
ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়েএবার ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল করল কংগ্রেস। সোমবার এ নিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী । ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে কংগ্রেস। প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অধীর চৌধুরী। বামেদের সঙ্গে জোট অক্ষুণ্ণ রেখেই এই সিদ্ধান্তে নিল প্রদেশ কংগ্রেস।
তবে মমতার প্রতিপক্ষ হিসেবে ‘হাত’ শিবির থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন, তা এখনও স্থির হয়নি। নাম পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে AICC’র কাছে। এদিকে ভবানীপুরের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা কোরিয়া হয় মমতা বন্ধোপাধ্যের নাম. তবে সেখানে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দিতে নারাজ ছিল।
অধীর চৌধুরীর নিজের মত ছিল, এত বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল সরকার তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে যে এই অবস্থায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এই উপনির্বাচনী লড়াই থেকে নিজেদের বিরত রাখতে চায় কংগ্রেস। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দলের মত ভিন্ন। কংগ্রেস ভবানীপুর উপনির্বাচনে লড়তে চায়। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যই মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে। সেইমত এবার ভবানীপুরে মমতার হয়ে যে কংগ্রেস লড়বে তা সাফ জানালেন অধীরঞ্জন চৌধুরী।
কলকাতাঃ বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যপালকে প্রেসমিট বা টুইট করতে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু তারই মাঝে একটি পত্রাঘাত করেছেন ধনখড । পত্রটি তিনি লেখেন বিধানসভার স্পিকারের উদ্দেশ্যে । বিষয়টি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা নিয়ে । কেন তাঁকে পিএসির চেয়ারম্যান করা হলো এবং এটি কি উদ্যেশ্য প্রনোদিত কিনা প্রশ্ন তুলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন রাজ্যপাল । ধনখড লেখেন, এই ভাবে কাজ করাতে সংসদীয় ব্যবস্থার রীতি ধাক্কা খেয়েছে ।
এতেই বিস্তর চটেছেন বিমানবাবু । আজ তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর নিয়ম জানা উচিত কোনটি তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পরে । বিমানবাবু জানান, তিনিও পত্রের উত্তর দিয়েছেন । তিনি উত্তরে জানিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ বিধানসভার আভ্যন্তরীন বিষয় । স্পিকারের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে পিএসির চেয়ারম্যান ঠিক করা । বিজেপির তরফে অবশ্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা হয়েছিল বিষয়টি দেখার জন্য, তাদের দলের পছন্দ ছিল উত্তরবঙ্গের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী ।
কলকাতাঃ ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ধার্য হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এই কেন্দ্রে ভোট। এখানে তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কে ? প্রাথমিক ভাবে দ্বিধান্বিত থাকলেও ভোটে নামার প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব ।
দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথমে জানিয়েছিলেন যে নির্বাচনের দিন ঘোষণা কারণে তাঁরা আদালতে যাবেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভোটেই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । অন্যনেতা শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য ভোট হওয়ার পথে যাচ্ছেন বলে খবর । দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, করোনার কারণে লোকাল ট্রেন বন্ধ এবং স্কুল কলেজ খোলা হচ্ছে না একই সাথে নাইট কারফিউ জারি রয়েছে তার মধ্যে ভোট হচ্ছে অথচ পৌর ভোট হচ্ছে না ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রার্থী হবে কে এবং এই উপনির্বাচন নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের ভূমিকা কি ? শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস হয়তো প্রার্থী দিচ্ছে না কিন্তু বামেরা কি জোট মেনে প্রার্থী দেবে। নাকি একক ভাবে প্রার্থী দেবে ? কিন্তু একই ভাবে বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্র মারফত খবর । প্রশ্ন হচ্ছে তা কি সত্যি হতে চলেছে ,নাকি স্রেফ হাওয়া গরম করা হচ্ছে । মোটের উপর শুভেন্দু দাঁড়ালে ৩০ সেপ্টেম্বরের ভোট জমজমাট হবে বলাই বাহুল্য ।
কলকাতাঃ তিন কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল দল। ভবানীপুরে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বাকি দুটি কেন্দ্রের নাম ঘোষণা করল শাসক দল। এবার জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন এবং সামশেরগঞ্জের প্রার্থী করা হল আমিরুল ইসলামকে।
শনিবার রাজ্যে উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। একই দিনে ভোট হবে সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। তিনটি কেন্দ্রে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ করা হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট গণনা ৩ অক্টোবর।
গত বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি গত ২১ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এছাড়া বিধানসভা ভোটের আগে সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন জাকির হোসেন। কিন্তু ভোটের আগে নিমতিতায় প্রবল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন তিনি। দীর্ঘদিন ছিলেন হাসপাতালে।
কলকাতাঃ "আমি সাতে পাঁচে থাকি না" বলে নিজেকে তৃণমূলের থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সিনেমার ভিলেন রুদ্রনীল ঘোষ অবশ্য তার আগে সমস্ত সুবিধা পেয়েছিলেন ওই দল থেকে বলে দাবি ছিল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের । শোনা যায় রুদ্রর ধারণা ছিল বিজেপি ক্ষমতায় আসবেই এবং মন্ত্রিত্ব পাকা তাঁর কিন্তু ঘটলো উল্টোটাই । শোনা যায় হতাশ হয়েছিলেন রুদ্রনীল । এই প্রথম ধাক্কাও খেয়েছিলেন ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়ে কিন্তু "ফিরিবার পথ নাই " কাজেই থেকে গেলেন বিজেপিতেই কারণ সিপিএম ঘরানার ছেলে তিনি, সেখানেও ফেরেন কোন মুখে ।
এবারে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই ফের খবরে থাকতে চাইছেন নাকি তিনি ? এমনটিই গুঞ্জন কারণ আবারও তিনি ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চান । বিজেপির অন্দরের খবর যে কেউই প্রাথমিক ভাবে দাঁড়াতে অনাগ্রহী ভবানীপুরে কারণ সরকার তৃণমূলের এবং প্রার্থী স্বয়ং মমতা । সেখান দাঁড়িয়ে জামানত জব্দ করতে কে চায় ? কেউ না চাক রুদ্রনীল চান । সুতরাং রাজ্য বিজেপির কাজ অনেকটাই সোজা হয়ে গেল ।
কলকাতাঃ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এখান থেকেই লড়বেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করলেন তিনি।
আগামিকাল ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর উত্তরবঙ্গ যাওয়ার কথা ছিল৷ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম উত্তরবঙ্গ সফর৷ কিন্তু সেই সফর বাতিল হল।নবান্ন সূত্রে খবর, ভোটের আগে আর সরকারি অনুষ্ঠান বা কর্মসূচিতে যোগ দিতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেকারণেই তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে দিলেন তিনি।
উত্তরবঙ্গ সফরের কর্মসূচিতে যা ছিল,তা হল আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের শাখাসচিব উত্তরকন্যায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তারপর রাতে প্রতিটি শালা কন্যাশ্রীতে রাত্রি যাপন। পরের দিন অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যা প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়া আরও বেশ কিছু কর্মসূচি ছিল তার।
৩০ সেপ্টেম্বর ১টি কেন্দ্র ভবানীপুর এবং ২ টি নির্বাচনের দিন ঘোষণার সাথে সাথে খুশি তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের কর্মী নেতারা কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী এবারে কোনও এলাকা থেকে নির্বাসিত নন ফলে ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট হওয়াটা জরুরি ছিল । কমিশনকে ধন্যবাদ জানালেন সাংসদ সৌগত রায় এবং মন্ত্রী ববি হাকিম । ববি অবশ্য সবকটি আসনেই ভোট চেয়েছিলেন, তিনি জানান, এটা মোটেই কাম্য নয় যে নির্বাচন কমিশনার কেন্দ্রের হাতের মোহরা হোক ।
তবে বিধিনিষেধ রয়েছে অনেক, যথা স্ট্রিট কর্নার করতে গেলে বেশি লোকসমাগম করা চলবে না, বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে গেলে ৫ জনের বেশি লোক হওয়া চলবে না । ইনডোর সভা করলে হলের ৩০ শতাংশের বেশি লোকসমাগম করা চলবে না । সবশেষে ভোটের ফল বেরোবার পর বিজয় মিছিল করা চলবে না ইত্যাদি । অবশ্য তৃণমূল সদস্যরা এসবের পরোয়া করছে না কারণ তাঁদের বক্তব্য বিশাল ভোটে 'দিদি' সহ বাকি সবাই জিতে আসবে । যদিও বিগত ভবানীপুর কেন্দ্রে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ অখুশি এই ঘোষণায় ।
রাজ্যে উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। একই দিনে ভোট হবে সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। ৩ অক্টোবর ভোট গননা।
ধোপে টিকল না বিজেপির আপত্তি। অবশেষে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন এর দিন ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন।৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। একই দিনে ভোট হবে সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। ৩ কেন্দ্রেই ভোট গণনা ৩ অক্টোবর। গত বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি গত ২১ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি। এই দুই কেন্দ্রে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ করা হবে। তিনটি আসনেই ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট গণনা ৩ অক্টোবর।
তবে রাজ্যে গোসাবা, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা-সহ ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর হচ্ছে না।
ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করা যাবে। তবে মানতে হবে কোভিড বিধি।
এবার কাজের সুযোগ তৈরির করার লক্ষ্যে উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ টানাই যে পাখির চোখ, তৃতীয় বারের জন্য সরকারে এসে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশানা, সামগ্রিক ভাবেই শিল্পে লগ্নি ঘরে আনা। এ বার বিভিন্ন আমেরিকান সংস্থার বিনিয়োগ টানতে ওই দেশে সফরের কথা বিবেচনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের দাবি, শুক্রবার এই বার্তা বণিকসভা আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সকে (অ্যামচ্যাম) দিয়েছে রাজ্য সরকার। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক ভাবে চললে, শীঘ্রই ওই সফরের সূচি চূড়ান্ত করবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।সরকারের দাবি, গত এক দশকে পরিকাঠামোয় বিপুল বিনিয়োগ করেছে রাজ্য। সড়ক, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ—সব ক্ষেত্রেই শিল্পমুখী সংস্কার হয়েছে। শিল্পের সমস্যা দূর করতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পৃথক পরামর্শদাতা বোর্ড তৈরি হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্পে। এক কর্তার কথায়, “দশ বছর ধরে বহু আমেরিকান সংস্থা শুধু যে বিনিয়োগ করেছে তা-ই নয়, ব্যবসা সম্প্রসারণও করেছে।
তাদের সেই অভিজ্ঞতার ইতিবাচক প্রভাব মুখ্যমন্ত্রীর সফরে পড়তে পারে।”সরকারের দাবি, গত এক দশকে পরিকাঠামোয় বিপুল বিনিয়োগ করেছে রাজ্য। সড়ক, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ—সব ক্ষেত্রেই শিল্পমুখী সংস্কার হয়েছে। শিল্পের সমস্যা দূর করতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পৃথক পরামর্শদাতা বোর্ড তৈরি হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্পে।
এক কর্তার কথায়, “দশ বছর ধরে বহু আমেরিকান সংস্থা শুধু যে বিনিয়োগ করেছে তা-ই নয়, ব্যবসা সম্প্রসারণও করেছে। তাদের সেই অভিজ্ঞতার ইতিবাচক প্রভাব মুখ্যমন্ত্রীর সফরে পড়তে পারে।”সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, আমেরিকান তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কগনিজ্যান্টে রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে পেপসি তিনটি প্লান্ট করেছে সরকারি শিল্পতালুকে।
প্রতি বছর ২০% করে কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে তারা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ১৮ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। কোকাকোলার একটি নরম পানীয়ও এখন এ রাজ্যে তৈরি হচ্ছে। তাতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা। অ্যামাজ়ন তাদের সাতটি লজিস্টিক্স কেন্দ্র তৈরি করেছে রাজ্যে। ডিজিটাইজ় করেছে প্রায় ৩২ হাজার ছোট বিক্রেতার কর্মপদ্ধতিকে। সব ক’টি লজিস্টিক্স কেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে বলে রাজ্যের দাবি।
তৃণমূলের দাবি ত্রিপুরায় তাদের শক্তি বাড়ছে । যদিও সে রাজ্য়ের বিজেপির বলছে উল্টো কথা।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব গত দু’দিন ধরে ত্রিপুরাতে। তাঁর নেতৃত্বে রোজই কোনও না কোনও দল থেকে নেতাকর্মীরা যোগদান করছেন এরাজ্যের শাসক দলে। সেই সঙ্গে সুস্মিতার বিভিন্ন কার্যকলাপে তৃণমূলে বড়সড় যোগদানের সম্ভাবনাও বাড়ছে। ত্রিপুরায় দলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির ভার সুস্মিতা দেবের উপরই দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । অভিষেকের নির্দেশেই সেরাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে যাওয়ার কথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতার।
তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিষেকের নির্দেশে ত্রিপুরার আটটি জেলাতেই পদযাত্রা করবেন সুস্মিতা। ত্রিপুরায় যখন তৃণমূল বাড়ছে, তখনই ইস্তফা দিলেন বিধানসভার স্পিকার রেবতী মোহন দাস । তাঁর ইস্তফা ঘিরে একটা সময় জল্পনা তৈরি হলেও পরে দলের তরফে জানানো হয়, রেবতীবাবুকে সংগঠনের কাছে লাগাবে দল।ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতির পদে বসানো হয়েছে তাঁকে।
সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া প্রতিমা ভৌমিক আগে ওই পদে ছিলেন। তবে প্রশ্ন উঠছে স্পিকারের মতো সাংগঠনিক পদ থেকে রেবতীবাবুকে সংগঠনে কেন আনা হল? এদিকে আগরতলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই আগেভাগে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সম্ভবত সেকারণেই রেবতীবাবুর মতো পোড়খাওয়া নেতাকে স্পিকারের পদ থেকে সরিয়ে দলের সংগঠনে আনা হল ।
কলকাতাঃ পেট্রল, ডিজেলের পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দামও। বুধবার একলাফে ২৫ টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম।
তারফলে কলকাতায় ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি LPG-র সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ৯১১ টাকা। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর থেকে বিগত আট মাসে গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম দফায় দফায় বেড়েছে ২৯০ টাকা।
এদিকে রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি এদিন বেড়েছে রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামও। ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ৭৩.৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭৭০.৫০ টাকা।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,,"এটা মেনে নেওয়া যায় না। ক্ষমার অযোগ্য এটা। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব, যাতে জনস্বার্থে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এবং জ্বালানির দাম এখনি কমান।”
পাশাপাশি একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে লেখা, “শেম অন বিজেপি গভরনমেন্ট” অর্থাৎ বিজেপি সরকারের লজ্জা হওয়া উচিত।
৩১ অগাস্ট শেষ তারিখ ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতের । সেই মতো সারাদেশে আটকে থাকা উপনির্বাচন নিয়ে এবারে স্বয়ং নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র আজ বৈঠক ডাকলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে । এই বৈঠক হবে ভার্চুয়ালি । পশ্চিমবঙ্গ আসাম সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন । তৃণমূলের বক্তব্য পরিষ্কার তারা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষ হলেই উৎসবের মরশুম শুরু হবে কাজেই নভেম্বৰের ৫ এর মধ্যে ভোট করতে গেলে এখনই তার প্রস্তুতি নিতে হবে । অবশ্য বিরোধী বিজেপি এই করোনা পরিস্থিতিতে ভোট চাইছে না যদিও দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধিতার মধ্যে ফারাক রয়েছে ।
গুঞ্জনে, শুভেন্দু নাকি ভোট চাইছেন না শুধুমাত্র মমতাকে বিপাকে ফেলার জন্য তিনি নাকি ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছেন । কারণ সময়ে মতো ভোট না হলে সময় সাপেক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে । অবশ্য বর্তমানে বিজেপির যা অবস্থান তাতে তাদের কাছে ৭টি আসনের কোনওটাই জেতার অবস্থায় নেই বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের । দেখার বিষয় সুশীল চন্দ্র কি পদক্ষেপ নেন ।