হলি ডে-র দিনও ওয়ার্কিং মোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাবিউতেচতে যাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ ও ফুটবল পরিকাঠামো দেখতেই সেখানে যাচ্ছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শনিবার স্পেনে সেরকম কোনও কর্মসূচি নেই মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই সুযোগে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ পরিদর্শন করবেন তিনি।
শুক্রবার স্পেনের মাদ্রিদে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রবাসী বাঙালিরা। তাঁদের সঙ্গে ঘরোযা আড্ডায় মাতেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে স্টার্ট আপের আবেদন জানান। সম্প্রতি বাংলা দিবস এবং রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে। পয়লা বৈশাখের দিন পালন করা হবে বাংলা দিবস। আর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ রাজ্য সঙ্গীত। সেই বিষয়টিই প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তুলে ধরলেন মমতা। তাঁরাও যাতে সেখানে ওই দিনে বাংলা দিবস পালন করেন, সেই অনুরোধ করেছেন তিনি।
এদিকে, স্পেন থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যে নিজের দ্বিতীয় ইস্পাত কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেন। তাঁর কথায়, শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রেই নয়, রাজ্য সরকার বাংলার সার্বিক উন্নতি কল্পে সদাসচেষ্ট’। ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি, বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তাঁর কৌতূহলের কথা জানান তিনি
স্পেনের বইমেলায় থাকবে এবার বাংলার বুকস্টল। বাংলার লেখক-প্রকাশকদের জন্য আলাদা স্টল দেবে স্পেনের বইমেলা কর্তপক্ষ। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’ (কলকাতা বইমেলার আয়োজক) এবং মাদ্রিদ বইমেলার মধ্যে ‘মউ’ স্বাক্ষরিত হল। এর ফলে বাংলা-স্পেনের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও প্রশস্ত হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, প্রকাশনাকে বাণিজ্যের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন, দুই বইমেলার আয়োজকদের বৈঠক ছিল স্পেনে। কলকাতা বইমেলা অর্থাৎ ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’-এর তরফে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশু দে। তাঁদের কথায়, বইজগৎকে এই সম্মান কেউ দেননি, যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। তাঁদের কথায়, প্রকাশনাকে যে বাণিজ্যের মধ্যে আনা যায়, সেই ধারণা আগে কারও হয়নি দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ এই বিষয়ে আলোচনা হয়, তারপর মউ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বইয়ের প্রচার, প্রসার, বিপণনের ক্ষেত্রে যৌথ কমিটিও গঠন করা হবে। উল্লেখ্য, গত বছরই কলকাতা বইমেলার থ্রিম কান্ট্রি ছিল স্পেন। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদেই লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতার। ওই বৈঠকে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তার আগে গায়ে শাল জড়িয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
স্পেন সফরে মাদ্রিদের রাস্তায় মর্নিং ওয়াক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশ সফরেও পোশাক একই। নীল পাড়, সাদা শাড়ি পরে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার মাদ্রিদেই লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক আছে মমতার। ওই বৈঠকে থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তার আগে গায়ে শাল জড়িয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
মাদ্রিদের রাস্তায় স্থানীয় এক সঙ্গীতশিল্পীকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পীর হাতে অ্যাকোর্ডিয়ন বাদ্যযন্ত্র চেয়ে তা নিজেই বাজান। দক্ষ হাতে উঠে আসে 'আমরা করব জয়' গানের সুর। তাতে ওই শিল্পীও আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সময়ের নিরিখে কলকাতা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে মাদ্রিদ। এদিন দুপুরে বাংলার বইমেলা কমিটির সঙ্গে স্পেনের প্রকাশনা সংস্থার কর্তাদের বৈঠক আছে। সন্ধ্যায় লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
কখনও কি ভেবে দেখেছেন, যদি রাস্তা দিয়ে বয়ে চলত দেদার মদ, তবে কেমন হতো ব্যাপারটা। তবে সুরাপ্রেমীদের জন্য তা ভালোই হত। কিন্তু এমনটাও হতে পারে তেমনটা কল্পনাতেও আসে না। কিন্তু এবারে এমনই এক ঘটনা বাস্তবেই ঘটল, তবে এ দেশে নয়। পর্তুগালের এক ছোট্ট শহরের রাস্তায় হঠাৎ একদিন বয়ে চলছিল দেদার রেড ওয়াইন। প্রথমবার দেখে মনে হবে, এ যেন রক্তের বন্যা বয়ে চলেছে। কিন্তু পরে বোঝা যায়, আসলে তা ছিল রেড ওয়াইন (Red Wine)। সম্প্রতি সেই দৃশ্যের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি শনিবার পর্তুগালের এক ছোট্ট শহরের।
🇵🇹 | A river of red wine flooded the streets of São Lourenco do Bairro in Levira, Portugal after the 2.2 million liter tanks at the Levira Distillery gave way on Sunday. The spill was so massive that local officials activated an environmental alert and were forced to divert the… pic.twitter.com/hN9yQq75Ur
— Shadab Javed (@JShadab1) September 11, 2023
জানা গিয়েছে, পর্তুগালের সমুদ্রতটের ধারেই ছোট্ট গ্রাম লেভিরার একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার ট্যাঙ্কে মজুত রাখা ছিল ২২ লক্ষ লিটার রেড ওয়াইন। শনিবার রাতে কোনও কারণে সেই ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। তার পরেই প্রবল বেগে ২২ লক্ষ লিটার রেড ওয়াইন রাস্তা দিয়ে বয়ে চলে নীচের দিকে। এর স্রোত ও রং দুই'ই অবাক করবে আপনাদের। সে শহরের মানুষেরাও সেদিন বাড়ি থেকে বেরতেই হকচকিয়ে যান। তবে রাস্তা দিয়ে এমন রেড ওয়াইন বয়ে যেতে দেখে নিজেকে সংযত রাখতে পারনেনি অনেক সুরাপ্রেমীরাই। অনেককেই রেড ওয়াইন রাস্তা থেকে সংগ্রহ করে পান করতে দেখা গিয়েছে।
তবে শেষ অবধি পুলিসের তৎপরতায় ওয়াইন স্রোত থামে। ওয়াইন যাতে পাশের নদীতে না পড়ে, তার জন্যও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওয়াইনের স্রোত দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে স্থানীয়রা অনেকেই পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল বাহিনী। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় রেড ওয়াইন বন্যা বন্ধ করা হয়েছে।
অবশেষে প্রায় দু'দিন পর কানাডার উদ্দেশে রওনা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ সম্মেলন (G20 Summit) শেষ হয়েছে রবিবার। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু দেশে ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Canada prime Minister) জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সূত্রের খবর, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমানে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই আটকে ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল। কিন্তু এবারে খবরে এসেছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকলেও তিনি অবশেষে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকেই এই খবর দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের দিকে জি-২০ সম্মেলনের সমাপ্তি হয়েছে। তার পরই ঠিক ছিল যে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই বিমানে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। ফলে তাঁরা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে ভারতেই আটকে ছিলেন। কানাডার সশস্ত্র বাহিনী বিমানের সমস্যা মেটানোর কাজ করিছল। এছাড়াও খবরে এসেছিল, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য বিমান পাঠানো হবে। সেই বিমান রওনাও দিয়ে দেয়। কিন্তু এর পরই কানাডার প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রেস সেক্রেটারি মহম্মগ হুসেন জানান, বিমানে যা ত্রুটি ছিল তা ঠিক করা হয়েছে। ফলে যে বিমান কানাডা থেকে রওনা দিয়েছিল, পরে সেটি লন্ডন থেকে ঘুরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর আগের বিমানে করেই ভারত ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর প্রতিনিধি দল।
স্পেন সফরে গিয়ে সেখানকার লা লিগা ফুটবল লিগ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ সেপ্টেম্বর, লিগ প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার তেভাজের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। দু-দেশের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে লা লিগা একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই সফরে ভারতের ফুটবল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও সদ্যোজাত সন্তানকে ছেড়ে তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
মমতার সফরে স্পেন যাচ্ছেন কলকাতার তিন প্রধান ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান কর্তারা। এই খবর আগেই জানা গিয়েছিল। লা লিগা কর্তৃপক্ষের টুইটে বিষয়টি স্পষ্ট হল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন, মোহনবাগানের কর্তা দেবাশিস দত্ত, ইস্টবেঙ্গল কর্তা প্রণব দাশগুপ্ত এবং মহমেডানের ইশতিয়াক আহমেদ।
শুক্রবার মরক্কোয় গভীর রাতে ভূমিকম্পে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ২০০০ জন ছাড়িয়েছে। আহত অন্তত ১৫০০ জন। ৯০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সংবাদমাধ্যম এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর আফ্রিকার দেশে এত প্রবল ভূমিকম্প হয়নি। এই দেশ ভূমিকম্পপ্রবণ নয়। তাই বাড়িগুলিও তেমন পোক্ত নয়। মরক্কোর রাজা ফোর্থ মহম্মদ সশস্ত্র বাহিনীকে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে লাগিয়েছেন।
রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। বিধ্বংসী এই কম্পনের জেরে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত, ঐতিহাসিক মারাকেশ শহরকে ঘিরে থাকা লাল দেওয়াল। ভূমিকম্পের ফলে ঘরছাড়া অসংখ্য মানুষ। এদিকে এই ঘটনায় জি ২০ এর সম্মেলনে মরোক্কোর পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
রাতারাতি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল মরক্কো (Morocco)! মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল কমপক্ষে ৮২০ জনে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে তীব্র ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে ওঠে মরক্কো। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮।
সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিট নাগাদ বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়। এর ১৯ মিনিট পর আফ্টারশক অর্থাৎ কম্পনের হালকা ঝটকা অনুভব করেন স্থানীয়রা। আর এর পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে একের পর এক বাড়ি। ধ্বংসস্তূপে এখনও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর ছাড়া বহু মানুষ। আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মরক্কোর বিপদে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ সম্মেলন শুরুর পরেও তিনি মরক্কোর প্রসঙ্গ এনেছেন ও মরক্কোকে সমস্ত রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকল মরোক্কো। শুক্রবার রাতে হঠাৎ ভূমিকম্প হয় মরোক্কোয়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০০ জনের। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের খবর অনুযায়ী, মারাক্কেশ নামের এলাকা থেকে ৪৪ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল।
জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এ ঘটনার প্রায় ১৯ মিনিট পর ফের আফটরশক হয়। সেসময় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৯। শুক্রবার রাত ১১টা ১১ নাগাদ ওই ভূমিকম্পে মূলত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মারাক্কেশ, ওয়ারজাজাটা, আজিলাল, টারোউডান্ট নামের এলাকাগুলি। প্রচুর বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা।
সরকারি ভাবে এখনও অবধি মৃত্যুর সংখ্যা স্পষ্ট না হলেও, অসমর্থিত সূত্রের খবর মৃত্যু ৩০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল রাতে হঠাৎ এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোটা শহরটা। এই ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতি হয়েছে ওই শহর গুলির বহু সরকারি ক্ষেত্র ও বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলিও। এ ঘটনার পর উধারকার্যে নামানো হয়েছে সেনা। সে সঙ্গে উধারকার্যে নেমেছে এন্ডিয়ারএফের দল। সূত্রের খবর, এখনও উদ্ধার কার্য চালানো হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রেই খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি প্রায় ২০০০ জনের বেশি আহত। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাতে আর একদিন, এর পরই নয়া দিল্লিতে হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20 Summit)। ফলে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ থেকেই দেশে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। রাত পোহালেই অর্থাৎ শুক্রবার দেশে এসে পৌঁছবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে ভারতে আসবে তাঁর গাড়ি 'দ্য বিস্ট' (The Beast)। তবে এই গাড়ি কিন্তু কোনও সাধারণ গাড়ি নয়। বলা হয়, এই গাড়িই বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ গাড়ি। আর এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি। ফলে কী নেই এতে! সূত্রের খবর, বোমা-গুলি কোনও কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না গাড়িটিকে।
সূত্রের খবর, ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ ভারতের মাটিতে পা রাখবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সঙ্গে থাকছে তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে, ভারতে এসে তিনি যে গাড়িতে চড়বেন, তা আমেরিকা থেকে বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার থ্রি করে নিয়ে আসা হবে। এই গাড়ির নাম 'দ্য বিস্ট'। জানা গিয়েছে, এই গাড়ি মূলত স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও সেরামিক দিয়ে তৈরি। প্রায় ৮ ইঞ্চি পুরু দরজা ও ৫ ইঞ্চি পুরু জানালা। এছাড়াও কোনও বোমা বা বুলেটেও কোনও ক্ষতি হবে না গাড়িটির। ফলে এই গাড়িতে বসলে কোনও ক্ষতি তো দূর কোনও আঁচড় অবধি বসবে না দেহে। এতে যেমন রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা, তেমন রয়েছে টিয়ার গ্যাস ডিসপেনসার, স্মোক প্রুফ স্ক্রিন, জিপিএস। আবার এই গাড়ির ভিতরে রয়েছে প্রেসিডেন্টের ব্লাড গ্রুপের রক্তও।
শুধুমাত্র গাড়ির নিরাপত্তাই নয়, তার বাইরেও রয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, বাইডেনকে ঘিরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে থাকবে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে ভারতের স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের কমান্ডো ও তৃতীয় স্তরে থাকবে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট। ভারতে এসে বাইডেন ও মার্কিন প্রতিনিধিরা থাকবেন দিল্লির আইটিসি মৌর্য শেরাতন হোটেলে থাকবেন। বাইডেন থাকবেন হোটেল ১৪ তলায়। সেখানে বাইডেনের জন্য আলাদা লিফটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G 20 Summit) আসছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), সূত্রের খবর, এবারে সরকারিভাবে জানাল বেজিং (Beijing)। প্রত্য়াশিতই ছিল যে, শি জিনপিং-এর বদলে ভারতে আসতে পারেন লি কিয়াং। সেই প্রত্যাশাই সত্যি হল। সব জল্পনার অবসান করে অবশেষে চিনা বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি করে জানিয়ে দেওয়া হল জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতে আসছেন না শি জিনপিং। বরং চিনের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছেন লি কিয়াং (Li Qiang)।
এ বছর আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হল ভারত। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বরেই হবে এই সম্মেলন। ফলে নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতিও তুঙ্গে। আর তার আগেই এল এই খবর। এর আগেও জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে আসতে পারবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর বদলে আসবেন সারজেই লাভরোভ। পুতিন নিজেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর সমর্থন থাকবে। আর এবারে চিনা প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির শিলমোহর দিল চিনা বিদেশ মন্ত্রক।
তবে শি জিনপিং পুতিনের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে জানাননি চিনা প্রেসিডেন্ট। এমনকি তিনি কেন যোগ দেবেন না জি-২০ সম্মেলনে, তার কারণও স্পষ্ট নয়। ফলে তাঁর না আসা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
চলতি মাসেই স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। এর মধ্যে বার্সালোনা শহরেও একটি কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। শুধু সৌরভই নন, ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।
বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সরাসরি বার্সালোনা যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতে রয়েছেন সুনীল ছেত্রী। সদ্য বাবা হয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সরাসরি বেঙ্গালুরু থেকেই যাবেন বার্সালোনায়।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে লগ্নি আনার লক্ষ্যেই বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুবাই ও স্পেনের একাধিক শিল্পপতি ও শিল্প সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। পাশাপাশি দুই দেশের একাধিক বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) পর এবারে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)! জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit) জন্য ভারতে আসছেন না শি জিনপিং। এমনটাই সূত্রের খবর। আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে (New Delhi) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন, আর সেখানেই সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন না চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন না আসার কথা বলেছিলেন। আর এবারে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রের মাধ্যমে চিনা প্রেসিডেন্টের কথা জানা গিয়েছে। তবে এখনও সরকারি ভাবে এই নিয়ে চিন ও ভারতের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এবার জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছে ভারত। জি-২০ সম্মেলনের বৈঠক হতে চলেছে নয়া দিল্লিতে। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হবে। ঠিক রয়েছে যে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো থেকে শুরু করে আরও তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনেরও। কিন্তু এর আগে পুতিন নিজেই মোদীকে ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁর পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করতে আসবেন বিদেশমন্ত্রী সারজেই লাভরোভ।
আর এরপরেই বৃহস্পতিবার খবরে এসেছে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না জিনপিং। তাঁর বদলে চিনা প্রিমিয়ার লি কিউয়াং প্রতিনিধিত্ব করবেন। যদিও ভারত ও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
একাধিকবার চিনারা ভারতের বিভিন্ন অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। আর এই নিয়ে সংঘাত লেগেই রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি চিনের তরফে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। চিনের নতুন মানচিত্রে দেখা গিয়েছে, ভারতের অরুণাচলপ্রদেশ, আকসাই চিন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকে চিনের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। আর সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ভারতও এর প্রতিবাদ করেছে ও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আর এবারে চিনের তরফেও দেওয়া হল 'সাফাই'। চিনকে এই মানচিত্রকে 'স্যান্টার্ড ম্যাপ' উল্লেখ করেছে ও এটিকে 'রুটিন এক্সাইসাইজ' বলে দাবি করেছে।
চিনের মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, সেসময় চিনের চিনের তরফে পাল্টা বার্তা দেওয়া হল। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন জানিয়েছেন, চিন তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ প্রকাশ করেছে। আর তা আইন মেনেই করা হয়েছে। প্রতিবারই তা করা হয় বলেও দাবি তাঁর। এই বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য ওয়াং ওয়েন বিনের। পাশাপাশি তাঁর দাবি, সব পক্ষ যেন এ ব্যাপারে শান্ত থাকে।
উল্লেখ্য, ভারতের তরফে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হয় বলে জানান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ভারত চিনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, এর কোনও ভিত্তি নেই। এই ধরনের দাবি সীমানা প্রশ্নের সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে বলেও মন্তব্য করেন অরিন্দম বাগচি।
Our response to media queries on the so called 2023 “standard map” of China:https://t.co/OZUwNRNrit pic.twitter.com/sAmy20DEa6
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) August 29, 2023
স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাকিস্তানের ভারতীয় দূতাবাসের মাথায় বসতে চলেছেন কোনও মহিলা। ইসলামাবাদের ভারতীয় দূতাবাসের প্রধান হচ্ছেন গীতিকা শ্রীবাস্তব।
এম সুরেশ কুমারের পর ইসলামাবাদে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হবেন গীতিকা। এটিই পাকিস্তানের ভারতীয় দূতাবাসের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক পদ। গীতিকা ২০০৫ ব্যাচের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) অফিসার। বর্তমানে বিদেশ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম সচিবের পদে কর্মরত।
২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় কূটনীতিক হিসাবে চিনে কর্মরত ছিলেন গীতিকা। এক সময়ে কলকাতার পাসপোর্ট অফিসেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন গীতিকা। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই পাকিস্তান উড়ে যেতে চলেছেন গীতিকা।