বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের! বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) হৃদেশ কুমার (Hirdesh Kumar) ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ, যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, কিন্তু স্থানীয় নন (Non-locals), তাঁরা ভোটার তালিকায় (voting list) নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও নিজ আবাসন থাকার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও, যাঁরা বিভিন্ন সীমান্তে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং রয়েছেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে।
বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Vote) ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবিকে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
এদিকে, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য গুলাম নবি আজাদ। বহুবার সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আবেদন করেছেন আজাদ। সেই আবেদন পত্রে সই ছিল বাকি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। একটা সময় গুঞ্জন রটেছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুলাম নবি আজাদকে প্রার্থী করতে পারে এনডিএ শিবির।
কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থীপদ এবং জয়লাভ।
মন্ত্রী হয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ফিরে আলাদা রাজ্য নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার মন্ত্রী হয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (TMC Leader)।
এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতাদের ভিড় হয়। সেই সম্বর্ধনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। এখানে উত্তরবঙ্গে বহু কাজ হয়েছে এবং হবে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, আগামীদিনে এই কথা কারও মুখে আসবে না। এই কথা বলে যারা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সমাজ থেকে আলাদা করে দিতে হবে।'
তিনি জানান, রাতারাতি সব হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে করতে হবে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, 'কেউ দাদা ধরে পঞ্চায়েত টিকিট পাবে না। জোর করে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হবে না।'
এই মঞ্চ থেকে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।' বুথে কর্মীদের এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্যে ইডি-সিবিআই বলে একটা প্যানিক চলছে। তাই যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, তাদের ইডি সিবিআই মামলায় এক থেকে দেড় বছর জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।'
তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকুমার রায়ও। কী বললেন তিনি?