Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

কলকাতা

Asset: এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে মামলা হাইকোর্টে, তালিকাভুক্ত সুজন-রূপাও

বাংলার শাসক-বিরোধী নেতাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের (Union Minister) এবং রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর একাধিক নেতার সম্পত্তি খতিয়ান চেয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা (PIL)। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার প্রধান বিচারপতির কাছে এই মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে, কোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।

নতুন এই মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, রাজনাথ সিংয়ের নাম রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে বিরোধী দলের দুই পরিচিত মুখ সুজন চক্রবর্তী এবং রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও যুক্ত হয়েছে মামলায়। আদালতের কাছে আইনজীবীর আবেদন, 'ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে এই নেতারা তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান দিক। সেই খতিয়ান তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। গরমিল পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।'

সম্প্রতি তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশের বিরোধিতায় আবার পাল্টা আবেদন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই আবেদনের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর ১৭ জনের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা। এই মামলায় তালিকাভুক্ত হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তন্ময় ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নামে মামলার দিকে তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।

2 years ago
Manik lookout: মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস সিবিআইয়ের

টেট(TET) দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস(lookout notice)সিবিআইয়ের(CBI) । তৃণমূল বিধায়কের খোঁজে সমস্ত বিমান বন্দরে নোটিস জারি।  এমনটাই খবর  পিটিআই সূত্রে।এর ফলে তিনি কোনও বিমানবন্দর থেকে বিদেশে যেতে পারবেন না।  

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। বন্ধ ফোন, প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও বেপাত্তা মানিক, এবার কি অপসারিত পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইডি। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কি আইননুগ(legal) ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ ইডি। হাইকোর্টে আইনে পরামর্শের জন্য ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার তলব করেও মেলেনি কোনও সাড়া। 

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি।  গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।

2 years ago
SSC Court: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের 'দখল' হয়ে থাকা ইউনিয়ন রুমের তালা ভাঙতে পুলিসকে নির্দেশ হাইকোর্টের

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyamik Board) দখল হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন রুম (Union Room) ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার বিধাননগর কমিশনারেটকে এই নির্দেশ দিয়েছে। প্রাক্তন তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের ইউনিয়ন রুম দখল করছে নব্য তৃণমূল ইউনিয়নের সদস্যরা। সেই রুমে তালা ঝুলিয়ে দখল করা হয়েছে। এবার ইউনিয়ন রুম ফেরত চেয়ে হাইকোর্টের দরবার প্রাক্তন তৃণমূল ইউনিয়নের। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পুলিসকে তালা ভেঙে ইউনিয়ন রুম ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।

জানা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঁচতলার ইউনিয়ন অফিস আগে তৃণমূল সমর্থক কর্মচারী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পড়ে সেই সংগঠন অরাজনৈতিক হয় এবং পর্ষদ পরিচালনার বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে। এখন তৃণমূলের আরও একটি সংগঠন 'ওয়েস্টবেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন'-এর ব্যানারে সেই ইউনিয়ন রুম দখল করতে চায়। 

এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসাও বাঁধে। কোনওভাবেই সেই রুমের দখল নিতে না পারায় পাঁচতলার ৪০৯ রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার সূত্রেই এদিন ইউনিয়ন রুম ফিরিয়ে দিতে পুলিসকে তালা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মামলা প্রসঙ্গে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্মচারী সমিতির অফিসে কয়েকজন কর্মচারী শাসক দলের কিছু নেতা, বিশেষ করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলে দাবি করে নির্বাচিত সদস্যদের বাইরে বের করে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির মদতে সেই ঘরে তালা লাগিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে চাবি রাখে। তাঁরা নাকি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রীর আশীর্বাদধন্য। এমন দাবি করা হয়ে থাকে। এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে নির্বাচিত সংগঠনের সভাপতি হাইকোর্টে মামলা করলে মহামান্য আদালত বিধাননগর পূর্ব থানাকে তালা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন।'

2 years ago


SSC ud: 'পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে, দুর্নীতি হয়নি', ফের দাবি এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

ফের সুবীরেশ ভট্টাচার্যর ফ্ল্যাটে সিবিআই(CBI) । সিবিআইয়ের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল পৌঁছয় বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে(flat)। তবে ফ্ল্যাট সিল থাকায় ছাদে বসে থাকেন সস্ত্রীক সুবীরেশ ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে সিবিআই পৌঁছলে কিছু কথাবার্তা হয় তাঁর সঙ্গে। এরপরে বাঁশদ্রোণী ফ্ল্যাটের সিল খুলে দেয় তদন্তকারী অফিসাররা। 

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৫৫ র উড়ানে দমদম বিমান বন্দরে(airport) এসে পৌঁছন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান(SSC ex Chairman)) তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(chancellor) সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কলকাতা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান তিনি। তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। এরপর তাঁর গাড়ি নিজাম প্যালেসের পথ না ধরে সোজা বালিগঞ্জ প্লেসের রাস্তায় যায়। সূত্রের খবর, বালিগঞ্জ প্লেসে এক আত্মীয়ের বাড়ি খাওয়া দাওয়ার পর সুবীরেশ বাবুর গন্তব্য বাঁশদ্রোণীতে তাঁর সিল বন্ধ ফ্ল্যাট।

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বারবারই তিনি বলেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তবে নিয়োগ ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে। সিবিআই ঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে পরবর্তী কালে তাঁর অজান্তে স্ক্যান সিগনেচার ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যা বলার সিবিআই বলবে, কোর্ট বলবে বলে জানান তিনি। সিবিআইয়ের উপর ১০০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।



2 years ago
Purulia: সূচ কাণ্ডে হাইকোর্টে রদ ফাঁসি, যাবজ্জীবন মঙ্গলা-সনাতনের

পুরুলিয়া সূচ কাণ্ডে(Purulia needle case) যাবজ্জীবন মঙ্গলা-সনাতনের। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দের ডিভিশন বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেয়। একই সঙ্গে উচ্চ আদালত জানায়, আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের(bail) আবেদন করতে পারবেন না সনাতন। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, ঘটনার প্রায় চারবছর পর ফাঁসির সাজা (death sentence) শুনিয়েছিল আদালত। পুরুলিয়া আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে। 

ঠিক কী হয়েছিল ?

২০১৭ সালে ১১ জুলাই পুরুলিয়ার সুচ কাণ্ডের (Purulia Needle Case) ঘটনা সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। পুরুলিয়া মফস্বল থানার নদিয়াড়া গ্রামের তিন বছরের শিশু কন্যাকে (3Years old Baby Girl) শরীরে একাধিক সুচ (Needle) ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল। পুরুলিয়ায় দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই শিশুকন্যাকে। তাকে পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন তার সারা শরীরে ছিল ক্ষত। এমনকী যৌনাঙ্গেও গভীর ক্ষত দেখতে পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপর পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় হাসপাতালের তরফে। এরপর শিশুর এক্স রে করলে দেখা যায়, তার শরীরের ভিতর বড় আকারের সাতটি সূচ রয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। 

এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হন শিশুর মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং প্রেমিক সনাতন গোস্বামী ওরফে ঠাকুর। সেই ঘটনাকে বিরলতম বলে উল্লেখ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে দুজনকেই ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল পুরুলিয়ার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। সেই মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের তরফে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। শুনানির পর মঙ্গলা ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলা তাঁর স্বামীকে ছেড়ে কন্যা সন্তানকে নিয়ে সনাতনের বাড়িতেই থাকতেন। সন্তানকে নাকি পছন্দও করতেন না তিনি। ওই শিশুকে যৌন খেলনা হিসেবে ব্যবহার করা হত বলেও জানতে পারে পুলিস। আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করতেন দুজনে। গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় এই সব কথা স্বীকার করেছিলেন সনাতন ও মঙ্গলা। 

2 years ago


Fake Note: কলকাতার উপকণ্ঠে জাল নোটের কারখানা! সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ধৃত ২

কলকাতার উপকণ্ঠে জাল নোটের (Fake Currency) কারখানা। এসটিএফ-র (STF) সক্রিয়তায় বুধবার টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার দুই। তাঁদের জেরা করে ইকো পার্ক থানার (Eco Park) হাতিয়ারায় উদ্ধার জাল নোটের কারখানা। সেই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপানোর একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, হাতিয়ারা পূর্বপাড়ার সাহি মসজিদ এলাকার এক বাড়িতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ২১ হাজার টাকার জাল নোট-সহ ল্যাপটপ, কাঠের ফ্রেম, রঙ, ডাইস, ছুরি, সেলোটেপ, কাঁচি ইত্যাদি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।


জাল নোট ছাপাতে যা যা দরকার, সবই মিলেছে পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে। এমনটাই এসটিএফ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ টাকি বয়েজ স্কুলের সামনে সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় এসটিএফ। আটক করা হয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা চাঙ্গেজ আলম এবং আসগর আলিকে। তল্লাশিতে তাঁদের থেকে সাড়ে ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। একশো টাকার নোট ৭০০টি এবং একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ছিল তাঁদের কাছে।

এরপরেই হেফাজতে নিয়ে ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতার উপকণ্ঠে হাতিয়ারায় এই জাল নোটের কারখানার হদিশ মিলেছে বলে খবর।


2 years ago
Saltlake: গুগলে পাওয়া ফোন নম্বরে ডাক্তার বুকিংয়ে আর্থিক প্রতারণা! গ্রেফতার ১

সাইবার(cyber) প্রতারণায় জামতারা গ্যাং(jamtara gang)। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ২১ এপ্রিল বাগুইআটি এলাকার বাসিন্দা কল্লোল সান্যাল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে তিনি চিকিৎসার জন্যে গুগলে(Google) চিকিৎসকের খোঁজ চালাচ্ছিলেন। সেখানেই একটি ফোন নম্বর পান তিনি। সেখানে যোগাযোগ করলে তাকে চিকিৎসক বুকিং করতে বলা হয়। সেই বুকিংয়ের টাকা পাঠানোর সময় তার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিস(police) জানতে পারে এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছে জামতারা থেকে।

বাগুইআটি এলাকায় হানা দিয়ে গতকাল মহম্মদ উসমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে জামতারা গ্যাঙের   যোগ রয়েছে। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিস তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।

2 years ago
Tangra: রীতিমতো পার্সেল করে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মাদক পাচার, এসটিএফ অভিযানে ধৃত ২

রীতিমতো পোস্ট অফিসের (Post Office) মাধ্যমে ক্যুরিয়ারে মাদক পাচার! এই ঘটনায় ট্যাংরা সাব-পোস্ট অফিসের সামনে থেকে চলতি সপ্তাহেই ধৃত দুই। মহম্মদ জুনেইদ এবং ফৈয়াজ আলম নামে এই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। তাঁদের কাছে থাকা নিষিদ্ধ মাদকও (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে একটি গাড়িও। জানা গিয়েছে, সেই হন্ডা গাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে মাদক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, সাধারণ পার্সেল যেভাবে আসে একটি কন্টেনারে সেভাবেই গোয়া থেকে ক্যুরিয়ার করা হয়েছিল সেই বিশেষ পার্সেল। কিন্তু এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্যাংরা সাব পোস্ট অফিসে উদ্ধার করে সেই পার্সেল। পাশাপাশি সেই পার্সেল নিতে আসা জুনেইদ এবং ফৈয়াজকে আটক করে তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হয়ে পরে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এদিকে, বৃহস্পতিবার তিলজলা থানার পিকনিক গার্ডেন এলাকা থেকে কৌস্তভ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁর থেকেই অনেক পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এসটিএফ।

কীভাবে রীতিমতো পার্সেল পাঠিয়ে এই মাদক পাচার, তা জানতে চায় এসটিএফ। পাশাপাশি আদৌ কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।

2 years ago


Manik ud: এখনও বেপাত্তা মানিক ভট্টাচার্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি কর্তারা

গত ২৭ জুলাই শেষবার মানিক ভট্টাচার্য(Manik Bhattacharya) ইডি-র(ED) মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিডি ও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পান তদন্তকারীরা। বন্ধ ফোন, প্রায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও বেপাত্তা মানিক, এবার কি অপসারিত পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার?

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইডি। প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কি আইননুগ(legal) ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে কারণে আদালতের দ্বারস্থ ইডি। হাইকোর্টে আইনে পরামর্শের জন্য ইডি আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বারবার তলব করেও মেলেনি কোনও সাড়া। বৃহস্পতিবার সকালে ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে বলেই মনে করছেন হাইকোর্টে আইনজীবী মহলের একাংশ।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। সূত্রের খবর, এবার মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

জানা গেছে, মানিকবাবুর কলকাতার বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। নদিয়ার বাড়ির দরজায় ঝুলছে তালা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নদিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছে ইডির টিম।


2 years ago
HC puja: পুজোয় অনুদান ও বিদ্যুতের বিল ছাড় দেওয়া নিয়ে তৃতীয় জনস্বার্থ মামলা দায়ের

দুর্গা পুজোয়(Durgapuja) অনুদান এবং বিদ্যুতের বিল ছাড় দেওয়া নিয়ে আরও এক জনস্বার্থ মামলা(PIL) কলকাতা হাইকোর্টে(Highcourt) । এই নিয়ে তৃতীয় জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই তিনটি মামলারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সৌরভ দত্ত নামে দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা এই মামলাটি করেন। সৌরভের আইনজীবী শামিম আহমেদের দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে। এমনকী রাজ্যের অনেক বাড়িতে এখনও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ নেই। এই অবস্থায় রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন। সেই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী । 

প্রসঙ্গত, বুধবার এই বিষয়ে জোড়া মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলার আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণও করে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে  বুধবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী পারমিতা দে-কে এই মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। বুধবার জনৈক সুবীরকুমার ঘোষ সরকারের এই অনুদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আদালতে।মামলাকারীর আবেদন , বৃহত্তর জনস্বার্থে এই অনুদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক রাজ্য সরকার।

সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই তিনটি মামলারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

2 years ago


Coal: কয়লা পাচার তদন্তে খনি অঞ্চলের ১০ পুলিস আধিকারিককে তলব ভবানীভবনে

কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে রাজ্যের সিআইডি(CID)। ধৃতদের জেরায় পাওয়া তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রাজ্য পুলিসের(police) কর্মী এবং আধিকারিকদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা চায় তদন্তকারীরা। তাই এবার রাজ্য পুলিশের কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে ভবানী ভবনে(Bhabanibhawan) বলে সূত্রের খবর।

ইতিমধ্যে সিআই (CI), আইসি (IC) ব়্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন পুলিস আধিকারিককে তলব করা হয়েছে। যাঁরা এক সময়ে কোল বেল্টে কর্মরত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। এই কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে সিআইডির হাতে গ্রেফতার(arrest) হয়েছে আব্দুল বারিক মণ্ডল ও সঞ্জয় সিং নামে এক ব্যবসায়ী। আজ থেকে একাধিক পুলিস আধিকারিকদের ডেকে জেরা পর্ব শুরু হয়েছে এমনটাই খবর সিআইডির সূত্রে। ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত খনি অঞ্চলের তিন থানার দায়িত্বে থাকা মোট ১০ কর্মী, আধিকারিককে জেরা করতে চায় সিআইডি । 

সূত্রের খবর, আজ দুপুর একটার পর ভবানীভবনে প্রথম পর্বের জেরা শুরু হবে। প্রথমদিনে তিন পুলিস আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। আগামী তিনদিন ধরে চলবে জেরাপর্ব। শুক্রবার তিনজন এবং শনিবার চারজনকে জেরা করবে সিআইডি। খনি অঞ্চলে তাঁদের ভূমিকা কি ছিল, তা খতিয়ে দেখতেই সিআইডি তলব । প্রসঙ্গত, একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যে নিযুক্ত আইপিএস আধিকারিকদের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। দিল্লিতে ৮ আধিকারিককে তলব করেছে ইডি। এমন আবহে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছে সিআইডিও।


2 years ago
SSC: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার আরও ১

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) বুধবার সন্ধ্যায় প্রদীপ সিং নামে একজনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রদীপ 'মিডলম্যান' (Middleman) হিসেবে কাজ করতেন। আজ, বৃহস্পতিবার মেডিকেল চেক আপ করার পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

একাধিক তথ্য ও নথি এবং ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রদীপ সিংকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকরা প্রদীপকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইছেন। সে কারণে আদালতে সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে।

এককথায়, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও একধাপ এগোল সিবিআই। উল্লেখ্য, এই মামলায় এটি সিবিআই-এর হাতে তৃতীয় গ্রেফতারি। এর আগে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক সাহা এবং উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে গ্রেফতার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের ইতিমধ্যে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কোমর বেঁধে নেমেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরাও। এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি।

2 years ago
Nabanna: আশাকর্মীদের উৎসাহ ভাতা সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা, ঘোষণা নবান্নর

রাজ্য সরকারের চোখের আলো কর্মসূচিকে সফল করতে এবার আশা কর্মীদের(Asha worker) নামাতে চায় রাজ্য সরকার(State Government)। এজন্য তাদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল নবান্ন(Nabanna)। আশাকর্মীদের মোটিভেটার(motivator) বা মোবিলাইজার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ফলে আশা কর্মীদের সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা পর্যান্ত উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল নবান্নের তরফে।

দৃষ্টিহীনতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। তাই চোখের আলো প্রকল্প সফল করতে তত্পর নবান্ন। চোখ অপারেশনের পর কোনও রোগীকে একাধিকবার চিকিৎসকের কাছে আনতে হলে রোগী পিছু ১৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে আশা কর্মীদের। দৃষ্টিশক্তি হীন ৬ থেকে ১৮ বছর এবং ৪৫ উর্ধ্বের জন্য বিনা পয়াসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা ছানির জেরে দৃষ্টিহীনতায় ভুগছেন। সেই সব মানুষকে নির্দিষ্ট কাজের ফাঁকেই শনাক্ত করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এনে তাঁদের অপারেশন-সহ উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে আশাকর্মীদের। নবান্ন থেকে জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। রাজ্যে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ফর কন্ট্রোল অফ ব্লাইন্ডনেস ইন ইন্ডিয়ার চোখের আলো কর্মসূচি রূপায়ণে তাই উদ্যোগী রাজ্য। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল, অন্ধত্ব দূর করা। 

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্টেই জানা গেছে, ১৪টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় এই কর্মসূচি লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণ হয়নি। যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল মালদায় তার মাত্র তিন শতাংশ ও পুরুলিয়ায় চার শতাংশ ছানি অপারেশন শিবির হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও উত্তর দিনাজপুরে চিত্রটা তুলনায় একটু ভাল হলেও শিবিরের লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ পেরোয়নি।

তাই চোখের আলোকে সফল করতে ছানি পড়েছে এমন রোগী খুঁজতে রাজ্য সরকার আশা কর্মীদের পথে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

মূলত,স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি রাজ্য সরকারের সঙ্গে ছানি অপারেশন শিবির করলে সেখানে রোগী আনার জন্য আশা কর্মীদের এই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। অপারেশন হবে বিনা পয়সায়। বিনা মূল্যে ছানি অপারেশনই এই কর্মসূচিতে বিশেষ গুরুত্ব পায়। 

 

2 years ago


Manik: বেপাত্তা মানিক ভট্টাচার্য, এবার কি ইডির হাতে গ্রেফতার?

শেষ তলবের(summoned) পর পেরিয়ে গেছে প্রায় দেড় সপ্তাহ । এখনও বেপাত্তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। বন্ধ তাঁর মোবাইল ফোনও(mobile phone)। টানা কেন্দ্রীয় সংস্থার(ED) তলব এড়াচ্ছেন তিনি। তবে কী এবার গ্রেফতারির পথে হাঁটবে ইডি ? আদালতের দ্বারস্থ হবে ইডি ? উঠছে সেই প্রশ্ন। সূত্রের দাবি, শেষ গত শুক্রবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিধানসভায়। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে টেট(TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে তথ্য পায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু ইডির তলবে একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস(Independence day) থাকায় তিনি হাজিরা এড়িয়ে(avoid) যান। পরবর্তীতে আরও একদিন হাজিরা এড়ান তিনি। সূত্রের খবর, এবার মানিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ(legal step) নিতে পারে ইডি। গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি । সেই সিডিতে সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর জায়গায় নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে এলেন গৌতম পাল। তিনি এখন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন। আজ রাজ্য শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এক বছরের জন্য পর্ষদের নতুন সভাপতি হলেন গৌতম পাল। গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত করে।

2 years ago
MD Ali park puja: জট কাটল মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর, কলকাতা পুরসভার প্রস্তাব মেনেই হবে পুজো

অবশেষে জট কাটল মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গা পুজোর। কলকাতা পৌর সংস্থার প্রস্তাব মেনে হবে পুজো, জানালেন উদ্যোক্তারা। মহম্মদ আলি পার্কের মধ্যেই হবে পুজোর মণ্ডপ। পার্কের মধ্যে ১৫ ফুটের মধ্যে হবে মণ্ডপ। ডি জি জল সরবরাহ মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে জানালেন উদ্যোক্তারা।

মঙ্গলবার জল সরবরাহ বিভাগের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ পালের নেতৃত্বে কলকাতা পুর সংস্থার আধিকারিকরা মহম্মদ আলি পার্কে যৌথ পরিদর্শন করেন। পুজো উদ্যোক্তাদের বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মহম্মদ আলি পার্কের জয়েন্ট সেক্রেটারি অশোক ওঝা। তবে পুজো হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মহম্মদ আলি পার্কের জয়েন্ট সেক্রেটারি অশোক ওঝা ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেহানা খাতুন।

প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে বিষাদের সুর ছিল মহম্মদ আলি পার্ক পুজো উদ্যোক্তাদের। পার্কের ভিতর পুজোর মণ্ডপ নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়, কোনওভাবেই পুরসভার জলাধারের উপরে পুজোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু জলধারটি (reservoir) জরাজীর্ণ এবং অনেক পুরনো। প্রায় ৪০ লক্ষ গ্যালনের এই জলাধারের উপরে পুজোর মণ্ডপ(puja pandel) তৈরি করলে যে কোনও সময় জলাধারটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় পুরসভার তরফে। অশোক ওঝা জানান,তাঁরাও চান যাতে সাধারণ মানুষের কোনওরকম অসুবিধা না হয়। তাই তারা কলকাতা পৌর সংস্থার সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন।

তবে প্রশ্ন উঠছে, বিকল্প জায়গার প্রস্তাবের ফলে মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর গরিমা নষ্ট হবে না তো? বা ছোট পরিসরে যদি পুজো হয় তাহলে সেই ভিড় সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা থাকবে তো পুজো উদ্যোক্তাদের?

2 years ago