নিউজিল্যান্ডের প্রথম পাঁচ-ছয় বিশ্বমানের ব্যাটারকে একাই ফেরালেন মহম্মদ শামি। ফাইনালে ওঠার পর সতীর্থের প্রশংসায় হিটম্যান। এবার লক্ষ্য আহমেদাবাদের ফাইনাল। টিমের প্রত্যেক সতীর্থের প্রশংসা করেন ভারত অধিনায়ক।
রোহিত জানান, আরও ৩০-৪০ রান কম করলে ঝুঁকি নিতে পারত নিউজিল্যান্ড। কিন্তু উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা না করে পারেননি হিটম্যান। তিনি জানান, ওই সময় ওয়াংখেড়ে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে চাপ ছিল। কিন্তু শামির বোলিং অভাবনীয়, মত রোহিতের।
ম্যাচের পর টিমের প্রশংসা করতে গিয়ে রোহিত জানান, প্রত্যেকেই দারুণ খেলেছেন। বিরাট ভাল ফর্মে আছেন। অভূতপূর্ব সেঞ্চুরি করেছেনয ব্যাট করতে গিয়ে শুভমানের পায়ে ক্র্যাম্প ধরে। কিন্তু পার্টনার গিলেরও প্রশংসা করেন রোহিত। প্রশংসা করেন টানা দু ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া শ্রেয়স আইয়ারেরও।
বিশ্বকাপে দ্রুততম ৫০ উইকেট তুলে নিয়ে নজির গড়লেন মহম্মদ শামি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে যে উইকেটে, সব বোলাররাই প্রায় ব্যর্থ, সেই রুক্ষভূমিতেও সোনার ফসল ফলিয়ে তাক লাগালেন। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনকে ফেরার পরই একাধিক রেকর্ড গড়লেন শামি।
বিশ্বকাপে এর আগে কোনও ভারতীয় বোলার ৫০ উইকেট পাননি। প্রথম কয়েকটি ম্যাচ না খেলেও ৫০ উইকেটের মালিক হলেন তিনি। এর আগে দ্রুততম ৫০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। তাঁর থেকে ২টি ম্যাচ কম খেলে এই রেকর্ড গড়ে ফেললেন শামি। ১৭ ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েন শামি। এদিন ৬ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন শামি। শামির গতি ও লেনথের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হন কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা। শেষ কয়েক ওভারে আরও ৩ উইকেট নিয়ে মোট ৭ উইকেট নেন শামি।
সাড়ে নয় ওভার। ৫৭ রান। সাত উইকেট। বাংলার মহম্মদ শামির এই স্বপ্নের স্পেলে ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। এই সাত উইকেটে মধ্যে তাঁর সবচেয়ে বড় শিকার কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যেখান থেকে মুম্বইয়ে ঘুরে গেল ম্যাচ। তাই ম্যাচের সেরা হয়ে শামি জানালেন, জায়গায় বল রেখেছিলেন, সফল হলেন। এবার তাঁর টার্গেট বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা। অপেক্ষা করছে আমেদাবাদ।
এই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করেছিলেন বাংলার এই স্পিডস্টার। আগের দুটি ম্যাচ বাইরে থাকার পর ধর্মশালায় প্রথম বলেই উইকেট পেয়েছিলেন। সেই শুরু। তার এই বিশ্বকাপে বাকিটা ইতিহাস। বিলেতের মাটিতে যেখানে শুরু করেছিলেন, পাহাড় কোলে যেন ঠিক সেখান থেকেই ছুটেছেন।
তাই আমেদাবাদে এখন দ্রুত পৌঁচ্ছতেই চাইছেন বাংলার এই বোলার। শামি মনে করেন, জীবনে একবারই আসে বিশ্বকাপকে ছুঁয়ে দেখার। কে জানে কাল হো না হো!
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরির ম্যাচে একাই ৭ উইকেট তুলে নিলেন মহম্মদ শামি। এবার বিশ্বকাপে বোলিং আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ৩২৭ রানে অলআউট হয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
এদিন ভারতের ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল না হলেও একা লড়াই করেন ড্যারিল মিচেল। শামির ডেলিভারিতে পরপর যখন একদিক থেকে উইকেট হারায় ভারত।৬৯ রান করে ফেরেন কেন উইলিয়ামসনও। কিন্তু থামেননি ড্যারিল মিচেল। ১৩৪ রান আসে তাঁর ব্যাটে। ৩৩ বলে ৪১ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু শামির বিধ্বংসী বোলিং আক্রমণ ফিরতে হয় মিচেলকেও। কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাও একটি করে উইকেট তুলে নেন। আর খেলায় ফিরতে পারেনি কিউয়ি শিবির।
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল বিরাট-রোহিতদের। এবার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে রবিবার আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
শ্রেয়স ও বিরাটের জোড়া সেঞ্চুরিতে সেমিতে নিউজিল্যান্ডের সামনে পাহাড় সমান লক্ষ্যমাত্রা ভারতের। ২০১৯ এর পর ২০২৩এ ভারত ফের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত। কথামত ভালো শুরু করে রোহিত। ভালো সঙ্গ দেয় গিল। রোহিত ৪৭ রানে আউট হলে ব্যাট করতে আসে রোহিত। এরপর গিল পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে মাঠে আসে শ্রেয়স। এরপর শ্রেয়স ও বিরাট জোড়া সেঞ্চুরির উপর বড় করে ৫০ ওভারে ৩৯৭ রান করে ভারত। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল ভারত।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে, প্রথম থেকেই রণমূর্তি ছন্দে খেলতে শুরু করে রোহিত। একেরপর এক. রোহিত আউট হলে গিল, গিলের পর বিরাট, বিরাটের পর শ্রেয়স। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মের ছবি ফুটে উঠল ভারতের ব্যাটিংয়ে। একদিকে রোহিত করে ৪৭ রান, বিরাট করে ১১৭ রান, শ্রেয়স করে ১০৫ রান, গিল নট আউট ৮০ রানে। ওদিকে রাহুল ২০ বলে ৩৯ রানে নট আউট। বলের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তেমন ভালো কেউই করতে পারে নি। বোল্ট ১০ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে ১ টি উইকেট পায়। অন্যদিকে ১০ ওয়াভরে ১০০ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট পায় সাউদি।
রোহিত আগেই জানিয়েছিল ইতিহাস তৈরী করতে চান। এ অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমিতে নেমেছে ভারত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
ভারতের প্রথম একাদশ:
রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ
নিউজিল্যান্ডের প্রথম একাদশ:
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট
প্রয়াত 'সাহারাশ্রী' সুব্রত রায় (Subrata Roy)। দেশের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং সাহারা ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ নভেম্বর মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহারা গ্রুপের কর্ণধার। বুধবার লখনউয়ের সাহারা শহরে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানেই জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা। সাহারা গ্রুপ একটি বিবৃতি জারি করে সুব্রত রায়ের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে। সংস্থার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সাহারা ইন্ডিয়া পরিবারের প্রধান সুব্রত রায় মঙ্গলবার রাত ১০টা বেজে ৩০ মিনিটে কার্ডিওরেসপিরেটরি অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। দীর্ঘ দিন ধরে হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস এবং মেটাস্টেটিক ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ তার শারিরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছিল, যার কারণে তাঁকে ১২ নভেম্বর মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ‘সাহারাশ্রী’র প্রয়াণে শোকাহত ‘সাহারা ইন্ডিয়া’ পরিবার।" তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সমাজের বহু বিশিষ্ট মানুষজন।
ম্যানচেস্টারের বদলা কোন পথে ? মুম্বইয়ে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগে এখন এটাই আলোচনা ভারতীয় ড্রেসিং রুমে। রোহিতদের হেড স্যর রাহুল দ্রাবিড়ের মাথায় এখন তিনটি বিষয় ঘুরঘুর করছে। এক, ব্যাটিং শক্তিকে আরও মজবুত করা। দুই ম্যানচেস্টারের স্মৃতি প্রতিটি ক্রিকেটারের মাথা থেকে মুছে ফেলা। আর তিন মাঠের মধ্যে আরও দৃঢ় হওয়া।
এই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত স্বপ্নের ক্রিকেট খেলেছেন রোহিত শর্মারা। সেটা বিশ্বাস করেন খোদ রাহুল দ্রাবিড়ও। তবুও মুম্বই ম্যাচের আগে বাড়তি কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ তিনি। কারণ, ধর্মশালায় কিউইদের হারালেও, ওই ম্যাচে ভারতকে জিততে খানিকটা ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল। দ্রাবিড় মানছেন, উইলিয়ামসন দলে আসায় মুম্বইয়ে আরও শক্তিশালী কিউইরা।
এই শক্তি পরীক্ষাতেই নিজেদের উজার করে দিতে চান ভারতীয়রা। ছত্রিশ বছর পর ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে ভারত। ১৯৮৭ সালে এই মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রিলায়েন্স কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল কপিল দেবের ভারত। ৩৬ বছর পর বিদায় নয়, রোহিত শর্মাদের টার্গেট সোজা আমেদাবাদ।
প্রসূন গুপ্ত: ভারত বাদ দিয়ে এশিয়ার সমস্ত দল এতক্ষণে দেশের মাটিতে পা দিয়ে ফেলেছে। নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডও ফিরে যাচ্ছে। রয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারত। সেমিফাইনাল বুধ এবং বৃহস্পতিবার। লিগে যা হয়েছে হয়েছে কিন্তু এবারে চার দলই সতর্ক। গতবার নিয়মের গেঁড়োতে পরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নি কিউইরা। ভারতও সেমিফাইনালে অদ্ভুত নিয়মের প্যাঁচে পরে হেরে গিয়েছিলো এই নিউজিল্যান্ডের কাছে। দুদিন ধরে ওয়ান ডে ম্যাচ হয়েছিল। আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড যা রান করেছিল তা কোহলির দল আনায়াসেই তুলতে পারতো যদি দিনেরটা দিনেই খেলা হতো কিন্তু বৃষ্টির চক্করে পরে খেলা গড়ায় পরের দিন অবধি। ছন্দ সেখানেই নষ্ট হয়ে যায় বলেই দাবি অভিজ্ঞ মহলে। অবিশ্যি প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনির দোষও অগ্রহ্য করা যায় না। অনেকেই বলে বিশ্বের সেরা ফিনিশার সেদিন এতো ধরে খেলছিল যে ম্যাচটি সেখানেই শেষ হয়ে যায়, ধোনি নাকি চান নি ফের বিশ্বকাপ অন্য কারুর হাতে উঠুক।অবান্তর ধারণা হয়তো।
তবে এ কথা ঠিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভারতকে বুঝে খেলতে হবে।পূর্বতন রেকর্ড বলছে বিশ্বকাপে কিউইরা ভারতকে বেগে ফেলেছে আগেও। ভারতের এখন যা দল তাতে চিন্তা করুক কেন উইলিয়ামসরা। অনেকেই বলছে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি ৫০ তম শতরান না পেয়ে ভালোই হয়েছে। ওঁর মধ্যে জেদ কাজ করবে পরের ম্যাচে সেঞ্চুরি করার। তবে খেলা ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে, ওখানে যত বল গড়াবে ততই পিচ ঢিমে হবে কাজেই টস জিতে বিরাটের আগে ব্যাট নেওয়াই শ্রেয়।
অন্যদিকে ইডেনে অন্য সেমিফাইনাল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবাই চোকার্স বলে। এরা দুর্দান্ত শুরু করেও আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টের ট্রফি পায় নি কিন্তু নক আউট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ভয়ঙ্কর। যে কেউই খেলে দেবে। আগের দিন ম্যাক্সওয়েলের খেলা মানুষ কোনও দিন ভুলবে না। যদিও গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এখানেই হেরে গিয়েছিলো। কিন্তু বারবার ভুল ওরা করবে কি?
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জিতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখছেন টিমের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টানা ৮টি ম্যাচের রেকর্ড ভেঙে নবম ম্যাচ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। রাহুল দ্রাবিড় কিন্তু জানালেন, রবিবারের ম্যাচ না জিতলে সবই বৃথা।
দ্রাবিড়ের মতে, টানা ৯টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। কিন্তু বুধবার নকআউট। ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে না পারলে, এতদিনের পরিশ্রম কয়েক লহমায় নষ্ট হয়ে যাবে। দ্রাবিড়ের পাখির চোখ রবিবার। তার আগে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন তিনি।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান স্কোরার ছিল রাহুল দ্রাবিড়। দ্রাবিড়ের ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে এদিন বেশ কয়েকটি সেই ম্যাচের ছবি ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে ওঠে। এরপরই ক্যামেরায় ধরা পড়ে দ্রাবিড়ের মুখ। চিন্নাস্বামীর দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন দ্রাবিড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় দ্রাবিড়ের সেই প্রতিক্রিয়া।
দীপাবলিতে দেশবাসীকে ১৮ পয়েন্ট উপহার রোহিত শর্মাদের। টানা ৯টি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা যা পারেনি, সেটাই করে দেখাল নেদারল্যান্ডস। ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইন আপের চিন্নাস্বামীতে ৪৭.৫ ওভার পর্যন্ত লড়াই করল ডাচ ব্রিগেড। হারতে হল ১৬০ রানে। হাফসেঞ্চুরির পর বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট পেলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইডেনে ৮৩ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪১১ রান তাড়া করতে নেমে কিন্তু লড়াই করল নেদারল্যান্ডস। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স আইয়ার (১২৮) ও কে এল রাহুল (১০২)। হাফসেঞ্চুরি করেন রোহিত ও বিরাট। বিধ্বংসী ইনিংস আসে শুভমান গিলের ব্যাটে। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১০ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও সামলে নেয় নেদারল্যান্ডস। ১২ ও ১৫ ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় দল। চার নম্বর উইকেট তুলে বিপক্ষকে চমকে দেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সিব্র্যান্ড ইজেলব্রেট ৪৫ রান করেন। বড় রান করেন তেজা নিদামানুরু। দুটি করে উইকেট তুলে নেন জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি উইকেট বিরাট কোহলির।
কালীপুজোর দুপুরে বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। নয়ে নয় করার ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। তার একদিন আগেই ঠিক হয়ে গেল ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের লাইনআপ। আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। চার বছর আগে এই দু দেশই সেমিফাইনাল খেলেছিল। বিরাটের ভারতকে হারিয়েছিল উইলিয়ামসনের নিজজিল্যান্ড।
১৬ নভেম্বর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের গা থেকে চোকার্স তকমা কী ঝেড়ে ফেলতে পারবে প্রোটিয়ারা ? উত্তর পাওয়া যাবে কলকাতায়। আর ১৯ নভেম্বর মেগা ফাইনাল। ওইদিন আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি মুম্বই ও কলকাতার সেমিফাইনালে জয়ী দল।
ফের রেলে দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনার কবলে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস (Purushottam Express)। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন চালক। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান ট্রেন যাত্রীরা। তবে চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ ব্রেক কষলে তীব্র ঝাঁকুনিতে ওই ট্রেনের ২ যাত্রীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি শনিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) কোডার্মা জেলায় ঘটেছে।
সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই ওভারহেডের ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পুরী-নয়া দিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। তাতেই সিট থেকে বহু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আর দুই যাত্রীর মৃত্যুও হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ছুটছিল। এই আবহে এমারজেন্সি ব্রেক কষার জেরে কামরার ভিতরে থাকা যাত্রীরা অধিকাংশই টাল সামলাতে পারেননি। তবে কী পরিস্থিতিতে ও ঠিক কোন কারণে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর প্রায় চার ঘণ্টা ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের কোডার্মা-গোমোহ সেকশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস।
পার্থ ভৌমিক (মন্ত্রী / পশ্চিমবঙ্গ সরকার ): মঙ্গলবারের বিশ্বকাপের এই খেলা মনে রাখবো নিশ্চিত। ম্যাক্সওয়েল যেদিন খেলেন সেদিনটা ওরই থাকে। আইপিএলে দেখেছিতো। আজকের ক্রিকেট কিন্তু সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আমাদের ছোটবেলার ইডেনে দেখা বিশ্বনাথ গাভাস্কারের টেস্টের যুগ আজকে আর কোথায়? আজকে একজনের খেলা এবং দলকে জেতানো নিশ্চয় বড় ব্যাপার কিন্তু ম্যাক্সির এই খেলা ভেবে দেখলে অনেকেই খেলে নিচ্ছে। ম্যাক্সিকে তবু ধন্যবাদ দেব প্রয়োজনে দুর্দান্ত ইনিংস খেলার জন্য কিন্তু ভেবে দেখুন এই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের খেলায় মাত্র ২০০ রান দরকার ছিল, দ্রুত তিনটে উইকেট পরে গেলো। তারপর কোহলি এসে ম্যাচটা ধরলেন। কোহলিকে আমি নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সেরা বলবোই। দেখুন আবারও বলছি ম্যাক্স দারুন, চিরকাল এই খেলাটা মনে থাকবে কিন্তু এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হারলেও সেমিফাইনালে যেতই। এ ছাড়া আফগানিস্তান স্রেফ অভিজ্ঞতা এবং বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য হারলো। দুটো লোপ্পা ক্যাচ কি ভাবে মিস করলো তারা। প্রথমে বেশ ভালো ফিল্ডিং করছিলো কিন্তু ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার ওদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এসে গেলো এবং সেটাই কাল হলো।
ম্যাক্সওয়েল নিঃসন্দেহে এবারের বিশ্বকাপের সেরা ইনিংস খেলেছে কিন্তু ১৯৮৩ র কপিল হতে পারবে না। নটিংহ্যামে ও বছর জিম্বাবোয়ের সঙ্গে যে খেলা হয়েছিল তা আমরা কেউই দেখতে পারি নি কারণ ইংল্যান্ডের সাম্প্রচারকারী বিবিসি সেদিন ধর্মঘট ডেকেছিল বলে খেলা দেখায় নি কিন্তু বিবরণ তো শুনেছি। ১৭ রানে গাভাস্কার, শ্রীকান্ত, অমরনাথ, যশপাল, পাটিল আউট হয়ে গিয়েছিলো। কপিল এসে খেলা ধরে। তখন ফিল্ডিংয়ের কোনও রেস্ট্রিকশন ছিল না। কখনও বিনি কখনও ১০ নম্বরে থাকা কিরমানিকে নিয়ে ২৬৬ রান এবং নিজের ১৭৫ , ভাবা যায় ? মনে রাখতে হবে ভারত মোটেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে মাঠে নাম নি। কিন্তু কপিলের ওই ইনিংসের পরে নক আউট পর্যায়ে উঠেওছিলো দল এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কপিলের ওই ইনিংস সোনায় বাঁধানো| ওর সঙ্গে তুলনা চলে না।
অনুলিখন: প্রসূন গুপ্ত
ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সুখবর। এবার রেলপথে বাংলার সঙ্গে জুড়তে চলেছে ভুটান। প্রচুর মানুষই প্রতি বছর ভুটানে যান। সড়কপথে সীমান্ত পেরিয়ে যেতে হয় সে রাজ্যে। তবে এবার সরাসরিই বাংলা থেকে ট্রেনে চেপে ভুটান যাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই নয়া এই রেলপথ নিয়ে সমীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক (Jigme Khesar Namgyel Wangchuck) ভারত সফরে আসেন।
তাঁর এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকে ভারত এবং ভুটানের অর্থনীতি-সম্পর্ক সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিও উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তৈরি নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খোদ ভুটানের রাজা ওয়াংচুক।
তবে কোন পথে সে দেশের রেল যোগাযোগ তৈরি হবে তা নিয়ে সমীক্ষা হবে। আর সেই কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা জিগমি খেসার নামগেল ওয়াংচুক দুজনেই সম্মত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের প্রধানের আলোচনায় প্রস্তাবিত দুটি রাস্তার কথা উঠে এসেছে। একটি অসমের কোকরাঝড় হয়ে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বানারহাট হয়ে ভুটানের সামসের মধ্যে রেল সংযোগ তৈরি করা নিয়েও ভারত্ত এবং ভুটান সহমত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হবে তা রেলের তরফে সমীক্ষার পরেই স্পষ্ট হবে।
তবে ভারত এবং ভুটানের মধ্যে রেল যোগাযোগ তৈরি হলে দু'দেশ আরও কাছাকাছি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই বৈঠকের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যেখানে তিনি লিখছেন, ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি খুশি। ভারত এবং ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত এবং ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায়। একই সঙ্গে ভুটানের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন মোদী।
জানা গিয়েছে, ভারত এবং ভুটানের মধ্যে শুধু রেল যোগাযোগ নয়, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের বিষয়টি রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।