দীর্ঘ দু'বছর ধরে করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে রেড রোডে (Red Road) পালন হয়নি স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। এবছর সংক্রমণ খানিকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকায় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে রেড রোডে। অন্যদিকে এবছর লালকেল্লাতেও উদযাপিত হল অমৃত কা মহোৎসব। এসবের মধ্যেও এদিন করোনা গ্রাফ (Covid-19) কিছুটা চিন্তায় ফেলল দেশবাসীকে। ফের খানিকটা বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। তবে স্বস্তি মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৭ জন। যা রবিবার ছিল ১৪ হাজার ০৯২ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। রবিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪১। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ০৬৯ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৭ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০৮। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ হাজার ২৩৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৮ কোটি ২৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৩১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে রয়েছে দু’হাজারের উপরেই। ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,১৬২। মহারাষ্ট্রেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও দু’হাজারের গণ্ডি পার করে করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,০৮২। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কর্নাটক (১,৮৩৭), কেরল (১,০০৭) ও রাজস্থান (৮৮২)।
গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যান (Covid-19) উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। তবে দু'দিনের করোনা গ্রাফে (Coronavirus) সাময়িক স্বস্তি মিললেও এখনও ভয় কাটেনি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যদিও মৃত্যুসংখ্যা (Death) সামান্য নিম্নমুখী। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ০৯২ জন। যা শনিবার ছিল ১৫ হাজার ৮১৫ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। শনিবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৬৮। মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ০৩৭ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৬ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৬১। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ০৯ হাজার ৫৬৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ হাজার ০৫৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৫৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৮ লক্ষের বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
হলিউড ছবি ফরেস্ট গাম্পের বলিউড সংস্করণ লাল সিং চাড্ডা। মুক্তির পর থেকে এই ছবির বক্স অফিস সংগ্রহে খুব একটা মুখের হাসি চওড়া হচ্ছে না নির্মাতাদের। অনেক প্রেক্ষাগৃহে ন্যূনতম দর্শক অনুপস্থিতির কারণে বাতিল হচ্ছে শো। এই পরিস্থিতিতে এবার বড়সড় আইনি জটে পড়ল লাল সিং চাড্ডা। ভারতীয় সেনা এবইং হিন্দু আবেগকে আঘাত করার দায়ে অভিযোগ দায়ের এই ছবির বিরুদ্ধে। শুধু প্রযোজক-পরিচালকের বিরুদ্ধে নয়, ছবি নির্মাণে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ফলে স্বাধীনতার ৭৫-এ সময় একদমই ভালো যাচ্ছে না মিস্টার পারফেকশনিস্টের। এই ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ আমির খান অভিনীত লাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী। তার ক্রিয়াকলাপ দেশের আইনের চোখে ‘অসঙ্গত’ বলে অভিযোগ বিনীত জিন্দাল নামে দিল্লির এক আইনজীবীর। এই দাবিতে পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনীকে ‘অসম্মান’ করেছে এই ছবি। মূলত এমনটাই অভিযোগ ওই আইনজীবীর। পাশাপাশি দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশে ইন্ধন, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা, কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো ধারায় এফএইআর দায়ের করেন তিনি।
লাল সিং চাড্ডা ছবির প্রযোজক প্যারামাউন্ট পিকচার্স, আমির, পরিচালক অদ্বৈত চন্দনের নামও উল্লেখ হয়েছে এফআইআর-এ। মামলাকারীর অভিযোগ, 'ছবি নির্মাতারা এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে কার্গিল যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। যেটা অবাস্তব। এই মানসিক অবস্থা নিয়ে লালকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি কী ভাবে দেওয়া হল? সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, কঠোর প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ সীমান্তে যেতে পারেন না। অতএব, নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বদনাম করছেন।’
এই ছবির একটি দৃশ্যে পাকিস্তানি কর্মী লাল সিং চড্ডাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, 'আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনা করি, লাল, আপনি কেন তা করেন না?' সেখানে লালের উত্তর, 'মা বলেছেন, পুজোপাঠ ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়।' আইনজীবীর বক্তব্য, এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মানহানিকর বিবৃতি। এতেই আরও দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে তাঁর এই সফর বলে সূত্রের খবর। সেই সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক(India Bangladesh relation) উন্নয়নের বিষয়গুলি প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথা হবে অতিমারী(covid) পরবর্তী বিশ্বে সহযোগিতা নিয়েও।
সূত্রের খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র (রামপাল) উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড । ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে।
আর এর ফলে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিকমহল।
'সীমান্ত সমস্যা (Border Problem) না মিটলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়', চিন প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। "ভারত তার অবস্থানে অটল রয়েছে। চিন (China) যদি সীমান্তে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করে, তবে তার প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কের উপরই পড়বে। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। যতক্ষণ না সীমান্ত সমস্যা মিটছে, তা স্বাভাবিক হওয়া সম্ভবও নয়।" শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিদেশমন্ত্রী (External Affairs Minister) এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এ কথা বলেন।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের প্রকল্প 'ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড' (one belt one road) নির্মাণের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির অন্তর্গত ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বেজিং। এমন পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের পরিপন্থী।
বিদেশমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ভারত নিজেদের অবস্থানেই অনড়। চিন যদি সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত করে, তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০-তে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control) বা এলএসি সংলগ্ন এলাকায় আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন। বছর দুয়েক কেটে গেলেও মেটেনি সমস্যা। বেশ কয়েকটি জায়গায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। পাশাপাশি, চলতি মাসেই তাইওয়ানে আগ্রাসী মনোভাব দেখায় চিন (China)। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে (Island State) ৬দিক থেকে ঘিরে রেখে টানা ৪ দিন ধরে সামরিক মহড়া চালায় লালফৌজের দল। সেই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President of India) হিসেবে শপথ নিলেন জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। এদিন ধনকর হিন্দিতে শপথ নিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। যদিও জগদীপ ধনকরের (Jagdeep Dhankar) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের কাছে আমন্ত্রণ গেলেও এই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন এনডিএ প্রার্থী ধনকর। এই ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এনডিএ-র প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছে ৫২৮টি ভোট, বিরোধী জোটের প্রার্থী আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট।
এদিকে, আগামি শীতকালীন অধিবেশন থেকে রাজ্যসভা পরিচালনার ভার ধনকরের উপর। সংবিধান মেনে দেশের উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। কিন্তু এই আগামি এই অধিবেশন বড় চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে ধনকরের কাছে। কারণ এই মুহূর্তে সংখ্যাতত্বের বিচারে সংসদের উচ্চকক্ষে শাসক এবং সম্মিলিত বিরোধীর সাংসদ সংখ্যা প্রায় এক। এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ১১৪ আর বিজেপি বিরোধীদের সাংসদ সংখ্যা ১০৭ জন। এই তালিকায় নাম নেই বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। কারণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, এই দুটি বল জাতীয় রাজনীতিতে নীরব থেকে বহুবার বিজেপিকে প্রছন্ন মদত জুগিয়েছে।
অনেক সময় সংসদে ভোটাভুটি থেকে ওয়াকআউট করে সুবিধা কোরে দিয়েছে শাসক এনডিএ-কে। তাই তাদের বিরোধীতা ছাড়াও রাজ্যসভায় ১০৭টি বিরোধী সাংসদের কণ্ঠ মোদী সরকারের কানে পৌঁছতে বাধ্য। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে বিরোধী হল্লা সামলে সুষ্ঠুভাবে রাজ্যসভা পরিচালনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে জগদীপ ধনকরের কাছে।
বেড়ে চলেছে দেশের করোনা সংক্রমণ (Coronavirus)। গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা পরিসংখ্যানে (Covid-19) সাময়িক স্বস্তি মিললেও ফের তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পাশপাশি মৃত্যু সংখ্যাও (Death) ভয় বজায় রাখছে। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)। বৃহস্পতিবার দেশের আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৯ জন। যা বুধবার ছিল ১৬ হাজার ০৪৭ জন। গতকালের তুলনায় বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। বুধবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৫৪। মৃত্যুসংখ্যার ক্ষেত্রে তেমন কোনও পরিবর্তন নেই, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৭৯ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৮ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৬। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ০৪১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ হাজার ৪৩১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.৫৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ২৫ লক্ষর বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
ফের সংক্রমণ একলাফে অনেকটা ঊর্ধ্বমুখী (Coronavirus)। সপ্তাহের প্রথম দু'দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা (Covid-19) অনেকটা কমলেও ফের ভয় ধরাচ্ছে দেশের করোনা গ্রাফ। পাশপাশি বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যাও (Death)। এর মধ্যে স্বস্তি কেবল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসে (Active Case)। বুধবার দেশের আক্রান্তের সঙ্গে ১৬ হাজারের গণ্ডি টপকে গিয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ০৪৭ জন। যা মঙ্গলবার ছিল ১২ হাজার ৭৫১ জন। গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। মঙ্গলবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪২। মৃত্যুসংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২৬ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.২৯ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৬১। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬১০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ হাজার ৫৩৯ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫২ শতাংশ। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.৯৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশে করোনার টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২০৭ কোটি ০৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২০৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষর বেশি। গতকাল দেশে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।
এবার অনেকটা স্বস্তি। আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ (Corona Cases India)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোভিড গ্রাফ (Covid Graph In India) নেমেছে ১২ হাজারের ঘরে। কমে এল অ্যাকটিভ কেস (Active case), পজিটিভিটি রেটও (Positivity Rate)। সব ঠিকঠাক থাকলে মহামারী থেকে মুক্ত হতে চলেছে দেশ। এমনটাই মনে করছে স্বাস্থ্যমহলের একাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫১ জন। যা সোমবার ছিল ১৬ হাজার ১৬৭ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ৪০। মৃত্যুসংখ্যা সামান্য ঊর্ধ্বমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৭২ জন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.৩০ শতাংশ। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৩.৫০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ ১৬ হাজার ০৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ৪১২ জন। দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৩.৫০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এখনও চিন্তায় রাখছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলির করোনা পরিসংখ্যান। নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও।