
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই সিনেমা নিয়ে সারা দেশজুড়ে এক ঝড় বয়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। কিন্তু এত বিতর্ক-সমালোচনা-ব্যান কোনও কিছুই কাজে লাগল না। বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'। জানা গিয়েছে, মুক্তির ৯ দিনের মাথায় ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে এই ছবি।
একাধিক বিতর্কের মাঝে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ও আদাহ শর্মা অভিনীত ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি' মুক্তি পায় চলতি মাসের ৫ তারিখ। প্রথমে দেখা গিয়েছিল, এই ছবি তেমন দেখছেন না দর্শকরা। তবে ব্যাপারটা এখন পুরোটাই উল্টো। খুব তাড়াতাড়ি ১০০ কোটির ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছে এই ছবি। ৯ দিনে মোট ১১২.৮৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি। শনিবারই কেরালাতেই ১৯.৫০ কোটির ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অবশেষে দাগ কাটতে পেরেছে এই ছবি। বাংলায় ছবি নিষিদ্ধ হলেও বাকি রাজ্যে হাউজফুল এই ছবি। তবে পরিচালক আশাবাদী যে, খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যাবে তাঁর সিনেমা। তবে শেষ পর্যন্ত মোট কত কোটি টাকার ব্যবসা করতে চলেছে এই ছবি, সেটাই এখন দেখার।
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে এর জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। সিএন ডিজিটালকে পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) জানিয়েছেন, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কিছুটা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই বাংলায় তাঁর পরিচালিত ছবি ফের প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য হয় রাজ্যকে। দেশের সমস্ত রাজ্যে এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেলেও পশ্চিমবঙ্গে কেন তা নিষিদ্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রাজ্যের আইনজীবীকে।
পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যান করায় সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এরপর শুক্রবার এই মামলা শীর্ষ আদালতে উঠলে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইজীবীর কাছে প্রশ্ন করেন, 'এই সিনেমা অন্যান্য রাজ্যে চলছে, সমস্যা নেই। তবে বাংলায় কেন এই সিনেমা বন্ধ!' এছাড়া তিনি আরও জানান, 'মানুষকে ছবিটি দেখানোর সুযোগ দেওয়া হোক।'
শুনানির পর সুদীপ্ত সেনকে সিএন ডিজিটালের তরফে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আশাবাদী যে, পরবর্তী শুনানি বা বুধবারের পর এই ছবির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরে যাবে। ফের বাংলার মানুষরা এই ছবি দেখতে পাবেন।' শুধুমাত্র সুদীপ্ত সেন নয়, তাঁর দাদা মনোজ সেনকেও ফোনে ধরা হলে তিনিও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, এই ছবি ফের বাংলার মানুষ দেখার সুযোগ পাবেন।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) এখন দেখা যাবে বিদেশেও। জানা গিয়েছে, এই ছবি নিয়ে দেশে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও এই ছবি কোনও বাধা ছাড়াই আমেরিকা (America) ও কানাডার (Canada) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এরপরেই বেজায় খুশি ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন-সহ দ্য কেরালা স্টোরির পুরো টিম।
'দ্য় কেরালা স্টোরি' নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ছবি নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে প্রথম থেকেই। রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্নিত হতে পারে এমনটা ভেবে বাংলায় আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। কিন্তু অন্যদিকে এই ছবি বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল। জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও কানাডা মিলে মোট ২০০ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি।
বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছেন, এই ছবি একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেটি সিনেমার ক্রিয়েটিভির ঊর্ধ্বে। কেরালায় যা ঘটে আসছে, তা প্রথমে অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই ছবি বিশ্বের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত ও সচেতন বৃদ্ধি করা উচিত। ছবির প্রযোজক ভিপুল শাহও জানিয়েছেন, এই ছবির বিষয় সবার থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসা উচিত, আর তাই এই ছবি।
'দ্য কেরালা স্টোরি'-এর (The Kerala Story) প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী আদাহ শর্মাকে (Adah Sharma)। তাঁরই জন্মদিন ছিল ১১ মে। ৩১-এ পা দিলেন তিনি। ফলে জন্মদিন উপলক্ষে ভগবানের আশীর্বাদ নিতে পৌঁছে গিয়েছেন ধর্মীয় স্থানে। শিবমন্দিরে গিয়ে একমনে 'শিব তাণ্ডব স্তোত্র' (Shiv Tandav Strotam) পাঠ করে তাক লাগিয়ে দিলেন নেটিজেনদের। তাঁর এই ভিডিও এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়।
'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবি নিয়ে জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে এই ছবি। কিন্তু এই বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে 'কেরালা স্টোরি'। আর এই ছবিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন আদাহ শর্মাও। '১৯২০' ছবির পর ফের সাফল্য পেলেন তিনি। ফলে একদিকে সাফল্য ও অন্যদিকে জন্মদিন, ফলে এই বিশেষ দিনে তিনি পৌঁছে ভগবানের দরবারে। হলুদ সালোয়ার কামিজে চোখ বন্ধ করে শিবলিঙ্গের সামনে বসে একমনে মহাদেবের মন্ত্র উচ্চারণ করছেন আদাহ। শুনে যেন গায়ে কাঁটা দিচ্ছে!
আদাহ তাঁর এই ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার শক্তির গোপন সূত্র। সেই ক্ষমতা যা আমাকে মোকাবিলা করার শক্তি জোগায়। আমাকে নিজের করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।'
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশে 'দ্যা কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয়। এরপরে অবশ্য বহু বিতর্ক হয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশ জুড়ে। এবার এই সিনেমাটি রাজ্যের পেক্ষাগৃহ গুলিতে দেখানোর জন্য মত প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
সিএন ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল 'দ্যা কেরালা স্টোরি' পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও নির্মাতা সংস্থা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, 'এই সিনেমা অন্যান্য রাজ্যে চলছে, সমস্যা নেই। তবে বাংলায় কেন এই সিনেমা বন্ধ!' এছাড়া তিনি আরও জানান, 'মানুষকে ছবিটি দেখানোর সুযোগ দেওয়া হোক।'
পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ হওয়ার পর সিএন ডিজিটাল কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, 'তিনি আদালতে গিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এই মামলায় রাজ্যের কাছে সিনেমা বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ করেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, এই মামলার শুনানি আগামী বুধবার হবে।
সিএন ডিজিটাল কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, 'দ্যা কেরালা স্টোরির' পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, 'মমতাদি আমার সিনেমা বন্ধ করার আগে, একবার আমার সিনেমাটি দেখুন। অন্যের কথা শুনে আমার সিনেমাটি বন্ধ করবেন না।'
মনি ভট্টাচার্য: পশ্চিমবঙ্গে দ্যা কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) ব্যান করাকে নিয়ে যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন, ওই ছবির নির্মাতা পরিচালক এ কথা সিএন ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল। সিএন-ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি।পাশাপাশি ওইদিন ওই ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন মনের ক্ষোভও প্রকাশ করেন। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি বলে খবর। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২ টোর মধ্যে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সিএন ডিজিটালকে শুক্রবার জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)।
পশ্চিমবঙ্গে দ্যা কেরালা স্টোরি ব্যান হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে। কেরালা স্টোরি ব্যান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও জোড়া মামলা হয়েছে বলে খবর, যে মামলার শুনানি পরের সপ্তাহে হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্যা কেরালা স্টোরি ব্যান করার ঘোষণা করেন। কারণ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দর্শান তিনি। যদিও এ প্রসঙ্গে সুদীপ্ত সেন অর্থাৎ ওই সিনেমার পরিচালক সিএন ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন,'আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি ঘটেনি বাংলায়। চার দিন হাউজ ফুল চলেছে এই সিনেমা। এবং তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য অনুরোধ করেন এবং বলেন, 'দিদি আপনাকে অনুরোধ করছি একবার আমার সিনেমাটি দেখুন। তারপর ব্যান করার সিদ্ধান্ত নিন, অন্যের কথা শুনে দয়া করে আমার সিনেমা বন্ধ করবেন না।'
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল আদাহ শর্মা (Adah Sharma) অভিনীত প্রথম সিনেমা 'নাইন্টিন টুয়েন্টি' (1920)। প্রথম সিনেমাতেই নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। বলিউডে হরর সিনেমায় এখনও শীর্ষস্থানে ছবিটি। এরপর 'হাসি তো ফাসি', 'কমান্ডো'র মতো সিনেমা করলেও তাঁর চরিত্র তেমন মনে রাখেননি দর্শক। সদ্য মুক্তি পাওয়া 'দা কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) দিয়ে আবারও যেন অভিনয় জগতে কামব্যাক করলেন অভিনেত্ৰী আদাহ শর্মা। মুক্তি পাওয়ার আগেই যে সিনেমা জর্জরিত হয়েছিল বিতর্কে। সেই সিনেমা কত টাকার ব্যবসা করতে পারল এখনও পর্যন্ত।
এক সপ্তাহ হল মুক্তি পেয়েছে 'দা কেরালা স্টোরি'। এর মধ্যে ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে সিনেমাটি। যদিও সারা ভারতে মুক্তি পেতে পারেনি সিনেমাটি। 'দা কেরালা স্টোরি হিংসাকে প্রশ্রয় দিতে পারে', এমন কারণ দেখিয়ে একাধিক রাজ্যে ব্যান করে হয়েছে ছবিটি। পরিচালক সুদীপ্ত সেন সব রাজ্যে নিজের সিনেমা মুক্তি নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন, কিন্তু যে কয়েকটি রাজ্যে কোনওরকম জটিলতা ছাড়া সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল, সেখানে ভালোই ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। প্রধান চরিত্রে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন আদাহ।
এই ছবিটি মুক্তি পেতেই পরের সিনেমার জন্য কোমর বাঁধছেন আদাহ। তাঁর নতুন সিনেমার ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শ্রেয়াস তালপাড়ে অভিনীত সিনেমায় দেখা যাবে আদাহকে। ছবির নাম 'দা গেম অফ গিরগিট'। আদাহকে এবার পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে। ছবিটি পরিচালনা করবেন বিশাল পান্ডিয়া। আগামী ছবিতেও আদাহ শর্মা প্রশংসা কুড়োতে পারেন কি না এখন সেইটাই দেখার।
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এরই মাঝে এবারে এই ছবির টিমের সদস্যরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen), প্রযোজক ভিপুল শাহ ও অভিনেত্রী আদাহ শর্মার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে যখন একাধিক রাজ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তখন অন্যদিকে এই সমালোচনা-বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে এই ছবি। একদিকে যেমন পশ্চিবঙ্গে এই ছবি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে কিছু রাজ্যে যেমন- মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে এই ছবি করমুক্ত করা হয়েছে। এবারে ছবির টিমের সঙ্গে দেখা করে আরও প্রমাণিত হয়ে গেল যে, এই ছবির সমর্থনে রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
বুধবার লখনউতে ছবির প্রচারে গিয়েছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ সুদীপ্ত সেন, আদাহ শর্মা ও ভিপুল শাহের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আবার তাঁদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। ভিপুল শাহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, 'যোগী আদিত্যনাথের এই পদক্ষেপ আমাদের চিন্তাধারা ও মনোবলকে আরও শক্তিশালী করল। তাঁর এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছ দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে তাই কৃতজ্ঞ।' আবার সুদীপ্ত সেন বলেছেন, 'আমাদের ছবিকে উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত করার জন্য ও সেখানকার জনগণদের ছবি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাতেই লখনউতে এসেছি আমারা।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) বাংলায় নিষিদ্ধ হবার পর ওই সিনেমার (Cinema) নির্মাতা সংস্থা ও পরিচালক যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছেন সে কথা প্রথম সিএন ডিজিটালেই জানিয়েছিলেন। এবার এই সিনেমার প্রদর্শনীর বন্ধের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। ঠিক কোন কারণে এই সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা হল বাংলায়, তা জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে এক ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়। মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের দাবি, এভাবে নোটিফিকেশন জারি করে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এটা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেবদত্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর দাবি এভাবে সিনেমা বন্ধ করা যায় না। এভাবে কন্ঠ রোধ করা যায় না।
গত ৫ই মে দেশের বহু প্রেক্ষাগৃহে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত সিনেমা 'দ্যা কেরালা স্টোরি' রিলিজ করে। তাঁর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। এর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিনেমাটি বাংলার প্রেক্ষাগৃহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যদিও সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের দাবি, ৪ দিন বাংলায় ভালো ব্যবসা করেছে 'দ্যা কেরালা স্টোরি।'
দীপিকা দাস: 'ফিল্ম ব্যান করার অধিকার কারোর নেই। দিদি যদি একবার ছবিটি দেখতেন'। আক্ষেপ ও ক্ষোভের সুর 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেনের (Sudipto Sen) কন্ঠে। 'দ্য কেরালা স্টোরি', এই ছবি নিয়ে সারা দেশজুড়ে ঝড় বয়ে চলেছে। একাধিক বিতর্কের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলায় (West Bengal) এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ঠিক তারপরেই বাংলার সংবাদমাধ্যমে প্রথম সিএন ডিজিটালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। ঠিক কী বলেছেন তিনি।
প্রথমত সিনেমাটি বাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে। তার উপর পরিচালক নিজেই বাঙালি। সেকারণেই হয়তো আক্ষেপের সুর 'দ্য কেরালা স্টোরি'র নির্মাতা সুদীপ্ত সেনের গলায়। মঙ্গলবার দেওয়া সিএন ডিজিটালে সাক্ষাৎকারে বলেন, 'প্রথমে আশ্চর্য লাগল, কারণ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না, পরে দুঃখও হলো যে আমার নিজের রাজ্যেই যদি লোকেরা না দেখে তবে, সারা বিশ্বে যাঁরা দেখছেন ছবিটি, তাঁদের সামনে কী করে মুখ দেখাই।' ওই একই প্রসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপও দাগেন এবং বলেন, 'কথায় আছে, পশ্চিমবঙ্গ সবার আগে ভাবে, তারপর সারা ভারতবর্ষ ভাবে, সেই ঐতিহ্য থেকেই ভেবেছিলাম। 'পদ্মাবত' নিয়ে সারা ভারতবর্ষে আন্দোলন হয়েছিল তখন মমতা দিদি তার সমর্থনে ছিলেন। মহুয়া মৈত্রজি বিবিসির ডকুমেন্টরির জন্য বলেছিলেন। আমরা তো শুধু ছবি বানিয়েছি। আমি সাতবছর এই ছবিতে সময় দিয়েছি। এখন তাঁরা ছবিটি দেখলেন না, না দেখেই কিছু লোকের কথা শুনে ব্যান করে দিলেন, ফলে এটা খুব দুভার্গ্যজনক।'
এই সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর সিনেমা ব্যান করায় কোথাও কী পক্ষপাত তুষ্ঠ উঠে আসছে?এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'একদম, আমি পলিটিশিয়ান নই, তবে ফিল্মমেকার হিসাবে খুব আঘাত পেয়েছি।' এই রাজনৈতিক আচরণের প্রশ্নে মমতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, 'এরকমভাবে দু'রকমের রাজনীতি করার কী মানে হয়? মমতা দিদি বাংলার রাজনীতির আইকন, ওনারই এরকমের হিপোক্রিটিক চেহারা, আমি মেনে নিতে পারিনা। আমার এখনও মনে হয়, দিদি ফিল্মটা দেখলে এখনও মত বদলাতে পারেন ও উনি সবাইকে বলবেন ফিল্মটা গিয়ে দেখে আসুন।'
এতক্ষণ ধরে তাঁর গলায় ক্ষোভের সুর পাওয়া গেলেও এবারে তাঁর গলায় যেন আক্ষেপের সুর। ওই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে আইন-শৃঙ্খলার প্রবলেম হবে, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার প্রবলেমটা তো তারাই ক্রিয়েট করে শোগুলো বন্ধ করলেন। পশ্চিমবঙ্গে খুব ভালো ব্যবসা হয়েছিল চারদিন, গোটা দেশে এমনকি কাশ্মীরেও কোনও বিরোধ নেই। কাশ্মীরে এই সিনেমা দেখে দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন সেখানকার স্থানীয়রা।'
সম্প্রতি এই সিনেমা নিষিদ্ধ করার পর বঙ্গে যে রাজনীতির পারদ চড়েছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং মানুষ কোনটা দেখবে কোনটা দেখবে না, সেটা মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন বহু সাধারণ মানুষ। সেদিক থেকে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল সরকার। এভাবে কোনও জিনিসকে নিষিদ্ধ করলে মানুষের আগ্রহ যে বেড়ে যাবে সেটাও মানছেন সকলেই। এই বিষয়ে সিনেমা নির্মাতা সুদীপ্ত সেন বলেন, 'লোকেরা তো ফিল্মটি দেখবেনই, ব্যান করে কী লাভ হবে। ছবিটি টিভিতেও আসবে পরে ওটিটিতেও আসবে। ওনারা আটকাতে পারবেন না। শুধু শুধু ইতিহাস লিখলেন।' এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'উনি কারোরই ভালো করলেন না। না রাজ্যের মুসলমানদের জন্য ভালো করলেন, না হিন্দুদের জন্য ভালো করলেন। আমি যে বাংলাকে নিয়ে গর্ব করি সারা পৃথিবীতে, সেই বাংলার ব্যবহার দেখে আমার ভালো লাগলো না।'
বঙ্গে এই সিনেমা ব্যান করা নিয়ে আইনের পথে যে হাঁটবেন সেকথা আগেই সিএন ডিজিটালকে জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। দেশের শীর্ষ আদালতে পরিচালক সুদীপ্ত সেনের আবেদনের শুনানি আজ অর্থাৎ বুধবার। মঙ্গলবার রাতে সিএন ডিজিটালকে একথা নিজের মুখে জানালেন তিনি। 'ফিল্মটা দেখানো হবে কি হবে না, সেটা সিবিএফসি ঠিক করবে। সিবিএফসি ছবিটাকে ছাড়পত্র দিলে আর কারোরও কোনও অধিকার নেই ব্যান করার। এই ছবি ভারতবর্ষে সবার দেখার অধিকার আছে। আমি দিদিকে এখনও হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, আপনি নিজে ফিল্মটা দেখুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। এগুলো ইনটেলেকচুয়াল আর্টের ব্যাপার, তাই নিজে দেখে সিদ্ধান্ত নিন। গুন্ডা প্রকৃতির লোকজনের কথা শুনে দিদি ফিল্ম বন্ধ করে দেবেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবির একটি গান লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। যে গানটি পাঁচবার নামাজ পড়া এক ব্যক্তি লিখেছেন।' এই তথ্যও সিএন ডিজিটালকে নিজেই জানালেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি কার সেকিউলারিজমের উদাহরণ দেব? ধর্ম কারোর সম্পত্তি নয়, সবাই সবার জন্য ভাবেন। এমন অনেক লোক প্রথমে বিরোধ করছেন, পরে আমাকে মেসেজ করে জানিয়েছে যে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এগুলোর ছবি পরে আমি টুইটার ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করব।'
মনি ভট্টাচার্য: সিএন-ডিজিটালই প্রথম জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The kerala Story) ব্যান (Banned) করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যেতে চলেছে ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। আজ অর্থাৎ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি হবে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে সিএন-ডিজিটালকে প্রথম সাক্ষাৎকার দেন ওই সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন। সুদীপ্ত সেন জানায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। এরপরে সিএন-ডিজিটালের তরফে মঙ্গলবার রাতে পরিচালক সুদীপ্ত সেনকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'আমরা আদালতে গিয়েছি, বুধবার ওই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।' এছাড়া দীর্ঘ কথোপকথনে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আপনি দয়া করে সিনেমাটি একবার দেখুন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।'
'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, ' আমি সাত বছর এই সিনেমাটা নিয়ে কাজ করছি, বাংলার সৃষ্টি বাংলায় ব্যান। এটা জাস্টিস নয়।' এই সিনেমা নিয়ে রাজনৈতিক পারদও চড়তে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের হাওড়া ও বেলঘড়িয়াতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
দীপিকা দাসঃ সোমবার নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) পশ্চিমবঙ্গে ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ করা নিয়ে এবারে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হচ্ছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। একথা নিজের মুখেই সিএন ডিজিটালকে জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই সিনেমাটি আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইসলাম আগ্রাসন, সন্ত্রাসবাদ ও লভ জিহাদ- মূলত এই তিনটি বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
সিনেমাজগত থেকে রাজনৈতিক মহল- এই ছবি নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশ। এবারে এর আঁচ পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন যে, বাংলায় নিষিদ্ধ করা হল 'বিতর্কিত' ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি'। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন সুদীপ্ত সেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার ঘোষণা করে জানিয়েছেন, এই ছবিতে বিকৃত তথ্য দেখানো হয়েছে। এর কোনও সত্যতা নেই। সমস্ত গল্পই বিকৃত করে দর্শকদের দেখানো হচ্ছে। ফলে রাজ্যে শৃঙ্খলা ও সৌহার্য্য বজায় রাখতেই এই ছবি রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হলো।