লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহেই গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের একাধিক আসনের বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। এর মধ্য়ে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর এবং মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা আসনের প্রার্থীর নামও রয়েছে। সম্প্রতি বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় ইস্তফা দেওয়ায় ওই আসনটি শূন্য হয়। সেখানে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। বরানগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী করায় স্বভাবতই খুশি সজল ঘোষ। জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত বরানগরের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর দাবি, 'লড়াইটা তৃণমূলের চুরি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে।'
তৃণমূল জমানায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই দুর্নীতিই এবার বিজেপির প্রচারে প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ভগবানগোলা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন শ্রী ভাস্কর সরকার।
কথা মতোই কাজ। শুক্রবারই নয়া দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অর্জুন সিং এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী। বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল অর্জুনের। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে আরও এক বড় নেতা যোগ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্জুন।
ভোটের মুখে আবারও বড় ধাক্কা তৃণমূলের। তাপসের পর এবার অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এদিন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এবারও তিনি ব্য়ারাকপুরে বিজেপির টিকিটে লড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ দলের তরফে তাঁদের আনুষ্ঠানিক যোগদানের কথা জানানো হয়। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তারপরই জল্পনা চলছিল তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে।
বর্তমানে অর্জুন রয়েছেন সাংসদ পদে। আর বিজেপির টিকিটে জিতেই এই পদে আসীন হয়েছিলেন অর্জুন। পরে দল বদলে ফেরেন তৃণমূলে। ৫ বছরের মধ্যে আবার পাল্টি! ফের গেরুয়া শিবিরে তিনি।
প্রসূন গুপ্তঃ সুখের দিনের বন্ধু এবং দুঃখে পলায়নের কথা তো চিরকালীন। রাজনীতিতে এর যোগ সবচাইতে বেশি। ৭৭-এ বামেরা মোটেই পূর্বতন কংগ্রেসীদের তাদের দলে নিয়ে নেয়নি, কারণ এটা তাদের ট্র্যাডিশন নয়। কিন্তু ২০১১-তে তৃণমূল আসার আগে থেকেই বাম দলগুলি থেকে গুন্ডা, বদমাস অথবা সমাজবিরোধীরা চেষ্টা করলো নতুন দলে আসার জন্য। শুধু তারাই নয়, নেতাদেরও জার্সি বদল শুরু হলো। ওই সময়ে তৃণমূলে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন মুকুল রায়। তিনি বাঁধন ছাড়া এই দলকে আশ্রয় দিয়েছিলেন দলে। প্রতিবাদ এসেছিলো ভীষণভাবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তাঁর এই প্রয়াসকে পাথেয় করে কমতি যাননি অন্য নেতারাও। যথা আপাতত জেলে থাকা বালু মল্লিক।
আজকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বুঝতে পারছেন কি সর্বনাশটি সংগঠিত হয়েছে। হাতে গরম প্রমাণ সন্দেশখালি। এরা সব সুখের পায়রা। এদেরই এক দল তৃণমূলে পাত্তা না পেয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলো। বলতে গেলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বেশিরভাগটাই প্রাক্তন সিপিএম। বাম থেকে রাম। এছাড়াও এমন বহু যুবক বা মধ্যবয়সী ২০১১-র পরে তৃণমূলে এসেছে। এরা জানেই না বা জানতে ইচ্ছুক নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি প্রচন্ড লড়াই লড়েছিলেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। অনেকেই নিজেদের আখের গোছাতে দল করছে। অবিশ্যি তৃণমূলের প্রবল শক্তির মধ্যে একটি দুর্বল স্থান সোশ্যাল নেটে তাদের ভূমিকা। যেখানে বিজেপি তুমুল শক্তিশালী বা শূন্যে থাকা সিপিএমও। দেখা গিয়েছে কয়েক মাস আগে তৃণমূল একটি আইটি সেল খুলেছে। চেষ্টা করছে তারা প্রচার করতে দলের, কিন্তু সুখের পায়রা এখানেও ঢুকে পড়েছে। তারা কমিটিতে না থাকলেও দাবি করছে তারা নাকি প্রচুর প্রচার করছে দলের হয়ে। আসলে কিছুই নয়। ওই জানান দিতে যে 'আমি দিদির লোক'।
গতকাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ জানালেন যে, আগামী ১০ মার্চ সকল ১১ টাতে ব্রিগেডে মহা সমাবেশ। এদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ। কাজেই একদল ওই যুবকরা বেজায় ক্ষুব্ধ। তারা পোস্ট করে দলেরই সমালোচনা করছে। এই নব্য তৃণমূলীদের কতটা ভরসা করা যায় তা নিশ্চিত ভাবনার।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। তার উপরে জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। রবিবারে ছুটির সকালে কয়েক মিনিটের আগুনে পুড়ে ছাই আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের কাছে ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়ি। প্রথমে আগুন, তারপর একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। মাত্র ১০ মিনিটে ভস্মীভূত গোটা বস্তি। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবুও হল না শেষ রক্ষা। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব ঝুপড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের জন্য এলাকার একটি মাঠে অস্থায়ী ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলরের তরফে। কিন্তু অসহায় মানুষগুলোযে সব হারিয়েছেন এক লহমায়। প্রয়োজনীয় নথিপত্র, সন্তানের পড়াশুনার বই, জমানো অর্থ আজ সবই আগুনের গ্রাসে। আগামী দিনে কীভাবে কাটবে তাদের বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুই।
বাঁচার রসদটুকুও কেড়ে নিয়েছে নিয়তি। ছাইয়ের স্তূপে পাগলের মতো তারা খুঁজে চলেছেন প্রয়োজনীয় নথিপত্র। তাদের চোখে মুখে ক্লান্তির সঙ্গে যেন মিশে রয়েছে নতুন করে বাঁচার জেদ। তবে এই দুর্দিনে প্রশাসনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস মেলায় আশার আলো দেখছেন নিঃস্ব অসহায় বাসিন্দারা।
১১ বছর আগে এমনই বিপর্যয়ে সম্মুখীন হয়েছিল এই বস্তি।একবছর পরেই পুনর্বাসন মেলার প্রতিশ্রুতি মিলেছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু ১১ বছরে ফেরেনি সুদিন। অস্থায়ী ভাবে রুবি আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতাল লাগোয়া বস্তিতে মিলেছিল ঠিকানা। আবারও সেই বস্তিতে আগুন। ফের সব খুইয়ে উদ্বাস্তু ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার। কবে হাল ফিরবে তাদের? স্থায়ী আশ্রয়ের অপেক্ষায় এখন শুধু দিন গুজরান।
বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। ফর্টিস হাসপাতালের কাছে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। একের পর এক গ্য়াস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। ইতিমধ্য়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, আগুনে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বাড়ি একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রথমে আগুন লাগে, তারপরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই নয়টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করেছে ওই এলাকায়। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
আগুনে পুড়ে ছাড়খাড় হয়েছে ঝুপড়িবাসীর সর্বস্ব। ছাই হয়ে গিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর অ্য়াডমিট কার্ড। কান্নায় ভেঙে পড়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী সহ ঝুপড়ি বাসিন্দারা।
পুরুলিয়া জেলা পুলিসের তৎপরতায় ভেস্তে গেল জঙ্গলমহলে পুনরায় মাও সশস্ত্র স্কোয়াড গড়ার ছক। তরুণ-তরুণীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে টেনে একটি চূড়ান্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র হাতে তুলে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু পুরুলিয়া জেলা পুলিসের তৎপরতায় বানচাল হয় সেই ছক। পুলিসের জালে ধরা পড়ে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা বেঙ্গল ইনচার্জ সব্যসাচী গোস্বামী।
সূত্রের খবর, ধৃত সব্যসাচী গোস্বামীর আরও বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। তথা- বাবু, কিশোর, পঙ্কজ, ও অজয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ তার মাথার দাম রেখেছে ১০ লক্ষ টাকা। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার করিডর তৈরির পরিকল্পনা ছিল মাওবাদীদের। যার দায়িত্ব দেওয়া হয় এই শীর্ষ নেতাকেই। ২০২২ সালের মার্চ মাসে অসমের গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব ভারতে মাও কার্যকলাপ নিয়ে একটি মামলা রুজু হয়। তারপরেই এনআইএ মাথার দাম ধার্য করে।
জঙ্গলমহল পুরুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে বেলগুমা পুলিশ লাইনে তাকে সামনে আনে জেলা পুলিস। এরপরে তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। এই নিয়ে পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছে সব্যসাচী গোস্বামী। ২০২১ সালে অসমের গোলাঘাট জেলায় তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাছাড়া ২০১৮ তে মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে এসটিএফ তাকে পাকড়াও করে। এর আগে ২০১৩ তে যাদবপুর থেকে গ্রেফতার হয়। তার আগে ২০০৫ সালে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রত্যেকবারই জামিন পেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে যায়।
কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম ইএম বাইপাস। সেই ইএম বাইপাসে দীর্ঘক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বাইপাসের দক্ষিণ অংশে শনিবার ছ'ঘণ্টা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
উল্লেখ্য, একাধিক রুট ডাইভারশনের কথা জানিয়ে অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিস। আজ শনিবার রাত ১০ টা থেকে রবিবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত ইএম বাইপাসের দক্ষিণ অংশে উভয় দিকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাটুলির কাছে ঘোষপাড়ায় ৪৫ মিটার লম্বা ফুটওভার ব্রিজ বসানোর জন্যই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে সিএমডিএ।
সিএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুট ওভারব্রিজ বসানোর জন্য ঘোষপাড়ার কাছে ক্রেন ও অন্যান্য মেশিন আনা হবে। সেই কারণে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল আনা হবে। যান চলাচলের জন্য একাধিক রুট ডাইভারশনও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোন পথে চলবে যানবাহন:-
•দক্ষিণ থেকে রুবি হাসপাতালের দিকে যাওয়া ভারী যানবাহন গুলিকে পাটুলি মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহন গুলিকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর, রাজা এসসি মল্লিক রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর হয়ে সুলেখা মোড় দিয়ে পুনরায় বাইপাসে পৌঁছতে হবে।
•দক্ষিণ থেকে রুবিমোড়গামী ছোট গাড়িগুলোকে বা যানবাহন গুলোকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর হয়ে পাটুলি আই ব্লক রোডে যেতে হবে। সেখান থেকে মোল্লা রোড ধরে তারা পুনরায় বাইপাসের দিকে যেতে পারবে।
•উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ভারী যানবাহন গুলিকে অভিষিক্তা মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহনগুলি অভিষিক্তা মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টর হয়ে রাজা এসসি মল্লিক রোড ও বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি কানেক্টর হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ছোট গাড়িগুলিকে পিয়ারলেস হাসপাতালের সামনের কাটআউট দিয়ে ঘুরে পঞ্চসায়র রোড, ঢালাই ব্রিজ ও গড়িয়া স্টেশন রোড হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে ঘোষপাড়া অঞ্চলে যাতায়াত করার সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং সেই দুর্ঘটনা রেকর্ড দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটার প্রতিরোধ করার জন্য ফুটওভার ব্রিজ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নার্সিংহোমে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্য়ুকে ঘিরে উত্তেজনা। পরিবারের অভিযোগ, নার্সদের গাফিলতির কারণে মৃত্য়ু হয়েছে ওই সদ্যোজাত শিশুর। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জগৎবল্লভপুর এর বড়গাছিয়ার একটি বোসরকারী হাসপাতালে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে সদ্যোজাত শিশুর আত্মীয়স্বজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবার মনীষা ঘোড়া নামের মহিলা ওই বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি হন। বুধবার সন্ধ্য়ে ছয়টা নাগাদ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। রোগীর পরিবারের দাবি, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের লোকজন রোগীকে এবং তাঁর বাচ্চাকে সুস্থ দেখেই বাড়ি গিয়েছিলেন।
এরপর এদিন ভোরে রোগীর বাড়িতে ওই নার্সিংহোম থেকে ফোন করে বলা হয় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি নার্সিংহোমে আসতেই দেখে ওই সদ্যোজাত শিশুটি মারা গিয়েছে। এই ঘটনার পরেও উত্তেজনায় রোগীর আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন নার্সিংহোম ভাঙচুর করেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, নার্সরা বাচ্চাকে ফেলে মেরে দিয়েছে।
পুজোর মুখে টলিউডে (Tollywood) ফের খুশির খবর। দ্বিতীয়াবার বাবা হলেন টলিউড সুপারস্টার জিৎ (Jeet)। তাঁর স্ত্রী মোহনা (Mohna) ফুটফুটে পুত্র (Baby Boy) সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মেয়ের পর এবারে জিৎ-মোহনার কোলে এল ছেলে সন্তান। সোমবার দুপুর ১ টা নাগাদ ইনস্টাগ্রামে তাঁর পরিবারের নতুন সদস্যের আসার খবর সবার সঙ্গে ভাগ করেন নেন জিৎ।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইনস্টাগ্রামে স্ত্রী মোহনা ও কন্যা নবন্যার সঙ্গে কিছু ছবি শেয়ার করেন জিৎ। তখনই তাঁর দ্বিতীয়বার বাবা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়াও ছবিগুলোতে মোহনাকে তাঁর 'বেবিবাম্প' ফ্লন্ট করতে দেখা যায়। এর পর অক্টোবরেই এল খুশির খবর। মেয়ের পর এবারে ছেলের বাবা-মা হলেন জিৎ-মোহনা। সোমবার জিৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, 'আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের ছেলে এই পৃথিবীতে এসেছে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন। এত সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের বলার ভাষা নেই।' পোস্ট শেয়ার করার পরই কমেন্ট সেকশন ভেসে গিয়েছে শুভেচ্ছার বন্যায়। তারকা থেকে অনুরাগীরা প্রত্যেকেই জিৎ-মোহনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাজনীতিক ফাহাদ আহমেদকে (Fahad Ahmed) বিয়ে করার পর অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের (Swara Bhaskar) জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে মা হয়েছেন তিনি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। সদ্যজাতের নাম দিয়েছেন রাবিয়া রমা আহমেদ (Rabiyaa Rama Ahmed)। দেখতে দেখতে পৃথিবীতে ৬ দিন কাটিয়ে ফেলেছে সে। তাই স্বামী ও পরিবারকে নিয়ে মেয়ের 'ষঠি' উদযাপন করলেন তিনি। শুধু উৎসব নয় পরিবারে ধর্মীয় মেলবন্ধন বজায় রাখতে তৎপর তিনি। নিজের সামাজিক মাধ্যমেই তুলে ধরলেন মেয়ের ষষ্ঠী উদযাপনের তাৎপর্য।
অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, বিয়ের পর থেকেই আমরা হিন্দু ও ইসলাম ধমের সাধারণ রীতি-রেওয়াজগুলো উদযাপন করছি। যাতে আমি আরও বেশি করে বিশ্বাস করেছি মানুষের মধ্যে যেকোনোওরকম বৈচিত্র থাকতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার ভাষা সাধারণ। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে সন্তানের জন্মের ষষ্ঠ দিনটিকে উদযাপন করা হয়। যেখানে মা এবং সন্তান হলুদ রঙের পোশাক পরে এবং পিসি সন্তানের মা বাবার চোখে কাজল দেয় সন্তানকে কুনজর থেকে বাঁচাতে।'
অভিনেত্রী এই অনুষ্ঠানে নিজেই গান গেয়েছেন। বিশেষ করে পুত্রসন্তানের আগমন উদযাপন করার জন্য 'সোহার' নাম একটি বিশেষ গান গাওয়া হয়। নিজের কন্যাসন্তানের জন্য সেই গান গেয়েছেন অভিনেত্রী। ভিডিওতে মেয়ে রাবিয়াকে কোলে নিয়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে ফাহাদকে। পরিবার পরিজনেরও উপস্থিতি ছিল সেইসঙ্গে।
সদ্যোজাত শিশুকে পাচার। এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে। অপারেশন থিয়েটার থেকে দুই টেকনিসিয়ান সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে লাভপুর থানার পুলিস। মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে পাচারকারীরা৷ ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের একটি নার্সিংহোমে। প্রাথমিক তদন্তে তথ্য মেলে পুলিসের হাতে৷
জানা গিয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর লাভপুরের বাসিন্দা এক প্রসূতিকে বোলপুরের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিল৷ সেদিনই একটি শিশুর জন্ম হয়। পুলিস সূত্রে খবর, অপারেশন থিয়েটার থেকেই সদ্যোজাতকে মাত্র ২০ হাজার টাকায় লাভপুরের কুর্ণাহারে বিক্রি করা হয় সদ্যজাত শিশুটিকে। পরে ফের ৭৫ হাজার টাকায় ওই সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি করা হয়৷ এই গোটা বিষয়টি সূত্রের মাধ্য়মে জানতে পেরে তদন্তে নামে লাভপুর থানার পুলিস।
সদ্যোজাত শিশু পাচার চক্রের ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের মধ্যে হেমন্ত মাজি ও সরূপ দাঁ দুজন আদ্যাশক্তি নার্সিংহোমের অপারেশন থিয়েটারের টেকনিসিয়ান৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পারে নার্সিংহোমের এই দুই কর্মীর প্রত্যক্ষযোগে রমরমিয়ে চলত শিশু পাচার৷ অপারেশন থিয়েটারে শিশু জন্মানোর পরেই সুযোগ বুঝে দরদাম ঠিক হয়ে যেত। কখনও পরিবারকে রাজি করিয়ে চলত শিশু পাচার, আবার কখনও সন্তান জীবিত নেই বলে পাচার করে দেওয়া হত৷
সোমবার ধৃতদের বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়৷ বিচারক ৭ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার পর থেকে নার্সিংহোমের অফিসে ঝুলছে তালা। হাসপাতালে নেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধুমাত্র হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের তরফে একজন ছিল। কিন্তু তাঁকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যান৷
টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি (Subhashree Ganguly) জীবনের সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন এখন। স্বামী রাজ চক্রবর্তী ও ছেলে ইউভানকে নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। সেই আনন্দই দ্বিগুন করতে আসছে নতুন সদস্য। চলতি বছরের জুলাই মাসে তারকা দম্পতি ঘোষণা করেন, তাঁদের ছেলে ইউভান বড় দাদায় উত্তীর্ন হয়েছে। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রী। সেই আনন্দেই সন্তান আসার আগে প্রথম সাধ খেলেন অভিনেত্রী।
এই অনুষ্ঠান খুব বড় করে হয়নি অবশ্য। কলকাতায় রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতেই ছোট করে আয়োজন করা হয়েছিল। সাধের দিন রাজ তো ছিলেনই, শুভশ্রীর মা-বাবাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন শুভশ্রী। রঙিন পোশাকে সেজেছিলেন হবু মা। চোখে মুখে স্পষ্ট মাতৃত্বকালীন জেল্লা।
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী। হাতে বেশ কিছু কাজ ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হতেই নিজের ইচ্ছেই বিরতি নিয়েছেন সিনেমা থেকে। এই পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'দশম অবতার'। এই সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল শুভশ্রীর। কিন্তু ঝুঁকি নিতে চাননি পরিচালক। তাই শুভশ্রীর বদলে সেই চরিত্রে জয়া এহসানকে নেওয়া হয়। তবে তাতে দুঃখ নেই শুভশ্রীর। তিনি আবারও মাতৃত্বের স্বাদের জন্য অপেক্ষা করছেন।
লোনের টাকা মেটাতে পারছিলেন না। সেই কারণে প্রতিবেশীর ২ বছরের বাচ্চার গয়না চুরি করে তাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে অভিযোগ উঠল মায়ামান বিবি নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাপের মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার সিকদারপুর এলাকায়।
নিজের বাড়ির সামনেই খেলছিল ২বছরের ওই শিশুকন্যা। আচমকাই শিশুটির মা সুমা খাতুন দেখেন তাঁর মেয়ে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হলে এক প্রতিবেশী জানান, অভিযুক্তের কোলে দেখা গিয়েছে বাচ্চাটিকে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই মহিলা অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন।
জানা গিয়েছে, লোনের কিস্তির টাকা জোগাড় করতে শিশুটির গায়ের গয়না খুলে নেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতেই শিশুটিকে শমসেরগঞ্জের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির দেহ উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।
পরপর তিন কন্যাসন্তান। স্ত্রী ও কন্যাদের বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুত্রসন্তানের জন্ম না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে আগেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। রবিবার স্ত্রী ও সন্তানদের খুনের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মালদার গাজোল থানার গোসানিবাগ এলাকার। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
পরিবার সূত্রে খবর, গাজোলের আলতোর গ্রামের বাসিন্দা অর্পিতা মণ্ডল। ১২ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই গৃহবধূর ও তার তিন কন্যা সন্তানকে মারধর করে জোর করে কীটনাশক খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কোনও মতে পালিয়ে গিয়ে দুই মেয়ে গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
টলিউডের (Tollywood) অন্দরে খুশির খবর। টলিউডের বেশ জনপ্রিয় ও অত্যন্ত পছন্দের এক জুটি গৌরব চক্রবর্তী (Gaurav Chakraborty) ও ঋদ্ধিমা ঘোষ (Ridhima Ghosh)। এবারে তাঁদের সংসারে এল নয়া অতিথি। বাবা-মা হলেন তাঁরা। শনিবার ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন ঋদ্ধিমা। রবিবার গৌরব পুত্রের নাম আনলেন প্রকাশ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট শেয়ার করে জানালেন কী নাম রাখা হল গৌরব-ঋদ্ধিমার ছেলের। নতুন অতিথি আসায় গোটা চক্রবর্তী পরিবার খুশির মেজাজে মজে। মা এবং ছেলে দু'জনেই সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, গৌরব-ঋদ্ধিমার পুত্রের নাম রাখা হয়েছে 'ধীর'। পোস্টটি নতুন বাবা-মা-এর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেই শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, 'গতকাল আমাদের জীবন আলোতে ভরে গিয়েছে। একগুচ্ছ আনন্দ ও অনেক সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের ছেলে এসেছে। তার এই সুন্দর সফর ভালোবাসায় ভরে উঠুক। সে হয়ত নিজের পথ নিজেই বাছবে, নিজের গল্প লিখে এই বিশ্বে তার ছাপ ছেড়ে যাবে। আমরা তোমায় ভালোবাসি ধীর।'
বহুদিনের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দিয়ে ২০১৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন গৌরব ও ঋদ্ধিমা। এরপর ২০২৩ সালে ঋদ্ধিমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দেন তাঁরা। এর পর থেকেই অনুরাগীরা তাঁদের প্রিয় জুটির সন্তানের জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হয়। আর এবারে প্রকাশ্যেও আনা হয়েছে পুত্রের নাম। এই পোস্ট শেয়ারের পর থেকেই কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে শুভেচ্ছা বার্তায়।