চোপড়ার (Chopra) দাসপাড়ার মন্দিরে (Temple) চুরির (Theft) ঘটনার প্রতিবাদে দাসপাড়া এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়া থানা অন্তর্গত দাসপাড়া সন্ন্যাসীতলা কালী মন্দিরে। মন্দিরের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে এই চুরির ঘটনাটি দেখা গিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অস্ত্র শস্ত্র সমেত ৬ জন দুষ্কৃতী মন্দিরের ভিতরে ঢুকে। সেই সময় কর্তব্যরত কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার সেখানে থাকে। তাঁরা দুষ্কৃতিদের দেখতে পেয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। তারপরেই মন্দিরের দুটি দানবাক্স চুরি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের মারধরে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মন্দির কমিটির সদস্য রাম দত্ত বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না কিন্তু কেউ আমাকে ফোন করে চুরির ঘটনার কথা জানায়। তখনই পুলিসকে সমস্ত ঘটনাটি জানিয়ে মন্দিরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিয়ে (Marriage) করবেন না প্রেমিক (Lover), তাই তাঁর জামার কলার ধরে জোর করে টেনে নিয়ে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে হুমকি (Threat), বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ফলে বিয়ে করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বিহারের ভাগলপুরে। ভাগলপুরের এক অফিসে কাজ করছিলেন এক মহিলার প্রেমিক, হঠাৎ সেখানে উপস্থিত তাঁর প্রেমিকা। দেখে মনে হচ্ছে, সাংঘাতিক রেগে রয়েছেন তিনি। সেই যুবক ও তরুণীকে দেখে অফিসের বাকিরা অবাক। আসলে কী ঘটেছে, তাঁরা কেউই জানেন না। এরপরেই সেই তরুণী বললেন, 'আমাকে বিয়ে করবে কি না?' এরপরেই ঘটনাটি বুঝতে পারলেন বাকিরা।
সূত্রের খবর, ভাগলপুরের ভাটোদিয়া গ্রামের বাসিন্দা করিশ্মা। আর সেই গ্রামেই থাকেন তাঁর প্রেমিক রোহিত কুমার। জানা গিয়েছে, তাঁদের ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু যখন করিশ্মা বিয়ে করার কথা বলেন, তখন রোহিত তাতে রাজি হন না। কিন্তু করিশ্মা জোর করলে রোহিত তাঁকে সিঁদুর পড়াতে বাধ্য হন। তবে রোহিতের বাড়ির লোকও তাঁকে মেনে নেয় না। অভিযোগ, তাঁকে নাকি বাড়ি থেকেই বের করে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, এরপর করিশ্মা তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। আর এই ঘটনায় রোহিতকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই তাঁর জামিন হতে ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকেন করিশ্মা।
আরও জানা গিয়েছে, জামিন পেতেই রোহিত একজায়গায় কাজও পান। আর সেই অফিসে গিয়েই করিশ্মা ফের তাঁকে বিয়ে করার জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকেন। এরপর রোহিত না মানলে করিশ্মা তাঁর জামার কলার ধরে টানতে টানতে পাশের বুদ্ধনাথ মন্দিরে নিয়ে যান। এরপর তিনি হুমকিও দেন যে, রোহিত বিয়ে না করলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। এরপর এই খবর পুলিসের কাছে পৌঁছতেই তাঁদের হেফাজতে নেন ও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও পুলিস স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
ধীরে ধীরে হেলে পড়ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির (Shiva Temple)। এএসআই বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Archaeological Survey of India) একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের বিখ্যাত শিব মন্দির তুঙ্গনাথ মন্দির ৫-৬ ডিগ্রি হেলে গিয়েছে। আবার তার আশেপাশের ছোট ছোট স্থাপত্যগুলো ১০ ডিগ্রি করে হেলে গিয়েছে। আর এই ঘটনা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এএসআই।
উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার 'তুঙ্গনাথ' বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির হিসেবে পরিচিত। গাড়োওয়াল হিমালয়ের কোলে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দির। আর এই স্থাপত্য নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালান এএসআই-এর আধিকারিকরা। তবে এর নেপথ্যে কী কারণ, তা জানতে তৎপর এএসআই-এর আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে বিষয়টি কেন্দ্রকেও জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে এএসআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুঙ্গনাথ মন্দিরকে সুরক্ষিত সৌধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু হয়েছে। এএসআই-এর আধিকারিক মনোজ কুমার সাক্সেনা জানিয়েছেন, মন্দির হেলে পড়ার কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমত কেন তুঙ্গনাথ মন্দির হেলে গিয়েছে, তার কারণ খুঁজে বার করতে হবে। এর পর প্রয়োজন মতো মেরামত করা হবে। ভালোভাবে খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এএসআই আধিকারিকরা প্রাথমিক ভাবে অনুমান করেছেন, ওই অঞ্চলের মাটি বসে যাওয়ার কারণে মন্দির হেলে যেতে পারে। মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা বদলানোর ভাবনাও রয়েছে এএসআই-এর। আপাতত বর্তমানে মন্দিরের গায়ে একটি স্কেল বসানো হয়েছে। যা দেখে বোঝা যাবে মন্দির ঠিক কতটা হেলেছে।
একই রাতে পরপর দুটি মন্দিরের চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। বনগাঁ থানার অন্তর্গত দেবগড় এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরে আতঙ্কে ভুগছেন এলাকাবাসী। সোমবার মধ্যরাতে দুটি মন্দিরেই চুরি হয়েছে এমনটাই অনুমান এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে দেবগড় এলাকার বাসিন্দা ভক্ত বৈরাগী বলেন, 'আমাদের বাড়ির বহু পুরনো এই হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরটি আমাদের বাড়ির হলেও কিন্তু এলাকার সকল মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে।'
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই হঠাৎই দেখতে পাওয়া যায় মন্দিরের বারান্দায় একটি মোটা পেয়ারা গাছের কাঠ পড়ে আছে। তারপরে মন্দির ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় মন্দিরের একটি জানলা ভাঙা এবং ঠাকুরের কপালে মোট ছটি সোনার টিপ এবং আরেকটি সোনার টিকলিগুলি নেই। তারপরেই আমরা পুলিস প্রশাসনের কাছে খবর যায়।
পাশাপাশি অন্য একটি বাড়ির কালী মায়ের মন্দিরেও চুরি হয় এ বিষয়ে ওই বাড়ির সদস্যা নীলিমা বিশ্বাস বলেন, 'আমি সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে কর্মসূত্রে কলকাতায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমি মায়ের মুখ দর্শন করতে যাই। মন্দিরের পর্দা তুলেই দেখি কালী মায়ের মূর্তিটি মন্দিরের গ্রিলের সঙ্গে আটকে আছে। তারপর আমার সন্দেহ হওয়াতে আমি সবাইকে ডাকি এবং তারপর দেখতে পাই মায়ের সমস্ত গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। সোনার টিপ, সোনার ত্রিনেত্র এবং সোনার টিকলি চুরি হয়ে গিয়েছে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালো আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।' তিনি জানান, 'স্বাভাবিকভাবেই এখন ভয় লাগছে যারা কালী মাকে ভয় পায় না, তারা মানুষকে কীভাবে ভয় পাবে।'
মঙ্গলবার কোচবিহারের (CoochBehar) দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই লক্ষে সোমবার কোচবিহার পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কর্মসূচি শুরুর ঠিক একদিন আগে টুইট করে অভিষেককে অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার টুইট করে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল নব জোয়ার হল একটি প্রথম অভিনব রাজনৈতিক প্রয়াস। এই প্রয়াসের জন্য আমি অভিষেক এবং দলের কর্মীদের জনসংযোগ যাত্রা শুরু করার জন্য আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই যাত্রা রাজ্যজুড়ে হবে।’ সোমবার বিকেলে কোচবিহার পৌঁছে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। পরদিন থেকে শুরু করবেন জনসংযোগ যাত্রা (Janasangjog Rally)।
এই কর্মসূচিতে আগামী ৬০ দিনের সূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে ৬০তম দিনে তা সাগরে এসে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের এই কর্মসূচর ঘোষণা করেন অভিষেক। পঞ্চায়েতে দলের প্রার্থী খুঁজতে ২৫০টি জনসভা করবেন তিনি, সঙ্গে হবে ৬০টি অধিবেশন। ৩০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করার পাশাপাশি ৩,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবেন তিনি। এই কর্মসূচিতে তিনি অস্থায়ী ছাউনিতে রাত্রিযাপন করবেন। এই কর্মসূচি সফল করতে রবিবার রাজ্য এবং জেলাস্তরে নির্বাচনী কমিটি গঠন করল তৃণমূল।
রাজ্যস্তরের এবং জেলাস্তরের কমিটির কাজ কী হবে সে বিষয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের ২২ জন শীর্ষ নেতা। জেলাভিত্তিক ৮টি জোন তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে ৬ থেকে ১০ জন তৃণমূল নেতাকে। এই কমিটিগুলির কাজ হবে গোটা প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে যাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন, তাঁরা যাতে সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
গ্রামবাংলার মতামত সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের ইনচার্জ এবং কো-ইনচার্জদের বিশেষভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। রাজ্যস্তরের যে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে। কমিটির বাকি সদস্যেরা হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুইয়াঁ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-সহ ২২ জন নেতা। কলকাতা বাদে রাজ্যের ২২টি জেলাকে ৮টি ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
বলিউডে এবার নতুন প্রেমের গুঞ্জন। প্রেমে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। তিরুপতি মন্দিরে প্রেমিক শিখরের সঙ্গে দেখতে পাওয়া গেলো জাহ্নবীকে। এছাড়াও কখনও ক্যাফেতে, আবার কখনও সমুদ্রসৈকতে প্রেমিকের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে শ্রীদেবী কন্যাকে। তবে সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা নিয়ে দুজনের কেউই স্বীকার করেনি।
#WATCH | Andhra Pradesh: Actor Janhvi Kapoor visited Tirupati Balaji Temple, Tirumala. pic.twitter.com/nYxZq7NA2A
— ANI (@ANI) April 3, 2023
সম্প্রতি তিরুপতি বালাজির মন্দিরে প্রেমিক শিখরের সঙ্গে দেখা গিয়েছে জাহ্নবীকে। দক্ষিণ ভারতীয় পোশাকে দেখা গেল তাঁকে। সাদা ধুতি ও উত্তরীয় পরে শিখর। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ৩ এপ্রিল প্রেমিক শিখরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই তাঁকে নিয়ে তিরুপতি মন্দিরে গেলেন অভিনেত্রী, এমনটাই খবর। শ্রীদেবী জীবিত থাকাকালীন নিজের জন্মদিনে সেখানেই যেতেন আশীর্বাদ নিতে। সেই ধারাই বজায় রাখলেন শিখরের জন্য। শুধুমাত্র, মন্দিরে গিয়েছেন তা কিন্তু নয়। নিজের ইনস্টাগ্রামে স্টোরি দিয়েছিলেন শিখরের জন্য।
ভারতের এক এক জায়গায় লুকিয়ে আছে এক এক রকমের অদ্ভুত কাহিনী। এমনই এক জায়গার নাম হল কেরলের (Kerala) কোল্লামের চাভারা (Chavara)। সেখানে এমন এক মন্দির রয়েছে যেখানে পুরুষরা মহিলা সেজে দেবীর পুজো করতে যান। ভারতে এমন অনেক মন্দির আছে, যেখানে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ। তবে এটা একেবারেই উল্টো। এই মন্দিরের উৎসবে পুরুষরাই মন্দিরে যান মহিলা সেজে। কেরালার এই বিশেষ উৎসবের নাম চামায়ামভিলাক্কু (Chamayamvilakku)। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসেই এই উৎসব হয়ে থাকে চাভারায়। মনে করা হয়, এই পুজো করলে সবার মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের ১৯ দিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। উৎসবের শেষ দু'দিন পুরুষরা মেয়ে সেজে প্রথম দিন রাতে ও দ্বিতীয় দিন ভোরে দেবীর পুজো করেন। কথিত আছে, এতেই নাকি দেবী মা সন্তুষ্ট হন। উৎসবের শেষ দুই দিনে পুরুষরা দাঁড়ি-গোঁফ কেটে নতুন শাড়ি, গয়না, পরচুলা পরে একেবারে নারীর রূপ ধারণ করেন তাঁরা। আবার চুলে তাঁরা ফুলও লাগান। আবার এই উৎসবে ১০ বছরের কম বয়সী ছেলেরাও অংশগ্রহণ করে। তখন আবার এই উৎসবের নাম বদলে হয়ে কাক্কাভিলাক্কু। এটি আবার দিনের সময় পালন করা হয়ে থাকে।
তবে পুরুষদের মহিলা সেজে পুজো করার পিছনের কী তাৎপর্য রয়েছে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এখন যে জায়গায় মন্দির রয়েছে, সেই জায়গায় জঙ্গল ছিল। সেখানে কিছু ছেলে সেই জঙ্গলে গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই একটি পাথরকে দেবী ভেবে তার সামনে নারকেল, ফুল দিয়ে মেয়ে সেজে পুজো করত। এরপর একদিন সেই ছেলেগুলির সামনে দেবী এসে দেখা করেছিলে। আর তারপর থেকেই সেখানে মন্দির তৈরি করে পুজো করা হয়।
আরও জানা গিয়েছে, এই উৎসবে যে পুরুষ সেরা মেকআপ করেন তাঁকে পুরস্কৃতও করা হয়। ভারতীয় রেলওয়ের অফিসার অনন্ত রুপানাগুড়ি একজন পুরুষের মহিলা সাজে ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, এই পুরুষ সেরা মেকআপ করায় তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
রামনবমীর দিন ইন্দোরে (Indore) ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ৫০ ফুট কুয়োর নীচে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। মৃতের মধ্যে শিশু ও নারীরা রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ২০ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে ঘটনার, এখনও উদ্ধারকার্য চলছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বালেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল মন্দিরে (Beleshwar Mahadev Jhulelal temple) কুয়োর উপরের ছাদ ভেঙে ঘটেছিল এই দুর্ঘটনা।
ইন্দোর ডিভিশনের কমিশনার পবন শর্মা জানিয়েছেন, ৩৫ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও ২ জন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে এখনও অবধি একজন নিখোঁজ। মোট ১৪০ জন উদ্ধারকার্যে নেমেছেন, তার মধ্যে ৭৫ জন রয়েছেন সেনা জওয়ান। ইন্দোরের কালেক্টর ইলায়ারাজা টি জানান, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর সেনা, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ যৌথভাবে উদ্ধারকাজে নামে।
এই ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি ট্যুইটে লিখেছেন, 'নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটে লিখেছেন, 'ইন্দোরের এই ঘটনায় আমি খুবই দুঃখিত। আমি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের সঙ্গে কথা বলেছি।'
Extremely pained by the mishap in Indore. Spoke to CM @ChouhanShivraj Ji and took an update on the situation. The State Government is spearheading rescue and relief work at a quick pace. My prayers with all those affected and their families.
— Narendra Modi (@narendramodi) March 30, 2023
ইন্দোরের মন্দিরের দুর্ঘটনাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এছাড়াও নিহতের পরিবারদের ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান।
মন্দিরে চুরির (Theft) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসন্তীর (South 24 Parganas) চুনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাপিতপাড়া এলাকার ঘটনা। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থও হয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে নাপিতপাড়ার শনি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে মন্দিরের পুরোহিত ও স্থানীয় লোকজন এসে দেখে মন্দিরের তালা, ভাঙা অবস্থায় পড়ে। এমনকি বিগ্রহের গয়না ও প্রণামী বাক্সে রাখা নগদ ৭ হাজার টাকাও চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থ স্থানীয়রা। তবে কাউকে গ্রেফতার না করতে পারায় সোমবার সকালে স্থানীয়রা নাপিতপাড়ার কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
তবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাও বলেন। পুলিস দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) কাছে একটি শপিং মলে ভয়াবহ আগুন (Fire Incident)। বুধবার সন্ধ্যায় লাগা আগুন ১২ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের বিশাল বাহিনী। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই প্রায় ৪০টিরও বেশি দোকান। আগুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। পর্যটকদের (Puri Tourist) দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজার সংলগ্ন হোটেলগুলির মধ্যে থাকা মানুষজনকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্দির চত্বর সংলগ্ন গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে চলেছে আগুন নেভানোর কাজ।
#ଅସୁସ୍ଥ_ଅଗ୍ନିଶମ_କର୍ମଚାରୀ
— Kanak News (@kanak_news) March 8, 2023
ପ୍ରବଳ ଧୂଆଁରେ ଅଣନିଶ୍ୱାସୀ ଅଗ୍ନିଶମ କର୍ମଚାରୀ । ୨ ଜଣ ଅସୁସ୍ଥ ହୋଇଥିବା ସୂଚନା । #Fire #Puri #Odisha pic.twitter.com/5Ef5V9lmYs
ওড়িশার স্থানীয় সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ প্রথম আগুন লেগেছিল গ্র্যান্ড রোডের মারিচীকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামা কাপড়ের দোকানে। সেখান থেকই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজার চত্বরের গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি বাজারের পাশের বেশ কয়েকটি হোটেলও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।
আগুন লাগার সময় পুরী মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বহু পর্যটক। আগুনের খবর ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রশাসন যথাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
দমকল বাহিনী জানিয়েছে, যে সময় আগুন লাগে, সে সময় পুরীর মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে হাজির ছিলেন বহু পর্যটক। তবে ওই বাজার চত্বর থেকে সমস্ত পর্যটককেই উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁরা আরও জানায়, ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। দমকলের মুখপত্র জানান, ‘আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। তবে আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভবে।’
ইঁদুরের উৎপাতে ত্রস্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple Puri)। যত দিন যাচ্ছে, বাড়ছে মূষিকের (Rodent Animal) উৎপাত। রীতিমতো নাকি তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। কখনও বিগ্রহের পোশাক কেটে, কখনও আবার পুজোর সময় উৎপাত করে পুরোহিতদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ইঁদুর। কোভিড অতিমারি (Corona Pandemic) এবং লকডাউনের সময় থেকে পুরীর মন্দিরে এই উৎপাত শুরু বলে দাবি সেবায়েতদের। লকডাউনের সময় দীর্ঘ সময় মন্দির বন্ধ ছিল। সেই সুযোগে বংশবিস্তার করেছে মূষিক বাহিনী। তারপর অতিমারি কাটলেও ইঁদুর তাড়ানো যায়নি মন্দির থেকে। বরং প্রভু জগন্নাথের ডেরায় তাদের দাপট বাড়ছে।
ইঁদুরের দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্দিরের পুরোহিতরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ কাঠের তৈরি। ইঁদুর যদি তা-ও কেটে ফেলে, তাহলে বিপদ বাড়বে। সেবায়েতরা জানান, বিগ্রহের পোশাক কেটে ফেলছে ইঁদুর। গর্ভগৃহে পুজোর সময়েও তারা নানা উৎপাত করছে। অবিলম্বে ইঁদুরের এই তাণ্ডব বন্ধ করা দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় এক সেবায়েত বলেন, 'আমরা ইঁদুরগুলিকে ধরে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছি। শুধু ইঁদুর নয়, মন্দিরে রয়েছে বিছেও। তাদেরও তাড়ানোর চেষ্টা চলছে।' মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত ফুল খেয়ে ফেলছে ইঁদুর। বিগ্রহের পোশাকও কাটছে ফেলছে। কিন্তু মন্দিরের মধ্যে প্রাণীহত্যা নিষিদ্ধ। তাই ইঁদুরের বিষ দেওয়া যাচ্ছে না। ইঁদুর ধরে ধরে মন্দিরের বাইরে ফেলে আসছেন কর্মীরা।'
বসিরহাটের (Basirhat Theft) স্বরূপনগর থানার হঠাৎগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পঞ্চানন তলায় মন্দিরের তালা ভেঙে চুরি (Theft in Temple)। শতাব্দী প্রাচীন শ্রীশ্রী বাবা পঞ্চানন মন্দিরের দরজা ভেঙে ঠাকুরের সোনার পৈতে ও রুপোর (Ornaments) মুকুট-সহ বিগ্রহের একাধিক গয়না লুট। পাশাপাশি প্রণামি বাক্সের নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে নামকীর্তন করতে আসা ভক্তরা দেখতে পান মন্দিরের মূল গেট ভাঙা।
ঠাকুরের গায়ের গয়না এবং প্রণামি বাক্সে থাকা নগদ অর্থ-সহ সোনা ও রুপো সব উধাও। জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সামগ্রি নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, পাশেই বাংলাদেশ সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা আসতে পারে।
ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মন্দিরের সেবায়েতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব তাঁরা।
রাতের অন্ধকারে শহরের তিনটি কালী মন্দিরে (Kali Temple) দুঃসাহসিক চুরি (theft)। খোয়া গেল আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার গয়না। ঘটনাটি ঘটেছে কালী-কার্তিকের শহর হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়া (Bankura) জেলার প্রাচীন পুরশহর সোনামুখীতে।
কালী পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা সোনামুখী পুরশহর মেতে উঠেছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনামুখী পুরশহরের তিনটি জায়গায় তিনটি কালীমন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিনটি মন্দির মিলিয়ে খোয়া গিয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার গয়না।
জানা গিয়েছে, সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চামুণ্ডা কালীতলা এলাকায় চ্যাটার্জি পরিবারের চামুন্ডা কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় চৌধুরী পরিবারের ৫০০ বছরের কালী মন্দিরে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। এছাড়া নয় নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণবাজার এলাকায় বারোয়ারি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানেও আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাতের অন্ধকারে শহরের তিন জায়গায় পরপর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখার্জি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সন্তোষ মুখার্জী জানান, চুরিটা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। তবে এর পিছনে একটি রেকেট কাজ করছে বলেও তিনি মনে করেন।
মন্দিরে প্রণামী বক্সে টাকা বা পয়সা সকলে দান করে থাকেন। কিন্তু কেউ ভগবানের কাছে চিঠি দিচ্ছেন, এরকম ঘটনা আগে শোনা যায়নি। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) সম্বলপুরের সমলেশ্বরী মন্দিরে (Temple)।
নিয়ম মেনে প্রতি সোমবার খোলা হয় মন্দিরের প্রণামী বক্স। আর বক্স খুলতেই মন্দিরের কর্মকর্তাদের চোখে পড়ল একটি চিঠি (Letter)। যেখানে লেখা ছিল, তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে যেন তাঁর বিয়ে হয়। চিঠি পড়ে বোঝা গিয়েছে এটি কোনও মহিলার লেখা। সে তাঁর পুরুষসঙ্গীকে জীবনসঙ্গী বানাতে চান।
স্থানীয় ভাষায় প্রণামী বাক্সকে বলে ‘হুন্ডি’। সেই বাক্সের ভিতরে পাওয়া চিঠিটিতে লেখা ছিল, “মা, দয়া করে আমার প্রার্থনা পূরণ করে দাও। অনেক আশা নিয়ে তোমার কাছে এসেছি। রবীন্দ্র আমার জন্ম-জন্মান্তরের ভালবাসা। ওঁর সঙ্গেই যেন আমার বিয়ে হয়। আশীর্বাদ করো যেন সবাই সেই বিয়ে মেনে নেয়।”
যদিও মন্দিরের ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় বাবু বলেন, 'এটি বিরল কোনও ঘটনা নয়। এরকম চিঠি প্রায়শই তাঁরা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি মন্দিরের হুন্ডিতে আরও দু’টি চিঠি পাওয়া যায়। একটি বাংলা ও অন্যটি তামিলে লেখা ছিল। একটিতে লেখা ছিল, যেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কন্যা চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেন। অন্যটিতে লেখা ছিল, যেন সন্তান ডাক্তারি প্রবেশিকা উতরে যায়। ভক্তরা চিঠির মাধ্যমে ভগবানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান বলেই মত তাঁর।'
অর্থনীতিবিদ (Economist) এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ (Anita Bose Pfaff) ফের নেতাজির "শেষ চিহ্নটুকু" জাপান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ভারত (India) এবং জাপান (Japan) উভয়েই তাঁর দাবিতে (demand) ঢিলেমি করেছে। নেতাজিকন্যা (daughter of Netaji) বলেন, নেতাজি দেশ স্বাধীন হয়েছে দেখে যেতে পারেননি। তাই তাঁর শেষ চিহ্নটুকু ভারতে ফিরিয়ে আনলে তিনি পরিতৃপ্ত হবেন। এক সংবাদসংস্থা সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
তাঁর দাবি, টোকিওর রেনকোজির মন্দিরে যে চিতাভস্ম রাখা আছে, ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার মাধ্যমে তা নেতাজিরই কি না, জানা সম্ভব। সেই তথ্যও সকলের সামনে আনার আবেদন জানিয়েছেন অনিতা বসু পাফ।
উল্লেখ্য, আজও নেতাজিকে নিয়ে রহস্য উদঘাটিত হয়নি। নেতাজিকন্যা একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "নেতাজির একমাত্র কন্যা হিসেবে আমি তাঁর একান্ত ইচ্ছের কথা জনসমক্ষে জানালাম। তিনি চাইতেন, স্বাধীন দেশে ফিরতে। সেটা আর সম্ভব নয়, তাই অন্তত তাঁর শেষ চিহ্নটুকু ফিরিয়ে আনা হোক। যাতে নিজের দেশে উপযুক্ত সম্মানটুকু তাঁকে দেশবাসী দিতে পারে।"
বিবৃতির সবশেষে অনিতা লিখছেন, "প্রত্যেক ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশবাসী, যাঁরা আজ স্বাধীনতার সঙ্গে বাঁচতে পারছেন, তাঁরা সবাই নেতাজির পরিবার। আমি আমার সমস্ত ভাই, বোনেদের অভিনন্দন জানাই। এবং তাঁদের কাছে আবেদন করতে চাই, তাঁরা যেন নেতাজিকে ঘরে ফেরাতে আমার উদ্যোগকে সমর্থন জানান।"
নেতাজির অন্তর্ধান-রহস্য উদঘাটনের তদন্তে কমিশন গঠিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও রহস্য আজও অধরা। কিন্তু তিনি আছেন, থাকবেন বাঙালির মননে, আত্মচেতনায়। স্বাধীন দেশের নাগরিকও জানতে চায়, এই মহান মানুষের অন্তর্ধান রহস্য।