গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গরিব মানুষের ছাদের ওপর। ওই গার্ডেনরিচেই একাধিক অবৈধ বহুতল ধরা পড়েছে সিএন-র ক্যামেরায়। শুধু গার্ডেনরিচ কেন, পিকনিক গার্ডেন, চেতলা, বিরাটিতেও ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে কোথাও বহুতল কোথাও বহুতলের একাংশ। অকালে, অন্যের ভুলের খেসারতে প্রাণ গিয়েছে সাধারণের। এই এতগুলি প্রাণ যাওয়ায়, এবার খানিক সচেতন হয়েছে লালবাজার। বেআইনি নির্মাণ রুখতে প্রোমোটার ও ডেভলপারদের সচেতন করা হল লালবাজারের তরফে। পাশাপাশি অবৈধ নির্মাণ রুখতে খুলে দেওয়া হল হেল্পলাইন নম্বর। নম্বরটি হল ৯৪৩২৬১১০০০।
শহরে প্রোমোটার ও ডেভলপারদের নিয়ে মঙ্গলবার লালবাজারে বৈঠক করেন অতিরিক্ত নগরপাল মুরলীধর শর্মা। সেই বৈঠকে চালু করা হয় এই নম্বর। কোথাও কোনও নির্মাণকাজ করতে গেলে এলাকার সিন্ডিকেট যদি চাপ দেয় কিংবা কেউ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে তাহলে প্রোমোটার ও ডেভপলাররা ৯৪৩২৬১১০০০ এই নম্বরে ফোন করে পুলিসকে জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে পুলিস তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
প্রসঙ্গত, এর আগে যখন প্রশ্ন তোলা হয়েছে এইসমস্ত বেআইনি নির্মাণের জন্য কে বা কারা দায়ী? তখন মেয়র কাউন্সিলরের দোষ ঢেকে দিয়েছেন প্রোমোটারকে। স্থানীয় বাসিন্দারা সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রোমোটার সহ কাউন্সিলরের ওপরেও। এদিকে, সংশ্লিষ্ট পুরসভার ভূমিকা তো রয়েছেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এসব দেখে মানুষ আরও বেশি আতঙ্কে।
লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে ব্যস্ত। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিস প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলছে নির্বাচন কমিশন। এমতাবস্থায় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিমানবন্দর থানার পুলিস। বুধবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিস এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী থেকে এনামুল শেখ নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। ওই দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল, এমনটাই খবর পান পুলিস আধিকারিকরা। কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে নিয়েই ধৃত দুষ্কৃতী ওই অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেই খবরই গোপন সূত্র মারফত এসে পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই অভিযান চালিয়ে এনামুল শেখকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানার পুলিস।
বিমানবন্দর থানা পুলিস সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পাইপ গান ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দুষ্কৃতী নিউটাউন এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে আদালতে তুলে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তাকে হেফাজতে পেলে তার থেকে জানার চেষ্টা করা হবে সে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল এবং কী ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্যে তিনি এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কৈখালী অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছিল।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির পরতে পরতে রহস্য। এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। জমি দখল, রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় ইতিমধ্যে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে শেখ শাহজাহান। একাধিক তথ্য প্রমাণ সামনে রেখে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। শুধুমাত্র শেখ শাহাজাহান নয় সন্দেশখালি জুড়ে বাহুবলে জমি দখলে যুক্ত ছিলেন শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর সহ শিবু হাজরা ও দিদার বক্স। তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছতে তাই আগামী দিনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে তাঁদের বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। তাই এই তিন অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গত সোমবার শাহজাহানের স্ত্রীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। আর এবার মাছ সংক্রান্ত মামলায় শেখ শাহজাহানের স্ত্রীকে তলব ইডির। চলতি সপ্তাহেই তাকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।
কথায় আছে কান টানলে মাথা আসে। ইডির ওপর হামলা। শাহজাহানের বেপাত্তা। সঙ্গ দিয়েছিল পরিবার। শাসক দলের আশীর্বাদের হাত তাঁর মাথার উপর থাকায় তখনও অবধি বেঁচে যাওয়ার আশা ছিল শাহজাহানের মনে, ওয়াকিবহাল মহল বলতে শুরু করেছিল এমনটাই। তবে, দ্বিতীয়বার তাঁর আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার প্রয়োজনীয় একাধিক নথি-পত্র উদ্ধার করে শাহজাহানের প্রাসাদ প্রমাণ বাড়ি সিল করে দিয়ে আসেন ইডির আধিকারিকরা, এবার সেই বাড়ি ফিরে পেতে মরিয়া শাহজাহান।
আইনজীবী মারফত শাহজাহান এবং তাঁর পরিবার দ্বারস্থ আদালতের। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে আকুঞ্জিপাড়ার বাড়ি সিল করা হয়েছে মাত্র, বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। তাই আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন বাড়িটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
যদিও আদালত এবিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাড়ি ফিরে পেতে গেলে ইডির অনুমতি নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি ইডি আধিকারিকদের দেখাতে হবে। যদি ইডি সম্মতি দেয়, তবেই বাড়ি ফিরে পাবে শাহজাহানের পরিবার।
একদিকে হেফাজতে নিয়ে একাধিক তদন্তের প্রশ্নজাল, অপরদিকে বাড়ি ফিরে পেতেও আদালতের নির্দেশে মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছে এই ইডির, যাকে হালকা ছলে নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন শাহজাহান। কর্মের ফল এভাবেই ভোগ করতে হবে শাহজাহানকে- হেনস্থা দোসর হয়ে জুড়ে থাকবেই তাঁর ক্ষোভ উগড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ভূপতিনগরে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল এনআইএ আধিকারিকদের। এদিকে পুলিস এনআইএর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার আবেদন জানানো হয়েছে। আজই বেলা আড়াইটে নাগাদ এই মামলার শুনানি৷
সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। আধিকারিকের মাথা ফাটে। প্রাণ নিয়ে পালিয়ে ফেরেন তদন্তকারীরা। এরপর দেখা গিয়েছিল ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ইডিকেও সেই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। এবার একই পথে হেঁটে এনআইএও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে গিয়েছিল এনআইএ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন তারা। গ্রামবাসীদের মধ্যে মূলত মহিলারা পথ আটকান। লাঠি, বাঁশ নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান। গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়৷
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বাধা দেওয়া হয়। একজন এনআইএ অফিসার জখম হন। সেই ঘটনায় এনআইএ অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ করা হয়। ভূপতিনগরের ঘটনায় রীতিমতো তরজা চলছে রাজনৈতিক শিবিরে।
শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মঙ্গলবার সকাল অবধি গ্রেফতার করেনি বলে খবর৷ এনআইএর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার এই অঅভিযোগ দায়ের করেছে৷ এই অভিযোগের তদন্ত পুলিস করছে।
আর মাত্র কিছুদিন পর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বোমা মেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল পাঠিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রী- অভিভাবকদের মধ্য়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো ইমেল-এ লেখা আছে, স্কুলের মধ্য়ে ক্লাসরুমেই রাখা আছে বোমা। আর সেই বোমা ফেটে বিস্ফোরণে উড়বে গোটা স্কুল। কলকাতার অভিনব ভারতী স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রাবণী সামন্ত হুমকি মেইল পাওয়ার বিষয়টি সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বোমার মেইল জানাজানি হতেই নজরদারি শুরু করেছে পুলিস। ভোটের পরিস্থিতি নজর রাখার সঙ্গে এই মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে হ্যাপি হট ডগ ১০১ নামের একটি মেইল আইডি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো স্কুল এই হুমকি চিঠি পেয়েছে, সে বিষয়ে এখনও প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নালিশ বিজেপির। মূলত পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার গ্রামীণ পূর্ব মেদিনীপুর, মহকুমা পুলিস অফিসার কন্টাই এবং ভূপতিনগরের ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিস। কিন্ত পুলিসের এই পক্ষপাতিত্ব কাম্য নয়। তাই পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিল এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর শাসকদলের দুষ্কৃতিদের ধেয়ে আসার ঘটনা। কিন্তু বঙ্গে সত্য উদঘাটন করতে গেলে কেন বার বার আক্রান্ত হতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই? স্থানীয় পুলিস প্রশাসন কেন নিরুত্তাপ এই ঘটনায়। তবে কি সত্যিই প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই চলে পুলিস? কমিশনের হস্তক্ষেপেই মিলবে সব প্রশ্নের জবাব তা বলাই বাহুল্য।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অবশেষে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মোবাইল আনলক করতে সক্ষম হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আশা এই মোবাইলে থেকে মিলতে পারে জরুরি তথ্যপ্রমাণ। এবার তাই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার চ্যাট হিস্ট্রিতে নজর তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রায় ১৪ ঘণ্টার তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। পরবর্তীতে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। যদিও মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে দাবি ছিল, তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্ধার হওয়া টাকা, মোবাইল ফোনের সমস্ত রকম ডিটেলস এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডির তরফে।
এছাড়াও ইডির নির্দেশ ছিল মন্ত্রীর বাজেয়াপ্ত মোবাইল ফোন আনলক করার। এরপরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার একজন প্রতিনিধিকে সমস্ত নথি-সহ পাঠানো হয় সিজিও-তে। তিনিই তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে আনলক করেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথের মোবাইল। ইডির দাবি, মন্ত্রীর মোবাইল থেকে খুলতে পারে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের রহস্যের জট। আর তাই এবার ইডির আতস কাঁচের নিচে মন্ত্রীর বাজেয়াপ্ত মোবাইল।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বলাগড়ের বহিঃস্কৃত এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশির সূত্র ধরেই মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। এখন মন্ত্রীর মোবাইল থেকে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে আর কী তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে, সেটাই দেখার। তবে যেভাবে রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে, শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়াচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে বারংবার দুর্নীতিতে তৃণমূলই কেন? এই দুর্নীতির জাল শাসকদলের মধ্যে কতদূর অবধি বিস্তৃত? শাসকদলের দুর্নীতির কারণে কেন বারবার বঞ্চিত হতে হবে রাজ্যবাসীকে? জবাব চাইছে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।
সোমবার সাতসকালে প্রগতি ময়দান সংলগ্ন ধাপায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ভস্মীভূত হয়ে যায় হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থ মজুত রাখা একটি গোডাউন ও তার ঠিক পাশের একটি প্লাস্টিক গোডাউন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পাঠানো হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় কাজ করতে অসুবিধায় পড়েন দমকল কর্মীরা। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে আসল কারণ ঠিক কী ছিল তা স্পষ্ট নয় এখনও। ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কে গোটা এলাকা।
বাসিন্দাদের দাবি, ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় দাহ্যবস্তুর গোডাউন হওয়ায় বড় কোনও দুর্ঘটনা যেকোনও সময় ঘটতে পারে। সেই কারণেই গোডাউন মালিককে একাধিক বার আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে তাতে কেউ কর্ণপাত করেননি। এমনকি গোডাউন ভাড়া নিতে বারণ করা হয়েছিল। আরও অভিযোগ, এলাকাবাসীর অপত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস ধরে এই গোডাউন ব্যবহার করেছে ওই গোডাউন মালিক। সোমবার অগ্নিকাণ্ডের পর গুদামের মালিক বা কর্মীদের কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। আর এই ভোট আবহে ফের একবার ফাঁস ভোট কর্মীদের তথ্য। প্রকাশ্যে, পোলিং পার্টি-সহ কোন ব্লকে ডিউটি সেই সমস্ত তথ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৩৭৯ টি দলের ভোটকর্মীদের তালিকা চলে এসেছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
ভোট কর্মীদের বহু ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী। ফাঁস হওয়া তালিকা বাতিল এবং দোষীদের শাস্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানালেন কিংকর অধিকারী। পাশাপাশি তিনি জানালেন, এভাবে বারংবার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে চলে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়া এবং আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষানুরাগী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ফাঁস হয়েছে ভোটকর্মীদের ব্যক্তিগত বহু তথ্য। ভোটকর্মীদের মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তখন এর প্রতিবাদে সরব হয়েছিল শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও।
তারপর ফের একবার তথ্য ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বারংবার কীভাবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ভোটকর্মীদের সমস্ত তথ্য? নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রভাব? তবে এবার রাজ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং ভোটকর্মীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায়, এবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার।
ঠাকুর বিসর্জন দিতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন দুই বন্ধু। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের নাথেরবাগান ঘাটে। জানা গিয়েছে, মৃত দু'জন হলেন, সৌমজিৎ ব্যানার্জি (২৫) এবং বিশাল বিশ্বাস (২৬)। দুইজনের বাড়ি পুরুলিয়ায়। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন ওই দুই যুবক। রবিবার সকালে উদ্ধার তাঁদের মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার মাঝরাতে ঠাকুর বিসর্জন দিতে গঙ্গায় এসেছিলেন চার বন্ধু। বিসর্জনের পর গঙ্গার ঘাটে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় হঠাৎ জলে পড়ে যান সৌমজিৎ। আর তাঁকে বাঁচতে গিয়ে আরেক বন্ধু বিশালও পড়ে যান জলে। তাতেই মৃত্য়ু হয় ওই দুই বন্ধুর। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তারপর তড়িঘড়ি শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপর দুই বন্ধুকে জল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে মাঝরাতে কেন ঠাকুর বিসর্জন দিতে এসেছিল চারবন্ধু, কীভাবে জলে পড়ে গেল দু'জন? যা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। চার বন্ধুর মধ্য়ে জীবিত বাকি দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ফের গার্ডেরিচকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি শহর কলকাতায়। গতকাল শুক্রবার ফের নির্মীয়মান বহুতলের একাংশ ভেঙে বিপত্তি পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে। অভিযোগের নিশানায় প্রমোটার। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
তিন বছরের মধ্যেই বাড়ি মেরামতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রমোটারবাড়ি সারাইয়ের জন্য অন্য একটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বাসিন্দাদের। তারপর অতিক্রান্ত হয়ে যায় ৫ বছর। এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি বাড়ি মেরামতির কাজ। বরং যে ভগ্নপ্রায় বাড়িতে কিছুদিনের জন্য পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল এবার সেই বাড়িটাও ভেঙে পড়ল। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে ফের বিপর্যের সম্মুখীন অসহায় মানুষগুলো। কলকাতা পুলিস আর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তৎপরতায় আপাতত স্বাভাবিক পরিস্থিতি।
তবে অভিযুক্ত প্রমোটারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী শশী পাঁজা। গোটা ঘটনা বিশেষ করে বিপজ্জনক বাড়িতে প্রাণের ঝুুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের বসবাস ও প্রমোটারের গাফিলতি বিশদে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী।
শহর কলকাতায় যখন তখন ধসে পড়ছে নির্মীয়মান বহুতল। বাড়ি ভেঙে পড়লেই প্রকাশ্যে আসছে প্রমোটারের নামে একাধিক অভিযোগ। বিপর্যয়ের পর ঘটনাস্থলেও পৌঁছে যাচ্ছেন নেতা মন্ত্রী। কিন্তু সুরাহা কোথায়। এই তৎপরতা কেন বিপর্যের আগে চোখে পড়ে না, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যায়।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আরও পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট। আজ, শুক্রবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলীয় দফতরে সেই ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে আইএসএফের দর কষাকষিতে বামফ্রন্ট যে অসন্তুষ্ট সেটাও বোঝা গিয়েছে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। আইএসএফের পর ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দিল সিপিআইএম।
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইএসএফ দাঁড় করিয়েছে মজনু লস্করকে। নওশাদ সিদ্দিকী প্রথমে এই আসন থেকে লড়াই করবেন বলে বারবার জানিয়ে এলেও তা হয়নি। এই ভোলবদলের কারণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ বলছেন, তিনি দলের ঊর্ধ্বে নন। আইএসএফের প্রার্থী দেওয়ার পর আজ সিপিআইএম প্রতীকুর রহমানকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করল। সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক এবং সাম্প্রতিক সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ হিসেবে উঠে আসা নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করা হয়েছে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে।
ব্যারাকপুর আসন থেকে সিপিআইএমের হয়ে লড়বেন দেবদূত ঘোষ। ঘাটাল আসনে সিপিআইয়ের তপন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বারাসত কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রবীর ঘোষ। এদিন বামফ্রন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০টি আসনে লড়বেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। জয়নগর ও মথুরাপুর আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। ১২টি আসনে বামেদের সমর্থনে লড়াই করবে কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় একাই লড়বে ফরওয়ার্ড ব্লক।
মাঝ আকাশে চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক যাত্রী। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করা হয় বিমানটি। শুরু হয় ডায়াবেটিসের চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিরক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
বিমানবন্দর সূত্র মারফত খবর, অসুস্থ ওই ব্য়ক্তির নাম বিশ্বনাথ দাম (৬০)। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ৬০৪১ বিমানটি যখন কলকাতার আকাশে বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য তৈরি হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় যাত্রী বিশ্বনাথ দাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যা মেডিক্যাল পরিভাষায় এলওসি নামে পরিচিত। তৎক্ষণাৎ বিমানের কেবিন ক্রু পাইলটকে জানান। পাইলট এয়ার কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমান অবতরণের অনুমতি চান।
এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী বিমানটি অবতরণ করে। জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অ্যাম্বুলেন্স ছ'নম্বর পার্কিং জোনে গিয়ে পৌঁছয়। তারপর বিমানবন্দরে নামানো হয় অসুস্থ ওই ব্য়ক্তিকে। সেখানে নিযুক্ত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে দুপুরে অপারেশন গেট ৫ নম্বর থেকে সহকারী যাত্রীদের দিয়ে ভিআইপি রোডে ধরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই যাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, কয়েকদিন আগে এমনই দাবি করেছিলেন শেখ শাহজাহান। এবার বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে সরব হন তিনি। আজ, শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল সন্দেশখালির বাঘকে। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
শেখ শাহজাহান এদিন দাবি করেছেন, বিজেপির দালালরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারকের অভিযোগ ছিল। যেটা একেবারেই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি। কোনও রকম মাদক কারবারের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান।
এদিকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শেখ শাহজাহানকে দেখে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে দেখে 'চোর চোর' স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন শেখ শাহজাহানকে নিরাপত্তা না দিয়ে বুথে নিরাপত্তা দেওয়া। একজন চোরকে নিরাপত্তা দিয়ে কি হবে। তার চেয়ে বুথে বুথে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে অপরাধীরা জেল থেকে ছাড়া পাবে না। সন্দেশখালির অপরাধীদের সারাজীবন জেলেই থাকতে হবে। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যদি সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনাও ঘটে থাকে তাহলে শাসক দল সেটার দায় এড়াতে পারেন না।
ইডির উপরে হামলার পর ৫৫ দিন পলাতক ছিলেন তিনি। ৫৬ দিনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে সিআইডি হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান শেখ। সেখান থেকে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু একটা কথাও তাঁরা বলাতে পারেনি। তারপরে ইডি হেফাজতে মুখ খুলেছিলেন শাহজাহান শেখ। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে মানুষের উপকারেই কাজ করেছেন তিনি। কারোর এক টুকরো জমি তিনি দখল করেননি।