৯১ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ (Death) করলেন মিখাইল গর্বাচেভ (Mikhail Gorbachev)। সোভিয়েত ইউনিয়নের (Soviet Union) সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি (President) ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার মস্কোর হাসপাতালে (Moscow hospital) প্রয়াত হন গর্বাচেভ। দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। চেষ্টা করেও শান্তিতে নোবেলজয়ীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, শোকবার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রসঙ্গত, ১৯৯১-তে ভেঙে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই ঘটনার ৩১ বছর পর মৃত্যু হল শেষ সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের। ঐতিহাসিকদের দাবি, রক্তপাতহীনভাবে ঠান্ডা লড়াই শেষ করার পুরো কৃতিত্বই ছিল তাঁর। যদিও সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গন রুখতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের সঙ্গে ঐতিহাসিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি সই করে আমেরিকা- সোভিয়েত সম্পর্কে উন্নতিতে অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন গর্বাচেভ৷ কিন্তু তাঁর শাসনকালেই বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তির জায়গা হারানোর জন্য আজও বহু রুশ গর্বাচেভকেই দায়ী করেন। যদিও আমেরিকা সহ পশ্চিমের দেশগুলিতে প্রশংসিত হয় গর্বাচেভের ভূমিকা৷
ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া মুসলিম নেতা মোকতাদা আল-সদর (Moqtada Sadr) রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন সোমবার। এরপর থকেই কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। বাগদাদে (Baghdad) ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী (Iraqi forces) ও মোক্তাদার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষে নেতার সমর্থকদের মধ্যে ২৩ জন সমর্থককে গুলি করে হত্যা (shot dead) করা হয়েছে। অন্তত ৩৮০ জন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
সেখানকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাত নামার পর মেশিনগানের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ট্রেসারের আলোয় বাগদাদের গ্রিন জোনের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এই গ্রিন জোনেই ইরাকের মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর এবং বিদেশী দূতাবাসের অবস্থান।
এদিকে, হিংসা ও সবপক্ষের অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অনশন পালনের ঘোষণা করেছেন প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোকতাদা আল-সদর। কয়েক দশকের যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, বেসামরিক দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির মহামারী থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ইরাক। এ অবস্থায় সদর ও প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া মুসলিমদের মধ্যকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেশটিকে আরও এক দফা হিংসার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (Natural Calamity) বিধস্ত ভারতের দুই পড়শি দেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান (Pakistan-Afghanisthan)। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ। পাশাপাশি হরপা বানে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানও। এই বিপর্যয়ের পাকিস্তানে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় হাজার জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির (Rainfall) পূর্বাভাস দিয়েছে সে দেশের হাওয়া অফিস।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানে চলছে অবিরাম বৃষ্টির জেরে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যু প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই। বিপর্যয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে পাকিস্তানে। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, বন্যায় ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত। ভেসে গিয়েছে শতাধিক ব্রিজ। অন্তত সাত লক্ষ বাড়ি বন্যার জলে হয় ভেঙেছে, নয়তো ভেসে গিয়েছে।
পাকিস্তানের একাধিক সংবাদপত্রের দাবি, দেশের অন্তত অর্ধেক এই মুহূর্তে জলের তলায়। বন্যা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়া, বালুচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশে। এদিকে, কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিধ্বস্ত আফগানিস্তানও। চলতি মাসের শুরুতে প্রবল বর্ষণের পর বন্যা পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে তালিবান সরকার।
তালিবান মুখপাত্র জানান, পূর্ব আফগানিস্তানে বন্যার কারণে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। কয়েক হাজার গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি বাড়ি। দেশে অর্থনৈতিক ও মানবিক সঙ্কটের আবহে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার (funeral) সময় জেগে উঠল তিন বছরের মেয়ে। শুনে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব! পেটে সংক্রমণের (stomach infection) কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মেয়েটিকে। অবস্থার অবনতি হতে থাকে ধীরে ধীরে। শেষে ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দেন। ক্যামিলা রোকসানা মার্টিনেজ মেন্ডোজা (Camila Roxana Martinez Mendoza ) নামের ছোট্ট মেয়েটিকে ১৭ অগাস্ট মৃত (Death) বলে ঘোষণা করে।
ঘটনাটি মধ্য মেক্সিকোর সান লুইস পোটোসি রাজ্যের স্যালিনাস ডি হিলডালগো কমিউনিটি হাসপাতালে। ক্যামিলার মা মেরি জেন মেন্ডোজা বলেন, বমি করছিল তাঁর মেয়ে এবং পেটে ব্যথা ও জ্বর ছিল। তিনি নিজ শহর ভিলা দে রামোসের একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। শিশু বিশেষজ্ঞ ক্যামিলার বাবা-মাকে কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। ডিহাইড্রেশনের জন্য চিকিৎসা করা হয়েছিল এবং প্যারাসিটামল দেওয়া হয়েছিল।
চিকিৎসা চললেও ক্যামিলার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা জানান, তাদের মেয়ে মারা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, যখন দরকার ছিল তখন অক্সিজেন দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা করা হয়নি। ক্যামিলার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় তার মা মেরি প্রথম লক্ষ্য করলেন যে কফিনের উপরে কাচের প্যানেল ঝাপসা হয়ে গেছে। তিনি কফিনটি খুলতে চাইলেও পরিবারের লোকেরা বাধা দেন। পরে ঠাকুমা দেখেন ক্যামিলার চোখ নড়ছে। পরিবারের সদস্যরা ক্যামিলার নাড়ি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে তাদের ছোট্ট মেয়ে বেঁচে আছে।
ছোট্ট মেয়েটিকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দ্বিতীয়বার তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জেনারেল স্টেট অ্যাটর্নি জোসে লুইস রুইজের মতে একটি ময়নাতদন্ত চলছে এবং মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
টেক্সাসের (Texas, US) রাস্তায় বর্ণবৈষম্যের (Racism) শিকার এক ভারতীয় মহিলা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক মার্কিন মহিলা (US Sitizen)। নিগৃহীত মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার এস্মেরালদা আপ্টন নামে সেই অভিযুক্ত। গোটা অভিযোগের বর্ণনা নিজেদের ট্যুইটার পেজে তুলে ধরেছে টেক্সাসের প্ল্যানো থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, প্ল্যানোর এক রেস্তোরাঁর বাইরে কার পার্কিংয়ের সামনের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিওয় ওই ভারতীয় মহিলাদের গুলি করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
ASSAULT ARREST
— Plano Police (Texas) (@PlanoPoliceDept) August 25, 2022
On Thursday, August 25, 2022, at approximately 3:50 p.m., Plano Police Detectives arrested Esmeralda Upton of Plano on one charge of Assault Bodily Injury and one for Terroristic Threats and is being held on a total bond amount of $10,000. A jail photo is attached. pic.twitter.com/cEj9RwWdt1
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, 'ভারতীয়দের ইংলিশ বলার ধরনে আপত্তি ওই মহিলার। নিজেকে মেক্সিকান-আমেরিকান বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন অভিযুক্ত।'
এই গোটা ঘটনার ভিডিও করা এক মহিলাকে ছুটে এসে ঘুসি মেরে তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই অভিযুক্ত। গোটা ঘটনার অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক পুলিসকর্তা জানান, অভিযুক্ত মহিলার নাম এস্মেরালদা আপ্টন। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হামলা, হুমকি এবং বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়।
The racist woman in this video who is seen attacking four Indian-American women is named Esmeralda Upton of Plano, Texas. She’s a parishioner at “Prince of Peace” Catholic Church. She was just arrested today. Good, lock her KKK ass up.pic.twitter.com/D7u4BBRNAG
— Ricky Davila (@TheRickyDavila) August 26, 2022
যে কোনও সময় গ্রেফতার (Arrest) হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। পুলিস এবং বিচার ব্যবস্থাকে হুমকি দেওয়া এবং সন্ত্রস্ত করে রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিস। আজ আগাম জামিনের (Anticipatory Bail) আবেদন জানাতে আদালতে যেতে পারেন ইমরান। কিন্তু তার আগেই তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছেন সমর্থকরা (Supporters)। ইমরানের গ্রেফতারি আটকাতে তাঁরা আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছেন।
গত ২০ অগাস্ট, শনিবার ইসলামাবাদের একটি মিছিল থেকে ইমরান খান প্রশাসনের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন পুলিসের একজন আধিকারিক এবং একজন মহিলা বিচারক। প্রশাসন মনে করছে, এভাবে ইমরান খান এটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন, ভবিষ্যতে তাঁর দল পিটিআই-এর বিরুদ্ধে পুলিস-প্রশাসন যেন কোনও পদক্ষেপ না করে। তাছাড়া তাঁর ওই হুমকি-ভাষণের পর পুলিস, প্রশাসনের কর্মীদের মধ্যে ভীতিরও সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই রয়েছেন চরম আতঙ্কে।
অন্যদিকে, তাঁর সম্ভাব্য গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার-বিরোধী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ইমরান-ভক্তরা। তাঁরা ট্যুইটারে ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন 'ইমরান খান হামারি রেড লাইন'। দলের পক্ষ থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাস্তায় নামারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদে ইমরানের হিল টপ বাড়ির সামনে সমর্থকরা যাতে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেন, তার জন্যও নির্দেশ গিয়েছে দলের তরফে। দলেরই এক নেতা হুমকি দিয়েছেন, পুলিস যেন এই রাজনৈতিক যুদ্ধের অংশীদার না হয়। সরকার যদি ইমরানকে গ্রেফতার করে, তাহলে তাঁরা ইসলামাবাদ দখল করে নেবেন।
স্পষ্টতই একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ‘মিস ইউনিভার্স’ (Miss Universe) প্রতিযোগিতায়। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে চলা প্রতিযোগিতাটিতে শুধুমাত্র অবিবাহিত তরুণীরাই (Unmarraied Woman) অংশ নিতে পারতেন। এবার এই প্রতিযোগিতার নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল আয়োজকরা। বিবাহিত মহিলারাও (Married Woman) এখন থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant woman) এবং সন্তানের মায়েরাও (Mother) চাইলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায়।
সূত্রের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ থেকেই নয়া নিয়ম লাগু হয়ে যাবে। আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন গত কয়েক বছরের ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাবজয়ী সুন্দরীরা।
এতদিন নিয়ম ছিল, বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে হতে হবে অবিবাহিত। এমনকি জেতার পরও একবছর বিয়ে করতে পারবেন না। যতদিন খেতাব অন্য কারোর কাছে না যায়। এছাড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন কোনও প্রতিযোগী অন্তঃসত্ত্বা হতে পারবেন না। এমনই নানাবিধ বিধিনিষেধ মেনে এতদিন ব্রহ্মাণ্ডের সেরা সুন্দরী হওয়ার দৌড়ে নামে লেখাতেন ইচ্ছুকরা।
সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকাকে জানায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। এটা তারই অংশ। এই সিদ্ধান্তটা সময়ের নিরিখে খুবই স্বাভাবিক একটা সিদ্ধান্ত। মিস ইউনিভার্সের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক তা একবাক্যে স্বীকার করেছে গোটা ফ্যাশন দুনিয়া।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ইজরায়েলে বসেছিল মিস ইউনিভার্সের আসর। সেখানে বিজয়ী হয়েছেন ভারতীয় সুন্দরী হারনাজ কৌর সান্ধু। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ভারত পেল তার তৃতীয় মিস ইউনিভার্সকে। আগামী বছর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মাদাগাস্কর এবং রোমানিয়ায়।
আয়োজকদের নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ২০২০-র ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতার খেতাবজয়ী মেক্সিকোর আন্দ্রিয়া মেজা। তাঁর কথায়, ”আমি আন্তরিকভাবে এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানাচ্ছি। সমাজ বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখন মেয়েরাও সামনের সারিতে থেকে নানা দায়িত্ব পালন করছে। ফলে নিজের পরিবারে থেকে সে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেই পারে। আমার মতে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এই নিয়ম বদল।”
আটতলা বাড়ি (House) করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। রয়েছে চারটি প্লট। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ (Corruption) রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনভাবেই আয়-বহির্ভূত সম্পত্তবৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে খোদ থানার ওসির (OC) বিরুদ্ধে।
ঢাকা মহানগর পুলিসের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই বিপুল অবৈধ সম্পদের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। পুলিসের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
বর্তমানে মনিরুল ইসলাম নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতিতে মদত দিয়েই তিনি এই সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে পুলিসের ধারণা। জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিসের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। ২০১২ সালে পদোন্নতি পেয়ে পুলিস পরিদর্শক হয়েছেন। প্রায় ৩০ বছরের চাকরিজীবনে বেশির ভাগ সময় ঢাকা রেঞ্জে ছিলেন। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইদুল হক।
ভয়াবহ গাড়ি বোমা (Car Bomb) বিস্ফোরণে নিহত পুতিন (Vladimir Putin) ঘনিষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্তার মেয়ে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দারিয়া দুগিন। ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine War) মাস্টারমাইন্ড আলেকজেন্ডার দুগিনের মেয়ে দারিয়া। স্পষ্টতই এই নাশকতার পিছনে ইউক্রেনীয় জঙ্গিদের হাত দেখছে মস্কো। প্রাথমিক তদন্তে রুশ পুলিস জানতে পেরেছে, মস্কোর অদূরে জাতীয় সড়কের এক ধারে পার্ক ছিল দারিয়ার গাড়ি। রাতের দিকে এক অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফিরে সেই গাড়িতে উঠতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেই গাড়ি-সহ পাশের একটা ট্রাকেও আগুন ধরে যায়।
পুলিসের সন্দেহ, দারিয়া নয় বরং তাঁর বাবা আলেকজেন্ডার ছিলেন এই নাশকতার লক্ষ্য। কিছু সময়ের গরমিলে প্রাণ হারান দারিয়া দুগিন।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের কাছে অ্যালেকজান্ডার পুতিনের মাথা হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ রাশিয়ার পড়শি দেশগুলোকে ধমকে চমকে রাখা। প্রতি ক্ষেত্রেই রুশ সেনাকে পরিকল্পনা ছকে দেন আলেকজেন্ডার। পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, আলেকজান্ডারকে খুনের এই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পাল্টা জবাব দেবে রাশিয়া। অধুনা রুশ নিয়ন্ত্রিত ডনেৎস্কের গণপ্রজাতন্ত্রের প্রধান তথা পুতিন-ঘনিষ্ঠ ডেনিস পুশিলিনের দাবি, ইউক্রেনীয় জঙ্গিরাই আলেকজান্ডারের মেয়েকে খুন করেছে।
২৬ /১১ -র স্মৃতি ফিরল সোমালিয়ায়? মুম্বই হামলার ছকে এবার জঙ্গি হামলা সোমালিয়ায়(Somalia Terror Attack)। চলল এলোপাথাড়ি গুলি। বোমা বিস্ফোরণ(bomb explosion)), নিহত(dead) কমপক্ষে ৮। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মোগাদিশুর চারতলার হায়াত হোটেলে(Hayat hotel) ইসলামি কট্টরপন্থী সংগঠন আল-শাবাবের জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা ও পুলিস। তবে বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও হোটেলেই জঙ্গিরা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর হায়াত হোটেলে ঢুকে পড়ে তারা। তার আগে হোটেলের বাইরে বিস্ফোরণও ঘটায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হোটেলে ঢোকার কয়েক মিনিট আগে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। ইতিমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করা আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী জানিয়েছে দুটি গাড়িতে বিস্ফোরক আনা হয়। চলে গুলিও। অন্য দিকে সোমালিয়া গোয়েন্দা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, "দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হোটেল হায়াতে আক্রমণ হয়। একটি গাড়ি একেবারে গেটের সামনে আঘাত হানে।"
নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার মোহাম্মদ আবদিকাদির সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, "নিরাপত্তা বাহিনী হোটেল ভবনের একটি কক্ষের ভিতরে আটকে থাকা সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায়। বেশিরভাগ লোককে উদ্ধার করা হয়েছে তবে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮ জন নীরিহ নাগরিকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী ভবনে আটকে পড়া শিশুসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিককে নিরাপদে উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য,খরা, খাদ্যসঙ্কটে জর্জরিত গোটা দেশ। তার জন্য সাহায্যপ্রার্থনা করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই আবহেই সোমালিয়ার হোটেলে জঙ্গি হামলা। এক পুলিস আধিকারিক জানান, গোটা এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-শাবাব।
জানা গেছে, মোগাদিশুর যে হোটেলে হামলা চালানো হয়েছে, সেটি সরকারের মন্ত্রী, আমলা, আধিকারিক এবং দেশের অভিজাত মহলের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
অন্যদিকে, ভারতে জঙ্গি হানার হুমকি বার্তা সামনে এসেছে। পাকিস্তানের নম্বর থেকে হুমকি বার্তা।
২৬/১১ এর ধাঁচে জঙ্গি হামলা হতে পারে। মুম্বই পুলিসের(Mumbai police) কাছে হোয়াটস অ্যাপে হুমকি বার্তাটি আসে বলে সূত্রের খবর। ৬জন জঙ্গি পুরো বিষয়টির পরিকল্পনা করবে। তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিস।
বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ফিনল্যান্ডের (Finland) প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন (Sanna Marin)। কিন্তু তিনি প্রয়শই বিতর্কের মুখে পড়েন। কখনও ফটোশ্যুট নিয়ে, আবার কখনও তাঁর পোশাকের কারণে। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের একটি ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Video)। প্রধানমন্ত্রীর এমন অবিবেচকের মতো কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কয়েকজনের সঙ্গে উদ্দাম পার্টি করতে ব্যস্ত। কালো রঙের স্লিভলেস ড্রেস পরে কখনও তিনি নাচ করছেন, আবার কখনও তিনি গান করছেন। এর মধ্যে তাঁকে আবার ড্রিঙ্ক করতেও দেখা যায়। সানা মারিনকে পা উঠিয়ে নাচ করতেও দেখা যায় ভিডিওতে।
একদিকে, পার্টি করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ফিনল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল রুশ যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নেটো জোটে শামিল হওয়ার জন্য ফিনল্যান্ডের উপর আক্রমণ করতে চায় রাশিয়া বলেই মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশক পর্যন্ত একাধিক বার দু’দেশের যুদ্ধও হয়েছে। এদিন ফিনল্যান্ড উপসাগরের উপকূলবর্তী শহর পোরভোর আকাশসীমায় রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশ’ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সুরা পানের (Alcohol)প্রবণতা অত্যধিক বেড়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত বাবা-মায়েরাও। কিন্তু এমন এক দেশ রয়েছে, যেখানে তরুণরা (young generation) মদ্যপান কমানোয় মাথায় হাত পড়েছে সরকারের। শুনে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে জাপানে (Japan)।
জাপানের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা মহামারীর সময় থেকে সে দেশের তরুণ যুবকরা মদ্যপান কম করছেন। যার ফলে লোকসান হচ্ছে মদের দোকানদারদের। বিক্রি একেবারেই কমের দিকে। যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জাপান সরকারও। কারণ মদ বিক্রি থেকে একটা মোটা রাজস্ব সরকারের খাতে আসে।
এর ফলে নানা উপায় বার করার চেষ্টা করছে সরকার। তরুণ যুবকদের মদ্যপানে উৎসাহিত করতে আয়োজন করছে প্রতিযোগিতার। জাপানের ‘ন্যাশনাল ট্যাক্স এজেন্সি’-র তত্ত্বাবধানে ‘সেক ভাইভা’ নামে এক প্রচারাভিযান শুরু করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য তরুণদের মধ্যে মদ খাওয়ার চাহিদা বাড়ানো।
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন বিভিন্ন মদের দোকানদাররা। তাঁরা কীভাবে মদ বিক্রি বাড়ানো যায় তা নিয়ে নানা উপায় শেয়ার করবেন। আর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। অক্টোবর মাসে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগীদের বাছাই করা হবে। এবং এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরে।
একজন পুরুষের ভালোবাসার আলিঙ্গন (Hug) তাঁর মহিলা সহকর্মীর কাছে যে কতখানি মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক হতে পারে, তারই উদাহরণ মিলল চিনে (China)। ঘটনার বিবরণে জানা যাচ্ছে, অফিসের মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁর মহিলা সহকর্মীকে (Co Worker) এতটাই জোরে আলিঙ্গন করেছিলেন যে, তাঁর পাঁজরের তিনটি হাড়ে (Ribs) চিড় ধরে যায়।
কী বলবেন একে? হাড়ভাঙা আলিঙ্গন? সে যাই হোক, ওই মহিলা সোজা অভিযোগ জানালেন আদালতে। আর আদালত প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
হুনান প্রদেশের মহিলার অভিযোগ, পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় প্রচণ্ড যন্ত্রণার জন্য তাঁকে অফিস থেকে ছুটি নিতে হয়েছে। চিকিত্সা বাবদও তাঁর অনেক টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে এর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। বিচারক যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তা হল দেড় হাজার ডলার।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, অফিসে কাজ করার সময় ওই সহকর্মী তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন এবং তাঁকে প্রবল জোরে আলিঙ্গন করে বসেন। আর ঠিক তারপরই তিনি বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। বাড়ি ফিরে নিজেই কিছু যন্ত্রণা নিবারক ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে যন্ত্রণা কমেনি। ফলে তিনি ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই এক্স-রে করা হয়। আর তা দেখেই মহিলা অবাক হয়ে যান। তাঁর পাঁজরের তিনটি হাড় ভেঙে গিয়েছে, দুটি ডানদিকের এবং একটি বাঁদিকের। ফলে তাঁকে ছুটি নিতে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন তিনি বেতন পাননি, অন্যদিকে, চিকিত্সার খরচের বোঝাও বইতে হয়।
যদিও ওই সহকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, এমন কোনও প্রমাণ নেই যে, তাঁরই আলিঙ্গনে মহিলার পাঁজর ভেঙেছে।
একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের (Covid 19) জেরে জনসংখ্যার (Population) ঘনত্ব কমে যাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিনব দাওয়াই। দশ সন্তানের (10 Child) জননী হলেই হাতে কড়কড়ে টাকা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) রীতিমতো সরকারি নির্দেশনামা বের করে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, এমন বেপরোয়া পদক্ষেপ আগে দেখা যায়নি। তাছাড়া এই ধরনের পরিকল্পনা আদৌ কি সফল হবে? কারণ, রাশিয়ায় এমনতেই সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকট তুঙ্গে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ওই অর্থ হাতে পাওয়ার জন্য দশটি সন্তানের জন্ম তো আগে দিতে হবে। কিন্তু তাদের খাওয়ার খরচ কীভাবে জুটবে? সরকারের এই নয়া ঘোষণা ঘিরে এখন জোর জল্পনা রাশিয়া জুড়ে।
কিন্তু কত টাকা মিলবে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মাদার হিরোইন নামের ওই প্রকল্পে এক লপ্তে মিলবে সাড়ে ১৩ হাজার পাউন্ড। রাশিয়ান কারেন্সিতে দশ লক্ষ রুবেল।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে রাশিয়ায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ সংখ্যায়। অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার সেনার।
বোঝাই যাচ্ছে, জনসংখ্যার দ্রুত পতনে উদ্বিগ্ন সরকার। তারা চাইছে, সেখানকার মহিলারা আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দিন। দেশে এক একটি পরিবার আরও বড় আকারের হোক। তবে এক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয়েছে একটিই। তা হল, দশম সন্তান জন্মের পর তার প্রথম জন্মদিনেই মিলবে ওই অর্থ এবং সেই সময় আগের নয় সন্তান জীবিত থাকতে হবে।
পুরাতন ঢাকার চকবাজারের দেবী ঘাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড(fire)। প্লাস্টিক কারখানায়(plastic factory) ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ছয় জনের মৃত্যুর(death) খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, নিহত ছয়জনই কারখানার নিচে অবস্থিত একটি হোটেলের শ্রমিক। সোমবার দুপুরে আগুন লাগে বলে জানা গেছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, রাতে ডিউটি করে হোটেলের উপরের একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন কর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ওই আগুন ছড়িয়ে পুড়ে যায় হোটেল এবং ঘরগুলি। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপরেই সেখান থেকেই কর্মীদের দেহ উদ্ধার হয়। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনতলা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত একটি হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসে ওয়্যার হাউস পরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছজন মারা গিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, যে ঘর থেকে আগুন ছড়ায় সেখানে এবং আশপাশের কোনও ভবনেই নির্মাণের কোনও নিয়মনীতি মানা হয়নি। এই কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত দেরি হয়েছে। অন্যদিকে, লালবাগ পুলিসের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেখানে ওই ঘর এবং হোটেলগুলি করা হয়েছে। অবৈধভাবে এইসব হোটেল এবং অন্যান্য কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, এদিন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মৃত্যুদিন। বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস থাকায় সবাই ছিলেন ছুটিতে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেলা ১২টা নাগাদ বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। এসে দেখেন ওই হোটেলে আগুন জ্বলছে। এরপর সেখান থেকে আগুন আশপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন। তারা আরও জানান, সরকারি জমি লিজ নিয়ে সেখানে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। যে হোটেল থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, সেখানে আগে গ্যাসের লাইন ছিল। বিল বকেয়া থাকায় হোটেলটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। কিন্তু সংকীর্ণ জায়গায় নিয়ম না মেনেই সব কিছু করার ফলে আগুন লাগে বলে দাবি তাদের।