Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

scam

TET: 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন কোনও প্রভাবশালীর নাম এসেছে?', সিবিআইকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

২০১৬ প্রাথমিক টেট (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনের চাকরি বরখাস্ত হয় ৩০ জুন। তাঁদের শুক্রবার মামলায় যুক্ত করা হল। ২৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হবে। এদিন বিচারপতি (Justice Ganguly) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, 'নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৬ জন ছাড়া আর কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ কি পাওয়া গিয়েছে? এটা খুব বড় অপরাধ। তদন্তের অভিমুখ কি আর কোনও বড় ব্যক্তির দিকে যাচ্ছে? যদি কাউকে পাওয়া যায়, তাহলে সিবিআই তাঁদের জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদে যথাযথ পদক্ষেপ করবে। যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা কি তদন্তে সহযোগিতা করছে, কারও নাম বলছে? মিডলম্যানদের নাম বলছে?'

এই প্রশ্নের পরেই বিচারপতির মন্তব্য, 'এই মামলায় আগামীতে যাতে ধৃতরা কেউ জামিন না পায় ভবিষ্যতে এমন নির্দেশ দিতে পারে হাইকোর্ট। নিউ কথামৃত বলছে, যেটা ঠিক সেটা ঠিক, যেটা ভুল সেটা ভুল। আরও নতুন কিছু এমন বাণীর বানীর জন্য আমি অপেক্ষা করছি। তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেল ৪টে- সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যাদের চাকরি গিয়েছে, সেই ২৬৯ জনের ট্রায়াল কোর্টের মতো শুনানি চলবে। ঠিক যেমনটা অতীতে হয়েছে। দ্রুত এই মামলা শেষ করতে চাই।'

পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবীর মন্তব্য, 'কালো টাকা সাদা করতে এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। হোয়াইট কলার ক্রাইম, টাকা পাচারের জন্য রোজ নতুন তথ্য আসছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে এজেন্সি তদন্ত চালাচ্ছে। কিছু নাম এসেছে যেগুলো জনসমক্ষে বলা যাবে না। তদন্তকারী সংস্থার থেকে সেই নামের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে আদালতকে বলতে পারি।'

এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বার্তা, 'সিবিআইয়ের কাজে কোর্টের নজর রয়েছে। কারও অঙ্গুলিহেলনে যাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা না চলে।' 

one year ago
Partha: 'আমি দলের সঙ্গেই আছি, সবাই ভালো থাকুন', কোর্ট থেকে বেড়িয়ে মন্তব্য পার্থর

সোমবার কোর্ট নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত থেকে বেড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে জানান, আমি দলের সঙ্গেই আছি। সবাই ভালো থাকুন। যদিও এদিন সকালে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একপ্রস্থ মেজাজ হারান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এদিন শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, এসএসসি (SSC Scam) নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ৬ জনকে হাজির করানো হয়েছিল আদালতে (Court)। এজলাসে ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রসন্ন রায়-সহ অন্যরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে পার্থ-সহ ৭ জনের।


তিনি সওয়াল করেন, 'আমি জামিনের আবেদন করছি। চার্জশিট ফাইল হয়েছে, আমি এখনও হেফাজতে। পাঁচ জনের একটা কমিটি ছিল, যারা কিছু রহস্যজনক কাজ করেছে। আমি ওই কমিটির কেউ ছিলাম না, মন্ত্রী ছিলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারও করতে পারে, আবার নাও পারে।' তিনি জানান, অন্য আরও একটি তদন্তকারী সংস্থা আমায় গ্রেপ্তার করল। আমি বিধায়ক, তদন্তকারী সংস্থা জন প্রতিনিধিত্ব আইন মানলো না। গ্রেফতারির পর চার্জশিট তৈরি হলো।একটা চার্জশিটে নাম নেই, অন্যটায় নাম আছে। আমাকে বহুবার সিবিআই ডেকেছে, আমি তাদের তদন্তে সহযোগিতা করেছি।

তাঁর আবেদন, 'আমায় জামিন না দিলে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। আমার বাইরে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। দরকার হলে আমার পাসপোর্ট জমা রাখুক।' এই প্রসঙ্গে এদিন বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করে, তদন্ত শেষ হতে কতদিন? অনন্তকাল লেগে যাবে মনে হচ্ছে।' পাল্টা কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, 'আরও ৫-৬ মাস লাগবে। ধৃত প্রত্যেকে ক্ষমতাশালী, ওরা জামিন পেলে প্রমাণ লোপাট হবে। প্রচুর প্রমাণ ছড়ানো আছে এখনও। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে প্রচুর তথ্য আছে। আরও তথ্য সংগ্রহ করা বাকি।'

সিবিআইয়ের অভিযোগ, 'পরিকল্পনামাফিক অপরাধ করা হয়েছে। অভিযুক্তর সংখ্যা অনেক, বেআইনি নিয়োগে সংখ্যা বাড়তে পারে। প্রচুর ছেলেমেয়ের জীবনে বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। ৩৫০ জন এমন চাকরি প্রার্থীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকে হাইকোর্টের আবেদনকারী।'


এদিন কোর্ট নির্দেশে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থ-সহ নিয়োগ মামলায় ধৃত ৭ জনকে কোর্টে আনা হয়। শুক্রবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ভার্চুয়ালি কোর্টে হাজির করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক আবেদন করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় কোর্ট কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল।

2 years ago
Protest: সল্টলেকে বাম ছাত্র-যুব, মধ্য কলকাতায় বিজেপির জোড়া বিক্ষোভ! ধস্তাধস্তি, আটক

বৃহস্পতিবার রাতেই সুর চড়িয়েছিল বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। সেই সুরেই শুক্রবার বেলা বাড়তেই বিরোধীদের বিক্ষোভে (Left and BJP) সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে অবরুদ্ধ কলকাতা এবং সল্টলেক (Kolkata and Saltlake)। বৃহস্পতিবার রাতে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের (TET 2014) জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে এদিন সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করেছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই (SFI-DYFI)। দুই সংগঠনের নেতা মীনাক্ষ্মী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্ত, প্রতিকুর রহমানরা ছিলেন প্রথম সারিতে। কিন্তু মিছিল শুরু আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিস। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন বাম ছাত্র-যুবরা। কিন্তু ১৪৪ ধারা বলবতের কারণ দেখিয়ে সেই জমায়েত সরাতে গেলেই বাঁধে ধুন্ধুমার।


পুলিসের সঙ্গে ছাত্র-যুবদের হাতাহাতিতে অনেকের জামা ছিঁড়ে যায়। পরে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে সরানো হয় অবস্থানস্থল থেকে। ঠিক কতটা অঞ্চল এবং কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি? সেই প্রশ্ন এক পুলিসকর্তাকে করা হলে কোনও উত্তর দিতে চায়নি।  দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি সামলাতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় র‍্যাফ। মিনাক্ষ্মী, কলতান-সহ একাধিক বাম ছাত্র-যুব নেতৃত্বকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় করুণাময়ীতে। যদিও পুলিসের এই ধরপাকড়কে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ ভয় পাচ্ছে বাংলার আন্দোলনকে।’’


পাশাপাশি শুক্রবার দুপুর গড়াতেই পথে নামে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মুরলিধর সেন লেন থেকে মিছিল শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেই মিছিল ধর্মতলার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিস। রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ইন্দ্রনীল খাঁ-রা। কয়েক জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়ে। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র যানজট দেখা গিয়েছিল মধ্য কলকাতায়।

2 years ago


Education: বেআইনি নিয়োগ খুঁজতে ১৮ তারিখ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক, চাকরি খোয়াতে পারেন তালিকাভুক্তরা

স্কুলে (Recruitment Scam) বেআইনি নিয়োগ খুঁজতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বসছে চলতি মাসের ১৮ তারিখ। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC), পর্ষদ ও মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীদের মধ্যে এই বৈঠক। নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যোগ্যতমদের টপকে যারা চাকরি পেয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে এই বৈঠক। চিহ্নিতদের চাকরি বাতিলের জোরালো সম্ভাবনা। তাই এই বৈঠকের তাৎপর্য রয়েছে। এমনটাই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক।

তার আগে ১৭ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামীমের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা। এদিকে সপ্তাহ দুয়েক বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া স্কুল শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছে হাইকোর্ট। সিবিআই আদালতে দাবি করেছে এসএসশি নিয়োগে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে। রীতিমতো তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে তারা এই অভিযোগ তুলেছে।

কেন্দ্রীয় সংস্থা সে সময় অভিযোগ করেছিল, অনেকে প্রশ্নের উত্তর না দিয়েও নম্বর পেয়েছেন। একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগে ৯০৭ জনের নম্বরে হেরফের ঘটানো হয়েছে।' সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছেন সাদা ওএমআর শিট জমা করেও অনেকে নম্বর পেয়েছেন।

2 years ago
Manik: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা! ইডি হেফাজতেই মানিক, ১০ বছরে ৫৮ হাজার নিয়োগ তদন্তকারীদের র‍্যাডারে

এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতেই (ED) থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (supreme Court) তাঁর আবেদনে কোনও সাড়া দেয়নি। তাই আপাতত এই সপ্তাহ পর্যন্ত রেহাই নেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতির। আগামী সোমবার মানিকের আবেদন শুনবে শীর্ষ আদালত। এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ। মূলত রক্ষাকবচ থাকা সত্বেও কেন তাঁকে গ্রেফতার? এই আবেদন করে শীর্ষ আদালতে দরবার করেন তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ক।

এদিকে, সোমবার মধ্যরাতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার প্রাথমিক বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে একাধিকবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিয়ে এসেছেন রক্ষাকবচ। তারপরেও ইডির হাতে তাঁর গ্রেফতারি। ইতিমধ্যে মানিকের ফোন ঘেঁটে একাধিক সূত্র পেয়েছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি, তাতেও নাম রয়েছে মানিকের। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় এই সংস্থার নজরে ছিলেন মানিক। 

অপরদিকে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে মানিক। তাই প্রথম দিন থেকেই তাঁকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও বুধবারও ইডিকে তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি। বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাবে চুপ থেকেছেন তিনি। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। এযাবৎকাল তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, দশ বছর বেশি সময় মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর আমলে টাকার বিনিময় প্রচুর চাকরি হয়েছে। ৫৮ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্থ তছরূপের কিংপিন হিসেবে মানিক ভট্টাচার্যকে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।

2 years ago


ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ

নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সোমবার দুপুর থেকে ১০ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরেই তোলা হবে আদালতে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১টার কিছু পর মানিক ভট্টাচার্যকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে অসহযোগিতার জেরে এই গ্রেফতারি।

সোমবার থেকে চলা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষাকর্তা। এমনটাই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ইডি সূত্র জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্য প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের সভাপতি থাকাকালীন ৩ বার নিয়োগ হয়েছিল। 

১) ২০১৩-য় পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ শেষ হয়েছে ২০১৪-তে। তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু

২) ২০১৪-তে নোটিফিকেশন করে ২০১৫-য় পরীক্ষা নিয়ে ২০১৬-তে ফল প্রকাশের পর ২০১৭-তে নিয়োগ শুরু পর ২০১৮ পর্যন্ত চলেছে। সে মুহূর্তে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

৩) ২০২১ সালে নোটিফিকেশন করে ২০২১ সালের মার্চে প্রথম দিকে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে জুন থেকে সেপ্টেম্বর আবার নিয়োগ। তখন থেকে শিক্ষামন্ত্রী রয়েছেন ব্রাত্য বসু

 ৪) এই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সুতরাং তার দায় কি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এড়াতে পারেন? এই প্রশ্নগুলো ওঠা শুরু হয়েছে।

এদিকে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর যে চার্জশিট জমা করা হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট করে লেখা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার কথোপকথন হয়েছে। একাধিক তথ্য-প্রমাণ সামনে রেখে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যোগাযোগ মানিক ভট্টাচার্য বলে মনে করছে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

2 years ago
Jail: 'জেল খাবারের গুণগত মান ভাল করুন', আবেদন পার্থর, প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত গারদে

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত জেলেই কাটাবেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শুধু পার্থবাবু নয়, এই দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত হিসেবে আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ অন্য ধৃতদের। ৫ অক্টোবর ভার্চুয়ালি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে হাজিরা করা হয়েছিল। সেই শুনানিতে জামিনের আবেদন (Bail Plea) করেনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী।

বরং তাঁর মক্কেলের জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং জেলের খাবারের গুণগত মান ভালো করার আবেদন কোর্টকে করেন আইনজীবী। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যর ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গত মাসে ম্যারাথন জেরার পর বৃহস্পতিবার ফের তাঁর ডাক পড়ে। ইডি সূত্রে খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর জেরা করে এবং সব সম্পত্তির উৎস খতিয়ে দেখে নাম উঠে এসেছিল কল্যাণময় ভট্টাচার্যের। মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে ও জামাইয়ের নামে পিংলায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তির উৎস জানতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামাইকে বিভিন্ন নথি নিয়ে ডেকে পাঠানো হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইডি দফতরে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।

2 years ago
Sarkar: নিয়োগ দুর্নীতি 'চিটিংবাজি', বাংলাকে নষ্ট করেছে চোর-ছ্যাচড়ের দল: পিসি সরকার জুনিয়র

রাজ্যের সাম্প্রতিক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক জাদুকর পিসি সরকার জুনিয়র। সিএন-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই দুর্নীতিকে 'চিটিংবাজি' আখ্যা দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতিতে যারা জড়িত, তাঁদের ভ্যানিশ করে দিতে চান জাদুকর। এদিন সিএন-কে পিসি সরকার জুনিয়র বলেন,'বাঙালির বীরগাঁথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলাকে নষ্ট করে দিয়েছে চোর-ছ্যাচরের দল। বাংলার এখন দুর্বুদ্ধির তারিফ চলছে। টাকার পাহাড় মানে বাঙালি। একটা বউ থাকতে ওহ লাভলি অনেকগুলো বউ মানেও বাঙালি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন নষ্ট করা হচ্ছে। মেধাবী বাঙালিকে পথে বসিয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতার হওয়া বাংলার লজ্জা। অযোগ্যদের চাকরি দিয়ে বাংলা শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে।'

তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে ভাল। তাঁর সঙ্গে থাকা মানুষরা কেউ ভালো নয়। তাঁর ডান হাত, বাঁ হাত, সৈন্যবাহিনী চোর, ডাকাত, বেইমান। তাই ভালো কিছু করার উদ্দেশ্য থাকলেও, করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতক্ষণ না এই হাতগুলো কাটা পড়বে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো কিছু করতে পারবে না। তবে আমার পছন্দের মানুষ নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে দেখে ২০১৪ সালে বিজেপির হয়ে ভোট লড়েছিলাম।'

পিসি সরকার জুনিয়রের বিস্ফোরক অভিযোগ, 'জাদুকর হিসেবে সারা বিশ্বে বাংলার সম্মানকে তুলে ধরলেও, বর্তমানে বাংলাতে সম্মান পাই না। বাংলায় আমাকে শো করতে দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলায় আমি আর কোন শো করতে পারিনি। নরেন্দ্র মোদীকে পছন্দ করি বলেই হয়তো আমাকে আর বাংলায় শো করতে দেয় না তৃণমূল সরকার। তাই বিদেশে এখন শো করছি।'

2 years ago


APA: 'হাজার হাজার ছেলেমেয়ে কাঁদছে', জামিন মামলায় মন্তব্য ইডির, গোটা অক্টোবর জেলেই পার্থ-অর্পিতা

ফের খারিজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জামিনের (Bail Plea) আর্জি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই দু'জনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন ভার্চুয়ালি নিয়োগ-কাণ্ডে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার পার্থ-অর্পিতাকে আদালতে পেশ করা হয়। পার্থর আইনজীবী বয়সের দোহাই দিয়ে জামিনের আবেদন করলেও, এই বিষয়ে নীরব ছিলেন অর্পিতার আইনজীবী। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী জানান, এতদিন হেফাজতে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কতবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে? পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তের সবক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। তারপরেও জামিনে বাধা কোথায়?

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী বলেন, চার্জশিট জমা পড়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তৈরি বাগ কমিটির রিপোর্টে নাম ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পরে টাকা উদ্ধার হল, সেখানেও নাম উঠল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু কোথাও উপযুক্ত প্রমাণ নেই।' তিনি জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা, মেডিক্যাল সাপোর্ট পাচ্ছেন না। ৬৫ দিন ধরে জেলে রয়েছেন।

এই যুক্তির পাল্টা ইডির আইনজীবী জানান, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আর্থিক তছরূপের পরিমাণ ১০০ কোটি ছাড়িয়ে দেড়শো কোটিতে পৌঁছেছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে কাঁদছে। বাবলি চ্যাটার্জি ফাউন্ডেশনের খোঁজ মিলেছে। ওই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই যুক্ত। ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছেন। পাটুলিতে ১৮ একর জমির খোঁজ মিলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের নাম আছে। আরও দু'টো কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একক এবং যৌথভাবে ১০০-র উপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি।

এদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, আমি আজ জামিনের আবেদন করছি না। আদালতের উপর ভরসা রাখছি। তবে আমি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতের বিরোধিতা করছি। বিচারক পাল্টা বলেন, 'হেফাজতের বিরোধিতা করতে হলে লিখিত আবেদন করতে হবে। অর্পিতার আইনজীবী এদিন বলেন, 'আমার মক্কেল মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। জেলারকে বলা হলেও কোনও উত্তর আসেনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মা বৃদ্ধা। জেলের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথা বলতে চান আমার মক্কেল।'

2 years ago
CBI: নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলে সুবীরেশ, 'আদালতে আসতে এত দেরি?' ভর্ৎসনা কোর্টের

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ((SSC recruitment scam) ধৃত সুবীরেশ ভট্টাচার্যর ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজত (Jail Custody)। তাঁর সিবিআই (CBI) হেফাজতের আর্জি খারিজ করেছে আদালত। উলটে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সোমবার আদালতের (COurt Order) ভর্ৎসনা মুখে পড়তে হয়েছে। এদিন বিচারক সিবিআইয়ের আইওকে প্রশ্ন করেন, 'সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আদালতে আনতে এত দেরি কেন? নিজাম প্যালেস থেকে হেঁটে আসলেও এরকম হয় না।' সিবিআইয়ের আইনজীবীর জবাব, 'রাস্তায় ট্র্যাফিক  জ্যাম ছিল।'

তিনি জানান,এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তে কোনও সহযোগিতা করেনি। তাঁকে জেরায় অদ্ভুত উত্তর মিলছে। দুর্নীতিকাণ্ডে কে কে জড়িত,কে নিয়োগের নির্দেশ দিত? এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না তিনি। সেই কারণে আরও একবার সিবিআই হেফাজতের দাবি করছি। এই সওয়ালের পাল্টা আদালতের প্রশ্ন, '৬ দিন পেয়েছিলেন, কী করলেন এতদিন? এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কতজন গ্রেফতার?

সিবিআইয়ের জবাব, ৪ জন গ্রেফতার, তাঁদের মধ্যে এক পুলিস হেফাজতে রয়েছেন। বাকিরা রয়েছেন জেল হেফাজতে। এরপরেই সিবিআই হেফাজতের আবেদন খারিজ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত।

এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে একসপ্তাহ আগে গ্রেফতার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশবাবুকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ছ'জনকে গ্রেফতার করলো এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসন্ন সাহা-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডির হাত ঘুরে সম্প্রতি সিবিআই হেফাজতে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এবার গ্রেফতার হলেন আরও এক শিক্ষাকর্তা তথা এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই প্রথম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি। তথ্য গোপন করছিলেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকে অন্যদিকে পরিচালনার চেষ্টা করেছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে গত মাসে তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট সিল করে দিয়ে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সস্ত্রীক উত্তরবঙ্গ থেকে এসে ফ্ল্যাটের ছাদে কাটাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

2 years ago


Partha: পার্থর জামাইকে এবার ইডির তলব, আমেরিকা থেকে ফিরেই সিজিও কমপ্লেক্সে কল্যাণময়

সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) ম্যারাথন জেরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। পিংলার বিলাসবহুল স্কুলের অর্থের উৎস কী? জানতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলছে জেরা। শনিবার আমেরিকা থেকে কলকাতা ফিরেই সোমবার দুপুরে ইডি (ED) ডাকে সাড়া দিতে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন কল্যাণময় বাবু। তারপর থেকেই চলছে জেরা। ইতিমধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে (Son in Law) দু'বার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা।

কিন্তু কোনও তলবেই সাড়া না দেওয়ায় সাত দিন আগে ইডি তাঁকে তৃতীয়বার সশরীরে হাজিরার নোটিস পাঠায়। সেই নোটিস পেয়েই শনিবার কলকাতায় পৌঁছন তিনি। এরপরেই এদিন দুপুর দু'টো নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে যান কল্যাণময় বাবু।

ইডি সূত্রে খবর, কল্যাণময় ভট্টাচার্য্য একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর। সেই সব কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান এই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইকে। পাশাপাশি তাঁর বয়ান নথিবদ্ধ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির পরে একাধিক তথ্য তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে। বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে তাকে ২৩ অগাস্ট তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল পয়লা সেপ্টেম্বর আসার জন্য। সেই তলবে গরহাজির থাকায় ২রা সেপ্টেম্বর আবার নোটিস পাঠানো হয়। তখনও তিনি গরহাজির ছিলেন। তৃতীয়বার নোটিসে অবশেষে সাড়া দিলেন তিনি। 

2 years ago
Dharmendra: 'নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও জবাব পায়নি', কলকাতায় মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর

বাংলায় চলা শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ব্যবস্থা নিতে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata) চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এখনও সেই চিঠির কোনও জবাব পেলাম না। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Education Minister)। খড়গপুর আইআইটির অনুষ্ঠানে যোগদানের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন সকাল শহরে পা রেখেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী।

তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বাংলায় এতকিছু হয়ে গেল। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে, বড় কর্তা, মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার এখনও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে। আর কত সময় লাগবে তরুণদের ন্যায় পেতে? এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম গত অগাস্ট মাসে। কিন্তু এখনও জবাব পাইনি।

তাঁর মন্তব্য, 'এই দুর্নীতি-কাণ্ডে মন্ত্রী, উপাছারজ-সহ সবাই জড়িত। এই দুর্নীতি-কাণ্ড মানুষের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারকে সরানোই লক্ষ্য।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'বাংলায় নানা খাতে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়েও দুর্নীতি হয়, সরকার আর পার্টি এক হয়ে যায়। এমনকি, সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকাতেও নয়ছয় লক্ষ্য করা গিয়েছে।'

যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা এই দাবি করে কুণাল ঘোষের প্রস্তাব, 'ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে বিদ্ধ মধ্যপ্রদেশ কিংবা সরকারি সিদ্ধান্তে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া ত্রিপুরায় গিয়ে এসব বলুন। ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে যেখানে ইন্যম করেছে সেখানে যান।  বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনেক উন্নতি করেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান সত্যের অপলাপ করেছেন।' কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'অযোগ্য বঙ্গ বিজেপির নেতারা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য দিয়ে ভুল বলান। ধর্মেন্দ্র প্রধানজি ভালো করে খোঁজ নিক।

2 years ago
Subiresh: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (recruitment scam) এবার গ্রেফতার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশবাবুকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। এই নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মোট ছ'জনকে গ্রেফতার করলো এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসন্ন সাহা-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডির হাত ঘুরে সম্প্রতি সিবিআই হেফাজতে এসেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Parth Chatterjee)।

এবার গ্রেফতার হলেন আরও এক শিক্ষাকর্তা তথা এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই প্রথম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি। তথ্য গোপন করছিলেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে তদন্তকে অন্যদিকে পরিচালনার চেষ্টা করেছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে গত মাসে তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট সিল করে দিয়ে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সস্ত্রীক উত্তরবঙ্গ থেকে এসে ফ্ল্যাটের ছাদে কাটাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে আসতেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়-সহ তাঁর একাধিক জায়গায় দফায় দফায় চলে সিবিআই তল্লাশি। যদিও কলকাতায় সংবাদ মাধ্যমকে সুবীরেশবাবু জানিয়েছিলেন তাঁর আমলে নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

2 years ago


SSC: 'আমার দায় নেই, দফতর কর্তাদের বিশ্বাস করতাম', নিয়োগ-কাণ্ডে সিবিআইকে জানালেন পার্থ

সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) থাকা পার্থ  চট্টোপাধ্যায়কে (Parth Chatterjee) ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সেখানে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এবং নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Scam) দায় এড়ান তিনি। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। সিবিআই জেরায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্রের খবর তিনি জানান, শিক্ষা দফতর (Eductaion Scam) থেকে যে ফাইল আসতো শুধুমাত্র সেই ফাইলে সই করতাম। তাই দফতরের করা কোনও দুর্নীতির দায়ভার নিতে তিনি রাজি নয়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই স্বীকারোক্তির পরেই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। প্রয়োজনে প্রাক্তন মন্ত্রীর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।

এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতারের প্রায় ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেবে ইডি। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি এবং অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হতে পারে।  সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চার্জশিট জমা দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ইতিমধ্যে ২২ জুলাই দিনভর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই তদন্তে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ-সহ সোনার গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা। গত প্রায় দু'মাস তদন্ত চালিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। কয়েক কোটি টাকার এলআইসি পেপার বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় এই সম্পত্তি কিনা খতিয়ে দেখেই চার্জশিট জমা ইডির।

2 years ago
Custody: 'শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান', জামিনের আকুতি খারিজ, সিবিআই হেফাজতে পার্থ

অনুনয়-বিনয় সার। নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একইভাবে ধৃত প্রাক্তন পর্ষদকর্তা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়েরও ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত (CBI Custody)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদন এবং সওয়ালকে প্রাধান্য দিয়েই এই নির্দেশ আলিপুর আদালতের বিশেষ সিবিআই কোর্টের। যদিও এদিনও জামিনের পক্ষে নিজেই সওয়াল করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

রীতিমতো কান্নায় ভেঙে তিনি আদালতকে বলেন, 'সব সওয়াল-জবাব শুনলাম। এবার একটু বলতে চাই। আমি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম। এসএসসি স্বসাশিত সংস্থা। তাদের কোনও কাজেই আমি হস্তক্ষেপ করিনি। বোর্ড পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সব দফতর করে। এখানে মন্ত্রীর কী করার? তাছাড়া আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, পিএইচডি। আমার আত্মীয় শিবদাস বন্দোপাধ্যায়। বহু বছর চাকরি করেছি। পরবর্তীকালে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। আমাকে ষাট দিন একটা সংস্থা হেফাজতে রাখল। এখন একটা সংস্থা হেফাজতে চাইছে। আমি ক্লান্ত,অসুস্থ, প্রচুর ওষুধ খেতে হয়। যেকোনও শর্তে আমাকে জামিন দিন। আমি বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল। আপনার কাছে বিচারের প্রত্যাশা করি।'

এদিকে, শুক্রবার একই এজলাসে তোলা হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর হয়েও জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। তিনি জানান, কল্যাণময়বাবু একজন উচ্চবিত্ত ঘরের ব্যক্তি। একসঙ্গে একাধিক মামলা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে ১২০-বি-সহ আলাদা আলাদা মামলা। তদন্তকারী সংস্থা জানেই না কী কারণে গ্রেফতারি। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধ কোনও অভিযোগ নেই তথ্য নেই।

বিচারকের প্রশ্ন, আপনি নিয়োগপত্রে সই করেছেন? সেটাকে ষড়যন্ত্র বলা যায় কি? কল্যাণময়ের আইনজীবীর পাল্টা, 'সেটা আমি বলছি না। সিবিআই বলছে নিয়োগপত্র ভুয়ো। ভুয়ো নিয়োগপত্র যাঁদের পাওয়ার কথা ছিল, তারা পায়নি। একজন ষাট বছরের অধ্যাপককে যদি হেফাজতে চায় তাহলে বলার কিছু নেই।'

প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির আইনজীবীর দাবি, 'আমার মক্কেল কোনও নিয়োগপত্রে সই করেনি। তাঁর সই স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। তিনি সশরীরে উপস্থিত থেকে সই করেনি।' বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন, 'আপনার সই স্ক্যান কে করবে?' জবাবে কল্যাণময় বাবুর আইনজীবী জানান, আমার মক্কেলের স্ক্যান সই পর্ষদে থাকতো। তিনি পর্ষদের দারোয়ান নয়। তাই জানা নেই ওটার অপব্যাবহার হয়ছে কিনা। কল্যাণময় বাবু কোনও পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ নিতেন না। শুধু নির্দেশ দিতেন। 

অপরদিকে, এদিন আলিপুর কোর্ট থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে।  

2 years ago