শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকায় গড় শ্যামনগর জুনিয়র বেসিক স্কুল, স্কিম-টু এর এক শিক্ষককে (Teacher) বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠল পাশেরই হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। রানা চৌধুরী নামে ওই শিক্ষককে মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর (Beaten) করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই শিক্ষকের স্কুলে ব্যান্ড বাজিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান (Independence Day Programme) চলছিল। তা নিয়ে পাশের বিবেকানন্দ হাইস্কুল থেকে আপত্তি জানানো হয়। সেই বিষয়েই কথা বলতে ওই শিক্ষক গিয়েছিলেন পাশের স্কুলে। তখনই ওই তৃণমূল নেতা নাকি নিজের ক্ষমতা জাহির করে তাঁর কথা না শুনে তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন। ঘটনার কথা শুনুন আহত ওই শিক্ষকের মুখ থেকেই।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের সহকর্মীরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, বিবেকানন্দের নামে যে স্কুল, সেখানে এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে কীভাবে? তাঁরা দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি যে তৃণমূলেরই কর্মী, সেকথা স্বীকার করেছেন কাউগাছি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি স্বপন মণ্ডল। তিনি জানান, বিষয়টি ঠিক হয়নি। উপর মহলে তিনি বারবার জানিয়েছেন। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency jail) এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার (Cabinet meet) বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগ (teacher recruitment) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর (state finance ministry)। শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন মিললেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন।