নিজের স্বামীর (Husband) মুখে অন্য কোনও মেয়ে বা মহিলার নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন কম-বেশি সব মহিলারাই। সেখানে নিজের স্ত্রীয়ের (Wife) সঙ্গে অন্য মহিলার তুলনা (Comparing) করার অর্থ নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা। এমনকি এবিষয়টি আইনের চোখেও অপরাধ। এবং স্বামীর তরফে এহেন মন্তব্য মানসিক নির্যাতনের (Mental torture) সমান। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)।
কোনও স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীকে অন্য নারীদের সঙ্গে বারবার তুলনা করেন কিংবা বিভিন্ন বিষয়ে কটুক্তি করতে থাকেন, তাহলে আইনের চোখে সে স্বামী অপরাধী বলেই গণ্য হবেন। ৪ই অগাস্ট একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রনাথ এবং বিচারপতি সিএস সুধারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা রায়ে এও বলেছেন, স্বামীদের এই ধরনের ব্যবহার বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, পরিবার আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় ঘোষণা করেছিল ওই দম্পতিকে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট বলে, পরিবার আদালতে বিচ্ছেদের রায় ঘোষণার সময়ে জানানো হয়েছিল, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিপূর্ণতা না-থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৮৬৯ সালের বিচ্ছেদ আইনের উল্লেখ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে বিষয়টি মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পরে।
ওই মামলায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের পরে খুব কম সময়েই একসঙ্গে ছিলেন ওই দম্পতি। দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পরে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিয়েছিল পরিবার আদালত। হাই কোর্ট আরও জানিয়েছে, স্বামী মনে করতেন তাঁর প্রত্যাশা মত স্ত্রী একেবারেই দেখতে সুন্দর নন। এই ধরনের ক্রমাগত কটুক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া এই ধরনের বিষয় অবশ্যই সামাজিক স্বার্থে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এর সঙ্গে একজন মহিলার মানসিক স্বাস্থ্য জড়িয়ে রয়েছে।
প্রথম অভিযোগ, বিযের (Marriage) সময় স্ত্রী (Wife) বয়স (Age) অনেক কমিয়ে বলেছিল। এক-দু বছর নয়। অভিযোগ, একেবারে দশ বছর। ফলে আখেরে দেখা গেল, তাঁর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশি। সেই রাগ পুষে রেখেছিলেন মনের মধ্যে। ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে হতে একদিন বিস্ফোরণ হল, যখন তাঁর স্ত্রী যৌন মিলনে (Physical Relation) অস্বীকার করেন। আর এর পরিণতি হল ভয়ানক। স্ত্রীকে খুনই (Murder) করে বসলেন। শুধু খুন করাই নয়, দেহ পুঁতে দিলেন স্থানীয় একটি ঘাটে। তারপর সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেন, তাঁর স্ত্রী নিখোঁজ।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পরে অবশ্য তাঁর এই নাটক ধোপে টেকেনি। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। এখন তাঁর ঠাঁই গরাদের পিছনে।
আদপে বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বসবাস করতেন বেঙ্গালুরুতে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রুথবিরাজ সিং। মাত্র ন মাস আগে তিনি বিয়ে করেন জ্যোতি কুমারীকে। পুলিসকে তিনি এইটুকুই জানিয়েছেন, বিয়ের সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে বয়স অনেক কমিয়ে বলেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে অসামাজিক বলে থাকে এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও অস্বীকার করে।
পুলিসের কাছে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বিয়ের সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, বয়স ২৮ বছর। কিন্তু বিয়ের পরে জানা গেল, আসল বয়স ৩৮ বছর। অর্থাত্, তাঁর চেয়ে ১০ বছরের বড়। একইসঙ্গে শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও অসামাজিক বলে কার্যত গালিগালাজ করত স্ত্রী।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যোতিকে সে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার বন্ধুকে বিহার থেকে ডাকে। তারপরই দুজন মিলে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করেন। পরদিনই তিনি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
আহা, পুলিস (police) বলে কি নাচতে (dance) নেই? চাকরি (service) করেন বলেই কি সব শখ একেবারে জলাঞ্জলি দিতে হবে? এমন তো কেউ মাথার দিব্যি দেয়নি। তাই একটু নাচলে ক্ষতি কী? তাই স্বাধীনতা দিবসে (independence day) থানার মধ্যেই ‘নাগিন ডান্স’(nagin dance)! ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি জেলার একটি থানার।
ঠিক কী হয়েছিল? সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছিল থানায়। উদযাপনের পাশাপাশি নাচ করে শাস্তির মুখে পড়লেন দুই পুলিসকর্মী। দুই পুলিসকর্মীর নাচের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় উপরমহলে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিসকর্মী ভেঁপুতে নাগিন-এর তালে মত্ত। বাজাতে বাজাতে তিনি ঘুরছেন। আর অন্য পুলিসকর্মী মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে নাগিন ডান্স করছেন। দু’জনের নাচের সময় তাঁদের এই নাচের মজা নিচ্ছিলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সহকর্মীরা। তালে তালে তাঁরা হাততালিও দিচ্ছিলেন। ভিডিওটি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিসের উপর মহল। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
जब दारोगा जी बने सपेरा, नागिन कांस्टेबल को अपनी बीन पर नचाया।😂 pic.twitter.com/eVHCx3hJgo
— Jaiky Yadav (@JaikyYadav16) August 16, 2022
তবে শাস্তির মুখে সাব-ইনস্পেক্টর ও কনস্টেবল। তাঁদের দু’জনকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
মুম্বই হামলার স্মৃতি উসকে দিল মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রায়গড়। জেলার হরিহরেশ্বর তীরে বৃহস্পতিবার মিলল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ একটি সন্দেহভাজন নৌকা (Boat)। সেই পরিত্যক্ত নৌকার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে, তিনটি একে-৪৭ (AK-47 rifles) রাইফেল, বিস্ফোরক (explosives) এবং গুলি। জায়গাটি মুম্বই (Mumbai) থেকে প্রায় ২০০ কিমি এবং পুনে থেকে ১৭০ কিমি দূরে। এরপরই বাড়ানো হয়েছে গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিরাপত্তা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর জারি করেছে হাই অ্যালার্ট।
সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) প্রধান বিনীত আগরওয়াল বলেছেন, এই আগ্নেয়াস্ত্র বোঝাই নৌকা উদ্ধারের সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, কোনও সন্ত্রাসী যোগ না পেলেও, এই নৌকার অস্ত্র কোথায় যাচ্ছিল খুঁজে দেখা হবে।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, বৃহস্পতিবার রায়গড় উপকূলে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি পরিত্যক্ত নৌকা জেলেরা খুঁজে পান। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হয়। নৌকাটি তল্লাশি করতেই পাওয়া যায় তিনটি একে-৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক ও বুলেট। এই সন্দেহজনক নৌকাটি একজন অস্ট্রেলিয়ান মহিলার। এবং নৌকাটি মাস্কট থেকে ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল।
উপমুখ্যমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রবল জোয়ারের কারণে নৌকাটি ভেঙে রায়গড় উপকূলের দিকে চলে এসেছে। নৌকায় পাওয়া অস্ত্রগুলি কোনও নাশকতার ছক হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যে কারণে আশেপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। এবং এটিএসও এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ভারত সফরে কত খরচ হতে পারে? সম্প্রতি কেন্দ্রের তথ্য কমিশন (Information Commission) সূত্রে যে হিসাব মিলেছে, সেই অনুযায়ী, তাঁর সফরে প্রতি ঘণ্টায় দেশের খরচ (Expenses) হয়েছে এক লক্ষ টাকারও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে মূলত থাকা, খাওয়া এবং পরিবহণ। ২০২০ সালের ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক এবং সকন্যা ট্রাম্প এসেছিলেন ভারত সফরে। তিনি ছিলেন সব মিলিয়ে ৩৬ ঘণ্টা। তাতে খরচ হয়েছে ৩৮ লক্ষ টাকা।
ট্রাম্পের ওই সফরে তাঁর ঘোরার জায়গার মধ্যে ছিল আহমেদাবাদ, আগ্রা এবং নিউদিল্লি। ২৪ তারিখ তিনি আহমেদাবাদে ছিলেন তিন ঘণ্টা। সেখানে তিনি ২২ কিমি রোড শো-তে অংশ নেন। সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে 'নমস্তে ট্রাম্প' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তারপর তিনি চলে যান আগ্রায়, তাজমহল দর্শনে। এখান থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ ফেব্রুয়ারি গিয়েছিলেন রাজধানীতে। সেখানে তিনি অংশ নিয়েছিলেন মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।
উল্লেখ্য, ওই বছরেরই ২৪ অক্টোবর বিদেশ মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আমেরিকার ফার্স্ট লেডির ভারত ভ্রমণে দেশের কত খরচ হয়েছে? তারই উত্তর আবেদনকারী পেলেন, তবে অনেক পরে।
আগ্নেয়াস্ত্র এখন যেন সকলের হাতে হাতেই ঘোরাঘুরি করছে। লাইসেন্স ছাড়া আজকাল অবৈধ বন্দুক (Illegal Gun) যুবক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে। আর তার জেরে প্রতিনিয়ত দেশের নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে নানান দুর্ঘটনা। এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল পাটনা। সেই ঘটনার ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি (CCTV Footage) ক্যামেরায়। ঘটনাটি বিহারের (Bihar) রাজধানী পটনার (Patna) ইন্দ্রপুরী এলাকার।
জানা গিয়েছে, কোচিং করে বাড়ি ফিরছিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সেসময় তার পিছু ধরে এক যুবক। সময়টা বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। সেসময় তরুণী একটি সরু গলিতে ঢুকতেই তার খুব কাছে চলে আসে ওই যুবক। সুযোগ বুঝে ব্যাগ থেকে বন্দুক বার করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ওই ছাত্রীকে গুলি করে। আর গুলি গিয়ে লাগে ছাত্রীর ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তরুণী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় যুবকটি।
Bihar| A vegetable vendor’s daughter shot yesterday in Indrapuri locality of Sipara area of Beur PS in Patna. Injured girl who was shot in the neck is undergoing treatment in a private hospital. Matter is being said to be a love affair: Patna Police
— ANI (@ANI) August 18, 2022
(Visuals: CCTV footage) pic.twitter.com/kHbddcU2L1
পুলিস জানিয়েছে, সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে ওই ছাত্রী। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনুমান পুলিসের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দেশ বিরোধী (Anti India) প্রচার। একইসঙ্গে বিদ্বেষমূলক এবং ভুয়ো (Fake) তথ্য। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) ৮ টি ইউটিউব (You Tube) চ্যানেল বন্ধ করে দিল। এর মধ্যে সাতটি ভারতের এবং একটি পাকিস্তানের (Pakistan)। এর মধ্যে ভারতের একটি চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৯.৪ লক্ষ এবং ভিউজ প্রায় ৩৩ কোটি। আটটি চ্যানেল মিলিয়ে মোট সাবস্ক্রাইবার হল ৮৬ লক্ষ এবং ভিউজ ১১৪ কোটি। এদের মধ্যে একটি চ্যানেল রয়েছে, যার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময়েই দেশবিরোধী প্রচারের অভিযোগে এই ধরনের পদক্ষেপ কেন্দ্র নিয়ে থাকে। ফলে ডিসেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১০২ টি চ্যানেল ব্লক করা হল বলে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আইটি রুল ২০২১ এর জরুরি ক্ষমতার বলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে।
'কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় কাঠামো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।' 'ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।' 'শুরু হতে চলেছে ধর্মযুদ্ধ।' এই ধরনের একাধিক ভুয়ো খবর পরিবেশন করে বিদ্বেষ বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে এবং এই ধরনের এমন সব খবর পরিবেশন করা হচ্ছে, যার কোনও ভিত্তিই নেই, পুরোটাই ভুয়ো। আরও বড় অভিযোগ হল, নামী টিভি চ্যানেলের লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের (Most Polluted Cities) তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা (Kolkata)। এককথায় কলকাতার বাতাসে বহিছে বিষ। আর সেই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি (Delhi)। এমনই রিপোর্ট দিয়েছে স্টেট অফ গ্লোবাল এয়ার (SOGA)।
২০২২-এর রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় কলকাতা রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা, হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (HEI) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কলকাতার বাতাসে পিএম২.৫ (PM2.5) ঘনত্বের বার্ষিক গড় 84g/m3। যা নিরাপদ সীমা থেকে ১৭ গুণ বেশি। একই রিপোর্টে দিল্লিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাতাসে ভাসমান নানা ধরনের নানা আকারের দূষণ কণা থাকে। এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন সিটিস তাদের রিপোর্টে সবচেয়ে ক্ষতিকারক দুটি দূষণকারীর নাম উল্লেখ করে। সূক্ষ্ম কণা পদার্থ (PM2.5) এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) এর উপর বেশি জোর দেয় তারা। দূষণ কণা যাদের ব্যাস আড়াই মাইক্রন বা তারও কম হয়। এদের বলা হয় ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ (পিএম২.৫)’। এক মাইক্রন বলতে বোঝায় এক মিলিমিটারের এক হাজার ভাগের এক ভাগ। মানবরক্তের লোহিত কণিকার ব্যাস পাঁচ মাইক্রন। আর মাথার চুলের ব্যাস গড়ে ৫০ থেকে ১০০ মাইক্রন। তবে আকারে অত্যন্ত ক্ষুদ্র হয় বলেই পিএম ২.৫ দূষণ কণা সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পিএম ২.৫ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি শহরের মধ্যে ভারতেরই রয়েছে ১৮টি। বাকি দুটি ইন্দোনেশিয়ার।
বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের! বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) হৃদেশ কুমার (Hirdesh Kumar) ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ, যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, কিন্তু স্থানীয় নন (Non-locals), তাঁরা ভোটার তালিকায় (voting list) নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও নিজ আবাসন থাকার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও, যাঁরা বিভিন্ন সীমান্তে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং রয়েছেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে।
আত্মজকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এই সময়ে দাঁড়িয়েও, শুধু হাসপাতালে পৌঁছনোর কোনও রাস্তা নেই বলে জীবনযুদ্ধে হার মানল দুই সদ্যোজাত। হাসপাতালে যাওয়ার দুর্গম পথে রাস্তাতেই রক্তক্ষরণ মায়ের, মর্মন্তুদ ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়।
পালঘর জেলার মোখাদা তহসিলের বাসিন্দা বন্দনা বুধর সাতমাসের গর্ভাবস্থায় বাড়িতেই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর। সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া যমজ সন্তান দুর্বল ছিল। সঠিক চিকিৎসার অভাব ছিল সদ্যোজাতের। ফলে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাদের। সন্তান জন্মানোর পরই রক্তক্ষরণ শুরু হয় প্রসূতির। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে মহিলার অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা দড়ি, বিছানার চাদর এবং কাঠ ব্যবহার করে একটি অস্থায়ী স্ট্রেচার তৈরি করে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবারের সদস্যরা মহিলাকে প্রায় ৩ কিমি নিয়ে যান। পাথুরে জমি এবং পিচ্ছিল ঢালের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেল ছবিতে।
যে মা তাঁর সদ্যোজাতকে হারিয়েছেন, তাঁকে বাঁচানোর জন্য পরিবারের সদস্যরা ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি অবশেষে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোটের অংশ বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি চিত্র কিশোর ওয়াঘ ঘটনাটিকে "খুব বেদনাদায়ক" বলে বর্ণনা করেছেন। "সময়ে স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় বুধরের যমজ শিশু মারা গেছে," তিনি টুইট করেছেন। বিজেপি নেতা আরও বলেছেন, রাজ্যের বেশ কয়েকটি অংশে রাস্তার অভাবের কারণে এমন অনেক ঘটনা ঘটছে।
কী কাণ্ড! তিনিই বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের নতুন আইনমন্ত্রী। এর তাঁর নামেই কিনা গ্রেফতারি পরোয়ানা। তাও আবার সাধারণ কোনও অভিযোগ নয়, একেবারে অপহরণের মামলা। পরোয়ানা যখন এসেছে, তখন ব্যবস্থা তো নিতেই হবে। তাই তড়িঘড়ি ওই মন্ত্রী আদালত থেকে জামিন নিলেন। সেও আবার সেই দিনই তাঁকে নিতে হল, যেদিন ছিল তাঁর শপথগ্রহণের দিন। কার্তিকেয় সিং নামের ওই মন্ত্রীকে নিয়ে এখন তোলপাড় বিহারের রাজনীতি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, এ ধরনের কোনও ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। উল্লেখ্য, কার্তিকেয় হলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দলের নেতা। মন্ত্রী নিজেও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এমন কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা তাঁরও জানা নেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৪ সালের। একজন বিল্ডারকে অপহরণ করে খুনের ছক কষা হয়েছিল। আর সেই মমলাতেই অন্য ১৭ জনের সঙ্গে ওই মন্ত্রীও একজন অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, বিজেপির সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ হওয়ার পর নীতীশ কুমার আরজেডির তেজস্বীকে সঙ্গে নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তেজস্বী যাদব ১৯ আগাস্ট শপথ গ্রহণ করেন। পরে ৩১ জনকে নতুনভাবে মন্ত্রিসভায় আনা হয়, যার মধ্যে সিংহভাগই আরজেডির। তাঁর দলের মাত্র ১১ জন।
শখে কেনা জিনিসের প্রতি সকলেরই টান থাকে। আর সেটা যদি হয় গাড়ি (Car), বাইক (Bike) বা স্কুটি (scooter), তাহলে তো কথাই নেই। নো-পার্কিং জোনে (No-Parking Zone) রাখায় ক্রেনে করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল স্কুটিটি। আর তা জানতে পেরে ছুটে আসেন স্কুটির মালিক। ততক্ষণে ক্রেনের দড়িতে বেঁধে ফেলা হয়েছে স্কুটিটি। উপায় না দেখে স্কুটির উপরেই বসে পড়লেন তিনি। তাঁকে সহ ক্রেন স্কুটিটি তুলে নিল। এমন ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) নেটপাড়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাধের স্কুটির উপর বসে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে অনুরোধ করছেন কর্তব্যরত কর্মীরা। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। তাঁর প্রিয় স্কুটি ছাড়তে কিছুতেই রাজি নন। বাধ্য হয়ে মালিকসমেত স্কুটিকে তুলে নেয় ক্রেন। স্কুটির হ্যান্ডেল ধরে তার উপরেই বসে শূন্যে ঝুলতে থাকেন ওই ব্যক্তি।
এমন দৃশ্য দেখে হতচকিত পথচারীরা। পাশপাশি ভিডিও শেয়ার হতেই আসে কমেন্টের ঝড়। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের সদর বাজারের। ইনস্টাগ্রামে হামনাগপুরকর নামে অ্যাকাউন্টে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।
ভয়ংকর ঘটনা পঞ্জাবে। মারাত্মক শক্তিশালী বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধার হল পুলিসকর্মীর (Police Car) গাড়ি থেকে। আরও বড় উদ্বেগের বিষয় হল, এই বিস্ফোরক পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আনা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই সন্দেহ পুলিসের। তবে পুরনো একটি ঘটনার সূত্র ধরেই পুলিস এমনটা মনে করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিস্ফোরকের উত্স সন্ধানে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি অভিযান।
এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার, অমৃতসরে (Amritsar)। রাজপথে রুটিন তল্লাশি চলছিল। সেই সময়ই এক পুলিসকর্মীর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় শক্তিশালী ইম্প্রোভাইসড এক্লপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। এই বিস্ফোরকের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। ফলে এর ক্ষমতা কী হতে পারে, সহজেই অনুমেয়।
কিন্তু পুলিস প্রাথমিক তদন্তেই পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার বিষয়ে সন্দিহান কেন? পুলিস সূত্রেই জানা গিয়েছে, মে মাসে তারাতরণ জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি টিফিন বক্স। ধাতব ওই বাক্সের মধ্যে ভরা ছিল আরডিএক্স এবং আইইডি। এরও ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। এই আইইডিতে আবার টাইমার, ডিটোনেটর, ব্যাটারি ইত্যাদি ছিল। এগুলি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল বলে দুই ধৃত জেরায় স্বীকার করেছিল। তারা এও জানিয়েছিল, মাদক এবং অর্থের লোভেই তারা এই কাজে নেমেছে। এবারে উদ্ধার হওয়া আইইডি-র সঙ্গে আগের ওই আইইডি-র যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছে পুলিস। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
একজন সমাজকর্মী এবং লেখক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে যৌন হয়রানির (Sexual harassment) অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারিণী মামলাও করেন তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার কেরলের আদালত (Kerala court) চন্দ্রনকে (Chandran) জামিন দেয়। এবং বিচারক জামিনের রায়দানের সময় বলেন, অভিযোগকারিণী একটি যৌন উত্তেজক পোশাক (sexually provocative dress) পরেছিলেন। তাই একে যৌন হয়রানি বলা যায় না।
অভিযোগকারিণী ২০২০ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি নন্দী বিচের একটি ক্যাম্পে থাকাকালীন ওই লেখক তাঁকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলেন, ৭৪ বছর বয়সী লেখক তাঁকে ক্যাম্পে ডাকেন। এরপর জোর করে তাঁর কোলে বসান। এবং গোপন অংশ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন।
লেখক তাঁর জামিনের আবেদন করার সময় আদালতে অভিযোগকারিণীর ছবিও দিয়েছিলেন। তারপরই বিচারক বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪এ ধারার অধীনে অপরাধটি কার্যকর নয়। কারণ মেয়েটি "যৌন উত্তেজক পোশাক" পরেছিলেন।
কেরল হাইকোর্ট আরও বলে, ওই লেখক শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম। অন্য ব্যক্তির উপর জোর করতে পারেন না। সেখানে দাঁড়িয়ে এ অভিযোগ খানিকটা ভিত্তিহীন।
কোয়েলন্দি পুলিস ২৯ জুলাই আইপিসির ধারা ৩৫৪এ (২), ৩৪১ এবং ৩৫৪ এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল।
নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।