শিক্ষক দিবসের (Teachers Day) অনুষ্ঠানে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। তিনি বলেন, 'হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না। কে কতটা লোভী হবেন তা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। ব্যক্তি মানুষের উপর সততা নির্ভর করে। কিন্তু বাম আমলের কোনও কাগজ নেই। কোনও ফাইল আমরা কিছু পাইনি। আমাদের আমলে কাগজ আছে তাই ভুল ধরা পড়ে। একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। আগামি দিনে ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। আমরা কারও চাকরি খাইনি। যারা সুবিচার পায়নি আমাদের আমলে পাবেন।'
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে তিনি জানান, আমরা নিয়োগ করতে চাইছি, কিন্তু সময় সাপেক্ষ। শুধু একের পর এক জনস্বার্থ মামলা। সঙ্গ দোষে কেউ কেউ বিপথে যান, তার জন্য সবাইকে খারাপ বলা ঠিক নয়। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে পুরো ক্ষমতা নেই। সঙ্গদোষে ভালো খারাপ হয়ে যায়। পয়সা আজ আছে কাল ফুরোবে, তাই চরিত্র গঠন করুন। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষারত্ন প্রদান অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানে চরিত্র গঠনের বার্তা দেন তিনি।
তাঁর দাবি, কয়েকজন ছেলেমেয়ে রাস্তায় বসে ছিল, আমি বলেছিলাম তাঁদেরটা করে দিন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন ওদের নাম্বার পারমিট করছে না। তারপরেও আমি বলেছিলাম দিন একটু করে দিন। যেহেতু আমার দয়া-মায়া বেশি। যে কারণে গালাগাল খাই বেশি।'
পুজোর আগেই নতুনভাবে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। এমনটাই পর্ষদ সূত্রে খবর। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ৯ তারিখ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা। সেখানেই চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে পর্ষদ। যে দিনই পরীক্ষা হোক না কেন তাতে দেরি করতে নারাজ প্রাথমিক বোর্ড। তাই পুজোর আগেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এদিকে, নতুন প্রাথমিক টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট-এর (TET) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্দরে। জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা জরুরিভিত্তিতে চেয়ে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবারই প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি (Ratna Chakraborty Bagchi)।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal) জানান, "আমরা প্রস্তুতি শুরু করছি। কবে হবে জানি না। কিন্তু, যদি পরীক্ষা নিতে হয়, তা ধরে সেভাবেই এগোতে হবে। শেষ পর্যন্ত কত প্রার্থী আবেদন করল, সেই অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র স্থির করব, আমি সেই পদ্ধতিতে হাঁটি না। আমি ভেবে কাজ করি, করে ভাবি না। তাই আগে পরিকল্পনা করি। তারপর তা কার্যকর করি।"
প্রসঙ্গত, পর্ষদের তরফে সংসদ চেয়ারম্যানদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী টেট পরীক্ষার জন্য জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। নির্বাচিত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ভালো পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত পরিবহণের সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। কোন পরীক্ষাকেন্দ্রে কত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই গৌতম পাল বলেছিলেন, "আমি চাই প্রত্যেক বছর টেট পরীক্ষা হোক এবং নির্দিষ্ট সময়ে হোক।"
তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের টেট পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, জরুরিভিত্তিতে জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা চেয়ে পাঠানো টেট পরীক্ষা হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করছে।
ছাত্রকে লাঞ্ছিত (assaulting) করার অভিযোগে একটি বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষককে (teacher and a headmaster) গ্রেফতার (arrested) করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ছাত্রের পরিবার এবং স্কুলের অন্য এক শিক্ষক এই ঘটনায় পৃথক এফআইআর (FIR) দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাজস্থানে। বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সার্কেল অফিসার কানহাইয়ালাল বলেন, 'স্কুলের প্রার্থনাসভা চলাকালীন, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আশিস তেটওয়াকে অভিযুক্ত শিক্ষক সঠিকভাবে লাইনে না দাঁড়ানোর জন্য চড় মেরেছিলেন। আশিস এর প্রতিবাদ জানালে তাঁকে প্রধান শিক্ষক সাগরমল ও অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদীপ, কক্ষে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের সদস্যদের।
যদিও স্কুলের অন্য একজন শিক্ষক ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ করেছেন, ওই ছাত্রই সেদিন শিক্ষককে চড় মেরেছিলেন। পুলিস জানায়, উভয় মামলাই তদন্ত করা হচ্ছে।
স্কুলে শিক্ষকের কাছে বকা বা মার (Beaten) কম-বেশি সকলেই খেয়েছেন। দুষ্টুমি করলে কান মলা যেমন খেতে হয়েছে তেমনই পড়া না পারলে ভরা ক্লাসের মধ্যে কান ধরে দাঁড় করিয়েও দিতেন শিক্ষকরা। কিন্তু ছাত্ররা পেটাচ্ছেন শিক্ষককে? এমন কথা কি কখনও শুনেছেন? তবে বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) একটি স্কুলে। দুমকা (Dumka) জেলার একটি সরকারি স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক (Math teacher) এবং একজন কেরানিকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার গাছে বেঁধে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।
ছাত্রদের অভিযোগ, তাদের ফেল করানোর জন্য ইচ্ছা করেই কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এদিকে, মারধরের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কের শিক্ষক এবং কেরানিকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ইউনিফর্ম পরা বেশ কয়েকজন ছাত্রকে তাঁদের আশপাশে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি স্কুলেরই অন্য এক শিক্ষক সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
এরপরই হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ১১ জন পড়ুয়াকে অঙ্কে ৩২ নম্বরেরও কম দেওয়া হয়েছিল। যা ফেল করারই সমান। পুলিস সূত্রে খবর, ওই অঙ্কের শিক্ষক আগে এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কোনও কারণে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও কোনোরকম অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাদের দাবি, পুলিসে অভিযোগ করলে ছাত্ররা আরও বিগড়ে যেতে পারে। গোপীকান্দারের বিডিও অনন্ত ঝা ওই আবাসিক স্কুলে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি স্কুলে ২০০ পড়ুয়া রয়েছে। বেশির ভাগ পড়ুয়াই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
২০১১-র পর থেকে যারা প্রাইমারি শিক্ষকপদে (Primary Teacher) নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নথি চেয়ে পাঠাল শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)। পয়লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে পর্ষদ অফিসে সেই নথি পাঠাতে হবে। এই মর্মেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চেয়ারম্যানকে। জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করা সংস্থা ইডি (ED) এই নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। ২০১১-র পর থেকে কাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই দিক খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার আসার পর ২০১২ থেকে শুরু হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষা।
২০১২ থেকে এযাবৎকাল টেটের মাধ্যমে যারা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পর্ষদ। জানা গিয়েছে, শুধু নথি নয়, জমা দিতে হবে নিয়োগপত্রও।
সেই তথ্য এক্সেল ফরম্যাটে সফ্টকপি হিসেবে পাঠাতে হবে। চিঠিতে উল্লেখ, এই বিষয়টিকে যেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। চাকরিপ্রার্থীর নাম, টেট রোল নম্বর, বাবার নাম, কোন ক্যাটাগরিতে চাকরি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, কোন স্কুলে চাকরি এবং কোন বছরে এসবই জানাতে হবে।
এদিকে, সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। তিনি চেয়ারে বসেই ঘোষণা করেছেন সংসদকে স্বচ্ছ রাখতে যা যা করণীয়, তিনি করবেন। এমনকি, প্রতি বছর টেট পরীক্ষা আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন নতুন সংসদ সভাপতি।
শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI Arrest) হাতে গ্রেফতার আরও এক মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। এই অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ভাগ্নি জামাই। প্রসন্নকে, ধৃত প্রদীপ সিংয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রদীপ সিংকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন প্রসন্নকুমার রায়ের সল্টলেক জিডি-২৫৩ ফ্ল্যাটে গাড়ি ভাড়ার দেওয়ার কাজ করতেন প্রদীপ। এরপরেই তদন্তকারীরা প্রসন্নকুমারকে গ্রেফতার করেন।
জানা গিয়েছে, নিউটাউনের বলাকা আবাসনে B-6 2/3-এ ফ্ল্যাট রয়েছে প্রসন্নর। পাশাপাশি কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার অধীনে অভিজাত ভিলা রয়েছে তাঁর। রাজারহাট ধারসাইয়ে রয়েছে বাগান বাড়ি-সহ একাধিক জমির খোঁজ মিলেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। তদন্তকারী আধিকারিকরা নিশ্চিত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিপুল অংকের টাকা সম্পত্তি ক্রয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রসন্নকে গ্রেফতারের পর রাখা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। আজ তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য। এরপর আলিপুরে সিবিআই এর বিশেষ আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
এ যেন এক অবিশ্বাস্য কাণ্ড। শিক্ষকের (Teacher) যৌন লালসার শিকার ছাত্রী (student)! কোচিং সেন্টারের মধ্যে দিনের পর দিন চলত এই নারকীয় কাণ্ড। ভয়ে, লজ্জায়,সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার (suicide) চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হতে গ্রেফতার (arrest) অভিযুক্ত শিক্ষক। শিক্ষিত হয়ে লাভ কী? এখন এই প্রশ্নই নরেন্দ্রপুরবাসীর মনে। দিন কয়েক আগে হুগলির জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককেও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীণ থানার পুলিস।
জানা যায়, নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানার একটি কোচিং সেন্টারে এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বলবীর সিং নামে এক শিক্ষক। তাকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাত। তারপরে ওই ছাত্রীকে দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহ করত। কাউকে না জানানোর হুমকিও দিয়েছিল। লজ্জায়, ভয়ে কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করে ওই নির্যাতিতা ছাত্রীটি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীর মা। মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহে (Sexual Abuse) কাঠগড়ায় এক শিক্ষক (School Teacher)। হুগলির (Hooghly) জিরাটের এক প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। তাঁকে জেরা করে সত্যি জানতে চাইছে হুগলি গ্রামীণ পুলিস। জানা গিয়েছে, জিরাটের আশুতোষ নগর এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরুণ কুমার দত্তের দিকেই অভিযোগের আঙুল নাবালিকা ছাত্রীদের।
নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত শিক্ষক টিফিনের পর ছোট ছোট মেয়েগুলোকে ভয় দেখিয়ে নিগ্রহ করতেন। কাউকে বলে দিলে ফল খারাপ হবে, সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হবে, নিল ডাউন করে রাখা হবে এমন হুমকিও তাদের দেওয়া হত। আতঙ্কে কয়েকদিন ধরে একাধিক ছাত্রী হঠাৎ করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাড়ি থেকে কী হয়েছে জানতে চাওয়া হলে, প্রথমে চুপ থাকলেও, পরে মায়েদের সব খুলে বলে তারা।
এরপরেই নিগৃহীতা ছাত্রীদের পরিবার এবং আত্মীয়রা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। ঘটনা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। খবর যায় বলাগড় থানায়। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে ওই শিক্ষককে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, এই ধরনের কুকর্মের সঙ্গে যে যুক্ত তাঁর চরম শাস্তি হোক। সমাজ গঠনের কারিগররাই যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাহলে কী ভরসায় তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। এই ঘটনা জানাজানি হতে স্কুলের মিডে ডে মিলের কর্মীরাও হতবাক। তাঁদের বক্তব্য, এই স্কুলে দীর্ঘদিন কাজ করলেও এই ধরনের অভিযোগ এই প্রথম।
ফের চাকরির (job) নামে প্রতারণা। এবার প্রাইমারি স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা (money) আত্মসাৎ-এর অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) জলঙ্গি হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষক (teacher) গৌতমকুমার ঘোষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা চারজনের কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগ দেগঙ্গা থানার পুলিসের (police) কাছে দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
অভিযোগ, ২০১৮ সালে দেগঙ্গা (Deganga) চাকলার বাসিন্দা খোকন রায়, তাঁর দুই মেয়েকে প্রাইমারি স্কুলের চাকরি দেওয়ার নাম করে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও আরও দুই চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নেন জলঙ্গি হাইস্কুলের শিক্ষক গৌতমকুমার ঘোষ। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একাধিকবার চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলেও চাকরি হয়নি। এরপর ২০২০ সালের পর থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু বারবার টাকার দাবি করতেই সন্দেহ হয় খোকন রায়ের। তারপর তিনি জলঙ্গি হাইস্কুলে যান এবং অভিযুক্ত শিক্ষক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাড়িতেও যান। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হয়নি। বারবার ফোন করেও ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ। শেষে বাধ্য হয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিসের দ্বারস্থ হলেন খোকন রায় সহ প্রাইমারি চাকরি পাওয়ার নামে টাকা দেওয়া যুবক-যুবতীরা।
এরই মধ্যে খোকন রায়ের সঙ্গে গৌতম ঘোষের একটি ফোন রেকর্ডিং সামনে আসে। সেখানে স্পষ্ট গৌতম ঘোষ বলছেন, "আগে দুটো ক্যান্ডিডেটের স্যাম্পল হিসেবে পাঠানো হবে, সেগুলি হয়ে গেলে বাকিগুলিও হয়ে যাবে। এই কাজে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাতও। এই কাজে মাঝে ডামাডোলও হয়েছিল। আমার মোট ১৫ টি ক্যান্ডিডেট রয়েছে।
এরই মধ্যে দেগঙ্গা চাকলার এক চাকরিপ্রার্থী চাকরি না পাওয়ার জন্য অবসাদে আত্মঘাতীও হন। তবুও প্রশাসনের ভূমিকা নেই।
সন্ধ্যা হলেই স্কুল (school) চত্বরে বসে মদ ও জুয়ার আসর। প্রতিদিন একই ঘটনা দেখে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা (teacher)। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Ishlampur) ব্লকের দাড়িভিট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্কুল চত্বরে মদ ও জুয়ার আসর বসে। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ উঠছে কিছু অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সকালে স্কুল খুলতে আসলে স্কুল চত্বরের মধ্যে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মদ ও বিয়ারের বোতল, চিপসের প্যাকেট সহ নানান সামগ্রী। যা প্রতিদিন স্কুলের শিক্ষক বা স্কুলের রাঁধুনিদের পরিষ্কার করতে হয়। একটি শিক্ষা কেন্দ্রে বারবার একই ঘটনায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত স্কুলের শিক্ষকরা। এর আগেও একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার মদ ও জুয়ার আসর বসতে শুরু করে স্কুল প্রাঙ্গনে। যা নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের শিক্ষকরা।
তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে ইসলামপুর থানার পুলিসের দ্বারস্থ হবেন বলেও এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবং এই ঘটনায় ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন দেখার প্রশাসনের তত্পরতা।
এক শিক্ষিকাকে (teacher) অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) মাথাভাঙার (Mathavanga) তৃণমূল নেতা। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কামাল হোসেন। তাকে গ্রেফতার করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিস (police)।
জানা যায়, ওই শিক্ষিকার বাবা ক্ষীরোদ দাস তাঁর মেয়েকে অপহরণ (kidnaped) করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মাথাভাঙা থানায় দায়ের করেন। মূল অভিযুক্তকে হিসেবে তিনি কামাল হোসেনকে চিহ্নিত করেন। এরপরই এই অভিযোগ পেয়ে পুলিস অভিযানে নেমে শুক্রবার ভোরে শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি হোটেল থেকে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে কামাল হোসেন নামে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
এই বিষয়ে মাথাভাঙা জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিত ভার্মা জানান, মিসিং ডায়রি করেছিলেন মেয়ের বাবা। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে মাথাভাঙা থানার পুলিস। এদিন অভিযুক্তকে মাথাভাঙা আদালতে তোলা হয় বলে জানান ওই পুলিসকর্তা। এ বিষয় নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিত্ দে ভৌমিক জানান, পুলিস, পুলিসের কাজ করবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিস কোনও পক্ষপাতিত্ব করে না। দোষী শাস্তি পাবে।
এই ইস্যুতে বিজেপি নেতা জানান, "তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ, যা সম্পূর্ণ পশ্চিমবঙ্গবাসী জানে। নতুন নতুন সব তথ্য আমাদের সামনে উঠে আসছে। এখন জানা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা শুধু দুর্নীতি না, অপহরণের সঙ্গেও যুক্ত। এরা আর কী বাকি রেখেছে পশ্চিমবঙ্গকে ডোবানোর জন্য। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।"
এই ঘটনায় কী বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি?
স্কুলের (School) জন্মদিনে হিন্দি গানের সঙ্গে পড়ুয়াদের (student) নৃত্য (dance), যা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। পাশাপাশি অন্য একটি গানের তালে নাচতে দেখা গেল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকেও (teacher)। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় (social media) ঘুরছে স্কুলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই ধরনের গানের সঙ্গে পড়ুয়া ও শিক্ষকের নাচের দৃশ্য। এই ঘটনা ঘিরে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের এই সংস্কৃতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রাক্তন ছাত্রদের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। তবে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি স্কুলের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। তাঁর মতে, অনুষ্ঠান শেষে এটা হয়ত হয়েছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল বীরভূমবাসী। বীরভূমের (Birbhum) ভদ্রপুর মহারাজ নন্দকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে তরজা।
জানা যায়, মঙ্গলবার এই বিদ্যালয়ের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উৎসব ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের শেষ বেলায় শুরু হয় হিন্দি চটুল গান, আর সেই গানের তালে নৃত্য করতে দেখা যায় ছোট থেকে বড় সব শ্রেণীর পড়ুয়াদের।
তবে এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল আমলে নির্বাচন না করে স্কুলে সিলেকশন করার জন্য এই দায় পরিচালন কমিটির। তবে এই ধরনের নৃত্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হাওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পুরস্কার জুটলেও অবসরের ৩ বছর পরেও মেলেনি পেনশন (pension)। ফলে আর্থিক অনটন থেকে মানসিক অবসাদ, আর এরপরই পরিণতি মর্মান্তিক। ঘটনাটি মেমারির দেবীপুরের (Debipur)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ দেবীপুরে নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিস ওই শিক্ষকের (teacher) দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে (hospital) পাঠানো হয়।
পুলিস (police) ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ডঃ সুনীল কুমার দাস, বয়স ৬৩ বছর। তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৫ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার তুলে দেন। এমনকি সরকারি ও বেসরকারি তরফে শিক্ষক হিসাবে আরও বহু সম্মান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি অবসর নেন। অভিযোগ, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। তবে প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও পেনশন দেওয়া হয়নি তাঁকে। অবসরের পর লাগাতার ৩ বছর ধরে বিকাশভবন ও নিজের স্কুলে ঘুরলেও মেলেনি পেনশন। এরপরই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও আত্মঘাতী হন।
খবর পেয়েই মেমারি থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষারত্ন পাওয়া শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় সরকার।
এক নৃত্য (dance) শিক্ষকের (teacher) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য শহর কলকাতায় (Kolkata)। জানা যায়, মহেশতলার (Maheshtala) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নুঙ্গি চ্যাটার্জি পাড়ার বাসিন্দা বছর ২৪ এর অনুপম রায় একজন ডান্স শিক্ষক ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর অস্বাভাবিক মৃৃত্যুতে (death) শোকের ছায়া পরিবারে।
পরিবার সূত্রে খবর, অনুপম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজের বাড়ির দুতলার উপরে ঘরে চলে যায়। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও তাঁর কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে তাঁর বাবা ঘরে গিয়ে দেখেন অনুপম গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। এরপরই তাঁর বাবা চেঁচিয়ে ওঠেন। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দিলে পুলিস হাসপাতালে গিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তবে পরিবারের একমাত্র ছেলে অনুপম কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল, তা জানেন না পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিস।