তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। অভিযোগ, প্রচারে গিয়ে মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীকে আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে কমিশনে নালিশ বঙ্গ বিজেপির। অন্যদিকে এই অভিযোগে ইতিমধ্যে ডিজিকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। চারদিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে চাপের মধ্যে ডায়মণ্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ।
গত কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পোস্ট করা ভিডিও অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে অভিষেক বলেছিলেন, “আপনি নির্ভয়া নন, আপনি নির্মম, আপনি বেহায়া, আপনি নিরুদ্দেশ, আপনি ব্যর্থ।” এই ‘বেহায়া’ শব্দটি নিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ ঠুকেছে গেরুয়া শিবির। মানুষকে বঞ্চিত-লাঞ্ছিত-অত্যাচারিত ও শোষিত করে রাখার দলের প্রতিনিধি বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা। আর তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
এরপরেই এই বিষয়ে ডিজিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের। কমিশনের দাবি, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নামে যে মন্তব্য অভিষেক করেছেন তা সম্মানহানীকর। এর পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে ডিজিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে। এমনকি এই বিষয়ে ডিজিকে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। আর তা আগামী চারদিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আর এর মধ্যেই এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। এবার কমিশন ভোটে মহিলাদের সম্মানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখছে। কু-মন্তব্য যাতে কেউ না করে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এহেন অভিযোগ। বিজেপির দাবি, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন তাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছ। এমনকি প্রচার থেকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানানো হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই নজর সবার। তবে অভিষেকের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
পরিত্য়ক্ত বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। বুধবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে কলকাতার নিউটাউনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকোপার্ক থানা এবং টেকনো সিটি থানার পুলিস। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর পুলিসের উচ্চ পদস্থ অফিসাররা। তবে এখনো পর্যন্ত মৃত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিউটাউনের যাত্রাগাছি জৈব হাটের উল্টোদিকে একটি বহুতলের নিচে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ইকোপার্ক থানার পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে ইকোপার্ক থানা এবং টেকনোসিটি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
মৃত যুবকের পরিচয় জানার পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ইকো পার্ক থানার পুলিসের পক্ষ থেকে। পরিত্যক্ত ওই বহুতলের চারপাশে কোনও পাঁচিল নেই। যার জন্য যে কেউ ওই বহুতলে ঢুকে পড়তে পারে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, বাইরে থেকে ওই যুবককে কেউ মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে নাকি বহুতল আবাসনের উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে ইকো পার্ক থানার পুলিস।
'সন্দেশখালির বাঘ'-এর চোখে জল। একসময় যাঁর দাপটে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, আজ সে নিজের অশ্রু আর ধরে রাখতে পারলেন না। মেয়ের 'আব্বা' ডাক আর স্ত্রীয়ের কান্না শুনে একেবারে মুষড়ে পড়লেন বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহান। মুখ ঘুরিয়ে চোখের জল মোছার আগে স্ত্রীকে 'আল্লাহর কাছে দোঁহা' করার কথা বলেন। সোমবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে এক অন্য রূপ দেখা গেল শাহজাহানের।
সোমবার শাহজাহান, আলমগীর, শিবু হাজরা, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ মোট ১২ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতাকে যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর স্ত্রী তসলিমা বিবি, মেয়ে ও পরিবারের কয়েকজন। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে এমন বিরল মুহূর্ত।
দীর্ঘ দশ বছর ধরে তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন দুই ভাই। তাঁরা দুজনেই মানসিক ভারসাম্য়হীন। এমন ছবি ধরা পড়ল নিউটাউন শহরের গৌরাঙ্গ নগরের ক্ষুদিরাম পল্লীতে। জানা গিয়েছে, ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি নির্মল মণ্ডল ও নমিতা মণ্ডল-এর দুই ছেলে শ্রীপদ মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল। এই দুই ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে টানা দশ বছর ধরে ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
পরিবারের দাবি, কুড়ি বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন দুই ভাই। তাঁদের বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে ঝামেলা-অশান্তি হওয়ায় তাঁদের বৌ ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি তাঁরা রাস্তায় বেরোলেই এলাকাবাসীদের মারধর পর্যন্ত করে। অবশেষে কিছু বুঝতে না পেরে তাঁদের ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবার। এরমধ্য়ে তাঁদের চিকিৎসাও করতে থাকে।
কিন্তু বাবা-মা জানিয়েছেন, তাঁরা আর চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছে না। মা লোকের বাড়ি কাজ করে কোনো রকমে খাওয়াটা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই ছেলেকে গ্রিলের দরজার তলা থেকে খাবার দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে না আছে পাখা না আছে লাইট। সেগুলো লাগালে ভেঙে দেয় তাঁরা। ভয়ে কেউ দরজার তালা ও খুলতেও যায় না। সেই কারণে বৃদ্ধ দম্পতি এখন প্রশাসন ও সরকারি সাহায্যের আশায় রয়েছে।
সোমবার এসএসসির রায় বেরোনোর পর, মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্তদের জামিন মামলার। শুনানিতে মুখ্য সচিবের ওপর চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। ২ বছর আগে তদন্তকারী সংস্থা মুখ্যসচিবের কাছ থেকে অনুমোদন পত্র চেয়েছে। কিন্তু তা জমা তো পড়েনি, এমনকি অনুমোদন পত্র দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো সম্ভব হয়নি মুখ্যসচিবের।
যদিও শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, নির্বাচনের জন্য কমিশনের নিয়মাবলীর মধ্যে বিষয়টি পড়ে যাওয়ায় মুখ্যসচিব অনুমোদন পত্র তৈরি করতে পারেননি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী জানান, দেড় মাসে মুখ্যসচিবের একটা অনুমোদন পত্র তৈরি করার সময় হচ্ছে না! নির্বাচন কমিশনের নিশ্চই নির্বাচনে নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে। তবে আদালত তো নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু করতে বলছে না। তাহলে সমস্যা কোথায়? বিচারপতির আরও মন্তব্য, রাজ্যের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার এভাবে যুক্তি দেখিয়ে নিজের দায় এড়াচ্ছেন? আজ বলছেন নির্বাচন কাল বলবেন অন্য কাজ আছে। ক্রিমিনাল কোর্টের এত সময় কোথায়? সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদীও জানান, অনুমোদন পত্র পেলেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। নিয়মের বন্ধনে আমাদের হাত বাঁধা। ট্রায়ালও চলছে শ্লথ গতিতে।
দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মুখ্যসচিব এর হলফনামায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আদালত দশদিন সময় দিল। তারপরেও যদি মুখ্য সচিব অনুমোদন পত্র না জমা দেন, সেক্ষেত্রে রুল ইস্যুর হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ মে।
এবার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের নামে লুকআউট সার্কুলার জারি করল ইডি। এর আগে তলব করা হলে, একাধিকবার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন শেখ সিরাজউদ্দিন। প্রায় সাড়ে তিন মাস অতিক্রান্ত, এখনও পর্যন্ত সিরাজউদ্দিনের খোঁজ মেলেনি ইডির। তাই এবার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে পোর্ট প্রত্যেকটি জায়গায় লুকআউট সার্কুলার জারি করা হল।
সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের দুই আত্মীয়ের সঙ্গে ব্যবসার অংশীদারি ছিলেন শেখ আলমগীর। শেখ আলমগীর এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ট্যাক্স কনসালটেন্টের অফিসে যেতেন এবং একই কম্পিউটার থেকে একসঙ্গে বসে সব টেন্ডারের জন্য আবেদন করতেন। প্রতিটি টেন্ডারের দরদাম এই তিন ব্যক্তি স্থির করতেন। এই টেন্ডারের কোটেশন এমনভাবে করা হত যাতে যে টেন্ডারটা প্রয়োজন সেটাই প্রত্যেকে পায়। তাঁরা টেন্ডারিং পদ্ধতিতে কারসাজি করে সরকারের কাছ থেকে কম টাকায় টেন্ডার পেতেন।
পাশাপাশি, শেখ আলমগীর তাঁর বয়ানে স্বীকার করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টেন্ডার সংক্রান্ত কাজ তাঁর জন্য করেছিলেন। যা বরাদ্দ করা হয়েছিল M/S SKA Enterprise এর জন্য। এই ধরনের টেন্ডারের জন্য শেখ আলমগীর মোট অর্থের ২৫ শতাংশ নিতেন সরকারের থেকে এবং বাকি ৭৫% অর্থ ট্রান্সফার করতেন শিব প্রসাদ হাজরার (শিবু) নিজের ফার্ম M/S Hazra Enterprises-এ। এই টাকা দেওয়ার জন্য জাল বিল তৈরি করা হত। যেখানে দেখানো হত এই টাকা নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য প্রয়োজন হয়েছে। অর্থাৎ M/S SKA Enterprise নির্মাণ সামগ্রী M/S Hazra Enterprise থেকে নিয়েছেন ওই অর্থের বিনিময়ে। সেই সঙ্গে শিবপ্রসাদ হাজরার বয়ান থেকে স্পষ্ট, তিনি এক কোটিরও বেশি অর্থ জাল বিলের পরিবর্তে M/S SKA Enterprise কে দিয়েছিলেন।
রামনবমীতে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর, বেলডাঙা এলাকায় বিঘ্নিত হয়েছিল শান্তি শৃঙ্খলা। মন্দির থেকে মসজিদ-হামলা চালানো হয়েছিল সর্বত্র। সোমবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মামলায় রাজ্য পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, সোমবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রামনবমী উদ্দেশ্য করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোমা ফাটানো হয়। অথচ এই মিছিলের অনুমতি আগে থেকেই পুলিসের কাছ থেকে নেওয়া ছিল। তবে বিশৃঙ্খলার ঘটনার সময়ে পুলিসের কোনও ভূমিকা ছিল না।
যদিও রাজ্যের আইনজীবী জানান, এটা সম্পূর্ণ দুই পক্ষের ঝামেলার ফল। দুই পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ধর্মীয় বিবাদ। এখানে পুলিসও আক্রান্ত হয়েছে। মোট ন'টা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি। ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে উপস্থিত ছিল বলেও আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।
যদিও এএসজি অশোক চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ওখানে রুট মার্চ করছিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের নির্দেশ, এনআইএ এবং সিআইডি যৌথ তদন্ত চালাবে কি না তা নির্ধারিত হবে মঙ্গলবার। যে সকল ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। এরই সঙ্গে এসপি মুর্শিদাবাদ এবং সিআইডিকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ছক জঙ্গিদের। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতা পুলিসের অ্যাডিশনাল কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান, অভিষেকের বাড়িতে হামলার ছক কষছে। এমনকি জঙ্গিরা নাকি এরই মাঝে অভিষেকের বাড়িতে রেইকি করেও গিয়েছে। অর্থাৎ বাড়ির চারপাশে নিঃশব্দে তারা ঘুরে বেড়িয়েছে। আর এই পরিকল্পনায় নাম উঠে আসছে রাজারাম রেগির। মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে একজন এই রাজারাম রেগি। সোমবার তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের আপ্তসহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাজারাম রেগি। তারপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে ঘুরে যায় সে। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার তদন্তে এই জঙ্গির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল।
কলকাতা পুলিসের অতিরিক্ত সুপার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, আজ, সোমবার মুম্বইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজারাম রেগি কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ভিডিওগ্রাফি করেছিলেন, কেন অভিষেকের এবং তাঁর আপ্তসহায়কের ফোন নম্বর নিয়েছিলেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামক স্ট্রিটের অফিসেও তিনি গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন টার্গেট করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতা পুলিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও রাজারাম রেইকি করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
শাহজাহানের সাম্রাজ্যের পরতে পরতে শুধুই দুর্নীতির অভিযোগ। শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমছে অভিযোগের পাহাড়। ইতিমধ্যেই BLRO মাঠ দখলের অভিযোগ উঠে এসেছে শাহজাহান ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মূলত মাঠটি দখল করেছিল শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার ইডির হাতে এসেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য। তদন্ত বলছে সন্দেশখালিতে সরকারি টাকায় তৈরি হয়েছিল বাজার। কিন্তু সেই বাজারের চুক্তিপত্রে মালিক শেখ শাহজাহান। ২০১৯ সালে এই বাজারের উপর নিজের মালিকানা চাপায় শাহজাহান। বাজারের সমস্ত মাছ ব্যবসায়ীদের উপরও জোরজুলুম চালাত শাহজাহান বাহিনী। শাহজাহানের নিজস্ব ফিসারি কোম্পানি সাবিনা ফিশারিতে ব্যবসায়ীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মাছ বিক্রয়ের জন্য জোর করত শাহজাহান বাহিনী।
এখানেই শেষ নয় শাহজাহানের দুর্নীতি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে আদায় করা হত তাদের রোজের ব্যবসার একাংশ। ব্যবসায়ীদের বলা হত এই টাকা সরকারকে দিতে হবে। কিন্তু টাকা কোনওদিনই জমা পড়ত না পঞ্চায়েতে। গরীব ব্যবসায়ীদের সেই টাকা সোজা পৌঁছে যেত শাহজাহান অনুগামীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
লোকসভা ভোটের আবহে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দের হাতে এবার কোন তথ্য এসে পৌঁছয় সেটাই দেখার।
ভোটের আবহে বড় ধাক্কা রাজ্যে। প্রায় সাড়ে তিনমাস শুনানির পরে অবশেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬-র গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল আদালত। ২৫,৭৫৩ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল আদালত। শুধুমাত্র সোমা দাসের চাকরি বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় 'মানবিক কারন'-এ তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। পাশাপাশি সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই,স্পষ্ট জানিয়ে দিল বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে কোনও চাকরি বৈধ নয় বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। আর ছয় সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে ডিআই ও জেলাশাসকদের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ৬ মাসের মধ্যে। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদিকে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। এরপরই শুরু হয় মামলার শুনানি। সেই শুনানি চলে প্রায় সাড়ে তিনমাস। আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে এই মুহূর্তে জেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা।
সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সেখানে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। উত্তর ২৪ পরগণার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি সিবিআইয়ের।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি। সন্দেশখালির বাসিন্দারা সেখানে নির্দ্বিধায় জানিয়েছিল, তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ। তথ্যপ্রমাণ-সহ সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সেখানে জমি দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর, তাঁদের বয়ানও নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই প্রেক্ষিতে একাধিক বিষয় জানতে চেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি দেওয়া হয় সিবিআই-এর তরফে। সূত্রের খবর, চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, এই জমিগুলির আসল চরিত্র কী ছিল? কবে চরিত্র বদলানো হয়েছিল? জমির প্রকৃত মালিক কে? এমনকি বিডিও দফতর থেকেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, রেজিস্ট্রি অফিস থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে যে, জমি রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলে, সেই সময় জমির মালিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা? সিবিআই-এর এই সক্রিয়তায় জমি দখল সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্য উঠে আগামী দিনে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
কসবায় বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্য়ু হল এক ছাত্রীর। রবিবার আবাসনের ২৫ তলা থেকে ঝাঁপ দেন তরুনী। বছর ১৯-এর তামান্না হিরাওয়াত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শনিবার প্রথমে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টার পর রবিবার শেষমেশ ঝাঁপ দেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তামান্না চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। কসবায় পিকনিক গার্ডেনের এক বহুতলের ২৫ তলায় থাকতেন বছর ১৯-এর তামান্না হিরাওয়াত। বাবা, মা, ভাইও থাকেন সঙ্গে। রবিবার ভোরবেলা সজোরে আওয়াজ। তারপরেই নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় তামান্না হিরাওয়াতের রক্তাক্ত দেহ। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই তামান্না। শনিবার প্রথমে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর রবিবার ভোর ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ ২৫ তলা থেকে পড়ে যান। তবে তামান্নার এই মৃত্যুর নেপথ্যে আসল কারণ কী? সেই সবটাই তামান্নার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বেঙ্গল কেমিক্যাল গেটের সামনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আহত দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুর। গতকাল, শনিবার ওই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কাঁকুড়গাছির দিক থেকে বাইপাসে দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একটি গাড়ি। রাস্তার মধ্যে উল্টে গিয়ে পাল্টি খায় গাড়িটি। সেই সময়ই আচমকা গাড়িটির ধাক্কায় গুরুতরভাব জখম হয় শিশু দুটি। ধাক্কা মারার পরই পালিয়ে যায় ড্রাইভার। স্থানীয়রা গাড়ি সরিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর তারপরই নিরীহ বাচ্চা দুটির এই শোচনীয় পরিণতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস এলে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা।
সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় যান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। শনিবার তাঁরা মাঝের সরবেড়িয়া এলাকার শ্যামল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন। সেখানে তাঁরা শ্যামল ঘোষের জমি সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি, দখল হয়ে যাওয়া জমিটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
অন্যদিকে, শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সন্দেশখালির খুলনার ১০ নং পাড়ার সমীর মণ্ডলের বাড়িতে যান সিবিআই-এর ছয় সদস্যের একটি টিম। অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই শনিবার তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা সমীর মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর পাশাপাশি, মহন্ত সর্দারের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মহন্ত সর্দারের অভিযোগ ছিল, মূলত শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরের বিরুদ্ধে। মহন্ত সর্দারের জমি আলমগীর দখল করেছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ করেছিলেন মহন্ত সর্দার। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই শনিবার মহন্ত সর্দারের বাড়িতে যান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সিবিআই-এর এই তৎপরতায় জমি দখল সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্য আগামী দিনে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
কলকাতায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। দুই শিশু সহ তিনজনের উপর উঠে গেল চলন্ত গাড়ি। রক্তে ভাসলো চারিদিক। বেঙ্গল কেমিক্যাল গেটের সামনে ঘটে মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা। গাড়িটি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তার পাশে গার্ডরেল ভেঙে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাচ্চা সহ মোট তিনজনকে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফুলবাগান থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, কাঁকুড়গাছির দিক থেকে বাইপাসে দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একটি গাড়ি। রাস্তার মধ্যে উল্টে গিয়ে পাল্টি খায় গাড়িটি। সেই সময়ই আচমকা গাড়িটির ধাক্কায় গুরুতরভাব জখম হয় শিশু দুটি। ধাক্কা মারার পরই পালিয়ে যায় ড্রাইভার। স্থানীয়রা গাড়ি সরিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর তারপরই নিরীহ বাচ্চা দুটির এই শোচনীয় পরিণতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিস এলে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা।