বাস ভাড়া (bus fare) বৃদ্ধি নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা(fine) করল কলকাতা হাইকোর্ট(HighCourt)। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে জরিমানা করল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কাছে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও হলফনামা পেশ করেনি রাজ্য।
মিনিবাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা চাওয়ার পরও কেন সময় মতো দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য নেই? প্রশ্ন তুলল আদালত। উল্লেখ্য, বাস ভাড়া নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার(state government)। নির্দিষ্ট গাইডলাইন(guideline) করে দিক আদালত, সেই আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ।
মূলত তিনটি বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। প্রথমত, ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, সরকারের বেঁধে দেওয়া বা নির্ধারিত ভাড়া বেসরকারি বাসগুলো নিচ্ছে কীনা । পাশাপাশি, নিশ্চিত করতে হবে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এবং তৃতীয়ত, যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল আইনের (১৯৮৯) ১৭৫ রুল অনুযায়ী, যাত্রীদের অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও, বেশির ভাগ বাসে কমপ্লেইন্ট বুক নেই বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, সরকারি বেঁধে দেওয়া ভাড়া নেওয়ার বালাই নেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে। যে এমন ইচ্ছে ভাড়া নিচ্ছে। এখনও নিয়মানুযায়ী এমনি বাসে ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা। কিন্তু সেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অলিখিতভাবেই ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) ক্লাবপ্রতি ৬০ হাজার টাকা (Puja Donation) সরকারি অনুদান ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিল। এই সংগঠনের আইনজীবী পারমিতা দে'র দায়ের করা আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। বুধবার এই আবেদনের উপর দ্রুত শুনানি চেয়ে আদালতে দরবার করে ওই সংগঠন। জানা গিয়েছে আগামি শুক্রবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার সমালোচনায় সরব বিরোধী দলগুলো। বুধবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই যে নেতারা ধরা পড়ছে, এত বড় দুর্নীতি ধরা পড়ছে, এটা চাপা দেওয়ার জন্য এই নাটক। টাকা ঘুষ বাড়িয়ে দিয়েছেন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার। পুজো করো নাচো, গান গাও ফুর্তি করো আমরা আছি। কোটি কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে মানুষ ভিখারি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ যেন দুর্নীতির দিকে না তাকায়। এসব নিয়ে যেন ব্যস্ত থাকে তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।'
সিবিআই স্ক্যানারে এবার বোলপুরের এক রাইস মিল (rice mill) ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর ৬৬ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক লেনদেন কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে। নিউ টাউনের এক ক্যান্সার হাসপাতালে ৬৬ লক্ষ দিয়েছিল রাজীব। যে সময় এই লেনদেন হয়েছিল, সেই সময় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অনুব্রতর মণ্ডলের স্ত্রী। ঠিক কী কারণে এই টাকা দিয়েছিলেন রাজীব, খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
রাজীবের থেকে পাওয়া নথি থেকেই এই লেনদেনের সূত্র পায় সিবিআই (CBI)। রাজীবকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে বিভিন্ন রাইস মিল দেখাশোনা করত রাজীব। এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর। তবে শুধু রাজীব ভট্টাচার্য নয়, সিবিআই স্ক্যানারে এবার কলকাতার অত্যন্ত নামী এক বই প্রকাশনী সংস্থাও। সিবিআই জানতে পেরেছে, ওই বই প্রকাশনী সংস্থার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সরাসরি যোগ রয়েছে। বীরভূম তৃণমূল সভাপতির মাধ্যমেই ওই প্রকাশনী সংস্থায় বিপুল টাকা যেত।
কী কারণে এই আর্থিক লেনদেন, জানতে চেয়ে আয়কর অদফতর থেকে নথি চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে জেরায় ওই বই প্রকাশনী সংস্থার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
এদিকে, ২০১৫ থেকে অনুব্রত মণ্ডল নামে বেনামে কলকাতা এবং বীরভূমে একের পর এক সম্পত্তি কিনতে থাকেন। কিন্তু এতো টাকা পেলেন কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সূত্রের খবর ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গরু পাচারের কমিশন বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা কামিয়েছেন। রাইস মিল, স্টোন ক্র্যাশার, হোটেল(hotel), জমিসহ বিপুল সম্পত্তি ২০১৫ সালের পর অনুব্রতর মালিকানায় আসে বলে সূত্রের খবর।
দুঃসাহসিক কাণ্ড শহর কলকাতার (Kolkata) বুকে। সোমবার নারকেলডাঙায় (Narkeldanga) প্রোমোটিং বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Pal), স্থানীয় এক কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীরা। আক্রান্ত মহিলাকে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশ পাল। মঙ্গলবার ফের অভিযোগ আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস। পরিষ্কার বলা হয়েছে, বাড়িতে এখন ঢোকা যাবে না।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, হাসপাতালে দীপক দাসের পরিবারকে বলা হয়, তাঁর স্ত্রীর জন্য জামা কাপড় লাগবে। এই কথা শুনে দীপক বাড়িতে গেলে দেখেন, কিছু লোকজন বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি সেই পরিবারের দাবি, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা যাবে না। যদি করা হয় তবে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে আক্রমণ করা হবে দীপকের পরিবারের উপর। এমনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীদের দাবি, দীপক এবং তাঁর পরিবার এই বাড়িতে থাকতেন না। তাঁরা জোর করে এই বাড়িতে ঢুকেছিলেন। অন্যদিকে দীপকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তবে এখনও কোমরে ব্যাথা রয়েছে।
এক দশকের পরেও বাকি জ্ঞানেশ্বরী(Gyansehwari rail accident)) রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে(lower court) নেই বিচারক। বাকি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণও। বন্ধ শুনানি পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। কি অবস্থায় তদন্ত? কি অবস্থায় রয়েছে মামলা? এর প্রেক্ষিতে সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)।
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয় ১৭০ জন আহত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকার সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদনে দ্বারস্থ হয় মোট ৫ জন। এরা হলেন মন্টু মাহাত, লক্ষ্মণ মাহাত, সঞ্জয় মাহাত,তপন মাহাত এবং বাবলু রানা। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।
১৭ বিরোধী নেতার (Opposition Leader) সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে করা মামলার (PIL) শুনানি পিছলো। আগামি ২৯ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার শুনানিতে মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্য জানান। আগেও তাঁরা সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আবারও জানাবেন। তবে বিজেপির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) সময় চাওয়া হয়েছে। সবপক্ষকে মামলার নথি দেওয়ার নির্দেশ আবেদনকারী সুজিত গুপ্তকে দিয়েছে আদালত।
ইতিমধ্যে তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে চলছে। সেই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে পাল্টা হলফনামা দিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। এই আবহে বিরোধী ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
এই তালিকায় নাম আছে সিপিএম-র মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ তাঁর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর নামও আছে তালিকায়।
শহর কলকাতায় ভর দুপুরেই বোমা বিস্ফোরণের (bomb blust) ঘটনায় আতঙ্কিত বেলেঘাটাবাসী। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) হন দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন লোকমান মোল্লা, ও অন্যজন বীরেন দাস। তবে ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠে আসছে। মঙ্গলবার বোমা কাণ্ডে আহত মিস্ত্রি লোকমান মোল্লাকে এনআরএস (NRS) হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে দঃ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে প্রোমোটার বীরেন দাসকে টাকা দিয়ে এনআরএস হাসপাতাল (hospital) থেকে নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়েছে পরিবার বলে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, সোমবারের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন লোকমান মোল্লা, কিন্তু তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা সঠিক দেওয়া হচ্ছিল না। যে কারণের দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালের বারান্দার ট্রলির উপরেই পড়েছিলেন লোকমান মোল্লা। অবশেষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার কারণের জন্য মধ্যরাতেই তাঁর পরিবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করে।
তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে একটাই, কীভাবে সরকারি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনের এই রোগীকে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালের বারান্দায় এক কোণে টলির মধ্যেই রক্তক্ষরণ অবস্থায় ফেলে রাখা হল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা কেন লোকমান মোল্লার অস্ত্র প্রচার করার ব্যবস্থা করলেন না।
পুরসভার স্কুলে সিসিটিভি (CCTV)? অবাক হচ্ছেন! এখানেই শেষ নয়, স্মার্ট টিভি সহ ই-লার্নিং (E Learning) ক্লাসরুম! বাস্তবেই ধাপার মাঠে বিদ্যাসাগর প্রাথমিক স্কুল এখন পুরসভার প্রথম স্মার্ট স্কুল (Smart Classroom)। প্রস্তুতিপর্ব শেষ। রংচঙে কার্টুন আঁকা দেওয়াল, ক্লাসরুমে ছোটা ভীম। বেসরকারি স্কুলের মতোই ঝাঁ চকচকে ক্লাসরুম। কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ধাপার (Dhapa) প্রাইমারি স্কুলের সত্যিই যেন ভোলবদল।
পুরনো স্কুলবাড়িতে পড়েছে নানা রঙের প্রলেপ। তৈরি হয়েছে আধুনিক, স্মার্ট ক্লাসরুম। বাচ্চাদের মনভোলানো সরঞ্জামে সজ্জিত প্লে-গ্রাউন্ডও। ধাপার কাছারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এখন পোশাকি নাম বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বা সিএসআর ফান্ডের টাকায় স্কুলগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। লায়ন্স ক্লাবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কলকাতা পুরসভার প্রাইমারি স্কুল এখন স্মার্ট স্কুল। ধাপার স্কুল দিয়ে শুরু হলেও আরও স্কুলবাড়িকে আধুনিক মানের গড়ে তোলা হবে।
বিদ্যাসাগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মর্নিং, ডে এবং ইভিনিং- তিনটি শিফটে প্রাথমিক স্কুল চলে। হিন্দি, বাংলা এবং উড়িয়া-- তিনটি ভাষায় শিক্ষাদান করা হয় এই স্কুলে। স্কুলবাড়িগুলি বাচ্চাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি ই-লার্নিংয়ের উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের(interrogation) জন্য তলব(summoned) করা হয়েছে মোট ৮ আইপিএস অফিসারকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জ্ঞানবন্ত সিং। দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের(ED) দফতরে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি বলেই নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানা গেছে, তিনি যে যেতে পারবেন না সেটা আগেই ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন জ্ঞানবন্ত। জানা গিয়েছে, সাত দিন সময় চেয়েছেন তিনি। তবে কী কারণ দেখিয়ে তিনি সময় চেয়েছেন তা জানাননি স্বরাষ্ট্র দফতরের ওই সূত্র।
উল্লেখ্য, ইডি সূত্রের খবর, লালার নেতৃত্বে কয়লা পাচারের রমরমা ছিল রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। সেই সময় এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং। দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁর সময়ে এ ভাবে কয়লা পাচার হত, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়েছে।
জ্ঞানবন্ত সিং ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন আইপিএস শ্যাম সিং, রাজীব মিশ্র, তথাগত বসু, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, এস সেলভামুরুগন ও কোটেশ্বর রাও। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তলব করা হয়েছে আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাওকে। ২৪ আগস্ট শ্যাম সিং, ২৬ আগস্ট রাজীব মিশ্র, ২৯ আগস্ট সুকেশ জৈন, ৩০ আগস্ট তথাগত বসু, ৩১ আগস্ট ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি৷ এঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। পুলিস আধিকারিকরা কি কয়লা পাচারের বিষয়ে জানতেন? তাঁদের সামনে দিয়ে কীভাবে পাচার হত কয়লা? তা নিয়েই তদন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
ডেঙ্গি(dengue) বাড়ছে কলকাতাসহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গায়। সতর্কবার্তা স্বাস্থ্য দফতরের(health department)। তৎপর কলকাতা পৌর সংস্থা। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি সংক্রমণের তথ্য তুলে ধরে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে নবান্ন(Nabanna)। গোটা রাজ্যে প্রায় পাঁচশোরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রিপোর্ট করা হয়েছে।
সোমবার ডেঙ্গির প্রকোপ প্রতিরোধে মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা।
এদিন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।সূত্রের খবর, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওয়ার্ডে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। এদিন ৮২ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি অতীন ঘোষের। ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের ডেঙ্গি পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক স্বাভাবিক বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে কচু গাছের জন্য ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
এই ওয়ার্ডে কচু গাছের ফলে ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।
এবার খাস কলকাতায় বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা। প্রাথমিক অনুমান, সকেট বোমা ফেটেই ঘটেছে এই বিপত্তি। ঘটনায় গুরুতর জখম (injured) হয়েছেন দুজন। আহতদের মধ্যে একজন শ্রমিক ও অপরজন এলাকারই বাসিন্দা। জানা যায়, ঘটনায় হাত উড়ে গিয়েছে শ্রমিকের। জখম দুজনকে এনআরএস (NRS) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বেলেঘাটা (Beleghata) থানা এলাকার।
জানা গিয়েছে, এই এলাকায় একটি নির্মাণের কাজ চলছিল৷ সেখানে শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই আচমকা বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁদের একজন শ্রমিক, যার ডান হাত উড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বেলেঘাটা থানা এবং কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, রাতের অন্ধকারে কোনও দুষ্কৃতী ওই জায়গায় সকেট বোমাগুলি মাটি চাপা দিয়ে রেখে গিয়েছিল। নির্মাণের কাজ চলাকালীন এদিন শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই সেখানে চাপ পড়ে সকেট বোমাগুলি ফেটে যায়।
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। বাঙালির প্রাণের উত্সব দুর্গাপুজোর(Durgapuja festival) আর কটা দিন বাকি। নেতাজি ইনডোরে(netaji indoor) সোমবার পুজো কমিটির(puja committee) উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। এদিন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের খুশির খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর পুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল রাজ্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৬০ হাজার টাকা। এবার ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
পাশাপাশি কলকাতা এবং স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
ইউনেস্কোর(UNESCO) কাছে কলকাতার দুর্গাপুজো ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়াকে স্মরণে রাখতে কালারফুল মিছিল হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো থেকে মিছিল শুরু হবে। জোড়াসাঁকো থেকে মিছিল শুরু হয়ে রানি রাসমনি রোড হয়ে ধর্মতলায় শেষ হবে। এই মিছিলে শামিল থাকতে ১০ হাজার স্কুল পড়ুয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। কলকাতার মতো জেলাগুলিতেও মিছিল করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজো কমিটিগুলি নিজেদের ইচ্ছেমতো মিছিল সাজাতে পারবেন।
৮ অক্টোবর শহর কলকাতায় পুজো কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে। জেলার কার্নিভ্যাল হবে ৭ অক্টোবর।
প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন ৫ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মর্মান্তিক ঘটনা। বেহালার ১৭ পাঠকপাড়ার এই ঘটনা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, মা রুমা বারিকের বয়স ৭৯ এবং ছেলে রতন বারিকের বয়স ৫৫ বছর। একসাথে নিজেদের বাড়ির দুতলায় থাকতেন এঁরা। দুতলায় আরও একজন ভাড়াটিয়াও থাকতেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মায়ের (Mother) দু'বছর আগে কোমর ভেঙে যায়। ফলে তিনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। এরকম অবস্থায় ছেলে (Son) রতন বারিক মায়ের সেবা করতেন, দুজনে একসাথেই থাকতেন। গতকাল হঠাৎই পচা গন্ধ পান তাঁদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এবং বেশ কয়েকদিন ধরে দরজা খুলছিল না। সন্দেহ হলে প্রতিবেশীদের ও পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিস এসে দরজা খুলে দেখে, মা অসহায় অবস্থায় ছেলের মৃতদেহর (Son DeadBody) পাশে পড়ে আছে। পর্ণশ্রী থানার পুলিস অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হসপিটালে পাঠিয়েছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নারদ (Narad) মামলায় ফের তলব করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। সিবিআই (CBI) সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, ফিরহাদ হাকিম নারদ মামলায় যে ডিক্লারেশন দিয়েছিলেন, তদন্তে অনেক ক্ষেত্রে অন্যরকম তথ্য উঠে আসছে। মন্ত্রীর প্রথম পর্যায়ের লিখিত স্টেটমেন্টের সঙ্গে তদন্তে উঠে আসা তথ্য মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এছাড়া মন্ত্রীঘনিষ্ঠর বিদেশে একাধিক বিনিয়োগে নজর রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার। সূত্র বলছে, ইডি-র তরফে ফের তলব করা হতে পারে মন্ত্রীকে।
মহম্মদ আলি পার্কের (MD Ali Park) পুজো নিয়ে জটিলতা কাটাতে বৈঠকে বসল কলকাতা পৌর সংস্থা। সোমবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক (meeting) করেন ডিজি জল সরবরাহ মৈনাক মুখোপাধ্যায়। এদিন মহম্মদ আলি পার্কের ৬ জনের এক প্রতিনিধি দল ডিজি জল সরবরাহ মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে। আগামীকাল মঙ্গলবার মহম্মদ আলি পার্ক যৌথ পরিদর্শনে যাচ্ছেন ডিজি জল সরবরাহ। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বিবেচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়, কোনওভাবেই পুরসভার জলাধারের উপরে পুজোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু জলধারটি (reservoir) জরাজীর্ণ এবং অনেক পুরনো। প্রায় ৪০ লক্ষ গ্যালনের এই জলাধারের উপরে পুজোর মণ্ডপ(puja pandel) তৈরি করলে যে কোনও সময় জলাধারটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এবছর দুর্গাপুজো যাতে সুস্থ এবং সুরক্ষিতভাবে করা যায়, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানালেন মহম্মদ আলি পার্কের জয়েন্ট সেক্রেটারি অশোক ওঝা। এই বৈঠকেই ঠিক হয় যে আগামিকাল কলকাতা পৌর সংস্থার ডিজি জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে মহম্মদ আলি পার্কে যৌথ পরিদর্শন করবেন। সেই পরিদর্শনের পর পরবর্তী পরিস্থিতির উপরে আলোচনা হবে বলে জানান অশোক ওঝা। তিনি জানান যে, তারপরই তাঁদের বিকল্প জায়গা খুঁজে নিতে হবে। তাঁরাও চান যাতে সাধারণ মানুষের কোনওরকম অসুবিধা না হয়। তাই তারা কলকাতা পৌর সংস্থার সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন।
এখন পুজো আসন্ন। তার আগেই কী সিদ্ধান্ত হয় সেদিকে তাকিয়ে পুজো উদ্যোক্তারা।