বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথস্তরের সভা। দলনেত্রীর আহ্বানেই এই জমায়েত। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোনা যাচ্ছে, দলের কাছে বিশেষ বার্তা থাকবে মমতা এবং অভিষেকের তরফে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই সভা বলে খবর হলেও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ভাবনাও থাকছে এই সভায়। ২১ জুলাই বা ছাত্র সমাবেশের পরে ফের এই সভা। দলের বুথস্তরেরকর্মীদের জন্য খোলা এবং প্রকাশ্যে। উপস্থিত থাকার কথা সর্বস্তরের নেত-মন্ত্রীদের। কাজেই বলে ফেলা যায় হয়তো বা উপস্থিত থাকতে পারেন জহর সরকার কিংবা ইদানিং খানিক বেসুরো হওয়া তাপস রায়। হিসাব মতো জেলার নানা দায়িত্বে থাকা নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন তাপস রায় কি কোনও বিষয়ে হতাশ দলের উপর। তাপস দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। প্রথমে ছাত্র পরিষদের সভাপতি হয়েছিলেন। ঘোরতর সিপিএম বিরোধী চরিত্র। তাপস প্রথমে সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পরে যোগ দেন ২০০০-এ। মমতা পরের বছর তাঁকে তৎকালীন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন, তাপস জিতেও আসেন। এই ছিল আদি ইতিহাস। ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময়ে থেকে তিনি বরানগরের বিধায়ক।
তাপস সেবার মন্ত্রী হননি। ১৬-র ভোট জিতে আসার অনেকদিন বাদে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ২১-এর ভোটের পর ফের দায়িত্ব নেই তাপসের। গত বছর থেকে একবার উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি হয়েছিলেন বটে কিন্তু সম্প্রতি সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাপস আপাতত বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ (এর আগে এমন কোনও পদ ছিল না)। কাজেই তাপস হয়তো ভেবেছিলেন সাম্প্রতিক মন্ত্রিসভার পরিবর্তনে তাঁর দায়িত্ব আসতে পারে, আসেনি। এরপর থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাপস নাকি খানিক বিষন্ন। হয়তো বা সে কারণেই অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছেন। দেখার বিষয় বৃহস্পতিবার দলের বৈঠকে তাঁর ভূমিকা।
চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chit Fund Case) সিবিআই (CBI) তলব এড়ালেন বীজপুরের বিধায়ক (TMC MLA) সুবোধ অধিকারী। বুধবারও তাঁর হয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন আইনজীবী। বিধায়কের আইনজীবী প্রসেনজিৎ নাগ সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে এসে তাঁর মক্কেলের হাজিরার জন্য সময় চান। এই নিয়ে চিটফান্ড মামলায় সুবোধ অধিকারীকে দ্বিতীয়বার নোটিশ সিবিআইয়ের।
এদিকে, চিটফান্ড-কাণ্ডে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে এবার ডেকে পাঠাল সিবিআই। মঙ্গলবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁর আইনজীবী এদিন বীজপুরের বিধায়ককে প্রতিনিধিত্ব করেন। সিবিআইয়ের চাওয়া বেশ কিছু নথি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন বিধায়কের আইনজীবী।
ইতিমধ্যে বীজপুরের বিধায়কের পৈতৃক বাড়ি-সহ কাঁচরাপাড়ার একাধিক জায়গায় গত সপ্তাহে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তালিকায় ছিল সুবোধ অধিকারীর অফিস, ফ্ল্যাট এবং তাঁর ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধানের ফ্ল্যাটেও। বীজপুর, কাঁচরাপাড়ার পাশাপাশি সুবোধ অধিকারীর কলকাতার কাশীপুর, টালা পার্ক এবং দক্ষিণদাঁড়ির ফ্ল্যাটেও অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই এদিকে নথি-সহ ডেকে পাঠানো হয় সুবোধ অধিকারীকে।
অপরদিকে রাজু সাহানির বাড়ি এবং রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রচুর সম্পত্তি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে রাজুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমল অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে। সুবোধের পৈতৃক বাড়ি-সহ তাঁদের মঙ্গলদ্বীপ আবাসন ফ্ল্যাট এবং কমল অধিকারীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেও চলেছে অভিযান। পাশাপাশি হালিশহরের জেঠিয়ার সুবোধ এবং কমল অধিকারীর এক আত্মীয়র বাড়ি-সহ কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী গৌতম বিশ্বাসের বাড়িতেও সিবিআই দল গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এই রাজু সাহানির সঙ্গে তাইল্যান্ডে ব্যবসা রয়েছে সুবোধ অধিকারীর।
সেই সূত্র ধরে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সুবোধের পৈতৃক বাড়িতে দুই ভাই থাকেন না। একমাত্র ছোট ভাই থাকেন।
ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় ফের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা তিনি ছিলেন সিজিও কমপ্লেক্স। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় তাঁকে (TMC MLA Paresh Pal) দ্বিতীয়বার তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিতেই বেলেঘাটার বিধায়কের এই হাজিরা। মূলত অভিজিৎ খুনে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবার সেই অভিযোগ করেছে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার সবকটি মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
এদিন সিজিও থেকে বেড়িয়ে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, 'রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে। তবে সিবিআই যতবার ডাকবে, ততবার আসব। বেলেঘাটায় কাউন্সিলর বলুন বা বিধায়ক সব আমাদের। তাই ওরা কাউকে তো অভিযুক্ত করবেই।' মঙ্গলবার পরেশ পালকে অভিজিতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।'
যদিও পরেশ পালের গ্রেফতারির দাবিতে সরব অভিজিৎ সরকারের দাদা। তাঁর দাবি, 'এই খুনি-আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এরপর তো আমি খুন হয়ে যাব। ভবিষ্যতে আরও মানুষ খুন হবে।' তিনি জানান তদন্তে সিবিআই নিশ্চয় আরও তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে তাই আবার ডেকেছে। ভাইয়ের মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পরেশ পালের নাম রয়েছে।
চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chit Fund Case) বীজপুরের বিধায়ক (TMC MLA) সুবোধ অধিকারীকে এবার ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবারই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাঁর আইনজীবী এদিন বীজপুরের বিধায়ককে প্রতিনিধিত্ব করেন। সিবিআইয়ের চাওয়া বেশ কিছু নথি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন বিধায়কের আইনজীবী।
ইতিমধ্যে বীজপুরের বিধায়কের পৈতৃক বাড়ি-সহ কাঁচরাপাড়ার একাধিক জায়গায় গত সপ্তাহে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই তালিকায় ছিল সুবোধ অধিকারীর অফিস, ফ্ল্যাট এবং তাঁর ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধানের ফ্ল্যাটেও। বীজপুর, কাঁচরাপাড়ার পাশাপাশি সুবোধ অধিকারীর কলকাতার কাশীপুর, টালা পার্ক এবং দক্ষিণদাঁড়ির ফ্ল্যাটেও অভিযান চালায় সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই এদিকে নথি-সহ ডেকে পাঠানো হয় সুবোধ অধিকারীকে।
এদিকে, রাজু সাহানির বাড়ি এবং রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রচুর সম্পত্তি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে রাজুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমল অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান। সুবোধের পৈতৃক বাড়ি-সহ তাঁদের মঙ্গলদ্বীপ আবাসন ফ্ল্যাট এবং কমল অধিকারীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেও চলছে অভিযান। পাশাপাশি হালিশহরের জেঠিয়ার সুবোধ এবং কমল অধিকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ি-সহ কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী গৌতম বিশ্বাসের বাড়িতেও সিবিআই দল। জানা যাচ্ছে, এই রাজু সাহানির সঙ্গে তাইল্যান্ডে ব্যবসা রয়েছে সুবোধ অধিকারীর। সেই সূত্র ধরে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সুবোধের পৈতৃক বাড়িতে দুই ভাই থাকেন না।।একমাত্র ছোট ভাই থাকেন।
সারদার এক (সাঁতরাগাছি) মামলায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিসের (police) আনা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ খারিজ করল এমপিএমএলএ বিশেষ আদালত (court)। সোমবার এই ধারাগুলি সংক্রান্ত কুণালের কোনও অপরাধের প্রমাণ নেই বলে বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য (Manojyoti Bhattacharya) রায় দেন। তবে মামলার বাকি অংশের বিচার চলবে।
সূত্রের খবর, আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) একটি নির্দেশে এই মামলা আবার হাওড়া জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বলেন,'কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত যা যা অভিযোগ রাজ্য পুলিসের সিট এনেছিল, আদালত তা খারিজ করেছে। মামলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বিচার চলবে। আপাতত মামলা হাওড়া কোর্টে ফিরে যাচ্ছে।'
এদিকে, পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে (Bidhannagar MP MLA Court) তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দিতে হয় বিধাননগরের এই আদালতে। গোরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। হাজিরার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট সকাল ৬টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ১২টার আগেই এজলাসে তোলা হয় অনুব্রতকে। ২০১০ মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রতর। সেই মামলায় হাজিরা দিতেই আসানসোল থেকে এদিন তৃণমূল নেতাকে আনা হয়েছিল বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের এই আদালতে।
চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chitfund Case) রবিবার সিবিআই অভিযানের জাল কাঁচরাপাড়া, বীজপুর (Bijpur MLA) ছাড়িয়ে শহর কলকাতায় ছড়াল। এদিন সকালে বীজপুরের বিধায়কের বাড়িতে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা (CBI)। সেই তল্লাশির সূত্র ধরে সিবিআই পৌঁছে যায় বিটি রোড কাশীপুরে সুবোধ অধিকারীর ফ্ল্যাটে। পাশাপাশি ভিআইপি রোড দক্ষিণদাঁড়িতে সুবোধ অধিকারীর যে ফ্ল্যাট, সেখানে সিবিআই পৌঁছতেই পৌঁছে যায় লেকটাউন থানার পুলিস। সকাল দশটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা এই আবাসনে আসলেও সুবোধ অধিকারী এই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে পারেনি তাঁরা। চাবি না থাকার কারণে লেকটাউন থানাকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারাই চাবি জোগাড় করে এনে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় লেকটাউন থানার পুলিস। দিনের শেষে খবর, সিবিআই আটক করেছে সুবোধ অধিকারীর পিএ বা আপ্ত সহায়ক রবীন্দ্র সিং-সহ দুই নিরাপত্তারক্ষীকে। পাশাপাশি একটি স্করপিও গাড়িও সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
লেকটাউন, কাশীপুরের বাইরেও বীজপুরের বিধায়কের টালা পার্কের বাড়িতেও চলেছে ম্যারাথন সিবিআই তল্লাশি। মূলত বেনামী সম্পত্তির হদিশ পেতে উত্তর ২৪ পরগনা-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় এই সিবিআই হানা। বেআইনি চিটফান্ড-কাণ্ডে সুবোধ অধিকারীর যোগসূত্র খুঁজে পেতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই তাঁর সম্পত্তিতে তল্লাশি চালালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যেতে পারে, যা আগামি দিনে তদন্তের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুমান থেকেই এই মেগা তল্লাশি। জানা গিয়েছে, একাধিক ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ-রেজিস্টার খাতা চেক করা হয়েছে। এই ফ্ল্যাটগুলোতে কাদের যাতায়াত ছিল, সেই বিষয়টি নজরে রাখতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এদিকে, সন্মার্গ চিটফান্ড-কাণ্ডে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি। এবার এই মামলার তদন্ত আরও বড়সড় তথ্যসূত্র হাতে পেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। রবিবার সকাল থেকেই বীজপুর বিধানসভা এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভা এলাকার ৬ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযান বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে। পাশাপাশি সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ছটি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযানে নেমেছে।
রাজু সাহানির বাড়ি এবং রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রচুর সম্পত্তি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে রাজুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমল অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান। সুবোধের পৈতৃক বাড়ি-সহ তাঁদের মঙ্গলদ্বীপ আবাসন ফ্ল্যাট এবং কমল অধিকারীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেও চলছে অভিযান।
রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস রায়। হঠাৎ কেন এই ইঙ্গিত? নেপথ্যে অভিমান, না অন্য কিছু কারণ? সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তবে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাপসবাবু (Tapas Ray) বলেন, 'আর কয়েকটা বছর সমাজকর্মী বা রাজনৈতিককর্মী থাকার ইচ্ছা নেই। শুধু দলকে (TMC) জানানোটা বাকি। আপনারা ধরে রাখতে চাইলেও আমাকে আটকে রাখা যাবে না।'
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'তাপস রায়েরা দলকে গায়ে মেখে ফেলেছেন। দীর্ঘদিনের কর্মী। তৃণমূলের উত্থান-পতন দেখেছেন। তবে দলকে উনাকে কতটা দেখেছে, সেটাও একটা বিষয়। এখন ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।'
সম্প্রতি সিবিআই-ইডির তদন্তের সূত্রে জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের মতো তৃণমূলের হেভিওয়েট নাম। গত কয়েকমাস একাধিক দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জহর সরকার। যদিও প্রাক্তন আমলার এই মন্তব্যকে ভালো চোখে নেয়নি বাংলার শাসক দল।
পারিপার্শ্বিক এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই কি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ তাপস রায়ের? ঠিক সম্প্রতি যেমনটা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজনীতি এত নোংরা জানলে, কবেই ছেড়ে দিতাম।
সন্মার্গ চিটফান্ড-কাণ্ডে (Chitfund Case) ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে হালিশহরের পুরপ্রধান রাজু সাহানি (Raju Sahani)। এবার এই মামলার তদন্ত আরও বড়সড় তথ্যসূত্র হাতে পেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (CBI)। রবিবার সকাল থেকেই বীজপুর বিধানসভা এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভা এলাকার ৬ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযান বীজপুরের (Bijpur MLA) তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে। পাশাপাশি সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ছটি দলে ভাগ হয়ে এই অভিযানে নেমেছে।
রাজু সাহানির বাড়ি এবং রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রচুর সম্পত্তি নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। সেই সূত্রে রাজুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরেই সুবোধ এবং কমল অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান। সুবোধের পৈতৃক বাড়ি-সহ তাঁদের মঙ্গলদ্বীপ আবাসন ফ্ল্যাট এবং কমল অধিকারীর নিজস্ব ফ্ল্যাটেও চলছে অভিযান। পাশাপাশি হালিশহরের জেঠিয়ার সুবোধ এবং কমল অধিকারীর এক আত্মীয়ের বাড়ি-সহ কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী গৌতম বিশ্বাসের বাড়িতেও সিবিআই দল। জানা যাচ্ছে, এই রাজু সাহানির সঙ্গে তাইল্যান্ডে ব্যবসা রয়েছে সুবোধ অধিকারীর। সেই সূত্র ধরে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সুবোধের পৈতৃক বাড়িতে দুই ভাই থাকেন না।।একমাত্র ছোট ভাই থাকেন।
সুবোধ অধিকারীর এক ভাই সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সিবিআই দল এসে নথি তল্লাশি করেছে। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। রাজুর সঙ্গে আমাদের কোনও ব্যবসায়িক যোগসূত্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখেছে ওরা। সকাল থেকে প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা চলেছে এই অভিযান। এদিকে, বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সিবিআই কর্তারা যখন বিধায়কের অফিসে তখন বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে (Bidhannagar MP MLA Court) তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির হতে হবে বিধাননগরের এই আদালতে। গোরু পাচার-কাণ্ডে (cow smuggling case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। হাজিরার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট সকাল ৬টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ২০১০ মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রতর। সেই মামলায় হাজিরা দিতেই আসানসোল থেকে এদিন তৃণমূল নেতাকে আনা হয় বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের এই আদালতে।
বৃহস্পতিবার জেল থেকে বেরিয়ে বেশ খুশি মেজাজে দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। কনভয়ের গাড়িতে চেপে অবশ্য তিনি বলেন, তাঁর শরীর ভালো নেই। তবে জেল থেকে বেরিয়ে পুলিসের গাড়িতে চাপার সময় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তৃণমূলের সঙ্গে থাকার জন্য। এর পর কলকাতার উদ্যেশে রওনা হয় কনভয়।
উল্লেখ্য, ১০০-র বেশি বেনামী সম্পত্তির নথি বুধবার বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এই সব সম্পত্তির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বেনামী সম্পত্তির নথির অধিকাংশই মিলিছে মনীষের কোঠারির বাড়ি ও অফিস থেকে। সেই সব সম্পত্তির বর্তমান মালিকানা যাঁর নামে রয়েছে, তার আগে সেই সম্পত্তি কার নামে ছিল? কী ভাবে কেনা হয়, সেই যাবতীয় তথ্য তল্লাশি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বোলপুরে এই মূহুর্তে রয়েছে সিবিআইয়ের পাঁচটি টিম।
পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে তলব অনুব্রত মণ্ডলকে। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির হতে হবে বিধাননগরের এই আদালতে। এই মর্মেই দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেটে নির্দেশ গিয়েছে। গোরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। তাই দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট তাঁকে বিধাননগরের আদালতে হাজির করবে।
তবে এই তৃণমূল নেতার একাধিক শারীরিক সমস্যা আছে। আসানসোল-বিধাননগর যাতায়াত আবার ফিরে আসা। এই ধকল অনুব্রতর শরীর কতটা নিতে পারবে? সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিসকে। সূত্রের খবর, আদালতের সমনে হাজিরা দেবেন অনুব্রত মণ্ডল।
সেই আদালতে চলা রাজনৈতিক হিংসার এক মামলার অভিযুক্ত হিসেবেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এদিকে, সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করছে না অনুব্রত মণ্ডল। এই নালিশই আগামি শুনানিতে আদালতে করবেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি এই তৃণমূলের জেলা হেফাজত হয়েছে। মঙ্গলবার আসানসোল জেলে তাঁকে জেরা করতে গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেভাবে রাজ্য রাজনীতির চর্চিত মুখ কেষ্ট মণ্ডলের থেকে সহযোগিতা পায়নি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
অপরদিকে, সিবিআই হেফাজত থেকে বেড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজত হতেই দায়িত্ব কমল। বর্তমানে জেল হেফাজতে তিনি। বীরভূমের গড়ে হাত না পড়লেও, পূর্ব বর্ধমানে যে তিনটি বিধানসভা এলাকার দেখভাল করতেন অনুব্রত, এবার তা হাতছাড়া হল৷ ৩ বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। হাতে নেই পূর্ব বর্ধমানের তিন কেন্দ্র। তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অনুব্রতের হাতে থাকা পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা দায়িত্ব গেল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে, জানালেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু।
তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset Case) নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারাধীন জনস্বার্থ মামলা (PIL)। পাশাপাশি বিরোধী দলের ১৭ নেতার সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও বৃহস্পতিবার পাল্টা জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টেই। এবার শাসক-বিরোধী দলের নেতাদের নামে চলা এই জোড়া মামলা ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর। বিরোধী দলের যে ১৭ নেতানেত্রীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে, সেই তালিকায় নাম আছে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সৌমিত্র খাঁ প্রমুখদের। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা ইডি, সিবিআই যে কোনও ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তৃণমূল নেতারা ইডির বিরোধিতা করে কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের কেউ বিরোধিতা করতে কোর্টে যাবে না।'
বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা কষ্ট করে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এদিকে তৃণমূল নেতারা যা সম্পত্তি বানিয়েছে, তাঁদের কাছে আমরা অনেকটাই ক্ষুদ্র। পাল্টা দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় নাম আছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের। সেই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'আমরা চাই সবার তদন্ত হোক। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তিরও তদন্ত হোক। আমি শুধু জানতে চাই বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেতন না নিয়ে দিদির চলে কীভাবে?'
তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল নেতাদের নামে মামলা হলে সব ঠিক আছে। আর বিজেপি কারও নামে মামলা হলে সেটা প্রতিহিংসা। ২০১৬ সালে তো বিজেপিই পার্টি অফিসে টিভি চালিয়ে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ছবি দেখিয়েছিল। এবং স্লোগান তুলেছিল সিবিআই চাই। শুভেন্দু তো এখন তাঁদের সঙ্গেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।'
ঠিক কী বললেন সুকান্ত মজুমদারম, অধীর চৌধুরী এবং কুণাল ঘোষ?
কোটি কোটি টাকা সহ ধরা পড়া ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সেই তিন বিধায়কের (MLA) তিনমাসের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী মুকুল রয়াগ্নি বলেন, টাকা উদ্ধার কখনও কগনিজেবল অপরাধ নয়। তার জন্য হেফাজতের প্রয়োজন নেই। অভিযুক্তদের একজনের ৩টি পেট্রোল পাম্প আছে, একজন ব্যবসায়ী। তাঁদের কাছে এই টাকা থাকতেই পারে।
অভিযোগকারীর আইনজীবী বলেন, অর্থের বিনিময়ে দল পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই কারণে তিনি জামিনের বিরোধিতা করছেন। শ্বাশতগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এঁদের জামিন দিলে তদন্ত ব্যাহত হবে। কারণ, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায় আছে। অভিযুক্তরা শাড়ি কেনার কথা বললেও তাঁদের কাছ থেকে কোনও শাড়ি উদ্ধার হয়নি। কিছু জাল বিল উদ্ধার হয়েছে। এঁরা প্রভাবশালী। ২০২১ এ এই ধরনের অভিযোগ আছে।
সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালতের মন্তব্য, তিন অভিযুক্ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, যারা তাদের একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে ভোট দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে দল পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, অভিযোগকারীর সাথে কথোপকথনের কোনও ট্র্যাকিং লিস্ট এখনও তদন্তে উল্লেখ নেই। কলকাতা স্টেশনের কথা উল্লেখ থাকলেও সেই সময় যে তারা গ্রেফতার, তার উল্লেখ নেই। ১৫ দিনের তদন্তে অভিযোগকারীর কোনও স্টেটমেন্ট, অভিযোগকারীর অভিযোগমতো কোনও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা কোনও ইলেকট্রনিক তথ্য বা নথির উল্লেখ নেই কেস ডায়েরিতে।
বিচারপতির মতে, এটা ঠিক, অভিযুক্তদের কাছ থেকে হিসাব বহির্ভূত টাকা উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তরা ইতিমধ্যে তদন্তে যোগ দিয়েছে। এই তদন্তে অন্যান্য রাজ্যের সহযোগিতার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের কোনও হাত নেই।
এরপরই বিচারপতি শর্তসাপেক্ষে ৩ মাসের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেন। শর্তগুলি হল
১) ১ লাখ টাকা বন্ড
২) কলকাতা ছেড়ে যেতে পারবেন না অভিযুক্তরা।
৩) তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
৪) সপ্তাহে ১ দিন তদন্তকারী অফিসারের সাথে দেখা করতে হবে।
৫) মামলার বিচার হবে এমএলএ-এমপি কোর্টে।
পরবর্তী শুনানি ১০ নভেম্বর।
উত্তর দিনাজপুরে (North DinajPur) প্রকাশ্যে তৃণমূল (TMC) বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির সংঘাত। মঙ্গলবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক (TMC MLA) আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আমি মমতা দি-কে বারবার বলে আসছি এই সন্ত্রাসবাদীকে নেতা না করতে। একটা সন্ত্রাসবাদীকে এখানে রাখবেন না। আমি মোট ১১ বার বিধায়ক হয়েছিল। কিন্তু কোনও বার সন্ত্রাস করে ভোট করিনি। সংগঠন এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোটে লড়েছি।'
তিনি জানান, বুথ ক্যাপচার, হিংসার আশ্রয় নিয়ে ভোট করিনি। কিন্তু এখন এই সন্ত্রাসবাদী হুমকি নিয়ে ভোট করাচ্ছে। অভিষেক নিজেই বলেছে ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কথা দিয়েছিল, করিম দা আমি আপনাকে মর্যাদা দেব। আপনি সম্মানীয় ব্যক্তি, আপনার সম্মান ফিরিয়ে দেব। কিন্তু এখন সেই সম্মান দিচ্ছেন না কেন? আগেরবার আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছে, আগামি দিনে দাঁড়ালে আমাকে হারানোর চেষ্টা করবে। এই লোককে কেন দায়িত্ব দিচ্ছেন।
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষভ উগড়ে দিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, 'যে ব্যবহার আমাকে দিচ্ছে নেতৃত্ব, সেই ব্যবহার আমার প্রাপ্য নয়।'
এদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই জাকির হোসেন জানান, বাংলায় কারও ব্যক্তিগত এলাকা নেই। বাংলা একটাই, আর সেই একটা বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন করছে। আমার নিজের কিছু নেই যা আছে দলের। আমার পিছন থেকে তৃণমূলের প্রতীক সরলে সাম্নের দিকে ফাঁকা হয়ে যাবে। দলের শক্তি সর্বশক্তি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানুষের সঙ্গে থেকে দলের কাজ করা। আগামি দিনেও নিষ্ঠা ভরে সেই কাজ করব। তিনি বলেন, 'দলের একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা করব না। উনি কী বলেছেন সেটা দল দেখে বিচার করবে।'
এই সংঘাতকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা তাপস বিশ্বাস বলেন, 'তৃণমূলের এক বিধায়ক, তাঁর দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বলছে। তৃণমূলের ব্লক, অঞ্চল বা জেলা সভাপতি হতে গেলে তাঁকে বুথ দখল, কাট্মানি আদায়ে পটু হতে হবে। বিরোধী কণ্ঠরোধে পটু হতে হবে। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতির এসব যোগ্যতা আছে। কিন্তু ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক, মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বুথ দখল বা সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। উনি ভালো লোক, চাইছেন এখানে দলটা ভালো ভাবে ভালো পথে চলুক।'
প্রেমের টানে প্যারিস (Paris) থেকে পান্ডুয়ায় এসে এক বাঙালি ছেলেকে বিয়ে (marriage) করে ফেললেন এক বিদেশিনী। তাঁদের বিয়ে দেখতে ভিড় যেন উপচে পড়ল মন্দির প্রাঙ্গনে। সোমবার রাতে সিমলাগড় কালিমন্দির থেকে সামাজিক রীতি মেনেই বিয়ে করলেন দুজনে। প্রসঙ্গত, গত চার মাস আগে দিল্লিতে (Delhi) কর্মরত অবস্থায় অনলাইন সাইটে পরিচয় হয় পান্ডুয়ার যুবক কুন্তল ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্যারিসের বাসিন্দা প্যাট্রিসিয়ার।
প্যাট্রিসিয়ার বরাবরই ভারতে (India) আসার ইচ্ছা ছিল। সেইমতোই একদিন হঠাৎ কুন্তলকে সারপ্রাইজ দিতে দিল্লি চলে আসেন প্যারিস থেকে এবং ফোনে সেই কথা কুন্তলকে জানান। কুন্তল তাঁকে পরের বিমানে কলকাতা আসতে বলেন। কলকাতা এসে দুজনে দেখা করেন এবং তাঁকে নিয়ে পান্ডুয়ার বাড়ি আসেন কুন্তল। এরপরই দীর্ঘ একমাস যাবত কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অবশেষে সোমবার রাতে বিখ্যাত সিমলাগড় কালিমন্দিরে বিয়ে করলেন দুজনে।
অন্যদিকে প্যাট্রিসিয়ার খুবই ইচ্ছা ছিল তাঁরা কোনও মন্দির থেকে বিয়ে করবেন। সেইমতোই সোমবার রাতে সিমলাগড় কালিমন্দিরে দুজনে বিয়ে করেন। আগামীদিনে দিঘা অথবা গোয়াতে হানিমুন যাবার ইচ্ছা রয়েছে দুজনের মধ্যে, এমনটাই জানান তাঁরা। অবশ্য এই বিয়েতে কুন্তলের বন্ধুরা ছাড়া দুই পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। মন্দিরে এরকম বিদেশিনী একজন মেয়ে বিয়ে করছে তাও একজন বাঙালি ছেলেকে, এটি দেখতে স্থানীয় মানুষজন উপস্থিত হয় সিমলাগড় মন্দির চত্বরে। তাঁদের মধ্যে এক অন্যরকম উত্তেজনাই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল সেদিন।
এবার বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। শুক্রবার একটি জনসভায় যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath Sakha)। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেন, "কেউ চাকরির (job) জন্য তৃণমূল নেতাদের (trinamul leader) টাকা দিয়েছেন, কেউ আবার সরকারি বাড়ি পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছেন। যারা টাকা নিয়েছে তাদের টুঁটি টিপে টাকাটা আদায় করুন। নাহলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। অনেকেই বাইরে জায়গা কিনে নিয়েছে। তারা পালিয়ে যাবে।" বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই পারদ চড়তে শুরু করেছে বাঁকুড়ার (Bankura) রাজনৈতিক মহলে।
জানা যায়, বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভার জামজুড়ি গ্রামে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। সেখানে দলীয় কর্মী ও এলাকার বাসিন্দাদের এমন নিদান দেন বিধায়ক। তাঁর সেই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর এমন বক্তব্যে তৃণমূলের দাবি, উস্কানিমূলক এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি বিধায়ক আসলে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এরপর এলাকায় কোনও অশান্তি হলে তার দায় বিধায়কের।
তৃণমূলের এই বক্তব্যকে অবশ্য বিধায়ক বিশেষ একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, তাঁর ওই বক্তব্য ছিল দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতাদের জন্য। তৃণমূলের উপর থেকে নিচ সকলেই চোর। সেই চোর নেতাদের কাছ থেকেই দেওয়া টাকা আদায়ের কথা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরা হয়েছেন তিনি।