
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিহত অভিজিৎ (Avijit) সরকারের মায়ের সাক্ষ্যদান চলাকালীন বিপত্তি। কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা মাধবী (Maadhabi) সরকার। তাঁকে নিয়ে এনআরএস হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা পুলিসের। মাধবী দেবী অসুস্থ হওয়ার পরেই স্থগিত হয়ে যায় শুনানির কাজ। সিবিআইয়ের (Cbi) আইনজীবী সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে আগামীকাল আবার শুরু হতে পারে এই মামলার শুনানি এবং সাক্ষ্যদান। রবিবার রাতেই নারকেলডাঙা থানার পুলিসের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে অভিজিতের পরিবারকে। ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, বাড়ি থেকে শিয়ালদহ আদালত পর্যন্ত পর্যাপ্ত পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হবে তাঁদের। সেইমতোই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা পুলিসের বিশেষ ভ্যানে আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, অভিজিৎ সরকারের মা মাধবী সরকার।
ওদিকে এই মামলা নাটকীয় মোড় নেয়, সিবিআই সূত্রে খবর এই মামলায় সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবর্তন করা হয় এই মামলার দুই তদন্তকারী অফিসারকে। সিবিআই আইনজীবী সূত্রে খবর, এই মামলায় বিচারক অনির্বাণ দাস নিহত অভিজিতের মা মাধবী দেবীকে ঘটনার দিনে ঠিক কী কী ঘটেছিলো সেই বিষয়ে জানতে চান। অভিজিতের মা বলেন,
'সেদিন বিজেপির পার্টি অফিসে বসে খবর দেখছিলেন অভিজিৎ ও বিশ্বজিৎ দুই ভাই, অর্থাৎ তাঁর দুই ছেলে। সেই সময় বোমার আওয়াজ শুনে বাইরে এসে দেখি, তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী এসে আমার ছোট ছেলে অভিজিতের কলার ধরে। পাশাপাশি একটি দল আমার বাড়ি-ঘর, বাইরের চারটে সিসিটিভি ভাঙচুর করে।'
সোমবার তিনি কোর্টকে জানান, 'আমি এবং আমার বড় ছেলে অভিজিৎকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় মাধবী দেবী, এক দুষ্কৃতীকে বলতে শোনেন দাদা বলেছে প্রাণে বাঁচিয়ে লাভ কী? মেরে দাও।' এরপরে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি।
হাজিরা এড়ালেন কালীঘাটের (Kalighat) কাকু, কিন্তু সিবিআইয়ের (Cbi) চেয়ে পাঠানো নথি আইনজীবী মারফত পাঠালেন নিজাম প্যালেসে (Nizam palace)। কয়েকদিন আগেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। আজ অর্থাৎ সোমবার তাঁকে সম্পত্তির নথি-সহ দেখা করতে বলা হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর, কিন্তু সুজয় ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু, তিনি আজকে হাজিরা দিতে এলেন না। তার সমস্ত নথি তার আইনজীবী মারফত নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতর পাঠালেন। আইনজীবী নাজমুল আলম সরকার ১০টা বেজে ৩৩ মিনিটে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে এলেন।
সূত্রের খবর, গোপাল দলপতি এবং তাপস মণ্ডলের মুখে উঠে আসে এই ‘কাকুর’ কথা। তিনি বেহালার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তিনিই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন তাঁর বসের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ফের সিবিআই অফিসে যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'সিবিআই ডাকেনি। শুধুমাত্র নথি চেয়েছে। তাই প্রতিনিধি যাচ্ছেন তা জমা দিতে।'
দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার শান্তনু (SHANTANU) ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল (AYAN Seal)। আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর, তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তুলবে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা (Ed) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতেই, একে একে সামনে এসেছে রথী-মহারথীদের নাম। ইডির হেফাজতের আছে অনেকে, এবার অয়নকে হেফাজতে নিলো ইডি। শনিবার শান্তনু যোগ পেয়ে, শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে হানা দেয় ইডির একটি দল। শনিবার দুপুরের পর থেকেই অয়নের বাড়িতে, সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশি করে প্রায় ৪০০ ওএমআর সিট-সহ প্রার্থীদের তালিকা, অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে ইডি। সেই সঙ্গেই তাঁকে জেরা করতে থাকে ইডির আরও একটি দল।
শনিবারের পাশাপাশি গোটা রবিবারজুড়ে চলে অয়নের বাড়ি, ফ্ল্যাট, অফিসে তল্লাশি। তল্লাশি চলাকালীন রবিবারই ইডির তরফে জানানো জন্য হয় যে, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল কুন্তলের কন্ট্রোল রুম। রবিবার তল্লাশির পর ইডির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছিল যে, ওই টাকার যে তালিকা সেই তালিকা টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা খুঁজে পেয়েছে ইডি। সেগুলোকেই পরীক্ষা করে দেখছেন বলে জানিয়েছিল ইডির আধিকারিকেরা। দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা চলে তল্লাশি।
এরপরে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অয়ন শীলকে। অয়নের সঙ্গে বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানের যোগাযোগের কথা আগেই প্রকাশ করেছিল সিএন। সেই সঙ্গে রবিবার তল্লাশি চলাকালীন ইডির তরফে জানানো হয় শুধু শিক্ষা দফতরে নয়, বিভিন্ন পুরসভা-সহ আরও বেআইনি নিয়োগে যুক্ত ছিল অয়ন ও শান্তনু। গোটা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছিল তাঁদের এজেন্ট। সেই এজেন্টদের তথ্য ইডির হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। সে সমস্ত নথি ও তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর।
শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের (Ayan) সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট (OMR Sheet)। উদ্ধার প্রার্থীর তালিকা সহ অ্যাডমিট কার্ড ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। অয়নের অফিস হাতড়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। যা আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পারে বলে সূত্রের খবর।
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় নাম জড়িয়েছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের। ইডির তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, শান্তনুর যাবতীয় তথ্য সরিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের অফিসে। পাশাপাশি ইডির তল্লাশিতে আর উঠে এসেছে, চাকরির প্রস্তুতির প্রতিষ্ঠান খুলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন পুরসভা গুলিতেও। অর্থাৎ শুধু শিক্ষা নয় এবার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরসভার চাকরিতেও। অভিযোগের তীর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের দিকে।
শনিবার দিনভর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের অফিস ও প্রতিষ্ঠানের নথি যাচাই করে এই তথ্য জানতে পারে ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, 'একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অয়ন। একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।' শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির বাইরে পুরসভার নিয়োগে কি এবার দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ একাধিক চাকরির নোটিফিকেশন এবং প্রার্থী তালিকা পাওয়া গিয়েছে অয়নের হার্ডডিক্সে।
শনিবার ইডি অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ কিছু ইলেকট্রনিক্স গেজেটে পাসওয়ার্ড থাকার দরুন সেগুলি ব্যাবহার করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ অয়ন শীলকে তাঁর সল্টলেকের অফিসে আনা হলে আধিকারিকরা সেই ইলেকট্রনিক্স গেজেটের পাসওয়ার্ড জানতে পারে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ব্যাঙ্কের নথি এবং কিছু লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই লেনদেন গুলি কবে করা হয়েছিল এবং অয়ন শীল কাদের মাধ্যমে ওই লেনদেন করেছিলেন তা নজরে রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। এছাড়া জেরার পর ইডি সূত্রের দাবি, শান্তনু-কুন্তলের মিডল ম্যানরা ছড়িয়ে পড়েছিল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়। এ যাবতীয় সমস্ত নথি অয়নের অফিস হাতড়ে খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।
ট্যাংরায়(tangra) খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস (kolkata police) সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ধৃতদের জেরা করে পাওয়া গিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গিয়েছে ঝুন্নুকে হাতুড়ি দিয়ে খুন করা হয়েছিল। পুলিস শনিবার তদন্তের জন্য যায় গোলাম রব্বানীর বাড়ি। শুক্রবার রব্বানীর বাড়িতে তল্লাশি করে জানা যায়, খুন করার পর রক্তের দাগ মুছতে দেওয়াল রঙ করলেও সিলিংয়ে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। এমনই পুলিস সূত্রে খবর।
শনিবার জেরার পর পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী আয়েশা নুর অন্তঃসত্ত্বা। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের জন্য গোলাম, ঝুন্নুকে খুন করেন। শনিবার পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'অভিযুক্ত গোলাম রব্বানী পুলিসকে জানিয়েছেন ঝুনু রানাকে খুন করে খালের জলে ফেলে দিয়েছে।' যদিও শনিবার ঝুন্নুর মৃতদেহের জন্য সায়েন্স সিটির কাছে একটি ঝিলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। এখনও ঝুন্নুর মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি মৃতদেহ পচন ধরে হালকা হয়ে ড্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, শনিবারও ট্যাংরা এলাকা এক প্রকার থমথমে ছিল। পুলিস জানিয়েছে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোলামের ভাই ইমরান রব্বানীকে গ্রেফতার করে পুলিস। মোট চার অভিযুক্তকে জেরা করে এই খুন সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবে পুলিস। শুক্রবার সকালে বাকি তিন অভিযুক্তকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ইডির (ED) দেওয়া ৫দিন সময়ের মধ্যেই কুন্তল ঘোষের টাকা ফেরত দিলেন সোমা চক্রবর্তী। অভিনেতা বনির পাশাপাশি কুন্তলের টাকা ফেরত দিলেন নেইল আর্ট পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তী (Soma Chakrabroty)। সিএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'কুন্তলের (kuntal Ghosh) যে অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সেই অ্যাকাউন্টেই টাকা ফেরত দিয়েছি।'
এদিন তিনি আরও জানান, তাঁর ব্যবসার মূলধন থেকে ওই টাকা ফিরিয়েছেন তিনি। এদিন টাকা ফেরত দেওয়ার পর ইডির থেকে ক্লিনচিট পান তিনি, জানান সোমা দেবী। সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'এরপর থেকে কোনও ব্যাঙ্ক লেনদেনের আগে অবশ্যই সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে জেনে নেবেন।' কুন্তলের ব্যপারে আগেভাগে কিছুই জানতেন না বলে দাবি সোমা চক্রবর্তীর। কুন্তলের বিষয়ে এদিন তিনি বলেন, 'কুন্তলের সঙ্গে এমনিই বন্ধুর মতো দেখা করেছিলাম, আলাপ দীর্ঘ হওয়াতে তাঁর থেকে ব্যবসার জন্য লোন নিই।' এরপরেও যদি ইডি ডাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
কলকাতায় চালু হল চিনা রেক তথা ডালিয়ান রেকের মেট্রো। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই চালু হল এই মেট্রো। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দমদম মেট্রো স্টেশন থেকে বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু করল এই চিনা রেক। এদিন এই শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা-সহ মেট্রো রেলকর্তারা।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ২০১৯ সালে চিন থেকে কলকাতা বন্দরে এসে পৌঁছেছিল এই ডালিয়ান রেক। তারপর থেকে করোনা মহমারী ও আরও নানা কারণে সেই রেক বাণিজ্যিকভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই দীর্ঘ চার বছরের প্রতীক্ষার পর শুক্রবারই বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু হল চিনের বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ডালিয়ান রেক। দমদম মেট্রো স্টেশন থেকেই এই রেকের যাত্রা শুরু।
কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরার দাবি, 'এই রেক যাত্রীদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। বর্তমানে যে মেট্রোগুলি চলে তার থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ বেশি যাত্রী এই রেকে উঠতে পারবে। পাশাপাশি রেকের দরজা চওড়ায় বড় করা হয়েছে। এমনকি বয়স্কদের জন্য থাকছে আরও বেশি সংখ্যক সংরক্ষিত আসন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা। এই রেকে ঝাকুনির অনুভূতি কম হবে।'
তিনি বলেন, 'ডালিয়ান রেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও ভাল। ভিতরের সজ্জাতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই রেকে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে বাইরের আওয়াজ ভিতরে আসবে অল্প। ফলে মেট্রোতে যাতাযাত করা হবে আরও শান্তিপূর্ণ। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে কলকাতা মেট্রো মোট ১৩টি ডালিয়ান রেক কিনবে।'
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'খুবই মসৃণ এই মেট্রোর সফর। আপাতত একটি রেক এসেছে। আরও তিনটি খুব শীঘ্রই চলে আসবে।'
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গবার মণীশ কোঠারিকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি। তাই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের হদিশ পায় ইডি আধিকারিকরা। একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার নামে এত কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কি? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার।
ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার নামে ফিক্স ডিপোজিট করা হয়েছে। ১৬ কোটি টাকার ফিক্সট ডিপোজিট সুকন্যার, জেরায় জানান মণীশ।
ট্যাংরায় খুনের (Tangra Incident) ঘটনায় বৃহস্পতিবাবার রাতেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্তর মামা রিয়াজ ও গোলাম রব্বানীর স্ত্রী। শুক্রবার শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হবে তাঁদের। চলতি মাসে ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঝুনু রানা নামে এক বছর ৩৪-এর যুবক। পরিবারের অভিযোগ, বারবার পুলিসে অভিযোগ করা সত্ত্বেও অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিস (kolkata police)। এরপর পরিবারের তরফে আত্মীয় ও পরিজনদের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর দেখা যায় ঝুন্নু রানার শেষ অবস্থান ছিল তিলজলা থানার (tiljala murder) গোলাম রব্বানীর বাড়ি। পরিবার সূত্রে খবর, ঝুন্নুর সঙ্গে দিন চারেক আগে বন্ধুত্ব হয় এই গোলাম রব্বানীর।
পুলিস সূত্রের খবর, এরপরেই ওই সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ট্যাংরা থানায় গোলাম রব্বানীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে ঝুনুর পরিবার এবং চূড়ান্ত পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, 'বারংবার পুলিসকে অভিযোগ জানানোর পর পুলিস কেবল একটি জেনারেল ডায়রি গ্রহণ করে এবং দোলের পরে থানায় যোগাযোগ করতে বলে।'
স্থানীয় সূত্রের দাবি, 'এরপর ঝুন্নুর পরিবারের তরফে লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরে যোগাযোগ করা হলে পুলিস নড়েচড়ে বসে। এরপরে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে গেলে ১৬ তারিখ দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় গোলাম রব্বানীকে। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে তাঁকে কলকাতায় আনা হয়।' বৃহস্পতিবার ঝুন্নুর ভাই বিক্রম রানা বলেন, 'আমার এক ভাই তিলজলায় নামি রেস্তোরায় কাজ করে, সেখানেই গোলামকে ঝুন্নুর সঙ্গে শেষবার দেখেন ওই ভাই, সেখান থেকেই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি এবং পুলিসকে জানাই।'
ঘটনাক্রমে এক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকের দাবি, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ঝুন্নুকে সে-ই খুন করেছে, এছাড়া ওই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার বলেন, "তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪ তারিখ ভোরে রাব্বানী, তাঁর স্ত্রী ও রাব্বানীর মামা রিকশা করে নীল ড্রামে দেহ ভরে ভোর ৫.৩০-৬টার মধ্যে দেহ তপসিয়া খালের ধারে ফেলে দিয়ে আসে।"
রব্বানীকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকাল থেকেই তিলজলা এলাকায় একটি ঝিলে ঝুন্নুর দেহের খোঁজে ডিএমজি নামিয়ে ঝুন্নুর মৃতদেহের উদ্ধারের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিসের বড়কর্তা শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী।
শহর কলকাতার (Kolkata Incident) বুকে দেখা গেল অমানবিক চিত্র। আবর্জনার স্তূপের মধ্যে সদ্যজাতর দেহ। শুধু তাই নয় সদ্যজাতর (New Born Baby) দেহকে ছিঁড়ে খাচ্ছে কাক। ঘটনাটি ঘটে বেহালার সরশুনা থানা (Sarsuna PS) এলাকার শকুন্তলা পার্কে। ঘটনাস্থলে সরশুনা থানার পুলিস। সদ্যজাতর দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী।
এক পথচারী জানান, 'রাস্তার ধারে আবর্জনা স্তুপের মধ্যে এক সদ্যজাতর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্লাস্টিক থেকে সেই সদ্যজাতকে বের করে ছিঁড়ে খাচ্ছিল কাক। এই দেখে সরশুর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।'
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি(Teacher Recruitment Scam) নিয়ে কুন্তল ঘোষ(Kuntal Ghosh)এখন খবরের শিরোনামে। পাশাপাশি কুন্তলের সূত্র ধরে দু'বার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। একইভাবে নেইল আর্ট পার্লারের মালকিন সোমা চক্রবর্তী ইডির ডাক পেয়েছেন। এবার এই দুজন কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিল ইডিকে। জানা গিয়েছে, এই দু'জনের থেকে পাওয়া প্রায় এক কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি (ED)।
সূত্রের খবর বনি সেনগুপ্ত বৃহস্পতিবার ইডি-কে ডিমান্ড ড্রাফটে ৪৪ লক্ষ টাকা ফিরিয়েছেন। যদিও চলতি সপ্তাহেই বনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ওসব আমার টাকা। একইভাবে সোমা চক্রবর্তী ফিরিয়েছেন ৫৫ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল এই দু'জনকে সেই অ্যাকাউন্টেই টাকা ফেরত এসেছে। দু-জনের ফেরত দেওয়া মোট ৯৯ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা ফ্রিজ করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে বনি জানান গাড়ি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। একটা ছবি তৈরির ব্যাপারে কথা হলেও সেটা পরে এগোয়নি। কুন্তল বলেছিল প্রোগ্রাম করে সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে। একইভাবে সোমা জানিয়েছিলেন, সোমা চক্রবর্তী তাঁর নেল পার্লারের ব্যবসার জন্য টাকা ধার নিয়েছিলেন।
ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, কুন্তল ঘোষের মোট ১০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই ১টি অ্যাকাউন্টে থাকা কোটি কোটি টাকা নিয়োগ দুর্নীতিরই, অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই টাকা বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে। কুন্তলের পরিবারের অ্যাকাউন্টে কোন টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিন ঘোষণার জট কাটলো না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার উপর স্থগিতাদেশ বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি। শুক্রবার পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানি শেষ না হওয়ায় বাড়ানো হলো মেয়াদ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) হলফনামাই গ্রহণ করলো না ডিভিশন বেঞ্চ।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে সবকটি রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে চলতি বছরের পঞ্চায়েত ভোট চেয়ে সরব প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তারা অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে দ্বারস্থ হাইকোর্টের। সেই আবেদনের উপরেও চলছে শুনানি। এখন রাজ্য রাজনীতির কারবারীরা তাকিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের দিকে। সূত্রের খবর, কোর্টের নির্দেশ নিয়েই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরে প্রাক-ভোট প্রস্তুতিতে নামতে পারে নির্বাচন কমিশন।
আবার বিধাননগর কমিশনারেট (Bidhannagar Police) এলাকার নারায়ণপুরের পূর্ব বেড়াবেড়িতে ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Center) হদিশ। ৫-জি টাওয়ার বসানোর নামে টাকা হাতানোর অভিযোগে পুলিসের হাতে গ্রেফতার মোট ২১ জন। ধৃতদের মধ্যে ১১ জন তরুণী ও ১০ জন তরুণ। নারায়ণপুর থানার অভিযানে উদ্ধার ৪৬টি মোবাইল-সহ বহু নথি। বৃহস্পতিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর কোর্টে তোলা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, সূত্র মারফত খবর পেয়ে নারায়ণপুর থানার উচ্চপদস্থ কর্তারা ওই ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দেন।
তাঁরা গিয়ে দেখেন সেখানে যুবক-যুবতী বসে কল সেন্টার চালাচ্ছেন। এরপরই তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তদন্তে জানা যায়, এই অফিসে বসে সাধারণ মানুষকে ফোন করে ফাইভ জি মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রসেসিং ফি বাবদ মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। এভাবে তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করে চলেছে। এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা বিহার, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, সল্টলেক, নদীয়া, হাওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
কৌস্তভ বাগচিকে (Kaustabh Bagchi) গ্রেফতারি মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বড় ধাক্কা কলকাতা পুলিসের। বটতলা থানায় দায়ের এফআইআর-র (FIR) উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)। পাশাপাশি কোর্টের নির্দেশ, 'আগামি ৪ সপ্তাহ রাজ্যের কোনও থানা কৌস্তভের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে না। লাগবে আদালতের সম্মতি।' বুধবার শুনানিতে প্রাণভয়ের আশঙ্কা করে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে আদালতের নির্দেশ, 'আপাতত কৌস্তভ বাগচির বাড়ির সামনে পাঁচ জন পুলিসের পিকেটিং থাকবে। কৌস্তভ বাড়ির বাইরে বেরোলে একজন সশস্ত্র পুলিস তাঁকে নিরাপত্তা দেবে।' পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট সিআরপিএফ-কে এই মামলায় পার্টি হতে নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীকে জানাতে হবে, তাঁরা আদৌ কৌস্তভ বাগচিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা।
এই প্রসঙ্গে কৌস্তভ জানান, 'আমার আশা ছিল ন্যায্য বিচার পাবো। আমার হয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবীরা হাইকোর্টে সওয়াল করেন। এই অন্যায়-অত্যাচার যে রাজ্য সরকার করেছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস বটতলা থানার এফআইআর খারিজ হবে কোর্ট নির্দেশে।' এদিনের শুনানিতে আদালতের লিখিত লিখিত পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।' যদিও এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে আপত্তি তোলেন সরকারি আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি বক্তব্য প্রত্যাহার করেনি।
তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, বটতলা থানার অতিসক্রিয়তা নিয়ে তদন্তে করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবেন কলকাতার পুলিস কমিশনার। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'বটতলা থানার অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক অনুসন্ধান করা উচিত ছিল। এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ নেই যার থেকে বোঝা যায় অভিযোগের গুরুত্ব। কোনও নোটিস না পাঠিয়ে গ্রেফতারি নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। কোর্ট জানতে আগ্রহী কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিস তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। আর সারারাত থেকে পরের দিন গ্রেফতার করেছে। এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ-বিরোধী।'
হাইকোর্টের নির্দেশ, 'কেস ডায়রি খতিয়ে দেখে আদালতে রিপোর্ট দেবেন পুলিস কমিশনার।'
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমন আর বুধের বেলায় নিজাম প্যালেসে হাজির সুজয় ভদ্র। এই সুজয় ভদ্র নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (education Scam) অন্যতম চর্চিত চরিত্র 'কালীঘাটের কাকু' (Kalighat Kaku)। তাঁর নাম উঠে আসে গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডল এবং কেন্দ্রীয় সংস্থার র্যাডারে থাকা গোপাল দলপতির মন্তব্যে। এবার সেই কালীঘাটের কাকুকে সিবিআই (CBI) তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ দুই আইনজীবীকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে আসেন সুজয় ভদ্র। ভিতরে ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমকে সুজয়বাবু জানান, 'কাল (পড়ুন মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বাড়িতে ছোট একটা কাগজে লিখে নোটিস পাঠায় সিবিআই। তাতে কী লেখা আমি বুঝিনি। স্ত্রীয়ের শরীর খারাপের মধ্যেই আজ চলে এসেছি। নয়তো বলবে তদন্তে অসহযোগিতা করছি।'
এরপর নিয়োগ-কাণ্ডে সুজয় ভদ্রের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তাঁকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বেলা দুটোর পর বেড়িয়ে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় ভদ্র জানান, 'আমার থেকে কোনও নথি চায়নি, দ্বিতীয়বার আমাকে ডাকেনি। যদি নিয়োগ-কাণ্ডে যুক্ত হতাম তাহলে গ্রেফতার হতাম। আমি টাকা নিয়েছি কিনা তদন্তকারীদের বলেছি, সংবাদমাধ্যমকে আর কিছু বলবো না। তদন্ত চলছে, তদন্তকারীদের থেকে জানুন। রাজনৈতিক যোগে কুন্তল-তাপসকে চিনি।' এদিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে একঝাঁক প্রশ্ন ছুড়ে দিলে কার্যত মেজাজ হারান সুজয় ভদ্র। তাঁর জবাব, 'আপনারা দয়া করে তদন্তকারীদের ভূমিকা নেবেন না।' সমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'আমার স্ত্রীয়ের হাত পুড়ে যাওয়ায় সমনে সই করতে পারেননি। তাই কাগজে লিখে দিয়ে গিয়েছিল।'
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু বুধবারই ইডি দফতরে এসে পৌঁছন জয়শ্রী দেবী। জানা গিয়েছে, লিখিতভাবে কুন্তলের স্ত্রীয়ের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। চলছে ভিডিওগ্রাফিও। ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি-সহ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। জয়শ্রী দেবীর সঙ্গে কুন্তলের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ-কাণ্ডে আদৌ কুন্তলের স্ত্রী কিছু জানেন কিনা খতিয়ে দেখবে ইডি। এমনকি, জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত অর্থের সূত্র জানতেও জয়শ্রী দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা বলেই সূত্রের খবর। তবে বুধবার সকালে ইডি দফতরে ঢোকার মুখে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে যান কুন্তলের স্ত্রী।
অপরদিকে, বুধবার দিল্লির ইডি দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের হাজিরার কথা ছিল। কিন্তু 'শারীরিক অসুস্থতার' কারণে এদিন সেই হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল। কারণ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে মেইল করেছেন অনুব্রত-কন্যা বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে ইডিকে চিঠি দেন সুকন্যা।