দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক যুক্ত পানীয় জলের সমস্য়ায় ভুগছিলেন এলাকাবাসী। বারংবার বিভিন্ন দফতরে জানিয়ে মেলেনি সুরাহা। অবশেষে সমস্য়া সমাধানের উদ্য়োগ নিলেন বারাসত সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। শনিবার সকালে এসে উপস্থিত হলেন বারাসতের কদমগাছিতে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রিজার্ভেসন পাইপ লাইন উদ্বোধন করলেন তিনি। এদিন শুরু হল পনোরো হাজার মানুষের বাড়িতে আর্সনিক মুক্ত পাইপ লাইন বসানোর কাজ।
এদিন কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়তে দেখা গেল খোদ সাংসদকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই জলের সমস্য়ায় ভুগছিলেন কদমগাছি এলাকার বাসিন্দারা। তাই তাঁরা যাতে আর্সেনিক মুক্ত জল পান করতে পারে সেই ব্য়বস্থাটাই শুরু করেছেন। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে কদমগাছিতে এসে রিজার্ভেসনের জন্য় আর্সেনিক মুক্ত পাইপলাইন উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে পনোরো হাজার মানুষের বাড়িতে পাইপ লাইনের ব্য়বস্থাও করেন তিনি।
এই উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বারাসত ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হালিমা বিবি, কদম্বগাছির অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবীর। তিনি সাংসাদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের এই উদ্য়োগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, অবশেষে এলাকাবাসীর বহুদিনের সমস্য়ার সমাধান করলেন তিনি। নিজ হাতে তুলে নিলেন সেই দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, আর্সেনিক যুক্ত জল পান করার ফলে শরীরে একাধিক রোগের বাসা বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অধিকাংশ মানুষ এই জল পান করায় অনেক মানুষের চর্ম রোগ পর্যন্ত হয়েছে। অনেকবার বিডিও অফিসে জানানো হলেও কোনও ব্য়বস্থা গ্রহন করা হয়নি। তবে অবশেষে সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারের উদ্য়োগে উদ্বোধন করা হল রিজার্ভেসন পাইপ লাইনের কল।
সুস্থ থাকতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল (Water) পান করা উচিৎ। জল আমাদের জীবন, জল ছাড়া এক মুহূর্তও চলা অসম্ভব, তা সবারই জানা। জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি খাবার হজম করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ক্রিয়াকলাপে সাহায্য করে জল। তবে জল খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে, তা কমবেশি সবার জানা থাকলেও অনেকেরই মনে সন্দেহ রয়েছে যে কখন জল পান করা উচিৎ। খাওয়ার আগে না পরে, ঠিক কখন জল পান করলে তা শরীরের জন্য লাভজনক হবে।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, খাওয়ার ঠিক ৩০ মিনিট আগে বা খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে জল পান করা উচিৎ। খাবার খেতে খেতে জল পান না করাই ভালো বলে পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। তাঁরা জানিয়েছেন, খেতে খেতে জল খেলে খাবার হজম হতে অনেক দেরি হয়। তাই খাওয়ার আগে এবং খেয়ে ওঠার কিছুক্ষণ পর জল খান। বিশেষত, যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগেই জল পান করা উচিৎ। আবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর জল খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সহ একাধিক পেটের অসুখ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
দুর্গাপুরের (Durgapur) লাউদোহার কুনুর নদী (Kunur River)এক সময় বাসিন্দাদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল। এই নদীর জলে এলাকার প্রতাপপুর, কাঁটাবেরিয়া সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ চাষবাস করতেন। কিন্তু সেই কুনুর নদীর জল (water pollution) আজ অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার চাষীদের কাছে। অভিযোগ, বেসরকারি গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থার বর্জ্য মিশছে নদীর জলে। চাষের জমিতে জল ব্যবহার করলে কমছে মাটির উর্বরতা। বন্ধ্যা হয়ে পড়ছে জমি। জল দূষণের কারণে সংকটের মুখে কৃষকদের রুজি রোজগার। তারপর আবার কুনুর নদীর সেতুও দুর্বল। ভেঙে গেছে সেতুর রেলিংও। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও তুলেছেন অনেকে।
চাষবাস হচ্ছে না, অথচ চাষবাসের উপর নির্ভরশীল এই কুড়িটি গ্রামের বেশ কয়েক হাজার মানুষ। যাঁরা অনেকে পরিস্থিতির শিকার হয়ে পেশা বদলে ফেলেছেন, আবার অনেকে আত্মহত্যার পথকেই বেছে নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, কুনুর নদীর সেতু দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে, ভেঙে গিয়েছে নদীর সেতুর রেলিং। বেহাল হয়ে পড়েছে নদীর উপরের রাস্তা। তা সত্ত্বেও আজ ভারী যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতাযাত করছে, এতে বিপদ আরও বাড়ছে।
গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থা কারখানা তৈরির জন্য এলাকার বেশ কিছু জমি ১৫ বছরের জন্য লিজে নেয়। অভিযোগ, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও জমিদাতারা পুনর্নবীকরণের টাকা পাননি। অভিযোগ, শুধুমাত্র শাসকদল ঘেঁষা জমিদাতারাই টাকা পাচ্ছেন। বিজেপি করার অপরাধে বঞ্চিত একাংশ জমিদাতা।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বেশ কিছু মানুষ কুনুর বাঁচাও আন্দোলনে নামেন। এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের। অবিলম্বে বেহাল সেতু আর রাস্তা সারাইয়ের দাবিও উঠেছে। অভিযোগ উঠছে এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার অপরাধে তাদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ, 'কুনুর বাঁচাতে যতদূর যেতে হয় ততদূর যাব। যে মুখ্যমন্ত্রী জমি আন্দোলনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছেন, আর তাঁর জামানায় কিনা ক্ষতির মুখে চাষিরা।'
যদিও এইসব বিজেপির নাটক বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব, দলের লাউদোহা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বিষয়টি জানি চাষীদের পাশে আছি। বিজেপির নাটকের প্রয়োজন নেই।'
কুনুর নদীর একটা ইতিহাস প্রেক্ষাপট আছে। অনেক লেখা রয়েছে এই নদীকে কেন্দ্র করে। কিন্তু কালের নিয়মে আজ এই নদী হাজারো প্রশ্নের মুখে। এর গতি কোথায় থামবে জানা নেই কারোর। তবে কুনুর বাঁচাও কমিটি বলছে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে কুনুরকে।
সৌমেন সুর: জলের আরেক নাম জীবন। তাই জলের জন্য যদি জীবন বিপর্যস্ত হয় তাহলে দায়ী আমরাই। আমাদের অসচেতনতা। কারণ অনেক সময় আমরা অযথা জল নষ্ট করি। জল যে আমাদের জীবনে কত বড় বন্ধু, তা মাঝেমাঝে সেটা আমরা ভুলে যাই। সমগ্র মানবকূলকে জলের প্রয়োজনে বাঁচতে প্রথমে চাই গণ-সচেতনতা। জল কোনোভাবেই নষ্ট করা চলবে না। আমাদের এই বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় রাস্তাঘাটে দেখা যায়, কল থেকে জল নির্গত হয়ে চলেছে অনর্গল, অথচ কেউ একজন এগিয়ে এসে কলটা বন্ধ করে দিচ্ছে নানা- এটা সম্পূর্ণভাবে মানব মনের অসচেতনতা। শুধু রাস্তাঘাট নয়, বাড়ির কলের ব্যাপারেও আমাদের জাগ্রত থাকতে হবে। জলের ব্যাপারে যেভাবে ভূগর্ভস্থ থেকে জল তোলা হচ্ছে তাতে একদিন না একদিন হয়তো দেশবাসীকে ওয়াটার ক্রাইসিসে ভুগতে হতে পারে। তাই এখন থেকে যদি আমরা সচেতন হই জল আমরা অযথা নষ্ট হতে দেব নানা, এই ভাবনা নিয়ে এখন থেকেই এগোতে হবে।
মানুষ যেসব রোগে আক্রান্ত হয়- তার অনেকগুলি জলবাহিত। সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য- আমাশয়, কলেরা, জন্ডিস, চর্মরোগ। ইদানিং কোন কোন অঞ্চলে আর্সেনিক পরিমাণ মাত্রারিক্ত হওয়ার ফলে ভয়ংকর রোগ দেখা দেয়। এইগুলি আমাদের ভালোভাবে নিরীক্ষণ করতে হবে। এসবের জন্য প্রয়োজন নাগরিক কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়া। ২০০০ সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘ W. H. O মাঝেমধ্যেই বিশুদ্ধ পরিশ্রুত জলের অভাব মেটাতে গড়ে উঠেছে এক নতুন শিল্প। জল শিল্প। কিছু সংস্থা বোতলে মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে বাজারে ছেড়েছে। ১ লিটার মিনারেল ওয়াটার, এক লিটার দুধের দামের মধ্যে সামান্য পার্থক্য। তবে এইসব সংস্থার দাবি মতো, ওই পানীয় জল কতটা বিশুদ্ধ সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
প্রাত্যহিক জীবনে একটা দিন অনাহারে কাটানো যায়, কিন্তু জল ছাড়া একটা দিন ভাবা যায় না। সভ্যতার অগ্রগতি একটার পর একটা প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে। এবার জলের পালা। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, সমস্ত প্রাণীকুলকে বাঁচাতে জল যেন আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। তেড়ে গণ আন্দোলন করা উচিত। আগামী দিনে জল অপচয় যেন আমরা না করি। অপচয় করলে একদিন না একদিন আমাদের বিশাল বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
জলের (Water) অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা একেবারেই অচল। তাই বেশী করে জল পান করা উচিত। এমনটা ছোট থেকে সবাই আমরা মেনে চলি। তবে এবারে এক মহিলার (Woman) মৃত্যু হল জল পান করেই। শুনতে অবাক লাগছে তো! তবে এটাই সত্যি। জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলা 'ডিহাইড্রেশন' (Dehydration) অনুভব করায় মাত্র ২০ মিনিটে পান করেন চার বোতল জল যা প্রায় ২ লিটার। আর এরপরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA)।
সূত্রের খবর, আশলে সামার নামে এক ৩৫ বছর বয়সী মহিলা দুই কন্যা সন্তানের মা। তিনি তাঁর স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এরপরই তিনি ডিহাইড্রেটেড অনুভূত করেন। ফলে তিনি প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে ১.৮৯ লিটার জল পান করে নেন। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গা-হাত-পা ব্যথা, মাথা ঘুরে যাওয়ার মত উপসর্গ দেখা যায় তাঁর মধ্যে। তারপরই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আশলের মৃত্যুর কারণ বলতে গিয়ে চিকিৎসকরা জানান, আচমকা খুব কম সময়ের মধ্যে এত পরিমাণে জল পান করার ফলে বিষক্রিয়া হয়ে যায়। 'জলে বিষক্রিয়া', যাকে চিকিৎসার ভাষায় বলে 'হাইপোনাট্রেমিয়া'। আর এর কারণেই আশলের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। অতিরিক্ত জল পান করার জেরে রক্তে সোডিয়াম, পটাসিয়াম কমে যায় এবং তার ফলেই আশলের মৃত্যু হয়। জল পান করার ফলেও যে কারোর মৃত্যু হতে পারে, তা জানতে পেরে তাঁর পরিবার হতবাক। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, জল পান করা শরীরের জন্য উপকারী, তবে তা পর্যাপ্ত পরিমাণেই পান করা উচিত।
জল (Water) আমাদের জীবন। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে আমাদের নিত্যদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। এমনকি এমন অনেক রোগ আছে, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলেই তার থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এসব কথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু জানেন কি, জল কীভাবে খাওয়া উচিত, তা জানাও শরীরের পক্ষে খুবই জরুরী। অনেকের মধ্যেই এমন ধারণা রয়েছে যে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জল পান করা উচিত নয়। তবে এটা সত্যি না মিথ্যা, তা নিয়েই অনেকেরই সংশয় রয়েছে। তবে এবারে জানুন, পুষ্টিবিদরা কী বলছেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, জল কখনওই দাঁড়িয়ে খাওয়া উচিত নয়। জল সবসময় বসে খেলেই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কারণ দাঁড়িয়ে জলপান করার পরেই তা দ্রুত গতিতে শরীরের নীচের অংশে পৌঁছে যায়। ফলে দেহের ফ্লুইড ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়। দাঁড়িয়ে জলপানের কারণে খাদ্যনালী হয়ে সরাসরি পাকস্থলীতে পৌঁছে যায় যা পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর। এমনকি দাঁড়িয়ে জল খেলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। আবার কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় যে, দাঁড়িয়ে জলপান করলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বদভ্যাসটা ছাড়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। তাই তাঁরা বলেন, জল সবসময় শান্তভাবে বসেই পান করা উচিত।
গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের (Water) কল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বারাসত বুথ বিজেপি দখল করার ক্ষোভে প্রতিবাদ জানাতে এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়ের ব্লকের নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও বিষয়টি জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
গ্রামবাসীদের দাবী, রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকেরা গ্রামে থাকা একটি মাত্র পানীয় জলের কল ভেঙে দিয়েছে। তবে হঠাৎ কেন এই পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেওয়া হয় এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বারাসত বুথ বিজেপি দখল করেছে এবং তারই প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কর্মীরা রাতের অন্ধকারে গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের কলটি ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ উঠছে। গ্রামে একটিমাত্র পানীয় জলের কল ভেঙে ফেলাতে এই মুহূর্তে চরম জল সংকটে ভুগছেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা। তবে কি তৃণমূলের পাশে না থাকলে এভাবেই কি সাধারণ মানুষদের সমস্যায় পড়তে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষরা।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, এলাকায় মানুষের উন্নয়ন না করে এলাকায় মানুষের ক্ষতি করছে। তৃণমূল মানেই দুষ্কৃতী। আর তাদের কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
অন্য়দিকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামে বেশ কিছু পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি জয়লাভ করে। এই আক্রোশে ওই সংসদের বেশ কিছু পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বিজেপি সমর্থিত গ্রামবাসীদের একাংশকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও এই ভাবে কল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। শুধু পানীয় কল নয় রাতের অন্ধকরে নল কূপের সাবমারসিবল পাম্পের বিদ্যুৎ-এর তারও কেটে দেয় বলেও অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের শাসক দল।
কল আছে জল নেই। সরকারি কুয়ো থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সংস্কারের অভাব। ফলে শুকিয়ে গেছে কুঁয়োর জল। দুর্গাপুরের (Durgapur) রঘুনাথপুর ধোবিঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্যাপক জলের সমস্যায় (Water Problem)জেরবার স্থানীয়রা। অভিযোগ, বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। এছাড়াও নির্বাচনের আগে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে ভোট দিলেই মিলবে সমস্ত প্রতিশুতির বাস্তব রুপায়ন। কার্যত এখন এক অথৈই জলে পড়ে রয়েছে দুর্গারের অঞ্চলের মানুষজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা নিজেরা ট্যাকের পয়সা খরচা করে কুয়ো ঠিক করেছিলেন। এখানকার অধিকাংশ মানুষ দৈনন্দিন শ্রমিক। তাই এখন কুয়ো ঠিক করতে না পেরে সেই কুয়ো শুকিয়ে পড়ে রয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন এই অঞ্চলগুলিতে। কিন্তু জলের ভরসা বলতে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তৈরী হওয়া কিছু কুয়ো আর সামনে থাকা টাউনশিপ এলাকা। কখনও কখনও কিনেও খেতে হয় জল। তীব্র গরমে পুকুরও গেছে শুকিয়ে। সব মিলিয়ে এক অসহনীয় যন্ত্রণার মুখে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুর ধোবিঘাট এলাকার একাংশ মানুষজন। অভিযোগ, ভোটের সময় নেতারা এসে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু ভোট মিটতেই সব শেষ। তাঁদের একটাই দাবি অবিলম্বে তাঁদেরকে জল দিতে হবে নয়তো আগামী দিনের যে নির্বাচন রয়েছে সেখানে তাঁরা অংশগ্রহন করবে না।
তাপমাত্রার পারদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তার মধ্যেই জল সংকট (Water Problem) যেন মাথা চাডা় দিয়ে উঠেছে। এই গরম আবহাওয়ার মধ্যেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর এলাকার মানুষদের। তবে বারবার এই সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না ওই এলাকায়, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার জলের পাম্পের অবস্থা খুবই সোচনীয়। ফলে পানীয় জলের ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আবার কখনও কখনও জল মিললেও তা পানের অযোগ্য। তবে প্রশাসন থেকে জলের সমস্যার সমাধান না করায়, ওই অপরিশুদ্ধ ঘোলা ও হলদে জল খেয়ে প্রতিনিয়ত পেটের সমস্যায় কষ্ট পেতে হচ্ছে এলাকার বাচ্চা সহ বড়দের।
স্থানীয়দের দাবি, অতীতে জলের এই করুণ পরিষেবা ছিল না। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে এই পরিশুদ্ধ জল পরিষেবার সমস্যা। জসুনউদ্দিন নামে এক স্থানীয় জানিয়েছেন, 'পাম্পের ফিলটার ঠিক মতো কাজ করে না, ফলে জলে থাকে আয়রণের মিশ্রন। এমনকি বেশিরভাগ সময়ই জলের কল দিয়ে বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল। ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়।'
তীব্র গরমে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকট এলাকায় (Waterproblem)। পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো (Demonstration) বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বড়জোড়া ব্লকের অন্তর্গত খাঁড়ারী গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরীশা গ্রামের মহিলারা। ফুলবেড়িয়া থেকে রামহরিপুর রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, পানীয় জলের সমস্যার কথা প্রশাসনকে বারংবার জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সুব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।
শনিবার, সকাল থেকে গ্রামের মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে মেটিয়া পাড়ার মোড় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এর পর রাজ্য সড়কের মাঝে কলসি বালতি রেখে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকারি আধিকারিকরা এসে পানীয় জলের সুবিধা করে দিচ্ছে ততক্ষণ অবরোধ থেকে উঠবে না এমনটাই দাবি করেন ওই মহিলারা। পাশাপাশি আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে পথ অবরোধ থাকার ফলে ভোগান্তির শিকার হয় বহু মানুষ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বড়জোড়া থানার পুলিস। বিক্ষোভকারী মহিলাদের সাথে কথা বলেন তাঁদের অভিযোগের কথা শুনে ব্লক অফিসে জানানোর পর সরকারি অফিসার আসে ঘটনাস্থলে। এর পরে পুলিস ও সরকারি আধিকারিকরা বোঝানোর পরে পথ অবরোধ থেকে বিক্ষোভকারীরা উঠে যান। বড়জোড়া থানার পুলিসের তৎপরতায় যানবাহন চলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। নিরীশা গ্রামের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে পানীয় জলের কারণে ভুগছে গ্রামবাসীরা। এখন দেখার বিষয় গ্রামের মানুষ প্রশাসনের কাছ থেকে কত শীঘ্রই পানীয় জলের সুবিধা পায়। সেই দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
চলছে তীব্র দাবদাহ। এই দাবদাহে যখন জলের ব্যাপক সংকট (Waterproblem) চলছে, ঠিক তখনই সরকারি স্তরে উদাসীনতার ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের (Durgapur) ডিভিসি মোড়ের কাছে। দেখা গিয়েছে, জলের পাইপ লাইন ফেটে জল বেড়িয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক দিন ধরে জলের এই অবস্থা।
গরমের তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। পাল্লা দিয়ে যেমন বাড়ছে লোডশেডিং, ঠিক তেমনি ব্যাপক জল সংকট শুরু হয়েছে দুর্গাপুর শহরের বেশ কিছু প্রান্তে। এই গরমে জলের ব্যাপক সংকটে দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে জলের পাইপ লাইন ফেটে বিপত্তি। এক আধ দিন নয় টানা তিন দিন ধরে জলের পাইপ লাইন ফেটে জল বেড়িয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সড়ক সার্ভিস রোড পর্যন্ত সেই জল পৌঁছে যাচ্ছে। জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড সংলগ্ন ডিভিসি মোড় রোটারির কাছে দাঁড়িয়ে পড়েছে সেই জল। জলের ব্যাপক অপচয় নিয়ে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ। যখন মানুষ জল কিনে খাচ্ছে, ব্যাপক সংকট চলছে জলের, ঠিক তখনই সরকারি বাবুদের উদাসীনতায় জলের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে ঠিক শহরের বুকে।
দুর্গাপুর নগর নিগমের জল দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের দায়সারা মনোভাবে এই বিপত্তি ঘটেছে। জলের পাইপ লাইন ঘেঁষে বিদ্যুতের কেবিল নিয়ে যাওয়া হয়েছে আর এতে পাইপ লাইন সংস্কার করতে গিয়ে বিপদের আশংকাতে কাজ করতে পারছে না দুর্গাপুর নগর নিগম। দুর্গাপুর শহরের বুকে জলের এই ব্যাপক অপচয়ে, আর সরকারি স্তরে উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
জলের (Water) বালতি সরানোকে কেন্দ্র করে বচসা। আর সেই বচসার জেরে প্রতিশোধ নিতে হকিস্টিক এবং রডের আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। যার ফলে প্রাণ (Death) গেল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি (Naihati) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড লিচু বাগান এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নৈহাটি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে ওই যুবকের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন নৈহাটি থানার পুলিস (Police)। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস অভিযুক্ত দু'জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করে। দু'জন অভিযুক্তকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিশাল মিশ্র (১৯)। অভিযুক্তদের নাম প্রিন্স ঝাঁ ও অপরজন বিনয় ঝাঁ।
সূত্রের খবর, সামান্য জলের বালতি সরানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরবর্তীতে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। তারপরেই ওই বছর উনিশের যুবকের মাথায় লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁরই প্রতিবেশী প্রিন্স ঝাঁ এবং তার বাবা বিনয় ঝাঁ নামে দুই ব্যাক্তি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। আহত বিশালকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃতের পরিবারের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে ফাঁসি দেওয়া হোক।
রয়েছে কল (Pump) কিন্তু নেই জল (Water)! ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। খানাকুলের (Khanakul) শংকরপুর দক্ষিনপাড়া অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের অবস্থা খানিকটা এরকমই। এই চিত্র সিএনে তুলে ধরার পরই তৎপর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শীতল মন্ডল। খানাকুলের এই আই সি ডি এস সেন্টারে জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সাব মার্সেল থাকলেও নেই জল। ফলে জল আনতে যেতে হয় অন্যত্র। অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কাজের কাজ হয়নি কিছুই।
পঞ্চায়েত প্রধান শীতল মন্ডলকে ছোট ছোট শিশুদের স্কুলে জলের সমস্যা কেন সমাধান করা হয়নি এই বিষয়ে প্রশ্ন করে সিএনের প্রতিনিধি। তারপরই দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আই সি ডি এস সেন্টারে হাজির হন প্রধান। তিনি আশ্বাস দেন যত দ্রুত সম্ভব, জলের সমস্যা মেটানো হবে।
জলের (Water) দাবিতে পথ অবরোধ। টাকি রোড (Taki Road) অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখালেন দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকাবাসী। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি।
দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা। ভুক্তভুগী স্থানীয় মানুষজন। যার কারণে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এরফলে বাড়ছে পেটের রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। এই গরমের মধ্যেও প্রতিদিন পানীয় জল আনতে যেতে হয় গ্রামবাসীদের অনেক দূর। বাধ্য হয়ে সোমবার টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
গ্ৰামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলছে জলের সমস্যা। পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। যা তাঁদের পক্ষে প্রতিনিয়ত সম্ভব নয়। যার জন্য ক্ষোভে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিন তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আদৌ কি হবে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান? উত্তর অধরাই।
জলের (Water) দাবিতে পথ অবরোধ। টাকি রোড (Taki Road) অবরোধ করে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখালেন দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকাবাসী। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানিয়েও পানীয় জলের সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি।
দেগঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েতের চট্টলপল্লী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা। ভুক্তভুগী স্থানীয় মানুষজন। যার কারণে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এরফলে বাড়ছে পেটের রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। এই গরমের মধ্যেও প্রতিদিন পানীয় জল আনতে যেতে হয় গ্রামবাসীদের অনেক দূর। বাধ্য হয়ে সোমবার টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার পুলিস। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
গ্ৰামবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলছে জলের সমস্যা। পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। যা তাঁদের পক্ষে প্রতিনিয়ত সম্ভব নয়। যার জন্য ক্ষোভে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে আগামী দিন তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আদৌ কি হবে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান? উত্তর অধরাই।