সিমলার (Shimala) শিবমন্দিরের পর এবারে ভেঙে পড়ল দেরাদুনের তপকেশ্বর শিবমন্দির (Tapkeshwar Temple)। কিছুদিন আগেই হিমাচল প্রদেশের সিমলার শিবমন্দির ধসের ফলে ভেঙে পড়ে। মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে যায় একাধিক পুণ্যার্থী। এখনও সেখানে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধসের ফলে ভেঙে পড়ল তপকেশ্বর মন্দিরের কিছু অংশ। কিন্তু এবারে কোনও পুণ্যার্থী ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েননি বলে সূত্রের খবর। ফলে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রবল বর্ষণ, ভূমিধস, হড়পা বান, বন্যায় বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। এই দুই রাজ্যে অনবরত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। দুই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮৮। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার ভেঙে পড়ল দেরাদুনের তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কিছু অংশ। জানা গিয়েছে, শ্রাবণ মাসের শিবের পুজোর জন্য পুণ্যার্থীরা মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ধসে পড়ে মন্দিরের কিছু অংশ। মন্দিরের ঢোকার রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ। ফলে ঢোকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানানো হয়েছে।
তবে আগামী দু'দিন উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেরাদুন, পাওরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে এই জেলাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রবল বর্ষণের জেরে ভেঙে পড়ল হিমাচলপ্রদেশের (HimachalPradesh) সিমলার (Shimla) শিবমন্দির (Shiv Temple)। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯ জন পুণ্যার্থীর। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে মন্দিরে পুজো চলাকালীন ধসে ভেঙে পড়ে মন্দিরটি। মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। আরও অনেকজন এই ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেv বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকার্য চলছে, চাপা পড়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই অনবরত বৃষ্টি, ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশ। বিশেষ করে গত ২৪ ঘণ্টায় অত্যধিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়। এরপরই আজ সকালে সামার হিল এলাকার কাছে অবস্থিত শিব মন্দিরে ধস নামে ও মুহূর্তের মধ্যে চাপা পড়ে যায় একাধিক পুণ্যার্থী। তড়িঘড়ি সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য পুলিস ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেখানে উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার শ্রাবণ মাসের পুজোর জন্য সিমলার সেই মন্দিরে প্রায় ৫০ জন জমায়েত ছিলেন। আর সেই সময়েই হঠাৎ নামে ধস। ঘটনার পরই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নীচে প্রায় ২০-২৫ জন পুণ্যার্থী চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফের কেদারনাথের যাত্রাপথে (Kedarnath Yatra) বড়সড় দুর্ঘটনা (Accident)। কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তায় ধস (Labdslide) নেমে গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল পাঁচ তীর্থযাত্রীর। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। ধসের ফলে চাপা পড়ে যায় তীর্থযাত্রীদের গাড়ি। আর সেখানেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পাঁচজন তীর্থযাত্রীর। আর আজ, শনিবার এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে রুদ্রপ্রয়াগের কাছে গুপ্তকাশী-গৌরীকুণ্ড মহাসড়কের কাছে তারসালি এলাকায় ধস নামে। এর জেরে রাস্তার উপর ধ্বংসস্তুপ তৈরি হয়। প্রায় ৬০ মিটার এলাকা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। পাঁচ তীর্থযাত্রী বোঝাই গাড়িটি যখন কেদারনাথ থেকে সোনপ্রয়াগের দিকে যাচ্ছিল, তখনই পাহাড় থেকে একটি পাথর এসে তীর্থযাত্রীদের গাড়ির উপর পড়ে। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের।
জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন গুজরাতের বাসিন্দা ও দু'জন হরিদ্বারে বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এরপর উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরাখণ্ড পুলিস ইতিমধ্যে মৃতদের নামও প্রকাশ্যে এনেছে।
জানা গিয়েছে, মৃত জিগার আর মোদী, মহেশ দেশাই এবং পারিক দিব্যাংশ গুজরাতের বাসিন্দা। মৃত মিন্টু কুমার এবং মণীশ কুমার হরিদ্বারের বাসিন্দা। ধস ও দুর্ঘটনার পরে গুপ্তকাশী-গৌরীকুণ্ড সড়কপথ দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। পরে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে খুলে দেওয়া হয় রাস্তা।
ফের দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়। মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ৫৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ধস নামায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিদ্দিবালি মন্দির যাওয়ার রাস্তা। এরজন্য থমকে গিয়েছে নৈনিতালের ট্রাফিক পরিষেবা।
কাঠগোদাম এলাকায় ভারী বর্ষণে ভেঙে পড়েছে ২টি বাড়ি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। কাঠগোদাম এবং দৌগাড্ডা যাওয়ার পথে থমকে গিয়েছে একাধিক যান চলাচল। লাগাতার বর্ষণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এখনও কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে গোটা আকাশ।
বিপর্যয় যেন পিছু চাড়ছে না উত্তরাখণ্ডের। কয়েকদিন আগেই বর্ষণের কোপে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের। ফের বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে। মঙ্গলবার থেকে আবারও উত্তরাখণ্ডের কাঠগোদাম এলাকায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিভিন্ন এলাকা। জায়গায় জায়গায় ধস। প্রকৃতির কোপে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। কয়েকদিন আগে হিমাচল প্রদেশে ভয়াবহ বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার রেশ এসে পড়েছিল উত্তরাখণ্ডেও। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কেদারনাথের একাংশ ভেসে গিয়েছিল। তারপরেও একাধিক বিপর্যয় এসেছে উত্তরাখণ্ডে। এবার আবারও সেই মেঘভাঙা বৃষ্টির কোপ উত্তরাখণ্ডের রাজ্যে। কাঠগোদাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার জেরে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারছে নামানুষ পায়ে হেঁটে সেখানে যাতায়াত করছেন।
মন্দিরে (Temple) আগেই ফাটল ধরেছিল। এমনকি মন্দিরের ফাটলের কথা মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছিল। তবে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। আর এবারে অবশেষে ভেঙে পড়ল মন্দিরের একাংশ। সূত্রের খবর, শুক্রবার মধ্যরাতে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) শ্রীরঙ্গম মন্দিরের (Srirangam Temple) একাংশ ভেঙে পড়েছে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের পূর্বদিকের স্তম্ভের প্রবেশদ্বারের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। উল্লেখ্য, মন্দিরে মোট ২১টি 'গোপুরম' বা স্তম্ভ রয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা মন্দির কর্তৃপক্ষকে এই ফাটলের বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও হেলদোল হয়নি কর্তৃপক্ষের। মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। ফলে তাঁদের দাবি, সেই ফাটল থেকেই ভেঙে পড়েছে মন্দিরের কিছু অংশ। ধ্বংসাবশেষের নীচে কেউ চাপা পড়েনি ও কোনও হতাহতের খবর আসেনি বলে সূত্রের খবর। কিন্তু মন্দির ভেঙে পড়ার ফলে অনেকেরই ক্ষতি হতে পারত বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
মন্দির কর্তৃপক্ষের এক সদস্য জানিয়েছেন, মন্দির ভেঙে যাওয়ার পরই এর মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগেই ৯৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মন্দিরে আর কোনও ফাটল রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Temple) ফের চর্চায়। এবারের মন্দির চত্বরে রিলস, ভিডিও ও ছবি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেদারনাথ মন্দির কমিটি। সম্প্রতি একটি রিলস ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই কড়া নজরদারি রেখছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) পুলিস। এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, এক তরুণী তাঁর ভালোবাসার মানুষকে কেদারনাথ মন্দিরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই হইহই পড়ে যায় দেশজুড়ে। এরপরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল মন্দির কমিটি (Shri Badrinath-Kedarnath Temple Committee)।
কেদারনাথ মন্দির চত্বরে আংটি দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক তরুণী। সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেই ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হয়। এরপর তা মন্দির কমিটির নজরে পড়তেই উত্তরাখণ্ড পুলিসের তরফে জানানো হয়, এরপর মন্দিরের সামনে কেউ ভিডিও বা রিলস বানালে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর এবারে শ্রী বদ্রিনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে আর কেদারনাথ মন্দির চত্বরে ভিডিও, রিলস করা যাবে না ও ছবিও তোলা যাবে না।
কমিটির তরফে জায়গায় জায়গায় বোর্ড লাগানো হয়েছে, যেখানে লেখা রয়েছে, 'মন্দির চত্বরে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। এছাড়াও কোনও ছবি ও ভিডিও করা যাবে না। আপনারা সিসিটিভির নজরে রয়েছেন।' এছাড়াও মন্দিরে যাওয়ার জন্য 'ভদ্র' পোশাক পরে আসার জন্য বলা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বদ্রীনাথ ধাম থেকে কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি, তবে সেখানেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে সূত্রের খবর।
কেদারনাথ মন্দিরে (Kedarnath Temple) একটি প্রেম নিবেদনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে একাধিক বিতর্ক-সমালোচনা। এই ভিডিও নিয়েই সারা দেশজুড়ে হইহই পড়ে গিয়েছে। নেটিজেনদের অনেকের দাবি, 'মন্দির প্রেম নিবেদনের জায়গা নয়'। ফলে এইসব বিতর্কের মাঝেই বুধবার মন্দির কমিটি থেকে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আর এবারে এই চিঠিরই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ড পুলিস। তাঁরা জানিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেদারনাথ মন্দিরে 'প্রোপোজ'-এর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ মন্দির কমিটি পুলিসের কাছে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের পুরোহিতরাই অভিযোগ এনেছেন, মন্দির চত্বরে এমন ভিডিও বানানোয় তা 'ধর্মীয় ভাবাবেগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে'। ফলে যাঁরাই এমন ভিডিও করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড পুলিস জানিয়েছে, মন্দির চত্বরে কোনও ভিডিও বা রিলস বানানো যাবে না। যাঁরা কেদারনাথ মন্দির চত্বরে বা মন্দিরের মধ্যে এমন ভিডিও করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও মন্দিরে কড়া নজরদারি চালানো হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম নিবেদন বা প্রোপোজ (Proposal) করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কারণ এই প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কেদারনাথ মন্দিরে (Kedarnath Temple)। ফলে এই নিয়েই নেটিজেনরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ এই বিষয়টির প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, 'কেদারানাথ প্রেম নিবেদনের জন্য নয়।' আর এই বিতর্কের মাঝেই এবারে কেদারনাথ মন্দির কমিটি (Badri-Kedarnath Temple Committee) থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
সূত্রের খবর, কেদারনাথ মন্দিরে প্রেম নিবেদনের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ মন্দির কমিটি পুলিসের কাছে চিঠিরি মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, মন্দিরে পুরোহিতরাই অভিযোগ এনেছেন, মন্দির চত্বরে এমন ভিডিও বানানোয় তা 'ধর্মীয় ভাবাবেগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে'।
মন্দির কমিটির দাবি, এখানে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয়। তাঁরা ভক্তি নিয়ে এখানে পুজো দিতে আসেন। তাই এইসব বিষয়ে পুলিসের কড়া নজরদারি থাকা দরকার। কারণ, কিছু ইউটিউবার এবং ইনস্টাগ্রামাররা এখানে এসে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানান। যা কিনা ধর্মীয় ভাবাবেগের বিরুদ্ধে আঘাত করছে। ফলে এবার থেকে যেন এইসব বিষয়ে পুলিস কড়া নজরদারি রাখে। এমন ধরণের ভিডিও বানাতে দেখলেই যেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তেমনটাই জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
নিজের পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী প্রত্যেকেই করতে চান। ফলে সেই জীবনসঙ্গীকে বিভিন্নভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন এখনকার বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডরা। তাঁদের ভালোবাসার মানুষটাকে সারপ্রাইজ দিতে বা প্রপোজ করতে কেউ পাহাড়ে, কেউ সমুদ্র সৈকত আবার কেউ আইফেল টাওয়ার-কেও বেছে নেন। কিন্তু কখনও কেউ কি কোনও মন্দিরে প্রপোজ (Proposal) করেছেন? এবারে তেমনটাই প্রকাশ্যে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এমনই এক ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক তরুণী তাঁর ভালোবাসার মানুষটাকে প্রপোজ করছেন কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Temple) গিয়ে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। কারণ অনেকে এটাকে ভালোভাবে নিলেও, অনেকেই এতে আবার আপত্তি জানিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, এক যুগল কেদারনাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে তরুণী তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে হাঁটু মুড়ে বসে আংটি দিয়ে প্রপোজ করছেন। যুবককে দেখে মনেই হচ্ছিল যে, তিনি এই বিষয়ে একেবারে কিছুই জানতেন না। এরপরেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। তবে শেষে তাঁর প্রেম প্রস্তাবে হ্যাঁ বলেছেন যুবক। আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকের মতে, মন্দির চত্বরে এমনটা করা একেবারেই ঠিক নয়। অন্যদিকে নেটিজেনদের এক বড় অংশ এই ব্যাপারটিতে খুশি হয়েছেন। নেটিজেনদের বক্তব্য, পুরো ব্যাপারটি বেশ 'কিউট' ও 'রোম্যান্টিক'।
গতকাল অর্থাৎ শনিবারই দেখা গিয়ছিল পরিণীতি চোপড়াকে (Parineeti Chopra) অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে (Golden Temple)। বিয়ের আগেই কাছের মানুষটিকে (Raghav Chadha) সঙ্গে নিয়ে আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ছবিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর এবারে তাঁদের ঈশ্বর সেবার ভিডিও প্রকাশ্যে এল। রাঘব ও পরিণীতিকে দেখা গেল, স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে তাঁরা বাসন ধুচ্ছেন। আর এই ভিডিওই বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল। কিন্তু এতেও সমালোচনার শিকার হতে হল এই যুগলকে। প্রশ্ন উঠছে, 'সেবা করতে গিয়ে পাশে ক্যামেরা কেন?'
সাধারণত, শিখ ধর্মপ্রাণ মানুষ গুরুদ্বারে এসে স্বেচ্ছায় বাসন-পত্র ধোয়া, জল পরিবেশন, এমনকি ভক্তদের জুতো পরিষ্কারের কাজ করে থাকেন। এবারে সেই কাজেই মগ্ন হতে দেখা গেল রাঘব ও পরিণীতিকেও। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাঘব ও পরিণীতি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সাবান গোলা জল দিয়ে থালা ধুচ্ছেন। আবার পরিণীতিকে দেখা গেল থালা ধোয়ার পাশাপাশি তিনি পাশের মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলছেন। ফলে তাঁদের এই সেবাধর্ম দেখে বেজায় খুশি অনুরাগীরা।
কিন্তু এই নিয়েও কটাক্ষের শিকার হতে হল এই যুগলকে। নেটিজেনদের এক বড় অংশ খানিকটা বিরক্ত হয়েই বলছেন, 'সেবা করছেন ভালো কথা, তবে চারপাশে এত ক্যামেরা কেন? সাধারণ মানুষও যেমনটা করেন, তেমনটা পরিণীতিক-রাঘবও করছেন, এতে এত দেখানোর কী রয়েছে?' ফলে এটাকে লোকদেখানো বলেই উল্লেখ করছেন কিছু নেটিজেন।
ফের পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra) ও রাঘব চাড্ডা (Raghav Chadha) খবরের শিরোনামে। এবারে তাঁদের ফের একসঙ্গে দেখা গেল অমৃতসরে (Amritsar)। তবে তাঁরা হঠাৎ অমৃতসরে কেন এসেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই দু'জনকে দেখা গেল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে (Golden Temple)। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিয়ের আগেই বাগদত্তাকে নিয়ে শ্রী হরমন্দির সাহিবে আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন রাঘব। রাঘব-পরিণীতি দু'জনই সেই স্বর্ণমন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে ছবি তুলে তা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। দু'জনেই এই দিনটিকে 'বিশেষ' বলে উল্লেখ করেছেন।
আজ, শনিবার সকালে রাঘব-পরিণীতিকে অমৃতসর বিমানবন্দরে দেখা যায়। এরপরই তাঁদের দেখা যায় স্বর্ণমন্দিরে। তাঁদের এইসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। এদিন পরিণীতিকে দেখা যায় অফ-হোয়াইট রংয়ের সালোয়ার পরতে ও মাথায় ওড়না দিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে রাঘবের পরনে ছিল সাদা রংয়ের পাঞ্জাবি,প্যান্ট ও উপরে ধূসর রংয়ের জ্যাকেট।
মন্দির দর্শনের পর রাঘব-পরিণীতি দু'জনেই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন যে, আজকের স্বর্ণমন্দির দর্শন কতটা বিশেষ। কারণ আজ তাঁদের পাশে রয়েছেন জীবনের বিশেষ মানুষটি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই শীতকালে তাঁরা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। ফলে তাঁদের বিয়ে দেখার জন্য মুখিয়ে বসে রয়েছেন তাঁদের অনুরাগীরা।
মাত্র হাজার টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েছিলেন এক যুগল (Couple)। জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে মাত্র হাজার টাকা, এই ভেবেই হতবাক প্রত্যেকে। কিন্তু পালিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ে পুলিসের হাতে। ঘটনাটির বিহারের (bihar)দিঘরার। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, দিঘরার এক যুবক ও তরুণীর আলাপ হয় সমাজমাধ্যমে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাঁরা পালানোর পরিকল্পনাও নেয়। এরপর একদিন দুজনেই বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যান নতুন জীবন শুরু করতে। তরুণীর সঙ্গে বাইকে পালিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু পকেটে তাঁদের মাত্র হাজার টাকাই। এরপর বাইকে তেল ফুরিয়ে গেলে তাঁরা ঠিক করেন মন্দিরে থাকবেন। কিন্তু এরপরই সেই জায়গায় পুলিসের টহলদারি শুরু হয়। আর তল্লাশি করতে গিয়েই পুলিসের নজরে আসে তাঁরা।
এরপর তাঁদের পুলিস স্টেশনে নিয়ে আসে ও তাঁদের পরিচয়পত্র চায় পুলিস। তাঁদের পরিচয় জানার পরেই যুগলের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয় ও পরিবারের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁদেরকে ভালোভাবে বোঝানোও হয়, যাতে তাঁরা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটায়।
অবশেষে ২৯ জুন, বকরি ঈদের দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aryan) ও কিয়ারা আডবানির (Kiara Advani) ছবি 'সত্যপ্রেম কি কথা' (SatyaPrem Ki Katha)। আর ছবি মুক্তির দিনই ভগবানের আশীর্বাদ নিতে মন্দিরে পৌঁছে গেলেন কার্তিক আরিয়ান। বৃহস্পতিবার কার্তিককে দেখা গেল মুম্বইয়ের সিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে (Siddhivinayak Temple)।
'ভুল ভুলাইয়া ২'-এ কার্তিক আরিয়ানের পারফম্যান্স দেখার পর দর্শকদের তাঁর থেকে বহুগুণ আশা বেড়ে গিয়েছিল। ফলে তাঁর এই ছবির জন্য মুখিয়ে ছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। এছাড়াও ছবি মুক্তির আগেই শোনা গিয়েছিল যে, ছবির অগ্রিম বুকিং বেশ সাড়া ফেলেছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, কার্তিকের এই ছবিটিও পছন্দ করবে দর্শকরা। বক্স অফিসে সাড়া ফেলবে বলেই অনুমান দর্শকদের। আর এই ছবি মুক্তির মাঝেই সিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে পৌঁছে গেলেন কার্তিক। তাঁকে প্রায়ই দেখা যায়, তিনি তাঁর শুভ কাজ গণপতি বাপ্পাকে প্রণাম করেই শুরু করেন। ফলে এক্ষেত্রেও কোনও ব্যতিক্রম হয়নি।
দর্শনার্থীদের মধ্যে কার্তিককে দেখতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক বাকিরা। তবে তাঁকে এমন দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি তাঁর অনুরাগীরা। কার্তিকের পরনে এদিন দেখা যায় হালকা গোলাপি রংয়ের শার্ট ও জিন্স। তবে এখন এটাই দেখার যে, তাঁর নতুন ছবি কতটা মন ছুঁতে পারে দর্শকদের।
আজ, মঙ্গলবার শুভ রথ যাত্রা। প্রতিবারের মতো এবারেও সেজে উঠেছে কলকাতা ইসকন মন্দির। দিকে দিকে ভক্তসমাগম। কলকাতাবাসী মেতে উঠেছেন উৎসবের আমেজে। এদিন কলকাতায় ইসকনের রথযাত্রার (ISKCON Temple Kolkata) শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই রথযাত্রার (Rath Yatra 2023) শুভেচ্ছা জানালেন সকলকে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম-কেও।
মঙ্গলবার, ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। এজেসি বোস রোড, শরৎ বোস রোড, হাজরা রোড, এক্সাইড মোড় হয়ে পার্ক স্ট্রিট ঘুরে আউট্রাম রোড ধরে ইসকনের রথ পৌঁছবে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের পিছনে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। উল্টো রথ অর্থাৎ আগামী সাত দিন সেখানেই থাকবে রথ। আবার ২৮ শে জুন একই পথ ধরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ ফিরবেন ইসকন মন্দিরে।
উল্লেখ্য, ইসকন আয়োজিত কলকাতার এই রথযাত্রা এবার ৫২ বছরে পড়ল। এবারের থিম 'মানসিক শান্তি'। এদিন রথযাত্রার অনুষ্ঠানে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার উল্লেখ করেন মমতা। এমনকি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনাও করেন। বিশ্বশান্তির জন্য় তিনি প্রার্থনা করেন।
১৬ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ওম রাউত (Om Raut) পরিচালিত ছবি 'আদিপুরুষ' (Adipurush)। এই ছবির টিজার মুক্তি পাওয়ার পর একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ট্রেলার মুক্তির পর তা দর্শকদের নজর কাড়ে। তবে এক বিতর্ক শেষ হতে না হতেই ফের এক বিতর্কে জড়ালেন ওম রাউত ও কৃতি স্যানন (Kriti Sanon)। ধর্মীয়স্থানে কৃতিকে আলিঙ্গন ও প্রকাশ্যে চুম্বন ওম রাউতের, আর এই থেকেই ফের শুরু সমালোচনা। আর সেই ভিডিও নেটপাড়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলবারই আদিপুরুষ-এর দ্বিতীয় ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ফলে এখন শুধুমাত্র ছবি মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় প্রত্যেকেই। কিন্তু তারই মধ্যে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা। ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই ভগবানের থেকে আশীর্বাদ নিতে এই ছবির অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের একাধিকবার ধর্মীয়স্থানে যেতে দেখা গিয়েছে। ফলে আজ, ৭ জুনও কৃতি স্যানন ও ওম রাউত পৌঁছে গিয়েছেন তিরুপতির ভেঙ্কেটেশ্বর মন্দিরে। আর সেখানে গিয়েই ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যার জন্য শুরু হয়েছে বিতর্ক। মন্দির থেকে বেরিয়ে বিদায় জানানোর সময় ওম রাউত কৃতিকে জড়িয়ে চুম্বন করেন। আর এই ভিডিও শেয়ার করলেন বিজেপি নেতা রমেশ নাইডু।
এই ভিডিও রমেশ নাইডু টুইটে শেয়ার করে বলেছেন, 'ধর্মীয়স্থানে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে আলিঙ্গন-চুম্বন অশ্রদ্ধাকর ও অগ্রহণযোগ্য।' যদিও এই নিয়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলে তিনি তাঁর টুইটটি সরিয়ে দিয়েছেন।