লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। বলা যায় একেবারে দোরগোড়ায়। আর পশ্চিমবঙ্গ তো অশান্তির আবহেই অতীতে বরাবর জর্জরিত হয়েছে নির্বাচন চলাকালীন। তাই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
মার্চের শেষ থেকেই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসতে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুরু হয় রোড ডমিনেশনের কাজও। এভাবে রাজ্যে আগে থেকেই ছিল ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার প্রথম দফার নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, তার আগে আরও তৎপর হয়ে রাজ্যে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ১ এপ্রিল থেকেই মোট ১৭৭ কোম্পানি রাজ্যে শুরু করে দেবে রুটমার্চ।
কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব এগোচ্ছে এখনও। তবে ভোটের দিন কী হবে? কতটা শান্তিপূর্ণ হবে এবারের নির্বাচন? সাধারণ মানুষ বলছেন, এরাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে কেমন হয়, স্মৃতিতে আসে না আর। এবার কি সাধারণের এই ক্ষোভ ঘুচিয়ে দিতে পারবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন? সক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয় কি না, তা বলবে সময়ই।
আগামী ২৫ মার্চ, সোমবার দেশজুড়ে হোলি বা দোলযাত্রা। গোটা ভারতের মানুষ মেতে উঠবেন রঙের উৎসবে। আর পূর্ব রেল সূত্রে খবর এই দোলযাত্রা উপলক্ষ্যেই বাতিল একাধিক ট্রেন। সোমবার মেন লাইন, হাওড়া শাখা, সার্কুলার রেল, সিসিআর লাইন, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বাতিল থাকছে ট্রেন।
এর মধ্যে শিয়ালদহ মেন লাইনে যে সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে শিয়ালদহ - বর্ধমান, শিয়ালদহ-রানাঘাট, রানাঘাট-গেদে, শিয়ালদহ-গেদে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, নৈহাটি-রানাঘাট, শিয়ালদহ-শান্তিপুর, রানাঘাট-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর এবং শিয়ালদহ- নৈহাটি রুটের ট্রেন।
এছাড়াও দোলের দিন সোমবার, বনগাঁ শাখার যে সব ট্রেন বাতিল, তার মধ্যে রয়েছে বারাসাত-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-বারাসাত, শিয়ালদহ-হাবড়া, শিয়ালদহ-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-দমদম ক্যান্ট, শিয়ালদহ-মধ্যমগ্রাম, শিয়ালদহ-দত্তপুকুর, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, বারাসাত-হাসনাবাদ। এমনকি সোমবার বাতিল থাকছে ব্যারাকপুর-মাঝেরহাট, হাসনাবাদ-মাঝেরহাট, শিয়ালদহ- বারুইপুর, শিয়ালদহ-বজবজ ছাড়াও একাধিক শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন।
দোলের দিন অর্থাৎ সোমবার বাতিল থাকছে হাওড়া ডিভিশনেও একাধিক ট্রেন। তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-বর্ধমান, হাওড়া- তারকেশ্বর, হাওড়া - শ্রীরামপুর ছাড়াও একাধিক ট্রেন। দোল উৎসবের কথা মাথায় রেখেই রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
নিউটাউনের কারিগরি ভবনের পিছনের খাল থেকে ট্রলিব্যাগ বন্দী বৃদ্ধ সুবোধ সরকারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত। যার নাম সৌম্য কান্তি জানা। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে অসীম হালদার এবং উত্তম দে নামে আরও দুই ব্যক্তিকে। রবিবার মূল অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে রক্ত লাগা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেয় হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড সৌম্য কান্তি জানা।খবর পেতেই,টেকনোসিটি থানার পুলিস আধিকারিকরা পটাশপুর থেকে মৃতদেহ লোপাটে ব্যবহৃত অ্যাপ নির্ভর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। এছাড়াও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় টেকনোসিটি থানায়। জেরায় উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযুক্তের দাবি, সুবোধ সরকার কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আগে উড়িষ্যায় থাকতেন তিনি।সুবোধ সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ৭লক্ষ টাকা ফেরতের জন্য তাকে বাড়িতে ডাকেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নিমতা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্য কান্তি জানা। এরপর দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়,সৌম্য জানা ধাক্কা মারেন সুবোধ সরকারকে। দেওয়ালে লেগে মাথার পিছনে আঘাত পান বৃদ্ধ।মৃত্যু নিশ্চিত করতে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর অ্যাপ ক্যাবে করে ট্রলিব্যাগ বন্দী করে বৃদ্ধের দেহ ফেলে আসেন সৌম্য জানা।
গার্ডেনরিচ বহুতল বিপর্যয়ে আরও একজনের মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। শনিবার কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধার।
সরকারি নথি অনুযায়ী গার্ডেনরিচের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন জখম বাসিন্দা। তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মহম্মদ হায়দার (২৪), রিজওয়ানা খাতুন (৩৫), মহম্মদ জানু (৩৫), সবিয়া পারভিন (১৯), সারিকা বেগম (২৬) এবং নমিতা পাত্র (৪০)।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রেড জোনে রয়েছেন যে ৩ জন তাঁর মধ্যে রয়েছেন, মুসরত জাহান (৩৫), মঈনুল হক (২৩) এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন(২১)।
তবে এই এই বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছিল পুরসভার ৩ ইঞ্জিনিয়ারকে। শোকজ জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের যুক্তিতে সন্তুষ্ট নয় পুরসভা। শোকজের এই জবাবে ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে তিন ইঞ্জিনিয়ার, শুভম ভট্টাচার্য, দেবব্রত ঘোষ, এবং দেবাদিত্য পালের বিরুদ্ধে।
এখন দেখার বিষয় যে গার্ডেনরিচের ঘটনায় গঠিত ৭ সদস্যের কমিটির ওই রিপোর্টে কী তথ্য উঠে আসে। শুধুই কি ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতি নাকি নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালীদের হাত? এই উত্তর তো বলবে সময়। কিন্তু এই মৃত্যু মিছিল পুনরায় ঘটবে না তো? প্রশাসনের হুঁশ আদৌ ফিরবে তো? নাকি ভোট পেরোলেই আবার যেই কী সেই? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
বেপোরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় মারধর নিউটাউন থানার পুলিসকে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার চার। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ দুটি গাড়ি বেপোরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। সেই সময় নিউটাউন ওয়াচ টাওয়ার ব্রিজের নিচে এক পথ চলতি ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন। তারপরই গাড়ি থেকে নেমে সেই ব্যক্তিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউটাউন থানার পুলিস। পুলিসকে দেখেও শান্ত হয়নি অভিযুক্তরা। ব্যাট, উইকেট দিয়ে মারধর শুরু করে পুলিসকেও। এরপরে গাড়িতে থাকা সাত আট জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবারেও বাংলায় ৭ দফায় ভোট হবে৷ শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই তালিকায় চমক, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের টিকিটে রানাঘাট থেকে লড়বেন অলোকেশ দাস, বোলপুর শ্যামলী প্রধান এবং বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন সুকৃতি ঘোষাল। সুকৃতি ঘোষাল বর্ধমান মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন বিমান বসু বলেছেন, প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও আলোচনা বাকি রয়েছে। তাই বাকিদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে প্রার্থী দেওয়া সম্পূর্ণ বামেদের৷ এর আগে মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বামেরা। সবমিলিয়ে মোট ২১ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল তারা। তবে ২১ বাকি আসনে প্রার্থী দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়ে দিলেন বিমান বসু। কারণ আসনগুলি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। সহমত হওয়ার পরই বাকি প্রার্থীদের নাম ধোষণা করা হবে।
তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের লোকসভার প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর কলকাতার ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা। শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে সিবিআই-এর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছয়। সেখানেই থাকেন মহুয়া মৈত্রের বাবা এবং মা। তবে সিবিআই আধিকারিকরা যখন সেখানে এসে পৌঁছন সেই সময় তাঁরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সিবিআই আসার খবর পেয়ে সেখানে এসে পৌঁছন মহুয়া মৈত্রর মা মঞ্জু মৈত্র।
এর আগে গত সোমবার ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। পাশাপাশি, এই মামলায় ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যও বলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এরপর শনিবার মহুয়া মৈত্রর ফ্ল্যাট সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটে থাকা ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শেষ কবে মহুয়া মৈত্র বিদেশ সফর করেছিলেন, প্রায় সাত ঘণ্টা সেখানে তল্লাশি চালানোর পর বেলা ২টো নাগাদ ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই সংসদে প্রশ্নগুলি করেছিলেন মহুয়া। এই ঘটনায় মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার এথিক্স কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কমিটি নিশিকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মহুয়াকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মহুয়া ওই কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরই সাংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। সেই সুপারিশ মোতাবেক মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করেন লোকসভার অধ্যক্ষ। লোকসভা ভোটের মুখে সিবিআই-এর এই তৎপরতায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
সাতসকালে নিউটাউনের পাচুরিয়ায় লাল ট্রলিব্যাগ ঘিরে রহস্য। ট্রলিব্যাগ থেকে রক্ত বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। শনিবার টেকনোসিটি থানার পুলিস ওই ট্রলিব্যাগ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে দেহ ট্রলিব্যাগ বন্দি করে এই এলাকায় ফেলে রেখে গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালেও কারিগরি ভবনের পিছন দিকে পাচুরিয়ায় কাজ করছিলেন সাফাই কর্মীরা। নালার মধ্যে একটি লাল রংয়ের ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। সেটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সাফাই কর্মীরা ট্রলি ব্যাগটি তুলে রাখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা দেখেন ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে টেকনো সিটি থানার পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ট্রলি ব্যাগের তালা ভেঙে দেখা যায় ভিতরে একটি দেহ রাখা রয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০-৫১ বছর। তাঁর পরনে টি-শার্ট ও পাজামা। সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্য়ে মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানা বিধান নগর কমিশনারেটের ডিসি নিউ টাউন।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এলাকার অন্যান্য অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অতি সক্রিয় কলকাতা পুরসভা। ভেঙে পড়া বাড়ির আশেপাশের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে পুরসভার তৎপরতা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। আগামী ২৮ তারিখেই ধ্বংসস্তূপের ২০০ মিটারের মধ্যে একটি পাঁচতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলার নোটিশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি গার্ডেনরিচকাণ্ডের পরেই সিএন-এর ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল কীভাবে একটি বাড়ি আরেকটি বাড়ির উপর বিপজন্নকভাবে হেলে পড়েছিল। খবর সম্প্রচার হতেই তড়িঘড়ি সেই হেলে পড়া বাড়ির জন্য বিপর্যস্ত বহুতলটির একাংশ ভাঙার নির্দেশ পুরসভার। কিন্তু এই বহুতলের মালিকের দাবি, তার বাড়ি সম্পূর্ণ বৈধ। আইন-নিময়কানুন মেনে পুরসভার অনুমতি নিয়েই তৈরি বহুতলটি। বরং যে বাড়িটি হেলে পড়েছে, সেই বাড়িটিই অবৈধ নির্মাণ। এখন তাঁর বাড়ি ভাঙলে বিপজন্নক অবস্থায় থাকা বাড়িটি আরও হেলে পড়বে, আশঙ্কা বহুতলের মালিকের।
সূত্র্রের খবর, ২০২৩ সালের ৭ জুলাই দুটি বাড়ির মালিককেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা পুরসভায়। উভয়ের পক্ষকেই বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেয় পুরসভা। কিন্তু অবৈধ বহুতলের মালিক কোনও সহযোগিতা করেনি। পুরসভাকে বিষয়টি জানানোর পরও অবৈধ বহুতলের মালিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি পুরসভার তরফে। বরং খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে কোনও হিয়ারিং-এর ডেট না দিয়ে, সরাসরি আইন অনুযায়ী তৈরি হওয়া বাড়িটির একাংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় পুরসভা। দাবি নোটিশ পাওয়া বাড়ির মালিকের।
কিন্তু গার্ডেনরিচ বিপর্যয়ের পরেই কেন প্রশাসনের এই অতি সক্রিয়তা? কেন বিপর্যয়ের আগেই হুঁশ ফেরে না সরকারের? এই প্রশ্নের নেই কোনও উত্তর। বরং এখনও সেই অসাধুভাবে নির্মাণের ঘটনাই আড়ালের চেষ্টা চলছে গার্ডেনরিচে। আর কোপ পড়ছে বৈধ নির্মাণের উপর। প্রশ্নের সম্মুখীন পুরসভার কর্ম দক্ষতা তা বলাই বাহুল্য।
বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ময়দানে প্রচারের ঝড় তুলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বঙ্গের ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বাকি আসনগুলোতে এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে চতুর্থ দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার বাকি আসনগুলোর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ফের দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই বাংলার বাকি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের অভিযোগ, প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির প্রার্থী তালিকার পদ্ধতিগত দিকটি ব্যাখ্যা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি বাংলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাকি ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসছে।
বারাসতে- প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর
বর্ধমান-দুর্গাপুরে- দিলীপ ঘোষ
মেদিনীপুর- ভারতী ঘোষ
দমদম- শীল ভদ্র দত্ত
ব্যারাকপুর- অর্জুন সিং
দক্ষিণ কলকাতায়- বৈশাখী ডালমিয়া
যদিও সম্ভাব্য তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই কারা প্রার্থী হচ্ছেন তা স্পষ্ট হবে বলেই মত গেরুয়া নেতৃত্বের।
মোবাইল চুরির ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ভার্চুয়ালি হাজিরা কলকাতা পুলিস কমিশনার।আদালতে হাজির হয়ে পুলিস কমিশনার জানান কলকাতা হাইকোর্টের আগের যে নির্দেশ ছিল তা ইতিমধ্যে মানা হয়েছে। এদিন সিপির হাজিরাতে খুশি আদালত। ফের এই ধরনের আদালত অবমাননা যেন আর না হয় এমনটাই হুঁশিয়ারি বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার।
পঙ্কজ কুমার দুগার নামে এক ব্যক্তির মোবাইল হারানোর ঘটনার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। ২০২২ সালের ওই মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আদালতে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট কমিশনার নিজে জমা না দেওয়ার কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। আবেদন ছিল ১৮ জুন, ২০২২ তারিখে পঙ্কজের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন কোথায় সেটা জানাতে হবে মোবাইল সংস্থাকে। তার সাথে আবেদন ছিল, আলিপুর পুলিস কোর্ট থেকে হাজরা ক্রসিং ও কালীঘাট ফায়ার স্টেশন পর্যন্ত পুর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার। আদালত পুলিস কমিশনারকে যাবতীয় ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কমিশনার রিপোর্ট না দিয়ে কালীঘাট থানার ওসি ওই রিপোর্ট জমা দেন।
হাই কোর্টের নির্দেশ না মানায় কলকাতার পুলিস কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। পরবর্তী শুনানি ২২ মার্চে ভার্চুয়ালি হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় সিপি-কে। অভিযোগ ওঠে একটি মোবাইল ফোন চুরির মামলায় কলকাতার পুলিস কমিশনারকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা তিনি মানেননি। আদালত অবমাননার সেই অভিযোগ শুনেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, "আদালতের নির্দেশ কি খেলার জিনিস? পুলিস কি মনে করছে আদালতের নির্দেশ না মানলেও চলবে? ভুলে যাবেন না হাই কোর্টের ক্ষমতা কত? কেন আদালত অবমাননার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেব না?"
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। রবিবার রাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বহু মানুষ আটকে থাকে ধ্বংসস্তূপের নিচে। আজ, শুক্রবার সেখান থেকে উদ্ধার হয় আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরুর মৃতদেহ। ওই ব্যক্তি প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, ধ্বংসস্তূপের নিচে শেরুও আটকে যান। কংক্রিটের চাঙড়ের কোনও এক অংশের মধ্যে তিনি আটকেছিলেন। মোবাইল ফোনে সেই কথা জানিয়েছিলেন শেরু। অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বুধবার এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ শেষ করে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে টানা উদ্ধার কাজ হবে। এমন কথাই জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার গোটা দিন বিভিন্ন জায়গার চাঙর ভেঙে সরানো হয়। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজও চলে৷ আজ শুক্রবার সকালে আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরুকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতায় চলছে ইডির ম্য়ারাথন তল্লাশি। লেকটাউন সহ ৫ জায়গায় চলছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশি। জানা গিয়েছে, এদিন চেতলায় বিশ্বরূপ বসু নামক এক ব্য়বসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরিবহন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার 'মিডলম্য়ান' অর্থাৎ প্রসন্ন রায় ঘনিষ্ঠ এই বিশ্বরূপ বসু।
ইডি সূত্রে খবর, এদিন চেতলার ১৭৮ নম্বর পিয়ারী মোহন রায় রোডের বাড়িতে ছিলেন না বিশ্বরুপ বসু। সেখানে তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্য়মে জানা যায়, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বিশ্বরূপ বসু। অন্যদিকে চেতলা লকগেটের কাছে বিশ্বরূপ বসুর আরেকটি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই ফ্ল্যাটটি তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল। সেখানেও তাঁর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর প্রসন্ন কুমার-এর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা।
এরপর প্রসন্ন কুমার রায়ের সূত্র ধরে এস কে ঝুনঝুনওয়ালা ওরফে সত্যেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার সন্ধান পান ইডি আধিকারিকেরা। এদিন সকালে ইডি আধিকারিকেরা তাঁর লেকটাউন বিরাটি অঞ্চলের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে তাঁকে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাঁকে নিয়ে তাঁর ভাই বীরেন্দ্র ঝুনঝুনওয়ালার বাড়ি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার বিরাটি ৪ নম্বর মহাজাতি অঞ্চলের গৌরীপুর রোডের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। সকাল ন'টা থেকে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকেরা।
রবিবার রাতে গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানে এলাকায় ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। নিমেষের মধ্যে ওই ঝুপড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। আর সেই ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে ছিলেন বহু মানুষ। বহু প্রাণহানি, বহু জখমের খবরে চোখে জল শহরবাসীর।
সেদিন রাত থেকেই উদ্ধার কাজে নামে NDRF। কিন্তু ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করে এনডিআরএফ। দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে পুরসভার হাতে। গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় এখনও আটকে থাকার সম্ভাবনা সেরু নামে ১ জনের। বুধবার এনডিআরএফ কর্মীরা, 'ভিকটিম লাইভ ডিটেক্টর' নামে অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে খোঁজ পেয়েছিলেন প্রাণের। যেখান থেকে অনুমান করা হচ্ছিল ধবংসস্তূপের নিচে চাপা রয়েছেন শেরুই।
বৃহস্পতিবার বহুতল বিপর্যয় এলাকা পরিদর্শণে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানালেন DMG এবং পুরসভা মিলিত ভাবে শুরু করেছে গার্ডেনরিচের উদ্ধারকাজ। একইভাবে পোর্ট ডেপুটি কমিশনারও জানালেন পুরসভার সঙ্গে মিলিত ভাবেই চলছে উদ্ধারকাজ। চলছে উদ্ধার কাজ। এ যেন সেই 'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে'। বেআইনি নির্মাণের নেপথ্যে প্রভাবশালীরা, আর প্রাণ গেল আমজনতার। আর কতদিন বাংলার মানুষ এই চিত্র দেখবে? কেনই বা বারবার সাধারণ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে হুঁশ ফেরাতে হবে প্রশাসনের? এই ঘটনায় যতই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নড়েচড়ে বসুক পুরসভা, ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দায় আসলে কার? নাকি প্রত্যেকবারই এর-ওর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেকে সাধু প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা অব্যাহত থাকবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। সরব রাজ্যবাসী। আর এভাবেই বারংবার একাধিক প্রাণের বিনিময়ে হুঁশ ফিরছে প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পর কলকাতা পুরসংস্থায় জমছে অভিযোগের পাহাড়। একাধিক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। তাও আবার জমা পড়ছে সরাসরি ডিজি বিল্ডিংয়ে। সূত্রের খবর, সেই সমস্ত অভিযোগ বোরো এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুরসংস্থার বিল্ডিং বিভাগ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানালেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে লুঠপাটের রাজ চলছে। পরিণাম, অসংখ্য প্রাণহানি। প্রশাসন জানে সবই শুধু দায় কেউ নিচ্ছেন না।
একদিকে যখন প্রশ্ন উঠছে, গার্ডেনরিচের মতো এমন জনবহুল, ঘিঞ্জি এলাকায় এমন অবৈধ নির্মাণের বহুতল গড়ে উঠল কীভাবে? অন্যদিকে এই ঘটনায় প্রকাশ্যে আসছে বেআইনি নির্মাণের এক নয়, একাধিক অভিযোগ। আর এখানেই প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে শহরবাসীর নিরাপত্তা নিয়েও। এতদিন কি ঘুমিয়ে ছিলেন প্রশাসন? আর কত লাশের পাহাড় জমা হলে এই সমস্যার সুরাহা মিলবে? জবাব চাইছে বাংলার মানুষ।