পয়লাবৈশাখের দিন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রাজারহাটে। রবিবার সন্ধ্য়া ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে চিনার পার্কের নিউটাউনে ক্যাফেতে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের ৪ টি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে তিন চারটি রেঁস্তোরা সহ মিষ্টির দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
দমকলবাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট কিংবা রান্নার গ্যাস থেকে আগুন লেগেছে। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চার-পাঁচটি দোকানে। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলবাহিনী। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেই পুলিস সূত্রে খবর।
অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয়দের অভিযোগ, ফুটপাত দখল করে চলছে রেঁস্তোরাগুলি। আর তাতেই সাধারণ মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। তাছাড়া কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে ব্যবসা। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসীরা।
বাড়ি থেকে উদ্ধার একই পরিবারের তিন প্রজন্মের রক্তাক্ত মৃতদেহ। উদ্ধার হওয়া তিনজন সম্পর্কে হলেন বাবা, ছেলে ও নাতি। রবিবার, নববর্ষের দিন হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর নিরঞ্জন সেননগর অঞ্চলে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্য়ে শঙ্কর হালদার (বাবা), অভিজিৎ হালদার (ছেলে), বর্ণ হালদার (নাতি)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল না ওই পরিবারের তিনজনকে। এরপর এদিন সকালে স্থানীয়রা হঠাৎই দুর্গন্ধ পায়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় বরানগর থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনটি মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। মৃত্য়ুর কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার আসল কারণ জানতে ইতিমধ্য়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
সন্দেশখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এরপর আলমগীর শেখ এবং শেখ শাহজাহানের অন্যতম সহযোগী শিবপ্রসাদ হাজরা ও দিদার বাক্স মোল্লাকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে নিয়ে আসা হল।
সূত্রের খবর, শেখ আলমগীর বন্দুক, পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। সাধারণ মানুষদের হুমকি দিয়ে বেড়াতেন। এমনকি শেখ আলমগীর শিবু হাজরার সঙ্গে যোগসাজশ করে সাধারণ মানুষের অর্থের অপব্যবহার করেছেন। শুধু তাই নয়, শিবু হাজরা কন্ট্রাক্টরদের হুমকি দিতেন। কন্ট্রাক্টরদের একপ্রকার বাধ্য করতেন এসকে এসটি ব্রিক ফিল্ড থেকে ইট কিনবার জন্য।
অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের নাম করে তার সহযোগী শিবু হাজরা জমি দখল, অগ্নিসংযোগ, খুন, চাঁদাবাজি, হুমকি দিতেন সাধারণ মানুষদের। এই শিবু হাজরা বেনামি সম্পত্তিতে জড়িত ছিলেন। শিবপ্রসাদ হাজরা শিব এন্টারপ্রাইজের মালিক। এই শিব এন্টারপ্রাইজ এর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে দেখা গিয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণের অর্থ লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ জমি দখলের বলে ধারণা তদন্তকারী সংস্থার। সেই কারণেই শেখ আলমগীর, শিবু হাজরা ও দিদার বাক্স মোল্লাকে জমি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
দমদমে ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার দুপুরে অমরপল্লীর বস্তিতে লাগে আগুন। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক অনুমান, ৪০ টারও বেশি সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেছে। প্রথমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের দশটারও বেশি ইঞ্জিন। পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরিচিত চার ব্যক্তিকে এলাকায় ঢুকতে দেখা যায়। তারপরেই বস্তিতে লাগে আগুন। ওই চার ব্যক্তিকে খাল ধারের পথ ধরে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। গ্য়াস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে আগুন লেগেছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আর সেখান থেকে আগুন ছড়িয়েছে আশেপাশে। আগুনে পুড়ে ছাই বস্তির একাধিক বাড়ি-ঘর। সর্বহারা হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্থানীয়রা।
অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া প্রত্যেকটি বস্তির মানুষজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পরপর নিয়ে আসা হয়েছে রবীন্দ্রভবনে। ঝুপড়ির বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট্ট শিশুদের জন্য় দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুড়ি, বিস্কুট, পাউরুটি সবটাই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিটে-মাটি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে ঝুপড়িবাসীরা।
সমতলের ধাঁচে এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পাহাড়েও। সম্প্রতি জিটিএ তে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারিতে ৩১৩ জন ও প্রাইমারিতে ১২১ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। যেখানে ভলেন্টিয়ার শিক্ষককে স্থায়ীকরণ করা হয়। অভিযোগ, এই নিয়োগ কোনও নিয়ম না মেনেই হয়েছে। এমনকি বহু এমন ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন, যাঁরা কখনও ভলেন্টিয়ার শিক্ষকই ছিলেনই না। ইতিমধ্যেই ওই ৩১৩ জন শিক্ষকের তালিকা সিএন-এর হাতে ওই তালিকায় এরকম দুইজনের নাম উঠে আসছে।
ওই তালিকার ৮৩ নম্বর রয়েছে কেশব রাজ শর্মার নাম যিনি ওই ভলেন্টিয়ার শিক্ষক নিয়োগের ভেরিফিকেশন প্রসেসের সদস্য। অভিযোগ এই ব্যক্তি কখনও কোনও স্কুলে ভলেন্টিয়ার এর শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেননি। এমনকি পাহাড়ের ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দল যে দলটি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দল নামে পরিচিত ওই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের আত্মীয়।
ঘটনায় অপর একজনের নাম উঠে আসছে, যার নাম সঞ্চাবির সুব্বা। অভিযোগ এই ব্যক্তি কোন স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেনি, এমনকি তার বিএড ডিগ্রিও নেই। এছাড়া এই ব্যক্তি বর্তমানে জিটিএ শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি চিফ এক্সজিউটিভ। ফলে সে কিভাবে জিটিএ ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় এল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।
দমদমে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে অমর পল্লীতে বস্তিতে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
বিস্তারিত আসছে...
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যে হইচই পড়েছিল ২০১৮ সালে। দাড়িভিটকাণ্ডের তদন্ত এখনও বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় আগামী সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডি-কে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় ২০২৩ সালের ১০ মে বিচারপতি মান্থা এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে দশ মাস কেটে গেলেও, এনআইএ-কে রাজ্যের তরফ থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই না, দশ মাস কেটে যাওয়ার পরেও মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি রাজ্যের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি মামলার জল আদালতে গড়ায় আরও দূর। সিঙ্গল বেঞ্চের এনআইএ তদন্তের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চের। সেখানেও মুখ পোড়ে রাজ্যের। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেও বহাল থাকে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকাও এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে, গত বছরের মে মাসেই রাজ্যের আদালত অবমাননার জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের ওপর করেছিলেন রুল জারি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগের শুনানিতে সেই নির্দেশেও কোনও স্থগিতাদেশ নয়- জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পষ্ট। এবার, শুক্রবার মামলার শুনানিতেও অনুপস্থিত তাঁরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ওপর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। রাজ্যের ওপর রুল জারি করে তাঁর মন্তব্য, রাজ্যের সর্বাধিক পদে বসে থাকার পরও আদালতের নির্দেশ মানছেন না, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের কোনও হেলদোল নেই- বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির।
এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী সোমবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং এডিজি সিআইডিকে আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে হবে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা জানান, এর আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা এতটা উচ্চপদস্থ হয়ে গিয়েছে যে আদালতের নির্দেশও তাঁরা মানতে পারছেন না! আদালত আরও একটা সুযোগ দিল। তাঁরা যদি আগামী সোমবার আদালতে হাজিরা না দেন, তবে আরও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাববে আদালত।
জমি দখল, ভেড়ি দখল, মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলা। সন্দেশখালির বাদশাহ শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর এবং তাঁর দুই শাগরেদ দিদার বাক্স মোল্লা ও শিবপ্রসাদ হাজরাকে এই মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে পেশ করল ইডি। সূত্রের খবর, ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বুধবার জমি দখল, ভেড়ি দখল এবং মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলায় তিন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট-এর আবেদন করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমি দখল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শেখ শাহজাহান ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং বেশ কয়েকজনের। ইডি শাহজাহানের বেআইনি কাজকর্মের তদন্তে নেমে এবার সেই দিকেই নজর দিয়েছে। যে ব্যাপারে এ বার তাঁর সহযোগীদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। সেই চেষ্টারই প্রাথমিক পর্বে এই তিন জনকে আদালতে হাজির করালেন ইডির গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, ইডির উপর হামলার ঘটনায় ইডি আধিকারিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী শেখ শাহজাহান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছেন, হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও কিছুই জানতেন না। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যেদিনকে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন সেদিন কোনওভাবেই মারধর করার নিদান তিনি দেননি।
ইডি সূত্রে আরও খবর, শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ট বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী এলেন ইডি দফতরে। তাঁদেরকে তলব করা হয়েছিল। বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁরা ইডি দফতরে আসেন। মাছ ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয় এবং সেই সব বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
মণি ভট্টাচার্যঃ পাহাড়ে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে শিক্ষা দফতর। উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সিএন-এর হাতে এল জিটিএ-তে নিয়োগ পাওয়া ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ীকরণের তালিকা। উল্লেখ্য, ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে আপার প্রাইমারি ও ১২১ জন শিক্ষককে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে।
আরও ভয়ানক অভিযোগ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কথা জানত সিআইডি, স্টেট ভিজিল্যান্স কমিশন সবাই। ২০২২ সালে জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে সুমন গুরুং নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে শিক্ষা দফতর। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। গোটা ঘটনার তদন্তের নামে একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরকে জমা করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
ওই কমিটি ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে একটি রিপোর্টের মাধ্যমে শিক্ষা দফতরকে জানায় জিটিএ-র স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে বেনিয়ম হয়েছে। তাতে শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক সহ কিছু নেতৃত্বরা জড়িত বলে জানায় ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
এছাড়া চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জিটিএতে ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে একটি চিঠি পৌঁছয় শিক্ষা দফতরে। শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকেও পাঠায়। এমনকি শিক্ষা দফতর এই চিঠি ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। সবকিছু জেনেও চুপ ছিল রাজ্য সিআইডি এবং রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশন? কেন এই দুর্নীতির কথা জেনেও চুপ ছিল রাজ্য! উঠছে প্রশ্ন।
জিটিএ-তে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এবার এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এফআইআর দায়ের করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দায়ের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিয়োগ মামলায় এই প্রথম রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিধাননগর উত্তর থানায় জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ 'দুর্নীতি' সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এফআইআর।
সূত্রের খবর, পার্থ ছাড়াও এফআইআর-এ বালু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বুবাই বোস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং-সহ সাত থেকে আট জনের নাম রয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিত বসু জানিয়েছিলেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর কাছে এক সরকারি আধিকারিক একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিবিআই আগামী ২৫ এপ্রিল রিপোর্ট জমা দেবে। ওইদিন জিটিএ-কেও একটি রিপোর্ট দিতে হবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, জিটিএ-র অধীন বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল ২০২২ সালেই। অভিযোগ, জিটিএ-র প্রশাসনিক বোর্ডে থাকাকালীন অনৈতিকভাবে প্রায় ৫০০ জনকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করেছিলেন তৎকালীন জিটিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা ও বিনয় তামাং। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল গোর্খা আনএমপ্লয়েড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় আজ, শুক্রবার তৃতীয় চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তৃতীয় চার্জশিটে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকার সম্ভাবনা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নগদ রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অনুমান জ্যোতপ্রিয়র সেই অর্থ এজেন্ট মারফত নগদে বিশ্বজিতের কাছে পৌঁছে যেত। এরপর তিনি সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে দিতেন। চার্জশিটে এই বিষয়ে উল্লেখ থাকতে চলেছে। এছাড়া বিশ্বজিৎ দাসের সোনার ব্যবসা ছাড়াও একাধিক ব্যবসার হদিশ মিলেছে নতুন করে, সেই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা থাকবে চার্জশিটে।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি। সেখানে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-র দাবি, সেই টাকা শঙ্কর আঢ্যের নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়। শঙ্করের নামও দ্বিতীয় চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি। এবার তৃতীয় চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের নাম থাকবে বলেই খবর।
সিবিআই তদন্ত হলে ভালই হবে। ইডি দফতর থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথাই বললেন সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে। হঠাৎ করে শেখ শাহজাহানের এই সুর বদলে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে।
যদিও শাহজাহান এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মেডিকেল চেকআপের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। ইডি দফতর থেকে বেরোনোর সময় শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হয় যে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়, উত্তরে শাহজাহান বলে সিবিআই তদন্ত হলে খুব ভালো হবে। প্রশ্ন করা হয় ইডি ও তদন্ত করছে উত্তরে বলেন সবটাই ভালো হবে।
হঠাৎ করে শেখ শাহজাহানের এই সুর বদলে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, শেখ শাহজাহান বুঝে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সেকারণেই এখন সিবিআইয়ের হয়ে কথা বলছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে। এবং সন্দেশখালির বাসিন্দারা সরাসরি সিবিআইকে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিকতে স্পর্শ কাতর এলাকায় সিসিটিভি এবং বড় আলো বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
'আবরণ' নামটা শুনলেই মাথায় কি আসছে আপনার? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন 'আবরণ' অর্থাৎ আচ্ছাদন বা পরনের কাপড়। আজ আমরা গল্প শোনাব সেই 'আবরণের', যারা শূণ্য থেকে শুরু করে রাজ্যের অন্যতম বস্ত্র বিপণী কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
এখানে গেলে ভুলে যাবেন আপনি কোনও প্রতিষ্ঠানে আছেন। বরং আপনার মনে হতে বাধ্য আপনি একটি পরিবারেই আছেন।
'আবরণ' একটি ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র বিপণী সংস্থান, যা বিরাটিতে অবস্থিত। বিরাটির প্রাণ কেন্দ্র জুড়ে রয়েছে এই বিপণী, যারা এই এলাকায় সর্বপ্রথম শাড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে ওই ব্যবসা শক্ত হাতে ধরেন একেডি গ্রুপের কর্ণধার শুভাশিস দাস ও প্রয়াত মানসী দাস। কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার জোরে 'আবরণ' এখন গোটা রাজ্য জুড়ে অন্যতম একটি বস্ত্র বিপণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
প্রথমে শাড়ি দিয়ে শুরু হলেও ৮ থেকে ৮০ সবার জন্যই এখন সমস্ত ধরনের পোশাক আবরণে পাবেন আপনি। এমনকি শিশুদের জন্য একটি নতুন প্রতিষ্ঠান 'অরেঞ্জেস' শুরু করেছেন তাঁরা। গোটা রাজ্যজুড়ে ভীষণ সুখ্যাতি এবং তাদের বিপুল সম্ভার কলকাতার বুকেও আকর্ষনীয় জায়গা দিয়েছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, আবরণ গোটা বাংলায় বুটিক শিল্প ও চিন্তাভাবনাকে বদলে দিয়েছে। এবং রাজ্য জুড়ে বুটিক শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে 'আবরণ' বুটিক শিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া ইতিমধ্যেই 'আবরণ' গাঁটছড়া নামে একটি সেগমেন্ট চালু করেছে, যেখানে হস্তশিল্প সংক্রান্ত যে সব সংস্থান রয়েছে তাদেরকে উৎসাহিত করে, তাদের পাশে থেকে হস্তশিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়াস গ্রহণ করেছে।
আপনারাও এগিয়ে আসুন 'একেডি' গ্রুপের এই বস্ত্র বিপণী বিভাগ 'আবরণ'কে বেছে নিয়ে এই মহৎ উদ্দেশ্যের সঙ্গী হোন।
সন্দেশখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চের নির্দেশ, এব্যাপারে রাজ্যকে সব রকম সাহায্য করতে হবে। সেখানকার মানুষ তাদের অভিযোগ সরাসরি সিবিআইকে জানাতে পারবে। এজন্য সিবিআইকে আলাদা পোর্টাল তৈরি করতে হবে। জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন করা সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। স্পর্শকাতর এলাকায় ১৫ দিনের মধ্যে সিসিটিভি বসাতে হবে। বসাতে হবে এলইডি আলো। সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া আদালত যে কোনও পদমর্যাদার যেকোন ব্যক্তিকে তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠাতে পারবে সিবিআই। ২ মে পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেবে সিবিআই।
এর আগে গত পাঁচ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আধিকারিকরা তদন্ত করতে সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এদিন আদেশ দিতে গিয়ে আদালত বলেছে, সন্দেশখালির ঘটনার কথা বিবেচনা করে আদালত মনে করে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। তাই আদালত মনে করে যে এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক, সরকারকে তাঁকে যথাযথ সহায়তা করতে হবে। আদালতের তরফে আদেশে বলা হয়েছে, অভিযোগ গ্রহণের জন্য একটি পোর্টাল ও ইমেল আইডি চাবলু করতে হবে। জেলাশাসককে এব্যাপারে তারিখ উল্লেখ করে পর্যাপ্ত প্রচার চালাতে হবে। আদালত বলেছে, সিবিআই জমি দখলের অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করবে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও সরকারি, বেসরকারি যে কোনও ব্যক্তি কিংবা সংস্থার (এনজিও) কর্তাব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে আদালত পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
ভোটের আগে ফের অশান্তি বাংলায়। এবার বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হামলার আগে এক ব্যক্তি মুখে গামছা বেঁধে সাইকেলে করে এসে বাঁশ দিয়ে সিসিটিভি ভাঙে।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পালটা তৃণমূল সমর্থকরা হাজির হন সেখানে। চলে স্লোগান পালটা স্লোগান। সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বিক্ষোভ চলাকালীন থানায় এসে হাজির হন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। ঘটনার জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।