Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Vote

Anis: আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ ছাত্র নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি, তদন্তে আমডাঙা থানা

আনিস-কাণ্ডে (Anis Case) প্রতিবাদী যুবক স্টুডেন্টস ফ্রন্টের নেতা জুলফিকার মণ্ডলের আমডাঙা আড়খালির বাড়িতে বোমাবাজির (Bombing) অভিযোগ। যার বাড়িতে এই হামলা, সেই জুলফিকারের দাবি, 'আনিস খুনের পর রাজ্যে বিভিন্ন আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত। পাশাপাশি তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দল করে বলেই তাঁর বাড়ির উপরে এই হামলা।' পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত বিরোধীদের স্তব্ধ করতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জুলফিকারের। গোটা ঘটনার জন্য শাসক (TMC) দলকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছে জুলফিকার। এই ঘটনায় আমডাঙা থানায় (Police) লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

যদিও এই ঘটনার পিছনে কারা এখনও জানা যায়নি। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন পুলিস। জানা গিয়েছে, জুলফিকারের বাড়ির জানলার সামনে দুটি বোমা মারা হয়েছে। একটি বোমা তাজা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার প্রায় দেড়টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত আড়খালি পূর্বপাড়ার এই ঘটনায় কে বা কারা বোমা মেরেছে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে তৃণমূল। এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার।

2 years ago
Voter: এবার বছরে ৪ বার ভোটার তালিকায় নাম তোলা-সংশোধন, জানুন কমিশনের নতুন নিয়ম

ভোটার তালিকায় (Voter List) নাম তোলা এবং সংশোধনে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এবার দেশজুড়ে বছরে ৪ বার নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। আগে বছরে এক বার প্রকাশ করা হত। কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ থেকে ভোটার তালিকা প্রকাশে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে তিন মাস অন্তর। এই সময়ের মধ্যে এপিকের তথ্যও পরিবর্তন করা যাবে।

এযাবৎকাল পয়লা জানুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। ২০২৩-এ একইদিনে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে শুধু ১ জানুয়ারি নয়, বছরে আরও তিন দিন এই কাজ করবে কমিশন। তারা জানিয়েছে, ২০২৩ থেকে দেশব্যাপী ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই এবং ১ অক্টোবর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ভোটারদের সচেতনতার ফলে এই পদক্ষেপ, এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা এবং ভাবনাচিন্তার পর ৯০ দিন পর পর ভোটার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

2 years ago
Kunal: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুর এবং হলদিয়ার সাংগঠনিক দায়িত্বে কুণাল ঘোষ

প্রসূন গুপ্ত: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখনই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন তখনই তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই তরজা বেশিরভাগ সময়ে স্বাস্থ্যকর থাকেনি। এমনটিও দেখা গিয়েছে, শুভেন্দু মমতা বা অভিষেককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন, তার ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই কুণাল আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দুকে। এ কি এক অলিখিত নিয়ম? বোধহয় না, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি আস্থাভাজন কুণাল ঘোষ। এমনটিও দেখা গিয়েছে, শুভেন্দু কোথাও সভা করেছেন তো তার কিছুদিনের মধ্যে সেই স্থানে সভা করতে গিয়েছেন কুণাল।

কুণালের অনেক দায়িত্ব। একদিকে সারা বাংলার বিভিন্ন জেলায় তিনি যান। মূলত প্রচারের কাজটি সারেন। এছাড়া দলীয় মুখপাত্রর দায়িত্বে যেই থাকুন না কেন আসলে সম্পাদকীয়র কাজটি কুণালই করে থাকেন। এছাড়া পৌর বা পুরসভার ভোটেও তাঁকেই বিভিন্ন জেলায় যেতে দেখা গিয়েছে। এবারে দায়িত্ব পূর্ব মেদিনীপুরের। কোনও লিখিত পদ নয় কিন্তু দল (পড়ুন অভিষেক) তাঁকেই পঞ্চায়েতের সংগঠন ও প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছে।

কুণালের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছিল কালীপুজোর রাতে। তিনি জানিয়েছিলেন পয়লা ও দোসরা নভেম্ববর তিনি বিশেষ জেলার কাজে যাচ্ছেন। ফিরবেন হয়তো ৩ নভেম্বর। কিন্তু ফিরেই আবার জেলা সফর। শেষ পর্যন্ত জানা গেল সাম্প্রতিক ভোটের আগে ও পরে তিনি নিয়মিত গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। সম্প্রতি নন্দীগ্রামে অভিমান করে থাকা দলের নেতা শেখ সুফিয়ানকে ডেকে এনে সভা করেছেন তিনি। ওই সভায় চোখে লাগার মতো ভিড় দেখা গিয়েছে।

অন্যদিকে কোনও সময়েই শুভেন্দু অধিকারী আমল দেন না কুণালকে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিরোধী নেতা সটান বলে দেন, 'ওই লোকের কথার উত্তর দিতে তাঁর রুচিতে বাঁধে।' কিন্তু বাস্তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কিন্তু আরও একবার বিজেপির কাছে লোকসভার আগে সেমিফাইনাল। দিল্লি থেকে কড়া নির্দেশ, পঞ্চায়েতে ভালো ফল করতে হবে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের লড়াই এখন শুভেন্দু বনাম কুণাল। কুণাল দায়িত্ব নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন হলদিয়ার অফিসে, যা একসময়ে শুভেন্দুর চারণ ভূমি ছিল।


2 years ago


Brazil: বিপুল জনসমর্থনে ব্রাজিলে ক্ষমতা দখল বামপন্থী লুলা ডি সিলভার, হারলেন বোলসোনারো

তাঁর বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ, তিনি স্বৈরাচারী শাসক, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ। এমনকি দক্ষিণ আমেরিকার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত অ্যামাজন জঙ্গল (Amazon Forest) পোড়ানোর দায়ে কাঠগড়ায় তিনি। ব্রাজিলের (Brazil Vote) সেই বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো (Jair Bolsonaro) হারলেন সাধারণ নির্বাচন। দেশের প্রায় ৫১% জনতার সমর্থন নিয়ে ক্ষমতার অলিন্দে প্রত্যাবর্তন বামপন্থী নেতা লুলা ডি সিল্ভার (Lula De Silva)। রবিবার প্রকাশিত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, মোট বৈধ ভোটের ৫০.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন লুলা। অন্যদিকে বোলসোনারো পেয়েছেন ৪৯.২ শতাংশ ভোট।

নিজের জয় নিশ্চিত হতেই দলীয় সদস্য- সমর্থকদের নিয়ে সাও পাওলো শহরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন লুলা। পেলের দেশের আগামি প্রেসিডেন্ট জানান, বিভাজিত ব্রাজিলকে তিনি ‘শান্তি-একতা’ দিয়ে জুড়বেন। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের বার্তা, 'ব্রাজিল আবার ফিরে এল গণতন্ত্র।' নিজের ট্যুইটের সঙ্গে দেশের জাতীয় পতাকার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের দায়িত্ব নিতে চলা আগামি প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও জনতার রায় মানতে নারাজ বোলসোনারো। তাঁর দাবি, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপি  হয়েছে।

2 years ago
Voter: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৯ নভেম্বর, তার এক সপ্তাহ আগে সর্বদল বৈঠক কমিশনের

খসড়া ভোটার তালিকা (Voter List) প্রকাশ বিষয়ে আলোচনার জন্য সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (Election)। সূত্রের খবর, আগামী ২ নভেম্বর দুপুরে কমিশনের কলকাতা অফিসে এই বৈঠক হওয়ার কথা। উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সবক’টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে (political Party)। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০২৩-র জন্য সারা দেশে ভোটার তালিকার খসড়া ৯ নভেম্বর প্রকাশিত হবে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ। ২০২৩-র বছর ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

২০২৩-র জানুয়ারি থেকে পরবর্তী এক বছরে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন এবং উপনির্বাচন এই নতুন ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই হবে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে কমিশনের এই সর্বদল বৈঠক একটি রুটিন প্র্যাকটিস। প্রতিবছর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার আগে প্রতিটি রাজ্যের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে কমিশন। তারপর প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং বিয়োজনের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। দেশের নতুন ভোটারদের হাতে ২৫ জানুয়ারি, ‘জাতীয় নির্বাচক দিবসে’ আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটার কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

2 years ago


Basanti: ছিলেন ঘরছাড়া! সেই বিজেপি নেতাকে ঝাড়খালি বাজারে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল

বাসন্তীর ঝড়খালিতে বিজেপি (BJP) করার অপরাধে মার। বিজেপি মণ্ডল সহ-সভাপতিকে এলোপাথাড়ি মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর আহত বাসন্তী বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি অমল মণ্ডল। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ (South 24 Pargana) পরগনার ঝড়খালি কোস্টাল থানার ঝড়খালি বাজারে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা অমল মণ্ডল গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন এবং বর্তমানে তিনি বিজেপির চার নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি। আর সেটাই রাগের কারণ হয়েছে স্থানীয় শাসক দলের নেতৃত্বর। এমনটাই অভিযোগ পুলিসের কাছে করা হয়েছে। আর বিজেপি করার অপরাধে অমল মণ্ডলকে ঝড়খালি বাজারে পথ আটকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় শাসকদলের কর্মী ও নেতৃত্বরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পরে থেকে পরিবার-সহ ঘরছাড়া ছিলেন অমল মণ্ডল। এরপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঘরে ফেরে তাঁরা। ঘরে ফিরলেও কিন্তু শাসকদলের হাত থেকে রেহাই পায়নি অমল মণ্ডল। তাঁকে ঝড়খালি বাজারে মারধরের পাশাপাশি পেটে কিল চড় ঘুষি মারতে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক। তারা সবাই শাসক দলের কর্মী। এমনটাই অভিযোগ আক্রান্তর পরিবারের। এ ঘটনা ঝড়খালি কোস্টাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। বিজেপির অভিযোগ, '২০২১ থেকে এভাবে বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রশাসন বলেও কোনও লাভ হয়নি। এঁরা আইন-কানুন মানছে না।' পাল্টা স্থানীয় বিধায়ক জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঝড়খালি বাজারে একটা ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু এই ঝামেলার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। আমি পুলিসকে অনুরোধ করব বিশদে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।' 

2 years ago
Mamata: রাজ্য পুলিসের তদারকিতে ফেব্রুয়ারিতেই পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা

২০২৩-র ফেব্রুয়ারিতে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Vote 2023) করাতে কোমর বাঁধছে মমতা সরকার। নির্বাচন কমিশন (SEC) সূত্রে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তবে পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য পুলিসের তদারকিতে হবে। এমনটাই নিশ্চিত করেছে কমিশনের একটি সূত্র। জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের ২০ জেলার আসন বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ জেলার মানুষ সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি আগামী ৭-১৬ তারিখ পর্যন্ত সংশোধনের কাজ হবে এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পাবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে।

ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ। শেষ হবে ওই মাসেই। কমিশন সূত্রে খবর, আইনগত ভাবে জানুয়ারিতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। কিন্তু, নির্বাচন কোনওভাবেই ফেব্রুয়ারি মাসে আগে সম্ভব নয়। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই পঞ্চায়েত সম্পন্ন করতে চাইছে সরকার। সেই লক্ষে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোমর বাঁধছে।

এদিকে, চলতি বছর কোনওভাবেই হাওড়া নির্বাচন সম্ভব নয়, জানিয়ে দিল কমিশন। কারণ, হাওড়া পুর এলাকার ৫০টি ওয়ার্ড ভেঙে যে ৬৬টি ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে, তার এলাকা বিন্যাস, আসন বিন্যাসের কাজ করছে সরকার। এরপর শুরু হবে পদ বিন্যাস ও পদ সংরক্ষণের কাজ। সেই মোতাবেক, ওই কাজ শেষ হওয়ার পর হস্তক্ষেপ করতে পারবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায়, কোনওভাবেই চলতি বছর হাওড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। আগামী বছরে হবে হাওড়া পুরসভা নির্বাচন, এমনই খবর কমিশন সূত্রে।

2 years ago
Himachal: দীপাবলির মিটলেই হিমাচলে বিধানসভা নির্বাচন, দেখুন ভোট গ্রহণ-গণনার সূচি

দীপাবলির (Diwali 2022) পরে বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। হিমালয়ের কোলের ছোট এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ (Assembly Poll) ১২ নভেম্বর, গণনা ৮ ডিসেম্বর। এমনটাই জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে আশা জাগিয়েও গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এদিন প্রকাশ করেনি কমিশন। খুব শীঘ্র সেই ঘোষণা হবে। এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর।  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, হিমাচলে ১৭ অক্টোবর নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি, সেদিন থেকে শুরু মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৯ অক্টোবর মনোনয়ন পরীক্ষা।

৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় ভোটগ্রহণ এক দফায়। মূল লড়াই কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে। এই মুহূর্তে হিমালয়ের ছোট এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসও কোমর বেঁধেছে জনগণের রায় তাদের পক্ষে আনতে। পৃথকভাবে লড়তে পারে আম আদমি পার্টি, বিএসপির মতো দলগুলো। জানা গিয়েছে, পুরোদমে শীত পড়ার আগে সে রাজ্যে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে কমিশন। হিমাচলের ইতিহাসে প্রতি ভোটেই নিয়ম করে পালাবদল হয়ে থাকে। এই ভোটেও সেই প্রথা বজায় থাকে কিনা সবার চোখ সে দিকে।

এদিকে, শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়, এ বছর ভোটমুখী অন্যতম রাজ্য গুজরাত। দীর্ঘ প্রায় দু'দশক পশ্চিমের এই রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি। মোদী-শাহর রাজ্য তাই আগামী দিনেও ধরে রাখার তাগিদ গেরুয়া কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। পাশাপাশি গুজরাতে বিরোধী শিবির দখল করতে চাইছে আম আদমি পার্টি। সে রাজ্যে ইতিমধ্যে যাতায়াত শুরু করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখন দেখার জাতীয় রাজনীতিতে বহুচর্চিত এই রাজ্যের রায় কোন দিকে যায়।

2 years ago


Medical: রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ভোটে কারচুপি-রিগিংয়ের অভিযোগ, উত্তেজনা সল্টলেকে

হাইকোর্টের নির্দেশে চলা রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের (State Medical Council Vote) ভোটেও উত্তেজনা এড়ানো গেল না। নির্বাচনে তুমুল অশান্তি ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে। আর এই ঘটনায় কাঠগড়ায় শাসক দলপন্থী চিকিৎসক সংগঠন (Doctors Forum)। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিধান নগর (Bidhannagar) দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল বোর্ড গঠনের শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮-তে। সেই সময় নির্বাচনে অশান্তির ওই নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়। 

এরপর চলতি বছর হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সেই নির্বাচন পুনরায় হয়। কোর্টের তরফে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি এবং ভোট গ্রহণস্থলে সিসিটিভি লাগানো নিশ্চিত করা হয়েছিল। এই ভোটের নিয়ম, প্রত্যেক ভোটদাতার বাড়িতে পোষ্টের মাধ্যমে ব্যালট পেপার পৌঁছবে। এদিন ভোট গ্রহণের সময় দেখা যায় বেশ কয়েকজন বান্ডিল বান্ডিল ব্যালট ব্যাগ থেকে বের করে ড্রপবক্সে ফেলছে। যদিও নিয়ম এক ব্যক্তি একটি ব্যালট খামবন্দি অবস্থায় ড্রপ বক্সে ফেলবে বা পোস্টের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন।


কিন্তু একসঙ্গে অনেকগুলো ব্যালট, একাধিক ব্যক্তি ড্রপ বক্সে ফেলতে থাকায় অপরপক্ষ রুখে দাঁড়ায়। মূলত ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে বহু সংখ্যক ব্যালট ড্রপ করার অভিযোগ ওঠে।  তাঁরা ভোটে কারচুপি এবং রিগিংয়ের অভিযোগ তোলে। রিটার্নিং অফিসার অভিযোগ পেয়ে বাধা দিতে এলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। গালিগালাজ শুরু করে দেন বলে অভিযোগ।

এতে উত্তেজনা বাড়ায় বিধান নগর দক্ষিণ থানায় খবর যায়। ঘটনাস্থলে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন। ভোট প্রক্রিয়া কিছুক্ষণ বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। তবে কোর্ট নির্দেশে অবমাননা করার অভিযোগ তুলে পুজোর পরে আদালতে দরবার করতে পারে একপক্ষ। আগামী ১৮ তারিখ অবধি এই ভোটগ্রহণ চলবে। এই বিষয়ে এদিন রিটার্নিং অফিসারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি টু শব্দ করেননি। উলটে অটো নিয়ে তাঁকে বেড়িয়ে যেতে দেখা যায়।

এই গণ্ডগোল প্রসঙ্গে এক প্রার্থী তথা চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত জানান, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন সিসিটিভির সামনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক রাখতে হবে। আমরা গণ্ডগোলের আশঙ্কা করছিলাম। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং কীভাবে এতগুলো ব্যালট পেল? তদন্তের দাবি করেন ওই চিকিৎসক। যদিও বিরোধী শিবিরের দিকে পাল্টা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে শাসক দলপন্থী চিকিৎসক সংগঠন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ছটি চিকিৎসক সংগঠন বনাম শাসক দল পন্থী চিকিৎসক সংগঠনের এই ভোটযুদ্ধ।

2 years ago
Netaji Indoor: গণতান্ত্রিক উপায়ে বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত, কীভাবে সম্ভব বাতলে দিলেন অভিষেক

প্রসূন গুপ্ত: ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোট যে স্বচ্ছ ছিল না, তা ফের আজকের ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এটা বাস্তব বাম আমলেও পঞ্চায়েত ভোট জবরদখল করেই করা হতো চিরকাল। সে সময় বিরোধীদের এই অভিযোগ বরাবর ছিল। একই সংস্কৃতি ত্রিপুরাতেও বিদ্যমান। সে যাই হোক না কেন গত পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে অভিষেক বারবার সতর্কতা অবলম্বন করে ভোট করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নতুন তৃণমূলের এটাও একটি লক্ষণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অভিষেক একইসঙ্গে জানান যে এই দলে একজনই নেত্রী, সেকেন্ড বা থার্ড বলে কিছু নেই। নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে, তিনিও উপস্থিত কর্মীদের মতোই একজন সাধারণ কর্মী। লক্ষণীয় তখন মঞ্চে উপস্থিত তাবড় সব নেতা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অভিষেকের সম্পূর্ণ ভাষণ শোনেন।

দলে যে অসংখ্য নতুন মুখ দায়িত্ব পাবেন তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অভিষেক। দলের অভিমানী বা বিদ্রোহীদের উদ্দেশে আলাদা করে কিছু না বললেও তিনি জানিয়েছেন, সবাইকে একইসঙ্গে কাজ করতে হবে। 

তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিষেকের আক্রমণ ছিল দেখার মতো। নরেন্দ্র মোদীর নাম না করলেও তিনি ফের আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আগের দিন যেমন অমিত শাহকে টার্গেট করেছিলেন অভিষেক, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এখানে প্রশ্ন থেকেই যায় যে ক্রমাগত তিনি অমিতকে আক্রমণ করছেন কেন? অভিষেক ছাড়া এ কয়েক মাসে বা কয়েক বছরে যত তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ডেকে পাঠিয়েছিল ততবার প্রত্যেকে কোনও না কোনও বাহানা দেখিয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন। 

এদেরই অনেককেই বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু অভিষেক। অনেকেরই ধারণা দলকে চাঙ্গা করতে এবং নিজের নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে অভিষেক অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স পলিসি নিয়েছেন। এতে নিঃসন্দেহে তাঁর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। মমতা ভাষণ দিয়েছেন, আক্রমণ শাণিয়েছেন, তবু কোথাও ফের হিরো অভিষেকই।

2 years ago


Panchayet Vote: বেজে গেল পঞ্চায়েত ভোটের দামামা, নেতাজি ইন্ডোরের মেগা সমাবেশে বক্তা মমতা

লক্ষ্য এবার পঞ্চায়েত ভোট। চলতি সপ্তাহ থেকেই প্রস্তুতি শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের। ৮ তারিখ নেতাজি ইন্ডোরে মেগা সমাবেশ। রাজ্যের সব বুথ নিয়ে সমাবেশ। প্রায় ১৭ হাজার দলীয় প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক, ১৮৪০ ব্লক সভাপতিকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷থাকবেন সাংসদ-বিধায়করাও। সমাবেশে বুথ স্তরে কর্মসূচি স্থির করে দেওয়া হবে।

এখন থেকেই জনসংযোগ কোন কোন বিষয়ে করা হবে তা স্থির করে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বক্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নয়, যেকোনও রাজ্যের পুর বা অন্য ভোটের দায়িত্ব থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তবে সাধারণত পঞ্চায়েত দফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে রাজ্য সচিবালয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নির্বাচন কমিশনকে জানায়, সেই মোতাবিক দিন ঠিক করা হয়। 

পশ্চিমবঙ্গের আগের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ২০১৮-তে। সেই ভোটকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বিস্তর, ভোটে শতকরা ৯০% শতাংশ আসন পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এই ভোট নিয়ে রাজ্যের এক বিরাট সংখ্যক ভোটারের ক্ষোভ ছিল যে ভোট হয়েছে গাজোয়ারিতে।

এবারে পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিসাবমতো ২০২৩-এর মে মাসে।কিন্তু শোনা যাচ্ছিল, যে ভোট এগিয়ে এসে হতে পারে ডিসেম্বর ২০২২-এ। কিন্তু এখনও তা ঠিক না হলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট এগিয়ে আনলেও তা কোনওভাবে হয়তো ফেব্রুয়ারির আগে নয়। এখানেও প্রশ্ন থাকে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক এবং তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক। কাজেই পরীক্ষার আগে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করলে আইনি বাধায় ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও দলই। 

অন্যদিকে অভিমত, যে করেই হোক তৃণমূল দ্রুত ভোট করে নিতে চাইবে। এই পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে।

সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে হয়তো দলনেত্রীর আভাস পাওয়া যেতে পারে।

2 years ago
AIFF: এআইএফএফ-র শীর্ষপদে ফের বাঙালি, ৩৩-১ ভোটে বাইচুংকে হারিয়ে সভাপতি কল্যাণ চৌবে

দীর্ঘ অচলাবস্থার পর নির্বাচিত সভাপতি পেল ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ (AIFF)। ৩৩-১ ভোটে বাইচুং ভুটিয়াকে (Baichung Bhutia) হারিয়ে ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত ময়দানের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে। এআইএফএফ-র আট দশকের বেশি ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার সভাপতি পদে বসছেন। পাশাপাশি প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির পর এআইএফএফ-র শীর্ষপদে আবার এক বাঙালি (Kalyan Chaubey)। এদিন ভোটাভুটিতে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত কর্নাটক রাজ্য সংস্থার সভাপতি এন এ হ্যারিস, কোষাধ্যক্ষ হলেন কিপা অজয়।

এদিকে, ভারতীয় ফুটবল সংস্থার পরিচালন কমিটি গঠনের এই ভোট কল্যাণ চৌবের কাছে ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। এই নির্বাচনে বিজেপির উত্তর কলকাতার অঞ্চলের এই পরিচিত মুখের জয় ছিল প্রায় নিশ্চিত। সভাপতি পদে কল্যাণ যে অনেক বেশি ভোট পাবেন, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ ছিল না।

বেশির ভাগ রাজ্য সংস্থার সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই। ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সমর্থন আদায় করেছিলেন কল্যাণ। ভোটের ফলেও তাঁর ইঙ্গিত। ময়দানে বড় ম্যাচ একাধিকবার ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হলেও ভোট ময়দানে ভাইচুং দাঁড়াতেই পারেননি। মাত্র দু’টি সংস্থা ছিল তাঁর পিছনে।

জানা গিয়েছে, পাহাড়ি বিছেকে তাঁর নিজের রাজ্য সংস্থা সিকিমই সমর্থন করেনি। তিনি লড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার হয়ে। তাঁকে শুধু সমর্থন করেছে রাজস্থান ফুটবল সংস্থা। অন্যদিকে, কল্যাণ দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাত রাজ্য সংস্থার হয়ে।

ভাইচুংকে এই নির্বাচনে জিততে গেলে অসাধ্যসাধন করতে হত। তিনি রাজ্য সংস্থার সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে আবেদন করেছিলেন তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সেই আবেদন কাজে দেয়নি, ভোটের দলেই স্পষ্ট। অন্তত এবার ভারতীয় ফুটবলের মসনদে বসার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে ভাইচুংয়ের কাছে।

2 years ago
Delhi: ৫৮-৮ ভোটে দিল্লি বিধানসভার আস্থা জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল

৫৮-৮ ভোটে আস্থা ভোট (Trust Vote) জিতে দিল্লিতে সরকার টিকিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kajariwal)। যদিও ২০২০ সালে বিধানসভা ভোটে ৬২টি আসনে জিতেছিলেন আপ প্রার্থীরা। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৮ আসন। বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোট ৪ জন বিধায়ক আপের (AAP) পক্ষে ভোট দেয়নি। এই মিসিং লিঙ্ক দিল্লির শাসক দল আপকে ভাবালেও আপাতত স্থিতিশীল কেন্দ্রশাসিত এই রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যালোচকরা।  

সম্প্রতি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযান হয়েছে। আবগারি দুর্নীতি-কাণ্ডে এই সিবিআই তদন্ত। তারপর থেকে দিল্লিজুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। হয়তো বা উলটে যেতে পারে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। আম আদমি পার্টির অভিযোগ ছিল, বিধায়ক কিনে দিল্লির সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করতে চাইছে বিজেপি।

তাই তড়িঘড়ি আস্থা ভোট ডেকে নিজের শক্তি প্রদর্শন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

2 years ago


Bihar: বিধানসভায় নীতীশের আস্থাভোট আজ, তার আগেই আরজেডি নেতাদের বাড়িতে সিবিআই

মহাজোট সরকারের গঠনের পর বুধবার বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly) আস্থা ভোট মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের (Nitish Kumar)। আর সেদিনেই সে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় মূলত আরজেডি নেতাদের বাড়িতে এই সিবিআই অভিযান (CBI Raid)। শুধু বাড়ি নয় একাধিক আরজেডি (RJD) নেতার অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সিবিআই সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের দলের রাজ্যসভা সাংসদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং এবং বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাইয়ের বাসভবনে বুধবার তল্লাশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি মামলায় জুলাই মাসে লালু-ঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

তবে নীতীশ কুমারের আস্থা ভোটের দিন সিবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযানকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলছে বিজেপি বিরোধী শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব যখন প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী, তখন নাকি বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের 'গ্রুপ-ডি' পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিয়োগ ওঠে। এই ইস্যুতে কাঠগড়ায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল।

এই সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী জানান, গোটা বিশ্ব দেখেছে, সারা দেশ দেখছে, আমরা এসবে ভয় পাই না, কেনই বা পাব।

2 years ago
Dilip Ghosh: 'কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, পাল্টা কটাক্ষ কুণালের

সিবিআইয়ের (CBI) উদ্দেশে করা তাঁর মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই তপ্ত পরিবেশের মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণ সেরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। সেই সময়েও দিলীপবাবুর মন্তব্য, 'সিবিআই তদন্ত নিয়ে আমি নতুন কিছু বলিনি। কোর্ট নিজেই হতাশা ব্যক্ত করেছে। একজন কর্মী হিসেবে আমি নিজেই হতাশা ব্যক্ত করছি।' পাশাপাশি এদিন কলকাতা (Kolkata) থেকে বিজেপির বিধানসভা এবং লোকসভায় আসন পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। 

তাঁর প্রশ্ন, 'বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। নিজের সুবিধা নিয়েই থাকে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় প্রতিবাদ কোথায়? তাঁরা নিজেরা নিজেদের নিয়ে থাকেন। আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালিদের এটাই চরিত্র। কালীঘাটের কাছে থাকি, আনন্দে থাকি। ভিখারি হয়ে থাকি। কিচ্ছু যায় আসে না। পুজোর টাকা পেয়ে খুশি থাকি।' এভাবেই সরব ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় অর্থ বন্ধ রাখা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দেবে না তো। আমরাই দিতে বারণ করেছি। টাকার হিসেব না দিলে টাকা দেবে না। হিসেব দিন, টাকা নিন।'

যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'দিলীপবাবু কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছেন। কলকাতার মানুষকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই দিলীপ ঘোষের। শুধু কলকাতায় নয়, জেলাতেও হারছে বিজেপি। উনি হতাশাগ্রস্ত, বিজেপির মধ্যে থেকেই অপমানিত, অবহেলিত, উপেক্ষিত।'

2 years ago