে দীপিকার পাশাপাশি মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অনন্যা পাণ্ডে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, ধৈর্য্য কারওয়ারা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে নাসিরুদ্দিন শাহ, রজত কাপুরের মত অভিনেতাদের। এই ছবির মাধ্যমে আধুনিক জীবনের প্রেম-ভালোবাসা, ঘনিষ্ঠতা এবং সম্পর্কের ওঠাপড়া এবং অপরাধবোধকে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন পরিচালক শকুন বাত্রা। এখন দেখার মুক্তির পর কতটা জনপ্রিয়তা পায় এই ছবি।
বাঙালি সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার অস্কারের (Oscar) মঞ্চে বাঙালি পরিচালক (Bengali Director) সুস্মিত ঘোষ। যদিও আশা জাগিয়ে অস্কার মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পায়নি জয় ভীম (joy Bheem) ছবি। প্রাথমিক তালিকায় দক্ষিণী পরিচালক জ্ঞানভেলের এই ছবি মনোনয়ন পেলেও, বিদেশি ছবি বিভাগের চূড়ান্ত দৌড় থেকে ছিটকে যায় ছবিটি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতীয় তথ্যচিত্র 'রাইটিং উইথ ফায়ার' (Writing with fire)। ৯৪ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য এবার লড়াইয়ে আছেন দিল্লির রিন্টু থমাস এবং পরিচালক সুস্মিত ঘোষ। উল্লেখ্য, এই তথ্যচিত্রের হাত ধরেই ছবির জগতে হাতেখড়ি দুই পরিচালকের।
'রাইটিং উইথ ফায়ার'-এর পরিচালকদ্বয় তুলে ধরেছেন ২০০২ সাল থেকে কীভাবে এক দলিত মহিলা এক সংবাদপত্রকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। কীভাবে একদল মহিলা তাঁদের চিফ রিপোর্টারের নেতৃত্বে একটি সংবাদপত্রকে প্রিন্ট থেকে ডিজিটালে নিয়ে আসার লড়াই চালিয়েছেন। আর সেই লড়াইয়ের অন্যতম অস্ত্র সাহস এবং স্মার্টফোন। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে সাফল্য পেয়েছে এই তথ্যচিত্র। এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’। এখন দেখার বাঙালি পরিচালকের চলচ্চিত্র সেরার সেরা মঞ্চে নিজের জায়গা করে নিতে পারে কিনা।
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar Funeral) শেষকৃত্যে থুতু বিতর্কে শাহরুখ খানের পাশেই শিবসেনা। ইতিমধ্যে কিং খানের (Sharukh Khan Spit) সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর এবং রাখি সাওয়ান্ত। এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে শিবসেনা (ShivSena) সরাসরি শাহরুখের সমর্থনে এগিয়ে এল। দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত (MP Sanjay Raut) মিথ্যা রটানোয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করেন।
তিনি বলেন, 'যেভাবে শাহরুখ খানকে ট্রোল করা হচ্ছে, তা লজ্জাজনক। লতাজির মৃত্যুর দুঃখজনক ঘটনার মধ্যেই কিছু মানুষ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন। আমরা সবাই জানি তাঁরা কারা।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা অরুণ যাদবের ট্যুইট প্রথমে এই বিতর্ক উসকে দিয়েছে। তারপর নানাভাবে লতা দিদির মৃতদেহে থুতু ছিটিয়েছেন বলিউডের কিং খান। এমন একটা সমালোচনা শুরু হয়েছিল।
দেখুন অরুণ যাদবের ট্যুইট:
যদিও ইসলাম ধর্ম মতে শাহরুখ খান যেটা করেছেন, তাকে আয়াত বলে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আয়াতের মাধ্যমে ফুঁ দিয়ে মৃতদেহের সঙ্গে থাকা নেতিবাচক শক্তিকে সরিয়ে সেই ব্যক্তির জন্নত যাত্রা নিশ্চিত করা হয়। আর দোয়ার পর আয়াত করে সেই কাজটা করেছেন শাহরুখ খান। এমনটাই বলছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা।क्या इसने थूका है ❓ pic.twitter.com/RZOa2NVM5I
— Arun Yadav (@beingarun28) February 6, 2022
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর প্রিয় নাতনি তথা অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুরও (Shraddha Kapoor)। তিনি প্রয়াত শিল্পীর উদ্দেশে এদিন টুইটে (Tweet) লেখেন, 'তোমার সঙ্গে মূল্যবান মুহুর্তগুলি ভাগ করে নেওয়ার সম্মান আমি চিরকাল মনে রাখব। আমার মাথায় তোমার হাত, তোমার উষ্ণ দৃষ্টি, তোমার প্রেমময় শব্দ কোনওটাই ভোলার নয়। তোমার সারল্য, দেবত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং অনুগ্রহের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। সত্যিই তুমি সর্বকালের সেরা!
জানা গিয়েছে শ্রদ্ধা ও লতা মঙ্গেশকরের পারিবারিক যোগও রয়েছে। শ্রদ্ধা কাপুরের মায়ের বাবা পণ্ডিত পান্ধরীনাথ কোলহাপুর ছিলেন লতার খুড়তুতো ভাই।
শ্রদ্ধার মাসি এবং অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলহাপুরে আবার কিংবদন্তী গায়িকার ভাগ্নি। তিনিও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। পদ্মিনী বলেন, 'ছোটবেলায় তিনি লতাজিকে দেখে অবাক হয়েছিলেন। সুরসম্রাজ্ঞী তাঁকে এবং তাঁর বোন শিবাঙ্গীকে প্রচুর সুন্দর উপহার দিতেন।'
পদ্মিনী কোলহাপুরে এক টুকরো পুরোনো স্মৃতি শেয়ার করে লেখেন, 'এক ছবিতে সকল কিংবদন্তীরা। একই মঞ্চে লতা মঙ্গেশকর, দিলীপ কুমার, কিশোর কুমার, সায়রা বানু, লীনা চন্দ্রভড়কর, ঊষা মঙ্গেশকর। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন সরস্বতীর বরকন্যা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনা আর নিউমোনিয়ার জোড়া ধাক্কা সামলে উঠলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন বলিউডের লতা দিদি।
রবিবার (Sunday) সন্ধ্যায় (evening) শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের কিং খান। ওইদিন তিনি বেদিমঞ্চে উঠে প্রার্থনার অঙ্গ হিসেবে মাস্ক নামিয়ে ফুঁ দিয়েছিলেন। তাকেই কেউ কেউ থুতু বলে ভুল ব্যাখ্যা করায় শুরু হয় বিতর্ক। মুসলিম রীতি অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির জন্য ‘দুয়া’ করার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ফুঁ দেওয়া হয়। এর ফলে মৃত ব্যক্তির থেকে অশুভ শক্তিকে দূরে সরানো যায় বলে প্রচলিত রয়েছে। রেওয়াজ মেনে একই কাজ করেছিলেন শাহরুখ(Shaharukh Khan)। এবার এই বিতর্কের মাঝেই শাহরুখের পাশে দাঁড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী তথা রাজনীতিক ঊর্মিলা মাতোন্ডকর (Urmila Matondkar)।
যাঁরা সমস্ত ব্যাপারটা সঠিকভাবে না জেনে মন্তব্য করতে শুরু করে দিয়েছেন, তাঁদের একহাত নিলেন ঊর্মিলা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমাদের সমাজের অবনতি এতটাই হয়েছে যে, প্রার্থনাকেও থুতু বলে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ যাঁকে নিয়ে করা হচ্ছে, সেই মানুষটাই এতগুলো আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এটা দেখেই দুঃখ হয়, রাজনীতি করতে গিয়ে মানবিকতাকেও বিসর্জন দিচ্ছেন অনেকে।"
উল্লেখ্য, রবিবার বাগদেবীর বিসর্জনের দিন সকালে সরস্বতীর বরকন্যাকে হারিয়েছে গোটা দেশ। ৯২ বছর বয়সে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে প্রয়াত হন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। সেদিন সন্ধ্যায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শিবাজি পার্কে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে লতাজির। প্রয়াত 'ভারতরত্ন'কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মুম্বই পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লতা দিদির অসংখ্য গুণমুগ্ধ এবং অনুরাগী। সেই তালিকায় নাম আছে সস্ত্রীক সচিন তেন্ডুলকর এবং শাহরুখ খানের। এঁরা প্রত্যেকেই শেষ শ্রদ্ধা জানান ভারতরত্নকে। কিন্তু শিবাজি পার্ক থেকে কিং খানের 'দুয়া'র ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে 'বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য'। একদিকে শাহরুখ যখন তাঁর ধর্মমতে 'দুয়া' করছেন, তাঁর ঠিক পাশেই হাত জোড় করে 'প্রার্থনা' করছেন পূজা। ভিন ধর্মের দুই ব্যক্তির প্রার্থনার রকম ভিন্ন হলেও, তাঁদের উদ্দেশ্য এক, প্রার্থনার মাধ্যমে শেষযাত্রায় লতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো। দুয়া করার সময় রীতি অনুযায়ী মাস্ক সরিয়ে 'ফুঁ' দেন শাহরুখ। আর তা নিয়েই রাজনৈতিক মহল শুরু করে বিতর্কিত মন্তব্য।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত মহাভারতের 'ভীম' (Bheem of Mahabharat) প্রবীণ সোবতি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে প্রয়াত অভিনেতার (Actor Pravin Sobti Dies) মেয়ে বলেন, 'সোমবার রাত ৯টা ৩০ নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন তাঁর বাবা। দিল্লির বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত তিনি।'
দূরদর্শনে সম্প্রচারিত বিআর চোপড়ার মহাভারত তাঁকে পরিচিতি দিলেও বলিউডের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। অমিতাভ বচ্চনের শাহেনশা এবং ধর্মেন্দ্র অভিনীত লোহা ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাঁকে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি আজ কা অর্জুন, আজুবা এবং ঘায়েল ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রবীণ সোবতি। ডিসকাস এবং হ্যামার থ্রোয়ার হিসেবে এশিয়ান গেমসে পদকজয়ী তিনি। ১৯৬৮ মেক্সিকো এবং ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বিএসএফ-র ডেপুটি কমান্ডান্ট হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ। ভারতীয় ক্রীড়ার সেরা সম্মান অর্জুন পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ২০১৩ সালে আম আদমি পার্টির টিকিটে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এই অভিনেতা।