Breaking News
Railway: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পরিবারের কেউ নিখোঁজ! সনাক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থা রেলের      Train Accident: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা! মৃত অন্তত ১০০      ED: মানিকের ফোন থেকেই কালীঘাটের কাকুর খোঁজ, ইডির কাছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য      DA: অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়      Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়      Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের      IPL: আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই বনাম গুজরাত, বৃষ্টি হলে কে জিতবে!      Prerona: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেরণার উদ্দেশে ভাষা সন্ত্রাস 'অনুপ্রেরণার'      kuntal: 'ব্যক্তিগত আলাপ নেই,' ভোল বদল অভিষেকের বক্তব্যে বুক চওড়া হয়ে যাওয়া নেতা কুন্তলের      Arjun: '৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে অপরাধী ধরবে?' ব্যারাকপুরে শুটআউটের ঘটনায় পুলিসকে তোপ সাংসদ অর্জুনের     

রাজ্য

রাজ্যে বাসভাড়া বাড়ছে না, জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী

বাসের ভাড়া বাড়ছে না। ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয়। বাস মালিকদের পরিষ্কার জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তার বদলে বিকল্প জ্বালানি বা ব্যাটারি চালিত বাস কত তাড়াতাড়ি এবং কিভাবে রাস্তায় নামানো যায়, তা নিয়ে নভেম্বরের ১৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই তিনি তাঁদের অনুরোধ করেন, ভাড়া বাড়াবেন না। সরকার তাঁদের পাশে আছে। তাঁদের যে অসুবিধা হচ্ছে, সেটা সরকার জানে। তা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। 

রাজ্য সরকারের যুক্তি, কেন্দ্র তেলের দাম বাড়িয়েই যাবে, আর রাজ্য বাসভাড়া বাড়িয়ে যাবে, এটা কোনও সমাধান নয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন। পুনে থেকে এক বিশেষজ্ঞকে আনা হচ্ছে। তিনি পুরনো ডিজেল চালিত বাসকে ব্যাটারি চালিত করতে পারেন। যদি এটা করা সম্ভব হয়, তাহলে কলকাতার বুকে চলা সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলির ক্ষেত্রে বড় সুরাহা হবে। সিএনজি কোম্পানিগুলির সঙ্গে কথা চলছে। ডাকা হবে দেশের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদেরও। ২০২২ থেকেই ধাপে ধাপে বাস শিল্পের অচলাবস্থা কাটিয়ে একটা পাকাপাকি সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।

কিন্তু প্রশ্ন হল, ২০২২ আসতে তো এখনও বেশ কয়েকটা দিন বাকি। অথচ বাসমালিকরা ইতিমধ্যেই নিজেদের মর্জিমতো বিভিন্ন রুটে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাত্রীরা বহু ক্ষেত্রে বাধ্যও হচ্ছেন সেই ভাড়া দিতে। এই সমস্যার এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র রাজ্য সরকার বের করতে পারেনি। যদিও নিত্যদিন পথেঘাটে এই নিয়ে বচসা, অশান্তি লেগেই আছে। এই সমস্যা প্রথম যখন মাথাচাড়া দেয়, তখন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাওয়াই দিয়েছিলেন, যে বাস বেশি ভাড়া নেবে, তার টিকিট নিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। সরকার ব্যবস্থা নেবে। প্রশ্ন হল, কাজেকর্মে রাস্তায় বেরিয়ে ২-৪ টাকার জন্য কেউ কি অভিয়োগ জানাতে যাবে? এ ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও এখনও জানা যায়নি। 

তাহলে সমাধান কী? সরকার বলবে ভাড়া বাড়বে না, তাতে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বে। অন্যদিকে অনুদানের কথা বলে বাসমালিকরা যথেচ্ছভাবে বেশি ভাড়া নিয়ে যাবেন, এটাই কি কাম্য?


2 years ago
আন্দোলনের ১৯ দিন পার

এসএলএসটির চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ১৯ দিন। ২০১৬ সালে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের এসএলএসটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। যোগ্য হওয়ার পরও পাননি নিয়োগপত্র। এখনও অধরা সমাধান।


2 years ago
স্বপ্নের ডুব অটো চালকের

স্বপ্ন ৮ ঘণ্টা জলের তলায় থেকে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলা। অন্তরায় অর্থ। সরিষার উত্তর কামারপুরের রিজুয়ান লস্করের দক্ষতায় অবাক প্রত্যেকে।


2 years ago


বিধান বিশ্বাসের পুজোয় চাঁদের হাট

মঙ্গলবার ধনতেরাসের পুণ্যলগ্নে উদ্বোধন হয়ে গেল বিরাটির জোনাকি সমাজসেবী সংস্থা কালীপুজোর।পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, সৌগত রায়, তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ অন্যান্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।


2 years ago
পরিবেশবান্ধব বাজিতে "হ্যাঁ"

হাতে গুনে আর মাত্র ক-দিন। তারপরই কালিপুজো। এবছর যেকোনও ধরণের বাজিতে না ছিল হাইকোর্টের। তবে এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল উত্সবে পোড়ানো যাবে বাজি। তবে তা অবশ্যই হতে হবে পরিবেশবান্ধব। খুশির হাওয়া বাজিবাজারে।


2 years ago


১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে বাধার অভিযোগ

১০০ দিনের প্রকল্পের কাজে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার  অভিযোগ। এরপরই বিজেপি-তৃণমূলের  মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।জখম হন ৩ জন।


2 years ago
৮-৯ হাজারে ব্যাটারি চালিত সাইকেল শিক্ষকের

রাজ্যে ইতিমধ্যেই পেট্রোল-ডিজেল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। একদিকে যেমন চাকা ঘোরাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাস মালিকরা, অন্যদিকে বাসভাড়া বৃদ্ধিতে অসন্তুষ্ট নিত্যযাত্রীরা। যাঁরা গাড়ি বা বাইক নিয়ে অফিস যেতেন, তাঁরা এখন খুঁজছেন বিকল্প রাস্তা। এই বেসামাল পরিস্থিতিতে অভিনব পথ দেখালেন পেশায় শিক্ষক, বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা জয়ন্তকুমার মণ্ডল।  

পুরনো একটি সাইকেলকে ব্যাটারি চালিত সাইকেলে রূপান্তরিত করেছেন তিনি। আর এই কাজ করতে তাঁর খরচ হয়েছে মাত্র ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। কেউ যদি আরও উন্নত মানের ব্যাটারি লাগাতে চান, তাহলে খরচ কিছুটা বাড়বে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। 

তবে বাজারে ব্যাটারি চালিত সাইকেল নেই, এমনটা নয়। কিন্তু তাদের দাম আকাশছোঁয়া। সেই জায়গায় এই শিক্ষক যেভাবে অল্প খরচের মধ্যে ব্যাটারি চালিত সাইকেল তৈরি করেছেন, তা নজিরবিহীন বলেই অনেকে মনে করছেন।

ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, এই সাইকেল একবার চার্জ দিলে চলে ৩০ কিলোমিটার। একবার চার্জ দিতে খরচ হয় ৬ থেকে ৭ টাকা। আর তাতেই তিনি নিজের স্কুলে যাতায়াত করেন এবং বাজারঘাটও করেন। এতে যেমন তাঁর বাইকের খরচ কমছে, ঠিক তেমনি দূষণ থেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে পরিবেশকে।

উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধিতে শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি বাসের ওপরও চাপ পড়েছে। লোকসান মেনে নিয়ে তাঁরা কতদিন বাস চালাতে পারবেন, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। বেসরকারি বাস মালিকদের স্পষ্ট বক্তব্য, ভাড়া আরও না বাড়ালে বাস চালানো পুরোপুরি বন্ধ করতে বাধ্য হবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ভাইফোঁটার পর বাস মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

বারবার দেখা যাচ্ছে, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে বাস কন্ডাক্টরদের দ্বন্দ্ব। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রোজকার যাতায়াতের ভাড়া একলাফে এতটা বেড়েছে যে তাতে তাঁদের সামগ্রিক খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এদিকে এই লকডাউনে কেউ ৫০ শতাংশ মাইনে পেয়েছেন, তো কেউ কেউ মাইনেই পাননি। আবার কেউ তো পুরো সময়টা ঘরে বসাই ছিলেন। 

এই পরিস্থিতিতে স্বল্প খরচে উপায় বের করে দেখালেন জয়ন্তকুমার মণ্ডল। এমন নতুন ধরনের সাইকেল তৈরি করার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন তাঁর বাড়িতে।

2 years ago
হাওড়ায় লোকাল ট্রেন আগের মতোই ভিড়ে ঠাসা!

বুধবার সকাল। একের পর এক লোকাল ট্রেন ঢুকছে হাওড়া স্টেশনে। ট্রেনের ভিতরে চোখ যেতেই বুক যেন শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এ কী দৃশ্য! যাত্রীদের ভিড়ে তিলধারণেরও জায়গা নেই। সিটে ঠাসাঠাসি করে বসে রয়েছেন যাত্রীরা। বগির মধ্যে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অজস্র যাত্রী। ঝুলেও যাতায়াত করছেন অনেকে।

ট্রেনের ভিতরে হোক বা প্ল্যাটফর্মে। যাত্রীদের অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। বহু যাত্রীর মুখের মাস্ক হয় হাতে ধরা, নাহলে ঝুলছে থুঁতনিতে। তবে কারোরই মুখে মাস্ক নেই, এটা বলা যাবে না। বহু সচেতন যাত্রী অবশ্য মাস্ক পরেই ঘোরাফেরা করছেন।

প্রশাসন, চিকিৎসক ও বিভিন্ন মহল থেকে যাত্রীদের কোভিডবিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে বারবার। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের কথাও বলা হয়েছে। অতি সম্প্রতি লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে চলাচল শুরু হলেও সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন থেকে বুধবার, এই তিনদিনে যে চিত্র ধরা পড়ল, তাতে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন রেল যাত্রীরাই। তাঁদের অভিযোগ, লোকাল ট্রেন চলছে ঠিকই, কিন্তু তা নির্দিষ্ট সময়ে চলছে না। দেরিতে চলার কারণে ভিড় বাড়ছ। তাই অনেকেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।

এদিকে পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির আগে যেমন ট্রেন চলত, প্রায় একই সংখ্যক লোকাল ট্রেন চলছে হাওড়া ডিভিশনে। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাওড়া স্টেশন থেকে প্রায় ৩২০ টি লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। এছাড়া ব্যান্ডেল, বর্ধমান, কাটোয়া, আজিমগঞ্জ, নলহাটি, অন্ডাল সহ আরও প্রায় ১৬০ টি ট্রেন চলছে। অর্থাৎ মোট প্রায় ৪৮০ টি লোকাল ট্রেন চলছে হাওড়া ডিভিশনে। এছাড়াও কোভিড বিধি মেনে চলার বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে হাওড়া স্টেশনে মাইকিং করা হচ্ছে সবসময়ই। মাস্কবিহীন অবস্থায় যাত্রীদের দেখলেই স্টেশনে কর্মরত টি টি-রা চিহ্নিতকরণ করে তাঁদের ২০০ টাকা করে ফাইন করছেন। মাস্কবিহীন যাত্রীদের ফাইন করলেও রেলের পক্ষ থেকে তাঁদের মাস্কও দেওয়া হচ্ছে। সে ছবিও ধরা পড়ল বুধবার।

তবে ট্রেনে যে হারে ভিড় হচ্ছে, তাতে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে পুনরায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এরকম আশঙ্কাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবে বহু মানুষের রুটিরুজি, এমনটা ভেবে যাত্রীসাধারণ ভীতও। 

2 years ago


অবৈধ জল কারখানার হদিশ

গোপনে মাটির নীচের জল বিক্রির পর্দাফাঁস। পুলিসের জালে কারখানার মালিক। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করেছে বারাসত থানার পুলিস।


2 years ago
মাস্কে অনীহা আমজনতার!

লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পরই চোখে পড়লো চরম অসেচতনতার চিত্র।


2 years ago


বাঁশের সাঁকো পারাপারে লাগছে টাকা!

বাঁশের সাঁকো দিয়ে পেরোতে গেলে গুনতে হচ্ছে নগদ টাকা। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকবাসী।


2 years ago
সংকটে বাস মালিকরা

প্রায় দুবছর করোনা আবহের পাশাপাশি পেট্রল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে অর্থহীন হয়ে পড়েছে বকখালি কলকাতা রুটের বেসরকারি বাসের মালিকরা.....


2 years ago
৩ কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কারে সাজবেন অনুব্রতর মা কালী

প্রায় ৩কোটি টাকা মূল্যের চোখ ধাঁধানো সোনার গয়নায় সাজবেন অনুব্রত মণ্ডলের মা কালী। দেখে নিন সেই বৈভব...


2 years ago


জলযন্ত্রণার পর এবার বাঁচার লড়াই

চারদিকে শুধুই ধংসস্তূপ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বাঁশ, কাঠ, জামাকাপড়, বিছানার সরঞ্জাম, খাট, সেলাই মেশিন, থালাবাসন সহ আরও বহু জিনিসপত্র। 

পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। কেলেঘাই নদীর বাঁধ মূল যে জায়গায় ভেঙেছিল, সেটা পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের তালছিটকিনি। এর ফলে প্লাবিত হয় পটাশপুর, ভগবানপুর, চণ্ডীপুর সহ এগরার বেশ কয়েকটি গ্রাম।

কিন্ত  তালছিটকিনি এলাকায় ক্ষতটা যেন আরও দগদগে। জলের প্রবল তোড়ে ভেসে গেছে ঢালাই রাস্তা, আইসিডিএস সেন্টার, মাটির বাড়ি, পাকাবাড়ি, গাছপালা। ভেসে গেছে সেলাই মেশিন, ইলেকট্রিকের মিটার, আলমারি। ভেসে গেছে বই-খাতা, গোলার ধান, দরকারি জিনিস থেকে কাগজপত্র। 

ক্ষতি হয়েছে মাছ, ফসল, ধানের চাষের। এখনও জল রয়েছে বহু জায়গাতেই। রাস্তাঘাট ভেসে যাওয়ার কারণে বহু জায়গায় বাঁশের সাঁকো বানিয়ে, কোথাও আবার গাছ ফেলে যাতায়াত করতে হয় প্রাণ হাতে নিয়েই।  তালছিটকিনি এলাকায় দাঁড়িয়ে চারদিক ঘুরে দেখলে এমনই দুর্দশা এবং হতাশার ছবিই চোখে পড়বে।  

গ্রামবাসীদের দাবি, এই দু-মাসে ত্রাণ সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। সরকারের তরফে এখনও মেলেনি আর্থিক সহযোগিতা। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিবারগুলি এই ঠান্ডায় রাস্তার উপর ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করছে। সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক। কেউ কেউ  বলছেন, নাঙ্গলকাটা এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখুক সরকার। ত্রাণ তো দরকারই। তারচেয়েও বেশি দরকার নদীবাঁধের স্থায়ী সমাধান। বেআইনি ইঁটভাটা এবং মাছের ভেড়ি থাকার কারণে প্রতি বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। 

পটাশপুর ১ ব্লকের বিডিও পারিজাত রায় বলেন, ব্লক প্রশাসন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পাশে রয়েছে। তৃণমূল নেতা শেখ আব্দুল আহাদ আলি ( পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ) বলেন, যা ক্ষতি হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কাজে হাত দেওয়া সম্ভব নয়। জল নামলে রাস্তার কাজ আরম্ভ হবে। যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা আগে স্বাভাবিক করা যায়। এখনও যাঁরা রাস্তার উপর বা স্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছেন, তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিজেপি নেতা আশিস নন্দের কটাক্ষ, রাস্তাঘাট সারানোর কোনও প্রয়োজন নেই, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প তো দেওয়া হয়েছে। কাটমানি ছাড়া এ রাজ্যে কোনও কাজই হয় না।

2 years ago
লক্ষ্মীর ভাঁড়ে তুলির টানেই লক্ষ্মীলাভ

লকডাউন ও করোনার বিধিনিষেধের বেড়াজালে প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন উৎসবে সঙ্গীতানুষ্ঠানও। প্রায় দেড় বছর কর্মজীবন। বাড়িতে বসে বসে অবসাদে ভুগছিলেন। তখনই তাঁর এক পরিচিত একজন একটি মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড় দিয়ে বললেন, সেটি রং করে দিতে। সেটা রং করতেই যেন হাতে এল আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ। খুলে গেল এক অন্য দরজা। লকডাউনে খুঁজে পেলেন উপার্জনের উপায়। প্রায় বিলুপ্ত মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড়ে তুলির টানে শুরু করলেন আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়া।

দুর্গাপুরের ধাণ্ডাবাগ এলাকার বাসিন্দা বছর ৩০-এর মোনালিসা মণ্ডল। বাবা প্রয়াত হয়েছেন, ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পরিবারে বর্তমানে তাঁর সাথে রয়েছেন কেবল মা বাসন্তী মণ্ডল। মোনালিসা ছোট থেকেই দুর্গাপুরের খ্যাতনামা পেশাদার বাংলা ও হিন্দি আধুনিক ও ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিল্পী। ফিলোজফিতে এমএ করেছেন। তিনি গৃহশিক্ষিকাও। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত ইমোজির ছোঁয়া দিতেই ফের কদর বাড়ছে লক্ষ্মীর ভাঁড়ের। আর এই কাজটা হচ্ছে মোনালিসার হাতের স্পর্শে। স্মার্ট মোবাইল ফোনের যুগে লক্ষ্মীর ভাঁড়ে রং-তুলির টানে ফুটিয়ে তুলেছেন ইমোজির  লাফিং, জয়, রিল্যাক্সড, স্মাইলি, হার্ট আইস, কিসিং হার্ট সহ একাধিক ফেস ক্যারেক্টার। এছাড়াও লক্ষ্মীর পা, স্বস্তিক চিহ্ন ও বিভিন্ন কারুকার্য সহ ফোক আর্ট। কেবল লক্ষ্মীর ভাঁড় নয়, পুজোর ঘট ও ধুনুচি সহ চায়ের ভাঁড়েও কারুকার্য ফুটিয়ে তুলেছেন মোনালিসা। 

মোনালিসা বলেন, আমি লক্ষ্মীর ভাঁড়, ধুনুচি ও পুজোর মাটির ঘট কিনে এনে তাতে প্রথম নিজের মনের কারুকার্য ফুটিয়ে তুলে সফল হই। সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতেই পরিচিতি সহ আত্মীয়স্বজনরা ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করেন আমাকে। উৎসাহ মিলতেই মনোযোগ দিয়ে বেশ অনেকগুলি তৈরি করি। সেগুলি ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পেশ করতেই একাধিক গ্রাহক মিলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শতাধিক অর্ডার আসতে থাকে। বর্তমানে শহরের বেশ কিছু মেলায় আমার কারুকার্য নিয়ে বসেছি। ভালো সাফল্য ও বেশ উৎসাহ মিলেছে। মাটির সামগ্রী কিনে সেগুলি রং করে তাতে ছবি এঁকে বিক্রি করি। 

আদিকালের মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড় এখন অর্থ সঞ্চয়ের পাশাপাশি গৃহসজ্জায় এবং সৌন্দর্যায়নেও ব্যাবহৃত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। প্রায় বিলুপ্ত হওয়া লক্ষ্মীর ভাঁড়কে কাজে লাগিয়ে বেকারদের লক্ষ্মীলাভেরও দিশা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের মোনালিসা। 


2 years ago