জল সংকটে (Water Problem) বীরভূমের (Birbhum) বাণীওর পঞ্চায়েত পুশর গ্রাম। গোটা পাড়া জুড়ে একটাই কল। সেটাও অকেজো হয়ে যাওয়ায় পানীয় জলের সমস্যায় গোটা গ্রামবাসী।
শুদ্ধ পানীয় জল না পেয়ে বাধ্য হয়ে দূর থেকে পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত পুশর গ্রামের অধিকাংশ মানুষকে। গ্রামে যে কটি টিউবওয়েল আছে তা দীর্ঘদিন ধরে অকোজো অবস্থায় রয়েছে। আর বাকি যে কটা টিউবওয়েল আছে তাতে আয়রনের ভাগ বেশি থাকায় তা খাওয়ার অনুপযুক্ত। অভিযোগ, পানীয় জলের জন্য বার বার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে বিধায়ককে জানিয়েও কোন সমাধান হয় নি। শুধু মাত্র প্রতিশ্রুতি শুনতে হয়েছে।
কয়েকদিন বাদেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই কারণে এবার পুশর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দারা পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করা হোক। এলাকাবাসীদের প্রতিদিন দূর থেকে পানীয় জল আনতে হয়। দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত কাজকর্ম করতে হচ্ছে পুকুরের জলে। যে পুকুরের জলে পশুদের স্নান করানো হয়। যে পুকুরে জামা কাপড় ধোঁয়া হয়, আবার সেই পুকুরের জলই রান্নাবান্না, এমনকী পানীয় হিসাবে পান করা হয়। অভিযোগ, সেই পুকুরের জল খেয়ে ডাইরিয়া রোগ হচ্ছে। যদিও শুধু এই পুশর গ্রাম নয়, এই রকম অনেক গ্রাম আছে যেখানে মানুষকে পানীয় জল দিতে পারেনা এই সরকার বলে দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
জলের (Water) দাম সবথেকে কত বেশি হতে পারে? আমরা সাধারণত যে জল পান করি, সেই জলের এক লিটার বোতলের দাম কতই বা হবে ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু বিশ্বে এমনও জল রয়েছে যার দাম লক্ষাধিক (Expensive Water)। অবাক হচ্ছেন তো! তবে এটাই সত্যি, এমনই এক জলের বোতল রয়েছে যার দাম ৫০ লক্ষ টাকা। সেই জলের নাম অ্যাকুয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মডিগ্লিয়ানি (Acqua di Cristallo Tributo a Modigliani)। তবে সবারই প্রশ্ন এখন, কেন এত দাম এই জলের, কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে এতে?
জানা গিয়েছে, অ্যাকুয়া ডি ক্রিস্টালো জলের বোতলে মাত্র ৭৫০ মিলি জল থাকে, তবে এর বিশেষত্ব জানলে আপনি আকাশ থেকে পড়বেন। এই জলে থাকে স্বর্ণভস্ম অর্থাৎ সোনার ছাই মেশানো থাকে এতে। প্রায় ৫ গ্রাম ২৪ ক্যারেটের সোনা থাকে এতে। আর এই জল সংগ্রহ করা হয় ফ্রান্স, ফিজি ও হিমবাহ থেকে। এছাড়াও এই জলের বোতলের দাম এত বেশি হওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল এই বোতলের অভিনব ডিজাইন। এই বোতল ২৪ ক্যারেট সোনায় মোড়া। আর এই বোতলের ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত শিল্পী ফার্নান্দো আল্টামিরানো (Fernando Altamirano)।
উল্লেখ্য, এই জলের বোতলের দাম সবচেয়ে বেশি হওয়ায় ২০১০ সালেই এটি গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও ২০১০ সালেই এই জলের বোতলটি নিলামে ৬০ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয়েছে।
কলে জল (Water) নয় পড়ে বালি আর কাদা। একদিকে যেমন তীব্র দাবদহ (Heat wave) তেমন অন্যদিকে জলের অভাব। জলসংকটে ভুগছে বাঁকুড়া (Bankura) ওন্দা ব্লকের দামোদরবাটি গ্রামের একটা অংশ। এই তীব্র গরমে পানীয় জলের প্রবল সংকটে নাজেহাল বাসিন্দারা।
কল আছে তবে সেই কলে জলের বদলে বের হয় কাদা আর বালি। পাইপ লাইন থেকেও না থাকা। যার কারণে অসহায় হয়ে এই প্রবল গরমে পানীয় জল আনতে গ্রামবাসীদের ছুটতে হচ্ছে এক কিমি দূরে থাকা নলকূপে। এই নলকূপই এখন বড় ভরসা বাঁকুড়া ওন্দা ব্লকের দামোদরবাটি গ্রামের একটা অংশের মানুষের। প্রশাসন স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও হয়নি কোন সমাধান। এই গরমে পানীয় জলের পরিষেবা না পেয়ে এবার ব্যাপক ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয়দের দাবী, এই প্রচন্ড গরমের মধ্যেও প্রয়োজনীয় পানীয় জলটুকু পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে প্রতিদিন জল আনতে যেতে হয়। কারণ জলই জীবন জল ছাড়া মানুষ বাঁচবে কীভাবে? পঞ্চায়েতে জলসংকটের কথা জানানো হলে সেখান থেকে কল ঠিক করে দেওয়া আশ্বাস দেওয়া হয়। এবার দেখার বিষয় কবে জলের সমস্যার সমাধান মেলে।
তিনদিন ধরে শিলাবতি নদীতে আটকে রয়েছে একটি ডলফিন (Dolphin)। শুক্রবার, বন দফতর ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নদীতে জাল (Water) নামিয়ে উদ্ধার (Rescue) করে নিয়ে যাওয়া হল রূপনারায়ণ নদীতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জাহাঙ্গির মন্ডল জানিয়েছেন, একটি গাঙ্গেয় ডলফিন জোয়ারে জল বেড়ে যাওয়ার জন্য় সেটা শিলাবতি নদীর ঘাটে এসে আটকে পড়ে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সীতাকুণ্ড গ্রামে শিলাবতী নদীতে গ্রামের বাসিন্দারা দেখতে পান একটি ডলফিন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে ডলফিন দেখতে ভিড় জমায় এলাকার মানুষজন। খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনের কাছে। অবশেষে তিনদিন পর প্রশাসনের উদ্যোগে ডলফিনকে জাল দিয়ে ধরে রূপনারায়ণ নদীতে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করল বন দফতর ও পুলিস প্রশাসনের আধিকারিকরা। জোয়ারের সময় হয়তো দাসপুরের এই শিলাবতী নদীতে চলে এসেছিল ডলফিনটি, আর তারপরেই ডলফিনটি শিলাবতী নদীতে আটকে পড়ে। আর সেই শিলাবতী নদী থেকে উদ্ধার করে, ট্রাকে করে চাপিয়ে ডলফিনকে নিয়ে ছাড়া হল রূপনারায়ণ নদীতে।
স্থানীয় সূত্রে প্রশ্ন উঠছে, কোন গাফিলতির কারণে তিনদিন পর জল থেকে উদ্ধার করা হল ডলফিনকে। এই জলজ জীবকে জল থেকে তোলা আইনত অপরাধ। এই প্রেক্ষিতে বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, জোয়ারের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা, যখন দেখা গেলো জোয়ার এলো তখন তিনদিন পর জল থেকে উদ্ধার করা হলো ডলফিনকে।
কল আছে জল (Water) নেই। প্রখর গরমে (Heat wave) জলের সংকট। বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদ গ্রামে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে গ্রামে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পাইপ লাইন পৌঁছলেও, এখনো সেই ট্যাপ দিয়ে জল পড়েনি।
স্থানীয়দের দাবি, বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনওরকম সমাধান মেলেনি। তীব্র গরমে পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়ে এই কাঠফাটা রোদের মধ্য দিয়ে গ্রাম থেকে দূর দূরান্তে জল আনতে যেতে হয় গ্রামের মানুষদের। দৈনন্দিন কাজের জন্য জলের প্রচুর অভাব পড়ে তাঁদের। বাড়িতে ট্যাপ থাকা সত্ত্বেও সেই কলে জল নেই। এমনকি টিউবওয়েলেও পর্যন্ত জল নেই। পঞ্চায়েত থেকে জলের ট্যাব দেওয়ার পর ৫ থেকে ৬ মাস জল আসার পর আর জল পাওয়া যায়নি ট্যাব থেকে। পঞ্চায়েতের তরফে জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কিন্তু জলের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। যার কারণে কাপড় কাচা থেকে স্নান করা সবটা পুকুরের জলে সারলেও পানীয় জলের প্রবল সংকটে রয়েছে গোটা গ্রামবাসী। কবে থেকে আবার কলে জল পড়বে সেই অপেক্ষায় মুখ চেয়ে রয়েছে গ্রামের মানুষেরা।
কেরল শহরের আশপাশের বহু দ্বীপে যাতায়াতের জন্য এবার ঘরের কাছেই হাজির ‘কোচি ওয়াটার মেট্রো' (Metro)। যার ফলে বেশ সুবিধা পাবে কোচির বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল, এই নয়া পরিবহণ ব্যবস্থার সূচনার কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। দেশে এই প্রথম জলপথে মেট্রো চলাচল করবে। এমনই জানিয়েছেন কোচি মেট্রো রেল লিমিটেডের কর্তারা।
সোমবার থেকে দু’দিন দেশ জুড়ে ৫,০০০ কিলোমিটার সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩৬ ঘণ্টার ওই কর্মসূচিতে কোচি-সহ ৭টি শহরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সে সময়ই তিনি এই জল-মেট্রোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। মেট্রোকর্তারা জানিয়েছেন, জলপথে মেট্রোয় প্রতি দিন একশো যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এই মেট্রোয় যাতায়াতে ২০ টাকার দৈনিক টিকিট ছাড়াও যাত্রীরা সাপ্তাহিক, মাসিক এবং ৩ মাসের পাস কিনতে পারবেন। এমনকি তিন মাসের জন্য পাস কিনতে হলে খরচ করতে হবে দেড় হাজার টাকা। তাতে ৯০ দিন ধরে দেড়শো ট্রিপের সুবিধা পাবেন তাঁরা।
মেট্রো স্টেশনে কাউন্টার ছাড়াও অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ‘কোচি ওয়ান অ্যাপ’ নামে ওই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করে কিউআর কোডের সাহায্যে তা বার করতে পারবেন যাত্রীরা। মেট্রোকর্তারা জানিয়েছেন, হাই কোর্ট থেকে ব্যপিন পর্যন্ত রুটে যাতায়াতের জন্য ২০ মিনিট সময় লাগবে।
জল (Water) চেয়ে জুটলো পুলিসের লাঠির বাড়ি। এমনই ঘটনা ঘটল ঘোলা (Ghola) থানার পানিহাটি (Panihati) এলাকায়। সূত্রের খবর, পানিহাটি পুরসভায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয়দের অভিযোগ বারবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে জল কষ্টে ভুগছেন স্থানীয় মানুষরা। এছাড়া অভিযোগ, পানীয় জলের কোনও সুব্যবস্থা নেই ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, পানীয় জলের দাবিতে আজ অর্থাৎ রবিবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এরপর পুলিস অবরোধ তুলতে এলে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর অবরোধ হটাতে পুলিস লাঠিচার্জ শুরু করে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ ঘটনার পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বারবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়ে কোনও সুরাহা মেলেনি। সে কারণেই তাঁরা পথ অবরোধ করেছে। কিন্তু তাঁর বিপরিতে পুলিসের নির্মম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
প্রখর গরমে পানীয় জলের সংকটে (Water Problem) জর্জরিত বাঁকুড়া (Bankura) জেলার একাধিক এলাকা। বেশ কয়েক দিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ বা বিক্ষোভ দেখিয়ে মানুষজন সরব হচ্ছে। বাঁকুড়া দু'নম্বর ব্লকের বাকীসেতরা গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় রয়েছে। এলাকায় পানীয় জলের কল থাকলেও নিত্যদিন জলের দেখা মেলে না। ফলে সমস্যা সমাধানে এলাকায় নলকূপ থাকলেও তা গ্রামে পর্যাপ্ত পরিমানে নেই। তাই বাধ্য হয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল গ্রামেরই মানুষজন, কারণ এই তীব্র তাপ থেকে বাঁচতে মানুষের বাঁচার জন্য যে জল প্রয়োজন, সেই জল টুকুও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার থেকে বাড়ি বাড়ি কল দেওয়া হলেও সেই কল থেকে জল পড়ে না। এই তীব্র গরমে জলের সংকটে ভুগছে বাঁকুড়ার এলাকাবাসীরা। প্রায় এক মাস ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে পানীয় জলের কল। যার কারণে গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে জল আনতে যেতে হয়। প্রশাসন শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি, ইংরেজবাজার পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিশ্রুত জলের সমস্যা। বিশেষ করে তীব্র গরমে দক্ষিণ কৃষ্ণপল্লী এলাকায় চলছে তীব্র জল সংকট। চরম নাজেহাল সাধারণ মানুষ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদার ইংলিশ বাজার পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কৃষ্ণ পল্লী এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জল সমস্যা রয়েছে। তীব্র গরমে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলর মনীষা সাহা। দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
ফের রাস্তা ও পানীয় জলের (Road Water Problem) অভাবে ভুগছে সাধারণ মানুষ। ভোট আসে ভোট যায় তবে রাস্তা সংস্করণের প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয় না। এমনকি ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও পানীয় জলের অভাবে হাহাকার গোটা এলাকায়। এই দুই অসুবিধা নিয়ে হয়রান হাওড়া (Howrah) ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের দাসী এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায়ই এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করার সময় সমস্যায় পড়তে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর উঠে আসে নোংরা জল। তবে এই পরিস্থিতিতেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি এই রাস্তা সংস্করণের জন্য টাকাও বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই টাকায় রাস্তা সংস্করণ করা হচ্ছে না, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়রা আরও দাবি করেন, এই এলাকায় কোনও উন্নয়ন করা হয়নি। কলেও জল থাকা সত্ত্বেও তা থেকে এক ফোঁটাও জল পড়ে না। তাহলে ঠিক কবে মিলবে সুবিচার, তার আশায় দিন গুনছে এলাকার প্রতি মানুষ।
প্রচন্ড দাবদহে হুগলীর পুরশুড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল কল আছে জল নেই। হাসপাতালে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে এই জলাধার। কল থেকে জল পড়ছে না। ফলে জল সংকটে ভুগছেন হাসপাতালের রোগীরা। প্রয়োজন মতো জল না পেয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। এমনকি রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা নানা সমস্য়ায় পড়ছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে।
অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে জল সংকটের কথা জানানো হলেও কোনও লাভই হয়নি। এই তীব্র গরমের মধ্য়ে একপ্রকার বাধ্য় হয়ে সেখানে রোগীরা এবং রোগীর আত্মীয়স্বজনরা রয়েছেন। স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিশ্রুত পানীয় জলাধার বসানো হয়েছিল। তার ঠিক তিন মাস পর থেকেই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কলটি। তাঁদের আবেদন, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই জলাধার সারাইয়ের ব্য়বস্থা গ্রহণ করে।
কল আছে জল নেই। প্রখর গরমে জল সংকটে (Water problem) ভুগছেন বাঁকুড়া (Bankura) এক নম্বর ব্লকের রুমারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা। এখন বাঁকুড়ার তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৪৪ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। অভিযোগ, বারংবার পঞ্চায়েতে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
বেশ কয়েকটি পরিবারের বসবাস রয়েছে এই গ্রামে। এই গ্রামের বাড়ি বাড়ি কল থাকলেও জল কিন্তু নেই। পাঁচ ছয় দিন পর পর কলে আসে জল। এমনকি আধঘণ্টার বেশি জল পাওয়া যায় না। ফলে দূরদূরান্তু থেকে পানীয় জল আনতে হয়। কাঠফাটা রোদের মধ্য়েও এক-দুই কিমি পথ অতিক্রম করে জল আনতে হয়। গোটা এলাকায় একটি টিউবওয়েল রয়েছে, সেটিও আবার খারাপ। যার কারণে প্রখর গরমের মধ্য়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা গ্রামবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জলের সমস্যায় ভুগছেন। চার-পাঁচ দিন পর পর কলে জল আসে। এলাকার মানুষকে জল আনতে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে। বার বার ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, জলের ব্য়বস্থা করে দেওয়া হোক।
কল আছে জল নেই, গরমে জলের (Water problem) জন্য হা করে গোটা গ্রাম। তাই জলের দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) গ্রামবাসীদের। এমনকি পানীয় জল সরবরাহের দাবীতে রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করলেন গ্রামের মহিলারাও। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া গ্রামের রুইদাস পাড়ার।
গরম যতই বাড়ছে ততই নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। শুকিয়ে গিয়েছে কুয়োও। এমনকি বিকল হয়ে পড়ছে নলকূপ। জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে গ্রামের জল সঙ্কট মেটানোর জন্য বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের কল বসানো হয়। কিন্তু সেই কল দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়েনা। গরম বাড়তেই ওই গ্রামে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল সঙ্কট। সামান্য জলের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার।
স্থানীয়দের দাবী, এই পরিস্থিতিতে পুকুরের জল খেয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। তাই অবিলম্বে গ্রামের জল সঙ্কটের সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আর সেই দাবিতেই সোমবার সকাল থেকে বড়জোড়া সোনামুখী রাস্তায় হাট আশুড়িয়া মোড় অবরোধ করে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা।
পানীয় জলের (Drinking Water) সঙ্কটে মহেশপুরের (Maheshpur) গ্রামবাসী। কল আছে, কিন্তু কলে জল নেই। পানীয় জল থেকে বঞ্জিত থাকায়, হাহাকার করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একটা দাবি 'জল চায়'।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪নং ভরতগড় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দারা পানীয় জলের জন্য় বিক্ষোভ করেন। বহু দূর থেকে জল আনতে গিয়ে ভীষণ সমস্য়ায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। চার বছর ধরে খারাপ হয়ে আছে কল। বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন এ ব্য়াপারে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি বাসন্তী গ্রামের বিডিও এবং ভরতগড় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান-কেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে কোনও সুরাহা মেলেনি। সেইকারণে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে চাঁদা তুলে খারাপ হওয়া কল সারাই করেন। কিন্তু কল সারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে কল।
গ্রামের বাসিন্দা দেবানন্দ দাস জানান, টিউবওয়েলগুলো সব অকেজ হয়ে রয়েছে। ৫-৬ টি কল থাকা সত্ত্বেও জল নেই। জলের জন্য় ৪-৫ কিমি গিয়ে জল আনতে হয় তাঁদের।
আশেপাশে গ্রামগুলিতে শোয়ালো বসানোয় জলের সমস্য়া হচ্ছে।
ভোটের আগে নেতারা এলেও কোনও সহয়তা মেলেনি। এমনকি বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল দেওয়া হলেও জল আসেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, শোয়ালোগুলো বন্ধ করা হোক। জল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কোনোরকম জলের ব্য়বস্থা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। জলের আশায় গোটা গ্রামবাসী।
কল আছে জল নেই (Water Problem)। জলের আশায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ। তাই বাঁকুড়ার জগদীশপুরার গ্রামবাসীরা সেই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। এমনকি মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসীরা সব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। খাদ্য প্রতিমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে এই সজল ধারা প্রকল্পে জলের কলগুলি বসানো হয়েছিল। তবে আজও বন্ধ জলের পরিষেবা। গ্রামের মহিলারা প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে পাশের গ্রাম থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন। তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেন বলেন, 'পুরো জঙ্গল মহলেই এই জলের সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যা মেটানোর জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেই কাজ এত ঢিলে গতিতে চলছে, এত দেরি হচ্ছে, যার ফলে মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে এই জলের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগাভাগির কারণে কাজে এত দেরি হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যিনি আছেন তিনি ঠিক মতো কাজটা করছেন না।'
অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য গণেশ ডাঙা। তিনি বলেন, 'মাসে একবার করে গ্রামের জলের কলগুলি সারানো হয়। জলের স্তর একটু নীচু হওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা আবার সারানো হবে।'
ঠিক একই সমস্যার ছবি উঠে আসছে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা কলেজপাড়া এলাকা থেকে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবারের বসবাস। তারপরেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। কল থাকলেও জল পাচ্ছে না তাঁরা। বারবার প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
কল আছে কিন্তু কলে জল নেই। প্রায় দু'বছর আগে এসেছিল পানীয় জলের (Drinking Water) লাইন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও সেই কলের লাইনে জল আসেনি। বাঁকুড়া (Bankura Village) দু'নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রাম, যে গ্রামে লকডাউনের আগে পানীয় জলের লাইন আসে। সেই লাইনে এখনও পর্যন্ত একফোঁটা জলের দেখা পায়নি গোটা গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের ভরসা মাত্র একটি টিউবওয়েল। দাবি, পানীয় জলের জন্য গাড়ির তেল পুড়িয়ে প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। গরমের প্রবল তাপ-উত্তাপ মাথায় করে এপ্রকার বাধ্য হয়ে যেতে হয় খাবার জল আনতে।
অভিযোগ, 'বহুবার প্রশাসনকে দরখাস্ত দেওয়া হলেও তারা এই ব্যাপারে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। গ্রামের প্রতি ঘরে কলের লাইন থাকা সত্ত্বেও সেই লাইনে জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও গ্রামে একটা পুকুর পর্যন্ত নেই। বাড়ির মহিলা সদস্যদের স্নান করতে দূর-দূরান্তে যেতে হয়। পানীয় জলের সংঙ্কটে ভুগছে বাঁকুড়ার এই গ্রাম।' গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, পানীয় জলের ব্যবস্থা না করলে তারা ভোট বয়কট করবে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগেই বাঁকুড়ায় জলের সমস্যা। এবার দেখার প্রশাসন এব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়।