Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Water

Water: দুর্গাপুরে অবৈধভাবে পাম্প লাগিয়ে ভূগর্ভস্থ জল 'চুরি', জলসংকট আতঙ্ক

বোরিং করে দেদার ভূগর্ভস্থ জল চুরির অভিযোগ দুর্গাপুরে। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লী এলাকায় রীতিমতো সাবমার্শাবেল পাম্প লাগিয়ে চলছে ভূগর্ভস্থ জল চুরি। যার জেরে লাগোয়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও বেশ কিছু জায়গায় জলের স্তর নেমেছে। ব্যাপক ভোগান্তির মুখে দুর্গাপুরের বেশ কিছু এলাকার মানুষ। অভিযোগ, 'বোরিংয়ের অনুমতি পুরসভা দেয় না। কিন্তু কীভাবে বোরিং চলছে জানা নেই। একটা চক্র সম্ভবত মোটা টাকার বিনিময়ে এই সাবমার্শাবেল পাম্পগুলি লাগিয়ে জল চুরি চলছে। যার জেরেই এই ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। ভবিষ্যতে আরও সংকট তৈরি হবে।'

এই বিষয় নিয়ে সিপিএম-এর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, 'বামফ্রন্টের আমল থেকে ভূগর্ভস্থ জল কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার একটা আইন আছে। প্রোমোটাররা যেভাবে ফ্ল্যাটের জন্য সাবমার্শাবেল ব্যবহার করছে তার ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। যার ফলে জলসংকট অতি দ্রুততার সঙ্গে আসছে।' 

এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি বলেন, 'দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকায় সাবমার্শাবেল পাম্প ব্যবহার করতে পারে না। তবুও করলে প্রথমে কর্পোরেশনের এনওসি লাগবে, পরে ওখানে যিনি জল দফতরের দায়িত্বে আছেন তাঁকে জানানো উচিত। প্রকৃত অর্থে কর্পোরেশনের এই বিষয়গুলিকে রেইড করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা উচিত।'    

  দুর্গাপুরের নগর নিগমের সদস্যা রাখী তেওয়ারি বলেন, 'এই বিষয়ে কর্পোরেশনেও একটা লিখিত অভিযোগ এসেছে। এই অবৈধ বোরিং করার কথা আমি জল দফতরের দায়িত্বে থাকা দিলীপ লাহাকে জানিয়েছি। নিশ্চয় কর্পোরেশন যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন। কারণ এভাবে যেখানে সেখানে বোরিং করার নিয়ম নেই। আর দুর্গাপুরে যাতে জলসংকট না হয় তার পূর্ণ প্রচেষ্টা করবে কর্পোরেশন।'

one year ago
Water: তীব্র জল সংকটে গ্রাম, পানীয় জলের জন্য ভরসা দেড় কিমি দূরের পাড়া

রাস্তা-ব্রিজের সঙ্গেই এবার জল সংকট (Water Problem)। মন্দিরবাজার ব্লকের কেচারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামভদ্রপুর গ্রামের মাঝেরপাড়া (Majherpara) এলাকায় দীর্ঘদিন জল সংকটে ভুগছেন এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জল। এলাকায় কল না থাকায় পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তরপাড়া এবং দক্ষিণপাড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আসলেই জনপ্রতিনিধিরা জলের কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত করতে পারেনি কেউ। 

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, রামভদ্রপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ে রয়েছে একটিমাত্র ডিপ টিউব কল। কিন্তু আয়রনের জন্য সেই জলও খাওয়া যায় না। আবার কখনও এই কলে উঠে আসছে ঘোলা-নোংরা জল। যা কোনওভাবেই খাওয়ার উপযুক্ত নয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সবদিনই উত্তর এবং দক্ষিণ পাড়ার পানীয় কলের উপরে নির্ভর করতে হয় এই মাঝেরপাড়ার ১০০-১৫০ পরিবারকে। 

তাঁদের দাবি, এত দূর থেকে জল আনতে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় পুকুরের জলই তাঁদের ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পুকুরের জলের স্তর কমে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাঝেরপাড়ার মানুষদের। দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই যেন তারা জল পরিষেবা পায়।

যদিও এই বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, জল নিয়ে রাজনীতি করছে শাসক দল। ভোট আসলেই বলে কল পাইয়ে দেবে। আর ভোটে জেতার পর খোঁজ মেলে না এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের। তাই এবার কল নিয়ে তারা আন্দোলনে নামবে গ্রামবাসীদের নিয়ে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার ভোট লড়বে বিজেপিও। 

বিরোধীদের এই কথায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বনাথ হালদার জানান, 'জল নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। তৃণমূল কেচারপুরে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে। তাহলে কি কেচারপুরের কলের জল বিরোধীরা খায় না?' তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যেই কলের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কাজ শুরু হবে।' 

one year ago
Water: জলপাইগুড়ির গ্রামে পানীয় জল সংকট, দুটো কলে অপর্যাপ্ত সরবারহে বেকায়দায় ৪০০ পরিবার

জলই জীবন আর সেই পানীয় জল নিয়ে ভোগান্তিতে (Water Crisis) সাধারণ মানুষ। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগৎ সিং কলোনী এলাকার ঘটনা। জলের কল মাত্র দুটো। তার মধ্যে সরু সুতোর মত জল পড়ছে। এলাকার অনেককেই পানীয় জল কিনে খেতে হয়। ফলে পানীয় জল নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ।

এলাকাবাসীরা জানান, জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগৎ সিং কলোনী এলাকায় প্রায় চারশো পরিবারের বাস। এই গোটা এলাকায় সব মিলিয়ে দুটো জলের কল মাত্র। সেই জলের কল দিয়ে আবার সরু সুতোর মত জল পড়ে। এমনকি প্রায়শই জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে আয়রনের গুঁড়ো। যার জেরে কলের মুখে কাপড় বেঁধে জল নিতে হয়। এমনকি কল দিয়ে জল আসতে পড়ার ফলে ঘন্টাখানেক দাঁড়ালে তবেই বালতি-কলসি ভর্তি করা যায়। এলাকাবাসীরা আরও জানায়, গ্রামের পঞ্চায়েতের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনও সুরাহা মেলেনি।

বিজোপি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ জানান, 'তত্কালীন পৌরসভার চেরম্যান এই দুটো কল করে দিয়েছিল। তাহলে পঞ্চায়েত ওখানে কী কাজ করেছে? গ্রামের চারশো পরিবারের পর্যাপ্ত জলের চাহিদাও মেটাতে পারেন না। শুধু তাই নয়, ওই দুটো জলের কলের রক্ষণাবেক্ষণও করছে না পঞ্চায়েত।' তিনি আরও বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট আসলেই শুধু প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতির মেলে। কিন্তু পূরণ করা হচ্ছে না কোনও প্রতিশ্রুতিই।'

তবে সিএন-এর ক্যামেরার সামনে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা অমিতা মিত্র এক সপ্তাহের মধ্যে জলের কল ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছেন।    


one year ago


Water: ২৪ ঘন্টা জল বন্ধ থাকছে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায়, জানুন কোথায়

শনিবার সকাল ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতার একটি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পুরসভার জল সরবরাহ বন্ধ (water supply closed)। মূলত পুরনো পাইপলাইন বদলানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত পুরসভার (kmc)। ইতিমধ্যেই পুরসভা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এসপি পাইপলাইনে (water pipeline) বেশ কয়েক মাস ধরে ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছিল এবং তার জেরেই পাইপলাইন বদলের সিদ্ধান্ত পুরসভার। এর জন্যই ২৪ ঘন্টা জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এছাড়াও গার্ডেনরিচ জল প্রকল্পের সংস্করণ এবং একাধিক বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের মেরামতির জন্য এই অঞ্চলগুলিতে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। যার জেরে কলকাতার ৮ ও ৯ নম্বর বোরো অঞ্চলের এবং ১০, ১১, ১২ নম্বর বোরো অঞ্চলের সাধারণ মানুষ জল পরিষেবা থেকে বিঘ্নিত হবে। পাশাপাশি রাসবিহারী, যাদবপুর, কালীঘাট, গল্ফগ্রিন, টালিগঞ্জের মতো একাধিক অঞ্চলের একটি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জল সরবরাহ বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সাধারণ সানুষের এতে খুব সমস্যা হবে। গোটা দিন জল সরবরাহ বন্ধ থাকলে কাজ আটকে থাকবে। সেক্ষেত্রে কেনা পানীয় জল ব্যবহার করতে হবে।

one year ago
Water: পানীয় জলের দাবিতে পথে স্থানীয়রা!সারেঙ্গা-নামখানায় অবরোধ

পানীয় জলের দাবিতে বালতি-কলসি নিয়ে পথঅবরোধ। সারেঙ্গা থেকে ব্রাহ্মণডিহা যাওয়ার রাস্তায় কাশীবনে পথঅবরোধ। অন্যদিকে নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর অতি পাড়া এলাকাতেও পথ অবরোধ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় এই অবরোধ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিস। অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পুলিস অবরোধ  তুলে দেয়। 

কল আছে জল নেই দীর্ঘ এক বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলের কল। টাইম কল থাকলেও সেই জলের কল থেকে পড়ে না জল। গ্রামের মহিলাদের তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দু মাসেরও বেশি সময় ধরে পড়ছে না জল। পরে একটি সাব মার্সিবল থেকে পাইপ লাইন করে ওই জলের ট্যাপ করা হয়েছিল। রাস্তার কাজ চলাকালীন ওই পানীয় জলের ট্যাপের পাইপ ভেঙে যায়। যার ফলেই এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারংবার প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত করেও মিলছে না কোনও সুরাহা। এমনকী গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে একবার সারিয়েছিলেন ওই কলগুলি। তাদের দাবি, ভোট আসে ভোট যায় নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও বরাবরই চাপা পড়ে যায়। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জলের কল সংস্কার করতে হবে।

এই নিয়ে সারেঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখর রাউত জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

one year ago


Basirhat: জলের পাইপ বসাতে মাটি খুঁড়তেই উঠলো কলসি, তাজ্জব কাণ্ড বসিরহাটের গ্রামে

পানীয় জলের পাইপ লাইন (Water Pipe Line) বসাতে মাটি খুঁড়তেই অবাক কাণ্ড বসিরহাটের গ্রামে। জেসিবিতে উঠে এসেছে শতাব্দী প্রাচীন রুপোর মুদ্রা। জানা গিয়েছে, সেই মুদ্রাগুলোয় ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria) এডওয়ার্ড সেভেনের প্রতিকৃতি রয়েছে। ঐতিহাসিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে খনন এলাকায়। অনেকে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন কয়েকটি মুদ্রা (SilverCoin)। তবে কে বা কারা এই মুদ্রা এভাবে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে, খোলসা করতে পারেননি গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার সময় বস্তা সমেত কলসিভর্তি কয়েন উঠে এসেছে। কয়েকটি মুদ্রা গ্রামবাসীরাও নিয়ে গিয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষদের সম্পত্তি বলেই মনে হচ্ছে। এছাড়া আর কী হবে! অপর এক স্থানীয় জানান, জলের পাইপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে টাকা পেয়েছে। আমি যতটা শুনেছি একশো-দেড়শো পিস পেয়েছে। আগেকার দিনে লোকে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতো না, এভাবেই মাটির ভাঁড়ে টাকা রাখতো। সেই টাকাগুলো কিনা ঠিক বলতে পারব না।

one year ago
Birbhum: পানীয় জলের অভাব, পুকুরের জলেই গবাদি পশু-মানুষের স্নান, শুদ্ধ জলের জন্য বীরভূমের গ্রামে হাহাকার

পানীয় জলের (drinking water) অভাবে পচা পুকুরের জল ব্যবহার। শুধু তাই নয়  পানীয় জল আনতে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার দূর যেতে হচ্ছে, এমনই অভিযোগ বীরভূমের (Birbhum) বানীওর পঞ্চায়েত দক্ষিণ বানীওর গ্রামে। যদিও পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু কবে মিলবে সুরাহা? জানেন না কেউই।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বানীওর গ্রামে প্রায় ৭০টি পরিবারের বাস। সেখানে দুটি টিউবওয়েল ছিল আগে। যার মধ্যে একটি টিউবওয়েলের জল থেকে পোঁকা বের হতো। বর্তমানে সেটিও অকেজো। অন্য একটি কল থেকে জল উঠতো না। সেটিকে ঠিক করার জন্য প্রায় দু'মাস আগে টিউবওয়েল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও সেই টিউবওয়েল ঠিক করা হয়নি। এর জেরে যেমন স্নান থেকে মুখ ধোওয়া বা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হচ্ছে গ্রামের পুকুরের জলেই। যে পুকুরে গবাদি পশুর সঙ্গে মানুষকেও স্নান করতে হয় বলে অভিযোগ। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বড় থেকে ছোট সব বয়সের মানুষরাই।

পানীয় জলের জন্য যেতে হয় একদিকে প্রায় ৫০০ মিটার, অন্যদিকে প্রায় ৭০০ মিটার। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রধান-সহ ব্লক প্রশাসন এমনকি বিধায়ককে জানিয়ে এখনও জলের সুরাহা হয়নি। তাই পানীয় জলের জন্য এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। তবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তিনিও এই বিষয় প্রধানকে জানিয়েছেন। দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পঞ্চায়েত সদস্য। তবুও প্রশ্নটা সেখানেই রয়ে গিয়েছে, আর কত দিন এই পচা জল ব্যবহার করতে হবে? কবে শুদ্ধ পানীয় জল মিলবে? তার দিকেই এখন তাকিয়ে দক্ষিণ বানীওর গ্রামের মানুষ।

one year ago
Nadia: পানীয় জলের জন্য হাহাকার নদীয়ার দুই গ্রামে, অবরোধ-প্রশাসনিক আশ্বাস! বদলায়নি চিত্র

পানীয় জলের (water) হাহাকার। তবুও নেই কারও হুঁশ, বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। ঘটনাটি নদিয়া (Nadia) জেলার চাকদহের। প্রায় ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় রাস্তা অবরোধ থাকার পর শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) এবং পিএইচই-এর আধিকারিক এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে তিনদিনের সময় নিয়ে জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। তাঁদের আশ্বাসে অবশেষে আন্দোলন উঠে যায়। কিন্তু রয়ে গেল আরও একটি জট। কারণ, ওই রাস্তা অবরোধ, আন্দোলন বা পানীয় জলের দাবি রেখেছিলেন পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবৎ চাকদহ (Chakdaha) থানার অন্তর্গত শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এলাকার পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে রাস্তা অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। এদিকে, পানীয় জলের দাবি রেখেছিল রাউতারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ঘটনাস্থলে আসেননি।

গত শনিবার পথ অবরোধের পর প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দেয় তিনদিনের মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করবে এলাকায়। সেইমত মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে অল্প পরিমাণে ব্যবহারের জল কলে আসলেও তারপর থেকে আর জল আসছে না বলে অভিযোগ। একইভাবে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েই গেল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি, জলের অভাবে শাকসবজি কিনছেন না এলাকাবাসীরা। 

one year ago


Durgapur: পাইপ ফেটে বেড়িয়ে চলেছে জল, উদাসীন প্রশাসন! জলসঙ্কট নিয়ে উদ্বেগে স্থানীয়রা

জলের পাইপ লাইন (pipe line) ফেটে বিপত্তি। এক-আধ দিন নয়, টানা একমাসের ওপর পাইপ লাইন ফেটে প্রতিনিয়ত জল (water) বেড়িয়ে যাচ্ছে। একদিকে যখন শহরের একাংশে জল সংকট রয়েছে, তখন শহর দুর্গাপুরের (Durgapur) বুকে এমন ছবিতে ফের প্রশ্ন উঠলো নাগরিক পরিষেবার মান নিয়ে। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের (City Center) অদূরে জহরলাল নেহুরু এভিনিউয়ের রাস্তা।

পানীয় জলের তীব্র হাহাকার, কোথাও পাইপ লাইন বসেছে তো জলের সংযোগ জোড়েনি আবার কোথাও বা পানীয় জলের ভরসা বলতে একমাত্র রাস্তার কল ছাড়া বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই। আবার কোথাও কোথাও দুটোর কোনওটাই নেই। অনেক দূর থেকে হয় জল নিয়ে আসতে হয়। নচেৎ জল কিনে খেতে হয় স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, শহরের বেসরকারি এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঠিক মূল গেটের সামনে টানা একমাস ধরে মাটির তলাতে থাকা জলের পাইপ ফেটে বিপত্তি বেঁধে বসে রয়েছে। দিনের সময় সেই পাইপ দিয়ে জল বেড়িয়ে যায়, অথচ তাপ উত্তাপ নেই কারও। মাত্র এক থেকে দু কিলোমিটার দূরেই রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগম। একই দূরত্বে রয়েছে সরকারি অনেক দফতর। কিন্তু হুঁশ নেই কারও, ফলে পাইপের ফেটে যাওয়া অংশ দিয়ে প্রতিনিয়ত জল বেড়িয়ে যাচ্ছে। আর মাঠ দিয়ে সেই জল বেয়ে গিয়ে পড়ছে সামনের নালাতে।

প্রশ্ন উঠেছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের অদূরে এমন ঘটনা ঘটলেও নির্বিকার সবাই। পথচলতি মানুষজনের অভিযোগ, যেখানে জলের অপর নাম জীবন সেখানে সেই জীবন নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। বেশ কয়েক বছর আগে দুর্গাপুর ব্যারেজ এর লকগেট ভেঙে বিপত্তি বেঁধেছিল। জলের হাহাকার শুরু হয়েছিল দুর্গাপুর জুড়ে। যে জলের সংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু এতকিছুর পরও হুঁশ ফেরেনি নগর প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্তাদের। 

2 years ago
Beldanga: নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা! বাধ্য হয়েই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ১৫০ জনের বসবাস

ফের জল (water) না পাওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সাত বছর ধরে তাঁর পুরসভার কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না। এখন এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ওই অঞ্চলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এলাকার লোকেরা সেখানে বাড়ি ঘর ছেড়ে, অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। যাদের ক্ষমতা নেই তাঁরা বাধ্য হয়ে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কষ্ট করে বসবাস করছেন। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় এখন বেলডাঙাবাসী (Beldanga)।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বিশেষত জল নিকাশী ব্যবস্থা ও মাত্র ১৫০ মিটার রাস্তার অভাবেই এই পরিস্থিতি। প্রায় ১৫০ জন লোকের বসবাস এই এলাকায়। পানীয় জলের দিক থেকে দেখতে গেলে ১৩ এবং ১৪ নং ওয়ার্ডের জলে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি থাকায় পানের অযোগ্য। ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ভোট মিটে গেলে আর কোনও কাজ হয়নি। আরও অভিযোগ, এই এলাকাতে বেলডাঙা পুরসভা পক্ষ থেকে অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু বাড়ি তৈরির পর তাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বদলে পুরসভার উদ্যেগে নির্মিত বাড়ি লেখা রয়েছে। এলাকার উন্নতির জন্য বেলডাঙা পুরসভাকে বারংবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমের কাছেও এই বিষয়ে নিয়ে চিঠি করেছেন স্থানীয়রা। তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। হচ্ছে, হবে এই বলেই দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে কাজের কাজ ক্ছুই হচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীদের।

2 years ago


Durgapur: জল সরবরাহের পাম্পিং মেশিন অচল, ভোগান্তিতে সরকারি কলনির কয়েক হাজার মানুষ

মানধাত্তা আমলের হয়ে গিয়েছে পানীয় জল সরবরাহের পাম্পিং মেশিন (Pumping machine)। যার জেরে মাঝে মাঝেই সেই মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবাসিকদের মধ্যে। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের (Durgapur) কোকওভেন থানার অন্তর্গত সগরভাঙা হাউসিং কলোনির।

জানা যায়, সরকারি এই কলনিতে বেশ কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করেন। যা শাসকের অধীনেই, কিন্তু সরকারি এই আবাসনের একাংশতে এমন বেহাল অবস্থাতে পানীয় জলের সংকট শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ করে দেওয়া হয়। বিকল পাম্পিং মেশিনকে সচল করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন কাটতে না কাটতেই সেই একই অবস্থা।

সগরভাঙা হাউসিং কলোনির এল ব্লক, পি ব্লক, কুরআন ব্লকের আবাসিকদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। মাঝে সগরভাঙা কলনিতে থাকা সরকারি এক দফতরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন এই তিনটি ব্লকের আবাসিকরা। এরপর কাজ হয়েছিল, কিন্তু আবার যেই কে সেই। এই সমস্যার জেরে এক দুদিন জল থাকেনা এই তিন ব্লকের আবাসিকদের ঘরে। ফলে চরম সমস্যায় পড়ে যান আবাসিকরা। হয় দূরের রাস্তার কল নচেৎ কিনে আনা ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা খোলা থাকেনা বলে আবাসিকদের অভিযোগ। তীব্র পানীয় জল সমস্যায় জর্জরিত এখানকার আবাসিকরা এখন এই জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। কিন্তু মুক্তি কি মিলবে? উত্তরটা এখনই না, আর যদিও বা যন্ত্রনা মুক্তি মেলে সেটা অনেকটা সময় সাপেক্ষ। আবাসিকদের প্রশ্ন কেন?

সরকারি হাউসিং দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ডিপিএল থেকে আসা জল পাম্পিং করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রিজার্ভর থেকে কলোনির সব আবাসনে সরবরাহ করা হয়। এখন সেই পাম্পিং মেশিন পুরোনো হয়ে গিয়েছে। যা ব্যবহারের অযোগ্য। এবার মানধাত্তা আমলের এই মেশিনকে মেরামতি করে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনওরকম একটা চেষ্টা চলছে। এখনই যদি এই দীর্ঘদিনর পাম্পিং মেশিন পরিবর্তন না করা যায় তাহলে ধীরে ধীরে এগুলির অবস্থা আরও খারাপ হবে। উর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে কিন্তু আর্থিক সংকট এই সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে একটা অন্তরায় তৈরি করছে।

কবে মিলবে এই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি? সেটাই বড় প্রশ্ন এখন আবাসিকদের মনে। 

2 years ago
Bangalore: ট্রাফিকে আটকে গাড়ি, ওটি-তে রোগী! অস্ত্রোপচার করতে গাড়ি ফেলে এক দৌড়ে হাসপাতালে সার্জেন

ডাক্তারকে (Doctor) অনেকেই বলে থাকেন  'ভগবানের দূত’। তাঁর হাতেই জন্ম, মৃত্যুও তাঁরই হাতে। সম্প্রতি চিকিৎসকদের গাফিলতির একাধিক খবর উঠে এসেছে। ডাক্তারদের উপর ভরসাটা উঠেই যাচ্ছিল রোগীদের (Patient)। তবে এখনও চিকিৎসকদের মধ্যে কর্তব্যবোধ বেঁচে রয়েছে। তারই প্রমাণ দিলেন বেঙ্গালুরুর (Bangalore) মণিপাল হাসপাতালে (Manipal Hospital) কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ গোবিন্দ নন্দকুমার (Govinda Nandakumar)।

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর একাধিক জায়গা। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে যাওয়ার সময় ডাঃ গোবিন্দের গাড়ি সরজাপুর-মারাঠাহাল্লি রাস্তায় আটকে পড়ে। এদিকে, হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করার কথা তাঁর। রোগীরা অপেক্ষায়, তাই দেরি হয়ে যাবে ভেবে গাড়ি ছেড়ে নেমে পড়েন তিনি। তিন কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৪৫ মিনিটে দৌড়ে হাসপাতাল পৌঁছন তিনি। যা শুনে স্তম্ভিত সকলে।

ওই চিকিৎসক বলেছেন, তিনি সময় নষ্ট করতে চাননি। রোগীরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। এদিকে বৃষ্টির জল জমে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। সেকারণে তিনি দৌড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, গত ১৮ বছর ধরে একাধিক জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন নন্দকুমার। ডাক্তার হিসেবে যথেষ্ট নামডাক রয়েছে তাঁর। এই কীর্তিতে সকলে বিস্মিত।

2 years ago
Humanity: জলমগ্ন গ্রামে হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা, জেসিবিতে চাপিয়ে প্রসূতিকে হাসপাতালে পাঠাল প্রশাসন

চারিদিকে ধর্ষণ (Rape), খুন (Murder), যৌন নিগ্রহ (Sexual abuse) একাধিক নৃশংসতার খবর প্রতিনিয়ত উঠে আসে। এরই মধ্যে এখনও মানবতা জিইয়ে। তারই এক নিদর্শন মিলল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নীমচ জেলার স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে।

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা এলাকা। বুকসমান বৃষ্টির জলস্তর। এ অবস্থায় শুরু হয় প্রসব যন্ত্রণা। তড়িঘড়ি ফোন করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। কিন্তু এত জল পেরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের চাকা গড়ানো কার্যত দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আসতে দেরি হয় অ্যাম্বুল্যান্সের। তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। জেসিবি এনে প্রসূতিকে সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছে দেয় তারা।

মহিলার বাড়ির লোক আতঙ্কিত হয়ে বিধায়ক এবং পুলিসের কাছে সাহায্যের আর্তি জানান। বিধায়কের নির্দেশে পুলিস এবং স্থানীয় প্রশাসন তৎক্ষণাৎ একটি জেসিবির ব্যবস্থা করে। গ্রাম থেকে মহিলাকে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় তারা। প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন সকল গ্রামবাসী।

2 years ago


Icchapur: বিজেপি করার অপরাধে বঞ্চিত পানীয় জল থেকে ?

একই গ্রামে বাকি সকলে পানীয় জল (Water) পেলেও, বঞ্চিত সেই গ্রামেরই পাঁচটি পরিবার (family)। কিন্তু কেন এই দুর্ব্যবহার? অপরাধ একটাই, এই পাঁচটি পরিবার বিজেপি (BJP) সমর্থিত। আর সেই কারণেই পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এই পরিবারের সদস্যরা পানীয় জল থেকে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল বিধানসভার বেতকুন্ডু অঞ্চলের ইচ্ছাপুর (Icchapur) গ্রামের মানুষেরা। 

জানা যায়, এই ইচ্ছাপূর গ্রামের রানা পাড়ার ৫ পরিবারকে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অপরাধ তাঁরা বিজেপি সমর্থক, শুধু পানীয় জল না, তাঁরা বঞ্চিত বার্ধক্য ভাতা, আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া থেকে। তাঁদের পাশের বাড়িতে জল রয়েছে, কিন্তু তাঁরা জল পাচ্ছেনা, প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে আনতে হয় জল এই বৃদ্ধ বয়সে। তবে এই ঘটনা প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি কোনও লাভ। এমনকি গ্রামের প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সব স্তরেই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে কিন্তু ফল মেলেনি। শেষমেষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন তাঁরা, যাতে দ্রুত এই অবস্থার সুরাহা মেলে। যাতে একটু সুস্থভাবে তাঁরা বাঁচতে পারেন। তবে কবে মিলবে মুক্তি জানেন না কেউ। আদতেও মিলবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। 

2 years ago
Kolkata Metro: তেইশের মাঝামাঝি হাওড়া-শিয়ালদহ মেট্রো চলার সম্ভাবনা, বিবৃতিতে জানাল কলকাতা মেট্রো

এবার ফের সুখবর শহরবাসীর জন্য। সম্প্রতি শুরু হয়েছে শিয়ালদহ (Sealdah) থেকে সেক্টর ৫ প্রযন্ত মেট্রো (kolkata metro) পরিষেবা। তবে এখনও বাকি বেশ কিছু কাজ। শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে শহরবাসী। এই মেট্রো লাইনটি চালু হয়ে গেলে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের (Salt Lake Sector 5) সঙ্গে হাওড়া (Howrah) যুক্ত হয়ে যাবে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। মূলত, গঙ্গা নদীর (Hooghly river) নিচ দিয়ে যাবে মেট্রোর লাইন। জলের তলায় এটাই প্রথম মেট্রোর লাইন হতে চলেছে ভারতে। 

কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত বাকি অংশটুকু চালু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৬.৫৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত, যার দৈর্ঘ্য ৯.৩০ কিলোমিটার। বাকি থাকা ৭.২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুট এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে বহু যাত্রী এই লাইনের মেট্রোর সুবিধা পাবেন। 

2 years ago